রপ্তানি
ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে পারলে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব: উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বিদেশে ইলিশের চাহিদা অনেক। সেক্ষেত্রে জাটকা নিধন বন্ধ করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদন বাড়াতে পারলে দেশের বাইরে ইলিশ রপ্তানি করা সম্ভব।
‘জাটকা ধরা বন্ধ হলে, ইলিশ উঠবে জাল ভরে’-এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে বরিশাল বেলস পার্কে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ইলিশের বাড়ি ভোলা আর বিভাগ বরিশাল। কেননা দেশে উৎপাদিত মোট ইলিশের ৬৫.৮৮ শতাংশ বরিশাল বিভাগে উৎপাদিত হয়। বরিশাল বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইলিশ উৎপাদিত হয় ভোলা জেলায়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংক নামে একটি বিশেষায়িত ব্যাংক চালু করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা। বলেন, ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হলে জেলেরা সেখান থেকে সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারবে। জাটকা সংরক্ষণকালীন জেলেদের যে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয় তা আগের চেয়ে বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এসময় তিনি আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের কার্যক্রম চলমান থাকবে উল্লেখ করে উপস্থিত সকলকে জাটকা নিধন বন্ধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখে ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন। অনুষ্ঠান শেষে একটি বর্ণাঢ্য নৌ- র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালিটি কীর্তনখোলা নদীর ডিসি ঘাট হতে শুরু হয়ে চরমোনাইতে গিয়ে শেষ হয়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার থেকে দেশের ইলিশ সমৃদ্ধ ২০টি জেলা ঢাকা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ি, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, বাগেরহাট ও সিরাজগঞ্জে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্যাপিত হচ্ছে।
৯ দিন আগে
ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
টানা ৮ দিন বন্ধ থাকার পর সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রবিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পুনরায় বন্দরের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়।
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা বলেন, ‘আজ (রবিবার) থেকে বন্দরের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে। ঈদের ছুটি ও সাপ্তাহিক বন্ধের কারণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঘোজাডাঙা ও ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ২৯ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল।’
আরও পড়ুন: আটদিন পর আমদানি-রপ্তানি শুরু হিলি স্থলবন্দরে
ভোমরা স্থলবন্দরের উপপরিচালক মো. রুহুল আমিন (ট্রাফিক) বলেন, ‘ভারত থেকে পণ্যবাহী গাড়ি বন্দরে এসেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রপ্তানি পণ্য নিয়ে ট্রাকগুলো বন্দরে এসেছে।’
এদিকে ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সূত্রে জানা গেছে, ছুটির মধ্যেও দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক ছিল। যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই সীমান্ত অতিক্রম করতে পেরেছেন
১১ দিন আগে
রাইস ব্রান তেল রপ্তানিতে ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ
দেশের অভ্যন্তরে সরবরাহ নিশ্চিত করতে সব ধরনের রাইস ব্রান তেল রপ্তানিতে ২৫ শতাংশ হারে রেগুলেটরি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এতে বলা হয়, ভোজ্যতেল একটি অপরিহার্য খাদ্যপণ্য, যার সরবরাহ মূলত আমদানি নির্ভর। দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের চাহিদার সিংহভাগ পূরণ হয় অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিপূর্বক পরিশোধন কার্যক্রম থেকে।
‘তবে দেশে এক লাখ ২০ থেকে দেড় লাখ মেট্রিক টন রাইস ব্রান তেল(পরিশোধিত/অপরিশোধিত) উৎপাদিত হলেও তার সিংহভাগ প্রতিবেশি দেশে রপ্তানি হয়ে যায়। অত্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মত এই তেল দেশের ভোজ্যতেলের অভ্যন্তরীণ চাহিদার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মেটাতে সক্ষম।’
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত শুল্কারোপ, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল অমদানি বন্ধ
এনবিআর বলছে, ‘দেশে উৎপাদিত রাইস ব্রান তেল দেশের অভ্যন্তরে সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হবে মর্মে আশা করা যায়। এ উদ্দেশ্যে ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে সব ধরনের রাইস ব্রান তেল রপ্তানিতে ২৫ শতাংশ হারে রেগুলেটরি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন আজ জারি করা হয়েছে।’
