নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে চীনকে বাংলাদেশের আহ্বান
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে চীনের অংশগ্রহণ বাড়ানোর বিষয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠকে আগামী পাঁচ বছরে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে গভীর সহযোগিতা ও পারস্পরিক স্বার্থ নিয়ে আলোচনা হয়।
হামিদ বলেন, ‘আমরা চীনের কাছ থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রত্যাশা করছি। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আগামী পাঁচ বছরে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন।’
চীনের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ইয়াওকে স্বাগত জানান নসরুল হামিদ। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চীনা কোম্পানিগুলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।’
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ: নসরুল হামিদ
তিনি বিনিয়োগের সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো বের করতে একটি বিশেষ দল গঠনের প্রস্তাবও দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে একটি বিশেষ দল গঠন করা যেতে পারে।’
উষ্ণ অভ্যর্থনা এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাষ্ট্রদূত ইয়াও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য চীনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। ইয়াও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সহযোগিতা বাড়ছে।
তিনি বলেন, সহযোগিতার ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করতে উভয় দেশকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।
আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ আরও সমৃদ্ধ, শক্তিশালী ও উন্নত দেশ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকে তারা চীনা অর্থায়নে প্রকল্প, লিথিয়াম ব্যাটারি কারখানা স্থাপন, সেমি-কন্ডাক্টর কারখানা, বৈদ্যুতিক যানবাহন, ব্যাটারি স্টোরেজ সিস্টেম, স্মার্ট মিটার, সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, গ্যাস উত্তোলনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্দেশিকা প্রয়োগে জ্বালানির দাম কমতে পারে: নসরুল হামিদ
আগামী ৪ বছরের মধ্যে গ্যাসের শতভাগ প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হবে: প্রতিমন্ত্রী
আগামী চার বছরের মধ্যে গ্যাস খাতে শতভাগ প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, গ্যাস মিটার স্থাপন করলে অপচয় কমে যাওয়াসহ অনেক সুবিধা রয়েছে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব প্রিপেইড মিটার স্থাপন শেষ করতে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণের দাবির সঙ্গে সরকার একমত: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
শনিবার (ফেব্রুয়ারি) সকালে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেক দিন ধরেই চাপ দিয়ে যাচ্ছি কোম্পানিগুলোকে। এখন বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ অনেকে অর্থায়ন করতে চায়। তারা প্রায় ৩০ লাখ মিটার স্থাপন করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিরাপদ মনে করে ডেনমার্ক-সৌদি আরব: নৌ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জালালাবাদের সার্ভিস দেখে আমি সন্তুষ্ট। তাদের কোনো সিস্টেম লস নেই, কোনো অবৈধ সংযোগও নেই। ডাটা সেন্টার দেখলাম। চমৎকার মনে হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতিকুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক ও মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) লিটন কুমার নন্দীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: সিলেটের কৈলাশটিলায় আরও ১.৬ টিসিএফ গ্যাস পাওয়া যাবে: প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ: নসরুল হামিদ
ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সচিবালয়ে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হার্তান্টু সুবোলোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভ্রাতৃপ্রতীম দেশটি বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে: নসরুল হামিদ
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। উভয় দেশই অভিজ্ঞতা বা সম্পদ বিনিময়ের মাধ্যমে আরও বেশি উপকৃত হতে পারে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের ফলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়ার সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে স্বাগত জানানো হবে।
