পদ্মা
পদ্মায় ঘুরতে গিয়ে নৌকাডুবি, নিখোঁজ স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
পাবনার সুজানগরে পদ্মা নদীতে বেড়াতে গিয়ে নৌকাডুবির ১৬ ঘণ্টা পর স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার হলেন— পাবনার কোলচরী গ্রামের বাসিন্দা হৃদয় ও তার স্ত্রী মৌ আক্তার।
নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে নৌপুলিশ ও ডুবুরি দল তাদের লাশ উদ্ধার করে। এর আগে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিকাল ৬টার দিকে নিখোঁজ হন তারা।
স্থানীয়রা জানায়, সুজানগর উপজেলার সাতবারিয়ায় কাঞ্চন পার্কে পদ্মা নদী এলাকায় বেড়াতে যান বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য মানুষ। একপর্যায়ে তারাসহ ২০ থেকে ২৫ জন শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ওঠেন।
নৌকায় থাকা অবস্থায় নদীর মাঝখানে হঠাৎ করে পদ্মা নদীর স্রোতে নৌকাটি ডুবে যায়। সবাই সাঁতরিয়ে নদী পার হয়ে তীরে উঠতে পারলেও হৃদয় খান ও তার স্ত্রী নিখোঁজ হন।
১২ দিন আগে
পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়ে আটক বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দিল বিএসএফ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে পদ্মা নদীতে মাছ ধরার সময় আটক আলমগীর শেখ নামে এক বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের পর আটক জেলেকে ফেরত দেওয়া হয়। আজ (মঙ্গলবার) বিকালে ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আলমগীর শেখ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী রামনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা।
বিজিবির বিজ্ঞপ্তিত থেকে জানা যায়, সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে রঘুনাথপুর সীমান্তে প্রবাহিত পদ্মা নদীতে ছোট নৌকা নিয়ে মাছ ধরার সময় অবৈধভাবে ভারতের প্রায় ৭০০ গজ ভেতরে ঢুকে পড়েন আলমগীর শেখ। এ সময় ভারতের নিমতিতা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল ভারত
এ ঘটনা জানার পর ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনির-উজ-জামান ভারতে অনুপ্রবেশকারী আলমগীর শেখকে ফেরত চেয়ে বিএসএফের কমান্ড্যান্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ১০/৪-এস নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকায় বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নৌকা ও জালসহ আলমগীর শেখকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফেরত পাওয়া আলমগীর শেখকে নৌকা ও জালসহ শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
৩০ দিন আগে
পদ্মায় গোসলে নেমে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীতে বন্ধুদের সঙ্গে গোসলে করতে নেমে ফরহাদ নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (৯ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার মডেল থানার সামনে পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
ফরহাদ গোদাগাড়ী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীমন্তপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম বাবুর ছেলে। গোদাগাড়ী সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফরহাদসহ কয়েক বন্ধু দুপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামলে এক পর্যায়ে পানিতে ডুবে যায় ফরহাদ।
আরও পড়ুন: যশোরে দেয়ালচাপায় নির্মাণ শ্রমিক নিহত
স্থানীয়রা নদীতে নেমে খোঁজাখুঁজি করলেও সন্ধান না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পরে গোদাগাড়ী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় রাজশাহীর ডুবরিরা তার লাশ উদ্ধার করে।
রাজশাহী ফায়ার সর্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সামা বলেন, ‘ফায়ার স্টেশন থেকে ডুবুরি দল পাঠানো হয়। পরে ডুবুরি দল নিখোঁজ ফরহাদের লাশ উদ্ধার করে।’
৩৯ দিন আগে
পদ্মায় জেলের জালে ধরা পড়ল বিশালাকৃতির কুমির
পদ্মা নদীর কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া অংশে জেলের জালে একটি বিশালাকৃতির কুমির ধরা পড়েছে। কুমিরটির ওজন আনুমানিক সাড়ে ৩ মণ এবং লম্বায় প্রায় ১০ ফুট।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে তালবাড়িয়া ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে শরিফুল ইসলাম নামের এক জেলের মাছ ধরার জালে কুমিরটি ধরা পড়ে।
