বন্যার্ত
বন্যার্তদের জন্য ২ লাখ টাকা অনুদান দিলেন খালেদা জিয়া
দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় দলের কেন্দ্রীয় ত্রাণ তহবিলে দুই লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ত্রাণ সংগ্রহ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের হাতে এ টাকা তুলে দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া তাকে তার গুলশানের বাসায় আসার অনুরোধ করার পর মঙ্গলবার তার সঙ্গে দেখা করেছি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমি যখন তার সঙ্গে দেখা করি, তখন তিনি আমাকে দলের ত্রাণ তহবিলে দুই লাখ টাকা দেন এই বলে যে, এটা বন্যার্তদের জন্য তার ব্যক্তিগত সহায়তা।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া সব সময় জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং দেশের সংকটময় সময়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা অভিযোগে তাকে ছয় বছর আটকে রেখেছে। কারাগারে থাকাকালীন তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং এখনও শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।’
খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহের জন্য স্থায়ী কমিটির সদস্য জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে আট সদস্যের কমিটি গঠন করে বিএনপি।
সে সময় ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ এবং চট্টগ্রাম ও চাঁদপুরসহ পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে বন্যার্তদের জন্য নগদ প্রায় ২০ কোটি টাকা ও ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ করে দলটি।
উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলাও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দলটি এখন ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা এবং তাদের দুর্ভোগ লাঘবে আবারও তহবিল সংগ্রহ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: হিন্দুদের নিপীড়নের ঘটনাগুলোর বিচারের প্রতিশ্রুতি বিএনপির
২ মাস আগে
বন্যার্তদের সহায়তায় নগদ ২০ কোটি টাকা ও ত্রাণ সংগ্রহ বিএনপির
দেশের পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যার্তদের জন্য প্রায় ২০ কোটি টাকার নগদ অর্থ ও ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করেছে বিএনপি।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এই তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বন্যাদুর্গতদের দুর্ভোগ লাঘবে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন প্রচেষ্টায় প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ এবং সহায়তার জন্য বিএনপি এই তহবিল ও ত্রাণ সামগ্রী ব্যবহার করছে।
এছাড়া দলের নেতাকর্মীরা নিজ উদ্যোগেও বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন।
বিএনপির ত্রাণ সংগ্রহ কমিটির সভাপতি জাহিদ বলেন, 'আমরা বিএনপি ও আমাদের অন্যান্য সংগঠন গত ২৫ আগস্ট থেকে বন্যাদুর্গত এলাকার জন্য ২০ কোটি টাকার বেশি নগদ অর্থ ও ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করেছি।’
তিনি জানান, সংগৃহীত অর্থের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এরই মধ্যে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ এবং চট্টগ্রাম ও চাঁদপুরের বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ প্রদান এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যয় করেছেন।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপির ত্রাণ সংগ্রহ কমিটি।
জাহিদ বলেন, তাদের প্রাথমিক ত্রাণ তৎপরতা ছিল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারের লক্ষ্য। ‘পরে, আমরা অভাবীদের খাবার দিয়েছি। দলের জেলা, উপজেলা ও পৌর ইউনিটের স্থানীয় নেতারা এসব প্রচেষ্টা পরিচালনা করেন।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যজনিত কারণে বিমানে ভ্রমণ করতে পারবেন না খালেদা জিয়া: ডা. জাহিদ
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় না থাকলেও রাজনৈতিক দলের দায়িত্বের অংশ হিসেবে দলটির নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জাহিদ বলেন, 'আমাদের ত্রাণ সংগ্রহে আমরা শুধু বিএনপির সদস্যই নয়, সাধারণ মানুষ, গৃহবধূ, রিকশাচালক ও সাধারণ শ্রমিকদের সহযোগিতা পেয়েছি। আমরা প্রতিটি অনুদানের রেকর্ড রেখেছি এবং যারা অনুদান দিয়েছেন, তাদের রশিদ সরবরাহ করেছি।’