তিনি বর্তমান পরিস্থিতি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে তার দেশের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়া ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে চায় এবং পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে এই সক্ষমতা বাড়ানো যাবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উৎপাদনে হাইড্রোজেন ও অ্যামোনিয়া কীভাবে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে কাজ করছে সরকার: নসরুল হামিদ
দু-একদিনের মধ্যে ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বাড়বে: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ উৎপাদনে হাইড্রোজেন ও অ্যামোনিয়া কীভাবে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে কাজ করছে সরকার: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাস্তবধর্মী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ‘টেকনো-ইকোনমিক স্টাডি অব ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন টেকনোলজিস ফর বাংলাদেশ: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটিস’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রচলিত জ্বালানির পাশাপাশি জ্বালানি হিসেবে কীভাবে হাইড্রোজেন ও অ্যামোনিয়ার ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করছে।’
তিনি কর্মশালায় জানান, ‘শিগগিরই জাতীয় গ্রিডে পারমাণবিক বিদ্যুৎ আসবে। ১২ হাজার ৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এখন উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হতে পারে: নসরুল হামিদ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ও আর্থিক কৌশলগত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্লুমবার্গ এনইএফ এই কর্মশালায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিভিন্ন উৎস ও এর ব্যয় নিয়ে গবেষণা উপস্থাপন করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে অকৃষিজ জমির প্রাপ্যতা অন্যতম প্রধান সমস্যা।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনশোর এবং অফশোর বায়ু শক্তি নিয়েও এগিয়ে যাচ্ছি। সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করাই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। সঞ্চালন ও বণ্টন ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ এবং গ্রিড সিঙ্ক্রোনাইজেশনের উপর এখন বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।’
কর্মশালায় ব্লুমবার্গের পক্ষে গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন ব্লুমবার্গের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান ড. আলী ইজাদি, দক্ষিণ এশিয়ার মার্কেট লিডার ইশু কিকুমা এবং সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট তরুণ ব্লাকৃষ্ণান।
আরও পড়ুন: দু-একদিনের মধ্যে ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বাড়বে: নসরুল হামিদ
তারা ইউটিলিটি স্কেলে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিকে সমর্থন করা, ছাদ এবং ভাসমান সৌর ব্যবহার বৃদ্ধি এবং পরিষ্কার প্রযুক্তির কাজের জন্য প্রশিক্ষণের উপর জোর দিয়েছিলেন।
তারা বলেন, কয়লার সঙ্গে অ্যামোনিয়া বা প্রাকৃতিক গ্যাসের সঙ্গে হাইড্রোজেন মিশিয়ে কার্বন নিঃসরণ কমানো যাবে, তবে খরচ বেশি হবে। অন্যদিকে সৌরশক্তির সঙ্গে ব্যাটারি বা বাতাসের সঙ্গে ব্যাটারি ব্যবহার অনেক বেশি সাশ্রয়ী।
বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব নিরোদ চন্দ্র মণ্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, স্রেড চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা, পিডিবির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, আরইবির চেয়ারম্যান অজয় কুমার চক্রবর্তী, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, বুয়েটের অধ্যাপক এজাজ আহমেদ, বদরুল ইমাম। এছাড়া জ্বালানি গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরীসহ বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে: নসরুল হামিদ
দু-একদিনের মধ্যে ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বাড়বে: নসরুল হামিদ
