বিকাশ
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিকাশ ছাড়া গণতন্ত্র পূর্ণতা পাবে না: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিকাশ ছাড়া গণতন্ত্র পূর্ণতা পাবে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বলেন, সব বাস্তবতায় আমরা গনমাধ্যমকে পূর্ণাঙ্গভাবে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। যতক্ষণ না গণমাধ্যম শক্তিশালীভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে আমরা সঙ্গে আছি।
শুক্রবার (১ মার্চ) বিকালে চাঁদপুর প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে প্রেস ক্লাবের ২০২৪ সালের কার্যকরী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সেক্ষেত্রে আমরাও আপনাদের কাছ থেকে একই ধরনের সহযোগিতা চাই।
আরও পড়ুন: সত্য তথ্য দিয়ে অপতথ্য ও ভুল তথ্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, কীভাবে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে অর্থাৎ গণমাধ্যম এবং সরকারের মধ্যে একটি সহযোগিতার মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করা এবং আরর শক্ত ভিত্তির এই গণমাধ্যমকে দাঁড় করানোর জন্য চেষ্টা করতে পারি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম কীভাবে সরকারকে সঠিক তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে জবাবদিহিয় আনতে পারে, এমনকি সমালোচনাও করতে পারে সেটিকে আমরা স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে আমি যে কথাটি গত কিছুদিন ধরে বলে আসছি এবং এখনো বলছি- আপনাদের সঙ্গে নিয়ে তথ্য প্রচারের মাধ্যমে গুজব ও অপ্রপ্রচার প্রতিরোধ করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আজকে পেশাদার সাংবাদিকরাই তাদের এই পেশায় শৃঙ্খলার দাবি তুলছেন। আমরা তুলছি না। আপনাদের কাছ থেকেই বার বার দাবি আসছে। কিন্তু আমরা শৃঙ্খলা কিংবা নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না। কারণ বিষয়টি আমাদের উপরে চলে আসবে। তখন বলা হবে শৃঙ্খলার নামে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় সরকার। শৃঙ্খলা আপনাদের দাবি, আমরা তার সঙ্গে একমত হলাম। অন্য পেশায় ও অপেশাদার লোক চলে আসে। এক্ষেত্রে আমরা সকলের পরমার্শ নিয়ে কাজ করতে চাই।
আরও পড়ুন: গাজায় মানবিকতা পরাজিত হচ্ছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
অপতথ্য ও ভুল তথ্য প্রতিরোধে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ-তুরস্ক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
শিক্ষার্থীদের মননশীলতার বিকাশই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীরা মেধা ও মননশীলতার বিকাশ ও সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অবদান রাখতে পারবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেছেন সেখানে শিক্ষদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: শিক্ষকরা স্মার্ট নাগরিক গড়ার মূল কারিগর: খাদ্যমন্ত্রী
শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে নওগাঁর পোরশা উপজেলার ঘাটনগর পাহাড়ি পুকুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা ও শিক্ষকের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ থেকে এমপিওভুক্তি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, কারিকুলাম যুগোপযোগী করা ও অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেওয়া হয়েছে ডিজিটাল ল্যাব। এগুলোর কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ছে ও ঝরে পড়ার হার কমে গেছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব। এ সরকারের আমলে দেশে একটি যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল করতে হবে। শুধু শিক্ষানীতি নয়, বর্তমান সরকার দক্ষ শিক্ষক গড়ে তোলার জন্য একাধিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলেছে।
সাধন চন্দ্র মজমুদার বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও নীতি-আদর্শ ধরে রেখে কাজ করেছি। এরই ফলস্বরূপ দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন শেখ হাসিনা: খাদ্যমন্ত্রী
দারিদ্র্য দূরীকরণে ভূমিকা রাখছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি: খাদ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
ফরিদপুরে বিকাশ ও নগদ প্রতারক চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের সদরপুরে বিকাশ ও নগদ প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
রবিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩ কেজি গাঁজা জব্দ, গ্রেপ্তার ১: র্যাব
এসময় তাদের কাছে থেকে বিকাশ ও নগদের প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১০টি মোবাইল ফোন, ১৪টি মোবাইল সিমকার্ড ও নগদ ৩৬০০ টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন-সদরপুর উপজেলার আফসার মুন্সীর কান্দি গ্রামের জালাল বেপারীর ছেলে কামাল বেপারী (২৯), মজিবর মাতুব্বরের ছেলে জাকির মাতুব্বর (২৫), আলেপ সরদারের ছেলে মাসুদ সরদার (৪৭) ও একই গ্রামের মজিবর মাতুব্বরের ছেলে সাকিল মাতুব্বর (২৩)।