৬৭ দিন আগে
রপ্তানিতে আশা জেগেছে বাগেরহাটের চাষিদের, টমেটো যাচ্ছে মালয়েশিয়ায়
বাগেরহাটে শীত মৌসুমের শেষ দিকে এসে টমেটোর ক্রেতা খুব একটা পাওয়া যাচ্ছিল না। হাট-বাজারে টমেটোর যেন ছড়াছড়ি। চাহিদা কমে যাওয়ায় কোনো কোনো চাষি জমি থেকে টেমেটো তোলা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিলেন। চাহিদা মতো মূল্য না পাওয়ায় চাষিরা টমেটো চাষে আগ্রহ হারাতে বসেছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে বাগেরহাটের টমেটো চাষিদের ভাগ্যে খুলতে শুরু করেছে।
ভাগ্য বদলের সূচনাটি হয়েছে বিদেশে টমেটো রপ্তানির মাধ্যমে। বাগেরহাট থেকে বিদেশে টমেটো রপ্তানি এটিই প্রথম উদ্যোগ। এরই মধ্যে বাগেরহাটের চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় করে ৪০ টন টমেটো মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করা হয়েছে। দেশি বায়ারের মাধ্যমে এসব টমেটো রপ্তানি করা হয়। আগামী ৪দিনের মধ্যে আরও ২৬ টন টমেটো রপ্তানির প্রস্তুতি চলছে। রপ্তানির খবরে চাষিরা টমেটো চাষে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। রপ্তানিকারকদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন এলাকার টমেটো চাষিদের যোগাযোগ করার কাজ চলছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে। টমেটোর পাশাপাশি আগামীতে বাগেরহাট থেকে নানা ধরণের সবজি বিদেশে রপ্তানি হবে— এমন আশার কথা শুনিয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা প্রকৌশলী ফয়সাল আহম্মেদ।
যেসব জাতের টমেটো বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে, বাহুবলী, বিউটিফুল-২,বিপুল প্লাস, পিএম-১২২০, এবং মিন্টু সুপার। এসব টমেটো উচ্চ ফলনশীল জাতের এবং সুস্বাদু।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জের পাটলাই নদীতে নৌজটের পেছনে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট
বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, মোল্লাহাট ও ফকিরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েকদিন ধরে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,বিভিন্ন এলাকায় জমিতে এবং মৎস্যঘেরের পাড়ে গাছে গাছে কাঁচা-পাকা টমেটো ঝুলছে। অনেক জমিতে নারী-পুরুষ মিলে গাছ থেকে পাকা টমেটো তুলছেন। আবার মূল্য কম থাকার কারণে কোনো কোনো জমির টমেটো না তোলায় গাছে শুকিয়ে ঝরে পড়ছে। হাট-বাজারে টমেটোর ছড়াছড়ি। ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে হ্যান্ডমাকিং করে টমেটো বিক্রি করা হচ্ছে। হাটে-বাজারে খুচরা কেজি প্রতি টমেটো ৮ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও পাইকারিতে এর অর্ধেক দামে টমেটো বিক্রি হচ্ছে। প্রতি বছরই বাগেরহাটে শীত মৌসুমের এই পর্যায়ে (ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে) চাষিদের টমেটো বিক্রি করতে বেগ পেতে হয়। একারণে চাষিরা দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট থেকে টমেটো রপ্তানির জন্য দাবি জানিয়ে আসছিল।
বাগেরহাট কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় এবছর দুই হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের টমেটো চাষ করা হয়েছে। হেক্টর প্রতি ৩৫ টন টমেটো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেই হিসেবে জেলায় এবছর ৭৭ হাজার ৩৫০ টন টমেটো উৎপাদন হওয়ার কথা। কিন্তু টমেটো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। হেক্টর প্রতি ৪০ টন পর্যন্ত টমেটো উৎপাদন হয়েছে। এখনও গাছে গাছে টমেটো ঝুলছে। একথায় বাগেরহাটে টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চিতলামারী উপজেলায় ৮৬০ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ করা হয়।
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শ্যামপাড়া গ্রামের মাধব মন্ডল জানান, এবছর সে তিন বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছেন তিনি। টমেটোর ফলন ভালো হয়েছে। টমেটোর চাহিদা না থাকায় বিক্রি করতে পারছেন না। একারণে পাকা টমেটো ঝরে পড়ছে মাটিতে। টমেটো চাষ করে এবছর তাকে লোকসান গুনতে হবে।
চিতলমারীর চড়বানিয়ারি গ্রামের আরেক চাষি শৈলেন নাথ জানান, মৌসুমের প্রথম দিকে পাইকারি বাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে টমেটো বিক্রি করেছে। তার ৮ বিঘা জমিতে গাছে গাছে পাকা টমেটো ঝুলছে। এখন পাইকারি বাজারে ৩ থেকে চার টাকা কেজি দরে টমেটো বিক্রি করতে হচ্ছে। যে দামে টমেটো বিক্রি হচ্ছে তাতে করে টমেটো তুলতে শ্রমিকের মজুরির টাকা উঠছে না। একারণে টমেটো চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে। মৌসুমের শেষ দিকে এসে তার মতো এলাকার সব চাষিদের টমেটো নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। বিক্রি করতে না পারায় হাজার হাজার বিঘা জমিতে টমেটো নষ্ট হচ্ছে। টমেটো বিদেশে রপ্তানি করার দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ১৪৭ চিকিৎসকের বিপরীতে কর্মরত ১৪, যোগদান করেননি ৯ জন
