জামায়াত
জামায়াত ক্ষমতায় আসলে জনগণ-রাষ্ট্র নিরাপদ থাকবে: সেলিম উদ্দিন
বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা নিজেদের উপার্জিত অর্থ দলে দেয় উল্লেখ করে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, জামায়াতের নেতৃত্বে দেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ হবে এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসলে জনগণ ও রাষ্ট্র নিরাপদ থাকবে।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতের লোকেরা স্বজনপ্রীতি করে না, রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করে না। জামায়াতের প্রত্যেকটি লোক আলাদা আলাদা ব্যবসা ও চাকরি করেন। তারা দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি করেন না।’
সেলিম উদ্দিন বলেন, জনগণ পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশকে যদি জামায়াতের হাতে তুলে দেয়, তারা দেখবে কেমন বাংলাদেশ হয়-তা আমরা ইনশাআল্লাহ দেখাবো।
দলটির উত্তরা মডেল থানা শাখার যুব বিভাগের উদ্যোগে উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরে মঙ্গলবার সকালে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিবাদের কবর রচনার আহ্বান জামায়াত সেক্রেটারির
জামায়াতের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা ইসলামী ব্যাংকিং পদ্ধতি চালু করে লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান করেছি। বেকার সমস্যার সমাধান করেছি। বাংলাদেশে যে রেমিট্যান্স আসে, তার একটা বড় অংশ আমাদের উদ্যোগের কারণে, আমাদের চেষ্টার কারণে আসে। আমরা ক্ষমতায় না গিয়েও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতালসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরি করে প্রমাণ করেছি। একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান সেলিম উদ্দিন।
ঢাকা মহানগরীর জনগণকে সবধরণের সহযোগিতা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমরা একটি সমৃদ্ধ নগরী চাই। আমরা একটি মানবিক নগরী চাই। আমরা একটি পরিচ্ছন্ন ও দুর্নীতিমুক্ত নগরী চাই। নগরীকে গড়ে তুলতে দলের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সেলিম উদ্দিন বলেন, নগরীতে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য নগরীর অভিভাবক হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বকে জনগণ গ্রহণ করবে ইনশাআল্লাহ । শুধু সিটি নয় দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সকল নির্বাচনে জামায়াতের নেতৃত্বকে জনগণ গ্রহণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য বিগত পতিত স্বৈরাচার এমন কোনো কাজ বাকী নাই, যেটা করেনি। রাষ্ট্র থেকে একটি দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য মিথ্যা নাটক সাজিয়ে দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের জাতীয় নেতাদেরকে-যারা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তাদেরকে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: বৈষম্যহীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জামায়াত আমিরের
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার যাওয়ার তিনদিন আগে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছিল। তারা করেছিল জামায়াতকে নিষিদ্ধ, আর আল্লাহ তায়ালা এই জাতির মাধ্যমে তাদেরকে দেশছাড়া করেছেন। তারা দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে।
সেলিম উদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়নে কাজ করছে। জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা সুযোগ পেলেই মানুষের কল্যাণ, উপকার করার চেষ্টা করে। জামায়াতের কর্মী কোথাও প্রতিবেশীর সম্পদ দখল করে না, প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয় না। জামায়াতে ইসলামীর পরিচয় দিয়ে কেউ কাউকে কোনো কষ্ট দেয়, প্রতিবেশীর হক নষ্ট করে, প্রতিবেশীকে কোনো কারণে ডিস্টার্ব করে-এমন একটি ঘটনাও দেখাতে পারবে না বলেও দাবি করেন দলটির এই নেতা।
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে উল্লেখ করেন, জামায়াতে ইসলামীর লোকদের তৈরি করা হয় এমনভাবে, যেন তারা মানুষের কল্যাণ ও সেবা করতে পারে। আমরা ব্যক্তিগত ও দলগতভাবে এটা করি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই সময়ে যুব বিভাগের উদ্যোগে ন্যায্যমূলে পণ্য বিক্রির উদাহরণও টানেন তিনি।
সেলিম উদ্দিন বলেন, বর্তমান সরকার জিনিসপত্রের দাম দ্রুত সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসবেন বলে আশা করেছিলেন তারা। তিনি বলেন, তারা চেষ্টা হয়তো করছেন, কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ নামের কলঙ্ক, কিছু অমানুষ- যাদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে, তাদের বিভিন্ন সামাজিক পরিচয় আছে, তারাই বাজার ও পরিবহন সিন্ডিকেট করে বাজারকে নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সরকারকে বলবো, কারো চেহারার দিকে না তাকাবেন না। বরং যাদের ত্যাগের বিনিময়ে ক্ষমতায় এসেছেন তাদের চেহারার দিকে তাকান। দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে যারা চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ- তাদেরকে ধরে বিচার করুন। প্রতিহত করুন। এদেশের ১৮ কোটি মানুষ আপনাদেরকে সমর্থন দেবে। আর যদি তা না করে জাতিকে কষ্ট দেন তাহলে আপনারাও ভালো কিছু করতে পারবেন না- ব্যর্থ হয়ে বিদায় নেবেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে জামায়াতের হিন্দু শাখার কমিটি গঠন
