ইউএনডিপি
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ৫ কৃষি-ইকোলজিক্যাল এলাকায় কাজ করবে ইউএনডিপি
বাংলাদেশে জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটির (জিইএফ) সহায়তায় একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ সরকার এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন কপ-২৯ সামনে রেখে ৫ নভেম্বর সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে ‘ইন্টেগ্রেটিং ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপটেশন ইন্টু সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পাথওয়েজ অব বাংলাদেশ’ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য এই চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করবে ইউএনডিপি ও নরওয়ে
চুক্তির আওতায় দেশের সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ পাঁচটি কৃষি ইকোলজিক্যাল এলাকায়, ইউএনডিপি ও বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু অভিযোজন নিয়ে কাজ শুরু করবে।
চুক্তিতে সই করেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী।
মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা প্রতিনিয়ত জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের সম্মুখীন হচ্ছি। এই বছরের অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত এবং প্রবল বন্যা এর উদাহরণ।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকারসহ অন্যান্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যদি এখনই আমরা পদক্ষেপ না নিই, তাহলে এর পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।’
স্টেফান লিলার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দরকার স্থানীয় সমাধান। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমরা স্থানীয় জনগণ ও স্থানীয় সরকারের জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াতে কাজ করছি, যা এসডিজি বাস্তবায়নে সাহায্য করছে।’
‘ইন্টেগ্রেটিং ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপটেশন ইন্টু সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পাথওয়েজ অব বাংলাদেশ’ এই উদ্যোগটি স্থানীয় সরকার এবং জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা সম্প্রদায়গুলোকে ‘স্থানীয় অভিযোজন পরিকল্পনা’ তৈরিতে সহায়তা করবে এবং স্থানীয়দের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ইউএনডিপির প্রতিনিধি এবং অন্যান্য অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দারিদ্র্যসীমার নিচে ৪ কোটি বাংলাদেশি: ইউএনডিপির প্রতিবেদন
দেশের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু ইউএনডিপির
১ সপ্তাহ আগে
দারিদ্র্যসীমার নিচে ৪ কোটি বাংলাদেশি: ইউএনডিপির প্রতিবেদন
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে এবং ৬ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ চরম ও ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অক্সফোর্ড পোভার্টি অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ যৌথভাবে 'গ্লোবাল মাল্টিডাইমেনশনাল পোভার্টি ইনডেক্স ২০২৪: পোভার্টি অ্যামিড কনফ্লিক্ট' শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: দেশের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু ইউএনডিপির
এতে বলা হয়, এটি বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার ও দরিদ্র জীবনযাত্রাকে ব্যাপকভাবে অবদান রাখছে। যা দারিদ্র্য সূচকের ৪৫ দশমিক ১ শতাংশ। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের কারণগুলোও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। যা যথাক্রমে ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ১৭ দশমিক ৩ শতাংশে ভূমিকা রাখে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী ১১০ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে, যার প্রায় অর্ধেক বাস করছে সংঘাত কবলিত অঞ্চলে। চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারীদের ৮৩ শতাংশই আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বসবাস করছে, যা আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জগুলোকে আরও তুলে ধরেছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় আশঙ্কাজনক ২৭ কোটি ২০ লাখ মানুষ এমন পরিবারে বাস করে যেখানে অন্তত একজন সদস্য অপুষ্টিতে ভুগছে। এই অঞ্চলে দারিদ্র্যকে আরও জটিল করে তোলে এমন গুরুতর স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির সমস্যাগুলোর উপর জোর দেয়।
