নৌপথ
নৌযানে নির্ধারিত ভাড়ার বেশি নেওয়া যাবে না: শ্রম উপদেষ্টা
নৌযানে নির্ধারিত ভাড়ার বেশি নেওয়া যাবে না। যাত্রীদের নির্ধারিত ভাড়া আজ থেকেই তালিকা আকারে প্রকাশ করতে হবে। যদি কেউ অতিরিক্ত ভাড়া নেয়, তবে শুধু জরিমানা নয়, সেই লঞ্চের রুট পারমিটও বাতিল করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২৫ উপলক্ষে নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, নির্ধারিত ভাড়ার বেশি নেওয়া যাবে না। যাত্রীদের নির্ধারিত ভাড়া তালিকাভুক্ত করে প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হলে শুধু জরিমানা নয়, সেই লঞ্চের রুট পারমিটও বাতিল করা হবে।
আরও পড়ুন: প্রয়োজনে বিদেশে পলাতকদের পাসপোর্ট বাতিল করা হবে: শ্রম উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, কোনো লঞ্চ নির্ধারিত সিরিয়ালের বাইরে ছেড়ে যেতে পারবে না। অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। শুধু সদরঘাট নয়, রাস্তা থেকে যাত্রী তোলা যাবে না। এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদারকি করবে, নৌবাহিনীও সহযোগিতা করবে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপ্রয়োজনে লঞ্চে চেক করে সময় নষ্ট করবে না। ফিটনেস সনদ ছাড়া কোনো লঞ্চ চলতে পারবে না ও নির্ধারিত গতিসীমার বেশি চালানো যাবে না।
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, সদরঘাট এলাকায় জিরো পয়েন্ট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত এমন বিশৃঙ্খলা থাকে যে, তিন ঘণ্টা আগে রওনা দিলেও অনেকে লঞ্চ ধরতে পারেন না। তাই রাস্তা পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রয়োজনে রেকার দিয়ে অবৈধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি সরিয়ে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কোনো কথা না বুঝে বলেননি সেনাপ্রধান: শ্রম উপদেষ্টা
তিনি আরও জানান, এসব সিদ্ধান্ত ১৫ রমজান থেকে কার্যকর হবে। ১৫ রমজান থেকে রাতে স্পিডবোট চলবে না। এছাড়া ঈদের পাঁচ দিন আগে ও পরের পাঁচ দিন বাল্কহেড (বালুবাহী নৌযান) চলাচল বন্ধ থাকবে।
ফেরিতে বাস যাত্রীসহ উঠতে পারবে না। বাস থেকে যাত্রী নামিয়ে ফেরিতে উঠাতে হবে ও ফেরি থেকে বাস নামার পর যাত্রীরা আবার উঠতে পারবেন।
১৩ দিন আগে
নৌপথে মানুষের হয়রানি যাতে না হয়: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
নৌপথে মানুষের হয়রানি যাতে না হয়, সেই নির্দেশ দিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, অনেক স্থান থেকে অভিযোগ আসে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়। ঘাট ইজারা টিকেট ১০ টাকা। কিন্তু অতিরিক্ত টাকা নেওয়া অবৈধ হলেও সেটা নেওয়া হচ্ছে।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঘাটে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ যদি আসে আর সে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ইজারাদারের ইজারা বাতিল করে দেওয়া হবে। নৌ ও পরিবহন মন্ত্রণালয় প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করে।
তিনি বলেন, বড় প্রজেক্ট নয়; ছোট প্রজেক্টেও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হতে পারে। ভোলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ঘাট তৈরি করে দিয়েছি, যাতে সেখানকার মানুষের উন্নতি হয়।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ আমরাই শুরু করেছি, শেষও করেছি আমরা: সাখাওয়াত
উপদেষ্টা বলেন, নৌ ও পরিবহন মন্ত্রণালয় কাজই করছে প্রান্তিক অঞ্চলে। আমাদের কোনো মেগা প্রজেক্ট নেই যে ঢাকা শহরে বা অন্য কোথাও বানাবো। যতই আমরা রেল করি, যতই সেতু বানাই আবহমান কাল থেকে নৌপথের গুরুত্বটা রয়ে গেছে। এক সময় ছিলো আমরা নৌপরিবহনের মধ্যেই ছিলাম; এখনও তাই। কম খরচে পরিবহন নদী পথেই সম্ভব।
এর আগে তিনি ইলিশা লঞ্চ ঘাটের সাধারণ মানুষের সুবিধা অসুবিধার কথা শোনেন এবং লঞ্চ ঘাটের সার্বিক চিত্র ও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করেন।
৫৯ দিন আগে
নৌপথে পণ্যের চোরাচালান বন্ধে কোস্টগার্ডদের সতর্ক থাকার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
সমুদ্র-নৌপথে ইলিশ ও সারসহ বিভিন্ন পণ্যের চোরাচালান বন্ধে কোস্টগার্ডদের সতর্ক থাকতে হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ে কোস্টগার্ডের সদর দপ্তরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নাবিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: পুলিশ সংস্কারে শিগগির কমিটি গঠন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, নিজস্ব চাহিদা বিবেচনায় সরকার এ বছর ভারতে ইলিশ রপ্তানি করছে না। তাছাড়া বিদ্যমান ডলার সংকটের মধ্যেও সরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ সার আমদানির মাধ্যমে সারের যোগান অব্যাহত রেখেছে।
এ অবস্থায় প্রতিবেশী দেশগুলোতে ইলিশ ও সারের চোরাচালানের ঝুঁকি রয়েছে বলে জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীগুলোর মধ্যে নৈতিকতার ক্ষেত্রে স্খলন দেখা দিলেও কোস্টগার্ড এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তারা নৈতিক মানদণ্ড বজায় রেখেছে ও দায়িত্বের ক্ষেত্রে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন: মাজারে হামলা বন্ধের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