জামায়াতের এই নেতা বলেন, আমরা আপনাদের ব্যর্থতা চাই না। আপনারা ব্যর্থ হলে জাতি ব্যর্থ হবে। আপনারা ব্যর্থ হলে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে- আমরা এটা চাই না। আমরা আপনাদের পাশে আছি।
ন্যায্যমূল্যের বাজার ঢাকার সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। টিসিবির পাশাপাশি জনগণের জন্য আরও কমদামে পণ্য দিয়ে সেবা দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে এই উদ্যোগের সূচনা হলো বলেও উল্লেখ করেন সেলিম উদ্দিন।
২ দিন আগে
রংপুরে জামায়াতের হিন্দু শাখার কমিটি গঠন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রংপুরের পীরগাছা সদর ইউনিয়ন শাখার হিন্দু কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে উপজেলা জামায়াতের অফিসে কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আব্দুর জব্বার।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোস্তাক আহমেদ।
কমিটিতে মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ভবেশ চন্দ্র বর্মণ সভাপতি ও ওষুধ ব্যবসায়ী বিজন চন্দ্র দাস সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছে জামায়াত
এছাড়া কমিটির অন্যরা হলেন- দেবী চৌধুরানী ডিগ্রি কলেজের প্রদর্শক তাপস চন্দ্র রায় সহসভাপতি, কিসামত ঝিনিয়া সনাতন সংঘের সভাপতি সুধারঞ্জন বর্মণ সহসম্পাদক ও দেউতি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক প্রভাষ চন্দ্র বর্মণ অর্থ সম্পাদক।
এর আগে হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ ইদ্রিস আলীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোস্তাক আহমেদ, সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক জাকির হোসেন, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ভবেশ চন্দ্র বর্মণ ও ইউনিয়ন জামায়াতের অর্থ সম্পাদক হোসাইন আহমেদ প্রমুখ। মত বিনিময় সভায় প্রায় দুই শতাধিক হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে আপিল পুনরুজ্জীবিত
৩ সপ্তাহ আগে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছে জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন দায়ের করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম।
বুধবার আপিল বিভাগে এ রিভিউ আবেদন দায়ের করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
দলটির আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি রিভিউ আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ২৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত।
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে আপিল পুনরুজ্জীবিত
গত ১৬ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদনটি করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এছাড়া গত আগস্ট মাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার পৃথক রিভিউ আবেদন দায়ের করেন।
১৯৯৬ সালে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন।
২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে পরবর্তী ১০ম ও ১১তম নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আদালত। রায়ে বলা হয়, এক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে সংসদে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।
আদালত তার রায়ে বলেন, আপিল বিভাগের সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতেই আবেদনটি গৃহীত হয়েছে। এর মাধ্যমে সংবিধান (ত্রয়োদশ সংশোধনী) আইন ১৯৯৬ এই নির্দেশের পর থেকে অবৈধ ও সংবিধান বহির্ভূত ঘোষণা করা হলো। তবে আইনসম্মত না হলেও (প্রয়োজনের কারণে আইনসম্মত এবং জনগণের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ আইন, রাষ্ট্রের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ আইন- সুপ্রাচীনকাল ধরে চলে আসা নীতিমালার ভিত্তিতে) দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করা ত্রয়োদশ সংশোধনীর আওতায়ই হতে পারে।
এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতিদের মধ্য থেকে অথবা আপিল বিভাগের বিচারপতিদের মধ্য থেকে একজনকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার বিধানটি বাতিল করার পূর্ণ স্বাধীনতাও সংসদের থাকবে। একইসঙ্গে ২০০৫ সালে এ প্রসঙ্গে দায়ের করা লিভ টু আপিলটিও খারিজ করা হয়। আপিল বিভাগের এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে রিভিউ আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় জামায়াত নেতার মৃত্যুর অভিযোগ
৪ সপ্তাহ আগে
জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে আপিল পুনরুজ্জীবিত
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন মঞ্জুর করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এই আদেশের ফলে সর্বোচ্চ আদালতে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলটির ফের শুনানি হবে।
মঙ্গলবার এই আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ।
আদালতে জামায়াতের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের প্রণীত ‘কালা কানুন’ দিয়েই তাদের বিচার হোক: জামায়াত আমির