ইউএনডিপির সর্বশেষ এই প্রতিবেদনে দারিদ্র্যের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করতে এবং বাংলাদেশ ও এর বাইরে লাখ লাখ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে লক্ষ্যভিত্তিক হস্তক্ষেপের জরুরি প্রয়োজনীয়তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করবে ইউএনডিপি ও নরওয়ে
৪ সপ্তাহ আগে
দেশের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু ইউএনডিপির
বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্টস সোসাইটির (বিএমএসএস) সহযোগিতায় মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) স্কলারশিপ চালু করেছে। দেশের জন্য নেওয়া এমন প্রথম প্রোগ্রাম এটি।
এতে করে আগ্রহী মেডিকেল শিক্ষার্থীরা বাইরের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোর্স বিনামূল্যে করার সুযোগ পাবে।
ইউএনডিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহনশীলতা জোরদারে ইউএনডিপির সঙ্গে ফ্রান্সের ১.২ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইউএনডিপি এবং গ্রামীণফোনের ‘ফিউচারনেশন’ প্রজেক্টের অধীনে নেওয়া এই উদ্যোগের আওতায় প্রাথমিকভাবে সারা দেশের ৬০টি মেডিকেল কলেজ থেকে ৩০০ জন শিক্ষার্থী জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি, ইয়েল ইউনিভার্সিটি, ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের মতো মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান থেকে বিশেষ কোর্স করার সুযোগ পাবে।
এছাড়া এই প্রোগ্রামের লক্ষ্য হলো স্থানীয় এবং বিশ্বমানের চিকিৎসা শিক্ষার মধ্যে সেতুবন্ধন করা। যাতে শিক্ষার্থীরা এনাটমি, ফিজিওলজি, প্যাথলজি, জনস্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে পারে।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের কমিউনিকেশনস বিভাগের প্রধান মো. আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘এ উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্বের খ্যাতনামা মেডিকেল কোর্সগুলোকে সহজলভ্য করা হয়েছে। যাতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এখান থেকে সুবিধা নিতে পারে ও দক্ষ হতে পারে। আমরা এ কর্মসূচিকে বিস্তৃত করতে চাই। যাতে দেশের আরও বেশি শিক্ষার্থী এর সুবিধা নিতে পারে।’
প্রাইভেট সেক্টর পার্টনারশিপ বিশেষজ্ঞ এবং ফিউচারেশনের ন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার দেবাশীষ রায় বলেন, ‘এই সহযোগিতা দেশের চিকিৎসা খাতের জন্য একটি মাইলফলক। তাই এ কোর্সগুলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চিকিৎসকদের দক্ষতা বাড়িয়ে আমাদের স্বাস্থ্যসেবাকে উন্নত করতে সহায়তা করবে।’
বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্টস সোসাইটির এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইফতেখার আহমেদ সাকিব মনে করেন এই স্কলারশিপটি বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষার জন্য একটি রূপান্তরমূলক পদক্ষেপ।
এটি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন খাতে আগ্রহের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার মাধ্যমে তাদের আগ্রহ অনুযায়ী দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইউএনডিপি ফিউচারনেশন প্রকল্পের ট্রেনিং প্রোগ্রাম সমন্বয় সহকারী নিশিতা সানাউল, আইটি সহকারী মাইশা রুবাইয়াত, বেসরকারি খাতের কর্মসংস্থান সহকারী আজলাফা নওশাবা, ফিউচারনেশনের কনটেন্ট ক্রিয়েশন অফিসার ইকবাল হাসান।
ইউএনডিপির ফিউচারনেশন প্ল্যাটফর্মটি তারুণ্যের ক্ষমতায়নে কাজ করে।
তরুণ প্রজন্মকে চাকরি বাজারের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সময়োপযোগী দক্ষতা উন্নয়নের কাজ করা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করবে ইউএনডিপি ও নরওয়ে
শিক্ষা প্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে ইউএনডিপি
২ মাস আগে
অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করবে ইউএনডিপি ও নরওয়ে
সবার জন্য শান্তিপূর্ণ দেশ গড়ে তুলতে সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে একটি চুক্তি সই করেছে নরওয়ে এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বাংলাদেশে অবস্থিত নরওয়ে দূতাবাসে এই চুক্তি সই হয়। চুক্তিটির মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত থাকবে।
দুই সংস্থার পক্ষ থেকে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এস্পেন রিক্টার এবং ইউএনডিপি'র আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এই চুক্তিতে সই করেন।