জালে কুমির আটকে থাকতে দেখে জেলেসহ আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে সেটিকে ডাঙায় তুলে আনলে হাজার হাজার উৎসুক জনতা কুমিরটিকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমায়।
খবর পেয়ে কুষ্টিয়ার বন বিভাগ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় পরিবেশ কর্মীদের সহায়তায় কুমিরটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে রিসোর্ট থেকে কুমির উদ্ধার
এ বিষয়ে জেলে শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা ৭-৮ জন জেলে প্রতি দিনের মতো নদীতে মাছ ধরতে যাই। দুপুর ১টার দিকে নদীতে জাল ফেলি। জাল টানার পর প্রথমে মনে করেছিলাম বড় কোনো মাছ ধরা পড়েছে, কিন্তু জাল তোলার পরে দেখি বিশাল আকৃতির একটি কুমির। আমরা জাল কেটে কুমিরটিকে বের করে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখি। পরে বন বিভাগের লোক এসে কুমিরটিকে নিয়ে যায়।
বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশনের (বিবিসিএফ) সহ-সভাপতি শাহাবউদ্দিন মিলন বলেন, বেশ কিছুদিন আগে থেকেই স্থানীয়রা পদ্মা এবং গড়াই নদীতে কয়েকটি কুমির দেখতে পাচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা মুরগি, হাঁস ও ছাগল দিয়ে রাখি নদীতে। কয়েকবার দেখা গেলেও হাজারো মানুষের ভিড়ের কারণে শেষ পর্যন্ত আর কুমিরের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে আজ (মঙ্গলবার) দুপুর দেড়টার দিকে জানতে পারি, তালবাড়িয়া ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে একটি কুমির ধরা পড়েছে। খবর পেয়ে আমরা বিবিসিএফ টিম এবং কুষ্টিয়া বন বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সেখানে জেলেদের জাল কেটে কুমিরটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। পরবর্তীতে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে কুমিরটিকে নিরাপদ কোনো স্থানে অবমুক্ত করা হবে।
এ ব্যাপারে সামজিক বনায়ন কুষ্টিয়ার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (জগতি) মো. আতিয়ার রহমান জানান, এটি একটি মিঠা পানির কুমির। এসব কুমির লম্বায় ১০ ফুটও হতে পারে। কুমিরটিকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। পরবর্তীতে উপযুক্ত স্থানে আমরা এটিকে অবমুক্ত করব।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কুমিরের আক্রমণে মৌয়ালের মৃত্যু
১১৪ দিন আগে
চাঁদপুরে পদ্মায় দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ
চাঁদপুরে পদ্মা নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে যাত্রীবাহী দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে।
এ সময় যাত্রী হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। লঞ্চ দুটি হলো-কীর্তনখোলা ১০ ও এমভি প্রিন্স আওলাদ ১০।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে চাঁদপুরের পদ্মা নদীর হরিনা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিআইডব্লিউটিয়ের বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক জানান, দুর্ঘটনার পর কীর্তনখোলা ১০ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরলেও প্রিন্স আওলাদ লঞ্চ পার্শ্ববর্তী চরে নোঙর করতে বাধ্য হয়। পরে প্রিন্স আওলাদের যাত্রীদের নিয়ে আরেকটি লঞ্চ এমভি শুভরাজ বরিশাল নৌবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
বরিশাল নৌ বন্দর কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘যাত্রী হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। দুই লঞ্চের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। প্রিন্স আওলাদের যাত্রীদের অন্য একটি লঞ্চের মাধ্যমে বরিশাল আনা হচ্ছে।’
দুর্ঘটনা কবলিত প্রিন্স আওলাদের যাত্রী হিরামনি উকিল রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর আমাদের আরেকটি লঞ্চে তুলে দিয়েছে। এই লঞ্চে খাবার নেই। যাত্রীদের কাছ থেকে নতুন করে ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগে আছেন যাত্রীরা।’
বরিশাল সদর নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত একটি লঞ্চের যাত্রীদের অন্য লঞ্চে বরিশাল আনা হচ্ছে। এ দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর নেই।’
১১৬ দিন আগে
