দ্বিগুণ
তিন দিনের ব্যবধানে গাইবান্ধায় পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ
গাইবান্ধায় পেঁয়াজের বাজারে যেন আগুন লেগেছে। তিন দিনে কেজিতে ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকায় দাঁড়িয়েছে পেঁয়াজের দাম। গাইবান্ধার আড়ত ও খুচরা দোকানদাররা খেয়াল-খুশিমতো পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার গাইবান্ধার কয়েকটি বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর খুলনায় দাম বেড়েছে ৬০ টাকা
গাইবান্ধা শহরের প্রধান বাজার পুরাতন বাজারে পেঁয়াজ কিনতে গিয়েছিলেন স্থানীয় দোকান কর্মচারী হালিম খান। তিন দিন আগে পেঁয়াজ প্রতি কেজি কিনেছিলেন ৭০ টাকা। শুক্রবার পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে দেখেন পেঁয়াজ কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজির বদলে আড়াইশ গ্রাম পেঁয়াজ কিনে ফেরেন হালিম খান।
তিনি বলেন, দোকানে কাজ করি, মাস গেলে যা পাই তাতে মাংস-মাছ তো দূরের কথা, আলু ভর্তা খেয়ে মাস পার করাও কঠিন।
শহরের কালিবাড়ি পাড়ার বাসিন্দা বাপ্পী দাস পুরান বাজারে পেঁয়াজ কিনতে এসে বলেন, ৭০ টাকা কেজি পেঁয়াজ এখন ১২০ টাকা কেজি। বাজারে প্রতিদিন প্রশাসনের অভিযান চালানো দরকার। তাহলে হয়তো কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। প্রতি দোকানে জিনিসের দাম লিখে রাখলেও সে অনুযায়ী দাম রাখা হয় না। প্রশাসন চলে গেলে ব্যবসায়ীরা তাদের মতো করে জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, গাইবান্ধা শহরের প্রায় প্রতিটি আড়তে পেঁয়াজ বস্তায় ভরে রাখা হয়েছে। চাহিদার চেয়ে পেঁয়াজের পরিমাণ বেশি থাকলেও দ্বিগুণ দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজারের আড়তের মালিকরা বলেন, পেঁয়াজের আমদানি কম। মোকামেও পেঁয়াজ নেই তাই বাজারে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে।
আড়তমালিক ফিরোজ কবীর বলেন, গৃহস্থরা পেঁয়াজ বিক্রি না করায় বাজারে পেঁয়াজের টান পড়েছে।
তিন দিনের ব্যবধানে দাম দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আড়ত মালিকরা বলেন, তাদের এতে কোনো হাত নেই, সারাদেশে একই অবস্থা। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে মনে করছেন তারা।
পেয়াঁজের মূল্য দ্বিগুণ বৃদ্ধির ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা বাজারদর কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, হঠাৎ করেই বাজারে পেঁয়াজ আমদানি কমে গেছে। সে কারণেই পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ৬ দিন পর খালাস হলো বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকা টিসিবির পেঁয়াজ
সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ
১০ মাস আগে
বাংলাদেশে আগামী ১০ বছরে বিমান ভ্রমণ দ্বিগুণ হবে
দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, প্রসারিত অর্থনীতি ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির দ্বারা চালিত আগামী দশকে বাংলাদেশে বিমান ভ্রমণ দ্বিগুণ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে উড়োজাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বোয়িং (এনওয়াইএসই:বিএ)।
বুধবার (১০ মে) উড়োজাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে বিমান ভ্রমণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও সক্ষমতাবিষয়ক তাদের কমার্শিয়াল মার্কেট আউটলুক (সিএমও) প্রকাশ করেছে।
এটি বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিমানের চাহিদাবিষয়ক একটি বার্ষিক পূর্বাভাস।