তিনি উল্লেখ করেন তারা নৈতিক কারণে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ গ্রহণ করতেও অস্বীকার করেছিলেন। ‘আমরা আমাদের ত্রাণ সংগ্রহের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রেখেছি এবং আমরা আমাদের ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রেও সমানভাবে স্বচ্ছ রয়েছি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, পুনর্বাসন কার্যক্রমে সহায়তার জন্য বর্তমানে বিএনপির দীর্ঘদিনের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন তহবিলে সাত কোটি টাকারও বেশি জমা রয়েছে।
তিনি বলেন, পানি নেমে যাওয়ায় বন্যাকবলিত এলাকায় কিছু সংক্রামক রোগসহ নানারকম রোগের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে। ‘দুর্গত এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। আমাদের চিকিৎসকরা শুধু রোগী দেখছেন না, বিনামূল্যে পর্যাপ্ত ওষুধও দিচ্ছেন। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এই কাজে সহযোগিতা করছেন।’
জাহিদ মালেক বলেন, বন্যায় সবকিছু ভেসে যাওয়ায় কৃষকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘কৃষকরা বীজ পাবেন কোথা থেকে? আমরা জামালপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও টাঙ্গাইল থেকে দুর্গত এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ধানের বীজ বা চারা পরিবহন করেছি এবং কৃষকরা এখন তাদের জমিতে এই বীজ রোপণ করছেন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তারা বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেছেন, যার মধ্যে শিশুদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঘরবাড়ি নির্মাণে সহায়তা করাও রয়েছে।
দেশের পূর্বাঞ্চলে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে নিহত ১৩৭ জন শহীদের পরিবারকে তারা সহায়তা দেবেন বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া মানে নতুন সমস্যা তৈরি করা: ফখরুল
৩ মাস আগে
ফেনীতে বন্যার্তদের চিকিৎসা দেবে ১৪ স্বাস্থ্য ক্যাম্প
ফেনী জেলায় বন্যার্তদের চিকিৎসায় এবং বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১৪টি স্বাস্থ্য ক্যাম্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা শহরে সেনাবাহিনীর স্বাস্থ্য ক্যাম্প স্থাপনসহ ছয় উপজেলায় ছয়টি স্বাস্থ্য ক্যাম্প এবং বেসরকারি সাতটি হাসপাতালকে এই কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেনী জেলা প্রশাসক মোছাম্মাৎ শাহীনা আক্তার।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বন্যা: বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সাড়ে ৩ লাখ মানুষ
তিনি বলেন, ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতালে চিকিৎসকসহ পর্যাপ্ত জনবল থাকায় তারা নিজেরা সমন্বয় করে নেবে। উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাইরে ডেডিকেটেড স্বাস্থ্য ক্যাম্প করা হচ্ছে। পৌর এলাকায় পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের নবনির্মিত ভবনে সেনাবাহিনীর স্বাস্থ্য ক্যাম্প গড়ে তোলা হচ্ছে।
এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বিশেষ মেডিকেল দল ফেনী আসছে। ইতোমধ্যে ৩০ জন চিকিৎসকের একটি বিশেষ দল ফেনীতে এসেছে।
এই মেডিকেল ক্যাম্পের আওতায় আরও চিকিৎসক বন্যার্তদের সেবায় ফেনী আসবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. শিহাব উদ্দিন বলেন, বন্যার্তদের চিকিৎসায় জেলা শহরে বেসরকারি হাসপাতালগুলো হলো- কনসেপ্ট হাসপাতাল, মেডিল্যাব, মেডিনোভা, জেডইউ মডেল, আল আকসা, ফেনী ডায়াবেটিস এবং মিশন হাসপাতাল কাজ করবে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে বন্যার্তদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে বলে জানান তিনি।
ফেনী সদর হাসপাতালের নিচতলা পুরোপুরি ডুবে গেছে। স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিট, জরুরি বিভাগ, স্টোর রুম, ব্লাড ব্যাংক—সবকিছু পানির নিচে। পানিতে ভাসছে হাসপাতালের নানা জিনিসপত্র।
পানি নেমে গেলে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাবে এ হাসপাতালটিও।
আরও পড়ুন: পানি কমতে শুরু করেছে ফেনীতে
ফেনীর মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল রাখতে জেনারেটরের ডিজেল ফ্রি করার নির্দেশনা উপদেষ্টা নাহিদের
৩ মাস আগে
বন্যার্তদের জরুরি অর্থ সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য জরুরি অর্থ সহায়তা ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য সরকার।