৭২ দিন আগে
জুলাই-জানুয়ারিতে ২৩৫৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি
২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১২ শতাংশ। এই সময়ে মোট রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৫৫ কোটি মার্কিন ডলার। এটি দেশের রপ্তানি খাতে একটি ইতিবাচক প্রবণতাকে তুলে ধরে।
তবে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিসংখ্যানের তুলনায় ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
সোমবার বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, গত চার মাসে (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) টানা দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জনের পর ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশে। যেখানে এক মাসে রপ্তানি মূল্য ছিল ৩৬৬ কোটি ডলার।
নিটওয়্যার খাতে ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং ওভেন পোশাক রপ্তানিতে ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে বাংলাদেশের ৪৪৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি
প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানগুলো উত্সাহজনক হলেও সেগুলো শিল্পের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো বিশেষত দাম এবং ব্যয়ের চাপকে পুরোপুরি প্রতিফলিত করে না।
রুবেল বলেন, এই প্রবণতাকে প্রভাবিত করে এমন নির্দিষ্ট কারণগুলো যেমন বাজার-নির্দিষ্ট কর্মকাণ্ড, পণ্য এবং বাজারের ঘনত্ব এবং অন্যান্য পরিবর্তনগুলো শনাক্ত করার জন্য আরও বিশ্লেষণ প্রয়োজন।
গত বছর বৈশ্বিক বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে সঙ্কুচিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার ফলে তীব্র মূল্য প্রতিযোগিতাও দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের জন্য কিছু সুযোগ রয়েছে।
রুবেল বলেন, তবে জ্বালানি নিরাপত্তা এবং আর্থিক/ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতাসহ ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে সহায়তার জন্য বেশ কয়েকটি অগ্রাধিকার মোকাবিলা করা দরকার।
৭৩ দিন আগে
জানুয়ারিতে বাংলাদেশের ৪৪৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ৪৪৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
এছাড়া চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এটিও আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই সময়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল আড়াই হাজার কোটি ডলার।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ের রপ্তানি কার্যক্রমের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। সর্বশেষ তথ্য-উপাত্ত বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের স্থিতিস্থাপকতা ও প্রতিযোগিতার সক্ষমতা প্রদর্শন করে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তুলে ধরেছে।
অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে অধিকাংশ খাতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি বেড়েছে ১২ শতাংশ, নিটওয়্যার ১২ শতাংশ এবং বুনন পোশাক খাতে ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এ সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৩৫০ কোটি ডলারের।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে রপ্তানির ভিত্তি শক্তিশালী করুন: ড. ইউনূস
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষি পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত মাছ এবং প্লাস্টিক পণ্যসহ অন্যান্য প্রধান রপ্তানি খাতেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়।
রপ্তানি সম্পর্কে একটি আনুষ্ঠানিক মন্তব্যে ইপিবি বলেছে, এই উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যটি বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।
৭৩ দিন আগে
আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও হিলি স্থলবন্দরে যাত্রী পারাপার চলছে
ভারতে ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে বন্ধ রয়েছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। তবে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে পুনরায় শুরু হবে আমদানি-রপ্তানি।
এদিকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