নরওয়ে ও ইউএনডিপি ২০২১ সাল থেকে ইউএনডিপির প্রকল্প ‘পার্টনারশিপ ফর এ মোর টলারেন্ট ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ (পিটিআইবি)’ বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ভুল তথ্য ও বিদ্বেষের প্রচার প্রতিরোধ করে একটা সহনশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহনশীলতা জোরদারে ইউএনডিপির সঙ্গে ফ্রান্সের ১.২ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এস্পেন রিক্টার বলেন- ‘ইতিবাচক মতবাদ তৈরির মাধ্যমে একটি সহনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে পিটিআইবি প্রকল্পটি কাজ করে যাচ্ছে।’
ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার সহযোগিতার জন্য নরওয়েকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘নরওয়ের সঙ্গে আমাদের এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা তরুণ ও নাগরিক সমাজকে সম্পৃক্ত করে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে কাজ করছি। নরওয়ের সঙ্গে চলমান এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল সাক্ষরতা বিষয়ে কাজ করব, যা এসডিজি লক্ষ্য ১৬ অর্জনে অবদান রাখতে পারে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে ইউএনডিপি
২ মাস আগে
শিক্ষা প্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে ইউএনডিপি
পার্বত্য চট্টগ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।
বুধবার (১২ জুন) সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলারের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া
পাশাপাশি ইউএনডিপি শিক্ষা প্রশাসনের গতিশীলতা ও পরিচালন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শিক্ষাক্ষেত্রে এক্সেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) মাধ্যমে চলমান কার্যক্রমসমূহ আরও বেগবান করতেও কাজ করবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ নিযুক্ত ইউএনডিপিয়ের অ্যাসিসট্যান্ট রেসিডেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ সর্দার এম আসাদুজ্জামান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপিয়ের স্ট্রাটেজিক কমিউনিকেশনস অ্যান্ড আউটরিচ অফিসার কিরতিজাই পেহরি প্রমূখ।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহনশীলতা জোরদারে ইউএনডিপির সঙ্গে ফ্রান্সের ১.২ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি
জ্বালানি খাতে সবুজ রূপান্তর সংলাপে ইউএনডিপির শুভ্চ্ছোদূত
৫ মাস আগে
জলবায়ু সহনশীলতা জোরদারে ইউএনডিপির সঙ্গে ফ্রান্সের ১.২ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি
জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা করতে 'ইনক্লুসিভ বাজেটিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিং ফর ক্লাইমেট রিজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (আইবিএফসিআর)' প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্বে ১.২ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি সই করেছে ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
এই ১.২ মিলিয়ন ইউরোর অনুদান বাংলাদেশে এএফডি’র ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর জলবায়ু নীতিকেন্দ্রিক ঋণ প্রকল্পকে জোরদার করবে।
ঢাকায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এবং এএফডির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সিসিলিয়া কর্টেস।
এ সময় আরও ছিলেন ফ্রান্স দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই, বাংলাদেশ সরকারের অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার এবং অতিরিক্ত সচিব সিরাজুন নূর চৌধুরী।
আরও পড়ুন: জ্বালানি খাতে সবুজ রূপান্তর সংলাপে ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত
বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত এই কারিগরি সহযোগিতা চুক্তির লক্ষ্য হলো জলবায়ু-সংবেদনশীল কৌশলগত পরিকল্পনা এবং তহবিল ব্যবস্থাপনা প্রণয়ন, জলবায়ু-সংক্রান্ত সরকারি অর্থায়নের সুনিয়ন্ত্রিত পরিচালনা এবং স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু অর্থায়নের জন্য আরও কার্যকর পরিকল্পনা এবং বাজেট প্রণয়ন।
