চিঠি
দায়িত্ব পালনে ৯ নির্দেশনা দিয়ে সচিবদের চিঠি
দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কর্মকর্তাদের সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার জন্য ৯টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের সই করা এই চিঠি দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সরকারি কর্মচারীদের সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ের কিছু অফিসের কর্মকাণ্ডের সংবাদ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যা অনভিপ্রেত। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অধীন মন্ত্রণালয়/বিভাগের আওতাধীন সংযুক্ত দপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলোর জন্য দেওয়া ৯টি বা আরও কিছু বিষয় সংযোজিত করে সচিবদের একটি নির্দেশনা জারির জন্য বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আদানির সময়সীমা নিয়ে আমরা খুবই মর্মাহত: প্রেস সচিব
নির্দেশনায় বলা হয়েছে-
১) নিজ অধিক্ষেত্রের যেকোনো অনুষ্ঠানে যোগদানের চূড়ান্ত আমন্ত্রণ গ্রহণের আগে আয়োজক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার কার্যক্রম সম্পর্কে নিবিড়ভাবে তথ্য সংগ্রহ করে আমন্ত্রণ চূড়ান্ত করা।
২) বিতর্ক এড়ানোর লক্ষ্যে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথি সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করা। কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি অনুষ্ঠানের অতিথি তালিকায় থাকলে এ অনুষ্ঠান পরিহার করা।
৩) আয়োজিত অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র/ব্যানার/লিফলেট/পতাকা/অন্যান্য যেকোনো ছাপানো কাগজের বর্ণনা, লোগো বা স্লোগান ইত্যাদি বিষয়ে কোনো আপত্তিকর/বিতর্ক সৃষ্টিকারী কোনো উপাদান রয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করা।
৪) অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃংখলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা গ্রহণ।
৫) নিজস্ব অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র/ব্যানার/চিঠি। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন/সাজ-সজ্জা/ক্রেস্ট/ সার্টিফিকেট/ ট্রফি/মেডেল/স্যুভেনির ইত্যাদি ভালোভাবে পরীক্ষা করা। এ সব ডকুমেন্ট বা স্মারকে যাতে কোনো প্রকার আপত্তিকর বা বিতর্ক সৃষ্টিকারী কোনো উপাদান বা বক্তব্য না থাকে, তা নিশ্চিত করা।
৬) সরকার থেকে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে যে সব দিবস বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে, সে সব দিবস যাতে পালিত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা।
৭) সরকার থেকে বাতিল ঘোষিত দিবসগুলোর পূর্ববর্তী বছরগুলোর সকল স্মারক/ক্রেস্ট/ছবি/ স্যুভেনির ইত্যাদি সকল অফিস থেকে অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৮) আনুষ্ঠানিক (ফর্মাল) প্রতিটি সভা/অনুষ্ঠানের জন্য লিখিত বক্তব্য প্রস্তুত করে পাঠ করা। লিখিত বক্তব্যের বাইরে কোনো কথা/স্লোগান/জয়ধ্বনি/বাক্য বলা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকা।
৯) যেকোনো প্রকারের গুজব থেকে নিজে এবং নিজ অধিক্ষেত্রের সকল সহকর্মীকে দূরে রাখা।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন গঠনে সৎ-দক্ষ লোক নিয়োগ করা হবে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
১ মাস আগে
বাইডেনের চিঠির জবাব দিলেন শেখ হাসিনা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়ার জেষ্ঠ পরিচালক পরিচালক আইলিন লাউবাচার কাছে চিঠির একটি অনুলিপি হস্তান্তর করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিঠির জবাব এটি।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান চিঠির মূল কপি হোয়াইট হাউসের কাছে হস্তান্তর করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় চান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র: প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি
'আমরা তাদের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চাই' উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে দেশগুলো উপকৃত হবে।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে আন্তঃসংস্থা মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পরিচালক আইলিন লাউবাচার।
ইউএসএআইডির এশিয়া বিষয়ক সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার, পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার এবং ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সিডিএ হেলেন লাফাভে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অঞ্চলের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলমসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও গভীর করার জন্য নতুন পথ অন্বেষণকে কেন্দ্র করে আলোচনা হয়। বৈঠকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, রোহিঙ্গা মানবিক সহায়তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি খাতের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি: ‘এখন বিএনপি কী বলবে?’ প্রশ্ন কাদেরের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তির পক্ষে এবং যে কোনো ধরনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি অর্জনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে তার সুবিধা ব্যবহার করার আহ্বান জানান।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. হাছান।
বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রত্যর্পণের বিষয়েও আলোচনা হয়।
একই সঙ্গে র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেন। তিনি একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের পরবর্তী অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাওয়া বিষয়ে চিঠিতে বাইডেন বলেছেন, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একসঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখতে তার প্রশাসনের আন্তরিক আকাঙ্ক্ষার কথা তিনি জানাতে চান।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, 'সমস্যা সমাধানে আমাদের একসঙ্গে কাজ করার দীর্ঘ ও সফল ইতিহাস রয়েছে এবং আমাদের শক্তিশালী মানুষে-মানুষে বন্ধনই এই সম্পর্কের ভিত্তি।’আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র: বিএনপি
৯ মাস আগে
প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র: বিএনপি
বিএনপি বলেছে, দুই দেশের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখলেও ৭ জানুয়ারির ‘ডামি’ নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা তার আগের অবস্থান থেকে সরে আসেনি।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘এক রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্য রাষ্ট্রের সম্পর্ক থাকতে পারে। কিন্তু ৭ জানুয়ারির অবৈধ ও ডামি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে তারা বলেননি।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারই ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট তৈরি করেছে: বিএনপি নেতা ফারুক
শেখ হাসিনাকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিঠি সম্পর্কে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমেরিকাও এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলোর জনগণ ও গণতান্ত্রিক বিশ্বের সরকারগুলো গণতন্ত্রের প্রশ্নে আদর্শিক অঙ্গীকার থেকে সরে আসেনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের একতরফা নির্বাচন, সহিংসতা এবং ৭ জানুয়ারি কীভাবে জনগণ প্রতারিত হয়েছে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোও তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি।
রিজভী বলেন, কিছুদিন আগেও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে মতামত দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ সব সময় এই নির্বাচনের বিরোধিতা করে আসছে। পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ্বের জন্য গণতন্ত্র একটি আদর্শ। এ প্রশ্নে তারা কোনো আপস করেনি।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে চিঠিটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পাঠানো হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা জো বাইডেনের চিঠিকে বাংলাদেশ স্বাগত জানিয়েছে এবং তিনি মনে করেন, এই চিঠির মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে যে দুই দেশের সম্পর্কে কোনো অস্বস্তি নেই।
আরও পড়ুন: সরকারের নতজানু নীতির কারণে সীমান্ত অরক্ষিত: বিএনপি
প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি: ‘এখন বিএনপি কী বলবে?’ প্রশ্ন কাদেরের
১০ মাস আগে
মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা যদি এরকম চিঠি দেন, তাহলে এটা সরকারকে আদালতের উপর হস্তক্ষেপ করতে বলা: হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তার প্রতিষ্ঠানের বঞ্চিত কর্মীদের দায়ের করা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। এখানে সরকার কোনো পক্ষ নয়।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকার আদালতকে নির্দেশ দিতে পারে না। ড. ইউনূসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি বলতে চাই, সরকার এ মামলায় কোনো পক্ষ নয়। তার প্রতিষ্ঠানের বঞ্চিত কর্মচারীরা এ মামলা করেছে।’
তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নয়, দেশের নাগরিক ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এ মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নতুন সরকারকে বিশ্ব নেতাদের অভিনন্দন বিএনপির মাথা খারাপ করে দিচ্ছে: হাছান মাহমুদ
এর আগে ড. ইউনূস সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের একটি চিঠির বিষয়ে একজন টিভি সাংবাদিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা এ ধরনের কোনো চিঠি লিখে থাকলে তারা সরকারকে আদালতের কাজে হস্তক্ষেপ করতে বলছেন। সরকার কি তা করতে পারে? এটা কি যৌক্তিক?’