ফেনী, খাগড়াছড়ি ও নোয়াখালী জেলার বন্যাদুর্গতদের জন্য ৩৩ হাজার পাউন্ড অর্থাৎ প্রায় ৫২ লক্ষ টাকা দিচ্ছে দেশটি।
এই এলাকাগুলোতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ এই অর্থ সহায়তা পাবে।
এই অর্থ সহায়তা দিয়ে জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম, খাদ্য, নগদ অর্থ ও স্বাস্থ্যবিধি সেবা নিশ্চিত করা হবে।
অর্থ সহায়তার ব্যয় ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করছে স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশ ও সেইভ দ্য চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল।
বর্তমানে দেশে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ১২ লাখেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
৩ মাস আগে
বন্যার্তদের একদিনের বেতন দিচ্ছে ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডি’র কর্মীরা
সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতিতে বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তায় নিজেদের একদিনের বেতন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশের রাইডারভিত্তিক ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ফুডির মহাব্যবস্থাপক-জনসংযোগ মোঃ কামরুল ইসলামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সহায়তায় একদিনের বেতন দান সেনা সদস্যদের
বন্যার্তদের পাশে থাকতে আগস্ট মাসের বেতনের একদিনের সমপরিমাণ অর্থ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফুডি’র সারাদেশের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরাসহ সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এছাড়াও যেকোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়ে জনসাধারণের পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করেছে ফুডির কর্মীরা।
ফুডিতে বর্তমানে ১ হাজার ৫০০ জন কর্মরত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সহযোগিতায় ১ দিনের বেতন দিচ্ছেন কুয়েট শিক্ষকরা
৩ মাস আগে
বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে বিএনপির উপকমিটি গঠন
বন্যার্তদের সহায়তা করতে বিএনপির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে ত্রাণ বিতরণের জন্য উপকমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ উপকমিটির নেতৃত্ব দেবেন সংগঠনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যরা এবং ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন।
আরও পড়ুন: ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
রবিবার (২৫ আগস্ট) দলটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের চলমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেতাকর্মীদের আরও সম্পৃক্ততা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এর ধারাবাহিকতায় বন্যা-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও একটি কমিটি গঠন করেছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’।
বন্যায় ত্রাণ ব্যবস্থাপনা কমিটির জন্য ৪টি উপকমিটি গঠন করেছে দলটি।
উপকমিটিগুলোতে রয়েছেন- মাসুদ রানা লিটন (টিম লিডার, ত্রাণ কমিটি), ফরহাদ আলী সজীব (সমন্বয়ক-০১, ত্রাণ কমিটি), শাহাদত হোসেন (সমন্বয়ক-০২, ত্রাণ কমিটি), মুস্তাকিম বিল্লাহ (টিম লিডার, স্বেচ্ছাসেবক), হাবিবুল বাশার, শারিফুল ইসলাম, মশিউর রহমান মহান, শাকিল আহমেদ, রুবেল আমিন, হাসনাইন নাহিয়ান সজীব এবং মশিউর রহমান মহান (গণমাধ্যম সমন্বয়ক)।
আরও পড়ুন: পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে বিএনপিকে সহযোগিতার আশ্বাস সুইজারল্যান্ডের
এই প্রকল্পের আওতায় কাপড়, খাবার, ঔষধ ও জরুরি সামগ্রীর ৬টি প্যাকেজের মাধ্যমে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবে বিএনপি।
৩ মাস আগে
সংকটের সময় লাভ না করে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান: ক্যাব
বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধার কাজে নিয়োজিত নৌকার ভাড়া, গণপরিবহন ও ট্রাক ভাড়া, মোমবাতি, শুকনো খাবার, খাবার পানি, সবজিসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করা সংস্থাটি বলেছে, বানভাসী মানুষদের কষ্টকে পুঁজি করে ব্যবসা করার পরিবর্তে নিত্যখাদ্য পণ্য ও সেবায় জনগণের পকেট কাটার উৎসব বন্ধ করুন। একই সঙ্গে লোক দেখানো সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় ত্রাণ বিতরণের চেয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: ডিক্যাব সদস্যদের সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনের মতবিনিময়
