পদ্মা
পদ্মায় নিখোঁজ ২ এএসআই: একজনের লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মা নদীতে নিখোঁজের ৩৪ ঘণ্টা পর এএসআই সদরুল হাসানের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটের দিকে উপজেলার শিলাইদহ খেয়াঘাট এলাকা থেকে ভাসমান লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এঘটনায় নিখোঁজ সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মুকুল হোসেনকে উদ্ধারে এখনও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বুড়িমারীতে অটোচালকের লাশ উদ্ধার
সদরুল পাবনার আতাইকুলা থানার কাজিপুরের আব্দুল ওহাবের ছেলে। আর মুকুল মেহেরপুরের কালাচাঁদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের ছেলে।
এছাড়াও এ ঘটনায় আহত হন এক উপপরিদর্শক (এসআই) এবং ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর সদস্য ছানোয়ার হোসেন ছলিম ও ৬ নম্বর সদস্য আনোয়ার হোসেন টিটন।
কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে সদরুলের লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। অপরজনকে উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় এএসআই সদরুলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মুকুল হোসেনকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
৩ সপ্তাহ আগে
পদ্মায় দুর্বৃত্তের হামলা থেকে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ২ এএসআই নিখোঁজ
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পদ্মা নদীতে পুলিশ ও স্থানীয় দুই ইউপি মেম্বারের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই পুলিশ সদস্য নিখোঁজ রয়েছেন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) উপজেলার বেড় কালোয়া এলাকার পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। তবে কী কারণে হামলার ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি।
আহতরা হলেন- কয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ছানোয়ার হোসেন এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেন।
তাদের ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় দুই ইউপি মেম্বার ছানোয়ার ও আনোয়ার কুমারখালী থানার চারজন পুলিশকে নিয়ে পদ্মা নদীতে যান। এসময় নদীতে অবৈধভাবে জাল ফেলে মাছ ধরছিলেন জেলেরা। পুলিশের নৌকাটি জেলেদের দিকে এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় নৌকায় থাকা এএসআই সদরুল আলম ও এএসআই মুকুল হোসেন নদীতে ঝাঁপ দেন। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চললেও পদ্মা নদীতে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে মাছ শিকার করছেন জেলেরা। ওই এলাকায় জেলেদের প্রধান ইয়ারুল। পদ্মায় তার একটি বাহিনীও আছে। সোমবার ভোরে স্থানীয় ইউপি মেম্বারদের সহযোগিতায় কয়েকজন পুলিশ নৌকা নিয়ে পদ্মায় যান। এসময় তারা অভিযানের নামে জেলেদের মাছ লুটে নেওয়ার চেষ্টা করলে জেলেরা তাদের ওপর হামলা চালান। হামলাকারীরা হেলমেট পরা ছিল।
কুমারখালীর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমাদুল হাসান বলেন, রাতে মৎস্য অভিযান ছিল না। পদ্মায় পুলিশ কেন গেছে তা জানি না।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, কুমারখালী থানার দুজন এএসআই নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে পুলিশের একাধিক টিম নৌকা নিয়ে পদ্মায় তল্লাশি চালাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তবে তারা কী কারণে এখানে এসেছিলেন সেটা এখনও পর্যন্ত জানতে পারেননি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় নিখোঁজের ২ দিন পর বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
৩ সপ্তাহ আগে
পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
শরীয়তপুরের জাজিরা-নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও চরজানপুর পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রয় এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়ে রবিবার (৩ নভেম্বর) পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরা, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে।
অভিযান সফল করতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