তবে ইউএনবি স্বাধীনভাবে চিঠির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকার একটি আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আশরাফুল হাসান, মো. ট্রাস্টি নূরজাহান বেগম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শাহজাহান।
আরও পড়ুন: কাম্পালায় ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের সাক্ষাৎ
তাদের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের ১০১ জন কর্মচারীকে স্থায়ী না করা, সরকারি ছুটি নগদায়ন না করা এবং শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে লভ্যাংশ জমা না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
৮৪ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক বলেন, তাদের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে আদালত তাদের শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন।
ড. ইউনূস বলেন, তিনি এমন একটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছেন যা তিনি করেননি।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ড. ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এমন একটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছি, যা আমি করিনি। আপনি যদি এটাকে ন্যায়বিচার বলতে চান, আপনি বলতে পারেন।’
আরও পড়ুন: বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করলে তাদের আসনে উপ-নির্বাচন হবে: হাছান মাহমুদ
১০ মাস আগে
৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে চিঠি দিয়েছে ইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপসচিব আতিয়ার রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকায় দিনটি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা প্রয়োজন।’
চিঠিতে ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ঘোষণা করেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
১৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিইসি পরবর্তী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কমিশন জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে: ইসি আনিছুর
কারচুপি ঠেকানো রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব: সিইসি
নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান সিইসির
১১ মাস আগে
সংলাপের আহ্বান জানিয়ে লু’র চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়েছে বিএনপি
বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আলোচনায় বসতে প্রধান তিনটি দলকে আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু’র চিঠি পেয়েছে বিএনপি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ইউএনবিকে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে এই পর্যায়ে তাদের দল যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার আহ্বান মেনে নেবে কি না সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু'র চিঠিটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চিঠিটি স্ক্যান করে তারেক রহমানের কাছে পাঠিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে ক্ষমতা থেকে সরকার সরে না দাঁড়ালে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি মেনে না নিলে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় যাবে না তারা।
অন্যদিকে, সরকারও বারবার বলেছে নিবার্চন হবে সংবিধান মেনে।
আরও পড়ুন: ৩ প্রধান দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের একসঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ পিটার হাসের
এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বনানী কার্যালয়ে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে চিঠিটি হস্তান্তর করেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে একই চিঠি দেওয়া হবে।
চিঠি সম্পর্কে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবেলি ইউএনবিকে বলেছেন, তারা তাদের ‘দীর্ঘদিনের চর্চার’ অংশ হিসেবে তারা ব্যক্তিগতভাবে কূটনৈতিক যোগাযোগের বিষয়ে মন্তব্য করেন না।
অন্যদিকে, জানা গেছে রাষ্ট্রদূত হাস আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে মার্কিন অবস্থানের উপর জোর দিতে তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ করেছেন।
মার্কিন দূতাবাসের জারি করা একটি মিডিয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে, তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের ‘থ্রিসি নীতি’ কার্যকর করবে।
দূতাবাস জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহার ও সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের পক্ষ নেয় না।
যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে পূর্বশর্ত ছাড়াই সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করার জন্য মার্কিন অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২ (এ) (৩) (সি) বা ‘থ্রিসি’-এর অধীনে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছিল।
এই নীতির অধীনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যেকোনো বাংলাদেশির জন্য ভিসা সীমিত করতে পারবে।
২৮ অক্টোবর থেকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে পূর্বশর্ত ছাড়াই সংলাপে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক, বেআইনি: জাতিসংঘকে আইনমন্ত্রী
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে: শাহরিয়ার আলম
১ বছর আগে
নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা চেয়ে ইইউ'র চিঠির জবাব দিলেন সিইসি