বন্দরের হিলি কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান জানান, আজ (রবিবার) ভারতে ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপিত হচ্ছে। সেখানে সরকারি ছুটি থাকায় ভারতের ব্যবসায়ীরা হিলি স্থলবন্দরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নেন। বিষয়টি আমাদের পত্রের মাধ্যমে জানান।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম জানান, বন্দরে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ব্যবহার করে বৈধ পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে যাত্রীরা দুই দেশের মধ্যে চলাচল করেন। ফলে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান থেকে ১ লাখ টন চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ
বন্দরের হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম জানান, বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের ওয়্যারহাউজে থাকা ভারতীয় আমদানি করা পণ্যবাহী ট্রাক থেকে খালাস কার্যক্রমসহ আমাদের অফিশিয়াল কাজকর্ম স্বাভাবিক নিয়মে চলছে।
এ কারণে ব্যবসায়ীরা শুল্ককর পরিশোধ করে তাদের পণ্য ছাড় করে গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান মো. শফিউল আলম।
৮১ দিন আগে
বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে রপ্তানির ভিত্তি শক্তিশালী করুন: ড. ইউনূস
প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে সামগ্রিক রপ্তানি বাড়াতে সেবা খাতে আরও বেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে রপ্তানির ভিত্তি শক্তিশালী করতে দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘আমাদের রপ্তানি বাড়াতে হবে। এটি বাড়াতে পণ্যের পাশাপাশি সেবা খাতে আরও বিনিয়োগে সব ব্যবসায়ীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বুধবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৫ এর উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উদ্যোক্তাদের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, রপ্তানিযোগ্য পণ্য উৎপাদন করা গুরুত্বপূর্ণ। তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো পণ্যটির তৈরি করেছে তা জানা জরুরি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবছরই 'প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার' ঘোষণা করা হয়ে থাকে। এ বছর বর্ষসেরা পণ্য হলো ফার্নিচার পণ্য।
ড. ইউনূস বলেন, এই প্রক্রিয়ার পাশাপাশি তিনি 'এন্টারপ্রেনার অব দ্য ইয়ার' চালু করতে চান, যাতে সবাই জানতে পারে যে এই পণ্য কারা উৎপাদন করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা বৈচিত্র্যময় পণ্যের উপস্থিতির মাধ্যমে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পণ্যগুলোর প্রচারে সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) ইতোমধ্যে বৈশ্বিক পোশাক বাজারে নেতৃস্থানীয় অবস্থান তৈরি করেছে।
ড. ইউনূস বলেন, রপ্তানি বাণিজ্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি দারিদ্র্য ও বেকারত্ব নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ‘এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যুতে ড. ইউনূসের শোক
মাসব্যাপী এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবছরের মতো এবারও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে।
এবারের বাণিজ্য মেলায় প্রথমবারের মতো বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল বা প্যাভিলিয়নের জন্য স্পেস অনলাইনে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মেলায় প্রথমবারের মতো ই-টিকেটিং সুবিধাও চালু করা হয়েছে।
মেলায় ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসির ডেডিকেটেড বাস সার্ভিসের পাশাপাশি উবার সেবার থাকছে বিশেষ ছাড়।
এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে তৈরি করা হয় 'জুলাই চত্বর' ও 'ছত্রিশ চত্বর'।
দেশের তরুণ সমাজকে রপ্তানি বাণিজ্যে উৎসাহিত করতে একটি ইয়ুথ প্যাভিলিয়নও স্থাপন করা হয়েছে। এ বছর মেলায় সম্ভাবনাময় খাত/পণ্যভিত্তিক সেমিনার আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিদেশি উদ্যোক্তা ও অংশগ্রহণকারীদের সুবিধার্থে থাকবে পৃথক সোর্সিং কর্নার, ইলেকট্রনিক্স ও ফার্নিচার জোন।
বয়সভিত্তিক দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে টেকনোলজি কর্নার স্থাপন করা হয়েছে এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সিটিং কর্নার থাকবে।
বিশুদ্ধ বিনোদন নিশ্চিত করতে মেলায় একটি শিশুপার্কও রয়েছে।
পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে টানা চতুর্থবারের মতো এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মেলার সাজানোর নকশা অনুযায়ী দেশীয় উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান, সাধারণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৩৬১টি প্যাভিলিয়ন/স্টল/রেস্তোরাঁ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ আমাদের নেই: অধ্যাপক ইউনূস
