অর্থ প্রদান
কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে ৩,৪২৮ গার্মেন্টস কর্মী ও পরিবারকে অর্থ প্রদান
শতভাগ রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত তিন হাজার ৪২৮ জন শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের শ্রম কল্যাণের কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে মোট ২১ দশমিক ৬৫ কোটি টাকার সহায়তা দেয়া হবে।
এ তহবিলের উদ্দেশ্য হল চাকরিকালীন সময় যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া, আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা দেয়া এবং পোশাক শ্রমিকদের মেধাবী সন্তানদের পুরস্কৃত করা।
আরও পড়ুন: শিমুলিয়ায় শুক্রবারও গার্মেন্টস কর্মীদের ঢল
মঙ্গলবার বিকালে প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় তহবিলের ১৮তম বোর্ড সভায় তালিকা ও তহবিল অনুমোদন করা হয়।
সহায়তার জন্য তালিকাভুক্তদের মধ্যে বিজিএমইএ-এর ৪৯৫ জন এবং বিকেএমইএর ২৪১ কর্মীকে মৃত্যু ও স্থায়ী পঙ্গুত্বজনিত কারণে ১৪ কোটি ৬৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর দুই হাজার ৪০ কর্মীকে পাঁচ কোটি ৬৮ লাখ ১৬ হাজার টাকা চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হবে।
এছাড়া শ্রমিকদের ৬৫২ মেধাবী সন্তানকে শিক্ষা সহায়তা হিসেবে এক কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেয়া হবে।
বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী, রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্যের ০ দশমিক ০৩ শতাংশ সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা হয়।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহসান এলাহী, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় তহবিলের মহাপরিচালক মোল্লা জালাল উদ্দিন ও বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় গার্মেন্টস কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
আশুলিয়ায় গার্মেন্টস কর্মী হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
২ বছর আগে
ইফতার বিতরণের পরিবর্তে অর্থ প্রদানের আহ্বান ক্যাবের
একসঙ্গে বেশি বাজার না করা ও ইফতার সামগ্রীর পরিবর্তে নগদ অর্থ প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম।
সোমবার এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরীসহ সংগঠনের নেতারা এই দাবি জানান।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিতে প্রজ্ঞাপন চায় ক্যাব
বিবৃতিতে তারা বলেন, রমজান মাস এলেই আমাদের দেশের কিছু ধনাঢ্য ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতা আকারে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে থাকেন। কিন্তু পুরো রমজান মাস জুড়ে সাধারণ দরিদ্র মানুষ যেন ইফতার ও সাহারি স্বাশ্রয়ী মূল্যে খেতে পারেন তার জন্য কিছু না করে অনেকটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ সমস্ত আয়োজনে সাধারণ মানুষের একবেলা ইফতার জুটলেও পুরো রমজানে ইফতার সামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের চরম ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন অতিষ্ঠ, সেখানে তারা কোন ভূমিকা রেখে না। দান হিসেবে ইফতার সামগ্রী প্রদানের কারণে এ সমস্ত সামগ্রীর যোগান ও সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং সামগ্রী পরিবর্তে নগদ অর্থ দেয়া হলে দরিদ্র মানুষ তার নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী কেনা-কাটা করতে পারতেন।
নেতারা বলেন,দান-খয়রাত ও জাকাত দরিদ্র মানুষের প্রতি করুনা নয়, এটা তাদের অধিকার হলেও ইফতার ও যাকাতের কাপড় বিতরণের সময় প্রতিবছর বিপুল পরিমান প্রাণহানি ঘটে। ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে অনেক সময় অপচয়ও ও চুরি হয়।
এদিকে রমজানে পুরো নগর জুড়ে অসহনীয় যানজট, গণপরিবহনে বিপুল ভাড়া হাঁকানো, রাস্তার ওপর ময়লার স্তুপ, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাসের প্রাপ্যতাসহ নানা নাগরিক ভোগান্তির জালে জনজীবন অতিষ্ঠ হলেও এর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তরা ভ্রুক্ষেপ না করে নাগরিক ভোগান্তি নিরসনে কোন উদ্যোগ না নিয়ে সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কোভিড শয্যা বাড়ানোর দাবি ক্যাবের
এছাড়া ইফতার সামগ্রীর পরিবর্তে দুঃস্থ ও গরীব লোকজনকে নগদ অর্থ বিতরণ, মাসের বাজার এক সঙ্গে না করে সপ্তাহের বাজার করে নিত্যপণ্য, খাদ্য-পণ্য ক্রয়ে সংযমী হওয়া, রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা, যানজট ও জনগণের নিরাপদ যাতায়ত নিশ্চিত করতে সড়ক সংস্কার বা মেরামত, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির প্রাপ্যতাসহ জনভোগান্তি নিরসনে ভূমিকা রাখাতে বিবৃতি উল্লেখ করা হয়।
২ বছর আগে
কর্মহীন ২ শতাধিক পরিবারের মাঝে আইইবি ও এএবিইএ এর অর্থ প্রদান
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন, দুঃস্থ এবং অসহায় পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) ও অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার্স ইন আমেরিকা (এএবিইএ)।
৪ বছর আগে