ক্লাইমেট ফিসকেল ফ্রেমওয়ার্ককে (সিএফএফ) ঘিরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইউএনডিপির পূর্ববর্তী কার্যক্রম এবং আইবিএফসিআর প্রকল্পের প্রথম পর্বটি জলবায়ু-সংবেদনশীল সরকারি অর্থায়নের (ক্লাইমেট সেন্সেটিভেটি পাবলিক ফাইন্যান্স) ভিত্তি প্রস্তরের ভূমিকা পালন করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াইয়ে সহায়তা করতে এবং জাতীয় পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে টেকসই, স্বল্প-কার্বন নির্ভর উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে আইবিএফসিআর প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্বে নীতিনির্ধারণী ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় জলবায়ু ইস্যুকে আরও গভীরভাবে একীভূত করা হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও গত এক দশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের সাফল্য অত্যন্ত প্রশংসনীয়। জলবায়ু পরিবর্তনের সর্বগ্রাসী প্রভাবের কারণে এই উল্লেখযোগ্য উন্নয়নও বিফলে চলে যাচ্ছে। অর্থনীতির প্রতিটি খাত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আক্রান্ত।’
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের মানবিক অভিঘাতের দিক বিবেচনা করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কেন না নারীরা, মেয়ে শিশুরা এবং সামাজিক-অর্থনৈতিকভাবে প্রান্তিক অবস্থায় থাকা অন্যান্য জনগোষ্ঠীগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের সামনে আরও বেশি অসহায়।
আরও পড়ুন: ১ বিলিয়ন ইউরোর জলবায়ু অভিযোজন চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া জানিয়েছেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত
এ প্রেক্ষাপটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইউএনডিপি বাংলাদেশের কাজ করার অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান জাতীয় ও স্থানীয় উভয় পর্যায়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক জলবায়ু সম্পর্কিত সরকারি পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাজেট প্রণয়ন এবং মনিটরিং জোরদারে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
ফ্রান্স রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এই অনুদান তহবিল চুক্তিটি (গ্রান্ট ফান্ডিং এগ্রিমেন্ট) একটি টেকসই এবং স্বল্প-কার্বনভিত্তিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকতে ফ্রান্সের দৃঢ় প্রতিশ্রুতিরই স্বাক্ষর বহন করে।”
স্টেফান লিলার বলেন, ‘জলবায়ু তথ্য নির্ভর সরকারি অর্থায়ন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি। জলবায়ুকে সরকারি অর্থায়নের ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়ায় মূলধারায় এনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সমৃদ্ধি অর্জন করেছে। বিভিন্ন পর্যায়ে জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করতে জাতীয় বাজেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই উদ্যোগ একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। এর ফলে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনায় জলবায়ু পরিবর্তনের উপাদানগুলো আরও কার্যকরভাবে সংযোজিত হবে এবং একটি জলবায়ু সহনশীল অর্থনীতি প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করা যায়। আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ার অংশ হতে পেরে আনন্দিত এবং বিশ্বব্যাপী ইউএনডিপির বিভিন্ন উদ্যোগে পাশে থাকার জন্য ফ্রান্সের প্রতি আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা ও ক্ষুদ্র দ্বীপদেশগুলোর উন্নয়নে জোর আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৫ মাস আগে
জ্বালানি খাতে সবুজ রূপান্তর সংলাপে ইউএনডিপির শুভ্চ্ছোদূত
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের সবুজ রূপান্তর শীর্ষক সংলাপে যোগ দিয়েছেন সুইডেনের রাজকন্যা এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)’র শুভেচ্ছাদূত ভিক্টোরিয়া।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ঢাকায় ইউএনডিপি ও সুইডেন দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের সবুজ রূপান্তর ত্বরান্বিত করা: টেকসই আগামীর জন্য সরকারি-বেসরকারি-উন্নয়ন সহযোগিতা’ শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা তথা এসডিজি অর্জনের জন্য বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের সবুজ রূপান্তর প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে এ সংলাপ আয়োজন করা হয়।
টেকসই উন্নয়ন বলবৎ রাখার যৌথ প্রয়াস হিসেবে, এই সংলাপে সরকারি, বেসরকারি ও উন্নয়ন সংস্থার মূল অংশীজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