আরও পড়ুন: ২২ দিনের শিকার নিষেধাজ্ঞায় চাঁদপুরে রেকর্ড দামে ইলিশ বিক্রি, হতাশ হয়ে ফিরছেন ক্রেতারা
মা ইলিশ নিরাপদে ডিম ছাড়ার সুযোগ পেলে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে জানিয়ে ভেদরগঞ্জ সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ইলিশের ডিম পরিপক্কতা ও প্রাপ্যতায় মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। এখন মা ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য সাগর থেকে উপকূলীয় অঞ্চল পদ্মা-মেঘনা অভয়াশ্রমের আওতাধীন নদীগুলোতে আসে। আশ্বিনের অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় মা ইলিশ প্রচুর ডিম পাড়ে। তাই মা ইলিশ অবাধে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে নদীতে জাল ফেলা ও মাছ শিকার বন্ধ থাকবে।
জেলা মৎস্য অফিসার মো. হাদিউজ্জামান বলেন, নদীতে মা ইলিশ রক্ষা ও অভয়াশ্রম বাস্তবায়ন করতে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, মৎস্য বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স প্রস্তুত রয়েছে। জেলে ও মৎস্যজীবীদের সচেতন করতে জল ও স্থলপথে প্রচারণা চলছে।
সরকার প্রণোদনা হিসেবে তালিকাভুক্ত প্রত্যেক জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল দিয়েছে বলে জানান তিনি।
হাদিউজ্জামান আরও জানান, অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অভিযান চলাকালে নদীতে কোস্টগার্ড, সেনাবাহিনী, নৌপুলিশ মোতায়েন থাকবে। ২৪ ঘণ্টা পাহারা দিতে এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি স্পিডবোট আনা হয়েছে।
নিষিদ্ধ সময়ে কেউ মাছ কেনাবেচা করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে সতর্ক করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা বাড়ল আরও ১৫ দিন
১ মাস আগে
দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে ডুবে শিশু নিখোঁজ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে মোমিন হোসেন (৫) নামে এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের খারিজাথাক জামে মসজিদ এলাকায় পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ২ দিন পর টেক্সটাইল মিল শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
মোমিন হোসেন ওই এলাকার মোহাম্মদ আলী মোল্লার ছোট ছেলে।
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, ‘চার থেকে পাঁচজন সমবয়সি শিশু নদীতে ঝাঁপ দিয়ে খেলছিল। এ সময় মোমিন নদীর পানিতে নিখোঁজ হয়।’
ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘পদ্মা নদীতে ৫ বছরের একটি শিশু নিখোঁজের খবর পেয়েছি। আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া খুলনার ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সমুদ্রে গোসল করতে নেমে কলেজছাত্র নিখোঁজ
৩ মাস আগে
পদ্মায় গোসল করতে নেমে ২ ভাইসহ ৩ শিশুর মৃত্যু
পাবনা সদরের পদ্মা নদীতে পানিতে ডুবে আপন দুই ভাইসহ তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের ভাদুরিয়া ডাঙ্গীর পদ্মা নদীতে সোমবার (২৪ জুন) দুপুর ১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলো- চরতারাপুর ইউনিয়নের নতুন গোহাইবাড়ি এলাকার আলাল প্রামানিকের দুই ছেলে ছাব্বির হোসেন (১৪) ও সিয়াম হোসেন (১০) এবং চরতারাপুর ইউনিয়নের আটঘরিয়াপাড়া গ্রামের ইসলাম সরদারের ছেলে নূর হোসেন (১০)।
আরও পড়ুন: কাশির সিরাপের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে সেবনে ২ যুবকের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুর ১টার দিকে ছাব্বির, সিয়াম, নূর ও তাদের সঙ্গে আরও একজন বাড়ির পাশের একটি আম গাছে পতাকা টাঙাচ্ছিল। রোদের সময়ে পতাকা টাঙাতে নিষেধ করলে তারা বাড়ি থেকে গামছা নিয়ে নদীতে গোসল করতে যায়। স্থানীয়রা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে জীবিত উদ্ধার করতে পারলেও অপর তিনজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
নিহতের বাবা আলাল বলেন, আমি এখন কেমনে বেঁচে থাকব। আমিতো একেবারে সব হারালাম। দুই ছেলে একই সঙ্গে ছেড়ে চলে গেল।
চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, বন্ধুরা মিলে পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে তলিয়ে যায়। একজনকে বাঁচানো গেলেও তিনজনকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রওশন আলী বলেন, একসঙ্গে গোসলে নেমে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক।
