অপপ্রচার
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিদেশি মিডিয়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: আইএসপিআর
সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিদেশি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বার্থান্বেষী মহল যে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচার চালাচ্ছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
রবিবার আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দেশে-বিদেশে সেনাবাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন করাই এর মূল লক্ষ্য।’
আরও পড়ুন: বান্দরবানে অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৯ সদস্য গ্রেপ্তার: আইএসপিআর
আইএসপিআর জানায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণ ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিদ্যমান আইন মেনে চলছে। একই সঙ্গে দেশের সংবিধান সমুন্নত রাখার জন্য বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় কাজ করছে।
এসব স্বার্থান্বেষী মহল প্রচারিত এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ও সংবাদে বিভ্রান্তি রোধে জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, দেশের স্বার্থ রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।
দেশজুড়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি অবনতির মধ্যে, জনসাধারণকে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান এবং মূল স্থাপনাগুলো সুরক্ষিত করার জন্য ২০ জুলাই সকাল থেকে সেনাবাহিনীকে সুনির্দিষ্ট এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর উপস্থিতি দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নৈরাজ্য মোকাবিলায় সহায়ক হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
আরও পড়ুন: সেন্ট মার্টিনের নিরাপত্তা নিয়ে গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান আইএসপিআরের
বান্দরবানে সেনা অভিযানে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত: আইএসপিআর
৩ মাস আগে
ভারতের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত বিএনপি-জামায়াত: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারকের সকল ধারা না পড়ে এবং না বুঝেই বিএনপি অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, ‘ধারাগুলো খন্ডিতভাবে তুলে ধরে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।’
সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিষয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করেন। সেখানে কিছু সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এই সমঝোতা স্মারকের বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, ক্ষেত্রবিশেষে কিছু কিছু মূলধারার গণমাধ্যমেও ভুল তথ্য চলে এসেছে।’
আরও পড়ুন: বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি জনগণের আস্থা তৈরি করবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখেছি, বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা এ নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। সর্বশেষ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও যুক্ত হয়েছেন সেই অপপ্রচারে। রবিবার তিনি একটি প্রেস কনফারেন্সে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেগুলো একেবারেই অসত্য এবং ডাহা মিথ্যা কথা। সমঝোতা স্মারকের সবগুলো ধারা উনি হয়তো পড়েননি বা যারা অপপ্রচার করেছে তারাও পড়েননি। সব ধারা না পড়ে খণ্ডিতভাবে এগুলো তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।’
এসময় তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সমঝোতা স্মারক কোনোভাবেই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নয়, বরং এটি উভয় দেশের জন্যই লাভজনক।’
‘বিএনপি অপপ্রচার করছে যে, বাংলার বুক চিরে ভারতের ট্রেন চললে বাংলাদেশের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হবে। এটি মোটেই সঠিক নয়। সমঝোতা স্মারকের ৩ নম্বর ধারায় পরিষ্কার বলা হয়েছে- রেড ট্রাফিক তথা অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরকসহ বিপজ্জনক ও আপত্তিকর পণ্য পরিবহন করা যাবে না। সমঝোতা স্মারকের ৪ নম্বর ধারায় এটাও বলা হয়েছে- বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য ও মানুষের চলাচল, সংশ্লিষ্ট দেশের জাতীয় আইন, প্রবিধান এবং প্রশাসনিক বিধানের অধীনে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি এটা বলে না যে, ভারতের মধ্য দিয়েও বাংলাদেশের ট্রেন নেপাল ও ভুটান পর্যন্ত চলবে। নেপাল-ভুটান থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে ট্রেন বাংলাদেশে আসবে এবং কলকাতা বন্দর ব্যবহার না করে মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করবে।’