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির সময় আদালতে দলটির পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আপিল বিভাগ আপিলটি খারিজ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এ মামলার সঙ্গে সাংবিধানিক প্রশ্ন জড়িত থাকায় হাইকোর্ট মামলাটি সরাসরি আপিল বিভাগে পাঠিয়েছিলেন। সেই আপিল শুনানি ছাড়াই খারিজ সঠিক হয়নি মর্মে আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করতে আবেদন করা হয়েছিল। একই সঙ্গে একটি বিলম্ব মার্জনার আবেদন ছিল। আপিল বিভাগ আবেদন মঞ্জুর করায় জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে করা আপিলের ওপর ফের আপিল বিভাগে শুনানি হবে।
গত ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরবর্তীতে হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াতে ইসলামী।
তবে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় গত বছরের ১৯ নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে আপিল খারিজের আদেশ দেন। ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল থাকে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আবার ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করে শুনানির জন্য আবেদন করা হয়। গত ২ সেপ্টেম্বর চেম্বার আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ২১ অক্টোবর শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। তবে ২২ অক্টোবর বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির কার্যতালিকায় আসে।
অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শেখ হাসিনার সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারায় জামায়াত, ছাত্রশিবিরসহ তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
পরে গত ২৮ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাবনা, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও ইভিএম বাতিলের আহ্বান
৪ সপ্তাহ আগে
জামায়াত নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার হচ্ছে মঙ্গলবার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল তা মঙ্গলবার প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার যেহেতু সরকারি ছুটি, সেজন্য মঙ্গলবার এ নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার হচ্ছে বলে আশা রাখছি।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীসহ জামায়াত-বিএনপির ৭০০ নেতা-কর্মী জামিনে মুক্ত
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আইনজীবী মনির বলেন, ‘জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার কারণ আমরা জানি না। মনে করছি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ ফ্যাসিবাদি এই সরকারের বিরুদ্ধে দেশের ছাত্র-জনতা আন্দোলন করেছে। যেখানে জামায়াতে ইসলামীও সহযোগী শক্তি হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ক্ষেত্রে দলটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
জামায়াত নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহারের পরই দলটির নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল বিভাগে মামলা পুনরুজ্জীবিত করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরবর্তীতে হাইকোর্ট রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। গত বছরের ১৯ নভেম্বর সে আপিল খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তারপর গত ১ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী, ছাত্রশিবির ও সংশ্লিষ্ট সব অঙ্গসংগঠন নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনের সুযোগে বিএনপি-জামায়াতের ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা: ধর্মমন্ত্রী
ছাত্র-জনতার বিজয়কে দুষ্কৃতকারীরা যেন নস্যাৎ করতে না পারে: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল
২ মাস আগে
কোটা আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের প্রত্যেক পরিবারকে এক লাখ করে টাকা দেবে জামায়াত
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নিহত ছাত্রদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকালে ফেনী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
ফেনী জেলা জামায়াতের আমির এ কে এম শামসুদ্দিন বলেন, 'প্রত্যেক শহীদের পরিবারকে এক লাখ করে টাকা দেওয়া হবে।’
শামসুদ্দিন শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরে বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন তারা। 'আমরা তাদের আত্মত্যাগ সবসময় মনে রাখব।’
তিনি শহীদ শিক্ষার্থীদের জাতীয় বীর হিসেবে স্বীকৃতির আহ্বান জানান এবং তাদের পরিবারকে বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মতো ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব করেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য তারা লড়াই করেছে, তা বজায় রাখা আমাদের দায়িত্ব। আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা না গেলে এবং লুটপাট বন্ধ না হলে তাদের সব আত্মত্যাগ বৃথা যাবে।’
শামসুদ্দিন আরও বলেন, বর্তমানে অনেক আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যয় ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে বহন করা হচ্ছে।
তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘আমরা তাদের পরিবারকে সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রাখব।’
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করল সরকার
জেলার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে জামায়াতের এই নেতা বলেন, সব থানায় জনবলের অপ্রতুলতা রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। 'শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’
এ কে এম শামসুদ্দিন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মন্দির রক্ষাসহ শৃঙ্খলা রক্ষায় জামায়াতের টিম সব উপজেলায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, 'হিন্দুরা এই দেশে সংখ্যালঘু নয়। আমরা সবাই ভাই ভাই এবং মিলেমিশে একসঙ্গে থাকব। বিভ্রান্তি ছড়াতেই মন্দিরে হামলার গুজব ছড়ানো হচ্ছে।’
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুফতি মাওলানা আব্দুল হান্নান, সহকারী সেক্রেটারি আব্দুর রহিম, মহানগরী জামায়াতের আমির মোহাম্মদ ইলিয়াছ, ফেনী জেলা ও মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইমাম হোসাইন ও শরিফুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ১৩ বছর পর কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলল জামায়াতে ইসলামী
৩ মাস আগে
চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীসহ জামায়াত-বিএনপির ৭০০ নেতা-কর্মী জামিনে মুক্ত
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীসহ জামায়াত ও বিএনপির ৭০০ নেতা-কর্মী জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাতে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৭০০ নেতা-কর্মীকে মুক্তি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, শিগগিরই মুক্তি
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন বলেন, ‘আদালত থেকে জামিননামা আসার পর যাচাই–বাছাই করে ৭০০ বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তারা কারাগারে এসেছিলেন।’
এদিকে, শুক্রবার (২ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘর্ষ ও নাশকতার ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার ১৬ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া নগর ও জেলায় কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ ও নিহত হওয়ার ঘটনায় মোট ৩৪টি মামলা হয়। এসব মামলায় ৩৮ হাজার ৬০০ জনকে আসামি করা হয়। এরমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয় প্রায় ১০০০ জনকে।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের সাবেক পিএস অপু জামিনে মুক্ত
রাজনৈতিক মামলায় যখনই জামিন আবেদন, তখনই শুনানির সিদ্ধান্ত
৩ মাস আগে
দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করাই ছিল বিএনপি-জামায়াতের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সাম্প্রতিক সহিংসতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার ধারণা ছিল, দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করতে এবং সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশব্যাপী ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালাতে পারে।
বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এডিটরস গিল্ডের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, বার্তা প্রধান ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি জানতাম, (৭ জানুয়ারি) ইলেকশন করতে দেবে না। তারপরও আমরা ইলেকশন করে ফেলেছি। (তারা বলেছিল) ইলেকশন করার পর ইলেকশন গ্রহণযোগ্য হবে না, সেটাও গ্রহণযোগ্য আমরা করতে পেরেছি। সরকার গঠন করতে পেরেছি। আমার ধারণা ছিল, এ ধরনের একটা আঘাত আবার আসবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৩-১৪ সালের নির্বাচনের আগে-পরেও বিএনপি-জামায়াত জোট অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে শত শত মানুষকে হত্যা এবং হাজার হাজার মানুষকে আহত করে।
কোটা আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতার পেছনে অনেক বড় ষড়যন্ত্র ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা যে একটা বিরাট চক্রান্ত, সেটা বোঝাই যাচ্ছিল।... এই যে লোক চলে আসা, এবার আমরা কিন্তু আগে থেকে খবর পেয়েছি- লোক ঢুকবে। গোয়েন্দা দিয়ে সব হোটেল, কোথায় থাকতে পারে, সেগুলো নজরদারিতে আনা হয়েছে। কিন্তু ওরা সেখানে ছিল না; এরা চলে এসেছে ঢাকার ঠিক বাইরের পেরিফেরিতে (সংলগ্ন এলাকায়)।’
আরও পড়ুন: ক্রমবর্ধমান সামুদ্রিক খাবারের চাহিদা মেটাতে সমুদ্র সম্পদে বিনিয়োগ করুন: প্রধানমন্ত্রী
‘সারা বাংলাদেশ থেকে শিবির-জামায়াত এরা কিন্তু এসেছে। সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু ছাত্রদলের ক্যাডাররাও সক্রিয় ছিল। যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, এতে এরাও (বিএনপি) সক্রিয় ছিল।’
আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আরেকটা জিনিস খেয়াল করবেন, তখনও কিন্তু লাশ পড়েনি। অথচ স্টেট ডিপার্টমেন্টের (যুক্তরাষ্ট্রের) বক্তব্যে এসে গেল- লাশ পড়েছে। লাশের খবর তাদের কে দিল? তাহলে লাশ ফেলার নির্দেশটা কে দিয়েছে, এটারও খবর নেওয়া দরকার। তারপর কিন্তু লাশ পড়তে শুরু করল।’