দু-একদিনের মধ্যে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'আমরা আশা করছি, ঢাকায় গ্যাসের ঘাটতি কমে আসবে এবং দু-একদিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’
তিনি বলেন, দেশে ফ্লোটিং স্টোরেজ ও রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) থেকে আবারও উৎপাদন শুরু হয়েছে এবং ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নতুন চিন্তাকে গ্রহণ করতে চাই: নসরুল হামিদ
‘এর মধ্যে একটির শিগগিরই রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে’ জানিয়ে তিনি বলেন, সাধারণত শীতকালে গ্যাস সরবরাহে কিছু সমস্যা হয়।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু প্রায় ৮০ শতাংশ আবাসিক গ্রাহক এখন এই তরল গ্যাস ব্যবহার করছে, তাই সরকার এলপিজি সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শুধু ঢাকা ও আশপাশের এলাকার গ্রাহকরা পাইপলাইন গ্যাস ব্যবহার করে, অবশিষ্ট গ্রাহকরা এলপিজি ব্যবহার করে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যদি মোট গ্রাহক থেকে শিল্পভিত্তিক গ্রাহকদের বাদ দেওয়া হয়, তাহলে গৃহস্থালি গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫ লাখ।
তিনি আরও জানান, আগামী ৩ বছরের মধ্যে দেশের সব গ্রাহকের জন্য গ্যাস মিটার স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে: নসরুল হামিদ
শীত মৌসুমের শুরু থেকেই তীব্র গ্যাস সংকটে ভুগছে দেশবাসী। কিন্তু শুক্রবার এফএসআরইউগুলোর মধ্যে একটিতে প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা দিলে পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটে। তবে এফএসআরইউ মেরামত করে চালু করা হলে চট্টগ্রাম ও আশপাশের গ্যাস সরবরাহে সামান্য উন্নতি হয়।
এদিকে, ৪৫ দিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের মধ্যে থাকা আরেকটি এসএফআরইউও পুনরায় কাজ শুরু করে যার ফলে সরবরাহে আরেকটু উন্নতি হয়। কিন্তু গ্যাস সংকট পুরোপুরি সমাধান হয়নি।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের কোনো কোনো এলাকায় প্রচণ্ড গ্যাস সংকট এবং কোনো এলাকায় গ্যাসের চাপ খুবই কম রয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হতে পারে: নসরুল হামিদ
২০২৬ সালের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে: নসরুল হামিদ
২০২৬ সালের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অগ্রগতি, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের একটা টাইমলাইন ঠিক করে ফেলেছি। ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সাপ্লাই থাকবে। আমরা যেভাবে বিদ্যুতে করেছি- এত তারিখের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হবে, গ্যাসের ক্ষেত্রেও সেরকম পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি।’
আরও পড়ুন: সার কারখানা স্থাপন করে ভোলার গ্যাস ব্যবহার করা যায় কি না মূল্যায়ন করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমরা মাত্র ২০ শতাংশ গ্যাস বিদেশ থেকে আমদানি করি। আমরা ৮০ শতাংশ নিজস্ব গ্যাস ব্যবহার করছি। আমরা আমদানির গ্যাসের পরিমাণটা খুব বেশি বড় করতে চাই না। আমাদের আমদানির গ্যাস থাকবে। মাঝখানে যে গ্যাপটা থাকবে সেই গ্যাপটা আমদানির গ্যাস দিয়ে আমরা পূরণ করতে চাই।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘ভোলায় যে পরিমাণ গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে, নতুন এরিয়ায় যে পরিমাণ গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে, ভবিষ্যতে যদি গভীর সমুদ্রে গ্যাস পাওয়া যায়-তাহলে জ্বালানি বিভাগ একটা ভালো অবস্থায় থাকবে বলে আমরা মনে করি। মনে হচ্ছে আমরা সুখবর পাচ্ছি, এটা হচ্ছে বড় বিষয়।’
গ্যাসের সমস্যা কাটতে পারে মার্চে
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। গ্যাস একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বেশ কিছুদিন ধরে গ্যাসের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। কারণ, একটি এফএসআরইউ (ফ্লোয়েটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট) নিয়ে আমরা কাজ করছি। এই অসুবিধা খুবই সাময়িক বলে আমি মনে করি। প্রচণ্ড শীতের কারণেও গ্যাসের চাপ কিছুটা কমে যায়। এফএসআরইউ (সংস্কারে নেওয়া) চলে আসছে। আমরা আশাবাদী আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে এফএসআরইউ চালু হয়ে যাবে। তার মানে সিস্টেমে আরও ৪০০ এমএমসিএফ গ্যাস যুক্ত হবে।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সদ্য বসানো নলকূপ দিয়ে বের হচ্ছে গ্যাস