‘তারা এটাও বলে না যে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিদ্যুৎ গ্রিডের মাধ্যমে তাদের ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে ভারতের বুক চিরে বাংলাদেশ নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করবে।’
ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর বেশ কিছু কূটনৈতিক সাফল্য ও অর্জন তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমার বিরোধ আন্তর্জাতিক ফোরামে গিয়ে নিষ্পত্তি করে বাংলাদেশের পক্ষে রায় এনেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি অত্যাধুনিক চীনা সাবমেরিন যুক্ত করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তর করে দেশকে সামরিকভাবে শক্তিশালী করেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি এবং ছিটমহল সমস্যার সমাধানের মধ্য দিয়ে দশ হাজার একর জমি বাংলাদেশের মধ্যে সংযুক্ত করেছেন। ভারতের গ্যাস ব্যবহার করে ভারতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ত্রিপুরার পালাটানা থেকে কম খরচে আমদানি করে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।’
আরও পড়ুন: তথ্যের সততা নিশ্চিতের অঙ্গীকার করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
‘গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তিতে ভারতকে রাজি করিয়ে, গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা শেখ হাসিনাই আদায় করেছেন। আর বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তো গঙ্গার পানির কথা বলতেই ভুলে গিয়েছিলেন- একথা দেশের সবাই জানে। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির জন্য ভারতকে চাপের মধ্যে শেখ হাসিনাই রেখেছেন। এই চুক্তি হলেও তার হাত ধরেই হবে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না।’
বিএনপির রাজনীতি ‘নতজানু’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে বিজেপি প্রথম ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গ বিএনপি মিষ্টি বিতরণ করেছিল। ভারতকে গ্যাস দেওয়ার মুচলেকা দিয়ে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেছিল বিএনপি।’
৪ মাস আগে
সন্ত্রাস-জালিয়াতি ও দেশবিরোধী অপপ্রচারই বিএনপির রাজনীতির উপাদান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির রাজনীতির ভিত্তি ৩টি। সন্ত্রাস-খুন, জালিয়াতি, বিদেশে অপপ্রচার।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ‘১৯৯৪ সালে লালবাগে ৭ হত্যাকাণ্ড’ স্মরণে রাজধানীর লালবাগের নবাবগঞ্জ পার্ক মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আয়োজনে আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, আসলে বিএনপি-জামায়াত খুনি চক্র। তারা হত্যার রাজনীতিটাই করে। আজ যারা বিএনপির বড় বড় নেতা মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব সবাই বিএনপি ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলানোর আগে অন্য দল করত। জিয়াউর রহমান মানুষের লাশের উপর দাঁড়িয়েই বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিল। সুতরাং সেই হত্যা-খুন সন্ত্রাসের রাজনীতি থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারে নাই।
তিনি আরও বলেন, ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে বিএনপি যেভাবে আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছে, ২৮ অক্টোবর সমাবেশের নামে একজন পুলিশ সদস্যকে যেভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে- এটি মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর অনুকরণে তারা পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সসহ হাসপাতালের ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে যা দেশের ইতিহাসে ঘটেনি।
আরও পড়ুন: ইউনূসকে নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে, বিবৃতি নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জালিয়াতি করতে গিয়ে বিএনপি মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভুয়া উপদেষ্টাও বানিয়েছিল উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রথমে দেখা গেল সে ইংরেজি ছাড়া কিছুই বলতে পারে না পরে দেখা গেল যে গড়গড়িয়ে বাংলা কয়।