১০৬ দিন আগে
ইইউ'র পোশাক আমদানি কমেছে ৩.৬৩ শতাংশ, বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে ৩.৫৩ শতাংশ
পোশাক আমদানি কমিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ পোশাক আমদানি কমেছে। এটি পোশাকের ব্যবহার হ্রাসের বিস্তৃত বৈশ্বিক প্রবণতাকে তুলে ধরে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট আমদানি ৬১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমে ৫৯.৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) অন্যতম শীর্ষ পোশাক সরবরাহকারী বাংলাদেশের রপ্তানি ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমেছে।
এই হ্রাস ইইউ পোশাকের চাহিদার সামগ্রিক হ্রাসকে প্রতিফলিত করে, তবে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে গতিশীলতার পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্নও রয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিক অসন্তোষে পোশাক শিল্পে ক্ষতি ৪০০ মিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দেশ চীনের পোশাক রপ্তানি ৪ দশমিক ১০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৫৬২ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। তুরস্ক ও ভারতের মতো অন্যান্য প্রধান সরবরাহকারীদেরও রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে। তুরস্কের রপ্তানি ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ কমে ৬ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং ভারতের ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ করে ৩ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ভিয়েতনামের ২ দশমিক ০৯ শতাশ কমে রপ্তানি মোট ২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
বিপরীতে কিছু দেশ নিম্নমুখী প্রবণতা কাটিয়ে উঠেছে। ইইউতে কম্বোডিয়ার রপ্তানি ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ, পাকিস্তানে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ এবং মরক্কোতে ৬ দশমিক ০৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা বৈশ্বিক পোশাক বাজারে সোর্সিং পছন্দের সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
মূল সরবরাহকারীদের মধ্যে এই বৈচিত্রগুলো বিশ্বব্যাপী পোশাক সরবরাহ শৃঙ্খলে সামান্যই পরিবর্তনের পরামর্শ দেয়।
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের পেনশন চালু করার পরিকল্পনা সরকারের: আসিফ
১৭৭ দিন আগে
১১ চালানে ভারতে রপ্তানি হলো ৫৩৩ টন ইলিশ
বেনাপোল, ১৩ অক্টোবর (ইউএনবি)-
বাংলাদেশ সরকারের ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ পাঠানোর ঘোষণার বিপরীতে বন্দর দিয়ে ১১ চালানে ভারতে সর্বমোট ৫৩৩ টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে।
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত ১০টা পর্যন্ত ১১ ট্রাকে ৩৬ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, বেনাপোল দিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত ১০টা পর্যন্ত ১১ চালানে ৫ লাখ ৩৩ হাজার কেজি অর্থাৎ ৫৩৩ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২২ দিনের শিকার নিষেধাজ্ঞায় চাঁদপুরে রেকর্ড দামে ইলিশ বিক্রি, হতাশ হয়ে ফিরছেন ক্রেতারা
২০টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ১৬৮টি ট্রাকে করে পেট্রাপোল বন্দরে ভারতে এই ইলিশের চালান পাঠানো হয়েছে বলে বন্দর সূত্রে জানা যায়।
বন্দর সূত্রে আরও জানা যায়, যার প্রতিকেজি ইলিশ রপ্তানি মূল্য ১০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার ১৮০। যেখানে মোট ডলার আসে ৫৩ লাখ ২০ হাজার। যা বাংলাদেশি প্রায় ৬৩ কোটি টাকা।
শনিবার (১২ অক্টোবর) বেনাপোল মাছ বাজারে এক কেজির নিচে ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়।
কেজির ওপরে বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায়। একই আকারের ইলিশ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কমে ভারতে রপ্তানি হয়েছে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে বেনাপোল স্থলবন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রের কর্মকর্তা আসওয়াদুল কম দামে ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগের বলে দাবি করেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ১২ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছিল। সেই অনুযায়ী শেষদিনে শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত ১০টা পর্যন্ত ১১টি ট্রাকে ৩৬ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১১ চালানে ভারতে ৫ লাখ ৩৩ হাজার কেজি অর্থাৎ ৫৩৩ টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪৭৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৯টি চালানে ভারতে ৪৫৯ টন ইলিশ রপ্তানি
১৮৬ দিন আগে