আরও পড়ুন: চৌদ্দগ্রামে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
রাজধানীতে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই যুবকের মৃত্যু
৪ মাস আগে
পদ্মায় ট্রলার ডুবে গরু ব্যবসায়ী নিখোঁজ
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীতে ট্রলার ডুবে শেখ মজিদ নামে এক গরু ব্যবসায়ী নিখোঁজ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চর হরিরামপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর জলসীমায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ২ দিন পর মালয়েশিয়ান নাবিকের লাশ উদ্ধার
শেখ মজিদ গাজিরটেক ইউনিয়নের রমেশ বালার ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা। দুর্ঘটনার সময় সঙ্গে তার ছেলেসহ আরও তিন ব্যক্তি ছিলেন।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, গাজিটেক ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার শেখ, আহমদ মোল্লা, আলতাফ জোয়ারদার ও শুকুর আলী।
আনোয়ার শেখ বলেন, গরু ও ছাগল বিক্রি শেষে একটি ট্রলারে করে বড়ি ফিরছিলাম। তখন পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত ও ঢেউ থাকায় নৌকাটি পানিতে তলিয়ে যায়। তখন আমরা নৌকার মাচাইল ধরে পানিতে ভাসতে থাকি। প্রায় ২৫ মিনিট ভেসে থাকার পর একটি মাছ ধরার ট্রলার আমাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে। প্রথমে বাবাকে (মজিদ) তুলতে চেষ্টা করা হলেও তিনি ঢেউয়ের তোড়ে তলিয়ে যান। পরে চারজনকে উদ্ধার করা হয়।
চরভদ্রাসন ফায়ার সার্ভিস এর স্টেশন মাস্টার মুর্তজা ফকির বলেন, খবর পেয়ে নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এখনো নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে খালে ভেসে যাওয়ার একদিন পর নিখোঁজ নানী-নাতির লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে খালে ডুবে দুই শিশু নিখোঁজ
৫ মাস আগে
পদ্মায় গোসলে নেমে তাবলিগ জামাতের সদস্যের মৃত্যু
রাজশাহীর পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে আবু হুরায়রা নামে তাবলিগ জামাতের এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলার পবা উপজেলার গহমাবোনা এলাকার পদ্মায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত আবু হুরায়রা গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে ‘হিট স্ট্রোকে’ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
সোমবার দুপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নদীর পানিতে তলিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাবলিগ জামাতের স্থানীয় আমির আহমদ আলী তরফদার বলেন, গত ১৮ এপ্রিল ঢাকার কাকরাইল মসজিদ থেকে তাবলিগের ১৮ জনের একটি দল রাজশাহীতে আসে। সেই দলেরই সদস্য ছিলেন আবু হুরায়রা।
রামেক হাসপাতাল জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই আবু হুরায়রার মৃত্যু হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, পরিবারের সদস্যরা আসার পর আইনি প্রক্রিয়া শেষেই লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: শিবগঞ্জে মহানন্দা নদীতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
৬ মাস আগে
পদ্মা-মেঘনা অভয়ারণ্যে মাছ ধরায় ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাত থেকে শুরু
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত (১ মার্চ) থেকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ৭০ কিলোমিটার জাটকা রক্ষা ও অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশের জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষেধ।
জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে শুরু করে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত এ ৭০ কিলোমিটার এলাকায় অভয়াশ্রম বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স।
সরকারি এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন ৪৩ হাজার নিবন্ধিত জেলে।
জেলা মৎস্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সরকার প্রতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকাসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করে।
সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলায় টাস্কফোর্সের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পদ্মা-মেঘনা পাড়ের জেলে পাড়াগুলোতে জেলেদের অংশগ্রহণে সচেতনতা সভা করা হয়েছে। আইন অমান্য করে যেসব জেলে নদীতে মাছ আহরণ করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে টাস্কফোর্সে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ ধরায় ১৩ জেলেকে জরিমানা
জেলা মৎস্য অফিসার মো. গোলাম মেহেদী হাসান ইউএনবিকে বলেন, ‘মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা জেলেদেরকে মাথাপিছু ৪০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ইউনিয়নে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। জাটকা রক্ষায় জেলা টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
চাঁদপুর সদর উপজেলার মেঘনা উপকূলীয় জেলে পাড়া আনন্দ বাজার এলাকায় জেলেদের সঙ্গে এই সংবাদদাতার কথা হয়। জালাল দেওয়ান ও হৃদয় হোসেনসহ অন্যরা জানান, তারা সরকারি নিষেধাজ্ঞা মানেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়, তাতে তাদের সংসার চলে না। সব দ্রব্যের দাম ডাবল। এরপর তাদের ঋণ থাকে। এই সময় বেকার হয়ে পড়ায় তাদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা নেই।
আরও পড়ুন: ২২ দিনের ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে মধ্যরাতে
তারা সরকারি সহযোগিতা দ্বিগুণ বাড়ানোর দাবি জানান।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, দুই মাসের অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে নৌপুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এ ব্যাপারে নদীতে কোনো অনিয়ম দেখলে কঠোরভাবে দমন করা হবে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, আইন অমান্য করে কোনো জেলে নদীতে নামলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জাটকা রক্ষায় টাস্কফোর্স নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করবে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪৯ জেলের কারাদণ্ড
৮ মাস আগে
পদ্মা ফেরিডুবি: সুষ্ঠু তদন্ত দাবি জাতীয় কমিটির
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের কাছে বুধবারের ফেরিডুবির ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি (এনসিপিএসআরআর)।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সংগঠনের সভাপতি মো. শহিদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবি, নিখোঁজ ২৫
অজ্ঞাতপরিচয় বাল্কহেডকে দোষারোপ না করে ডুবে যাওয়া ফেরি 'রজনীগন্ধা' তৈরির সময় কোনো ত্রুটি ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে নাগরিক সংগঠনটি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) জানায়, বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ফেরিটি ডুবে গেছে।
আরও পড়ুন: পদ্মায় ফেরিডুবির ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন
বিআইডব্লিউটিসির বক্তব্যকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে ফেরিটির নির্মাণ ত্রুটি ও সর্বশেষ ফিটনেস জরিপসংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত যাচাই করা প্রয়োজন।
দুর্ঘটনার পর থেকে জাতীয় কমিটি উদ্ধার তৎপরতাসহ পুরো বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৪ সালে একটি বেসরকারি ডকইয়ার্ডে ফেরিটি নির্মাণ করা হয়।
আরও পড়ুন: বাল্কহেড ধাক্কা দেওয়ায় ফেরিডুবির ঘটনা ঘটেছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
এত অল্প সময়ের মধ্যে বাল্কহেডের (বালুবহনকারী ছোট জাহাজ) ধাক্কায় এত বড় জাহাজের হাল ভেঙে নদীতে পড়ে যাবে তা অবিশ্বাস্য।
জাতীয় কমিটির নেতারা অবিলম্বে ফেরিসহ ডুবে যাওয়া যানবাহন উদ্ধার এবং নৌ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহন নিয়ে ফেরিডুবি, চালক নিখোঁজ
১০ মাস আগে
গোয়ালন্দে জেঁকে বসছে শীত, দুর্ভোগে পদ্মা পাড়ের মানুষ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে কয়েক দিন ধরে কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় জেঁকে বসেছে শীত। শুক্রবার সারাদিন দেখা মেলেনি সূর্যের। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। কেবলমাত্র প্রয়োজনের তাগিতে বের হচ্ছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। এছাড়া নদী ভাঙন এলাকার শ্রমজীবী মানুষ শীতে বাড়তি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গোয়ালন্দে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