আপনাদের মনে আছে যে, কংগ্রেসম্যানদের সই জাল করেছিল বিএনপি এবং ভারতের মন্ত্রী অমিত শাহ'র সঙ্গে কথা হয়েছে বলে একটা ভুয়া অডিও ছেড়েছিল তারা।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে বিএনপি ভরাডুবি নিশ্চিত বুঝেই অংশ নেয়নি এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু পারে নাই। এই নির্বাচনকে বৈধতা না দেওয়ার জন্য, সরকারকে বৈধতা না দেওয়ার জন্য বিদেশিদের কাছে চিঠি লিখেছে। কিন্তু পৃথিবীর সমস্ত রাষ্ট্র নতুন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বহু রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছে। আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা শুনতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউ, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন, ভারত, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতসহ ৮০ জন ডিপ্লোম্যাট উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যের শুরুতে মন্ত্রী ১৯৯৪ সালের ৩১ জানুয়ারি শহীদ শাহ আলম, হাফিজ উদ্দীন, দেলওয়ার হোসেন, আনসারউল্লা গাজী, আনোয়ার হোসেন আনু, নজরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ইউনুসের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে আমরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলাম। এটি তারা মেনে নিতে পারে নাই। নির্বাচনের পরের দিন এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এরপরেও দমিত হয়নি বরং এই খুনি চক্রকে রুখে দাঁড়িয়েছিল। সেই বিজয়ের যাত্রাপথ বেয়ে ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ
টিআইবি'র অভ্যন্তরে দুর্নীতি আছে কি না পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার
দুর্নীতি সূচকে দেশের অবস্থান প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) অভ্যন্তরে কোনো দুর্নীতি আছে কি না সেটা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা দরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকারকে পুরো পৃথিবী অভিনন্দন জানিয়েছে। পৃথিবীর সমস্ত রাষ্ট্র নতুন সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। এটাকে খাটো করার জন্য কিছু একটা বলতে হবে। সেজন্য ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতি সূচকে না-কি দুই ধাপ নেমে গেছে বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, এখন টিআইবির অভ্যন্তরে কোনো দুর্নীতি আছে কি না সেটা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা দরকার। এভাবে একপেশে রিপোর্ট দিয়ে সরকারকে খাটো করা যাবে না।
বাংলাদেশে কিছু প্রতিষ্ঠান আছে তারা অন্যদের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা যেখান থেকে ফান্ড পায়, যেভাবে প্রেসক্রিপশন দেয় সেভাবেই কাজ করে। তবে এ ধরণের সংগঠন থাকুক আমরা চাই।
আমরা মনে করি সিভিল সোসাইটি সংস্থাগুলো সরকারের ভুলত্রুটি তুলে ধরতে পারে, সেজন্য এ ধরণের প্রতিষ্ঠান থাকা ভালো। কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠান যখন এক চোখা হয়ে যায়, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিএনপির রাজনৈতিক নেতাদের মতো কথা বলে, রিজভী আহমেদের কথা আর টিআইবির বক্তব্য যখন মিলে যায় তখন বোঝা যায়, ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক-বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে প্রত্যেক দেশই আগ্রহী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৯ মাস আগে
অপপ্রচার ও গুজবকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চান তথ্য প্রতিমন্ত্রী
কীভাবে অপপ্রচার ও গুজবকে জবাদিহির আওতায় আনা যায় সেটির একটি কাঠামো দাঁড় করাতে চান নবনিযুক্ত তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আগামী ৫ বছর উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে অপপ্রচার হচ্ছে। অনেক সময় মূলধারার গণমাধ্যমের লোগো ব্যবহার করেও অপপ্রচার হয়। সমস্যা যেটি হয়, এই অপপ্রচার রোধ করতে গিয়ে আমরা চিন্তা করি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়।
তিনি বলেন, যেহেতু নতুন একটা ফেনামেনা তৈরি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিস্তৃতি ঘটে এই জায়গায় এসেছে। কাজেই নতুনভাবে আমাদের ভেবে কর্মকৌশল নিতে হবে।
তিনি বলেন, কীভাবে অপপ্রচার ও গুজবকে আমরা জবাবদিহির আওতায় আনতে পারি, সেটির একটি কাঠামো দাঁড় করাতে পারি। কারণ দিন শেষে সবকিছু ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে, যদি অপপ্রচার অবাধ ও স্বাধীনভাবে বিস্তৃতি লাভ করার সুযোগ পায়। তাহলে কিন্তু কোনোকিছুই দিন শেষে গণতন্ত্রের জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে না, সেটা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলি আর যাই বলি। সেখানে আমাদের একটি কর্মকৌশল নিতে হবে আলাদা করে।
