পাহাড় ধস
কক্সবাজারে পাহাড় ধস ও ট্রলারডুবিতে নিহত ১২, নিখোঁজ ৫ শতাধিক জেলে
কক্সবাজারে টানা তিন দিনের ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসে এবং বৈরী আবহাওয়ায় ট্রলারডুবিতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ট্রলারসহ ৫ শতাধিক জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণের ফলে কক্সবাজারে পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় দুই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ট্রলারডুবিতে মৃত্যু হয়েছে ৫ জেলের। এছাড়া টেকনাফের বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে এক শিশু।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ইনানী থেকে দুইটি লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় মেলেনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈকতকর্মীদের ইনচার্জ মাহবুব।
তিনি জানান, ইনানী পাটোয়ার টেক বিচের পাশাপাশি জোয়ারের পানির সঙ্গে দুইজনের লাশ ভেসে আসে। তবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এর আগে শহরের সমিতি পাড়া থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ইনানী থেকে শুক্রবার বিকালে আরও একটি লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: পলাশবাড়ীতে মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের সংষর্ষে চালক নিহত ইউএনবি নিউজ গাইবান্ধা
শুক্রবার কক্সবাজার শহরের লাবণী পয়েন্টের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ২৩ জেলেসহ এফবি রশিদা নামে একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে জামাল নামের এক জেলে নিহত হন। জীবিত অবস্থায় ১৯ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনো তিন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, দুই দিনে ইনানী থেকে তিনজন, কলাতলী থেকে একজন ও সমিতি পাড়া থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই পাঁচজনের লাশ সাগর থেকে ভেসে এসেছে।
সাগরে ট্রলারডুবির কারণে এসব জেলের মৃত্যু হতে পারে বলে তিনি ধারণা করেন।
এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার কক্সবাজারের সদরের ঝিলংজায় পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন, দক্ষিণ ডিককুলের মিজানুর রহমানের স্ত্রী আখি মনি এবং তার দুই শিশু কন্যা মিহা জান্নাত নাঈমা ও লতিফা ইসলাম।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে উখিয়া ১৪ নম্বর হাকিমপাড়ায় ক্যাম্পে এই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।
৩ মাস আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টার দিকে উখিয়া ১৪ নম্বর হাকিমপাড়ায় ক্যাম্পে এই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-২ ব্লকের কবির আহমেদের ছেলে আব্দুর রহিম, আব্দুল হাফেজ ও আব্দুল ওয়াহেদ।
কক্সবাজার ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন জানান, ক্যাম্পে পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিন জন নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, জেলায় পাহাড় ধসে মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৩ জন বাংলাদেশি ও ৩ জন রোহিঙ্গা।
৩ মাস আগে
কক্সবাজারে পাহাড় ধসে ২ শিশু কন্যাসহ মায়ের মৃত্যু
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজায় পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার ঝিলংঝা ইউনিয়নের দক্ষিণ ডিককুল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, দক্ষিণ ডিককুলের মিজানুর রহমানের স্ত্রী আঁখি মনি এবং তাদের দুই শিশু কন্যা মিহা জান্নাত নাঈমা ও লতিফা ইসলাম।
নিহত আঁখি মনির শাশুড়ি বলেন, রাতে ২টার দিকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। সে সময় মিজানের বাড়ির দিক থেকে বিকট শব্দ শুনতে পান তারা। গিয়ে দেখেন পাহাড় ধসে সপরিবারে মাটিচাপা পড়েছেন মিজান। তাৎক্ষণিকভাবে মিজানকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও বাকিদের উদ্ধার করা যায়নি।
পরে দমকল বাহিনীর সহযোগিতায় উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে স্ত্রী ও দুই শিশু মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী জানায়, মিজানের বাড়িটি পাহাড়ের পাদদেশে। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে যায়। পরে মধ্যরাতে পাহাড় ধসে তার বাড়িতে পড়ে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতউল গনি ওসমানী জানান, একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তিনি ভারি বর্ষণের এই সময়ে পাহাড়ে বসবাসকারী সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করতে অনুরোধ জানান।
৩ মাস আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে ২ জনের মৃত্যু
