জামায়াত
নির্বাচন নিয়ে ড. ইউনূসের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখতে চায় জামায়াত
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জামায়াতে ইসলামী দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশ সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল এন চুলিক-এর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমাদের খোলামেলা কথা হয়েছে। তারা বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা জানতে চেয়েছেন। তারা আগামী নির্বাচন কখন হবে, কীভাবে হবে এটা জানতে চেয়েছেন। তারা আরও জানতে চেয়েছেন সবগুলো দল সংস্কার চাচ্ছে, সেই সংস্কার কেমন হতে পারে এবং আমরা কি চাচ্ছি?’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না: জামায়াত আমীর
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আগামীতে দেশের দায়িত্ব পাই তাহলে আমাদের ইকোনমিক পলিসি এবং ফরেন রিলেশনটা কেমন হবে? তারা আমাদের রিজিওনাল বা আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়গুলোও জানতে চেয়েছেন। আমরা এ সমস্ত বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছি।’
জামায়াত আমির বলেন, তারা মাইনরিটি ইস্যু (সংখ্যালঘু) নিয়ে কথা বলেছেন, তারা নারী অধিকার ও লেবার রাইটস নিয়েও কথা বলেছেন। আমরা তাদের এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।
দেশ জটিল পরিস্থিতিতে আছে ও গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিবাহিত করার সময় আমেরিকার ৩৭ শতাংশ শুল্কারোপ পুনর্বিবেচনা করার জন্য তাদের অনুরোধ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জানানোর অনুরোধ করেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের দলের ভেতরে গণতন্ত্র চর্চা করি এবং আমাদের দেশেও গণতন্ত্র চর্চা করতে চাই। এজন্য আমাদের যা করণীয় তা আমরা করব।
ডা. শফিকুর বলেন, জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযম নির্বাচনকে জীবন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কেয়ারটেকার সরকার ফর্মুলা প্রস্তাবনার মাধ্যমে। যেটা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দলীয় স্বার্থে এটাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছিল। এখন আবার গোটা জাতি এটা চাচ্ছে এবং আমরা আশাকরি এটা আবার সংবিধানে সন্নিবেশিত হবে।
আরও পড়ুন: রাজনীতিবিদদের কাঁদা ছোড়াছুড়ি জনগণ পছন্দ করে না: মিয়া গোলাম পরওয়ার
তিনি বলেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় প্রশ্নে আমরা বলেছি, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এ বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন দিবেন। আমরা আশা করি ইলেকশনটা এ সময়ের মধ্যেই হবে। তবে আগামী রমযানের আগে হলে ভালো হয়। জুনের দিকে নির্বাচন দিলে তখন বর্ষা, ঝড়-ঝাপটাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসতে পারে। তখন আবার নির্বাচনটা পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। আমরা এজন্য চাচ্ছি, ঐ আশঙ্কার আগেই যাতে নির্বাচনটা হয়ে যায়।
আওয়ামী লীগের বিচার প্রসঙ্গে জামায়াতপ্রধান বলেন, ‘জাতি ট্রমাটাইসড! এখনো হাসপাতালে অনেক আহত-পঙ্গুত্ববরণকারীরা পড়ে আছেন। এখনো শহীদদের মা-সন্তান-স্ত্রীরা কান্না করছেন। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগের বিচার অবশ্যই হতে হবে। তবে আমরা সঠিক বিচার ও শাস্তি চাই।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন ও জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান।
১ দিন আগে
আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না: জামায়াত আমীর
আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘জনগণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই গণহত্যার বিচারটাই দেখতে চায়। এর বাইরে অন্য কিছু ভাবার কোনো সুযোগ নেই।’
শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. শফিকুর রহমান লিখেছেন, ‘দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের পর ২৪-এর ৩৬ জুলাই আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একান্ত মেহেরবাণীতে উপহার হিসেবে পেয়েছি। এজন্য মহান রবের দরবারে অসংখ্য-অসংখ্য শুকরিয়া।’
‘এ সময় দেশেকে অস্থিতিশীল করার জন্য পতিত ফ্যাসিবাদীরা দেশের ভেতরে এবং বাইরে নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’
আরও পড়ুন: সৎ ব্যক্তি নেতৃত্বে এলে আ.লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না, প্রশ্ন রিজভীর
তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের নির্যাতিত ১৮ কোটি মানুষের দাবি, গণহত্যাকারীদের বিচার, ২৪-এর শহিদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন, আহত ও পঙ্গু অসংখ্য ছাত্র, তরুণ, যুবক ও মুক্তিকামী মানুষের সুচিকিৎসা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ১৫ বছরের সৃষ্ট জঞ্জালগুলোর মৌলিক সংস্কার সাধন করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা।’