এর আগে শনিবার (১৫ এপ্রিল) দিনগত রাতে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার মুন্সীরকান্দি এলাকার একটি বাগানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ওই চার ব্যক্তি বিকাশ ও নগদ গ্রাহকদের গোপন পিন নম্বর সংগ্রহ করে বিকাশ ও নগদ অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থ হাতিয়ে নিতেন।
এছাড়া তারা নিজেদেরকে বিকাশ কিংবা নগদ অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শেখ মো. আব্দুল্লাহ বিন কালাম, ডিবির ওসি মো. রাকিবুল ইসলামসহ প্রিন্ট এন্ড ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ঘুমন্ত বড়ভাইকে গলা কেটে হত্যা: ছোট ভাই গ্রেপ্তার
হরিপুরে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৭
১ বছর আগে
মানসিক বিকাশে শিশুর সঙ্গে মা-বাবার টেলিভিশন দেখা হতে পারে উপকারী
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, টেলিভিশন বা স্মার্টফোন দেখার সময় শিশুর সঙ্গে মা-বাবা থাকলে যতক্ষণ স্ক্রিন দেখা হচ্ছে তা শিশুর মানসিক বিকাশে উপকারী হতে পারে।
ফ্রান্সের পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও প্যারিস নান্টেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গত দুই দশকে প্রকাশিত ৪৭৮টি গবেষণাপত্র বিশ্লেষণ করে দেখেছেন। তাদের প্রাপ্ত ফল থেকে জানা যায়, বিশেষ করে অল্পবয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে প্রথম দিকে খেলাধুলা, ভাষার উন্নয়ন ও নির্বাহী কার্যকারিতায় টেলিভিশন ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ইডি’র মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ
ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ড. এজটার সোমোগি বলেন, ‘আমরা শুনতে অভ্যস্ত যে স্ক্রিন একটি শিশুর জন্য খারাপ এবং এক ঘণ্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রাখলে তা তাদের বিকাশে গুরুতর ক্ষতি করতে পারে। যদিও এটি ক্ষতিকর হতে পারে, তবে আমাদের গবেষণা শিশু কতক্ষণ টেলিভিশন দেখছে তার ওপর নয়, বরং কি দেখছে অর্থাৎ মানের ওপর গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দেয়।’
তিনি আরও বলেন, দুর্বল কাহিনী বিন্যাস, দ্রুতগতির সম্পাদনা ও জটিল উদ্দীপনা শিশুর জন্য তথ্য নেয়ার বা বুঝতে পাড়ার বিষয়কে কঠিন করতে পারে। কিন্তু স্ক্রিনের বিষয়বস্তু শিশুর বয়সের জন্য উপযুক্ত হলে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে শিশুকে মিথস্ক্রিয়ায় উৎসাহিত করে সেভাবে উপস্থাপন করলে।’
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, টেলিভিশন বা স্মার্টফোন দেখার সময় মা-বাবা বা একজন প্রাপ্তবয়স্ক কেউ থাকলে তা শিশুর জন্য আরও উপকারী হতে পারে। কারণ শিশুরা মিথস্ক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে এবং প্রশ্ন করে জেনে নিতে পারে।
ড. সোমোগি জানান, ‘তাদের (শিশু) মনোভাব বা আচরণে ও মিডিয়ার ব্যবহারে পরিবার যথেষ্ট পার্থক্য তৈরি করে।’
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই উল্লেখ করেছে, শিশুর জ্ঞানীয় বিকাশে টেলিভিশন বা স্মার্টফোন দেখার প্রেক্ষাপটের পার্থক্য স্ক্রিন টাইমের শক্তি ও প্রকৃতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষামূলক কর্মসূচীর সময় তাদের জ্ঞান অর্জনকে শক্তিশালী করা, একটি বিষয় বুঝতে সাহায্য করা এবং শিশুর মনে জাগা প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য শিশুর সাথে মা-বাবার টেলিভিশন দেখা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের নিজস্ব ‘আইডল’ প্রচারিত হবে ডিসেম্বরে
মেরিলিন মনরোর মোহময়তায় দর্শককে ভাসাবে নেটফ্লিক্সের ‘ব্লনডি’!
২ বছর আগে
তারুণ্যের প্রতিভা বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তারুণ্যের প্রতিভা বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলা যেমন শরীরকে সুস্থ-সবল রাখে, তেমনি মনকেও প্রফুল্ল রাখে, প্রশস্ত করে।
রবিবার বিকেলে রাজধানীর কুড়িলে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এআইইউবি মাঠে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের কাবাডি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ: তথ্যমন্ত্রী
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এআইইউবি'র ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাসানুল এ. হাসান, প্রকৌশল বিভাগের ডিন ড. সিদ্দিক হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ড. হাছান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ প্রয়োজন। আর দেশাত্মবোধ, মমত্ববোধ, গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, মেধা-মনন-শিল্প-ক্রীড়াচর্চা সোনার মানুষ গড়ার হাতিয়ার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি এই মানবিক মূল্যবোধের চর্চাতেও অগ্রণী হতে হবে।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী রাসেল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পর্যন্ত আমরা রাষ্ট্রীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আওতায় এনেছি। এবছর বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়নশিপের বিভিন্ন খেলাধুলায় দেশের ১২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাত হাজার প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছে।
