রপ্তানি
৪ দিন পর বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ইন্টারনেট সংযোগ চালু হওয়ায় চার দিন পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়, পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে ভোগান্তি
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বেনাপোল দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম এবং বন্দর থেকে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে যায়। এতে বন্দরে সহস্রাধিক পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকা পড়ে।’
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল চার দিন। তবে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক থাকলেও অন্যান্য দিনের চেয়ে যাত্রী যাতায়াত ছিল অনেক কম।’
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘চার দিন ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছিল বেনাপোল বন্দরের সব কার্যক্রম। তবে বুধবার সকাল থেকে ইন্টারনেট সংযোগ চালু হওয়ায় পুনরায় দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।’
আরও পড়ুন: বেনাপোলের দৌলতপুর সীমান্তে ৯টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বেনাপোলে পাসপোর্ট যাত্রীদের ওপর পুলিশের ‘লাঠিচার্জ’, আহত ১০
চাল আমদানি নয়, ভবিষ্যতে আমরা রপ্তানি করব: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘চাল আমদানি নয়, ভবিষ্যতে আমরা রপ্তানি করব। বিগত দুই বছর সরকার চাল আমদানি করেনি। এবারও চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না।’
রবিবার (৭ জুলাই) সাপাহার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: মিনিকেট নামে কোনো ধান নেই, চালও নেই: খাদ্যমন্ত্রী
কৃষি প্রণোদনা সরকারের পরিকল্পিত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি প্রণোদনা দিয়ে- ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের পাশে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কৃষিকে প্রযুক্তিবান্ধব করতে কাজ করে যাচ্ছেন। যে প্রণোদনা আজ বিতরণ করা হচ্ছে সেটা সঠিক ব্যবহার হলে বেশি জমিতে চাষাবাদ আর উৎপাদন বাড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত চিন্তাধারায় অল্প জমিতে বেশি ফসল ফলাতে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। অধিক জনসংখ্যার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার কৃষকের জন্য আশির্বাদ। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক পতিত জমিতেও এখন চাষাবাদ হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু কৃষকের উৎপাদন খরচের খবর কেউ নিচ্ছে না। দাম বাড়লে ভোক্তার সমস্যা আর পণ্যের দাম কমলে কৃষকের সমস্যা।’
উৎপাদন খরচ না উঠলে কৃষক উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অধীনে ভর্তুকি মূল্যে চাল আটা বিক্রি করা হচ্ছে।’
এর আগে তিনি সাপাহার উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করেন এবং স্টল পরিদর্শন করেন।
পরে খাদ্যমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে সরকারি আমন প্রণোদনা বিতরণ করেন এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক ও বাইসাইকেল বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: জীবনে বড় হতে হলে বইকে আপন করতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাঙালি সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
রপ্তানি তথ্যে অসঙ্গতির জন্য এনবিআর ও ইপিবিকে দায়ী করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
দেশের রপ্তানি আয়ের হিসাব থেকে শত শত কোটি ডলারের তথ্য মুছে ফেলার ব্যাখ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, রপ্তানি তথ্যের হিসাবে অসঙ্গতির জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) দায়ী।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেরিফিকেশন সিস্টেমে গত দুই অর্থবছরে ২০ মাসে আনুমানিক ২৩ বিলিয়ন ডলারের গরমিল পাওয়া গেছে।
সরকারকে দেওয়া এক আনুষ্ঠানিক চিঠিতে এ ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, এই বিশাল ঘাটতির সঙ্গে দেশের বিভিন্ন আর্থিক পরিসংখ্যান উল্টে গেছে।
আরও পড়ুন: সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
রপ্তানি কমে যাওয়ায় চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত থেকে ঘাটতিতে চলে গেছে। আর রপ্তানির বিপরীতে রেমিট্যান্স আসার লক্ষ্যমাত্রা কমে যাওয়ায় রাজস্ব খাতে ঘাটতি থেকে উদ্বৃত্ত হয়েছে।
ওই চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, এক বৈঠকে এনবিআরের প্রতিনিধি ইতোমধ্যে তাদের পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছেন। সেখানে তিনি জানান, একই পণ্য রপ্তানির জন্য একাধিক রপ্তানি হিসাব রয়েছে, যা সার্ভারে নতুন করে ইনপুট দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংক তফসিলি ব্যাংকের শাখা থেকে রপ্তানি আয়ের তথ্য সংগ্রহ করে। ফলে ডাটা ও প্রকৃত রপ্তানির মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংগ্রহ করা এবং ইপিবি প্রকাশিত রপ্তানি তথ্যের মধ্যে অসঙ্গতির কারণ চিহ্নিত করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলেছে, একই রপ্তানি তথ্য এবং পণ্যের এইচএস কোড একাধিকবার ইনপুট করা হয়েছে।
পণ্যের কাটিং, মেকিং ও ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু ম্যানুফ্যাকচারিং চার্জ দিতে হয়। তবে কাপড়সহ সব অংশের হিসাব রেখেছে ইপিবি। ইপিবি অনেক সময় নমুনা পণ্যের দামও ইনপুট করেছে, যা নমুনা পণ্যের মূল্য হিসেবে আসার কথা নয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নেট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