এ সময় জনগণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই গণহত্যার বিচার দেখতে চায়। এর বাইরে অন্য কিছু ভাবার কোন সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে মিছিল
২৭ দিন আগে
ঐকমত্য কমিশনে মতামত জমা দিল জামায়াত, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনে জোর
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতিতে জোর দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে মতামত জমা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজের কাছে তাদের মতামত জমা দেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জামায়াতে ইসলামী জানিয়েছে, মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের কাছে সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছেন। সংবিধান, নির্বাচন, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ পাঁচটি বিষয়ের ওপর প্রস্তাব পেশ করেন তারা।
এ সময় সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছে। আমীরে জামায়াতসহ নেতৃবৃন্দ প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দ্রুত একটি অর্থবহ নির্বাচন দেওয়ার জন্য বারবার বলে আসছেন।
আরও পড়ুন: সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত হলে নাগরিকরা গর্বিত হতো: জামায়াত আমির
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়ের ব্যাপারে একটি ধারণা জাতির সামনে পেশ করা হয়েছে। আমরা তার সাথে দ্বিমত পোষণ করিনি।’
তিনি বলেন, আজকে আমরা পাঁচটি বিষয়ের ওপর আমাদের মতামত তুলে ধরেছি। কমিশনের প্রস্তাবের সাথে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা একমত হতে পারিনি; আবার অনেক বিষয়েই একমত হয়েছি। আমরা ব্যাখ্যাসহ আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছি।’
‘আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছি। আমরা আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যেই সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ শুরু করবেন,’ বলেন গোলাম পরওয়ার।
২৮ দিন আগে
আওয়ামী সরকারের জুলুমে গোলাম আযম মারা গেছেন: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেছেন, পতিত আওয়ামী সরকারের জুলুমের শিকার হয়ে গোলাম আযম সাহেব মারা গেছেন।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামের জেলা ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমানের উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের তৎকালীন জামায়াতের আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা করে শহরের এক গডফাদার নারায়ণগঞ্জের সড়কে ৭২ ফুট লম্বা ব্যানার টানিয়েছিলেন।’
‘ডিসি, এসপির উপস্থিতিতে গডফাদার শামীম ওসমান বলেছিলেন আমার বিরুদ্ধে খুনের অগ্রিম মামলা করে রাখেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পতিত আওয়ামী সরকারের জুলুমের শিকার হয়ে গোলাম আযম সাহেব মারা যান।’
তিনি বলেন, ‘গডফাদার আজ কোথায়? নারায়ণগঞ্জে নেই। এতো অহংকার, দাম্ভিকতা ভালো না। সন্ত্রাসকে কখনও প্রশ্রয় দিতে হয় না, না হলে দুনিয়াতেই তার করুণ পরিণতি ভোগ করতে হয়।’
নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমির মুহাম্মদ আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, ঢাকা অঞ্চল দক্ষিণের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইন প্রমুখ।
৬৯ দিন আগে
অনির্বাচিত সরকার কখনো নিরাপদ সরকার না: তাহের
নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য গুণগত পরিবর্তন আনা ও কতিপয় সংস্কারের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ তাহের। তারা বলেন, ‘ন্যায়সঙ্গত যতটুকু সময় প্রয়োজন এর মধ্যেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। অনিরাপদ সরকার কখনো নিরাপদ সরকার না।’
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে জুলাই বিপ্লবের শহীদ স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তাহের বলেন, ‘জনগণের সঠিক নির্বাচনের মাধ্যমে যে প্রতিনিধি আসবে, তারাই রাষ্ট্র পরিচালনা হকদার এবং সেই ব্যবস্থাই করতে হবে। অনির্বাচিত সরকার কখনও নিরাপদ সরকার না। এজন্য নানা অজুহাতে নির্বাচনকে বিলম্ব করার প্রচেষ্টা দেশবিরোধী।
এ সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সময়ক্ষেপণকে ৫ আগস্টের চেতনাবিরোধী তৎপরতা আখ্যায়িত করে বলেন, জাতি কখনোই এটা গ্রহণ করবে না।
কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, মো. আবদুস সাত্তারসহ অন্যরা।
৭১ দিন আগে
যোগ্য ব্যক্তি নির্বাচিত হলে চালের দাম ৩০ টাকায় নেমে আসবে: ডা. তাহের