এ দিন সমাপ্ত আন্তবিশ্ববিদ্যালয় কাবাডি প্রতিযোগিতায় ছাত্র বিভাগে চ্যাম্পিয়ন গণবিশ্ববিদ্যালয় ও রানার আপ ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি এবং ছাত্রী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ও রানার আপ গণবিশ্ববিদ্যালয় দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
আরও পড়ুন: ফখরুল সাহেবদের হৃদয়ে যে পাকিস্তান সেটিই বেরিয়ে এসেছে: তথ্যমন্ত্রী
ভারতের সঙ্গে মৈত্রী রক্তের বন্ধন: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
বাংলাদেশে বৈধভাবে রেমিটেন্স পাঠানোর সেরা কয়েকটি মাধ্যম: বিদেশ থেকে টাকা পাঠাবেন যেভাবে
বিভিন্ন কাজের সূত্রে প্রবাসে থাকা বাংলাদেশিদের উপর নির্ভর করেন দেশে থাকা তাদের পরিবার-পরিজনরা। এই রেমিটেন্স যোদ্ধাদের বিশাল অংশই প্রচণ্ড কায়িক পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করেন। এই কষ্টার্জিত টাকা দেশে পাঠানোর জন্য তারা বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে থাকেন। পূর্বে এই মাধ্যমগুলোতে অনেক জটিলতা থাকলেও এখন ধীরে ধীরে এই টাকা লেনদেন সহজতর হচ্ছে। পুরনো পরিষেবাগুলোর পাশাপাশি প্রযুক্তির উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন সেবা। এই সেবাগুলোর ব্যবহার করে অনায়াসেই দেশে টাকা পাঠাতে পারছেন প্রবাসীরা। চলুন, বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর সেরা কয়েকটি মাধ্যমের ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর সেরা কয়েকটি পরিষেবা
বিকাশ
এ সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা বিকাশ তার সেবার পরিধিকে দেশের বাইরেও প্রসারিত করেছে। ব্র্যাক ব্যাংকের এই সহায়ক প্রতিষ্ঠানটি বিদেশ থেকে আগত তার গ্রাহকদের টাকাগুলো তাদের হাতের মুঠোয় এনে দিতে সক্ষম হয়েছে। এর জন্য বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তিকে সর্বপ্রথম সে দেশে বিকাশের অনুমোদিত, অংশীদার এবং তালিকাভূক্ত ব্যাংকের শাখা, মানি এক্সচেঞ্জ কিংবা এমটিও(মানি ট্রান্সফার অপারেটর) এজেন্ট-এর কাছে যেতে হয়। এই এজেন্টরাই টাকাটি বিদেশ থেকে সেই ব্যক্তিটির দেশে অবস্থানরত পরিচিতজনদের নিকট পাঠাতে সহায়তা করে।
আপনি যদি উপরোক্ত কাজগুলো সঠিকভাবে করতে পারেন। তাহলে আপনি সহজেই বিদেশ থেকে বিকাশে খুব টাকা দিতে পারবেন।
পড়ুন: ৮ লাখের বেশি কর্মীকে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা
প্রতি দিন সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ এক লাখ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পাঠানো যায়। আর প্রতি মাসে পাঠানো যায় সর্বমোট চার লাখ ৫০ হাজার টাকা। এই অর্থ প্রদানে বিকাশকে কোনো প্রকার বাড়তি মূল্য দিতে হয় না। তবে সেই ব্যক্তিটির বাংলাদেশে পরিজনদের সেই টাকাটি ক্যাশ আউট করতে হলে বিকাশের নির্ধারিত খরচটি দিতে হয়। বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে প্রতি হাজারে ১৭.৫০ টাকা আর অ্যাপ ছাড়া ১৮.৫০ টাকা।
ওয়াইজ
নতুন হলেও সবচেয়ে ঝামেলামুক্ত নিরবচ্ছিন্ন মানি ট্রান্সফার ব্যবস্থার নাম ওয়াইজ। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে অর্থ স্থানান্তরের জন্য এখন ওয়াইজ একটি সুপরিচিত নাম। অবাক করা বিষয় হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯ সালে শুরু হলেও বর্তমানে এর গ্রাহক সংখ্যা প্রায় বিশ মিলিয়নেরও বেশি। মোবাইল ফোনে এর অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা একে আরো যুগপোযোগী ও আরো সার্বজনীন করে তুলেছে। অনেকেই অন্য দেশ থেকে সেই দেশের মুদ্রা কিনে নিচ্ছেন ওয়াইজের বদৌলতে।
ওয়েবসাইট থেকে অ্যাকাউন্ট খোলার সময় অবশ্যই ব্যবহারকারির সঠিক তথ্য দিতে হবে। মুদ্রা বিনিময় সহ লেনদেনের সময় নামমাত্র চার্জ কাটে, যার জন্য প্রবাসীদের কাছে প্রথম পছন্দ ওয়াইজ। কোন ব্যাংক বা এজেন্টের দ্বারস্থ হওয়ার প্রয়োজন নেই। হাতের মুঠোফোনটাই সকল দায়িত্ব নিয়ে নেবে নিজের দেশে প্রিয়জনদের কাছে টাকা পাঠানোর। আর এই টাকার উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যাবে ২.৫ শতাংশ রেমিটেন্স।
পড়ুন: বাজেট ২০২২-২৩: রেমিটেন্সের সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধি শিগগিরই ফিরবে, প্রত্যাশা অর্থমন্ত্রীর
ট্যাপট্যাপ সেন্ড
অতিরিক্ত ফি প্রদানের ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে হলে ব্যবহার করতে হবে ট্যাপট্যাপ সেন্ড। মোবাইল অ্যাপ ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি আমেরিকার ফিন্যান্সিয়াল কন্ডাক্ট অথরিটি কর্তৃক অনুমোদিত, তাই এতে অর্থের নিরাপত্তা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে এদের কার্যক্রম শুরু হয়। ফান্ড টান্সফারে ট্যাপ করলেই মুহুর্তের মধ্যে তা পৌছে যায় প্রাপকের কাছে। এছাড়া সেরা মুদ্রা বিনিময় হারের কারণে অচিরেই ট্যাপট্যাপ সেন্ড গ্রাহকদের প্রিয় পছন্দে পরিণত হয়েছে।
যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি, বেলজিয়াম, স্পেন, ও নেদারল্যান্ডসের মত দেশগুলো থেকে অনায়াসেই টাকা পৌছে যায় বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের কাছে। বিকাশ সহ বাংলাদেশের স্থানীয় ব্যাংকগুলোর সাথেও শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে ট্যাপট্যাপ।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ২.৫ শতাংশ রেমিটেন্স তো থাকছেই, পাশাপাশি ট্যাপট্যাপ সেন্ড অ্যাপ দিয়ে বাংলাদেশে টাকা প্রেরণ করলে ট্যাপট্যাপ থেকে বিশেষ বোনাসও দেয়া হয়। প্রথম অ্যাকাউন্ট খুলে নির্দিষ্ট প্রোমো কোড ব্যবহার করে ফান্ড পাঠালেই মিলবে এই বোনাস।
পড়ুন: বাংলায় শিক্ষাদানকারী অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম: পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির অনন্য মাধ্যম
স্ক্রিল
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সারদের অর্জিত টাকা হাতে পাওয়ার উপযুক্ত পেমেন্ট গেটওয়ে স্ক্রিল। জুমের মত এটিকেও পেপালের বিকল্প ধরা হয়ে থাকে। কিছু কিছু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে অর্থ উত্তোলনের জন্য স্ক্রিল চাওয়া হয়। এটি বাংলাদেশের মত পেপ্যাল না থাকা দেশগুলোর জন্য রীতিমত হাফ ছেড়ে বাঁচা। প্রবাসীরাও এই সিস্টেমটি ব্যবহার করতে পারেন কোন ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই।
এর সুবিধাগুলোর মধ্যে অনেক কম মানি ট্রান্সফার ফি অন্যতম। তাছাড়া সাথে আছে যথেষ্ট সুরক্ষার সাথে দেশে ফান্ড পৌছানো। সাধারণ পেমেন্ট গেটওয়েগুলোর মত স্ক্রিলেরও মোবাইল অ্যাপ আছে। এই যাবতীয় সুবিধা পেতে অফিশিয়াল ওয়েবপেজ থেকে একটা অ্যাকাউন্ট খুলে নিলেই কাজ শেষ। তবে একটি সফল অ্যাকাউন্টের জন্য সরবরাহকৃত তথ্যগুলো অবশ্যই প্রমাণসাপেক্ষ হতে হবে।
একটি স্ক্রিল অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে দেশে টাকা দেয়া যায়। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে টাকা পাঠালে অ্যাকাউন্টটি ব্যবসায়িক হতে হবে। এখানে কোন ফি নেই, কিন্তু গ্লোবাল পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করলে টাকা প্রদানপূর্বক ফি ১.২৫ শতাংশ পর্যন্ত কাটতে পারে।
পড়ুন: বিকাশে রেমিটেন্স পাঠালে ১ শতাংশ ক্যাশব্যাক অফার
মানিগ্রাম
বিদেশ থেকে দেশে ফান্ড সরবরাহের মাধ্যমগুলোর মধ্যে ৩ লক্ষাধিক এজেন্ট সমৃদ্ধ মানিগ্রাম বেশ পরিচিত একটি নাম। পুরনো প্রতিষ্ঠান হওয়ার কারণে অধিকাংশ প্রবাসীদের কাছে এর নির্ভরযোগ্যতা অনেক। এ পদ্ধতির জন্য প্রদানকারির পরিচয়পত্র সহ কিছু কাগজপত্র এবং সেই দেশের মুদ্রার নির্দিষ্ট অর্থ নিয়ে মানিগ্রাম এজেন্টের কাছে যেতে হবে। ব্যাংক ও মোবাইল ওয়ালেট এই গন্তব্যে ডিজিটাল মুদ্রা মানিগ্রাম করা যায়।
এর জন্য গ্রহণকারির অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল ওয়ালেট নাম্বার প্রয়োজন হয়। মানিগ্রামের ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড হলে প্রতি ১০০০ ইউএসডি(আমেরিকান ডলার)তে ব্যাংক চার্জ ৩২.৯৯ ইউএস ডলার) এবং ডেবিট কার্ড হলে ১.৯৯ ইউএসডি।
রেমিটলি
সবচেয়ে কম চার্জে দেশে টাকা পৌছানোর সেরা মাধ্যম রেমিটলি। বাংলাদেশের অনেক ব্যাংকই এখন রেমিটলিতে লেনদেনের অনুমোদন দিচ্ছে। এগুলোর মধ্যে ডাচ-বাংলা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংক অন্যতম। এই ডিজিটাল রেমিট্যান্স সার্ভিসের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে চার্জ নেয় ২.৯৯ ডলার। নির্দিষ্ট কোন ফিজিক্যাল লোকেশন না থাকায় এরকম কম খরচ নেয়া হয়, যা এর ব্যবহারকারিদের বেশ সুবিধা দিচ্ছে।
পড়ুন: গুগলে কীভাবে চাকরি পেতে পারেন
সবচেয়ে বড় সুফল হচ্ছে- রেমিটলির মাধ্যমে যে কোন দেশের মুদ্রার দারুণ এক্সচেঞ্জ রেটে পাওয়া যায়। এর ফান্ড ট্রান্সফারের দুটি মুডি আছে, যেগুলোর নাম- এক্সপ্রেস এবং ইকোনমি। এক্সপ্রেসে টাকা পাঠালে দ্রুত পৌছে যায়, যেখানে ইকোনমি ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে অল্প ট্রান্সফার ফি প্রযোজ্য হয়। তবে কোন ক্ষেত্রেই রেমিট্যান্স পাঠানো সময় সাপেক্ষ হয় না।
ফ্রিতে একটি রেমিটলি একাউন্ট তৈরী করে গ্রহণকারির নাম ও ঠিকানার সাথে পেমেন্ট-এর প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করলেই মানি ট্রান্সফার সম্পন্ন হয়ে যাবে। এই ট্রান্সফারের আপডেট আবার পৌছে যাবে প্রদানকারির মোবাইল ও ইমেইলে।
ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন
ফান্ড ট্রান্সফারের পুরনো পরিষেবাগুলোর মধ্যে এই সার্ভিসটি বেশ জনপ্রিয়। এখন মোবাইল অ্যাপ থাকায় পাঠানো টাকা প্রক্রিয়াধীন থাকার সময় আরো কমে এসেছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ ব্যাংকগুলোই ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নে অর্থ প্রাপ্তির সুবিধা প্রদান করে থাকে। যাকে টাকা দেয়া হচ্ছে এখানে তাকে যথাযথ তথ্য প্রদান করতে হয় নির্দিষ্ট লোকেশন থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য। টাকা প্রদানের জন্য এজেন্ট-এর কাছে যেয়ে অথবা ব্যবহারকারি নিজেই মুদ্রা টাকায় রূপান্তর করে দেশে তার পরিজনদের নিকট পাঠাতে পারেন।
পড়ুন: কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
জুম