আরও পড়ুন: রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করব: রেলপথমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু বাংলাদেশকে নিয়ে একটি বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর ক্যাম্পেইন হচ্ছে। সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তথ্য নিয়ে যে অভিজ্ঞতা আছে, তার কাছ থেকে সহায়তা নেব।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। আমাদের পূর্ণাঙ্গ অঙ্গিকার আছে। গণতন্ত্রের স্বার্থে, দেশের অগ্রগতির স্বার্থে তথ্যের অবাধ প্রবাহ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমরা নিশ্চিত করেছি এবং করতে চাই।
আরও পড়ুন: অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান জোরদার করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, একই সঙ্গে তথ্যের অবাধ প্রবাহ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে অপব্যবহার করে কোনো গোষ্ঠী যদি অপপ্রচার বা মিথ্যাচার করে সেটি গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। সাধারণ মানুষের জন্যও ক্ষতিকর। কারণ সাধারণ মানুষ কিন্তু এটা ডিজার্ভ করে না। তার জন্য এটা অবিচার হয়, আপনি যখন অসত্য বলে তাকে ধোকা দেন। এই অসত্য এবং অপপ্রচারকে কীভাবে জবাবদিহির আওতায় আনা যায় সেই বিষয়গুলো যাতে সঠিক তথ্যের অবাধ প্রবাহ আরও সুন্দরভাবে তৈরি করা যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে আগামীতে কাজ করতে চাই।
এ সময় সদ্য সাবেক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিদায় নেন এবং নতুন প্রতিমন্ত্রীকে সহায়তার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে: আইনমন্ত্রী
৯ মাস আগে
নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতা ও অপপ্রচার প্রতিহত করাই আ. লীগের মূল লক্ষ্য: কাদের
নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতা ও অপপ্রচার প্রতিহত করাই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কোনো চেষ্টাই সফল হবে না।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনার উপ-কমিটিসমূহের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসক কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন এসে গেছে। ফুল কিছু ফুটতে শুরু করেছে। আরও অনেক ফুল ফুটবে। নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সরকারিভাবে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া পর্যন্ত শতফুল ফুটবে। কাজেই এ নিয়ে চিন্তা করার কোন কারণ নেই।
আরও পড়ুন: বিএনপির মতো ‘সন্ত্রাসী দলের’ সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না: কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার চূড়ান্ত হয়েছে। বিদেশ নিয়ে এখন আর মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। তারা হামাস-ইসরায়েল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত। লেবানন এর মধ্যে জড়িয়ে গেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার শক্তি বাংলাদেশের জনগণ। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এটি আরও পরিষ্কার হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছে। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের বিজয় নিশ্চিত হবে ইনশাআল্লাহ। আবারও সারা বাংলায় নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে।
নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটিসমূহের সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো চেয়ারম্যান কাজী জাফরুল্লাহ।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতৃত্বাধীন শক্তিকে প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে: কাদের
এখন সংলাপের আর সুযোগ নেই: কাদের
১১ মাস আগে
বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অপপ্রচার একতরফা নির্বাচনের কৌশল: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) একতরফা নির্বাচনের জন্য ‘সরকারের পুতুল’ হিসেবে কাজ করছে।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করতে ও বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মেরুদণ্ডহীন ও পুতুল নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নির্বাচনের তফসিল বাস্তবায়নে জোরালো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: তারেক ও বিএনপিকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তার অসহায়ত্বের বহিঃপ্রকাশ: রিজভী
