বন্যার্ত
বন্যার্তদের পুনর্বাসনে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করেছেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা দুর্গতদের সাহায্য ও পুনর্বাসনে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা বন্যার্তদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করছি। খবরের কাগজে দেখেছেন বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষ কীভাবে অমানবিক জীবনযাপন করছে। আমরা লক্ষ্য করছি যে বিপর্যয়কর বন্যা মোকাবিলা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই।’
মঙ্গলবার এক গোলটেবিল আলোচনায় বিএনপি নেতা আরও বলেন, সরকার বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসেনি।
তিনি বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে তারা (সরকার) অন্যান্য কাজে ব্যস্ত ছিল। জনগণের ভোটের সরকার যদি না হয় তাহলে জনগণের কষ্ট, জনগণের দুঃখ প্রাধান্য পায় না, পায় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থ।’
সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ রিসার্চ সেন্টার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দ্য ইস্যু অব ওয়াটার শেয়ারিং বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া’ শিরোনামে এ অলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, দেশে ভয়াবহ বন্যায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সরকার এখন পর্যন্ত হিসাব করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: আ’ লীগ সরকার জনগণের শত্রু হয়ে উঠেছে: ফখরুল
ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা লোক দেখানো ছাড়া কিছুই নয়।
তিনি বলেন, জয়েন্ট রিভার কমিশনের কোনো রিপোর্ট ছাড়াই বৈঠকে মন্ত্রী শুধু লিপ সার্ভিস দিলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের অনেক এলাকা যখন বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছিল, তখনও ভারত ফারাক্কা ব্যারেজের সব গেট খুলে দেয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা উজান থেকে পানিতে ডুবে থাকি যখন আমাদের পানির প্রয়োজন হয় না। আমাদের জীবন ও জীবিকা বাঁচানোর জন্য যখন পানির প্রয়োজন হয়, তখন উজানের পানি অন্য অঞ্চলে (ভারতের) প্রবাহিত করে বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, যমুনা নদীর ওপর একটি বড় সেতু নির্মাণ করা হলেও এখন শুষ্ক মৌসুমে সেতুর নিচে গরুর গাড়ি চলে। ‘ভারতে ব্যারেজ এবং বাঁধের জন্য এটি ঘটছে।’
তিনি আরও বলেন, শুষ্ক মৌসুমে ভারতের সাধারণ নদী থেকে একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহারের কারণে বাংলাদেশের অধিকাংশ নদী তাদের গভীরতা ও প্রস্থ হারাচ্ছে, যার ফলে বর্ষাকালে বন্যা হয়।
মোশাররফ অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান সরকার তিস্তার পানি বন্টন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে এবং অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য অংশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে উৎসব করছে সরকার: অভিযোগ ফখরুলের
সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় বন্যার্তরা ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে: বিএনপি
ঢাবিতে বন্যার্ত মানুষের সহায়তায় কনসার্ট সোমবার
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যার্ত মানুষের সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) সোমবার থেকে দু’দিনব্যাপী কনসার্ট শুরু হবে।
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন বন্যার্ত মানুষের পাশে রয়েছে’ শীর্ষক উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এ কনসার্টের আয়োজন করছেন।
এ আয়োজনে ঢাবির সাবেক সিনেট সদস্য গোলাম কুদ্দুস আহ্বায়ক এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া যথাক্রমে সদস্য সচিব ও উপদেষ্টা।
কনসার্টে যোগদানের মাধ্যমে বন্যাকবলিত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসার আমন্ত্রণ জানাতে রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে (ডুজা) একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ কমেনি
অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, দেশটি এ ভূখণ্ডের সব নাগরিকের। তাই ‘ত্রাণ’ শব্দটি যথাযথ নয়।
তিনি বলেন, ‘মানুষ দেশের উন্নতির জন্য কর প্রদান করে এবং সাহায্য পাওয়া জনগণের বৈধ অধিকার।’
রোবায়েত আরও বলেন, ঢাবি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যা জনগণের প্রদত্ত করের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। তাই বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো ঢাবির কর্তব্য।
ঢাবি পরিবারের সবাই এই উদ্যোগে অংশ নেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কনসার্টে ওয়ারফেজ, আর্ক, অ্যাশেজ, ভাইকিং, সোনার বাংলা সার্কাস ও সহজিয়া-এর মতো স্বনামধন্য ব্যান্ড পারফর্ম করবে।