বাংলাদেশে পেপাল মানি ট্রান্সফার গেটওয়ের বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয় জুম সার্ভিসকে। বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেমটি বিদেশ থেকে টাকা গ্রহণের নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। এখানে লেনদেনটা হয় খুব দ্রুততার সাথে। জুমের প্রক্রিয়ার সাথে অভ্যস্ত হতে হলে এর ওয়েবসাইটের ইউজার ড্যাশবোর্ডের সাথে নিয়মিত হতে হবে, যা খুবই সহজ।
সরাসরি ওয়েবসাইটে যেয়ে সাইন আপ করে নতুন প্রোফাইল তৈরি করলেই এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ সকল প্রকার মানি ট্রান্সফার এর কাজগুলো করা যাবে। এই প্রক্রিয়ায় বিদেশ থেকে টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে ৯৯৯ ডলার-এর জন্য ৫.৯ ডলার ফি দিতে হবে। এরপর থেকে ৯৯৯ ডলারের বেশি মানি ট্রান্সফার করলে ফি ধার্য হবে ৯.৯৯ ডলার।
শেষাংশ
বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত এই পরিষেবাগুলো বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর উপায়গুলো নির্ভরযোগ্য এবং সহজতর করেছে। বিশ্বের বড় বড় শহরগুলো থেকে ডলার ও পাউন্ডগুলো এখন খুব সহজেই বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌছে যাচ্ছে বাংলাদেশি টাকা হয়ে। টাকা প্রাপ্তির এই সহজলভ্যতা সৃষ্টি করছে কাজের সুযোগ। এতে করে গ্রামগঞ্জ ও মফস্বলের মানুষেরাও অংশ নিতে পারছে বিশ্ব মানের কাজগুলোতে। আর নিজের উপার্জনের অর্থপ্রাপ্তির মাধ্যমে হয়ে উঠছে স্বাবলম্বী।
পড়ুন: চাকরির সিভি ও পোর্টফোলিও তৈরির প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েবসাইট
২ বছর আগে
পেওনিয়ার থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের টাকা বিকাশে আনার পদ্ধতি
ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে চাহিদা বাড়ছে ফ্রিল্যান্সিং-এর টাকা বাংলাদেশে আনার সহজ মাধ্যমের। সেই দিক থেকে ফ্রিল্যান্সারদের যাবতীয় ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে যুগান্তকারী সুযোগ সৃষ্টি করেছে ব্র্যাক ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ে বিকাশ। অনলাইন লেনদেনের গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম পেওনিয়ার-এর যে কোন মুদ্রার অর্থ এখন বিকাশে বাংলাদেশি টাকায় আনা যাবে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে বিকাশ শুরু করে এই পরিষেবাটি। দেশ জুড়ে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য এই মাধ্যমটি থেকে এখন ফ্রিল্যান্সাররাও উপকৃত হবেন। চলুন, জেনে নেয়া যাক পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা আনার পদ্ধতি।
পেওনিয়ার কি
এটি একটি আমেরিকান আর্থিক লেনদেনের পরিষেবা সংস্থা যা অনলাইনে অর্থ স্থানান্তরের সেবা দিয়ে থাকে।
অ্যাকাউন্টধারীরা ই-ওয়ালেট, বিভিন্ন মুদ্রায় ভার্চুয়াল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং প্রিপেইড মাস্টার ও ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে অর্থ লেনদেন করতে পারেন। প্রাপ্ত অর্থ যে কোন দেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে উত্তোলন করা যায়। এছাড়া পেওনিয়ার ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে কেনাকাটা করা যায়। এটি বাংলাদেশ সহ ২০০টি দেশে ১৫০ টিরও বেশি স্থানীয় মুদ্রায় ওয়্যার ট্রান্সফার, অনলাইন পেমেন্ট এবং রিফিলযোগ্য ডেবিট কার্ড পরিষেবা প্রদান করছে।
গুগল, অ্যামাজন, এয়ারবিএনবি-এর মতো কোম্পানিগুলো বিশ্বজুড়ে শত শত অর্থ প্রদানে পেওনিয়ার ব্যবহার করে। এটি র্যাকুটেন ও ওয়ালমার্ট-এর মত ইকমার্স মার্কেটপ্লেস এবং ফাইভার ও ইনভাটো-এর মতো ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোতে ব্যবহৃত হয়।
পড়ুন: বিদেশি ভাষা শিক্ষা: যে ভাষাগুলো উন্নত ক্যারিয়ারে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে
পেওনিয়ার থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের টাকা বিকাশ
ধাপে ধাপে পেওনিয়ার থেকে বিকাশ করার পদ্ধতি
১ - প্রথমেই যথারীতি ফোন নাম্বার ও পাঁচ অঙ্কের পিন সংখ্যা দিয়ে বিকাশ অ্যাপ-এ লগইন করতে হবে।
২ - বিকাশের হোম স্ক্রিণ থেকে ‘আরো’ অপশনে যেয়ে সেখান থেকে রেমিটেন্স-এ ক্লিক করতে হবে।
৩ - সাথে সাথে চলে আসবে পেওনিয়ার-এ যাওয়ার অপশনটি। পেওনিয়ারে ক্লিক করলে নতুন স্ক্রিণে পেওনিয়ারের তথ্য চাওয়া হবে।
৪ - এ অংশে যদি পেওনিয়ার একাউন্ট খোলা না থাকে, তবে এখান থেকেই পেওনিয়ারের নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। আর অ্যাকাউন্ট খোলা থাকলে নিচে আপনার পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করুন সিলেক্ট করতে হবে।
পড়ুন: অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
৫ - অতঃপর নতুন স্ক্রিণে পেওনিয়ার অ্যাকাউন্টের ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে পেওনিয়ারে প্রবেশ করলেই পেওনিয়ারের সাথে বিকাশ সংযুক্ত হয়ে যাবে।
৬ - সফলভাবে সংযুক্ত হওয়ার বার্তা দিয়ে নিচেই গ্রাহকের পেওনিয়ারের আইডি ও ইমেইল নাম্বার দেয়া থাকবে। তার পরেই টাকা আনতে নির্বাচন করুন টাইটেলের নিচে বিভিন্ন মুদ্রায় পেওনিয়ারে জমাকৃত অর্থগুলো উল্লেখ থাকবে। সেখান থেকে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনটি সিলেক্ট করা যাবে।
৭ - এরপর চূড়ান্তভাবে কত টাকা আনা হবে তার পরিমাণ উল্লেখ করে এগিয়ে যান-এ ক্লিক করলেই বিকাশে টাকা চলে আসবে।