গত বছরের অক্টোবর থেকে টেকসই উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ ও জলবায়ু মোকাবিলায় এসডিজির পক্ষে বৈশ্বিক জনমত তৈরির উদ্দেশ্যে ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করছেন সুইডিশ রাজকন্যা ভিক্টোরিয়া। এই সংলাপে তার উপস্থিতি পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বৈশ্বিক সহযোগিতার গুরুত্বকেই আরও জোরদার করে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের সবুজ রূপান্তরে বেসরকারি খাতের ভূমিকার ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ‘পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ’-এর প্রতিষ্ঠাতা মাসরুর রিয়াজ।
জ্বালানিখাতে সবুজ রূপান্তরের জন্য চালিকা শক্তি, চ্যালেঞ্জ ও কৌশলগুলো নিয়ে ইউল্যাবের উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমানের তত্ত্বাবধানে সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার যৌথ সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সভায় ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক সুইডিশ মন্ত্রী ইয়োহান ফরসেল, জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এবং ইউএনডিপির এক্সটারনাল রিলেশনস ও অ্যাডভোকেসি পরিচালক উলরিকা মদির এবং ‘এসবিকে টেক ভেঞ্চারস’-এর প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির।
বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে সালমান এফ. রহমান বলেন, বাংলাদেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক স্বীকৃত পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানা রয়েছে, আর এতেই স্পষ্ট হয় টেকসই পরিবেশ ও নিরাপত্তাকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়। টেকসই পণ্যের জন্য অবশ্যই বেশি বিনিয়োগ করতে হবে এবং ক্রেতাদেরও বাড়তি মূল্য পরিশোধের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব রাখতে হবে।
সুইডিশ মন্ত্রী ইয়োহান ফরসেল বলেন,‘এখানে প্রচুর পরিমাণে বেসরকারি বিনিয়োগ রয়েছে এবং আমরা যদি এর কিছু শতাংশ দারিদ্র্যদূরীকরণে ব্যয় করতে পারি তবে এটি একটি বিশাল প্ল্যাটফর্মে পরিণত হবে। বাংলাদেশে আমাদের ৫০টিরও বেশি সুইডিশ কোম্পানি কাজ করছে। আমি মনে করি এটা বেশ ভালো একটা খবর কিন্তু আমাদের সামনে আরও ভালো কিছু করার সম্ভাবনা আছে।’
বাংলাদেশে সুইডিশ কোম্পানির বিনিয়োগ বাড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোও সুইডেন ও ইউরোপে বিনিয়োগ করবে। এই অংশীদারিত্বকে আরও মজবুত জায়গায় নিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব উলরিকা মদির বলেন, ‘উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা সত্যিই অসাধারণ। তাছাড়া, বাংলাদেশকে এমন কিছু সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে যার জন্য আদতে তার নিজের জনগণ দায়ী নয়। আর এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলা প্রয়োজন পারস্পরিক সংহতি, কারণ কিছু সমস্যা সবাইকে একসাথে সমাধান করতে হবে। আমাদের একে অন্যের কথা শুনতে হবে, নিজ নিজ আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করতে হবে এবং সবাই নিজ নিজ অঙ্গীকারকে কার্যকর করতে হবে।’
জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্য উভয়ের জন্য আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ সমাধানে পৌঁছানোর জন্য জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি।
বেসরকারি খাতের দায়িত্ব সম্পর্কে সোনিয়া বশির কবির বলেন, ‘বাংলাদেশে বেসরকারি খাতকে উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দিতে হবে এবং তা অবশ্যই নীতিমালা মেনে। অন্যান্যদের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আমাদের বেসরকারি খাতকেই দায়িত্ব নিতে হবে।’
আলোচনা সভায় সরকার ও উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি এইচএন্ডএম, গ্রামীণফোন, এরিকসন, ম্যারিকো, ইউনিলিভার, ভলভো, অ্যাটলাস কপকো এবং স্ক্যানিয়ার মতো বিভিন্ন বেসরকারি খাতের কোম্পানির প্রতিনিধিরা ছিলেন।
আরও পড়ুন: খুলনা-চট্টগ্রামে জলবায়ু সহনশীল উদ্যোগ পর্যবেক্ষণে ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত
৭ মাস আগে
খুলনা-চট্টগ্রামে জলবায়ু সহনশীল উদ্যোগ পর্যবেক্ষণে ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও অভিযোজনে ইউএনডিপির গৃহীত কর্মসূচিগুলো পর্যবেক্ষণ করতে খুলনা এবং চট্টগ্রাম সফর করেছেন জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা দূত সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া।
মঙ্গলবার সুইডেন সরকার ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বে গৃহীত ইউএনডিপির প্রকল্পগুলো পর্যবেক্ষণ করেন ক্রাউন প্রিন্সেস।