আরও পড়ুন: আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস, তবে রবিবার ১১টি জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
কুদ্দুস বলেন, ‘দেশের অধিকাংশ জনপ্রিয় ব্যান্ড আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে রাজি হয়েছে।’
কনসার্টের প্রবেশ ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং পুরো টাকাই যাবে বন্যাকবলিত মানুষের কাছে।
কনসার্টটি দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বন্যার্তদের পাশে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি
সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের সহযোগিতায় সরকারের পাশাপাশি এগিয়ে এসেছে অনেক সাধারণ মানুষ। এমনকি বাদ যায়নি দেশের তারকারাও। এবার বানভাসীদের পাশে দাঁড়াল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি।বুধবার (২২ জুন) সকালে সিলেটে পৌঁছায় শিল্পী সমিতির নেতৃবৃন্দ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে রিয়াজ, নিপুণ, সাইমন, জেসমিনসহ একটি টিম বর্তমানে সিলেটে রয়েছে। গৌয়াইন ঘাট, লক্ষীনগর, মেওয়ার কান্তি এলাকায় ২৫০০ পরিবারের হাতে ত্রাণ তুলে দিয়েছেন তারা। এছাড়াও অনেককে নগদ অর্থ দিয়েও সহযোগিতা করা হয়েছে।শিল্পী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক এই প্রসঙ্গ ইউএনবিকে বলেন, ‘বন্যার পরিস্থিতি আসলে নতুন করে বলার কিছু নেই। এমন সময় সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উচিত বানভাসীদের পাশে দাঁড়ানো। আমরা চেষ্টা করেছি নিজেদের সাধ্য অনুযায়ি এগিয়ে আসার। অন্যদেরও আহ্বান জানাব, এমন দিনে সিলেটাবাসী পাশে থাকার।’
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা: সুরমায় পানি কমলেও বেড়েছে কুশিয়ারায়চিত্রনায় রিয়াজ বলেন, ‘শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে আমাদের সামর্থ অনুযায়ি এগিয়ে এসেছি। এখানে আমরা ২ হাজার ৫০০ পরিবারকে ত্রাণ দেয়ার চেষ্টার করেছি। এছাড়াও এখানে সরকার নিয়মিত সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া অনেককেই দেখছি ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাশে দাঁড়াচ্ছে। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।’শিল্পী সমিতি ছাড়াও শোবিজের অনেকে ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক উদ্যোগে বানভাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। চিত্রনায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিল বন্যার্তদের জন্য ৩০ লাখ টাকা সাহায্য দিয়েছেন। এছাড়াও সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া দুটি সিনেমার কলাকুশলীরাও তাদের আয়ের অংশ দিয়ে বানভাসীদের সাহায্য করেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যায় মারা গেছে ৩ হাজারের বেশি গবাদিপশু
দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যার্তদের সহায়তায় জরুরি ত্রাণ দেবে যুক্তরাষ্ট্র: রাষ্ট্রদূত
বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ত্রাণ বিতরণের জন্য ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) ২ দশমিক ৩ কোটি কোটি টাকা প্রদান করছে।
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে রেকর্ড মাত্রার বৃষ্টিপাত এবং বিপর্যয়কর বন্যার প্রতিক্রিয়ায় জরুরি সহায়তা হিসাবে এই অর্থ সহায়তা দিচ্ছে দেশটি।
বুধবার মার্কিন দূতাবাসের চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ বলেন, এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে কয়েকটি ১২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এমন বন্যার পানি দেখেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই প্রতিকূল সময়ে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত রেখেছে এবং বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনগণকে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা প্রদানের জন্য সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পশু-পাখির সুরক্ষা: বন্যা, খরা ও শৈত্য প্রবাহে করণীয়
সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় বন্যার্তরা ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা কবলিত মানুষ তাদের দুর্দশা লাঘবে সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বন্যা কবলিত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণের দাবিতে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণায় ভয়াবহ বন্যার জন্য হাওর অঞ্চলে সরকারের অপরিকল্পিত বাঁধ ও সড়ক নির্মাণকে দায়ী করেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণার মানুষ ভাত ও খাবারের জন্য হাহাকার করছে। চারপাশের সবকিছু পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় তারা খাবার পাবে কোথায়? তাদের কাছে খাবার পৌঁছাবে কী করে?’