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক পাহাড় ধসে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩ জুলাই) ভোররাতে উখিয়ার ৮ ও ১১ নম্বর ক্যাম্পে ঘটনা দুটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- মোহাম্মদ সিফাত (১৩) ও আনোয়ার ইসলাম (২৭)। এদের মধ্যে মোহাম্মদ সিফাত বাংলাদেশি।
উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস তাদের লাশ উদ্ধার করেছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন জানান, উখিয়া ৮ ও ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসের ঘটনায় এক স্থানীয় শিশু ও একজন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা-আরএসও সংঘর্ষে নিহত ১
৫ মাস আগে
খাগড়াছড়িতে কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধস,বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং
খাগড়াছড়িতে টানা ভারী বর্ষণে বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করছে প্রশাসন।
পাহাড় ধসের ঘটনাগুলোর মধ্যে সোমবার (১ জুলাই) জেলা শহরের মধ্য শালবন এলাকায় রান্না ঘরের উপর পাহাড় ধ্বসে পড়ে। এতে স্থানীয় বেলালের রান্নাঘরটি ভেঙে গেছে।
এছাড়া সদরের কমলছড়ি ইউনিয়নের ভুয়াছড়ি এলাকার সড়কের উপর পাশের পাহাড় ধসে পড়ে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে ঐ এলাকার সড়ক পথের চলাচল। এছাড়াও বেশ কয়েকটি স্থানে ছোট ছোট পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ির মায়ুং কপাল, হাতিমুড়া বা হাতি মাথা ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হয়েছে। চেঙ্গি, মাঈনি এবং ফেনী নদীর পানি বেড়েছে। বৃষ্টিপাত চলতে থাকলে গঞ্জপাড়া, মুসলিম পাড়া, দীঘিনালার মেরুং ও মহালছড়ির নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
জেলায় পাহাড়ের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জেলার সবুজবাগ, শালবাগান, কুমিল্লাটিলা, কলাবাগানসহ শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় ধসের শঙ্কা করছে প্রশাসন।
ঝুকিপূর্ণ বাসিন্দাদের বিভিন্নভাবে সচেতন করার চেষ্টা করছে প্রশাসন।
এদিকে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
সকাল থেকে শালবন, মোহাম্মদপুর, সবুজবাগ ও কুমিল্লাটিলা ঘুরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীতে সরিয়ে নিতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা।
এ দিকে, ভারী বর্ষণে সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রাঙ্গামাটি মহালছড়ি সড়কের মহালছড়ির চব্বিশ মাইলে সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে রাঙ্গামাটির সঙ্গে খাগড়াছড়ির যান চলাচল বন্ধ।
পাহাড়ি ঢলে পানি বাড়ছে জেলার নদ-নদীতে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের সরে যেতে মাইকিং চলছে।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকায় এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রয়েছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসের ঝুঁকির পাশাপাশি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রেজাউল বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ের মাটি ধসের ঝুঁকি বাড়ছে। আতঙ্ক নিয়ে বাস করছে মানুষ। প্রতিবছর ছোটখাটো পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটলেই নড়েচড়ে উঠে প্রশাসন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। পাহাড় ধসে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে খাগড়াছড়ি থেকে ২ সন্দেহভাজন আটক: ডিবি
বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি: খাগড়াছড়ির সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার
৫ মাস আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক পাহাড় ধসে ৯ জনের মৃত্যু, উদ্ধার চলছে
কক্সবাজারের উখিয়ায় পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় স্থানীয় একজন ও আট রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৬টার দিকে উখিয়ার ১০ ও ৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন জানান, সকালে খবর আসে উখিয়ার ৯ ও ১০নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধস হয়েছে। এ ঘটনায় এক বাংলাদেশি ও আট রোহিঙ্গা মাটির নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও উদ্ধার কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে টিলা ধস, এক পরিবারের ৩ জনের লাশ উদ্ধার
৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর জানান, বুধবার ভোরের দিকে ক্যাম্প-৯ ও ১০ এর পানবাজার এবং হাকিমপাড়ায় পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে ৯ জনের লাশ উদ্ধার করে উপজেলা প্রশাসনের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন প্রাথমিকভাবে মারা যাওয়াদের নাম পরিচয় জানাতে পারেননি। তবে ৯ জনের মধ্যে আনুমানিক চার বছরের এক শিশু, ১২ বছরের এক কিশোর ও কয়েকজন নারী রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
৬ মাস আগে
চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু, আহত ২