তিনি বলেন, ‘আমি এমন কোনো ঘটনা দেখতে চাই না, যাতে দেশে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়ে অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হয়। তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার টার্গেট করেছিল।’
দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিকে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যে এই পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের প্রতি যারা সমর্থন দিয়েছিলেন, তাদের বোঝার সক্ষমতা নিয়ে এসময় প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, স্বার্থান্বেষী মহলের একমাত্র লক্ষ্য দেশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করা এবং গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশ যে গণতন্ত্র ভোগ করে আসছে তা বন্ধ করা।
সাম্প্রতিক সহিংস পরিস্থিতিতে কারফিউ দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমি তো চাইনি আমাদের গণতান্ত্রিক ধারায় এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটুক, আমাদের কারফিউ দিতে হোক।... একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশে এটা আমাদের কাম্য ছিল না। কিন্তু আজ না দিয়ে কোনো উপায় ছিল না; না দিলে আরও যে কত লাশ পড়ত, তার হিসাব নেই।’
তিনি বলেন, ‘যখন তারা (শিক্ষার্থীরা) ঘোষণা দিল যে, চলমান নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তারা জড়িত নয়, তখনই আমরা সেনাবাহিনী নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
দেশবাসীকে সব ধরনের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘দেশবাসীকে অনুরোধ করব, যারা এভাবে দেশের সর্বনাশটা করল- গণমানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতির জন্য, তাদের আয় বৃদ্ধি, তাদের চলাচলের সুবিধার জন্য, তাদের জীবনমান উন্নত করার জন্য যতগুলো স্থাপনা তৈরি করেছি, সবগুলোতেই তারা আঘাত করেছে, সবগুলো তারা ভেঙে দিয়েছে। (এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে) ক্ষতিটা কার? নিশ্চয়ই জনগণের। এখানে তো জনগণকেই রুখে দাঁড়াতে হবে; এ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, জনগণকেই সোচ্চার হতে হবে। কারণ এরা তো কোনোদিনই কোনো দেশে ভালো কিছু করতে পারেনি।’
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক এই তাণ্ডবের টার্গেট ছিল আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে দাবি তারা করেছিল কোটা সংস্কারের, যতটুকু চেয়েছিল, তার থেকে অনেক বেশি দিয়েছি। যখন তাদের দাবি মেনে নেওয়া হলো, তারপরও তারা এ জঙ্গিদের সুযোগ করে দিল কেন? কোটা আন্দোলনকারীদের কিন্তু জাতির কাছে একদিন এ জবাব দিতে হবে। কেন মানুষের এত বড় সর্বনাশ করার সুযোগ করে দিল?’
‘আমরা সবসময় তাদের সহানুভূতি দেখিয়েছি। তাদের সবসময় নিরাপদ রাখার চেষ্টা করেছি; কিন্তু যেসব ঘটনা ঘটেছে, তাতে কখনো ক্ষমা করা যায় না।’
মত বিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান। স্বাগত বক্তব্য দেন এডিটরস গিল্ডের প্রেসিডেন্ট মোজাম্মেল বাবু।
সভায় আরও বক্তব্য দেন- জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবেদ খান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ডিবিসি টেলিভিশনের এডিটর ইন চিফ মঞ্জুরুল ইসলাম, ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা জার্নালের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, নাগরিক টেলিভিশনের হেড অব নিউজ ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব দীপ আজাদ, আরটিভির হেড অব নিউজ মামুনুর রহমান খান, দৈনিক আমাদের সময় ও বিজনেস পোস্টের নির্বাহী সম্পাদক মাইনুল আলম, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাজাহান সর্দার, ডিবিসি টেলিভিশনের নিউজ এডিটর জায়েদুল আহসান পিন্টু, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের হেড অব নিউজ আশিষ সৈকত, বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল, ৭১ টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ, এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ, কিংস নিউজের হেড অব নিউজ নাজমুল হক সৈকত প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে আ. লীগের নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
বাংলাদেশে পেরোদুয়া গাড়ি উৎপাদন করতে মালয়েশিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
৩ মাস আগে
বিএনপি-জামায়াতকে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করতে হবে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘বিএনপি ও জামায়াতকে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করতে হবে। কারণ হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে তাদের জন্ম হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি রাজনীতির নামে অপরাজনীতি করছে।’
আরও পড়ুন: লিঙ্গ বিবেচ্য নয়, আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
শনিবার (৬ জুলাই) চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী। কিন্তু তারা বলতে চায় তারাও স্বাধীনতার পক্ষের লোক। যদি তাই হয়, তাহলে তারা কেন স্বাধীনতার বিপক্ষের লোকজন নিয়ে ঘুরেন। এছাড়া তার কেন যুদ্ধাপরধীদের বিচার বন্ধ করতে চান?