কোস্টগার্ডদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানে তাদের অতীত ঐতিহ্য ও সম্মান সমুন্নত রেখে অস্ত্রসহ বিভিন্ন পণ্য ক্রয় ও সংগ্রহের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখার আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
তিনি কোস্টগার্ডের আবাসন, জনবল, অস্ত্র এবং টহল ও উদ্ধারকারী নৌযান ক্রয় ও সংগ্রহসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সহযোগিতা ও ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
এসময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন- জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়াল এডমিরাল মীর এরশাদ আলী।
আরও পড়ুন: সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
১৮৪ দিন আগে
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ, সতর্কতার সঙ্গে চলছে ফেরি
ঝড়-বৃষ্টির কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্ব) সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শনিবার সকালে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। এখন সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করছে ফেরি।
খুব প্রয়োজন ছাড়া সহজে কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। যারাও বের হচ্ছেন তাদের পড়তে হচ্ছে দুর্ভোগে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: বরিশাল থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা দেখা যায়। মাঝেমধ্যে এক-দুইটি যান চলাচল করলেও যাত্রী তেমন নেই।
লঞ্চ বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ঘাটের পন্টুনে বসে চালক, সারেং, ইনচার্জরা অলস সময় পার করছেন। এছাড়া পন্টুনে বাঁধা চার থেকে পাঁচটি লঞ্চ।
এদিকে পদ্মা নদীর পাড় ঘেঁষে রাখা হয়েছে আরও কয়েকটি লঞ্চ।
পন্টুনে বসে থাকা এমভি আমানত লঞ্চের মাস্টার নাসির উদ্দিন বলেন, আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে সরকারি নির্দেশনা মেনে শনিবার বেলা ১১টার পর থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘাটে লঞ্চ রেখে এই আবহাওয়ায় কোথাও যেতে পারছেন না কেউ। তাই পন্টুনে বসেই সময় পার করতে হচ্ছে।
এছাড়া নদী পাড়ি দিতে কোনো যাত্রী এলে তাদের ফেরিতে নদীপথ পাড়ি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: বরিশালের অভ্যন্তরীণ ১০ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ
১৮৫ দিন আগে
ঈদে নৌপথে ২০ লাখের বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়বে
আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটিতে ঢাকা থেকে নৌপথে ভ্রমণকারী যাত্রীদের সংখ্যা ঈদুল ফিতরের তুলনায় বেশি হতে পারে। ফলে সম্ভাব্য ভিড়, অব্যবস্থাপনা এবং ব্যস্ত ভ্রমণের সময় বিপত্তি দেখা দিতে পারে।
বেসরকারি ও সরকারি সংস্থা এবং নদী পরিবহনের সঙ্গে সম্পৃক্তরা এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলো থেকে ২০ লাখের বেশি মানুষ উপকূলীয় জেলাগুলোতে যাতায়াত করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ) জানিয়েছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা অঞ্চলের সোয়া দুই লাখ মানুষ বৃহত্তর বরিশালসহ বিভিন্ন উপকূলীয় জেলায় যাবেন।
কিন্তু এবার ঈদযাত্রার সময় মাত্র চারদিন হওয়ায় নৌযান চলাচলে চাপ বেশি পড়বে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এসসিআরএফ সভাপতি আশীষ কুমার দে ইউএনবিকে বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে নৌপথে যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। কিন্তু তারপরও বিশেষ করে ঈদের সময় যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা অপ্রতুল বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঈদ যাত্রার সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৪২, আহত ৩৩১
মাত্র চার দিনের মধ্যে ৯০টি লঞ্চ এত বিপুল সংখ্যক একমুখী যাত্রী বহন করতে প্রস্তুত, অতিরিক্ত ভিড় সহ অব্যবস্থাপনা এবং যাত্রীদের অস্বস্তির সম্ভাবনা বড় আকার ধারণ করেছে।
আগামী ১৭ জুন (সোমবার) সারাদেশে মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
আগামী সপ্তাহের রবিবার, সোম ও মঙ্গলবার ঈদ উপলক্ষে সরকারি ছুটি। তার আগে এই সপ্তাহের বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবস এবং শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
যারা নিজ শহরে প্রিয়জনদের সঙ্গে আসন্ন ঈদ উদযাপন করতে চান তারা বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা ছাড়তে শুরু করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার ৯৫ শতাংশ নৌযাত্রী ঢাকা নদীবন্দর (সদরঘাট নদীবন্দর) ব্যবহার করবে।
ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের আওতায় সদরঘাট টার্মিনাল থেকে মোট ১৮০টি লঞ্চ চলাচল করবে। এসব নৌপরিবহনের মধ্যে ঢাকা ছাড়বে ৯০টি, বিভিন্ন স্থান থেকে ৯০টি ঢাকায় আসবে।
কিন্তু চার দিনে ৯০টি লঞ্চ দিয়ে বিপুল সংখ্যক ওয়ানওয়ে যাত্রী নির্বিঘ্নে পরিবহন করা সম্ভব হবে না।
জাতীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া বলেন, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ যেমন রয়েছে, তেমনি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও রয়েছে।
তাই সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে আরও সজাগ থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮৫ জন নিহত, আহত ৪৫৪: আরএসএফ
বিআইডব্লিউটিএ'র যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও ট্রাফিক) আলমগীর কবির বলেন, ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ভ্রমণকারীরা যাতে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন সেজন্য আমরা ইতোমধ্যে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গন্তব্যে যাওয়ার পথে সবগুলো লঞ্চ ঢাকা নদী বন্দরের পাশাপাশি নিকটবর্তী বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত। তাই যাত্রার সময় কোনো ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের (লঞ্চ) জানানো হবে।
ঢাকা নদীবন্দরের দায়িত্বে থাকা আলমগীর কবির জানান, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিআইডব্লিউটিসির বিশেষ স্টিমার সার্ভিস চালু হবে।
এসব স্টিমার সার্ভিস ঢাকা নদীবন্দর থেকে ১৩, ১৬ ও ২০ জুন মোরেলগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং ১৪, ১৮ ও ২২ জুন মোরেলগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপথ যাত্রীবাহী পরিবহন সমিতির (বিআইডব্লিউটিএ) সিনিয়র সহসভাপতি বদিউজ্জামান বাদল বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে তাদের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে।
এবারের ঈদযাত্রায় সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের লঞ্চগুলো বর্তমান আবহাওয়া অনুযায়ী চলতে সক্ষম।
এছাড়া আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিয়মিত আবহাওয়ার সতর্কতা পাচ্ছি। ঈদে ঘরমুখো মানুষ ঝামেলামুক্ত ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ‘ঈদ যাত্রায় ভাড়া-গতি-যাত্রী অতিরিক্ত হলে এক লাখ টাকা জরিমানা’
২৮১ দিন আগে
রাঙামাটিতে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ করেছে ইউপিডিএফ
রাঙ্গামাটির লংগদুতে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর দুই সদস্যকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় রাঙ্গামাটিতে অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ পালন করছে ইউপিডিএফের সদস্যরা।
সোমবার (২০ মে) সকাল থেকে অবরোধের কারণে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম সড়কে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে ইউপিডিএফের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কঠোরভাবে অবরোধ পালিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাসচাপায় ২ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় উত্তপ্ত চুয়েট, কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
রাঙ্গামাটির লংগদুতে জেএসএস সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় ইউপিডিএফের সদস্য ও সমর্থককে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে খুনিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে সোমবার সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দেয় ইউপিডিএফ। ভোর সাড়ে ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এদিকে সংগঠনটি ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সকাল থেকে বিভিন্ন সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ পালন করেছে।
এছাড়া অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার লংগদুর বড় হাড়িকাবা এলাকায় জেএসএসের ৭ জনের একদল সন্ত্রাসী সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফ কর্মীদের উপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যাধন চাকমা ও সমর্থক ধন্য মনি চাকমা ঘটনাস্থলে নিহত হন।
আরও পড়ুন: ফাইরুজের আত্মহত্যার ঘটনায় জবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ, অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী সাময়িক বরখাস্ত
নারায়ণগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
৩০৩ দিন আগে
ড্রেজিংয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ১০টি নৌপথ পরিত্যক্ত: এসসিআরএফ
নদী খনন ও ড্রেজিংয়ে (পলি অপসারণ) অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ১০টি নৌপথ বন্ধ হয়ে গেছে বলে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। রবিবার (৩১ মার্চ) সংগঠনটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার নদী খনন ও পলি অপসারণ খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিলেও সংশ্লিষ্টদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতি রয়েছে।
লঞ্চমালিক নেতাদের বরাত দিয়ে এসসিআরএফ আরও জানায়, ৩১টি নৌপথ সচল থাকলেও সেসব পথের বিভিন্ন স্থানে নাব্য সংকট রয়েছে। ফলে লঞ্চ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এ কারণে সচল নৌপথগুলোতে লঞ্চের সংখ্যা কমছে।
আরও পড়ুন: বিআইডব্লিউটিএ’র খননকৃত ১২টি নৌপথের অর্ধেক পরিত্যক্ত: এসসিআরএফ