এক্ষেত্রে মনে রাখা আবশ্যক যে, লেনদেনের জন্য পেওনিয়ারে অবশ্যই নূন্যতম ১০০০ টাকার সমমানের অর্থ থাকতে হবে। আলাদা করে কোন ফর্ম পূরণের ঝামেলা তো থাকছেই না, বরং যে কোন স্থান থেকে ২৪ ঘন্টা এই সেবাটি পাওয়া যাবে একদম বিনামূল্যে।
পড়ুন: ভ্যালেন্টাইন ডে ২০২২: কয়েকটি সেরা ডিজিটাল উপহার
শেষাংশ
পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা আনার পদ্ধতির প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং জগতে ও রেমিটেন্স খাতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো। এর ফলে পেশাদার ফ্রিল্যান্সারদের তহবিল ব্যবস্থাপনা অধিকতর সহজ হয়ে যাবে। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং-এর টাকা দেশে আনার সংশয় কেটে যাওয়ায় ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়ার সামগ্রিক বাধা দূর হয়ে যাবে। সেই সূত্রে ফ্রিল্যান্সিং-এ আগ্রহ বাড়বে নতুন প্রজন্মের।
পড়ুন: অনলাইনে গ্যাস বিল পরিশোধ করার নিয়ম
২ বছর আগে
অনলাইনে গ্যাস বিল পরিশোধ করার নিয়ম
অনলাইনে গ্যাস বিল পরিশোধ করার উপায় প্রবর্তনের ফলে সমাপ্তি ঘটেছে প্রতি মাসের গ্যাস বিল নিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ঝামেলার। গ্যাস বিল পরিশোধের সময় প্রতিবার-ই বিলের বই নিয়ে ব্যাংকে দৌড়াদৌড়িতে আলাদা সময় বেঁধে রাখতে হোতো। প্রযুক্তির ক্রমবিকাশের দৌলতে মোবাইল ব্যাংকিং-এর অগ্রযাত্রা গ্যাস বিল পরিশোধকে সহজীকরণে এনেছে যুগান্তকারী সাফল্য। মোবাইল অ্যাপগুলোর সহজে ব্যবহারযোগ্য ইন্টারফেস রেহাই দিয়েছে গ্যাস বিলের বই হাতে ব্যাংক পর্যন্ত হেটে গিয়ে শত মানুষের ভীড়ে দাড়িয়ে থাকার হয়রানি থেকে। চলুন, জেনে নেয়া যাক অনলাইনে গ্যাস বিল জমা দেয়ার সেই পদ্ধতিগুলি।
অনলাইনে গ্যাস বিল পরিশোধ-এর নিয়ম
বিকাশ-এ গ্যাস বিল পরিশোধ
ব্র্যাক ব্যাংকের এই পেমেন্ট গেটওয়েটি দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় মাধ্যম যা দিয়ে খুব সহজেই গ্যাস বিল জমা দেয়া যায়। শুধু তাই নয়, বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে গ্যাস বিল পরিশোধ করলে সাথে সাথেই বিলের জমা রশিদটি সরাসরি মোবাইলে চলে আসে।
বিকাশের মাধ্যমে যে গ্যাস পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিল জমা দেয়া যাবে সেগুলো হলো-
কর্ণফুলী গ্যাস, জালালাবাদ গ্যাস, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস, সুন্দরবন গ্যাস ও তিতাস নন মিটার্ড গ্যাস বিল। এখানে উল্লেখ্য যে তিতাস গ্যাসের প্রিপেইড কার্ডের বিল বর্তমানে বিকাশ দিয়ে পরিশোধ করা যায় না।
আরও পড়ুন: অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
বিকাশ-এ বিনামূল্যে সর্বোচ্চ দুটি বিল পরিশোধ করা যায়। তাই গ্রাহকরা তাদের যে কোন মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় বিল হিসেবে গ্যাস বিল জমা দিতে পারবেন কোন চার্জ ছাড়াই।
তবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল, ২০২২ পর্যন্ত নতুন সুযোগ দেয়া হচ্ছে। তা হলো- মাসের প্রথম পাঁচটি বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে কোনো রকম চার্জ প্রযোজ্য হবে না। সুযোগটি *২৪৭# ডায়াল করে কিংবা অ্যাপ দিয়ে উভয় মাধ্যমেই পাওয়া যাবে। এমনকি এক্ষেত্রে বিলের পরিমাণের ক্ষেত্রে কোনো লিমিট প্রযোজ্য হবে না।
চলুন জেনে নেয়া যাক ধাপে ধাপে বিকাশ অ্যাপ দিয়ে গ্যাস বিল পরিশোধ করার পদ্ধতি।
বিকাশ অ্যাপ না থাকলে গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইন্স্টল করে নিতে হবে। অতঃপর মোবাইল নাম্বার ও পাঁচ অঙ্কের পিন দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর থেকে প্রতিবার গ্যাস বিল জমা দেয়ার সময় পর্যায়ক্রমিক ভাবে যে ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে তা হলো-
১/ পিন দিয়ে বিকাশ অ্যাপের হোম স্ক্রিণে প্রবেশ করতে হবে।
২/ পে বিল-এ গিয়ে নতুন স্ক্রিণে গ্যাস-এ ক্লিক করতে হবে। এ সময় নিচের দিকে গ্যাসের সকল পরিষেবাগুলো দেখাবে। সেখান থেকে গ্রাহক নিজের পরিষেবা প্রতিষ্ঠানটি বাছাই করে নিতে পারবে।
> কর্ণফুলী গ্যাস-এর ক্ষেত্রে
→ বিল এ্যাকাউন্ট নাম্বার হিসেবে বিলের বইয়ে সরবরাহকৃত নতুন গ্রাহক সংকেত নাম্বারটি দিতে হবে। তারপর দিতে হবে গ্রাহকের মোবাইল নম্বর। সবশেষে পরবর্তী বিল পেমেন্টের জন্য এ্যাকাউন্টটি সেভ করে রাখুন অপশনটিতে টিক মার্ক দিয়ে রাখলে পরের মাসে বিল পরিশোধের সময় নতুন করে এই তথ্যগুলো প্রবেশ করাতে হবে না।
আরও পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
→ পরের স্ক্রিণে নির্দিষ্ট সময়সীমায় ধার্যকৃত বিল দেখাবে।
> জালালাবাদ ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস-এর ক্ষেত্রে
→ বিল প্রদানের সময়সীমা এবং বিলের বইয়ে সরবরাহকৃত গ্রাহক কোডটি দিতে হবে। এ অংশে পরের মাসে বিল দেয়ার জন্য তথ্যগুলো সেভ করে রাখা যাবে।
→ পরের স্ক্রিণে নির্দিষ্ট সময়সীমায় ধার্যকৃত বিল দেখাবে।
> সুন্দরবন গ্যাস-এর ক্ষেত্রে
→ বিল প্রদানের সময়সীমা এবং বিল এ্যাকাউন্ট নাম্বার হিসেবে বিলের বইয়ে সরবরাহকৃত নতুন গ্রাহক সংকেত নাম্বারটি দিতে হবে। যথারীতি পরের মাসে বিল দেয়ার জন্য তথ্যগুলো সেভ করে রাখা যাবে।