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে কতিপয় সংস্কার জরুরি। সংস্কারবিহীন নির্বাচন যেমন অর্থবহ হবে না, তেমনি নির্বাচন না করে সংস্কারের জন্য সময়ক্ষেপণ এদেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। তাই প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী মডার্ন স্কুল অ্যান্ড মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পাগড়ি প্রদান উপলক্ষে তাফসিরুল কুরান মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
নায়েবে আমির বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট আধিপত্যবাদের পরাজয়ের মাধ্যমে দেশের মানুষ নতুন করে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়িয়েছে। স্বৈরাচারের পতনের মাধ্যমে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা অর্জন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টে শুধু স্বৈরাচার সরকারের পতন নয়, আধিপত্যবাদী, ইসলামবিদ্বেষী ভারতেরও পরাজয় হয়েছে। ভারতের প্রভুত্বের রাজনীতি বাংলাদেশের আর চলতে দেবে না জনগণ। বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাক—এই প্রতিবেশী দেশ কখনও তা চায় না। এদেশের স্বাধীনতাকে নষ্ট করতে তারা ষড়যন্ত্র করছে, সেটি প্রতিহত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: যারা দেশ বিক্রি করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশে থাকবে না: ডা. তাহের
ডা. তাহের বলেন, ‘দেশে লুটপাটের কারণেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। আগামী নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিরা নির্বাচিত হলে ৭০ টাকার চাল ৩০ টাকায় নেমে আসবে। লুটপাট, চাঁদাবাজদের জনগণ ভোট দেবে না। যারা বিদেশি সহযোগিতায় ক্ষমতায় যেতে চায়, তাদের এ দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করবে।’
মাহফিলে প্রধান মুফাসসির হিসেবে আলোচনা করেন মুফতি আমির হামজা। প্রধান বক্তা ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হালিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমির মোহাম্মদ শাহজাহান, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াত আমির মাহফুজুর রহমান, মাওলানা ইয়াহিয়া তাকী প্রমুখ।
৭৬ দিন আগে
ধর্ম নয়, যোগ্যতার ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হবে: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ধর্মের ভিত্তিতে নয়, দেশ পরিচালিত হবে যোগ্যতার ভিত্তিতে। যৌক্তিক সংস্কার শেষে এ দেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার দেশ পরিচালনা করবে।’
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে জয়পুরহাট সার্কিট হাউস মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন প্রসঙ্গে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘গত জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশকে তারা নরকে পরিণত করেছিল। ক্ষমতার শেষ দিন পর্যন্ত তারা মানুষ খুন করেছে। এসব গণহত্যার বিচার আমরা চাই। এদেশে প্রত্যেকটি গণহত্যার বিচার হতে হবে। আমরা সরকারকে বলি—অগ্রাধিকার-ভিত্তিতে গণহত্যার বিচার করুন, শহিদদের আত্মা শান্তি পাবে, আহতরা একটু শান্তি খুঁজে পাবে, ১৮ কোটি মজলুম মানুষ খুশি হবে।
আরও পড়ুন: ৭ খাতে সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না: জামায়াত সেক্রেটারি
তিনি বলেন, ‘তারা এক মাসের ভেতরে দেড় থেকে দুই হাজার মানুষ খুন করল। যেনতেনভাবে আমাদের ক্ষমতায় বসানোর জন্য তারা জীবন দেয় নাই। তারা জীবন দিয়েছে একটা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে। তারা একটা মানবিক বাংলাদেশ দেখতে চায়, একটা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায়। বাংলাদেশে আবার দুঃশাসন না যেন আসে—তা তারা দেখতে চায়। এ জন্য অবশ্যই একটা অর্থবহ নির্বাচনের দিকে যেতে হবে জাতিকে।’
সেই নির্বাচন করতে হলে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করতে হবে জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘সেজন্য জামায়াতে ইসলামী এই (অন্তর্বর্তী) সরকারকে ৫ তারিখেই বলে দিয়েছে—প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধনের জন্য আমরা যৌক্তিক সময় দিতে চাই, তাড়াহুড়ো করে আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না, আবার কেউ তাড়াহুড়ো করে ক্ষমতায় যাক তা-ও আমরা চাই না। আমরা চাই একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আল্লাহ তা’আলা যাদের সুযোগ দেবেন, জনগণ যাদের ভালবাসবে ও সমর্থন দেবে, তারা যেন বাংলাদেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায়।’
জয়পুরহাট জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. ফজলুর রহমান সাঈদের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সরকারি সেক্রেটারি জেনারেল ও বগুড়া অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা মো. রফিকুল ইসলাম খান এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে সুরার সদস্য অধ্যাপক মাওলানা আব্দুর রহিম ও অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ‘বৈষম্যহীন, দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ কায়েম না হওয়া পর্যন্ত জামায়াত থামবে না’