পদ্মায় নিখোঁজ ২ এএসআই: একজনের লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মা নদীতে নিখোঁজের ৩৪ ঘণ্টা পর এএসআই সদরুল হাসানের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটের দিকে উপজেলার শিলাইদহ খেয়াঘাট এলাকা থেকে ভাসমান লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এঘটনায় নিখোঁজ সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মুকুল হোসেনকে উদ্ধারে এখনও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বুড়িমারীতে অটোচালকের লাশ উদ্ধার
সদরুল পাবনার আতাইকুলা থানার কাজিপুরের আব্দুল ওহাবের ছেলে। আর মুকুল মেহেরপুরের কালাচাঁদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের ছেলে।
এছাড়াও এ ঘটনায় আহত হন এক উপপরিদর্শক (এসআই) এবং ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর সদস্য ছানোয়ার হোসেন ছলিম ও ৬ নম্বর সদস্য আনোয়ার হোসেন টিটন।
কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে সদরুলের লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। অপরজনকে উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় এএসআই সদরুলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মুকুল হোসেনকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
১৭০ দিন আগে
পদ্মায় দুর্বৃত্তের হামলা থেকে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ২ এএসআই নিখোঁজ
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পদ্মা নদীতে পুলিশ ও স্থানীয় দুই ইউপি মেম্বারের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই পুলিশ সদস্য নিখোঁজ রয়েছেন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) উপজেলার বেড় কালোয়া এলাকার পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। তবে কী কারণে হামলার ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি।
আহতরা হলেন- কয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ছানোয়ার হোসেন এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেন।
তাদের ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় দুই ইউপি মেম্বার ছানোয়ার ও আনোয়ার কুমারখালী থানার চারজন পুলিশকে নিয়ে পদ্মা নদীতে যান। এসময় নদীতে অবৈধভাবে জাল ফেলে মাছ ধরছিলেন জেলেরা। পুলিশের নৌকাটি জেলেদের দিকে এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় নৌকায় থাকা এএসআই সদরুল আলম ও এএসআই মুকুল হোসেন নদীতে ঝাঁপ দেন। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চললেও পদ্মা নদীতে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে মাছ শিকার করছেন জেলেরা। ওই এলাকায় জেলেদের প্রধান ইয়ারুল। পদ্মায় তার একটি বাহিনীও আছে। সোমবার ভোরে স্থানীয় ইউপি মেম্বারদের সহযোগিতায় কয়েকজন পুলিশ নৌকা নিয়ে পদ্মায় যান। এসময় তারা অভিযানের নামে জেলেদের মাছ লুটে নেওয়ার চেষ্টা করলে জেলেরা তাদের ওপর হামলা চালান। হামলাকারীরা হেলমেট পরা ছিল।
কুমারখালীর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমাদুল হাসান বলেন, রাতে মৎস্য অভিযান ছিল না। পদ্মায় পুলিশ কেন গেছে তা জানি না।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, কুমারখালী থানার দুজন এএসআই নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে পুলিশের একাধিক টিম নৌকা নিয়ে পদ্মায় তল্লাশি চালাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তবে তারা কী কারণে এখানে এসেছিলেন সেটা এখনও পর্যন্ত জানতে পারেননি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় নিখোঁজের ২ দিন পর বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
১৭১ দিন আগে
পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
শরীয়তপুরের জাজিরা-নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও চরজানপুর পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রয় এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়ে রবিবার (৩ নভেম্বর) পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরা, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে।
অভিযান সফল করতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
আরও পড়ুন: ২২ দিনের শিকার নিষেধাজ্ঞায় চাঁদপুরে রেকর্ড দামে ইলিশ বিক্রি, হতাশ হয়ে ফিরছেন ক্রেতারা