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, সরকার দেশের ৫০ লাখ বন্যা কবলিত মানুষের জন্য মাত্র এক দশমিক পাঁচ টাকা বরাদ্দ করেছে। অথচ ভারতীয় শিল্পী মিমি চক্রবর্তীকে তিন কোটি টাকায় বাংলাদেশে আনা হয়েছে।
বন্যার জন্য সরকার দায়ী উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘আপনি (প্রধানমন্ত্রী) এখন রঙিন আলোয় পদ্মা সেতু দেখবেন এবং মানুষকে ক্ষুধার্ত, অনাহারে ও জলমগ্ন রেখে আনন্দে মনের আনন্দে ক্ষমতায় থাকবেন। দেশের জনগণ এটা আর মেনে নেবে না।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন বাতিল করে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান বিএনপির
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাওরাঞ্চলে অকাল বন্যার কারণ জানার চেষ্টা করেছেন কি? আমরা জানি, রাষ্ট্রের প্রভাবশালী এক কর্মকর্তার আত্মীয়-স্বজন হাওর এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ ও একটি সড়ক নির্মাণ করেছেন; যা রাষ্ট্রপতির বাড়ি বলে পরিচিত।
তিনি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণের জন্য ৫০-৬০ লাখ মানুষ এখন বন্যার পানিতে আটকা পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘পুরো সিলেট ও সুনামগঞ্জ পানিতে তলিয়ে গেছে, কিন্তু আপনি (প্রধানমন্ত্রী) পদ্মা সেতু নিয়ে আনন্দে উদ্বেলিত। আপনি পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছেন।’
রিজভী রাত ৮টার পরে দোকান ও শপিং মল বন্ধ করার পদক্ষেপের জন্যও সরকারের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, তারা (সরকার) দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষমতা রয়েছে বলে দাবি করে আসছে। ‘তবে আপনারা কেন রাত ৮টার পর দোকানপাট ও শপিং মল বন্ধ করার নির্দেশ দিচ্ছেন? কোথায় গেল আপনাদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ?’
তিনি বলেন, সরকার প্রতিটি পদক্ষেপ নেয় এবং আইন ও নীতিমালা তৈরি করে। তারা এটা করে শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সুবিধা নিশ্চিত করতে এবং তাদের অর্থ উপার্জনের সুযোগ তৈরি করতে।
আরও পড়ুন: বন্যা কবলিত এলাকাগুলোকে ‘বন্যাদুর্গত এলাকা’ ঘোষণার দাবি বিএনপির
অর্থমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংবিধান ও নৈতিকতার সংযোগ নেই: ফখরুল
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন বাতিল করে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান বিএনপির
বন্যার্তদের জন্য অর্থ ও ত্রাণসামগ্রীর অপর্যাপ্ত বরাদ্দের জন্য সরকারের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি পদ্মা সেতুর উদ্বোধন বন্ধ করে দুর্যোগ কবলিত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে মনোনিবেশ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে শত শত কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। কিন্তু দেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও উত্তরাঞ্চলের প্রায় এক কোটি বন্যা কবলিত মানুষের জন্য বরাদ্দ একেবারেই অপ্রতুল।
তিনি বলেন, সরকার বন্যার্তদের জন্য এ পর্যন্ত ১০০ টন চাল, ৩০ লাখ টাকা ও পাঁচ হাজার টাকার শুকনো খাবার দিয়েছে। ‘তারা ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দেরও আশ্বাস দিয়েছেন। মানে জনপ্রতি মাত্র এক দশমিক পাঁচ টাকা।’
রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জনসভাস্থলে ৫০০ অস্থায়ী টয়লেট বসানোর খরচের এক দশমাংশও বন্যার্তরা পাননি।
আরও পড়ুন: বন্যা কবলিত এলাকাগুলোকে ‘বন্যাদুর্গত এলাকা’ ঘোষণার দাবি বিএনপির
সরকারের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমরা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উৎসব বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। আপনারা দয়া করে জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য লোক দেখানো প্রদর্শন বন্ধ করুন।’
বিএনপি নেতা বন্যা কবলিত এলাকাগুলোকে ‘দুর্গত অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা এবং ক্ষতিগ্রস্ত লাখ লাখ মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর জন্য তাদের দলের দাবি পুনরায় ব্যক্ত করেন।
তিনি দাবি করেন, তাদের দলের নেতাকর্মীরা ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছেন এবং বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে সহায়তা করছেন।
দেশের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ব্যাপক পরিকল্পনার জন্য সরকারকে কড়া সমালোচনা করে রিজভী বলেন, একমাত্র স্বৈরাচারী সরকারই এমন কাজ করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা নিজেই তার দলের নেতাকর্মীদের পদ্মা সেতুর দুই পাশে লাখো মানুষের সমাগম উদযাপনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। কয়েক হাজার বাস ও ৩০০টি লঞ্চ রিক্যুজিশন করা হয়েছে এবং জনসভাস্থলে পাঁচ শতাধিক টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে ৪০ ফুট লম্বা দুটি ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে।’