তিনি অভিযোগ করেন, জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য সারা দেশে যারা আন্দোলন করছে, তাদের উপর ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা, আওয়ামী লীগপন্থী পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দাদের সঙ্গে নিয়ে হায়েনার মতো আক্রমণ করেছে।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, রাজনীতিতে বিপজ্জনক অচলাবস্থা নিরসনে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া চলমান আন্দোলনকে বানচাল করতে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের হয়রানি ও নির্যাতন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘অনিবার্য গণঅভ্যুত্থানের পদাঙ্ক শুনছে বাংলাদেশিরা। স্বৈরাচারী নিপীড়কের পতনের কাউন্টডাউনের মধ্যে আরেকটি একতরফা ও পর্যায়ক্রমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অপপ্রয়াস চলছে।’
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সারাদেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে, তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের পাইকারি গ্রেপ্তার ও বিভিন্ন হুমকি দিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে।
রিজভী বলেন, পিটিয়ে হত্যা, গাড়িতে আগুন দিয়ে হত্যা করার মতো মারাত্মক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার রেকর্ড রয়েছে আওয়ামী লীগের।
তিনি বলেন, ‘নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য বিএনপিকে দোষারোপ করে আওয়ামী লীগ দেশের বাইরে প্রচারণা চালাচ্ছে। কিন্তু তাতে তারা সফল হতে পারছে না। সারা বিশ্ব বুঝতে পেরেছে যে, বিএনপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অপপ্রচার মূলত একতরফা নির্বাচনের কৌশল।’
রবিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৫১০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিন সফল করার জন্য তিনি দেশের জনগণ, বিএনপি ও সমমনা দল ও জোটের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যে দেশে বিএনপি-জামায়াত নামে কোনো দল থাকবে না বলে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য শুনে দেশের মানুষ হতবাক।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করে এবং দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে বিএনপিকে বিভক্ত করার অশুভ প্রচেষ্টায় সফল হতে পারেনি।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা যতদিন থাকবে ততদিন বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে থাকবে।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শিল্পকে অন্য দেশে নিয়ে যেতে চায় সরকার: রিজভী
দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সংকট চরমে, জনগণ প্রতিরোধ করতে প্রস্তুত: রিজভী
১১ মাস আগে
অপপ্রচারের কারণে আওয়ামী লীগকে বার বার ক্ষমতার বাইরে থাকতে হয়েছে: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, অপপ্রচারের কারণে আওয়ামী লীগকে বার বার ক্ষমতার বাইরে থাকতে হয়েছে। কারণ অতীতে আওয়ামী লীগ নিয়ে অপপ্রচার চলেছে।
আরও পড়ুন: নারীর অগ্রযাত্রা ও ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল: পলক
তিনি বলেন, বলা হয়েছে নৌকায় ভোট দিলে দেশ ভারত হয়ে যাবে। অথচ গত প্রায় ১৫ বছরে দেশব্যাপী শুধু উন্নয়ন আর উন্নয়ন হয়েছে। গ্রামগুলো শহরের সুবিধা ভোগ করছে। যা অতীতে কোনো সরকার করতে পারেনি।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে নাটোরের সিংড়া উপজেলার মহিষমারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির উপকারভোগীদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন পলক।
পলক বলেন, উন্নয়ন, সুশাসন ও সেবার জন্য আগামী নির্বাচনে নৌকা ৮০ শতাংশ মানুষের ভোট পেয়ে আবারও নির্বাচিত হবে।
আরও পড়ুন: ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের আমন্ত্রণে বেলজিয়াম গেলেন পলক
বিভিন্ন দেশের যৌথ সহযোগিতা ছাড়া সাইবার স্পেস সুরক্ষিত রাখা সম্ভব নয়: পলক
১ বছর আগে
ভুল তথ্য-অপপ্রচার মোকাবিলা করতে প্রবাসীদের প্রতি মোমেনের আহ্বান
দেশের জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তাদের সত্য তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে ভুল তথ্য ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত করতে তাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং তাদের দেশের অর্জনগুলো তুলে ধরার আহ্বান জানান।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রবিবার নিউইয়র্কের কুইন্সের সেন্টার ফর নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশির উদ্যোগে আয়োজিত ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ থ্রু ইউএন পিসকিপিং অ্যান্ড এনআরবি’-শীর্ষক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বাণিজ্য ও অভিন্ন মূল্যবোধ উভয় ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার শক্তিশালী সম্পর্কের ওপর জোর দেন।