আগামী ১৭ থেকে ১৮ তারিখে আরেকটি এফএসআরইউ সংস্কারে পাঠানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি বড় পরিকল্পনা (প্ল্যান) হলো আগামী মার্চ থেকে আমরা যাতে (গ্যাস) নিরবচ্ছিন্ন রাখতে পারি। সামনে রোজার মাস আসছে। সেটাকে সামনে রেখে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আরও দুটি এফএসআরইউ আনার পরিকল্পনা নিয়েছি। কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২০২৬ ও ২০২৭ সালের দিকে দুটি এফএসআরইউ যুক্ত হবে। আমরা মনে করছি ২০২৭ সালে আমাদের গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৬ হাজার এমএমসিএফ গিয়ে দাঁড়াবে।’
গ্যাস অনুসন্ধানে মিলতে পারে সুখবর
নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার হলো, আমাদের নিজস্ব গ্যাস আবিষ্কার করা। খনন করা কূপগুলোর অধিকাংশে গ্যাস আবিষ্কার করেছি। ছোট হলেও ভালো অবস্থা। ভোলা থেকে বরিশালের পাইপলাইনটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্রাইয়োরিটি। এটার কার্যক্রম আমরা এ বছরই শুরু করব। ভোলা থেকে সিএনজি গ্যাস আনা শুরু হয়েছে। এটা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে। মার্চের মধ্যে এটা পুরোদমে চালু হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিবিয়ানা এরিয়ার বিষয়ে আমরা খুবই আশাবাদী সেখানে প্রচুর গ্যাসের সন্ধান আমরা পেতে যাচ্ছি। এ বছরের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার হচ্ছে নিজেদের গ্যাস আহরণ করা। প্রায় ৪৬টি কূপ এবং পরবর্তী ধাপে আরও ১০০টি কূপ খননের পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি। আমরা চাচ্ছি আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খনন শেষ করব। পরবর্তী সময়ে এটার সমান্তরালে আরও ১০০ কূপ খনন করা। আমরা আশাবাদী আগামী ২০২৪ ও ২০২৫ সালের মধ্যে আরও ৫০০ এমএমসিএফ গ্যাস নিজস্ব দেশ থেকে যোগান দিতে পারব।’
আরও পড়ুন: ভোলা থেকে ঢাকার শিল্পকারখানায় সিএনজি আকারে গ্যাস সরবরাহ শুরু
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘একটা সুখবর আমরা পেতে যাচ্ছি, তবে এখনও সেটা সম্ভাবনার মধ্যে। নতুন করে ১ দশমিক ৬ টিসিএফ গ্যাসের সম্ভাবনা দেখা গেছে বিবিয়ানার ফ্ল্যাঙ্ক এরিয়ায়। সেখানে শেভরন কাজ করছে। সেখানে আমরা যদি শুরু করি, তাহলে এ বছরের শেষের দিকে কমফার্ম করতে পারব।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে আমাদের তেলের ব্যাপারে নিশ্চিত হব। কী পরিমাণ তেল আমরা পাব।’
গ্যাস নিয়ে হবে মাস্টরপ্ল্যান
নসরুল হামিদ বলেন, ‘আগামী ৫০ বছরে জন্য গ্যাস ব্যবস্থাপনা ও বিতরণের মাস্টারপ্ল্যান আমরা পরিকল্পনার মধ্যে আনব। এ মাস্টারপ্ল্যান ৫ বছর অন্তর রিভিউ হবে। এ পরিকল্পনা আছে। আমরা পরামর্শক হায়ার করার চেষ্টা করছি।’
‘বিপিসির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার হলো চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে থার্ড টার্মিনালে নিয়ে আসা। এটা দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে হবে।’
গরমে বিদ্যুতের চাহিদা হতে পারে ১৭ হাজার মোগাওয়াট
এবার গরমের পরিমাণ বাড়তে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, এবার গরমে বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াটের উপরে হতে পারে। সেটার প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি। সময় মতো কয়লা, গ্যাস ও তেল যোগান দেওয়ার বিষয়টি যদি আমাদের হাতে থাকে, তবে অবশ্যই আমরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারব। কারণ আমাদের সেই পরিমাণ বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রস্তুত আছে।
আরও পড়ুন: এলপিজি সিলিন্ডার হোম ডেলিভারি দিচ্ছে ‘গ্যাস মাঙ্কি’ অ্যাপস
মধ্যপ্রাচ্যে গোলযোগ সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। সেটি আগামী দিনগুলোতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হতে পারে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, গ্যাস ও তেলের দাম বাড়ার কারণে বিদ্যুৎ-জ্বালানির ক্ষেত্রে বছরে ১৩ বিলিয়নের বেশি ব্যয় করতে হয়েছে।
কৃষি জমি নষ্ট না করে, পরিবেশের ক্ষতি না করে যতটুকু পারা যায় কয়লা উত্তোলনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে নির্দেশনা চাওয়া হবে বলেও জানান নসরুল হামিদ।
