ভার্চুয়াল
'ভয়েস অব দ্য গ্লোবাল সাউথ' সম্মেলনে আজ ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন ড. ইউনূস
ভারতে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ‘ভয়েস অব দ্য গ্লোবাল সাউথ’ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টায় তিনি ঢাকা থেকে সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে শুক্রবার রাতে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ড. ইউনূসকে সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এটাই হতে যাচ্ছে অধ্যাপক ইউনূসের প্রথম বৈশ্বিক অনুষ্ঠান।
উদ্বোধনী অধিবেশনটি রাষ্ট্র / সরকার প্রধান পর্যায়ে হবে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এটি সঞ্চালনা করবেন।
উদ্বোধনী নেতাদের অধিবেশনের প্রতিপাদ্য সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য, ‘অ্যান এমপাওয়ারড গ্লোবাল সাউথ ফর এ সাসটেইনেবল ফিউচার।’
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস অউর সবকা প্রয়াস' দর্শনের সম্প্রসারণ হিসাবে এই অনন্য উদ্যোগটি শুরু হয়েছিল। আর এটি মূলত ভারতের বসুদেব কুটুম্বকমের দর্শন।
এটি গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং অগ্রাধিকারগুলোকে একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্মে ব্যাপক পরিসরে ভাগ করে নেওয়ার একটি পরিকল্পনার অংশ।
ভারত ২০২৩ সালের ১২-১৩ জানুয়ারি প্রথম ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট (ভিওজিএসএস) এবং একই বছরের ১৭ নভেম্বর দ্বিতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটের আয়োজন করেছিল। তবে দুটো সামিটই ভার্চুয়াল ফরম্যাটে আয়োজন করা হয়েছিল।
শীর্ষ সম্মেলনের পূর্ববর্তী উভয় আয়োজনে গ্লোবাল সাউথ থেকে ১০০টিরও বেশি দেশ অংশগ্রহণ করেছিল।
এই দুটি শীর্ষ বৈঠকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর নেতাদের কাছ থেকে পাওয়া ইনপুট এবং প্রতিক্রিয়া গত বছর ভারতের সভাপতিত্বে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আলোচ্যসূচি এবং আলোচনায় যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল। নয়া দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে নেতাদের ঘোষণাপত্রও রয়েছে সেটি।
একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য তৃতীয় ভিওজিএসএস ‘অ্যান এমপাওয়ারড গ্লোবাল সাউথ ফর এ সাসটেইনেবল ফিউচার’র সামগ্রিক প্রতিপাদ্য বিশ্বকে প্রভাবিত করে চলেছে। এটি অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত করে চলা বিভিন্ন জটিল চ্যালেঞ্জ সংঘাত, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে পূর্ববর্তী শীর্ষ সম্মেলনগুলোতে হওয়া আলোচনাগুলোকে বিস্তৃত করার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে।
শীর্ষ সম্মেলনে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলো গ্লোবাল সাউথের চ্যালেঞ্জ, অগ্রাধিকার এবং সমাধান, বিশেষত উন্নয়নমূলক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে।
পূর্ববর্তী দুটি শীর্ষ সম্মেলনের মতো, তৃতীয় ভিওজিএসএস ভার্চুয়াল ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে এবং নেতাদের অধিবেশন এবং মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশন পদ্ধতিতে হবে।
আরও পড়ুন: মোদিকে ইউনূসের ফোন, বাংলাদেশের হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার আশ্বাস
এছাড়াও, নিম্নলিখিত প্রতিপাদ্যগুলোর সঙ্গে ১০টি মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশন থাকবে:
১) 'গ্লোবাল সাউথের জন্য একটি অনন্য দৃষ্টান্ত চার্টিং' শীর্ষক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অধিবেশন
২) স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের 'এক বিশ্ব-এক স্বাস্থ্য' শীর্ষক অধিবেশন
৩) 'উন্নত ভবিষ্যতের লক্ষ্যে যুব সম্পৃক্ততা' শীর্ষক যুব মন্ত্রীদের অধিবেশন
৪) বাণিজ্য ও বাণিজ্যমন্ত্রীদের 'ট্রেড ফর ডেভেলপমেন্ট- পারসপেক্টিভস ফ্রম গ্লোবাল সাউথ' শীর্ষক অধিবেশন
৫) তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রীদের 'উন্নয়নের লক্ষ্যে ডিপিআই – এ গ্লোবাল সাউথ অ্যাপ্রোচ' শীর্ষক অধিবেশন
৬) 'পিপল সেন্ট্রিক অ্যাপ্রোস টু গ্লোবাল ফাইন্যান্স’ শীর্ষক অর্থমন্ত্রীদের অধিবেশন
৭) 'গ্লোবাল সাউথ অ্যান্ড গ্লোবাল গভর্নেন্স' শীর্ষক দ্বিতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অধিবেশন
৮) 'সাসটেইনেবল এনার্জি সলুশ্যনস ফর এ সাসটেইনেবল ফিউচার’ শীর্ষক জ্বালানি মন্ত্রীদের অধিবেশন
৯) ‘প্রায়রিটাইজিং হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট: এ গ্লোবাল সাউথ পারসপেক্টিভ’ শীর্ষক শিক্ষামন্ত্রীদের অধিবেশন
