রাশেদ চৌধুরী
যুক্তরাষ্ট্রের মানবতার কথা নিয়ে প্রশ্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
মানবতার কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘আইন ও মানবতার’ কথা বলে, কিন্তু তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি রাশেদ চৌধুরীকে আশ্রয় দিয়েছে যা সমর্থনযোগ্য নয়।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো পাল্টা পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, আমরা সেভাবে ভাবছি না এবং এটা বাংলাদেশের মানসিকতা নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্লেম গেমে বিশ্বাস করে না, আমরা একসাথে কাজ করতে চাই।
ড. মোমেন বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা সরকারি উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করছি। পরবর্তী করণীয় বিষয়ে শিগগিরই আবার একসাথে বসব।’
তিনি বলেন, র্যাব দেশে মানবপাচার, অপরাধ ও মাদক পাচার দমনে সফল হয়েছে।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জনগণ গ্রহণ করেনি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে বৃহস্পতিবার র্যাবের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের জনগণ গ্রহণ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, র্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি যুক্তরাষ্টের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি জে. ব্লিঙ্কেনের কাছে তুলে ধরেছি।
বুধবার সন্ধ্যায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছি, ‘আমরা বেশ কয়েকটি সংলাপের মাধ্যমে সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। আমরা আমাদের প্রতিবেশিদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করেছি। স্বাভাবিকভাবেই, আমাদের প্রত্যাশা ছিল যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আপনি আগেই আমাদের জানাবেন। আমরা এটা পছন্দ করিনি।’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি অ্যান্ড স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ঢাকার অসন্তোষ জানাতে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলারকে শনিবার তলব করেন।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য যে বিষয়গুলোর কথা বলা হয়েছে সেগুলো নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক সংলাপ চলছে, এর মধ্যেই হঠাৎ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানা গেল।
পররাষ্ট্র সচিব দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারের এমন একটি সংস্থার ক্ষমতা হ্রাস করতে চাইছে, যেটি সন্ত্রাসবাদ, মাদক পাচার ও অন্যান্য আন্তদেশীয় অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্মুখ সারিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কাজের প্রয়োজনে প্রায়ই তাদের যুক্তরাষ্ট্রে যেতে হতো।
আরও পড়ুন: র্যাব মানবাধিকার লুণ্ঠন করে না, রক্ষা করে: মুখপাত্র
আইজিপিসহ র্যাবের ৭ কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
৩ বছর আগে
রাশেদ চৌধুরীকে ফেরাতে ‘আইনি প্রক্রিয়া’ অনুসরণ করছে বাংলাদেশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরাতে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে।
তিনি বলেন, ‘এটি আইনি প্রক্রিয়ায় আছে। আমরা তা অনুসরণ করছি।’
মঙ্গলবার নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইনি প্রক্রিয়া একটি সময়সাপেক্ষ বিষয়।
মোমেন বলেন, ‘তবে আমরা রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদী। আমাদের বিশ্বাস আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর আমরা ওই ব্যক্তিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব।’
এর আগে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরেক খুনিকে দেশে ফিরিয়ে এনেছিল বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসময় উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: রাশেদ চৌধুরীকে ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান অব্যাহত থাকবে: শাহরিয়ার
জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৮৯ লাখ টিকা পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
৩ বছর আগে
রাশেদ চৌধুরীকে ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান অব্যাহত থাকবে: শাহরিয়ার
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম রবিবার বলেছেন, আদালতের রায় কার্যকর করতে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর জন্য মার্কিন প্রশাসনকে অনুরোধ করা অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ।
৪ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদের বিতাড়ন কি আসন্ন?
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রাশেদ চৌধুরীর মার্কিন সুরক্ষা প্রত্যাহার করা হতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির একটি সংবাদমাধ্যম।
৪ বছর আগে