শনিবার (২৪ আগষ্ট) চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী অঞ্চলে চলমান বন্যার কারণে খাদ্য ও নিত্যপণ্যের অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধির খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানিয়েছে ক্যাবের চট্টগ্রাম বিভাগ ও মহানগর কমিটি।
বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ ও ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু হানিফ নোমান এই আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিতরণ প্রকল্পে পোল ও ১৪০ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ ক্যাবল কিনবে বিআরইবি
৩ মাস আগে
গণত্রাণ: বন্যার্তদের জন্য টিএসসি যেভাবে আশার আলো হয়ে উঠল
সম্প্রতি বন্যাদুর্গতদের জন্য তহবিল ও ত্রাণ সংগ্রহের একটি বিশাল প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য রাজধানীর জনগণের সহায়তা প্রদানের প্রক্রিয়া সহজতর করেছে প্ল্যাটফর্মটি।
দেশের ১১টি জেলায় ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে 'গণত্রাণ' নামে ত্রাণ সংগ্রহের কার্যক্রম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মূল ফটকে বসানো হয়েছে ত্রাণ সংগ্রহ বুথ। ত্রাণ সহায়তা দিতে নগরীর সব এলাকা এবং এর বাইরে থেকে হাজার হাজার পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এখানে আসছেন।
শিক্ষার্থীরা অর্থ ও মালামাল দুটোই সংগ্রহ করছে। কালেকশন বুথ ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা টাকা নিচ্ছে এবং তার পরিমাণ অনুযায়ী তালিকাভুক্ত করছেন। ত্রাণের সব পণ্যও যথাযথভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। কলেজ ও স্কুল পড়ুয়াদেরও স্বেচ্ছাসেবী কাজে সক্রিয় হতে দেখা গেছে।
সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিনিয়ত মানুষ তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ত্রাণ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন। মানুষ মৌলিক ওষুধ, শুকনো খাবার, জামাকাপড়, স্যানিটারি ন্যাপকিন, পানি, লাইফ জ্যাকেট ইত্যাদি অর্থ ও প্রয়োজনীয় পণ্য দান করছে।
মীরবাগ থেকে কিছু শুকনো খাবার দিতে টিএসসিতে আসা সায়মা আক্তার নামে এক নারী ইউএনবিকে বলেন, ‘একজন নাগরিক হিসেবে কঠিন সময়ে আমার দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমার দায়িত্ব। আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী দান করেছি। এক ব্যাগ মুড়ি আর কয়েক বোতল পানি দিলাম। আমি যদি আরেকটু সক্ষম হতাম তাহলে আরও বেশি দান করতে পারতাম।’
আরও পড়ুন: ‘৫০ বছরে ফটিকছড়িতে এমন বন্যা দেখিনি’
মোবাশ্বির বিন কাশেম বলেন, ‘দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমি আনন্দিত। প্রত্যেকে তাদের যা আছে তা নিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এখানে আসছেন। সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরকার ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা করা উচিত।’
টিএসসি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ভ্যান, পিকআপ ও ট্রাক আসার সঙ্গে সঙ্গে এলাকা পরিষ্কার রাখতে স্বেচ্ছাসেবকরা ব্যস্ত। ইতোমধ্যে টিএসসির গেমস রুম ও টিএসসির ক্যাফেটেরিয়া ত্রাণ সামগ্রীতে ভরে গেছে এবং ক্যাফেটেরিয়াটি যেন গুদামে পরিণত হয়েছে। গতকাল রাতে ডাকসুর ক্যাফেটেরিয়াও ভরে গিয়েছিল ত্রাণের সামগ্রীতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও বিভাগের অন্যান্য সংগ্রহ বাদে শুধু টিএসসির তহবিল সংগ্রহ বুথ থেকে মোট ২৯ লাখ ৭৬ হাজার ১৭৩ টাকা সংগ্রহ করা হয়। স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকালের চেয়ে দাতার সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি।
মিরপুর থেকে আসা শিবলী নামের আরেকজনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। এখন সময় এসেছে দেশকে গড়ে তোলার, আমাদের শক্তি ও ঐক্য দেখানোর। ভারত আমাদের ভাঙার চেষ্টা করছে কিন্তু আমরা একসঙ্গে দাঁড়িয়েছি। ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।’
তিনি হাসিমুখে আরও বলেন, ‘আমাদের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো স্থিতিশীল নয়। আমরা যদি দেশবাসীর পাশে না দাঁড়াই, তাহলে কে এগিয়ে আসবেন?'