এছাড়া সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তায় কয়েক হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, এসব দেখে দেশের মানুষ মনে করে শেখ হাসিনার শাসন প্রাচীন মিশরের ফারাওদের শাসনকে ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: আমরা জানতাম কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে এমন হবে: ফখরুল
অর্থমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংবিধান ও নৈতিকতার সংযোগ নেই: ফখরুল
বন্যার্তদের সহযোগিতায় অনন্ত জলিল
পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বর্ষণের কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি এখন আরও ভয়াবহ। সরকারের পাশাপাশি অনেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় বন্যাকবলিত এলাকার মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন অভিনেতা-প্রযোজক অনন্ত জলিল।অনন্ত জলিল তার ভিডিওতে বলেন, ‘সিলেটের বন্যার ভয়াবহতার কারণে এবার আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ১০-১২টা গরু কোরবানি না দিয়ে শুধুমাত্র ১টা বা দুইটি গরু কোরবানি দেবো। এই কোরবানির যত টাকা আছে তা দিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াবো। শুধু কোরবানির টাকাই না, আমার ব্যবসার টাকা এবং আমি যে মুভি (দিন: দ্য ডে) মুক্তি দিচ্ছি, সেটা থেকেও যে টাকা আসবে- সবকিছু দিয়েই সিলেটের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াবো ইনশাআল্লাহ।’তিনি আরও বলেন, ‘যখন যেখানে দুর্যোগ হয় আমি পাশে দাঁড়াই। আমাদের যাদের অর্থ-কড়ি আছে, আমরা কেউ টাকা কবরে নিয়ে যেতে পারব না। আমরা যেটা আয় করি সেটা মানুষের কাজে খরচ করতে হবে, মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। কারণ আপনি-আমি একদিন পৃথিবীতে থাকব না।’যতটুকু সম্ভব বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে অনন্ত জলিল আরও বলেন, ‘আমরা নিজেরা ভোগ না করে, যদি মানুষের কল্যাণে টাকা খরচ করতে পারি, তাহলে আল্লাহ্ আমাদের এই দান কবুল করবেন। মরার পর আমাদের পাশে মানুষের দোয়া ছাড়া আর কিছুই থাকবে না। যে যতটুকু পারেন মানুষের পাশে দাঁড়ান। সবাই মিলে একটু একটু করলেও তাদের অনেক সহায়তা হবে। ’
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সাহায্যের আহ্বান তারকাদের
জায়েদ খান সত্যিই আম্মুকে ডিস্টার্ব করেন: মৌসুমীর ছেলে ফারদিন
বন্যার্তদের জন্য ২৬ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেটসহ নগদ অর্থ বরাদ্দ
বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের লক্ষ্যে ২৬ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) এ বরাদ্দ দেয়া হয় বলে শুক্রবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, প্রতিটি প্যাকেটে চাল-ডাল-তেল-লবণ চিনিসহ যে খাদ্য সামগ্রী রয়েছে তা পাঁচ সদস্যের একটি পরিবারের এক সপ্তাহ চলবে বলে আশা করা যায়। একই সাথে নগদ টাকা এবং চালও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সিলেট জেলায় ২০০ মেট্রিক টন চাল, ৩০ লাখ নগদ টাকা এবং ৮ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধরলার পানি বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপরে
সুনামগঞ্জ জেলার জন্য নগদ ৩০ লাখ টাকা এবং ৮ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট, নেত্রকোণা জেলার জন্য ১০০ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ নগদ টাকা এবং ৩ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবার প্যাকের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া কুড়িগ্রাম জেলার জন্য নগদ ১০ লাখ টাকা এবং ১ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। রংপুর জেলার জন্য ৩ হাজার এবং নীলফামারী জেলার জন্য ৩ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বরাদ্দকৃত ত্রাণকার্য (নগদ) অর্থ শুধুমাত্র আপদকালীন সময়ে বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণ করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে ওসমানী বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ
তিস্তায় পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
সিলেটে বন্যার্তদের জন্য ১৯৯ আশ্রয়কেন্দ্র
সিলেটে বন্যা কবলিতদের জন্য ১৯৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।
তিনি বলেন, বন্যায় জেলায় ১৯৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে কোম্পানীগঞ্জের পাঁচটি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। আর কেউ এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে আসেনি।
তিনি বলেন, এসব আশ্রয়কেন্দ্রে খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এছাড়া ইউএনওদের সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখার নির্দেশনা দেয়া আছে।