নৌযাত্রী, নৌশ্রমিক ও অধিকার কর্মীদের বরাতে এসসিআরএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, নদী খনন ও পলি অপসারণে বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নেই। এ কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ এ কাজে লাগামহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার এ খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিচ্ছে। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ১৫ বছরেও নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনতে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জিত হয়নি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের মধ্যে ৪১টি স্বীকৃত নৌপথ থাকলেও ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনাল থেকে মাত্র ৩১টি রুটে বাণিজ্যিক লঞ্চসহ পণ্যবাহী বিভিন্ন ধরনের নৌযান চলাচল করছে। তীব্র নাব্য সংকটের কারণে বাকি নৌপথগুলোতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার লঞ্চের যাত্রীসংখ্যা এক বছরে ৩৪ শতাংশ কমেছে: এসসিআরএফ
৩৫৩ দিন আগে
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে বুধবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
এ সময় মাঝ পদ্মায় আটকা ছিল ২টি ফেরি। এছাড়া পাটুরিয়ায় ২টি ও দৌলতদিয়া ঘাটে আরও ৭টি ফেরি আটকিয়ে রাখা হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন নদী পার করতে আসা যাত্রীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আবদুস সালাম জানান, মধ্য রাত থেকে কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে। রাত দেড়টায় ঘন কুয়াশায় পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ
তিনি আরও জানান, মাঝ পদ্মায় আটকা পড়ে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও করবি নামে দুইটি ফেরি। এছাড়া আরো ১০টি ফেরি উভয় ঘাটে আটকিয়ে রাখা হয়।
এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া পাড়ে আটকা পড়ে অর্ধশত যাত্রীবাহী বাস ও তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা বলেন, সকাল সাড়ে ৭টায় ঘন কুয়াশার প্রকোপ কেটে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় ঢাকার বদলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নামল সিলেটে
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১২ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
৪২৬ দিন আগে
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে রাত ৩টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। মাঝ নদীতে আটকা পড়েছে ৪টি ফেরি।
এছাড়া, পাটুরিয়ায় ৮টি ও দৌলতদিয়া ঘাটে আরও ২টি ফেরি আটকে রাখা হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নদী পারাপারের যাত্রীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আবদুস সালাম বলেন, মধ্যরাত থেকে কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে। রাত ৩টায় ঘন কুয়াশায় পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ঘন কুয়াশায় লঞ্চে কার্গো জাহাজের ধাক্কা, নিখোঁজ ১
তিনি আরও বলেন, মাঝ পদ্মায় আটকা পড়ে হামিদুর রহমান, বনলতা, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও হাসনা হেনা নামে ৪টি ফেরি। এছাড়া আরও ১০টি ফেরি উভয় ঘাটে আটকে রাখা হয়।
এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া পাড়ে আটকা পড়েছে অর্ধ শত যাত্রীবাহী বাস ও ৩ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
ঘন কুয়াশার প্রকোপ কেটে পুনরায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা: চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে ৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১২ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
৪৩৩ দিন আগে
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১২ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে কুয়াশা কমতে শুরু করায় ফেরি চলাচল আবারও শুরু হয়।
এ সময় মাঝ পদ্মায় আটকা ছিল ৩টি ফেরি। এছাড়া, ২ ঘাটে আরো ১১টি ফেরি আটকে রাখা হয়েছিল। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয় নদী পারাপারের যাত্রীদের।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মহি উদ্দিন রাসেল জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে।
তিনি আরও জানান, রাত সাড়ে ৯টায় ঘন কুয়াশায় পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় শাহপরান, কেরামত আলী ও বনলতা নামে তিনটি ফেরির। এছাড়া আরো ১১টি ফেরি উভয় ঘাটে আটকে রাখা হয়। তবে কুয়াশা কমতে থাকায় আজ সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ফেরি চলাচল শুরু করা হয়েছে।
এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া পাড়ে আটকা পড়েছিল অর্ধশত যাত্রীবাহী বাসসহ ৩ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
আরও পড়ুন: ৬ ঘণ্টা পর চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি চলাচল শুরু
৯ ঘণ্টা পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
৪৪০ দিন আগে