ঢাকা ওয়াসা
ডিএসসিসির আরোপিত জরিমানার ১৩৭১৩৯২ টাকা পরিশোধ করেছে ঢাকা ওয়াসা
বিনা অনুমতিতে অবৈধভাবে লালবাগের শহীদ আবদুল আলীম খেলার মাঠসংলগ্ন সড়ক খনন করার ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) করা জরিমানার ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৩৯২ টাকা পরিশোধ করেছে ঢাকা ওয়াসা।
ঢাকা ওয়াসা নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে জরিমানার টাকা সংগ্রহ করে তা দুইটি চেকের মাধ্যমে করপোরেশনকে পাঠানো হয়।
রবিবার (১৪ জুলাই) অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক কার্যালয়ে অবস্থিত প্রকৌশল বিভাগের দপ্তরে জরিমানার অর্থ পরিশোধ-সংক্রান্ত পত্র ও দুটি চেক পাঠানো হয়। অঞ্চল-৩ এর সহকারী প্রকৌশলী মো. আহসান হাবিব ঢাকা ওয়াসার প্রেরকের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট পত্র ও চেক দুইটি গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: রাজস্ব আদায়ে ফের নতুন মাইলফলক সৃষ্টি: ডিএসসিসি মেয়র
উল্লেখ যে, অঞ্চল-৩ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মিঠুন চন্দ্র শীলের সই জাল করে ও অনুমোদন না নিয়ে গত ৮ জুলাই লালবাগের শহীদ আবদুল আলীম খেলার মাঠসংলগ্ন রাস্তা খনন করায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশন খনন কাজে ওয়াসার ঠিকাদারের ব্যবহৃত মালামাল জব্দ করে। সই জাল করার অপরাধে সেদিন রাতেই লালবাগ থানায় ওয়াসা নিযুক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলী সৈয়দ আবু জাফরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পরে ৮ জুলাই অঞ্চল-৩ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মিঠুন চন্দ্র শীল সড়ক খনন নীতিমালা-২০১৯ এর ১.৩.৫ ধারা অনুযায়ী বিনা অনুমতিতে সড়ক খনন করায় ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৩৯২ টাকা জরিমানা আরোপ করে ঢাকা ওয়াসার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে পত্র দেয়। ঢাকা ওয়াসা গত ৯ জুলাই দক্ষিণ সিটির সে পত্র গ্রহণ করে।
ঢাকা ওয়াসার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বরাবরে পাঠানো দক্ষিণ সিটির সেই পত্রে তিন কার্যদিবসের মধ্যে চালান/পে-অর্ডারের মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের খনন তহবিলে জরিমানার টাকা জমা দিতে অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও পত্রে উল্লেখ করা হয়।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ওয়াসার সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার (রক্ষণাবেক্ষণ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ মোস্তাকিম হোসেন তাদের নিযুক্ত ঠিকাদারকে জরিমানার অর্থ পরিশোধের নির্দেশ দেয় বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকাবাসীর আস্থা অর্জনে ডিএসসিসি ইতিহাস রচনা করেছে: ডিএসসিসি মেয়র
ডিএসসিসি ঢাকাবাসীর আস্থার আশ্রয়স্থল: ডিএসসিসি মেয়র
৪ মাস আগে
পানিতে ভর্তুকি দেয়া বন্ধ করবে ঢাকা ওয়াসা: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, এখন থেকে রাজধানীতে পানিতে ভর্তুকি দেয়া বন্ধ করবে ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ঢাকা ওয়াসা)।
মন্ত্রী আরও বলেন, জোনভিত্তিক পানির হার নির্ধারণ করা হলে শহরের বস্তিতে বসবাসকারী নিম্ন আয়ের মানুষরা কম দামে পানি পাবেন।
শুক্রবার প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) মিলনায়তনে সিটি রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা শহরে বসবাসকারী বেশিরভাগ মানুষই স্বচ্ছল। উচ্চ ও নিম্ন আয়ের মানুষকে একই হারে পানি সরবরাহ করার কোনো মানে হয় না। আমরা শিগগিরই বিভিন্ন জোন অনুযায়ী পানির দাম নির্ধারণ করব যার পরে যারা দরিদ্র অঞ্চলে বসবাস করেন তাদের তুলনায় স্বচ্ছল এলাকায় বসবাসকারীরা পানির জন্য বেশি মূল্য দিতে হবে।’
তাজুল আরও বলেন, সম্প্রতি গেজেট হিসেবে প্রকাশিত ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ডিএপি) বাস্তবায়নের সময় এসেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক চেষ্টার পর ড্যাপের গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। এটি ঢাকাকে একটি বাসযোগ্য, আধুনিক ও মনোরম নগরীতে পরিণত করতে সহায়তা করবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমাদের সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিটি রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আদিলুর রহমান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পিআইবির মহাপরিচালক (ডিজি) জাফর ওয়াজেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব দীপ আজাদ এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পদ্মা সেতু দুই যুগেও হতো না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
২ বছর আগে
জানুয়ারির মধ্যেই খালের দায়িত্ব পাচ্ছে ২ সিটি করপোরেশন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
আগামী জানুয়ারির মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে খালের দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসা থেকে দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
৩ বছর আগে
খাল দখল ও দূষণমুক্ত করতে সিটি করপোরেশন ও ওয়াসার সহযোগিতা তেমন পাইনি: প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা শহরের খালগুলো দখল ও দূষণমুক্ত করতে ঢাকা সিটি করপোরেশন ও ঢাকা ওয়াসার যে ধরনের সহযোগিতা করার কথা ছিল তেমন সহযোগিতা না পাওয়ার কথা বৃহস্পতিবার জানালেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
৪ বছর আগে