১০) 'পাথওয়েস ফর প্রোগ্রেস- এ গ্লোবাল সাউথ পার্সপেকটিভ অন মিটিগেট ক্লাইমেট চেঞ্জ' শীর্ষক পরিবেশমন্ত্রীদের অধিবেশন
আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত: মোদির সঙ্গে ফোনালাপে ইউনূস
২ মাস আগে
তৈরি পোশাক খাতের জন্য ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেস প্রতিষ্ঠায় চুক্তি
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) ‘আরএমজি সেক্টরের জন্য একটি ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেস প্ল্যাটফর্ম স্থাপন’- বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে জন্য সমীক্ষা পরিচালনার জন্য লাইটক্যাসল পার্টনারদের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
সমীক্ষায় (আরএমজি) সেক্টরের নীতির বিভিন্ন ত্রুটি, বাজারের সম্ভাব্যতা এবং এ খাতের প্রস্তুতি বিশ্লেষণ করা হবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একটি উপযুক্ত ব্যবসায়িক মডেল ও কর্ম পরিকল্পনা দেয়া হবে।
বিজিএমইএ-এর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির বিপ্লব ব্যবসায়িক প্রেক্ষাপটে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে এবং নতুন ধারা ও সুযোগ সৃষ্টি করেছে; বিশেষ করে অনলাইন মার্কেটপ্লেসের দ্রুত বিস্তৃতি ঘটেছে।
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে কোম্পানিগুলো ক্রমেই অনলাইনের দিকে ঝুঁকছে এবং কোভিড-১৯ ডিজিটাল রূপান্তরের গতিকে ত্বরান্বিত করেছে। ফলে ডিজিটাল ও ই-কমার্স খাতে বিপ্লব হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের প্রচারের আহ্বান বিজিএমইএ’র
বিজিএমইএ প্রধান বলেন, পরিবর্তনশীল বাণিজ্যের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়াই নতুন সুযোগ টিকিয়ে রাখার এবং ব্যবহার করার চাবিকাঠি।
একটি ভার্চুয়াল মার্কেট প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা আরএমজি সেক্টরের বিক্রয়কে বাড়িয়ে তুলবে এবং মহামারির প্রভাব কাটিয়ে উঠবে।
‘এই গবেষণাটি একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস প্রতিষ্ঠার জন্য এ সেক্টরের চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগগুলো চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে।’
লাইটক্যাসল পার্টনার্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক জাহেদুল আমিন বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাতকে তার প্রতিযোগীদের থেকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রযুক্তি চালিত বাজার উন্নয়নকে কাজে লাগিয়ে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা ধরে রাখতে হবে।
চুক্তি স্বাক্ষরের সময় লাইটক্যাসল পার্টনার্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইভদাদ আহমেদ খান মজলিশ, সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক জাহেদুল আমিন এবং বিজনেস কনসালটেন্ট রাফায়েত খান উপস্থিত ছিলেন।
এই গবেষণায় অর্থায়ন করা হবে আইএফসি-এর পার্টনারশিপ ফর ক্লিনার টেক্সটাইল প্রোগ্রাম, ডেনমার্ক সরকার ডেনিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি এবং বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস রাজ্যের দূতাবাসের মাধ্যমে সমর্থিত।
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে বৈচিত্র্য আনার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ‘ঘোষণা’ দেয়া হয়নি: বিজিএমইএ
২ বছর আগে
বাইডেন-শি ভার্চুয়াল বৈঠক সোমবার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং’র মধ্যকার বহুল প্রত্যাশিত ভার্চুয়াল বৈঠক সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।
চলতি বছরের শুরুতে বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই মার্কিন-চীন সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। ফেব্রুয়ারির পর এই দুই নেতার মধ্যে এটি তৃতীয় বৈঠক।
ক্ষমতা গ্রহণের পর দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান জটিলতা ও দ্বন্দ্বের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানে উভয় পক্ষকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান বাইডেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, বৈঠক থেকে দু’দেশের সম্পর্কের কোনও বড় পরিবর্তন হবে, এমন আশা আমি করছি না। দুই নেতা নিজেদের দেশ, বিভিন্ন প্রতিযোগীতার ক্ষেত্র ও বাণিজ্যিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাধারণ আলোচনা করবেন।
চলতি সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জাতিসংঘের জলবায়ু আলোচনায় তাদের সহযোগিতা বাড়াতে এবং জলবায়ু-ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন হ্রাসকরণ পদক্ষেপে গতি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয়।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এবং জ্যেষ্ঠ চীনা পররাষ্ট্র নীতি উপদেষ্টা ইয়াং জিচি বছরের শেষ নাগাদ বইডেন-শি’র এই ভার্চুয়াল সম্মেলনের বিষয়ে একটি চুক্তি করেছিলেন।