গোয়ালন্দ উপজেলায় আবহাওয়া অধিপ্তরের কোনো কার্যালয় না থাকলেও প্রয়োজনের তাগিদে উপজেলা প্রশাসন আবহাওয়ার খোঁজ খবর নিয়ে থাকেন।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় গোয়ালন্দ উপজেলায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চলছে। যা এ বছরের সর্বনিম্ন বলে মনে করছেন তিনি। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ১৮ জানুয়ারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এরপর তাপমাত্রা স্বাভাবিক হতে পারে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, ঘাট এলাকায় যাত্রীদের উপস্থিতি অনেক কম। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষজন পেটের তাগিদে বাইরে বের হয়েছেন। লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে মানুষের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। কিছু মানুষ এলেও বেশিরভাগ চায়ের দোকানে গরম কাপে চুমুক দিতে দেখা যায়। জরুরি কাজ না থাকলে সহজে কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। উপজেলার উজানচর, দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম অঞ্চলের নদী ভাঙন এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষজন অনেক কষ্টে দিন পার করছে। শীতে তাদের বাড়তি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আব্দুর রাজ্জাক (৫৫) একজন ভ্যানচালক। প্রতিদিন গোয়ালন্দ বাজার, দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করে থাকেন। কিছু মাছের ট্রিপ ধরতে এসেছেন দৌলতদিয়া ঘাটে।
দৌলতদিয়ার ৪ নম্বর ফেরি ঘাটে আলাপকালে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এমন শীত পড়েছে, মনে হচ্ছে জমে যাচ্ছি। এমন শীত আগে দেখিনি। ঘরে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে রয়েছে। রোজগার না করলে খাওন জুটবে না। ৩০০ টাকা ভাড়ায় দৌলতদিয়ায় আইছি। কনকনে ঠান্ডা বাতাসে দাঁড়ায় থাকতে পারছি না।
ঘাটে কর্তব্যরত বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুর রহিম পন্টুনের একটি কক্ষে গিয়ে বসে আছেন। এসময় তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড শীত পড়ছে। এরপর ঘাট এলাকায় শীতের সঙ্গে বাড়তি বাতাস থাকায় ডিউটি করা অনেক কষ্টকর। মাঝে মধ্যে বাতাস উঠলে দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। উপায় না পেয়ে একটু উষ্ণতা নিতে চায়ের দোকানে ঠাঁই নিতে হয়।
আরও পড়ুন: শীতে কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ, হাসপাতালে বাড়ছে শিশুরোগী
দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম বলেন, এর আগে এত ঠান্ডা পড়েনি। আজকে সারাদিন ঘরেই বসে আছি। নদী ভাঙন এলাকার মানুষজন ঠান্ডায় কাতর হয়ে পড়ছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে কিছু কম্বল দিয়েছিল তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এত মানুষকে এখন কী দেব?
এদিকে প্রচণ্ড ঠান্ডা আর কুয়াশায় শীতকালীন অনেক ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ। ধানের বীজতলা, দানা পেঁয়াজ, সরিষা।
দৌলতদিয়া তোরাপ শেখের পাড়ার কৃষক হুমায়ন আহম্মেদ বলেন, প্রচণ্ড ঠান্ডা আর কুয়াশায় ধানের বীজতলা হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। দুই দিন ধরে বীজতলার ওপর পলিথিন দিয়ে ঘিরে দিচ্ছেন। সরিষা খেতে পোকার আক্রমণ বাড়ার আশঙ্কাও করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামান বলেন, প্রচণ্ড ঠান্ডা আর কুয়াশায় মুড়িকাটা ও দানা পেঁয়াজের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এ অঞ্চলে পেঁয়াজ তোলা শেষের দিকে। সরিষার অনেক ভালো ফলন হয়েছে। সরিষা খেতে পাতায় এক ধরনের পোকার আক্রমণ হতে পারে। ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ জন্য কৃষকদের সতর্কতার সঙ্গে কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে বলেছি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে জেকে বসেছে শীত, বিক্রি বেড়েছে হকার্স মার্কেটে
১০ মাস আগে