যুবক হত্যা
নারায়ণগঞ্জে যুবক হত্যায় হাসিনাসহ ৪৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নারায়ণগঞ্জে ৫ আগস্টের সংঘর্ষের সময় এক যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ওসি আব্দুস সাত্তার জানান, শনিবার রাতে নিহত আবুল হাসানের বড় ভাই আবুল বাশার বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
একটি কোমল পানীয় কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি আবুল হাসান (২০) জেলার বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় হাসিনা-কাদেরসহ আওয়ামী লীগের ১০১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি সেলিম ওসমান, শামীম ওসমানের ভাগ্নে আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমান, শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল করিম এ মামলার অন্য আসামি।
এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা প্রায় ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর মিশনপাড়া এলাকায় আবুল হাসানকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের অংশ হিসেবে শেখ হাসিনা ও অন্য আসামিদের নির্দেশে হাসানকে হত্যা করেন অয়ন ওসমান।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে চাষাঢ়া এলাকায় চলমান সংঘর্ষে আবুল হাসান গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরদিন সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার উপজেলা চেয়ারম্যান
৩ মাস আগে
সিলেটে যুবক হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
দীর্ঘ ১২ বছর পর সিলেটের কানাইঘাটে যুবক শাহনেওয়াজ হত্যা মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে সিলেটের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. শাহাদৎ হোসেন প্রামানিক এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার পাত্তন গ্রামের নুরুল হক ওরফে কুঠি মাস্টারের ছেলে আবুল কাশেম উরফে মারুফ, একই গ্রামের নুরুল হকের ছেলে বাবুল আহমেদ, ইরফান আলীর ছেলে লোকমান, কানাইঘাট উপজেলার মালিগ্রামের মৃত মকবুল আলীর ছেলে খলিল উদ্দিন ও একই এলাকার মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে দর্জি হেলাল।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বিলিয়ার্ড খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবক হত্যা: গ্রেপ্তার ৫
এর মধ্যে বুধবার রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবুল কাশেম ওরফে মারুফ ও দর্জি হেলাল। আসামি বাবুল আহমেদ, লোকমান ও খলিল উদ্দিন পলাতক রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিদের সঙ্গে কানাইঘাট উপজেলার মালিগ্রামের ফখরুল ইসলামের ছেলে শাহনেওয়াজের পূর্ববিরোধ ছিল। এর জেরে ২০১১ সালের ২৬ জুন রাত ৯টার দিকে শাহনেওয়াজকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা। পরে শাহনেওয়াজের পরনের গেঞ্জি দিয়ে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে কানাঘাট উপজেলার পর্বতপুর গ্রামের লাইন নদীতে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।
দুই দিন পরও শাহনেওয়াজ বাড়ি না ফেরায় তার পরিবার খুঁজতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে যুবক হত্যা: মূল হোতাসহ গ্রেপ্তার ৪
২৯ জুন সকাল ৯টার দিকে পর্বতপুর লাইন নদীর সাকোঁতে শাহনেওয়াজের লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন তার পরিবারকে খবর দেয়। পরিবারের লোকজন গিয়ে শাহনেওয়াজের লাশ শনাক্ত করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহত শাহনেওয়াজের পিতা ফখরুল ইসলাম বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কানাইঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর কানাইঘাট থানার এসআই এনাম উদ্দিন আহমেদ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন এবং ২০১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলার বিচার কাজ শুরু করেন আদালত।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে যুবক হত্যায় ৩ জনের ফাঁসি, ৭ জনের যাবজ্জীবন
দীর্ঘ শুনানি ও ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার (২০ মার্চ) আদালত রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফখরুল ইসলাম ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট মো. ছয়ফুল আলম, এ এস এম এ গফুর ও রমা চন্দ্র নাথ মামলাটি পরিচালনা করেন।
৮ মাস আগে
বগুড়ায় বিলিয়ার্ড খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবক হত্যা: গ্রেপ্তার ৫
বগুড়ায় বিলিয়ার্ড খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে জুনায়েদ আল হাবিব বিপুল (২১) হত্যা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার ও হত্যায় ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম।
তিনি জানান, রাতভর বগুড়া সদর ও শিবগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, এছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার যুবকেরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে গৃহবধু ধর্ষণ মামলার ২ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার যুবকেরা হলো- শহরের নামাজগড় ভূষিপট্টির বাসিন্দা ও বিলিয়ার্ড ক্লাবের মালিক মো. আরিফ হাসান (৩২), শিববাটি শাহী মসজিদ এলাকার দীপংকর রায় (১৯) ও মো. সাহিল (২০), দক্ষিণ কাটনার পাড়ার মো. শাকি আল মামুন (২৭) ও ফুলবাড়ি দক্ষিণ পাড়ার মো. শোহাইব নবী (২২)।
নিহত যুবকের নাম জুনায়েদ আল হাবিব বিপুল। শুক্রবার রাতে বিলিয়ার্ড খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
বিপুল শহরের বাদুরতলা এলাকার মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে এবং ছাপাখানার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে নিহতের ভাই মোহাম্মদ শামিম বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে গ্রেপ্তার পাঁচজনসহ মোট আট জনকে আসামি করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাতে নামাজগড় এলাকায় ব্রেক এন রান নামে বিলিয়ার্ড ক্লাবে গ্রেপ্তার যুবকেরা পুল খেলছিলেন। এ সময় তাদের সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন ছিল। খেলার সময় বিপুল এবং তার কিছু বন্ধুরা সেখানে এসে গ্রেপ্তারদের পুলের বোর্ড ছেড়ে দিতে বলে। তারা ছেড়ে না দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে গ্রেপ্তার যুবকেরা জুনায়েদ আল-হাবিব বিপুলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
নিহতের ভাই শামিম জানান, ওই পুলে বিপুল আগে থেকেই খেলছিলেন। কিছু সময়ের জন্য নিচে গেলে হত্যাকারীরা পুলটি দখল নিয়ে খেলা শুরু করেন। এ জন্য তাদের ছেড়ে দিতে বললে বাকবিতণ্ডা বাঁধে। এক পর্যায়ে তারা বিপুলকে মারধর করে। পরে ছুরিকাহত করে মেরে ফেলেন তারা।
আরও পড়ুন: মহাখালীতে সাবেক কাউন্সিলরসহ বিএনপির ৩২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
রাণীনগরে পাঁচ লাখ টাকার চোরাই মালামাল জব্দ, গ্রেপ্তার ৫
২ বছর আগে
ঝিনাইদহে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভবানিপুর বাজারে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
৪ বছর আগে