→ পরের স্ক্রিণে নির্দিষ্ট সময়সীমায় ধার্যকৃত বিল দেখাবে।
> তিতাস নন মিটার্ড গ্যাস বিল-এর ক্ষেত্রে
→ বিল প্রদানের সময়সীমা, বিলের বইয়ে সরবরাহকৃত গ্রাহক কোড ও মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। যথারীতি পরের মাসে বিল দেয়ার জন্য তথ্যগুলো সেভ করে রাখা যাবে।
→ পরের স্ক্রিণে নির্দিষ্ট সময়সীমায় ধার্যকৃত বিল দেখাবে।
৩/ এবার বিকাশের পিন নাম্বার দিতে হবে।
৪/ পরের স্ক্রিণে বিল পরিশোধ নিশ্চিত করতে নিচের নির্দেশিত অংশটিতে ট্যাপ করে ধরে রাখলে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিল জমা সম্পন্ন হবে।
৫/ চূড়ান্ত ভাবে একটি ডিজিটাল জমা রশিদ দেয়া হবে যেটি পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য ডাউনলোড করে রাখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: দৌড়ের সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: কারণ এবং ঝুঁকি কমাতে করণীয়
অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা সমূহ
বিকাশের পাশাপাশি অনলাইনে গ্যাস বিল পরিশোধের জন্য সহজ মাধ্যমগুলোর মধ্যে আছে সরকারি পেমেন্ট গেটওয়ে নগদ এবং ডিবিবিএল(ডাচ বাংলা ব্যাংক)-এর রকেট। এছাড়াও আছে রূপালি ব্যাংকের শিওর ক্যাশ, সাউথইষ্ট ব্যাংকের টেলিক্যাশ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ইউক্যাশ, এটুআই(অ্যাক্সেস টু ইনফর্মেশন প্রোগ্রাম)-এর একপে, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মাইকেশ, রবি আজিয়াটার রবিক্যাশ, অগ্রণী ব্যাংকের দুয়ার এবং গ্রামীণফোনের জিপে।
২ বছর আগে
অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
ডিজিটাল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবদানগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ। নাগরিকদের নিত্য-নৈমিত্তিক জীবনযাত্রা সহজ করার ক্ষেত্রে সময় এবং অর্থ দুটোই রক্ষা করা যাচ্ছে প্রযুক্তির এই অসামান্য অগ্রগতিতে। প্রযুক্তি নির্ভর বিভিন্ন সেবার অবতারণার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলছে সেগুলোর মান। ক্রমাগত সহজলভ্য বৃদ্ধির সাথে যুগপৎ ভাবে বাড়ছে সেগুলোর চাহিদাও। মোবাইল ব্যাংকিং এর বিরামহীন প্রসারে গ্রাহকদের সাথে সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত এবং বেসরকারি পরিষেবাগুলোর আর্থিক লেনদেনের মেলবন্ধন হয়ে যাচ্ছে আরো সহজতর। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত অনলাইনে বিদুৎ বিল পরিশোধের নিয়ম নিয়ে আলোচনা থাকছে আজকের ফিচারে।
অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ-এর নিয়ম
বিকাশ-এ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ
অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ-এর জন্য দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ পেমেন্ট গেটওয়েটি। বিকাশ-এ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করলে সাথে সাথেই বিলের জমা রশিদটি সরাসরি মোবাইলে চলে আসে। এমনকি এর মাধ্যমে বিল পরিশোধ করলে সর্বোচ্চ দুটি বিল পরিশোধ করা যায় কোন চার্জ ছাড়াই।
পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
বিকাশের মাধ্যমে যে বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রিপেইড ও পোস্টপেইড বিদ্যুৎ বিল জমা দেয়া যাবে সেগুলো হলো- পল্লীবিদ্যুৎ, ডেসকো, নেসকো, ডিপিডিসি, বিপিডিবি, ওয়েস্ট জোন। এছাড়া এখানে বিলার হিসেবে বিপিডিবি সিলেট-এর প্রিপেইড পরিষেবাটিও সংযুক্ত আছে।
বিকাশ অ্যাপ না থাকলে গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোডের পর ইন্স্টল করে নিতে হবে। অতঃপর বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার হিসেবে মোবাইল নাম্বার এবং পাঁচ অঙ্কের পিন নাম্বার দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। এরপর থেকে প্রতিবার বিকাশ অ্যাপ ব্যবহারের সময় অ্যাকাউন্টের জায়গায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইল নাম্বারটি বসে যাবে। শুধু পিন নাম্বারটি প্রবেশ করাতে হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, প্রতিবার বিকাশ অ্যাপ-এ প্রবেশের সময় মোবাইলের লোকেশনটি অন রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
এবার বিদ্যুৎ বিল জমা দেয়া সময় নিম্নলিখিত পর্যায়গুলো অনুসরণ করা যেতে পারে।
১/ পিন দেয়ার পর অ্যাপ-এ হোম স্ক্রিন আসবে। এখান থেকে পে বিল-এ যেতে হবে।
২/ পে বিল-এর স্ক্রিণে প্রতিষ্ঠানের ধরনের ক্যাটাগরি থেকে বিদ্যুৎ-এ ট্যাপ করলে নিচের দিকে বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেখাবে।
৩/ যে বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠানের আওতায় বিদ্যুৎ বিল জমা দেয়া হবে সেটি নির্বাচন করতে হবে।
৪/ এবার পোস্ট পেইডের ক্ষেত্রে বিলের সময়সীমা লিস্ট থেকে যে মাসের বিদ্যুৎ বিল দেয়া হবে সে মাস নির্বাচন করে কাস্টমার নাম্বার দিতে হবে। এই আইডি নাম্বারটি মুলত আট অঙ্কের একটি সংখ্যা যেটি প্রতি মাসে সরবরাহকৃত বিগত মাসের বিদ্যুৎ বিলের কপিতে উল্লেখ থাকে। প্রিপেইডের ক্ষেত্রে এ অংশে অ্যাকাউন্ট, যোগাযোগ ও রেফান্সে নাম্বার দিতে হবে।