মা ইলিশ নিরাপদে ডিম ছাড়ার সুযোগ পেলে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে জানিয়ে ভেদরগঞ্জ সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ইলিশের ডিম পরিপক্কতা ও প্রাপ্যতায় মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। এখন মা ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য সাগর থেকে উপকূলীয় অঞ্চল পদ্মা-মেঘনা অভয়াশ্রমের আওতাধীন নদীগুলোতে আসে। আশ্বিনের অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় মা ইলিশ প্রচুর ডিম পাড়ে। তাই মা ইলিশ অবাধে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে নদীতে জাল ফেলা ও মাছ শিকার বন্ধ থাকবে।
জেলা মৎস্য অফিসার মো. হাদিউজ্জামান বলেন, নদীতে মা ইলিশ রক্ষা ও অভয়াশ্রম বাস্তবায়ন করতে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, মৎস্য বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স প্রস্তুত রয়েছে। জেলে ও মৎস্যজীবীদের সচেতন করতে জল ও স্থলপথে প্রচারণা চলছে।
সরকার প্রণোদনা হিসেবে তালিকাভুক্ত প্রত্যেক জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল দিয়েছে বলে জানান তিনি।
হাদিউজ্জামান আরও জানান, অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অভিযান চলাকালে নদীতে কোস্টগার্ড, সেনাবাহিনী, নৌপুলিশ মোতায়েন থাকবে। ২৪ ঘণ্টা পাহারা দিতে এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি স্পিডবোট আনা হয়েছে।
নিষিদ্ধ সময়ে কেউ মাছ কেনাবেচা করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে সতর্ক করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা বাড়ল আরও ১৫ দিন
১৮৬ দিন আগে
দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে ডুবে শিশু নিখোঁজ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে মোমিন হোসেন (৫) নামে এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের খারিজাথাক জামে মসজিদ এলাকায় পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ২ দিন পর টেক্সটাইল মিল শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
মোমিন হোসেন ওই এলাকার মোহাম্মদ আলী মোল্লার ছোট ছেলে।
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, ‘চার থেকে পাঁচজন সমবয়সি শিশু নদীতে ঝাঁপ দিয়ে খেলছিল। এ সময় মোমিন নদীর পানিতে নিখোঁজ হয়।’
ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘পদ্মা নদীতে ৫ বছরের একটি শিশু নিখোঁজের খবর পেয়েছি। আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া খুলনার ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সমুদ্রে গোসল করতে নেমে কলেজছাত্র নিখোঁজ
২৪৩ দিন আগে
পদ্মায় গোসল করতে নেমে ২ ভাইসহ ৩ শিশুর মৃত্যু
পাবনা সদরের পদ্মা নদীতে পানিতে ডুবে আপন দুই ভাইসহ তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের ভাদুরিয়া ডাঙ্গীর পদ্মা নদীতে সোমবার (২৪ জুন) দুপুর ১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলো- চরতারাপুর ইউনিয়নের নতুন গোহাইবাড়ি এলাকার আলাল প্রামানিকের দুই ছেলে ছাব্বির হোসেন (১৪) ও সিয়াম হোসেন (১০) এবং চরতারাপুর ইউনিয়নের আটঘরিয়াপাড়া গ্রামের ইসলাম সরদারের ছেলে নূর হোসেন (১০)।
আরও পড়ুন: কাশির সিরাপের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে সেবনে ২ যুবকের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুর ১টার দিকে ছাব্বির, সিয়াম, নূর ও তাদের সঙ্গে আরও একজন বাড়ির পাশের একটি আম গাছে পতাকা টাঙাচ্ছিল। রোদের সময়ে পতাকা টাঙাতে নিষেধ করলে তারা বাড়ি থেকে গামছা নিয়ে নদীতে গোসল করতে যায়। স্থানীয়রা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে জীবিত উদ্ধার করতে পারলেও অপর তিনজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
নিহতের বাবা আলাল বলেন, আমি এখন কেমনে বেঁচে থাকব। আমিতো একেবারে সব হারালাম। দুই ছেলে একই সঙ্গে ছেড়ে চলে গেল।
চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, বন্ধুরা মিলে পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে তলিয়ে যায়। একজনকে বাঁচানো গেলেও তিনজনকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রওশন আলী বলেন, একসঙ্গে গোসলে নেমে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক।
আরও পড়ুন: চৌদ্দগ্রামে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
রাজধানীতে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই যুবকের মৃত্যু
২৯৭ দিন আগে