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে পাঠানো চিঠির জবাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, চিঠিতে সিইসি বলেছেন, সরকার ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে যে সহযোগিতা পাচ্ছেন তা অব্যাহত থাকলে ইসি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে।
আর পড়ুন: ‘বাজেট স্বল্পতা’র কারণে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইইউ: ইসি সচিব
চিঠিতে সিইসি আশা প্রকাশ করেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগামী সাধারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে একটি ছোট দল পাঠাবে।
চিঠিতে সিইসি বলেন, যত বেশি দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক থাকবে, নির্বাচন তত বেশি স্বচ্ছ হবে এবং সবার ওপর এক ধরনের চাপ থাকবে। এতে দেশে-বিদেশে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতাও বাড়বে।
আরও পড়ুন: ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও ইসির সঙ্গে প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা নিয়ে একটি কর্মশালা করবে ইসি।
কর্মশালায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনার (ইসি), নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা অংশগ্রহণ করবেন।
এর আগে বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশে তাদের পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্তের বিষয়ে একটি ইমেইল পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইইউ’র পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর ওপর নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে না: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
প্রতিবাদ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে টিআইবির চিঠি
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশকে (টিআইবি) জড়িয়ে পরপর দুই দিন ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।
টিআই/টিআইবির সঙ্গে দূরতম সংশ্লিষ্টতা নেই এমন সব বিষয়ের দায় অন্যায় ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে টিআইবির ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়াসে লিপ্ত হওয়া সেতুমন্ত্রীর জন্য আত্মঘাতী ও বিভ্রান্তিকর অবস্থানের পরিচায়ক বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার(২০ জুন) সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে টিআইবি সেতুমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংস্থাটির অবস্থান জানায়।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেটে নেই দুর্নীতি ও অর্থপাচার প্রতিরোধ এবং সুশাসন-ন্যায্যতা বিষয়ক কোনো দিকনির্দেশনা: টিআইবির উদ্বেগ
একই দিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে শাপলা চত্বরের আলোচিত ঘটনার সঙ্গে টিআই/টিআইবিকে সম্পৃক্ত করে আবারও সেতুমন্ত্রীকে মিথ্যাচার করতে দেখা যায় উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমরা মনে করি সড়ক ও সেতু মন্ত্রী এক ধরনের বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন।
চিঠিতে আমরা তাকে জানিয়েছি, তিনি আমাদের ক্রমাগত এমন অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন যার সঙ্গে টিআই বা টিআইবির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা হিসেবে তার কাছ থেকে এমন মিথ্যাচার অনভিপ্রেত।
টিআই/ টিআইবিকে নিয়ে সেতুমন্ত্রীর অভিযোগ পুরোপুরি অমূলক উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, আমরা চিঠিতে মন্ত্রীকে এটি মনে করিয়ে দিয়েছি, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অন্য একটি মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের যাচাই-বাছাইয়ের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দেয়।
তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে টিআই বা টিআইবিকে দায়ী করা অযৌক্তিক ও হাস্যকর।
একইসঙ্গে বিএনপির সঙ্গে টিআই/টিআইবির সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে আপনার অভিযোগও পুরোপুরি অমূলক।
অন্যদিকে, শাপলা চত্বরের আলোচিত ঘটনা নিয়ে টিআই/টিআইবি নয় বরং অন্য একটি স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল এবং বিষয়টি এখনও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে, যা মন্ত্রীর অজানা থাকার কথা নয়।
দৃশ্যত, অন্যায় ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিষয়গুলোর দায় টিআইবির ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়াসে লিপ্ত হয়েছেন সেতুমন্ত্রী।
একজন অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ও উচ্চপর্যায়ের সরকারি ব্যক্তিত্ব হিসেবে সেতুমন্ত্রীর কাছ থেকে মিথ্যাচার নয়, টিআইবির নিজস্ব কার্যক্রম সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে সমালোচনা বা পরামর্শ প্রত্যাশা করে টিআইবি।
আরও পড়ুন: মুক্ত সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে হতাশাজনক ব্যর্থতার স্বাভাবিকতার দৃষ্টান্ত: টিআইবি
আরপিও সংশোধনী বিল মড়ার ওপর খাড়ার ঘা: টিআইবির উদ্বেগ
১ বছর আগে
কংগ্রেসের চিঠিতে উল্লেখিত সংখ্যালঘুদের নিয়ে বক্তব্য সত্য নয়: মোমেন
বাংলাদেশের হিন্দু ও খ্রিস্টানদের নিয়ে ছয় কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে ভুল তথ্য দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কংগ্রেসম্যানদের দেওয়া সাম্প্রতিক চিঠির বিষয়বস্তুর জন্য সমালোচনা করছে। তারা জানিয়েছে যে তারা (কংগ্রেসম্যানরা) বিএনপির কথার পুনরাবৃত্তি ছাড়া আর কিছুই করেননি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিষয়ে চিঠিতে যে তথ্য আছে, বাস্তবতার সঙ্গে তা মিলছে না।
সোমবার তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এগুলো (সংখ্যালঘুদের নিয়ে চিঠির তথ্য) সত্য নয়।’
মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের চিঠি পাঠানোর আগে যথাযথ যাচাই-বাছাই প্রয়োজন।
দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে লবিস্টদের সম্পৃক্ত করার সঙ্গে জড়িত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আল্লাহর দোহাই, দেশকে ধ্বংস করবেন না। এই দেশ সকলের।’
তবে এসময় তিনি কারো নাম বলেননি।
মোমেন দেশের দেশের কল্যাণে লবিস্ট মোতায়েন করার পরামর্শ দেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন যেমন বাংলাদেশে কীভাবে জ্বালানি সরবরাহ বাড়ানো যায় এবং কীভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানো যায় ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: ‘আইওসি-২০২৩’ আয়োজন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের অবস্থানকে সুসংহত করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সরকার অত্যন্ত স্বচ্ছ।
তিনি বলেন, সহিংসতামুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সব রাজনৈতিক দলকে আন্তরিকতা ও অঙ্গীকার দেখাতে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যুক্তরাষ্ট্রে একটি রাষ্ট্রীয় সফরে যাচ্ছেন, যার মধ্যে ২২ জুন একটি রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ থাকবে।
সেখানে বাংলাদেশ ইস্যু থাকবে কি না জানতে চাইলে মোমেন বলেন, তাদের যা ভালো লাগবে তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
মন্ত্রী বলেন, ওই বৈঠক নিয়ে তার কথা বলার কিছু নেই। ‘ভারত একটি পরিণত গণতান্ত্রিক দেশ। ভারতের খুব শক্তিশালী নেতৃত্ব রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য চীন সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনে যাচ্ছেন এটা ভুল বক্তব্য।
তিনি বলেন, চীনা পক্ষ সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, কিন্তু বাংলাদেশ জানিয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রী সেই সময় নিউইয়র্কে থাকবেন।
সফর পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ‘পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে আমি জানি না।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এস জয়শঙ্করের সঙ্গে তার খুব ভালো বৈঠক হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমি খুব আনন্দিত. তারা আমাদের অনেক সম্মান দেখিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের কাছে বাংলাদেশ একটি মডেল দেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে মোমেনের ফলপ্রসূ বৈঠক
১ বছর আগে
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ৬ সদস্যের চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মতামত প্রকাশিত হয়েছে, ইউএনবিকে রাষ্ট্রদূত
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্য (এমইপি) ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ/ভাইস-প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেল ফন্টেলেসকে সম্ভববত নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সাধারণ নির্বাচন নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই এমইপিরা হলেন- ইভান শটেফানেক (ইপিপি, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র), মাইকেলা সোজড্রোভা (ইপিপি, চেক প্রজাতন্ত্র), আন্দ্রে কোভাতচেভ (ইপিপি, বুলগেরিয়া), কারেন মেলচিওর (রিনিউ, ডেনমার্ক), জাভিয়ের নার্ট (রিনিউ, স্পেন) এবং হেইডি হাউটালা (গ্রিন/ইএফএ, ফিনল্যান্ড)।
ইইউ হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের কাছে এক চিঠিতে ছয়জন এমইপিও ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং চলমান সংকটের একটি টেকসই ও গণতান্ত্রিক সমাধান খুঁজে বের করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং অন্যান্য প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের সম্পৃক্ততার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাস অবশ্য এই চিঠিকে এতে স্বাক্ষরকারী ছয় এমইপির মতামত হিসেবে বর্ণনা করেছে।
আরও পড়ুন: বৃহত্তর বৈশ্বিক স্বার্থে বহুপাক্ষিকতাকে সমুন্নত রাখুন: জি২০ সভায় মোমেন
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ইউএনবিকে বলেছেন, ‘আমি শুধু বলব যে এই চিঠিটিতে এতে স্বাক্ষরকারী ৬ জন এমইপির মতামত প্রকাশ করা হয়েছে।’
স্বাক্ষরকারী এমইপিরা জানান, বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতায় দীর্ঘ সময়ের অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জোরালো কারণ রয়েছে ইই’র।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এভাবে ইইউকে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মানবাধিকার প্রসঙ্গে শুধুমাত্র বারবার সংলাপে সীমাবদ্ধ থেকে নয়, বরং বাস্তব পদক্ষেপও নিতে হবে।’
তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ও জড়িতদের জন্য ইইএ জোনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার মতো সম্ভাব্য পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছেন, বা এটা জিএসপিপ্লাস প্রণোদনার নিয়মিত শর্তগুলোর কথাও স্মরণ করিয়ে দেওয়া, যেখানে অংশগ্রাহক হিসেবে বাংলাদেশকে মূল্যায়ন করা হতে পারে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এ বিষয়ে আমরা ইইউ-বাংলাদেশ যৌথ কমিশন এবং সুশাসন ও মানবাধিকার বিষয়ক বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ মিলে এই বিষয়ে (এবং সম্ভবত অন্যান্য আরও কিছুক্ষেত্রে) নেওয়া উদ্যোগের ফলাফল সম্পর্কে আরও জানতে পারলে খুশি হব।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে শক্তিশালী সমর্থন চায় বাংলাদেশ
কোনো দেশ বা সংস্থার কাছ থেকে সংবিধানের বাইরে গিয়ে রাজনৈতিক সংলাপের প্রস্তাব পাইনি: শাহরিয়ার
১ বছর আগে