৫/ বিলের সময়সীমা নির্বাচনের সাথে সাথে নির্দিষ্ট মাসের জন্য ধার্যকৃত বিদ্যুৎ বিল দেখাবে। পরের স্ক্রিণে বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণটি উল্লেখ করে পিন নাম্বার দিতে হবে। অতঃপর বিকাশ অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট ব্যালেন্স থাকলে কনফার্ম বাটন চাপ দিয়ে ধরে রাখলে বিল পরিশোধ সম্পন্ন হবে।
৬/ বিল জমার সাথে সাথেই জমা রশিদ দেখা ও ডাউনলোড করে রাখা যাবে।
অন্যদিকে প্রিপেইডের ক্ষেত্রে বিল জমা দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে এসএমএস-এর মাধ্যমে একটি টোকেন নাম্বার দেয়া হবে।
এভাবে টোকেন নাম্বার না পেলে মোবাইলের মেসেজ অপশন থেকে মিটার নাম্বার লিখে মেসেজ করতে হবে ০৪৪৪৫৬১৬২৪৭ নাম্বারে। তখন ফিরতি এসএমএস-এ পাওয়া যাবে কাঙ্ক্ষিত টোকেন নাম্বারটি।
৭/ প্রাপ্ত টোকেন নাম্বারটি প্রিপেইড মিটারে প্রবেশ করানোর মাধ্যমে সম্পন্ন হবে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ।
আরও পড়ুন: দৌড়ের সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: কারণ এবং ঝুঁকি কমাতে করণীয়
অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা সমূহ
বিকাশের পাশাপাশি অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো সরকারি পেমেন্ট গেটওয়ে নগদ। এই অ্যাপের মাধ্যমে বিনামূল্যে পরিশোধ করা যায় বিদ্যুৎ বিল। এছাড়াও আছে ডিবিবিএল(ডাচ বাংলা ব্যাংক)-এর রকেট ও নেক্সাস অ্যাপ, রবি আজিয়াটার রবিক্যাশ, রূপালি ব্যাংকের শিওর ক্যাশ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ইউক্যাশ, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মাইকেশ, গ্রামীণফোনের জিপে এবং এটুআইয়ের একপে।
পরিশেষে
বিদ্যুৎ বিল হাতে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে থেকে বিল জমা দিয়ে রশিদ সংগ্রহের দিন শেষ। এখন দেশের যে কোন জায়গা থেকে ঘরে বসে অথবা চলমান যে কোন অবস্থাতেই নিশ্চিন্তে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা যায়। মোবাইল অ্যাপগুলোর পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যাংকিং-এর সেবাগুলোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিলের কপি দেখা সহ বিল জমা দেয়া যাচ্ছে। ডিবিবিএল-এর ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড দিয়ে সরাসরি ডিপিডিসি(ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড) এবং ডেসকো (ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড)-এর ওয়েবসাইট থেকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা যায়।
আরও পড়ুন: শিক্ষা সনদপত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
২ বছর আগে
পোশাক কারখানায় স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করছে বিকাশ
তৈরি পোশাক খাতের নারী শ্রমিকদের জন্য পাচঁটি কারাখানায় স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করেছে বিকাশ। হাতের কাছে জরুরি স্যানিটারি ন্যাপকিন পাওয়ার সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে পোশাক কারখানায় নারীবান্ধব স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যেই বিকাশের এই উদ্যোগ।
সম্প্রতি সাভারের আশুলিয়ার অনন্ত গার্মেন্টস, নিউএজ অ্যাপারেলস, গাজীপুরে মেগা ডেনিম, হ্যামস গার্মেন্টস ও চট্টগ্রামের ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাপারেলস কারখানায় ভেন্ডিং মেশিন স্থাপনের মাধ্যমে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
ভার্টিক্যাল ইনোভেশনস এর প্রযুক্তিগত সহায়তায় পোশাক কারখানায় এই অটোমেটিক স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিনগুলো স্থাপন করছে বিকাশ। বিকাশ অ্যাপ থেকে কিউআর কোড স্ক্যান করে অথবা *২৪৭# ডায়াল করে সহজেই ভেন্ডিং মেশিন থেকে স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে পারবেন নারী শ্রমিকরা। শ্রমিকদের সুবিধার্থে ভেন্ডিং মেশিনের পাশেই ধাপে ধাপে পেমেন্ট করার পদ্ধতি প্রদর্শন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইএফআইসি ব্যাংকের সাথে বিকাশের সরাসরি লেনদেন সেবার উদ্বোধন
বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, ‘পোশাক কারখানায় নারী শ্রমিকদের শারীরিক সুস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই আমরা এই স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। ফ্যাক্টরি প্রাঙ্গনে অবস্থিত এই মেশিন থেকে সহজেই নারী শ্রমিকরা বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে ন্যাপকিন কিনতে পারবেন। এই উদ্যোগকে আগামীতে পর্যায়ক্রমে আরও বড় পরিসরে নিয়ে যাবে বিকাশ।’
পোশাক খাতের শ্রমিকদের সহজ, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী ডিজিটাল বেতন বিতরণ ব্যবস্থা এবং তাদের জন্য টেকসই আর্থিক ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে কাজ করছে বিকাশ।
এই ইকো-সিস্টেমের অংশ হিসেবে ফ্যাক্টরির ভেতরেই ন্যায্য মূল্যের দোকান ‘সুলভ বাজার’স্থাপন করছে বিকাশ যেখানে বিকাশ পেমেন্টে শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন পণ্যে থাকছে আকর্ষণীয় ছাড়।
আরও পড়ুন: বিকাশে মোবাইল রিচার্জে ৩০ শতাংশ ক্যাশব্যাক
২ বছর আগে