ঈদ বোনাস
ওভারটাইম ও ঈদ বোনাসের দাবিতে গাজীপুরে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে ওভারটাইম ও ঈদ বোনাসের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে গার্মেন্টস শ্রমিকেরা। সোমবার দুপুর ১২ টা থেকে কোনাবাড়ী বাইমাইল এলাকায় ফাইজা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা একত্র হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন। এসময় দুই দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এর আগে গতকাল রবিবার সকাল আটটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত কাজ বন্ধ করে সড়ক অবরোধ করে রাখে শ্রমিকরা। পরে পুলিশ প্রশাসন ও কারখানা কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে ও থেঁতলিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
সোমবার (১৯ জুন) সকাল থেকেই শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে কারখানায় বসে থাকে। পরে দুপুর ১২টার দিকে শ্রমিকরা আবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে।
ফাইজা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানার এডমিন অফিসার বজলুর রশিদ বলেন, প্রতিমাসের বেতনের সঙ্গে ওভারটাইম দেওয়া হয়। কিন্তু গত মাসে সমস্যার কারণে ওভারটাইম দেওয়া হয়নি। যার কারণে শ্রমিকরা রবিবার সকাল থেকে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাক। পরে তাদেরকে বুঝিয়ে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, সোমবার সকাল থেকেই কাজ বন্ধ করে বসে থাকে শ্রমিকরা। তাদের দাবি গত মাসের ওভারটাইম এবং ঈদ বোনাস আজকেই দিতে হবে। তারা কর্তৃপক্ষকে কোনো সময় না দিতে চাননি।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আশরাফ উদ্দিন জানান, শ্রমিকদের বুঝিয়ে প্রায় এক ঘন্টা পর সড়ক থেকে সরিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করানো হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে ওভারটাইম পেয়ে যাবে তারা। ঈদ বোনাসের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের কথা বলছেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে স্কুলছাত্রী ও দাদিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে রেলওয়ে পুলিশের কনস্টেবল নিহত
১ বছর আগে
শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ও বেতন দিতে ১৫০০ কোটি টাকা সরকারি সহায়তা চায় বিকেএমইএ
আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধে সরকারের কাছে দেড় হাজার কোটি টাকা সহায়তা চায় বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)।
নিটওয়্যার কারখানা মালিক সমিতির দাবি, আর্থিক সহায়তা না পেলে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া নিয়ে মারাত্মক সংকটে পড়তে পারে রপ্তানিখাত।
আরও পড়ুন: ২০২২ সাল ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর বছর: বিজিএমইএ
বিকেএমইএ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে আর্থিক সহায়তা সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে।
গত ৩০ মার্চ বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান সাক্ষরিত ওই চিঠিতে সরকারের কাছে নগদ সহায়তার অনুরোধ জানানো হয়।
রবিবার বিকেএমইএর নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ হাতেম ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়েছে। টিকে থাকার এই সংগ্রামে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতও একটি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে।
চলমান বৈশ্বিক মন্দার কারণে বেশিরভাগ কারখানায় পর্যাপ্ত কার্যাদেশ না থাকায় উৎপাদন চলছে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ক্ষমতায়।
বিকেএমইএ চিঠিতে উল্লেখ করেছে, মাস শেষে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিকেএমইএ বলেছে, ইতোমধ্যে রপ্তানি করা পণ্যের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রেতারাও তাদের বকেয়া সময়মতো পরিশোধ করছেন না।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, চলতি মাসে বেতন ও ঈদ বোনাস দেওয়া নিয়ে ব্যাপক চাপ রয়েছে। ‘এমন পরিস্থিতিতে সরকার ও অর্থ বিভাগের সহযোগিতা ছাড়া এই চাপ সামলানো খুব কঠিন হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে হাইকমিশনের সহায়তা চায় বিজিএমইএ
তৈরি পোশাক শিল্পে জুলাই-ডিসেম্বরে ১৬% বেড়ে রপ্তানি ২৩ বিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
১ বছর আগে
জুন মাসের বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবি পোশাক শ্রমিকদের
ঈদ বোনাসসহ জুন মাসের বেতন অবিলম্বে পরিশোধের দাবিতে শুক্রবার রাজধানীতে পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে।
গার্মেন্ট শ্রমিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ (জি-স্কপ), ২০টি শ্রমিক সংগঠনের জোট জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় শ্রমিক নেতারা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মহার্ঘ ভাতা প্রবর্তন, ভর্তুকি মূল্যে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে শ্রমিকদের জন্য রেশন ব্যবস্থা এবং কম ভাড়ায় শ্রমিকদের আবাসন নিশ্চিত করার দাবি জানান।
জি-স্কপের যুগ্ম সমন্বয়কারী আব্দুল ওয়াহেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনটির যুগ্ম সমন্বয়কারী কামরুল আহসান, গার্মেন্ট শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, মাদারল্যান্ড গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি সালেহা ইসলাম শান্তনা, গার্মেন্ট ও দর্জি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ রফিক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
শ্রমিক নেতারা দাবি করেন, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন এবং ক্রয় আদেশ বৃদ্ধির মধ্যে পোশাক কারখানার মালিকরা এখন খুব ভালো সময় পার করছেন। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি এবং কাজের প্রচণ্ড চাপের কারণে পোশাক শ্রমিকরা এখন সবচেয়ে খারাপ সময়ের মুখোমুখি হচ্ছেন।
নেতারা শিগগিরই পুরো বেতন ও পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: টানা তৃতীয় দিনের মতো পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
‘দীর্ঘতম ঈদের ছুটি’ কাটিয়ে কারখানায় ফিরেছে পোশাক শ্রমিকেরা
২ বছর আগে
ছুটির আগেই বোনাস ও এপ্রিলের ১৫ দিনের বেতন দেয়ার নির্দেশ শ্রম প্রতিমন্ত্রীর
গার্মেন্টসসহ সকল সেক্টরের শ্রমিকদের ঈদুল ফিতরের ছুটির আগেই ঈদ বোনাস এবং চলতি (এপ্রিল) মাসের অন্তত ১৫ দিনের বেতন পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ-টিসিসি এর ৭১তম এবং আরএমজি টিসিসি এর ১২তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টসসহ রাষ্ট্রায়ত্ব, বেসরকারি, প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক সকল খাতের শ্রমিকদের ঈদের বোনাস, চলতি (এপ্রিল) মাসের কমপক্ষে ১৫ দিনের বেতন এবং যদি বকেয়া থাকে তা সহ ঈদের ছুটির আগেই মালিকরা তা পরিশোধ করবেন।
আরও পড়ুন: ঈদ: সরকারি চাকরিজীবীদের এ মাসের বেতন ২৫ এপ্রিলের মধ্যে
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের ঈদের ছুটি সরকারি ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে দিতে হবে। তবে জরুরি রপ্তানির প্রয়োজনে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ছুটি এদিক ওদিক করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, শ্রমঘন এলাকায় শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার সুবিধার্থে ছুটির দিনেও ব্যাংক খোলা রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবরে চিঠি দেয়া হবে। শ্রমিকরা যাতে ঈদের ছুটিতে ভালোভাবে, নির্বিঘ্নে ঈদে যাতায়াত করতে পারেন সেজন্য সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
২ বছর আগে
২৭ জুলাই ঈদ বোনাস পাবেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
গার্মেন্টস শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ২৭ জুলাই এবং চলতি মাসের বেতনের অর্ধেক ৩০ তারিখের মধ্যে মালিকগণ পরিশোধ করবেন বলে সোমবার জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
৪ বছর আগে