আরও পড়ুন: অনলাইনে ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তন সেবা চালু বিমানের
বোয়িংয়ের পূর্বাভাস অনুযায়ী-২০৩২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বার্ষিক জিডিপি পাঁচ শতাধিক বেশি হারে বাড়বে, যা বৈশ্বিক জিডিপি প্রবিদ্ধির গড়ের দ্বিগুণেরও বেশি।
পাশাপাশি বিমান ভ্রমণের বার্ষিক বৃদ্ধির হার হবে প্রায় আট দশমিক পাঁচ শতাংশ।
এশিয়া প্যাসিফিক ও ভারতের বোয়িং কমার্শিয়াল মার্কেটিং ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেড শাল্টে বলেন, ‘গত বছর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করায় বাংলাদেশে সক্ষমতা বছরে ১১ শতাংশ বেড়েছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতে আঞ্চলিক ট্র্যাফিক বিবেচনায় আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশের বিমান ভ্রমণ দ্বিগুণ হবে বলে আমরা মনে করি’।
সিএমও’র পূর্বাভাস অনুযায়ী, যাত্রী ভ্রমণ ও এয়ার কার্গোর জোরালো চাহিদা মেটাতে দক্ষিণ এশিয়ার বাহক বা ক্যারিয়ারদের আগামী ২০ বছরে দুই হাজার ৩০০টির বেশি নতুন বাণিজ্যিক বিমানের প্রয়োজন হবে।
ফলে দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান ইন-সার্ভিস বিমান বহরের (৭০০টি) তিনগুণেরও বেশি বৃদ্ধি হবে বলে জানানো হচ্ছে।
শাস্টে আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় আমরা দারুণ সুযোগ দেখতে পাচ্ছি। যেখানে ভবিষ্যতে বিমান বহরের ৮০ শতাংশের বেশি প্রয়োজন হবে।
বাকি ২০ শতাংশ ব্যবহৃত হবে পুরোনো অকার্যকর বিমান প্রতিস্থাপনের জন্য।
আরও পড়ুন: ১ জুলাই থেকে ডলারের পরিবর্তে টাকায় বিমান ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে
৭৩৭-এর মতো সিঙ্গেল-আইল বিমানগুলো দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ বিমান বহরের প্রায় ৯০ শতাংশ ব্যবস্থা করবে, যেখানে এ অঞ্চলের বিমান বহরের ১০ শতাংশ গঠিত হবে ৭৮৭-এর মতো প্রশস্ত বা ওয়াইড বডি বিমান দ্বারা।
এ দুইটি বিমানের মডেলই বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ ও ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সে চালু রয়েছে।
শাল্টে আরও বলেন, ‘এ বাজারে বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের দ্রুত বৃদ্ধিতে বোয়িং বিমানগুলো চমৎকার ভূমিকা পালন করেছে। প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে বিমান বহরের সাদৃশ্য প্রধান ভূমিকা পালন করবে, বিশেষ করে যেহেতু এটি আমাদের এয়ারলাইন্সে গ্রাহকদের প্রশিক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে সম্পর্কিত পরিচালনার খরচ কমায়’।
বোয়িং
শীর্ষস্থানীয় অ্যারোস্পেস কোম্পানি বোয়িং বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশে তাদের গ্রাহকদের পণ্য এবং সেবা সরবরাহ করে থাকে। শীর্ষ মার্কিন রপ্তানিকারক হিসাবে কোম্পানিটি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সুবিধা, সক্ষমতা এবং কমিউনিটি প্রভাবকে এগিয়ে নিতে সাপ্লায়ার বেইজের দক্ষতাকে কাজে লাগায়।
এছাড়া আগামীর জন্য উদ্ভাবন এবং কোম্পানির নিরাপত্তা, গুণগতমান ও মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে বোয়িং-এর বৈচিত্র্যময় টিম দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আরও পড়ুন: ড্রিমলাইনারে বিদেশি পাইলটদের 'লাইন ট্রেনিং' দিচ্ছে বিমান
১ বছর আগে
৬ সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত দ্বিগুণ: ডব্লিউএইচও প্রধান
গত ছয় সপ্তাহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস।
৪ বছর আগে