আগামী মাসের মধ্যে প্রায় ৪০ মেগাওয়াট হাইড্রো বিদ্যুৎ আমদানির জন্য নেপালের সঙ্গে চুক্তি হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ৫০০ মেগাওয়াট নিয়ে কাজ করছি। সেটাও প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। আমাদের অঙ্গীকার অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ ক্লিন এনার্জি নিশ্চিত করব।
মূল্য সমন্বয়ের নতুন পদ্ধতি কবে নাগাদ কার্যকর হবে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মার্চের পরবর্তী সময়ে এপ্রিল, মে, জুনের দিকে প্রথমে শুরু হবে তেলেরটা। তারপর আস্তে আস্তে...। পার্শ্ববর্তী দেশ যেটা করে, তারা প্রতিদিন করে। আমরা প্রতি মাসে করব।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যতদ্রুত আমরা প্রযুক্তি নিয়ে আসতে পারি। বিদ্যুতের আবেদন, বিল অনলাইন করতে পারলে সেটি দুর্নীতি বা কারচুপি প্রতিরোধের বিষয়ে বড় জায়গা তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হতে পারে: নসরুল হামিদ
১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হতে পারে: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হতে পারে।
তিনি বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ নতুন সরকারের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়নে বাংলাদেশ সৌরভিত্তিক উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে: নসরুল হামিদ
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
নসরুল হামিদ ঢাকা-৩ আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের শক্ত অবস্থানের কারণেই অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোটের মাধ্যমে বিএনপি'র অগ্নিসন্ত্রাসের জবাব জনগণ দেবে: নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনাসহ নতুন সরকারের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন, নতুন সরকারকে আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য বজায় রাখতে স্বয়ংক্রিয় জ্বালানি মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা চালু করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: নতুন চিন্তাকে গ্রহণ করতে চাই: নসরুল হামিদ
ভোটের মাধ্যমে বিএনপি'র অগ্নিসন্ত্রাসের জবাব জনগণ দেবে: নসরুল হামিদ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি অগ্নিসংযোগ ও মানুষ হত্যা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে না এসে তাদের জনপ্রিয়তা পরিমাপের সুযোগ হারিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে জনসম্পৃক্ততার অভাবে তারা নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন। এখন তারা সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে।’
মঙ্গলবার(১৯ ডিসেম্বর) কেরাণীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বীরবাঘাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,‘আজ সকালে একটি ট্রেনে আগুন দিয়ে এক শিশুসহ চারজন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ ৭ জানুয়ারি ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে এর জবাব দেবে।’
আরও পড়ুন: বুধবার সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'কেরাণীগঞ্জে বিএনপির অগ্নিসংযোগের ঘটনা বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে। জনগণ তাদের প্রতিহত করেছে। এসব অগ্নিসংযোগকারীদের কোনো জনপ্রিয়তা নেই, জনভিত্তি নেই, তাই তারা জনগণের মনে ভীতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। যদি তাদের জনপ্রিয়তা থাকত, তাহলে তারা ভোটের মাধ্যমে নিজেদের প্রমাণ করতে পারত।’
এ সময় কেরাণীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এম ই মামুন, কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচন বর্জনকারীদের মুখে কালিমা লেপন করবে: হাছান মাহমুদ
নতুন চিন্তাকে গ্রহণ করতে চাই: নসরুল হামিদ
নতুন চিন্তাকে গ্রহণ করতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, তরুণদেরকে বলব আপনারা যদি বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে আরও বড় পরিসরে কাজ করতে চান, তাহলে পাওয়ার সেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা নতুন চিন্তাকে গ্রহণ করতে চাই। এটা হলো বড় বিষয়। কোনো ভয় নাই, সাহস রাখতে হবে। ভুল হবে, ভুল না হলে নতুন কিছু তৈরি হবে না।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত বিচ্ছুরণের ফাইনাল পিচিং শেষে বিজয়ী দলসহ শীর্ষ বাছাই দলগুলোর হাতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারুণ্যের প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাওয়ার সেল এবং গ্রিন ডেল্টা ইনস্যুরেন্স কোম্পানির উদ্যোগে উদ্ভাবনী আইডিয়া প্রতিযোগিতা 'বিচ্ছুরণ' এর বিজয়ী সাত দলের হাতে প্রাইজমানি ৫ লাখ টাকা এবং শীর্ষ বাছাই ২৩ দলের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেয় আয়োজকেরা।
