মাদক মামলা
চুয়াডাঙ্গায় থানা থেকে আসামি পালানোর ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা হেফাজত থেকে মনোয়ারা খাতুন (৩০) নামে এক মাদক মামলার আসামি পালানোর ঘটনায় পুলিশের তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় অনুসন্ধান করতে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানাকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- জীবননগর থানার দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) পবিত্র মণ্ডল, কনস্টেবল সোলাইমান খান ও মিতা খাতুন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতি প্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় অনুসন্ধান চলছে৷ এ ঘটনার অনুসন্ধান করতে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে ভোরে। এ সময় শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলে থানা হেফাজত থেকে পালিয়ে যান ওই নারী আসামি। পালানোর ঘটনায় তার (পালানো নারী আসামি) বিরুদ্ধে পেনালকোডে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আসামি মনোয়ারা খাতুন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জলিলপুর গ্রামের শাহজাহান মণ্ডলের মেয়ে।
এর আগে গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) মহেশপুর ব্যাটালিয়ন ( বিজিবি- ৫৮) চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৮৪ বোতল ফেনসিডিলসহ মনোয়ারা খাতুন তার সহযোগী নাজমুল হুদাকে আটক করে জীবননগর থানায় হস্তান্তর করে। ওইদিনই বিজিবির পক্ষ থেকে আটক দুজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
জীবননগর থানা সূত্রে জানা যায়, মনোয়ারা খাতুনকে নারী ও শিশু ডেস্কে রাখা হয়েছিল। সকালে শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে পালিয়ে যান তিনি। তাকে গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা মাঠে নেমেছেন।
১ মাস আগে
ফরিদপুরে মাদক মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন
মাদক মামলায় ঝিনাইদহ জেলার সাবেক ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শেখ আজমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩ জুন) দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ধর্ষণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানের যাবজ্জীবন
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ আজম নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার পাচুরিয়া গ্রামের আলী আহমদ শেখের ছেলে। তিনি সিলেট জেলায় কর্মরত ছিলেন।
আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) ছানোয়ার হোসেন বলেন, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর মধুখালী থানার এসআই কামরুজ্জামান মোবাইল ফোনে খবর পান জেলার মধুখালী রেলগেট পশ্চিম পাশে ঢাকা খুলনা মহাসড়কে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা হয়েছে।
ওই দুর্ঘটনার মো. মজিবর মোল্লা আহত হন। সে সময় মোটরসাইকেল আরোহী শেখ আজম দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে পুলিশ এসে মোটরসাইকেলের সঙ্গে লাগানো গোপন একটি বাক্স থেকে ৮২ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করে এবং পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে মধুখালি থানায় মাদক আইনে মামলা করে পুলিশ।
আসামি চুয়াডাঙ্গা জেলা সীমান্ত থেকে রাজবাড়ী জেলা গোয়ালন্দ ঘাট এলাকা প্রায়ই যাতায়াত করত এবং মাদক পরিবহন ও ব্যবসায় করতো।
২০১৮ সালের ৭ মে মধুখালি থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান আদালতে এ মামলার অভিযোগ পত্র জমা দেন।
মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) টেবিলের ৩(খ) ধারায় আদালত ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় মোটরসাইকেল আরোহী অপর এক আসামি নুর আলমকে খালাস দেন আদালত।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে স্কুলছাত্র হত্যায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৬ মাস আগে
নড়াইলে মাদক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নড়াইলে মাদক মামলায় মো. লিন্টু মিয়া ও নাজমুল হুদা নামে দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (২০ মে) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতে বিচারক মোহাম্মাদ সাইফুল আলম এই দণ্ডাদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত লিন্টু মিয়া মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার যশোমন্তপুর গ্রামের মোশারফ মাস্টারের ছেলে। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত নজমুল হুদা একই উপজেলার উথালী গ্রামের তুরফান ফকিরের ছেলে।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নাজমুল হুদা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত লিন্টু মিয়া পলাতক রয়েছেন।
নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মোহাম্মদ আলমগীর সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সদর উপজেলার নড়াইল-যশোর সড়কের সীতারামপুর পুলিশ চেকপোস্টের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেলসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এ সময় লিন্টু মিয়ার কাছে থাকা ব্যাগ তল্লাশিকালে তিন কেজি ওজনের তরল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের হয়।
মামলায় ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৭ মাস আগে
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় সীমা বেগম (৩৫) নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি ময়নুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার(২০ মে) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফিরোজ কবীর এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সীমা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চরমগাছা পার্বতীপুর গ্রামের খোকন মোল্লার স্ত্রী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মায়ামনি হোটেলের সামনে থেকে ১০০ গ্রাম হিরোইন ও ৬ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী সিমা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বদরুন্নাহার বেবি বলেন, মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের উপস্থিতিতে সোমবার আদালত এ রায় দেন। তিনি এই মামলার রায়ে সন্তুষ্ট।