আরও পড়ুন: বাইডেন রাজত্বের ১৫০ দিনে ৩০ কোটি টিকার মাইলফলক
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন শুক্রবার বলেছেন, আমরা আশা করি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের সাথে একত্রে কাজ করবে। দুই নেতার বৈঠক সফল করতে চীন-মার্কিন যৌথভাবে প্রচেষ্টা চালাবে।
সম্প্রতি বাইডেন উত্তর-পশ্চিম চীনে জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য চীনের সমালোচনা করেছেন। হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী প্রচেষ্টাকে দমন করা এবং করোনাভাইরাস মহামারিটির উৎস সম্পর্কে তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি আরও বলেছেন, সোমবারের বৈঠকে বাইডেন এইসব বিষয়ে তার দেশের উদ্বেগ প্রকাশ করবেন।
আরও পড়ুন: ফলাফলহীন বাইডেন-পুতিনের ‘কার্যকরী’ বৈঠক
পুতিনের সাথে বৈঠকে প্রস্তুত বাইডেন
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িতরা এখনও সক্রিয়: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার সাথে জড়িত শত্রুরা এখনও সক্রিয় বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।
বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের প্লট যারা রচনা করেছিল, তারা নিঃশেষ হয়ে যায়নি। তারা এদেশ থেকে এখনও বিনাশ হয়ে যায়নি। কখনো ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়ে কখনো তারা স্বাধীন ফোরাম করে এদেশে থাকে। পঁচাত্তরের শত্রু যারা, তারা একাত্তরের শত্রু, তারা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী এবং তারাই ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তারাই শেখ কামালকে হত্যা করেছে। আমরা সে মানুষগুলোকে এখনো আইনের আওতায় আনতে পারিনি।’
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ছিলেন বিধায় এতো প্রতিকূলতার ভেতরও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। শেখ হাসিনা না থাকলে এ জাতীয় হত্যাকাণ্ডের বা ঘটনার বিচার কোনদিন হবে না। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের 'গো অ্যাহেড' বলে প্রমাণ করেছেন তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের শুধু ষড়যন্ত্রকারীই নন, হুকুমদাতা। এজন্য বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা নিয়ে নতুন করে একটি সম্পূরক তদন্ত করে সে রিপোর্ট রেকর্ডে রাখা উচিত। এ বিষয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া দরকার যে তদন্ত কমিশন বঙ্গবন্ধু হত্যা ও ষড়যন্ত্রে কারা কারা জড়িত ছিল তাদের নাম প্রকাশ করবে।’
আরও পড়ুন: প্রকল্পে অনাকাঙ্ক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা যাবে না: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘শহিদ শেখ কামাল বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির জন্য সম্পদ ছিলেন। তাঁকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা না হলে এ দেশের রাজনীতি, সংস্কৃতি ও ক্রীড়ায় তিনি বিশাল অবদান রাখতে পারতেন। শেখ কামালকে হত্যার মধ্য দিয়ে গোটা জাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘১৯৭৫ সালের খুনিদের টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার ও স্বজনরা। কারণ তারাই হচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। খুনিরা ভেবেছিল তাদের মেরে ফেলতে পারলে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাকে মেরে ফেলা যাবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মতো হত্যাকাণ্ডের নজির পৃথিবীর কোথাও নেই।’
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গবেষণা অপরিহার্য : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন হালদারের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রধান বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান এমপি। এছাড়া আরও অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, সহসভাপতি অরুণা বিশ্বাস, যুগ্ম সম্পাদক তারিন জাহান, শিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশে রুখে দাঁড়াতে হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৩ বছর আগে
এলএনজি সরবরাহে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া এমওইউ স্বাক্ষর
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩ টা ৪৫ মিনিটের দিকে ভার্চুয়ালি এই এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়।