অন্যান্যের মধ্যে বগুড়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হক, সিরাজগঞ্জ জেলা আমির শাহিনুর আলম, দিনাজপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এনামুল হক,জয়পুরহাট জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি গোলাম কিবরিয়া মন্ডল, সহকারী সেক্রেটারি হাসিবুল আলম লিটন, অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ, প্রকৌশলী আব্দুল বাতেনসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
৭৭ দিন আগে
এক পরিবারের হাতে কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদ পয়দা হয়েছিল: জামায়াত সেক্রেটারি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, অর্থনৈতিক নীপিড়ন, রাজনৈতিক নির্যাতন এবং বিচার ব্যবস্থায় বৈষম্যের মাধ্যমে সব কিছুকে ধ্বংস করে এক ব্যক্তি, একদল, এক পরিবারের হাতে কর্তৃত্ববাদী শাসনের ফ্যাসিবাদ পয়দা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা ১৭ বছর ইতিহাসের একটি কালো যুগ পার করেছি। আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না। আমাদের ভোটাধিকার ছিলো না। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।’
গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টনের সমস্ত খুনের মাস্টার মাইন্ড শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা ফুটবল মাঠে তালা উপজেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ৭ খাতে সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না: জামায়াত সেক্রেটারি
গোলাম পরওয়ার বলেন, উনি(হাসিনা) আইন করে জামায়াত ও শিবিরকে নিষিদ্ধ করে দিলেন। আল্লাহ তায়ালা বেশি সময় দিলেন না। দাম্ভিক, অহংকারী প্রতিহিংসা পরায়ণ শাসকদের আল্লাহ হয়ত ছাড় দেন- কিন্তু একদম ছেড়ে দেন না।
তিনি বলেন, জামায়াত শিবিরের উপর হাত দেওয়ার ৭ দিনের মাথায় আল্লাহ তাকে নিষিদ্ধ করে দিলেন। কাপুরুষের মতো পালিয়ে যেখানকার মাল সেখানে ফিরে গেলেন। আর জামায়াত শিবিরকে মহান আল্লাহপাক মর্যাদায় উত্তীর্ণ করে দিলেন।
তালা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. মফিদুল্লাহর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির শহিদুল ইসলাম মুকুল প্রমুখ।
৮০ দিন আগে
৭ খাতে সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না: জামায়াত সেক্রেটারি
সংস্কার ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য পুলিশ, প্রশাসন, জুডিশিয়ালসহ ৬/৭টা ডিপার্টমেন্টের (খাত) সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না। নাহলে আবার ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ এর (নির্বাচনের) মতো হবে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দীর্ঘ ১৮ বছর পর অনুষ্ঠিত জামায়াতের এ কর্মী সম্মেলনে জেলার ৭ উপজেলা থেকে সকাল থেকেই দলে দলে নেতাকর্মীরা হাজির হয়।
সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমাদেরই লাভ। তাই আমরা বলি, বাংলাদেশের মানুষও চায়—একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন। আগে নির্বাচনের জন্য ন্যূনতম সংস্কার প্রয়োজন, তা শেষ করুন। সংস্কার শেষ করে ছয় মাস পরে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন, তাতে যতটুকু সময় লাগে।’
‘একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য গত ১৫ বছর আমরা যদি অপেক্ষা করতে পারি, তাহলে আরেকটা ভালো নির্বাচনের জন্য দুই-চার মাস আগে হলো বা পরে হলো—তা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। নির্বাচনটি নিরপেক্ষ হবে কি না, সেটাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ততটুকু সময় দিতে জামায়াতে ইসলামী রাজি আছে।’
তিনি বলেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচন দ্রুত সম্পন্ন করুন। যৌক্তিক সময় যতটুকু লাগবে জামায়াতে ইসলামী তা দেবে। তবে নির্বাচনের আগে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করতে হবে; জনগণ তা দেখতে চায়।’
এ সময় বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘কেউ কেউ অস্থির হয়ে গেছে; বলে—সংস্কারের কোনো দরকার নাই। সংস্কার হলো একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে হবে।’
‘এ কথার মধ্যে আমরা অন্য গন্ধ পাই। এটা আমি আর মামুর নির্বাচনের মতো, তোমরাও কেটেকুটে বাক্স ভরতে চাও। আমরা জামায়াত ইসলামী। আমাদের কাছে টাকাও নেই, মাস্তানও নেই। আমরা ব্যালট কাটতে পারব না, কেন্দ্রও দখল করতে পারব না।’
আরও পড়ুন: সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছেই, নতুন করে আমরা দেখতে পাচ্ছি জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধেও আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কেউ কেউ আবার আওয়ামী ভাষায় কথা বলছে। ফ্যাসিবাদের লোকেরা যে ভাষায় আমাদের সমালোচনা করত, নির্মূল করতে চাইত, ওনাদের মুখে এখন সেই ফ্যাসিবাদের গন্ধ পাওয়া যায়।’