এছাড়াও স্থানীয়ভিত্তিক জীবিকার সমাধানগুলোকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীলতার মডেলগুলো পর্যবেক্ষণ করেন ক্রাউন প্রিন্সেস।
খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নে সুইডিশ সরকারের সহায়তায় ইউএনডিপি ও ইউএনসিডিএফের জলবায়ু অভিযোজন কর্মসূচিগুলো পর্যবেক্ষণ করেন। এছাড়াও, ইউএনডিপির সহায়তায় পরিচালিত এটুআই ডিজিটাল পরিষেবা সরবরাহ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
এ সময় জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন এবং টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে স্থানীয় কমিউনিটির জনসাধারণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষ, বিশেষত নারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় পোস্ট অফিসের স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট উদ্বোধন করেন ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলে পাড়ায় নারীদের নেতৃত্বে নির্মিত জলবায়ু সহনশীল বাসস্থানগুলো ঘুরে দেখেন ক্রাউন প্রিন্সেস। ইউএনডিপির সহায়তায় যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তির আওতায় নির্মিত একটি বাঁধ প্রাচীরসহ জলবায়ু মোকাবিলায় নির্মিত বেশকিছু স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
এরপর স্বল্প সময়ের জন্য চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে যান সুইডিশ রাজকন্যা। সেখানে তিনি নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন এবং নারী ক্ষমতায়ন ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে উদ্ভাবনী প্রশিক্ষণ কোর্সসহ ইউএনডিপির সহায়তায় পরিচালিত প্রকল্পগুলো পর্যবেক্ষণ করেন।
এ সময় সুইডিশ ক্রাউন প্রিন্সেসের সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এবং ইউএনডিপির এক্সটারনাল রিলেশনস ও অ্যাডভোকেসি পরিচালক উলরিকা মোদের, সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী জোহান ফরসেল, বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে।
আরও পড়ুন: খুলনার কয়রায় সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া
সুইডিশ ক্রাউন প্রিন্সেসের এই সফরে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং লিঙ্গ সমতাকে এগিয়ে নিতে পারষ্পরিক সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টাগুলোর বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে জলবায়ু সহনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কমিউনিটি গড়ে তোলায় ইউএনডিপির সংকল্পকেই পুনর্ব্যক্ত করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করলেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস
৭ মাস আগে
রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে ইউএনডিপির প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় বৃহত্তর আন্তর্জাতিক তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ নিতে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত ও সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে ভাসানচরে তাদের জন্য উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে। এখন ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করতে পারে।
তিনি ভাসানচরে আরও রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে ইউএনডিপির সহায়তা কামনা করেন।
চার দিনের সফরে সোমবার ঢাকায় পৌঁছান প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া। এ সফরের অংশ হিসেবে কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনসহ দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রিন্সেস বলেন, সুইডেন ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর করার বিশাল সুযোগ রয়েছে।
দু'দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সুইডেনের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ শিকার। কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের অবদান নগণ্য হলেও দেশটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের মতো বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হচ্ছে।
স্থানীয় জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং তাদের জীবন-জীবিকার সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ জলবায়ু ট্রাস্ট তহবিল গঠন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্য বিমোচন। ইতোমধ্যে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করলেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো গৃহহীন মানুষ যাতে না থাকে সেজন্য সরকার সারাদেশে গৃহহীনদের বিনামূল্যে ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধী ঘর করে দিচ্ছে।