উন্মুক্ত চীনের বাজার: বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ানোর কৌশল
বিভিন্ন পদ্ধতিগত ও কৌশলগত কারণে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনে শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার থেকে লাভবান হওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বাধার সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশি রপ্তানি বাড়াতে চীনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সইয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে, চীনে গুনগত, মানসম্পন্ন ও বৈচিত্র্যময় পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ অতিরিক্ত ২৭ বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারে এবং এর বাজার শেয়ার এক শতাংশে উন্নীত হতে পারে। তবে এই প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাধার বিষয়ও তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এর মধ্যে একটি প্রধান বাধা হলো তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতের ওপর বাংলাদেশের অতিমাত্রায় নির্ভরতা। যদিও চীন ১০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করে। তবে উচ্চ-মানের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশের অক্ষমতা তার রপ্তানি অর্জনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন: ভালো প্রতিবেশী, ভালো বন্ধু, ভালো অংশীদার: বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নিয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
র্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যে শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হচ্ছে চীন। আর বাংলাদেশের রপ্তানি ৮৪ শতাংশ তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরশীল।’
ড. রাজ্জাক বলেন, ইতালি ও ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে উন্নতমানের পোশাককে অগ্রাধিকার দেয় চীন এবং এ ধরনের প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে। চীনের বাজারে প্রবেশ করতে হলে বাংলাদেশকে অবশ্যই রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে হবে এবং পণ্যের গুণগত মান উন্নত করতে হবে।
তিনি চীনমুখী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা এবং বাণিজ্য চুক্তি সইসহ কার্যকর নীতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বাধাগুলো হলো:
- চীনা খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাব।
- বিপণন, বিক্রয় ও বিক্রয়োত্তর পরিষেবাগুলোতে অপর্যাপ্ত অংশগ্রহণ।
- সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত বাধা
- চীনা লেবেলিং ও প্যাকেজিংয়ে কঠোর প্রবিধান।
ড. রাজ্জাক মূল্য প্রতিযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, একই মানের বাংলাদেশি পণ্যের তুলনায় চীনা পণ্যের দাম অনেক সময় কম থাকে। চীনের ক্রমবর্ধমান ই-কমার্স খাত আরেকটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। কারণ এই বাজারে কার্যকরভাবে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের আরও দক্ষতার প্রয়োজন।
ড. রাজ্জাক মনে করেন, বাংলাদেশে ম্যানুফ্যাকচারিং হাব স্থাপনে চীনা বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হতে পারে। এসব কারখানা চীন ও অন্যান্য দেশে রপ্তানির জন্য পণ্য উৎপাদন করতে পারত। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ বাড়বে।
আরও পড়ুন: চীনে ৮-১০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর ঘোষণা বেইজিংয়ের
একই কথা বলেছেন বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন মৃধা। তিনি উল্লেখ করেন, চীনের কিছু বিনিয়োগকারী চীনা পণ্যের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য বাজার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের উৎপাদন শিল্প বাংলাদেশে স্থানান্তরের কথা বিবেচনা করছে।
চীনের আরও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ৮ থেকে ১০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফরকালে বেইজিংয়ে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে চীনা কারখানা স্থাপনের ফলে চীনে বাংলাদেশি রপ্তানির পরিমাণ বাড়বে বলে আশা করছেন মৃধা।
বর্তমানে বাংলাদেশ চীন থেকে বছরে প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি করে এবং চীনে রপ্তানি ১ বিলিয়ন ডলারের নিচে রয়েছে। এই বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা মোকাবিলায় চীনা বিনিয়োগকারীদের সিরামিক, চামড়া, ওষুধ, বৈদ্যুতিক গাড়ি, উচ্চমানের পোশাক ও গৃহস্থালি সরঞ্জামের মতো খাতে লাভজনক প্রণোদনা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ।
চীনের বাজারে বাংলাদেশের প্রবেশাধিকার বাড়ানোর জন্য কৌশলগত বহুমুখীকরণ, গুণগত মানোন্নয়ন ও শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি প্রয়োজন। আসন্ন শীর্ষ সম্মেলন এবং সম্ভাব্য চীনা বিনিয়োগ রপ্তানি বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করতে পারে। যা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে উপকৃত করবে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর: বিজনেস সামিটে ৭০০ কোটি ডলারের তহবিল চাইবে বাংলাদেশ
রপ্তানি প্রণোদনা কমালে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে: ব্যবসায়ী নেতারা
চলতি অর্থবছরে প্রায় সব খাতে রপ্তানি প্রণোদনা কমানোর সরকারি সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