তবে এসময় আসামি পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না বলেও জানান তিনি।
৭ মাস আগে
জেলা কারাগারে মাদক মামলার আসামির মৃত্যু
নওগাঁয় জেলা কারাগারে মাদক মামলার আসামি সামিরুল সরদার নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৮ মার্চ) নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সামিরুল সরদার নাটোরের সিংড়া উপজেলার তেমুখ সাপুরাপাড়া গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
নওগাঁ কারাগারের জেল সুপার মো. নজরুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারিতে সান্তাহার রেলওয়ে থানায় করা মাদক মামলায় কারাগারে আসেন সামিরুল সরদার।
তিনি জানান, হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করলে সোমবার ভোরে নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জেল সুপার আরও জানান, হাজতির লাশ বর্তমানে হাসপাতালেই রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড
হবিগঞ্জে থানায় আসামির মৃত্যু: ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি
৯ মাস আগে
পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক মামলা বিচারিক আদালতে চলবে
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলা বাতিল চেয়ে চিত্রনায়িকা পরীমনির আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
এ রায়ের ফলে বিচারিক আদালতে মামলাটির কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
আদালতে পরিমণির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না।
আইনজীবী জেড আই খান পান্না সাংবাদিকদের বলেন, অ্যালকোহলের লাইসেন্স থাকায় এবং জব্দ করা অ্যালকোহল যথাযথ মাত্রায় থাকায় অ্যালকোহলের বিষয়টিতে বিচার হবে না। তবে এলএসডি ও আইস নামক দুটি মাদকের বিষয়ে বিচার চলবে।
আরও পড়ুন: পরীমনির মামলায় নাসির-অমি ৫ দিনের রিমান্ডে
২০২১ সালের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। দাবি করা হয়, সেসময় বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় পরীমনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। একই বছরের ৪ অক্টোবর আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি আদেশ দেন বিচারিক আদালত।
অভিযোগ গঠনের পর মামলা বাতিল চেয়ে পরীমনি হাইকোর্টে আবেদন করেন।
২০২২ সালের ১ মার্চ হাইকোর্ট রুল দিয়ে মামলার কার্যক্রম পরীমনির ক্ষেত্রে তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। রুলে পরীমনির ক্ষেত্রে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলার কার্যক্রম কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ৮ মার্চ চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ নিয়মিত লিভ টু আপিল করে।
শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ জানুয়ারি আপিল বিভাগ আদেশ দেন। আদেশে মামলা বাতিলের প্রশ্নে রুল ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়। এ সময় মামলার কার্যক্রম পরিচালনা না করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ে রুল নিষ্পত্তি না হলে বিচারিক আদালতে মামলাটির কার্যক্রম চলবে বলে উল্লেখ করেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেওয়া হয়।
আপিল বিভাগের আদেশের পর হাইকোর্টে মামলা বাতিলের প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি হয়। শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৪ আগস্ট হাইকোর্ট একই বছরের ১৯ অক্টোবর রায়ের জন্য দিন করেন। অবশ্য বেঞ্চ পুনর্গঠন হওয়ায় ধার্য তারিখ রায় হয়নি। গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের ছাপা কার্যতালিকায় পরীমনির করা আবেদনটি ২২ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য আসে। সে অনুযায়ী আজ রায় দিলেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: পরীমনি: নাসির উদ্দিন সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মাদক মামলা
১০ মাস আগে
চট্টগ্রামে মাদক মামলায় নারীর ৫ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে মাদক পাচার মামলায় এক নারীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১ নভেম্বর) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এ রায় দেন।
হামিদা বেগম (৩৫) কক্সবাজার সদর থানার রুমালিয়ারছড়া এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. ওমর ফুয়াদ।
রায়ের সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন আসামি হামিদা। জামিন পাওয়ার পর পালিয়ে যান হামিদা।
আরও পড়ুন: ফারমার্স ব্যাংক কেলেঙ্কারি: মাহবুবুল হক চিশতী, স্ত্রী ও ছেলের কারাদণ্ড
জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৬ জুন কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেক এলাকা থেকে হামিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ১ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় তৎকালীন কর্ণফুলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর হামিদা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. নোমান চৌধুরী বলেন, চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ইয়াবা পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত হামিদা বেগমকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। হালিমা জামিনে বের হওয়ার পর থেকে পলাতক। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানামূলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হলি আর্টিজান হামলা: ৭ আসামির সাজা কমে আমৃত্যু কারাদণ্ড
১ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় ফাতেমা খাতুন (৩২) নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টায় চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মাসুদ আলী আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা হাবিব-শাহজাহানসহ ১৫ জনের ৪ বছরের কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত ফাতেমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাতিকাটা মোড়পাড়ার সুরুজ আলীর স্ত্রী।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কৌসুলি (পিপি) আইনজীবী বেলাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাতিকাটা মোড়পাড়ার ফাতেমা খাতুনের বাড়িতে অভিযান চালায়।
এসময় তার বসত ঘরের একটি প্লাস্টিকের ড্রামের ভেতর বাজারের ব্যাগে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ৫০৬ অ্যাম্পুল নেশার বুপেনরফাইন ইনজেকশন উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রয়ণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ একই বছরের ২২ জুন ফাতেমা খাতুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিশ্রম কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে তিন জেলেকে ১ বছর করে কারাদণ্ড
বিচারককে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: দিনাজপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরকে এক মাসের কারাদণ্ড
১ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাদক বিক্রেতা মোহাম্মদ রফিককে (৪০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মোহাম্মদ রফিক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড় গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৪ মার্চ সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দৌলতদিয়াড়ে রফিকের বাড়িতে অভিযান চালায়। বাড়ি তল্লাশি করে ১৯ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন নামক মাদকদ্রব্য পাওয়া গেলে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এই ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে সদর থানায় রফিকের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্রে আরও জানা যায়, এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রয়ণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ ২০২০ সালের ১৫ জুন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে মামলার ৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট বেলাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে মাদকের টাকা না দেওয়ায় বাবাকে হত্যার অভিযোগ!
কাশিমপুর কারাগারে গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
১ বছর আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় এসআইসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় পুলিশের বরখাস্তকৃত এক উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দীন প্রামানিক (৪২) ও মানিক দাস (৩৫) নামে দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে তাদের ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অন্য এক ধারায় উল্লেখিত ২ আসামিকে ১ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ মামলায় অপর আসামি মাসুদ রানাকে (২৮) অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
বুধবার (২১ জুন) দুপুরে ঠাকুরগাঁও আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মামুনুর রশিদ এ রায় দেন।
হেলাল উদ্দীন প্রামানিক নওগাঁ জেলার দরিয়াপুর গ্রামের মৃত জগি প্রামানিকের ছেলে এবং মানিক দাস ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার মন্ডলাদাম গ্রামের মৃত বাদল দাসের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৩ জুন ঠাকুরগাঁও ডিবি পুলিশের সাধারণ ডায়েরি নং-১৮৫ এর প্রেক্ষিতে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ সময় পীরগঞ্জ থানার সেনুয়া বাজারে অবস্থানকালে গোপন সংবাদের মাধ্যমে ডিবি পুলিশের টিম জানতে পারে যে, পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পুরাতন ডাক বাংলোর আঙ্গিনায় ৩ জন লোক মাদকদ্রব্য (ইয়াবা ট্যাবলেট ও গাঁজা) বিক্রির উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
ডিবি পুলিশের টিমটি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তৎকালীন পীরগঞ্জ থানার পুলিশের এসআই হেলাল উদ্দীন প্রমানিককে (৪২) নীল রংয়ের পলিথিন ব্যাগ ধরে রাখা অবস্থায় আটক করা হয়।
পরে নীল রংয়ের ব্যাগটি থেকে মোট ৫ হাজার পিস ও অপর আসামি মানিক দাসের দেহ তল্লাশি করে ৩ হাজার পিস ইয়াবা মোট ৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
পরে হেলাল উদ্দীন প্রামানিকের দেওয়া তথ্য মতে তার বাড়ির শয়ন ঘরের খাটের নিচ থেকে ২ কেজি গাঁজাও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই ডিবি পুলিশের এসআই (নিরস্ত্র) রুপ কুমার সরকার বাদি হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে পীরগঞ্জ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
দীর্ঘদিন বিচারান্তে অবশেষে মামলার প্রথম আসামি তৎকালীন পীরগঞ্জ থানার এসআই হেলাল উদ্দীন প্রামানিক ও মামলার দ্বিতীয় আসামি মানিক দাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১২ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করে আদালত।
মামলার রায় প্রদানের সময় মানিক দাস পলাতক ছিলেন। এ ঘটনায় আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার ৩ নং আসামি মো. মাসুদ রানাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী ছিলেন ঠাকুরগাঁও পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শেখর কুমার রায়। অপরদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রফিজ উদ্দিনসহ কয়েকজন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে শ্বশুরকে হত্যার মামলায় জামাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ বছর আগে