দীপু মনি বলেন, ‘আমরা ধ্বংসের রাজনীতি করি না, আমরা সৃষ্টির রাজনীতি করি। আমরা সন্ত্রাসের নয়, শান্তির রাজনীতি করি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন দেশে বিএনপি-জামায়াত নারীদের ওপর নির্যাতন নীপিড়ন করেছিল তখনই এই যুব মহিলা লীগ নামে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। তখন থেকেই এই সংগঠন আন্দোলন সংগ্রামে জোরালো ভূমিকা পালন করেছে এবং সব নির্যাতন ও নীপিড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। তারা রাজপথে একটি নজির স্থাপন করেছে।’
সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের অর্ধেক ভোটার নারী। তাদের পেছনে ফেলে সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না। শেখ হাসিনার কল্যাণে আজকে সব পেশায় নারীরা এগিয়ে আছে। নারীরা তাদের যোগ্যতার মাধ্যমে প্রতিটি পদক্ষেপ নিচ্ছে। নারীদের শ্রমকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।’
সংগঠনের জেলা সভাপতি ফরিদা ইলিয়াছের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আলম মিল্টন, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা মাসুদা খানম, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির মিজি, সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হায়দার সংগ্রাম।
আরও পড়ুন: আনারসের পাতার আঁশ থেকে কাপড় তৈরি যুগান্তকারী: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
৪ মাস আগে
বিএনপি-জামায়াত এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি এবং জামায়াত এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। যারা এভাবে নিজেদের স্বার্থে গণহত্যার বিরুদ্ধে নিশ্চুপ থাকে তাদের হাতে কখনো দেশের স্বার্থরক্ষা সম্ভব নয়।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ আয়োজিত 'স্টপ জেনোসাইড ইন প্যালেস্টাইন, সলিডারিটি ফ্রম বাংলাদেশ' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘অতীতেও বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, ফিলিস্তিনে হত্যা-নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা আওয়ামী লীগ বিরোধী দল হিসেবে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলাম। তাদের স্পিকার এবং সংসদের নেতা সেটি গ্রহণ করে নাই।’
আরও পড়ুন: সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে কেউ হটাতে পারবে না: কাদের
ফিলিস্তিনবাসীর সঙ্গে একাত্মতা ও প্রত্যয় ব্যক্ত করে হাছান মাহমুদ বলেন, অবশ্যই ফিলিস্তিনের জয় হবে এবং বাংলাদেশ, দেশের জনগণ, সরকার ও আমাদের দল ফিলিস্তিনের সঙ্গে আছে এবং থাকবে।
বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ রামাদান বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত পূর্ণ সমর্থন ও সহায়তার জন্য দেশের জনগণ ও সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন। গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'পশ্চিমা বিশ্বের অপপ্রচার রুখতে গাজা অঞ্চলকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে 'অধিকৃত গাজা' এবং ইসরাইলের সেনাবাহিনীকে 'আক্রমণকারী ইসরাইলি বাহিনী' লিখলে সত্য তুলে ধরা হবে।'
শান্তি পরিষদের মহাসচিব হাসান তারিক চৌধুরী এবং আমন্ত্রিত সুশীল চিন্তাবিদগণ সেমিনারে তাদের বক্তব্যে অবিলম্বে অধিকৃত গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধ করা এবং গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তুর্জাতিক বিচারালয়ের রায় কার্যকর করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি জোর দাবি জানান।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র এমপিরা সংসদে স্বতন্ত্র হিসেবেই ভূমিকা রাখবেন: কাদের
বিএনপি এখন বলে, তারেক জিয়াই সব শেষ করল: নীলফামারীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৯ মাস আগে