তারা বলছেন, সরকার এই পদক্ষেপের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছে ২০২৬ সালে দেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণের পরে রপ্তানি ভর্তুকি পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবে।
আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের ওপর চাপ কমানো এবং রপ্তানিকারকদের সক্ষমতা বাড়িয়ে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে প্রস্তুত হতে উৎসাহিত করাও এ পদক্ষেপের লক্ষ্য।
তবে এ বিষয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) কার্যকরী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
তার মতে, এই পদক্ষেপের প্রভাব পড়বে দেশের প্রধান রপ্তানি আয়ের উৎস পোশাক খাতের ওপর।
হাতেম এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে বলেন, ‘পোশাক খাত এখন আইসিইউতে রয়েছে। যথাযথ চিকিৎসা না দিলে শিগগিরই লাইফ সাপোর্টে রাখতে হবে।’
তার মতে, এই মুহূর্তে রপ্তানি প্রণোদনা কমানো মানে এ খাতকে গলা টিপে হত্যা করা।
তবে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম কিছুটা ভিন্ন মত পোষণ করেছেন।
সোমবার এ বিষয়ে তিনি ইউএনবিকে বলেন, বৈশ্বিক প্রতিযোগীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করতে সরকার রপ্তানি ভর্তুকি কমিয়েছে।
তবে দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে রাষ্ট্রীয় সহায়তা এবং প্রণোদনা উভয়ই প্রয়োজন।
এই সিদ্ধান্তের প্রভাব কিছু খাতকে প্রভাবিত করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার বিকল্প উপায়ে এটি কভার করতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘বাজারের এই মাথা-ওই মাথা ঘুরছি, কিছু কিনতে পারছি না’
তবে তিনি উল্লেখ করেন, অনেক স্থানীয় শিল্প উচ্চ সুদের হার এবং উচ্চ ইউটিলিটি বিলের কারণে হিমশিম খাচ্ছে, যা উৎপাদন ব্যয় বাড়াচ্ছে।
তাই রপ্তানি খাতে টিকে থাকতে হলে স্থিতিশীল বিনিময় হার ও স্বস্তিদায়ক হারে জ্বালানি সরবরাহ অপরিহার্য।
গত ৩০ জুন এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে রপ্তানি প্রণোদনার সর্বোচ্চ হার ১০ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সব বাজারে পোশাক প্রস্তুতকারকদের নগদ সহায়তা শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে অর্ধেক করে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। নতুন বাজারে প্রবেশের জন্য নগদ ভর্তুকি ৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে।
এই কম রপ্তানি প্রণোদনা পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত মাছ ও কৃষিজাত পণ্যসহ অন্যান্য বিভিন্ন খাতের জন্য প্রযোজ্য হবে। ৩০ জুন পর্যন্ত এটির হার ছিল ১৫ শতাংশ।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির আগে তারা ২০ শতাংশ প্রণোদনা পেতেন। তবে ক্রাস্ট চামড়া রপ্তানিতে ৬ শতাংশ প্রস্তাব করেছে সরকার।
বর্তমানে ৪৩টি খাত এই সহায়তা পেয়ে থাকে। গত তিন বছরে সরকার বার্ষিক প্রায় ৯ হাজার ২৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।
আরও পড়ুন: নিত্যপণ্যের দাম নাগালে রাখতে সাপ্লাই-চেইন স্থিতিশীল রাখুন: এফবিসিসিআই
২০২৭ সালের মধ্যে রপ্তানি ১১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীতকরণের খসড়া নীতিমালায় মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন
বার্ষিক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৮০ বিলিয়ন ডলার থেকে ১১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে 'রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭' এর খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার (১৫ মে) কমিটির এক বৈঠকে এই নীতিমালায় অনুমোদন দেওয়া হয়।
বিদেশ থেকে ফেরার পর করোনা পজিটিভ হওয়ায় সভায় ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসেন খান বলেন, নতুন খসড়া রপ্তানি নীতিতে এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে দেশে আসন্ন চ্যালেঞ্জসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য খসড়া নীতিমালাটি মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্পখাত ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় অর্জনে দৃঢ়ভাবে প্রত্যয়ী: বিজিএমইএ সভাপতি
সচিব আরও বলেন, 'আমরা ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ করতে যাচ্ছি এবং রপ্তানি খাতে কিছু নতুন চ্যালেঞ্জ আসছে। কোন খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত এবং কোন পণ্যের ব্র্যান্ডিং প্রয়োজন, নতুন নীতিমালায় সেগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’
এছাড়াও নতুন কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নতুন রপ্তানি নীতিতে অন্তর্ভুক্ত নতুন উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- কোভিড-১৯ এর প্রভাব থেকে উত্তরণের কৌশল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদান, নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ।
মাহমুদুল হোসেন খান বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের রপ্তানি বাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে এবং রপ্তানিকারকদের আর্থিক প্রণোদনার বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজতে নতুন রপ্তানি নীতিমালায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও সম্ভাব্য রপ্তানি পণ্য হিসেবে শাকসবজি, হস্তশিল্প, ডাইং এবং প্রিন্টিংয়ের মতো কিছু নতুন পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ওষুধ ও সরঞ্জাম উৎপাদনের বিষয়ে নতুন নীতিতে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ
মে দিবস উপলক্ষে হিলিতে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
মে দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (১ মে) সকালে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুর রহমান লিটন বলেন, মে দিবস উপলক্ষে সরকারিভাবে ছুটি থাকায় দিবসটি উদযাপনে দুই দেশের পরিবহণ শ্রমিক, মালিক ও ব্যবসায়িরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার থেকে আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আশরাফুল বলেন, মে দিবস উপলক্ষে বন্দরে পণ্য আনা-নেওয়াসহ অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও প্রতিদিনের মতো আজও হিলি চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বৈধ পাসপোর্ট- ভিসায় যাত্রীরা চলাচল করছেন।
প্রসঙ্গত, ১৮৮৬ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকেরা আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ওইদিন তাদের আত্মদানের মধ্যে দিয়ে শ্রমিক শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য শ্রমিকদের আত্মত্যাগের এই দিনকে তখন থেকেই সারা বিশ্বে ‘মে দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি আম আমদানিতে আগ্রহী চীন
ভোমরা স্থলবন্দরে ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে। তবে এ সময়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান বলেন, ভোমরা বন্দরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ও ভারত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতারা একত্রে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন। বুধবার থেকে রবিবার পর্যন্ত উভয় দেশের বন্দরের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজরিহা হোসাইন বলেন, রবিবার থেকে যথারীতি এ বন্দরের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ২ দিন
বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
মার্চে ৫১০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ: ইপিবি
চলতি বছরের মার্চে ৫১০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি।
মঙ্গলবার(২ এপ্রিল) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
এতে দেখা যায় যায়, গত চার মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে ৫ বিলিয়ন ডলার।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯ মাসে ৪ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে তৈরি পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য ও প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি এখন পর্যন্ত বেড়েছে। অন্যদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল এবং প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে।
ফলে সার্বিক পণ্য রপ্তানির প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা কম।
আরও পড়ুন: পর্তুগালের এআইসিইপি’র সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সমঝোতা স্মারক সই করল ইপিবি
২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ৩ হাজার ৭২০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া ৭৯ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ কম।
গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) মোট ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ৬ হাজার কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হলেও মার্চ মাসের শেষে পণ্য রপ্তানিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ পিছিয়ে ছিল।
আরও পড়ুন: ১১ মাসে রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ৫০.৫২ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: ইপিবি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ২ দিন
সোমবার ভারতের দোলযাত্রা ও মঙ্গলবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকবে দুই দিন।
তবে সোমবার ভারতের সরকারি ছুটি থাকায় আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস প্রক্রিয়াসহ পণ্য ওঠানামা এবং দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী ও বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, দোলযাত্রা বা দোল পূর্ণিমা এই উৎসব ‘হোলি’ নামে পরিচিত। অশুভ শক্তির বিনাশ হিসেবে ‘হোলি উৎসব’ হয়। এই উৎসবের কারণে সোমবার আমদানি ও রপ্তানিসংক্রান্ত কাজকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত সিঅ্যান্ডএফ মালিক, কর্মচারি, হ্যান্ডলিং শ্রমিক, ট্রাকচালকরা নিজ নিজ এলাকায় ফিরে গেছেন। এ ছাড়া মঙ্গলবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দুই দেশের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকবে। বুধবার সকাল থেকে পুরোদমে আবারও চলবে কার্যক্রম।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘ভারতে হোলি উৎসব ও বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবসে ছুটি থাকায় সোমবার ও মঙ্গলবার বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে সোমবার বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও বন্দরে কার্যক্রম চলবে। পণ্য খালাস করতে আসা ভারতীয় খালি ট্রাকগুলো ওপারে ফেরত যেতে কোনো বাধা নেই। বুধবার সকাল থেকে এ বন্দর দিয়ে যথারীতি আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, এ পথে সোমবার ও মঙ্গলবার দুই দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।
আরও পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে ৮৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের
ভুটানের বিনিয়োগকারীদের জন্য কুড়িগ্রামে ১৯০ একর জমি দেবে বাংলাদেশ, আলোচনা চলছে জলবিদ্যুৎ আমদানির