‘আমরা বলি, খবরদার! এই পথ সর্বনাশা পথ। ফ্যাসিবাদী যুগের অবসান হয়েছে। এখন একটি জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে আসুন অনৈক্য, বিভেদ, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী, কোনো ভূমিকায় না গিয়ে আগস্টের মূল চেতনা ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যকে ধারণ করে আমরা একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে যাই।’
ভোলা জেলা জামায়াতের আমির মাস্টার জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসাইন হেলাল, বরিশাল মহানগরীর আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও চট্রগ্রাম জেলার আমির আবু জাফর মো. ওবায়দুল্লাহ, বরিশাল অঞ্চল টিমের সদস্য একেএম ফখরুদ্দিন খান রাজি, কেন্দ্রীয় গবেষণা সেলের সদস্য ও সাবেক জেলা আমির মাওলানা ফজলুল করিম, সাবেক জেলা আমির অধ্যক্ষ মো. মোস্তফা কামাল, ভোলা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা হারুন অর রশিদ, ভোলা সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা কামাল হোসাইন, চরফ্যাশন উপজেলার আমির অধ্যক্ষ মীর শরীফ, ভোলা পৌর সেক্রেটারী মাওলানা আতাউর রহমান প্রমুখ।
৮২ দিন আগে
‘বৈষম্যহীন, দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ কায়েম না হওয়া পর্যন্ত জামায়াত থামবে না’
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মজলুম দল মন্তব্য করে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘গত সাড়ে ১৫ বছর জামায়াতের নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, হাজারো নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে। হাট-ঘাট, মসজিদ-মাদরাসা, এমনকি মন্দিরেও লুটপাট চালিয়েছে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা। কিন্তু ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা চাটিবাটি গুটিয়ে পালিয়েছে। দুর্নীতিবাজ সবাই পালিয়েছে। তাই বৈষম্যহীন, মানবিক, দুর্নীতি দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ কায়েম না পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থামবে না।’
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের টাউন মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্র-জনতার অবদানকে স্মরণ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে এই জাতি দেশবিরোধী যেকোনো ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেবে ইনশাআল্লাহ। তরুণ-যুবসমাজ চাঁদাবাজমুক্ত, দখলবাজমুক্ত ও পেশীশক্তিমুক্ত নতুন দেশ চায়। আমরাও সাম্যের বাংলাদেশ চাই। এই প্রজন্ম বুকের রক্ত দিয়ে নতুন স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। প্রয়োজনে আমরাও রক্ত দিয়ে হলেও এই স্বাধীনতা ধরে রাখব ইনশাআল্লাহ।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমরা কারও টাকার কাছে নিজেদের ভোট বিক্রি করব না। ষড়যন্ত্র চলছে, নির্বাচনকেন্দ্রিক সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। আগামী নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ। কালো টাকা ও পেশীশক্তির কাছে আমরা মাথা নত করব না। যারা কালো টাকা দিয়ে ভোটের মাঠে আসবে, তাদের ‘না’ বলে দিতে হবে।”
আরও পড়ুন: এদেশে আর কোনো মাইনরিটি-মেজরিটি শুনতে চাই না: জামায়াত আমীর
এ সময় আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘বিগত সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা ২৬ লাখ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করেছে। এসব টাকা জাল ফেলে তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের করে দেশে ফেরত আনতে হবে। আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের খুঁজে খুঁজে এনে ওই কাশিমপুর জেলে পাঠাতে হবে। তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াত আমির অ্যাডভোকেট রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসেন, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য খন্দকার আলী মোহসিন, যশোর জেলা শাখার আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল, ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের আমির আলী আজম, কুষ্টিয়া জেলা আমির মাওলানা অধ্যাপক আবুল হাশেম, মেহেরপুর জেলা আমির মাওলানা তাজ উদ্দীন খান, চুয়াডাঙ্গা জেল জামায়াতের সাবেক আমির আনোয়ারুল হক মালিক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক আসলাম অর্ক, জেলা জামায়াতের জয়েন্ট সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল প্রমুখ।
সম্মেলনে চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সব কর্মপরিষদের সদস্য, জেলার ৫টি থানার অধীনে সাংগঠনিক ৮ জন জামায়াতের থানা আমির ও স্থানীয় জামায়াত নেতারাসহ অসংখ্য কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
৯০ দিন আগে