চট্টগ্রাম মহানগরীতে পাহাড় ধসে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ২ জন। রবিবার (২৭ আগস্ট) সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটের দিকে পাচঁলাইশ থানার ষোলশহর এলাকার আই ডব্লিউ কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কলোনির বাসিন্দা কালা মিয়ার ছেলে মো. সোহেল (৩৫) ও তার মেয়েশিশু বিবি জান্নাত (৭)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) নুরে আলম আশিক জানান, সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটের দিকে পাহাড় ধসে আহত ২ জনকে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনার পর চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা থেকে অপহৃত কিশোরের লাশ চট্টগ্রামে উদ্ধার
এদিকে ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল থেকে জানা যায়, সকালে নগরীর পাঁচলাইশ এলাকায় একটি কলোনিতে পাহাড় ধসের ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ চালায়।
একটি বসত ঘরে ঘুমন্ত সদস্যদের উপর পাহাড় ধসে পড়ে। এতে আহত ৪ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাস ধাক্কায় গৃহবধূ নিহত
১ বছর আগে
চকরিয়ায় পাহাড় ধসে ভাই-বোনের মৃত্যু
কক্সবাজারের চকরিয়ায় পাহাড়ধসে দুই সহোদর ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৭ আগস্ট) বিকাল সোয়া ৪টার দিকে বরইতলী ইউনিয়নের সবুজপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সবুজপাড়া এলাকার নাজিম উদ্দিনের সন্তান মোছাম্মদ তাবাচ্ছুম (১) ও মোহাম্মদ সাবিদ (৫)।
হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক কাইছার হামিদ বলেন, নাজিম উদ্দিনের বাড়িটি পাহাড়ের পাদদেশে। দীর্ঘ সাত থেকে আট বছর ধরে মাটির ঘর তৈরি করে সেখানে বসবাস করছিলেন নাজিম।
আরও পড়ুন: পাবনায় ‘অবৈধ বালুর স্তুপে’ চাপা পড়ে ২ শিশুর মৃত্যু
বিকালে বাড়িতে তার দুই শিশু ঘুমাচ্ছিল। নাজিম উদ্দিন ও তার স্ত্রী বাড়ির উঠানে কাজ করছিলেন। এ সময় পাহাড় ধসে পড়লে ওই দুই শিশু মাটির নিচে চাপা পড়ে। স্থানীয় লোকজন মাটি সরিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, শিশু দুটির লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে অতি বৃষ্টিতে ঘরের দেয়াল ধসে শিশুর মৃত্যু
১ বছর আগে
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে মা-মেয়ে নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে পাহাড় ধসে দুইজন নিহত হয়েছে। এঘটনায় আরও চার জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-৯ এই ঘটনা ঘটে।
উদ্ধারকাজ চলায় তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পরীর পাহাড়ে ধস ও ফাটল, পরিদর্শনে বিশেষজ্ঞ দল
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, পাহাড় ধসের খবর পেয়ে ক্যাম্পে নিয়োজিত পুলিশ নিহতদের উদ্ধার কার্যক্রম করছে। তাদের পরিচয় এখনো মেলেনি। তারা সম্পর্কে মা-মেয়ে।
তিনি আরও বলেন, মূলত টানা বর্ষণের কারণে এ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ফুলগাজীর ৪ গ্রাম প্লাবিত
কক্সবাজারে পাহাড় ধসে শিশুর মৃত্যু
১ বছর আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাহাড় ধস, ৪ জনকে জীবিত উদ্ধার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চবি কর্মচারী মো. হানিফ আহত হন।
এদিকে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে একই পরিবারের ৪ সদসস্যকে জীবিত উদ্ধার করেন।
সোমবার (৭ আগস্ট) ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহী কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে শিশুর মৃত্যু
পাহাড় ধসে পড়া বাড়িটিতে থাকতেন মো. হানিফ নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের এক কর্মচারী।
এ সময় হানিফ ও তার স্ত্রীসহ দুই ছেলে-মেয়ে বাড়ির দেয়ালের নিচে চাপা পড়েন। পরে প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, টানা বৃষ্টির কারণে ভোরের দিকে প্রায় ৩০০ ফুট দূর থেকে একটি বড় গাছসহ পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে। এতে কাঁচাপাকা বাড়িটির দুই পাশের দেয়াল ভেঙে যায়।
হানিফ বলেন, ভোর রাতে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়ে মাটি ধসে পড়ে। আমরা সবাই চাপা পড়ি। রাত থেকে ভারী বর্ষণ হচ্ছিল। ভোর রাতের দিকে হঠাৎ দেয়াল এসে আমাদের গায়ের ওপর পড়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ভোর রাতে অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ঘরের দেয়াল ভেঙে একজনের মাথা ফেটে গেছে।
তিনি আরও বলেন, তাদেরকে আগেও মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছিল। তাছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি জানিয়েছি।
শিগগিরই সবকিছু আগের অবস্থায় ফিরে আসবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় নিরাপদ আশ্রয়ে ২৫০ পরিবার
চট্টগ্রামে টাইগার পাসে পাহাড় ধসে রাস্তা বন্ধ, মাইক্রোবাস আটকা
১ বছর আগে