মালয়েশিয়ান সরকারের পক্ষে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের (অর্থনীতি) মন্ত্রী দাতো শ্রী মোস্তফা মোহাম্মদ এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এই এমওইউতে স্বাক্ষর করেন। এই ভার্চুয়াল সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয়ই প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
আরও পডুন: লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ৩,২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ
উভয় মন্ত্রীই এই সমঝোতা স্মারকের সইকে দুই পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু দেশের ৫০ বছরের দীর্ঘ কূটনৈতিক সম্পর্কের দীর্ঘ যাত্রায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই এমওইউ স্বাক্ষর দুই দেশের বিরজমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দান করবে এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও প্রশস্ত করবে।
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ার এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মিস হাজনাহ মো. হাশিম এই অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। এই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী মালয়েশিয়ার পক্ষে পেট্রোনাস এলএনজি লিমিটেড এবং গ্লোবাল এলএনজি এসডিএন বিএইচডি এবং বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা) এলএনজি সরবরাহ সংক্রান্ত দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান, পেট্রোনাসের প্রতিনিধি, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ইউনিটের প্রতিনিধিরা এবং উভয় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দুই দেশের গনমাধ্যমের প্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানটিতে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘে প্রস্তাব গৃহীত
৩ বছর আগে
ধান-চাল ক্রয়ের জন্য যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করা হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
গত বছরের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ বছর ধান-চালের অত্যন্ত যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহ কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গতবছর নানা কারণে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয় নি। এ বছর ধান-চালের অত্যন্ত যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। যা বাজারের সাথে খুবই সঙ্গতিপূর্ণ। ফলে, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এ বছর ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: খামারিদের দেয়া সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
বুধবার ভার্চুয়ালি খুলনা জেলায় ‘কৃষকের অ্যাপ’ এ সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে লটারির মাধ্যমে ধান ক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি ও কৃষকবান্ধব। কৃষকের মুখে হাসি ফোটানোই তার লক্ষ্য। তাই তিনি কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তার নেতৃত্ব, দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার ফলেই অতি অল্প সময়ে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তায় এই অভূতপূর্ব সাফল্য সারা পৃথিবীর কাছে আজ এক বিস্ময়ে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কৃষিকে দিয়েছেন নতুন দিগন্ত: কৃষিমন্ত্রী
খুলনার কৃষিতে বিপ্লব আনা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে কৃষির আমূল পরিবর্তনে সরকার কাজ করছে। লবণাক্ত জমিতে চাষের উপযোগী ফসলের বিভিন্ন জাত ও প্রযুক্তি ইতোমধ্যে উদ্ভাবিত হয়েছে। এগুলো চাষের মাধ্যমে লবণাক্ত জমিতে অনেক সাফল্য এসেছে। আরও নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন অব্যাহত থাকবে যাতে করে দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে কৃষি বিপ্লব ঘটানো যায়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, গত বছর খুলনা জেলাতে ডিজিটালি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী শতভাগ ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছিল। চলতি বছরেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।
এ সময় তিনি কৃষিমন্ত্রীর পক্ষে কৃষকের হাতে ধান ক্রয়ের প্রতিকী মূল্য তুলে দেন।
আরও পড়ুন: ফুল চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দ, খাদ্যসচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
৩ বছর আগে
২৭ জুলাই ‘ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৭ জুলাই বিকাল ৪টায় ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল-২০২০ উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
৪ বছর আগে