তিনি প্রবাসীদের দেশের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে এবং উভয় দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে অবদান রাখতে উৎসাহিত করেন।
ড. মোমেন বাংলাদেশে সহনশীলতার কথা তুলে ধরেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তা (সহনশীলতা) প্রকাশ পায়; সেসময় জাতিগত নিপীড়ন, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে দেশবাসী দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ৩০ লাখ মানুষের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘এই সংগ্রাম বাঙালি জাতির সাহস ও আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
তিনি দুর্ভিক্ষ ও জলবায়ু বিপর্যয়সহ স্বাধীনতার পরের চ্যালেঞ্জগুলো স্বীকার করেছেন, যার ফলে পশ্চিমারা বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে অভিহিত করেছিল।
মোমেন বলেন, ‘তবে কয়েক বছর ধরে, বাংলাদেশ একটি প্রাণবন্ত অর্থনীতিতে বিকশিত হয়েছে। রপ্তানি ও জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি এর সাক্ষী। এটি এখন বিশ্বব্যাপী ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে দাঁড়িয়েছে, উল্লেখযোগ্যভাবে দারিদ্র্য হ্রাস করেছে এবং বিভিন্ন সামাজিক সূচকে উন্নতি করেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫-১৯৯০ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩ দশমিক ২ শতাংশ। এখন গড় প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।
তিনি বলেন, ২০০১-২০০৬ সময়কালে বাংলাদেশকে ‘উগ্রবাদ, জিহাদি ও সন্ত্রাসের ঘাঁটি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সুখবর হলো এখন আর সেদিন নেই।
তিনি বলেন, জাতির পিতার জঘন্য হত্যাকাণ্ডের পর কুখ্যাত ইনডেমনিটি আইন প্রণয়ন করা হয়। যা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত খুনিদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে বরং নজিরবিহীন আইনি দায়মুক্তি দেয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খুনিদের সম্মানজনক চাকরি ও পদে ভূষিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সবার সহযোগিতা ছাড়া সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারবে না সরকার: মোমেন
ড. মোমেন বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘তার নির্দেশনায় বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক সূচক, জলবায়ু কূটনীতি এবং মানবিক প্রচেষ্টায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।’
ড. মোমেন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ অবদানকারী হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকা তুলে ধরে শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।
তিনি ১২ মিলিয়ন বাংলাদেশি প্রবাসীর অমূল্য অবদানের স্বীকৃতি দিয়েছেন। যারা রেমিট্যান্স এবং বিভিন্ন খাতে অবদানের মাধ্যমে তাদের দেশকে সমর্থন করে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, সেন্টার ফর এনআরবি’র চেয়ারপার্সন এম এস শেকিল চৌধুরী, ইউএস অ্যাম্বাসেডর অব পিস, ইউএন অ্যান্ড এক্সপার্ট ডব্লিউএইচও ড. সিমা কারেতনয়া, নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘বন্ধু পরামর্শ দিতে পারে’: মোমেন
১ বছর আগে
প্রাক-নির্বাচন অপপ্রচার প্রতিরোধে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সম্প্রতি আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এসময় তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি আমাদের আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। কারণ নির্বাচনের আগে আরও প্রচারণা হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়ে কাজ করে আসছে।
সাবরিন বলেন, তথ্য, আইন ও পররাষ্ট্রবিষয়ক তিনটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি কমিটি কাজ করছে।
গত সপ্তাহে এক আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা এবং দেশের অর্জনকে ক্ষুণ্ন করার প্রচেষ্টাকে মোকাবিলায় বাস্তবসম্মত ও কার্যকর পদক্ষেপের উপর জোর দেন।
যেখান থেকে বিভ্রান্তি ও বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে তা চিহ্নিত করার এবং তথ্যের ভিত্তিতে যথাযথ পাল্টা প্রচেষ্টার মাধ্যমে তা মোকাবিলার উপর তারা জোর দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত: সুইস রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘তিনটি জায়গায় আপনাদের মনোযোগ দিতে হবে: লন্ডন, ব্রাসেলস ও ওয়াশিংটন ডিসি। সেখানে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।’