এ ছাড়া তার সরকার উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে বলেও জানান তিনি।
শেখ হাসিনা ১৯৬৯ সালে তার প্রথম সুইডেন সফরের কথা স্মরণ করেন, যখন তার স্বামী পড়াশোনার জন্য সেখানে ছিলেন।
আরও পড়ুন: উপকূলীয়দের জীবনমান দেখতে মঙ্গলবার খুলনায় আসছেন সুইডেনের রাজকন্যা
৭ মাস আগে
ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ ও ইউএনওপিএসের নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত রাষ্ট্রদূত মুহিত
২০২৪ সালের জন্য ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ ও ইউএনওপিএসের নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত।
জাতিসংঘের সদরদপ্তরে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সদস্য রাষ্ট্রগুলো কলম্বিয়া, জার্মানি, রোমানিয়া ও ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূতরা নির্বাহী বোর্ডের সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের সভাপতির পদ গ্রহণ করল।
বোর্ডের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ ও ইউএনওপিএসের কাজে আরও অবদান রাখতে সক্ষম হবে। টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা অর্জনে দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য সংস্থাগুলোর সুনির্দিষ্ট স্বীকৃতি রয়েছে।
বাংলাদেশ জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ এই তিন সংস্থার অন্যান্য বোর্ড সদস্য এবং নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে এবং তাদের কৌশলগত দিকনির্দেশনা দিতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে চীনের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
উদ্বোধনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মুহিত তাকে সভাপতি নির্বাচিত করায় নির্বাহী বোর্ডের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। তিনি ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ ও ইউএনওপিএসকে বিশ্বব্যাপী জনগণের ক্ষমতায়ন এবং তাদের উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, মহামারি এবং চলমান মানবিক ও জলবায়ু সংকটের কারণে জাতিসংঘের উন্নয়ন এজেন্ডা যে কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ ও ইউএনওপিএসকে নতুন ও বহুপক্ষীয় পুনপ্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে এবং সব অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বিত প্রচেষ্টা ও সম্পৃক্ততার মাধ্যমে আরও ভালো কাজ করার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাহী বোর্ড সেসব সংস্থাকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা এবং সংস্থান সরবরাহ করতে প্রস্তুত থাকবে, যাতে তারা এই জাতীয় সমস্ত প্রচেষ্টায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।’
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত
জাতিসংঘের প্রতি বাংলাদেশের আস্থা ও বিশ্বাসের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উদ্ভাবনী উপায়ে টেকসই উন্নয়ন অর্জনে বাংলাদেশের অনন্য সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ রাষ্ট্রদূত মুহিত বোর্ড সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
২০২২ সালের জুলাই মাসে স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এই মিশনে যোগদানের পর থেকে রাষ্ট্রদূত মুহিত জাতিসংঘ শান্তিপ্রতিষ্ঠা কমিশনের চেয়ারম্যান, ইউএন-উইমেন নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি এবং ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ ও ইউএনওপিএসের নির্বাহী বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৯৩ সালে সাধারণ পরিষদের রেজুলিউশনের মাধ্যমে ৩৬ সদস্যের সমন্বয়ে ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ ও ইউএনওপিএসের নির্বাহী বোর্ড গঠিত হয়।
নির্বাহী বোর্ড ১৯৯৪ সালের ১ জানুয়ারি ৪৮ সদস্যের গভর্নিং কাউন্সিল পুনর্বিন্যাস করে।
ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ ও ইউএনওপিএসের কার্যক্রমের জন্য সাধারণ পরিষদ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের সামগ্রিক নীতি নির্দেশিকা এবং জাতিসংঘ সনদে নির্ধারিত দায়িত্ব অনুযায়ী আন্তঃসরকারি সহায়তা প্রদান ও তদারকির জন্য দায়বদ্ধ নির্বাহী বোর্ড।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের প্রত্যাশা পূরণে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলায়নি: যুক্তরাষ্ট্র
১০ মাস আগে