প্রবল বৃষ্টি
চীনে বন্যায় নিহত ২০, নিখোঁজ ২৭
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের আশেপাশের অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিতে অন্তত ২০ জন নিহত ও ২৭ জন নিখোঁজ হয়েছেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে দেশটির সরকার। প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়ে গেছে, গাছ উপড়ে পড়েছে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বেইজিং শহরতলির স্কুল ও অন্যান্য সরকারি ভবন এবং নিকটবর্তী তিয়ানজিন ও ঝুওঝৌ শহরে হাজার হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বন্যার তীব্রতা চীনের রাজধানীকে অবাক করে দিয়েছে। বেইজিংয়ে সাধারণত শুষ্ক গ্রীষ্মকালই দেখা যায়। তাছাড়া এ বছর ছিল রেকর্ড পরিমাণ তাপ।
অন্যান্য অঞ্চল, বিশেষ করে চীনের দক্ষিণাঞ্চলে অস্বাভাবিকভাবে মারাত্মক গ্রীষ্মকালীন বন্যা দেখা দিয়েছে, যার ফলে বহু মানুষ মারা গেছে। এদিকে, দেশের অন্যান্য অংশ খরার সঙ্গে লড়াই করছে।
আরও পড়ুন: চীনে বন্যায় ১১ জন নিহত, ২৭ জন নিখোঁজ
বেইজিংয়ের পশ্চিম প্রান্তের মেনটুগু জেলার রাস্তায় জমে থাকা কাদা পানিতে দুর্ঘটনায় পড়ছে গাড়ি।
বেইজিংয়ে ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং কর্তৃপক্ষ নিখোঁজ ২৭ জনকে খুঁজছে বলে সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে। রাজধানীকে ঘিরে থাকা হেবেই প্রদেশে ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ফিনিক্স টিভি তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, রাজধানীর ফাংশান জেলার প্রায় ৬০ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সিনহুয়া জানিয়েছে, বেইজিংয়ের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ঝুওঝৌতে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিতে বন্যায় ১৫ জনের মৃত্যু, নয়াদিল্লির স্কুল বন্ধ
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং স্থানীয় সরকারগুলোকে আটকা পড়াদের উদ্ধার এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে 'সর্বাত্মক প্রচেষ্টা' চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বেইজিংয়ের পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর তিয়ানজিনের সরকার জানিয়েছে, ইয়ংডিং নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে ৩৫ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
হেবেই প্রদেশের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার থেকে কোথাও কোথাও ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিছু এলাকায় ঘণ্টায় ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ইতালির প্রাণঘাতী বন্যা জলবায়ু বিপর্যয়ের সর্বশেষ চরমতম উদাহরণ
১ বছর আগে
ব্রাজিলে প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা ও ভূমিধস, নিহত কমপক্ষে ১৯
প্রবল বৃষ্টি কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে রবিবার কমপক্ষে ১৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। সৃষ্ট এই দুর্যোগের কারণে প্রায় ৫ হাজার পরিবার তাদের ঘর-বাড়ি হারিয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
রাজ্য সরকারের তথ্য অনুসারে, এমবু দাস আর্টেস শহরে ভূমিধসে একই পরিবারের তিনজন মারা গেছে। এছাড়া দমকলকর্মীরা আরও চারজনকে উদ্ধার করেছে।
সাও পাওলো রাজ্যের গভর্নর জোয়াও ডোরিয়া বলেছেন, ফ্রান্সিসকো মোরাতোতে চার শিশু মারা গেছে।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ফ্রাঙ্কো দা রোচায় আরও চারজন মারা গেছে। রিবেইরো প্রেটো এবং জাউতেও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: কঙ্গোয় জাতিসংঘের ২ বিশেষজ্ঞ হত্যা মামলায় ৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড
রাজ্যের দমকল বিভাগ জানিয়েছে, বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া লোকদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার রাজ্যের গভর্নর জোয়াও ডোরিয়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ২ কোটি ৮০ লাখ মাকিন ডলার সহায়তার ঘোষণা দেন।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি সড়ক ও মহাসড়ক বন্ধ হয়ে গেছে।
বৃষ্টির কারণে সাও পাওলো শহরে করোনভাইরাসের নির্ধারিত টিকাদান কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের মিনাস গেরাইস প্রদেশে ভারি বর্ষণে ১৯ জন মারা গেছে।
আরও পড়ুন: করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া
হন্ডুরাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন সিওমারা কাস্ত্রো
২ বছর আগে
কেরালায় প্রবল বৃষ্টিতে ভূমিধসে নিহত ৯
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা এবং ভূমিধসে কমপক্ষে নয়জন নিহত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বন্যা ও ভূমিধসে রাজ্যের কোট্টায়াম ও ইদুক্কি জেলায় কয়েক ডজন ঘরবাড়ি ভেসে যাওয়ায় আরও অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
শনিবার বিকাল থেকে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী এবং স্থানীয় পুলিশের পাশাপাশি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।
রাজ্য সরকারের এক কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে নয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, এখনো প্রায় ১২ জন নিখোঁজ রয়েছেন।’
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘খারাপ আবহাওয়ার কারণে কিছু এলাকায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।’
পড়ুন: কুমুদিনী হাসপাতালের জন্য ভারতের অ্যাম্বুলেন্স ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী উপহার
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এই পরিস্থিতে শনিবার উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক করেন এবং দুই জেলার কর্মকর্তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন।
ভারতের প্রধানবিরোধী দল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী মৃত্যুর ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি কেরালা রাজ্যের সংসদ সদস্য।
কেরালা এবং ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে এ বছর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। মহারাষ্ট্রে জুলাই মাসে ভূমিধসে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।
কেরালায় ২০১৮ সালের আগস্টে বন্যায় ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল, যাকে এক শতাব্দীর মধ্যে রাজ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা বলে মনে করা হয়।
পড়ুন: পদ্মা সেতু থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ভারতীয় যুবক ৬ দিনের রিমান্ডে
৩ বছর আগে
চট্টগ্রামে বৃষ্টিতে ড্রেনে পড়ে ২ কিশোরীর মৃত্যু
চট্টগ্রামে প্রবল বৃষ্টিতে ড্রেনে পড়ে গিয়ে ২ কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
৪ বছর আগে