কয়েকজন রিকশাচালককেও টিএসসির তহবিল সংগ্রহ বুথে টাকা দিতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল
এক রিকশাচালকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'এর অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত।’
সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দলে ভাগে কাজ করছেন। তাদের কেউ কেউ যানজট নিয়ন্ত্রণ করছেন, কেউ টাকা সংগ্রহ করছেন, কেউ ত্রাণ সামগ্রী নিচ্ছেন, আবার যারা এলাকা চিনছেন তাদেরও পথ দেখিয়ে সহায়তা করছেন কোনো কোনো শিক্ষার্থী। সর্বোপরি কিছু শিক্ষার্থী চূড়ান্তভাবে ত্রাণ পাঠানোর জন্য মালামাল মিক্সিং ও প্যাকেজিংয়ের কাজ করছেন।
এছাড়া বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও রাজধানীর ব্যস্ত মোড়গুলো থেকে তহবিল সংগ্রহ করছেন।
গতকাল রাতে তারা পানিবন্দি মানুষদের সাহায্যার্থে তাদের বাড়তি কাপড় দান করেছেন। প্রতিটি হল থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলগুলো কক্ষ থেকে পোশাক সংগ্রহ করে ব্যাগে ভরে রাখেন।
তবে বড় অঙ্কের তহবিল সংগ্রহের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে একটি কনসার্টের আয়োজনও করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা ও গণত্রাণ সংগ্রহ কর্মসূচি নিয়ে অনুভূতি জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, 'এটা সম্ভবত আমার স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। স্বর্গের মতো লাগছে। প্রতি মুহূর্তে মানুষ সাহায্য ও সহযোগিতা নিয়ে এখানে আসছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গায় পরিণত হয়েছে, আশার আলো জ্বালিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল
৩ মাস আগে
যে যেভাবে পারেন বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান: জিএম কাদের
বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তা করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘বন্যাদুর্গতরা আমাদের ভাই। যে যেভাবে পারেন বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান।’
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকালে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ তহবিল গঠনবিষয়ক সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
জিএম কাদের বলেন, ‘আমরা তাদের পাশে ছিলাম, আছি ও পাশে থাকব। এমন মানবিক বিপর্যয়ে ভাইদের পাশে আমরা সবসময় থাকব। একইসঙ্গে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কাজেও জাতীয় পার্টি দুর্গত মানুষের পাশে থাকবে।’
আরও পড়ুন: আগে আওয়ামী লীগ গাছের মতো ছিল কিন্তু এখন পরগাছা হয়ে গেছে: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, ‘বন্যার শুরু থেকেই জাতীয় পার্টি নেতা-কর্মীরা স্থানীয়ভাবে বন্যাদুর্গতদের পাশে আছে। এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাইলে আমরা তাদেরও সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত আছি।’
তিনি মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে বলেন, ‘যারা বন্যায় নিহত হয়েছেন তাদের যেন মহান আল্লাহ শহিদী মর্যাদা দান করেন।’
জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘কোনো সতর্কীকরণ ছাড়া ভারত বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশে এই ভয়াবহ বন্যা।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী উজানের কোনো রাষ্ট্র যদি নদীর গেট খুলে দেয় তাহলে অবশ্যই ভাটির দেশগুলোকে আগাম জানিয়ে দেওয়ার বিধান রয়েছে। অথচ ভারত সরকার বাংলাদেশকে সতর্ক করেনি।’
এই সভা থেকে ভারতের এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানান মুজিবুল হক চুন্নু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম আব্দুল মান্নান, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, আইনজীবী মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত, মোস্তফা আল মাহমুদ, শেরীফা কাদের, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মনিরুল ইসলাম মিলন, ড. নুরুল আজহার শামীমসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চান জিএম কাদের
সংকট মোকাবিলায় অর্থনীতির দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করুন: জিএম কাদের
৩ মাস আগে
বন্যার্তদের সহায়তায় একদিনের বেতন দান সেনা সদস্যদের
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় একদিনের বেতন দান করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
আইএসপিআর জানায়, বন্যার্তদের সহায়তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব পদবির সদস্যদের একদিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে।
আরও পড়ুন: ‘৫০ বছরে ফটিকছড়িতে এমন বন্যা দেখিনি’
ফেনী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় এই অর্থ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে চলমান বন্যায় ১৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং ১১টি জেলার ৪৪ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
বন্যায় ৭৭টি উপজেলার ৫৮৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৮ লাখ ৮৭ হাজারের বেশি পরিবার এই ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে তলিয়ে গেছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু
বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল
৩ মাস আগে