জেলা প্রশাসক জানান, বন্যা কবলিতদের জন্য আরেক দফায় ১০০ মেট্রিক টন চাল ও ৩০০০ প্যাকেট শুকানো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর আগে ১২৯ মেট্রিক টন চাল ও ১০০০ শুকানো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে নদনদীর পানি বিপদসীমার ওপরে
এছাড়া সিলেট সদর উপজেলার সাত ইউনিয়নে পাহাড়ী ঢল ও ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৩ হাজার ব্যাগ শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সিলেট জেলায় বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য সিলেট জেলা প্রশাসকের অনুকূলে ১শ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
এদিকে, বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে বুধবার সিলেট-১ আসনের সাংসদ ড. একে আব্দুল মোমেনের সিলেট যাওয়ার কথা রয়েছে। এসময় তিনি বিভিন্ন এলাকা পরির্দশন করবেন ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ৫ নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতেও সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে।
পাউবো বলছে, ২০০৪ সালের পর নদীর পানি কখনও এতোটা বাড়েনি। ১৮ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বড় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। উজানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন পাউবো কর্মকর্তারা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছেন, ২৩ জুন পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমতে পারে।
আরও পড়ুন: টানা বর্ষণে সিলেট-সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি
নেত্রকোণায় বন্যার্তদের সহায়তায় হুয়াওয়ে
নেত্রকোণায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য এগিয়ে এসেছে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। আজ শনিবার (২৮ আগস্ট) একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বন্যার ফলে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশজুড়ে বন্যার কারণে অনেক জেলা প্রতিকূল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বন্যা দেশজুড়ে মানুষকে অসহায় পরিস্থিতিতে ফেলেছে এবং তাদের জীবন ও জীবিকাকে করে তুলেছে বিপন্ন। দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এমন অসহায় মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে হুয়াওয়ে।
এতে বলা হয়, হুয়াওয়ের উদ্যোগ ‘ইন বাংলাদেশ, ফর বাংলাদেশ-হিয়ার ফর ইউ’র অংশ হিসেবে, আজ হুয়াওয়ে নেত্রকোণা জেলার দুঃস্থ ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে এই ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে। অসহায় এ মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হুয়াওয়ে প্রায় দুই হাজার পরিবারের মাঝে জরুরি খাদ্যদ্রব্য, যেমন: চাল, মসুর ডাল, আলু, ওরাল স্যালাইন, চিনি, ময়দা ও অন্যান্য জিনিস বিতরণ করেছে।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগেরমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘প্রথমেই, আমি হুয়াওয়ে কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই এবং দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের বিকাশে অবদান রাখার জন্য তাদের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে বিনির্মাণের পথে রয়েছি এবং ডিজিটাল কানেক্টিভিটিই ডিজিটাল বাংলাদেশের মেরুদণ্ড। হুয়াওয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ডিজিটাল হাইওয়ে গড়ে তুলতে সহায়তা করছে, এজন্য আমরা হুয়াওয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে ১০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে হুয়াওয়ে
মেধা বিকাশে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে হুয়াওয়ে
হুয়াওয়ে বাংলাদেশে প্রধান নির্বাহী ঝ্যাং ঝেংজুন বলেন, ‘এ ত্রাণ সহায়তা কর্মসূচি বন্যাদুর্গত অঞ্চলে মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে আমাদের ‘ইন বাংলাদেশ, ফর বাংলাদেশ-হিয়ার ফর ইউ’ শীর্ষক একটি সামগ্রিক উদ্যোগেরই প্রচেষ্টা। এ উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা মানুষের জীবনযাত্রা উন্নত করতে কাজ করে যাবো। বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে, যেখানে আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করি সেসব কমিউনিটিতে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পেরে গর্বিত। ভবিষ্যতে আমরা এক্ষেত্রে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে অবদান রাখতে চাই।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে নেত্রকোণার ডেপুটি কমিশনার কাজী মো. আবদুর রহমান, খালিয়াজুরীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম এবং খালিয়াজুরীর চেয়ারম্যান সুমন চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।