প্রতিযোগিতার বিজয়ী দলগুলোর হাতে প্রাইজমানি ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়ার পর নসরুল হামিদ সব তরুণকে উদ্ভাবনী কার্যক্রমে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এসময় গবেষণায় আগ্রহীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের এনার্জি রিসার্চ কাউন্সিল নামে একটি বিভাগ রয়েছে, যেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকগণ ও বিশ্ববিদ্যালয় সহযোগিতা নিতে পারে। আপনারা জানেন প্রতি বছর ২০ কোটি টাকার মত আমরা ফান্ড করি। ছোট যেই প্রজেক্টগুলো আরও বড় হতে চায়, গবেষণা করতে চায়, আমরা তাদের ফান্ড করছি। হাজার হাজার ইঞ্জিনিয়ার দরকার আমাদের, হাজার হাজার ম্যানেজমেন্টের মানুষ দরকার আমাদের।
ভবিষ্যতে এনার্জি সেভিং করতে হলে গবেষণার বিকল্প নেই জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ভবিষ্যতের জ্বালানি কেমন হবে তার জন্য তিনটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ: জ্বালানিটি ইফিসিয়েন্ট কিনা, আনইন্টারাপডেট কিনা এবং সাশ্রয়ী কিনা। এখন যে খরচ করে যানবাহন চালানো হয় বিদ্যুৎচালিত যানবাহন হলে সেই খরচের পরিমাণ ৮০ শতাংশ হ্রাস করা সম্ভব ছিল। অর্থাৎ, এখন ১০০ টাকা ভাড়া দিলে তখন সেটি হবে ২০ টাকা ভাড়া। যত দ্রুত আমরা সেখানে যেতে পারব, তত ইফিসিয়েন্ট হব। আর এটির কার্বন নিঃসরণ 'জিরো পার্সেন্ট'। এই আজকে যারা অংশগ্রহণ করেছে, এখনই তাদের আইডিয়াগুলো বড় কিছু হয়ে যাবে সেটা আমরা আশা করি না। আমাদের লক্ষ্য মূলত তাদের আইডিয়া তৈরির অভ্যাস গড়ে তোলা। সেটা করলে ভবিষ্যতে তারা আরও ভালো ও বড় পরিসরের আইডিয়া তৈরি করতে পারবে। যা ভবিষ্যতে আমাদের কাজে আসবে।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়নে বাংলাদেশ সৌরভিত্তিক উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে: নসরুল হামিদ
কৌশলগত সহযোগিতার জন্য জেবিআইসি’র সঙ্গে জ্বালানি বিভাগের সমঝোতা স্মারক সই
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ দেশের জ্বালানি খাতে কৌশলগত সহযোগিতার জন্য জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের (জেবিআইসি) সঙ্গে একটি নন-বাইন্ডিং সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে সই হওয়া এ চুক্তির আওতায় জাপানি ব্যাংক এ খাতে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
চুক্তিটিকে স্বাগত জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এই সমঝোতা স্মারক জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এলএনজি ও গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং জ্বালানি রূপান্তর অবকাঠামোর উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাসের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন।
তিনি বলেন, গ্যাস সেক্টরে প্রায় ৩ মিলিয়ন স্মার্ট গ্যাস মিটার প্রয়োজন হবে। ‘যদি আমরা জেবিআইসি, বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় স্মার্ট মিটার স্থাপন করতে পারি, তাহলে এটি গ্যাসের অপব্যবহার ও অপচয় রোধে বিশাল ভূমিকা রাখবে।’
আরও পড়ুন: জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়াকে কাজ করার আহ্বান নসরুলের
তিনি বলেন, তিতাস গ্যাসের জন্য প্রায় ৭ লাখ প্রি-পেইড গ্যাস মিটার এবং কর্ণফুলীতে আরও ৪ লাখ ৩৫ হাজার প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা হবে, যা গ্যাসের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগে জাপানি কোম্পানিগুলোর আগ্রহ বাড়ছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব লায়লাতুন ফেরদৌস এবং দিল্লিতে জেবিআইসি’র প্রধান প্রতিনিধি কুরিহারা তোশিহিকো নিজ নিজ পক্ষে তিন বছর মেয়াদী সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নুরুল আলম এবং জেবিআইসি সুজুকি রিউতার মহাপরিচালক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশ গঠনে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ: নসরুল হামিদ
জ্বালানি খাতের চাহিদা মেটাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন: নসরুল হামিদ