বৈঠকে ফেরদৌসী শাহরিয়ারকেও পরিচয় করিয়ে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। যিনি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের একটি সেলের নেতৃত্ব দেবেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সেহেলী সাবরিন বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সুবিধার্থে বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কেউ আগ্রহী হলে সেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন এই বছরের ডিসেম্বর বা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো পর্যবেক্ষকের সুবিধার্থে আমরা আমাদের নিজস্ব আইন এবং নির্বাচন কমিশনের নিয়মগুলো অনুসরণ করব।’
তিনি আরও জানান, তারা এখনও কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার কাছ থেকে কোনো অনুরোধ পাননি।
আরও পড়ুন: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
বাংলাদেশসহ সব দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
১ বছর আগে
মানুষ বিএনপিকে 'হিন্দুবিরোধী' বলে বিশ্বাস করে না: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপিকে হিন্দুবিরোধী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে আওয়ামী লীগের অপপ্রচার জনগণ বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতে এমন অপপ্রচার চালায়, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ হিন্দু সম্প্রদায়ের। তারা বলেন, বাংলাদেশে বিএনপি হচ্ছে একটা হিন্দুবিরোধী সংগঠন।’
শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধি সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। ফখরুল তাদের কাছে জানতে চান, তারা বিশ্বাস করেন কি না- যে বিএনপি হিন্দুবিরোধী দল।
তিনি বলেন, ‘আমরা জোর গলায় বলতে পারি, বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন তারা (হিন্দুরা) নিরাপদে থাকে। সব সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় আমাদের অঙ্গীকার রয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে খেলতে ইসি ‘অচেনা’ দুটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে: ফখরুল
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় গণতন্ত্র অপরিহার্য। তাই গণতন্ত্রের সংগ্রামে আমাদের জয়ী হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কথায় কথায় বলে, তারা দেশের সবচেয়ে অসাম্প্রদায়িক দল। তারা কতটা অসাম্প্রদায়িক তা আপনারা জানেন। আমরা ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল দেখেছি। আওয়ামী লীগের লোকেরা এই দেশে আমাদের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, দোকানপাট ও ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করেছে।’
বর্তমান সরকারের আমলে দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর এবং কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ বিহার ও সম্প্রদায়ের উপর অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জড়িত বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়ে তাদের জমি ও সম্পত্তি দখল করার জন্য আক্রমণ করেছিল। তারা তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে অপমান করার জন্য তাদের উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়ার জন্যও এটি করেছিল। মানুষ এখন এটা বুঝতে পেরেছে এবং তারা এটাকে বিশ্বাস করে না এবং মেনেও নেয় না।’
১৯৯২ সালে ভারতের বাবরি মসজিদে হামলার সময় বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য তৎকালীন বিএনপি সরকারের গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলন: বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখার বিশাল মিছিল
ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে তখন হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কেউ-ই নিরাপদ বোধ করেন না। যে কোনো সময় কাউকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো যেতে পারে বলে সাধারণ মানুষও নিরাপদ বোধ করে না।’
গণতন্ত্র ও হারানো সব অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। ফখরুল যুবকদের অনুরোধ করেন, তাদের কমিউনিটির সদস্যসহ সব মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে এবং অনুপ্রাণিত করতে হবে যে গণতন্ত্রের এই লড়াইয়ে তাদের জিততে হবে।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সরকার দীর্ঘদিন ধরে তাদের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেককে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করাই আমাদের লক্ষ্য: ফখরুল
১ বছর আগে