জামায়াত
বিএনপি-জামায়াত এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি এবং জামায়াত এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। যারা এভাবে নিজেদের স্বার্থে গণহত্যার বিরুদ্ধে নিশ্চুপ থাকে তাদের হাতে কখনো দেশের স্বার্থরক্ষা সম্ভব নয়।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ আয়োজিত 'স্টপ জেনোসাইড ইন প্যালেস্টাইন, সলিডারিটি ফ্রম বাংলাদেশ' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘অতীতেও বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, ফিলিস্তিনে হত্যা-নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা আওয়ামী লীগ বিরোধী দল হিসেবে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলাম। তাদের স্পিকার এবং সংসদের নেতা সেটি গ্রহণ করে নাই।’
আরও পড়ুন: সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে কেউ হটাতে পারবে না: কাদের
ফিলিস্তিনবাসীর সঙ্গে একাত্মতা ও প্রত্যয় ব্যক্ত করে হাছান মাহমুদ বলেন, অবশ্যই ফিলিস্তিনের জয় হবে এবং বাংলাদেশ, দেশের জনগণ, সরকার ও আমাদের দল ফিলিস্তিনের সঙ্গে আছে এবং থাকবে।
বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ রামাদান বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত পূর্ণ সমর্থন ও সহায়তার জন্য দেশের জনগণ ও সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন। গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'পশ্চিমা বিশ্বের অপপ্রচার রুখতে গাজা অঞ্চলকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে 'অধিকৃত গাজা' এবং ইসরাইলের সেনাবাহিনীকে 'আক্রমণকারী ইসরাইলি বাহিনী' লিখলে সত্য তুলে ধরা হবে।'
শান্তি পরিষদের মহাসচিব হাসান তারিক চৌধুরী এবং আমন্ত্রিত সুশীল চিন্তাবিদগণ সেমিনারে তাদের বক্তব্যে অবিলম্বে অধিকৃত গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধ করা এবং গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তুর্জাতিক বিচারালয়ের রায় কার্যকর করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি জোর দাবি জানান।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র এমপিরা সংসদে স্বতন্ত্র হিসেবেই ভূমিকা রাখবেন: কাদের
বিএনপি এখন বলে, তারেক জিয়াই সব শেষ করল: নীলফামারীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত বিশ্বে টাকা বিলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে: আইনমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন ভণ্ডুল করতে সারা বিশ্বে টাকা বিলিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, যে বাংলাদেশকে মিসকিন আর তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো, সে বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে নিয়ে গেছেন। এরই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই ৭ জানুয়ারি ভোটের প্রয়োজন। কিন্তু যখনই ভোট হয় তখনই বিএনপি-জামায়াত ভোট থেকে সরে যায়। কারণ তারা দেশের মানুষের উন্নয়ন ও সুখ শান্তি চায় না। এখন তারা নির্বাচন ভণ্ডুল করার জন্য সারা বিশ্বে টাকা বিলিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পশ্চিম ইউনিয়নের আকছিনা বাজার মাঠে নির্বাচনী গণসংযোগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল বা কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। দেশের মানুষ ভোট দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ প্রতিনিধি বেছে নেবে। যদি বাংলাদেশের ভূখণ্ডে কেউ অপরাধ করে, দেশের আইনে অবশ্যই তার বিচার হবে।
পরে তিনি ভোটারদের আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতীককে জয়ী করার আহ্বান জানান।
কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র এমজি হাক্কানিসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের আমলে হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না: আইনমন্ত্রী
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক: জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলকে আইনমন্ত্রী
অপরাধ করায় বিএনপি নেতারা গ্রেপ্তার: আইনমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াতের আমলে হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না: আইনমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াতের আমলে হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, হত্যা করলে কোনো বিচার হবে না- দেশে এমন একটি সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত। ওই সময় তারা হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না।
আরও পড়ুন: সরকার নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে না, রুটিন কাজ করবে: আইনমন্ত্রী
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় তার নিজের নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের কসবার বাদৈর ঈদগাহ মাঠে এক সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, আমরা ভয় পেতাম, আমি-আপনি হত্যার শিকার হলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা বিচার পাবে না। আমাদের পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। তার বিচার আমরা পাইনি।
তিনি বলেন, বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিৎ। কারণ তিনি সরকারে এসে প্রথম যে কাজটি করেছেন, এই বিচারগুলো তিনি শেষ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি তার মা-বাবা, ভাই বা পরিজনের হত্যা বিচার পেয়েছেন তা শুধু নয়, সারা বাংলাদেশের মানুষকে আশস্ত করেছেন তাদের প্রতি অন্যায় হলেও বিচার পাবেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের মুক্তি নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য ব্যক্তিগত: আইনমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিকের প্রতি অন্যায় হলে সেই বিচার হয়।
আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হোক বিএনপি ও জামায়াত ইসলাম তা চায় না। তারা বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে চায়। নির্বাচনে জনগণের আগ্রহ দেখে বিএনপি ভীত হয়ে সন্ত্রাস করছে। সন্ত্রাস করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: টাইপিংয়ে ভুলের জন্য সংসদে পাস হওয়া শ্রম আইন ফেরত দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি: আইনমন্ত্রী
সিলেটে বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১২ দিনে ১৭ মামলা, গ্রেপ্তার ৫০
বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সিলেটে গত ১২ দিনে ১৭টি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসব মামলায় ৩৮৬ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া অজ্ঞতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৬৬০ থেকে ৮১২ জনকে। এসব আমলায় এ পর্যন্ত ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভাড়া বাসা থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ এসব তথ্য জানিয়েছেন, ২৮ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত নাশকতা ও সহিংসতার অভিযোগে এসব মামলা করা হয়। এই সময়ে সহিংসতায় ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আজবাহার আলী শেখ আরও জানান, এই সময়ে হরতাল ও অবরোধ চলাকালে সিলেট মহানগর এলাকায় তিনটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও সাতটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার হওয়া এজাহারভূক্ত আসামি ২১ জন ও অজ্ঞতানামা আসামি ২৯ জন।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পরদিন দলটি সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। এরপর এক দিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়।
এরপর শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে ৫ ও ৬ নভেম্বর অবরোধ পালন করে বিএনপি। এরপর এক দিনের বিরতি দিয়ে ৮ ও ৯ নভেম্বর অবরোধ দেওয়া হয়।
এরপর শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে আগামী রবিবার ও সোমবার আবার অবরোধের ডাক দিয়েছে দলটি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভাড়া নিয়ে তর্কের জেরে চালকের হাতে যাত্রী খুনের অভিযোগ
সিলেটে পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় মিলল গৃহকর্মীর লাশ
জামায়াতের অর্থের ‘জোগানদাতা’ ডা. ফাতেমাকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার
রাজশাহীর স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ফাতেমা সিদ্দিকাকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (৪ নভেম্বর) সকালে নগরীর শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: যশোরে ১৬৫ রাউন্ড গুলি-অস্ত্র-মাদক জব্দ, গ্রেপ্তার ২
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজশাহীর নগরীর বড়বনগ্রাম এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জামাত-শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার কথা এবং তাদের অর্থের যোগান দেওয়ার বিষয়ে তথ্য পায় পুলিশ।
ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের একটি দল ফাতেমা সিদ্দিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। ডা. ফাতেমা সিদ্দিকা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। জিজ্ঞাসাবাদের তার সম্পৃক্ত পাওয়া যায়।
ওসি আরও বলেন, চলতি বছরের মে মাসে শাহমখদুম থানায় করা বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়া জামাত-শিবির সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও তাদের অর্থের যোগান দেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
এর আগে শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) বিশেষ শাখা (ডিবি) ও শাহ মখদুম থানার একদল পুলিশ বাড়ির ভেতরে ঢোকে।
এরপর সন্ধ্যায় ফাতেমা সিদ্দিকাকে পুলিশের গাড়িতে করে থানায় নেওয়া হয়। এ সময় অভিযানের অংশ নেওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।
রাজশাহী মহানগর জামায়াতের শূরা সদস্য মাজেদুর রহমান বলেন, এইমাত্র খবর পেলাম ডাক্তার ফাতেমা সিদ্দিকাকে পুলিশ নিয়ে গেছে। কেন নিয়ে গেছে সেটা বলতে পারব না। তিনি আমাদের একজন সুধী। অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সহযোগিতা করেন।
আরও পড়ুন: আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক বিএনপির
ডাচ বাংলার বুথ থেকে ২৬ লাখ টাকা চুরি, গ্রেপ্তার ১
৩ দিনের অবরোধ: সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে চলছে দ্বিতীয় দিন
বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর দেশব্যাপী ৩ দিনের অবরোধের ২য় দিন (বুধবার) ইতোমধ্যে সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে চলছে।
ঢাকার মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় সকাল ৮টার দিকে দুর্বৃত্তরা একটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিল নিয়ে একদল পিকেটারকে মালিবাগের দিকে অগ্রসর হতে দেখা যায়। আবুল হোটেলের কাছে পৌঁছালে তারা একটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেন।
পুলিশের একটি টহল দল পিকেটারদের ধাওয়া করে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। ধাওয়া করা হলে পিকেটাররা ঘটনাস্থল থেকে একটি গলি দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
আরও পড়ুন: বিএনপির অবরোধের প্রথম দিন: চট্টগ্রাম থেকে দূরপাল্লার বাস বন্ধ, আটক ১৪
নাশকতা এড়াতে রাজধানীর মালিবাগ, মৌচাক, শান্তিনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেখা গেছে।
আজ সকাল থেকেই ঢাকার রাস্তায় বাস, সিএনজিচালিত ৩ চাকার গাড়ি ও প্রাইভেট গাড়ি দেখা গেছে।
সাভারের বালিয়ারপুর তুরাগ এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০-২৫ জনের একদল যুবক লাঠিসোঁটা নিয়ে অবরোধের সমর্থনে মিছিল বের করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির অবরোধ পাগলামি ছাড়া আর কিছুই না: সাঈদ খোকন
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, এক পর্যায়ে তারা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেন।
ওসি বলেন, পুলিশ তাদের ধরার চেষ্টা করছে।
বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর দেশব্যাপী ৩ দিনের সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের প্রথম দিনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, যানবাহন পোড়ানোসহ সহিংসতায় কিশোরগঞ্জে ২ জন ও সিলেটে ১ জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া অবরোধ শেষ হবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায়।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী বিরোধী দলগুলোর ৩ দিনের অবরোধ চলছে
বিএনপির অবরোধ পাগলামি ছাড়া আর কিছুই না: সাঈদ খোকন
বিএনপির ডাকা অবরোধ পাগলামি ছাড়া আর কিছুই না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ১৭ কোটি মানুষকে অবরোধ করে রাখা। এটা পাগলামি ছাড়া আর কিছুই না। এটা সম্পূর্ণভাবে বিকৃত মস্তিষ্কের কাজ, সম্পূর্ণভাবে একটা উন্মাদনা।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় পুরান ঢাকার নর্থ-সাউথ রোডে এক প্রতিবাদ সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মেয়র তাপসকে নিয়ে বক্তব্য: সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে ২ মামলা
সাঈদ খোকন বলেন, বিএনপি-জামায়াতের এই দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি থেকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে থাকার জন্য। আমরা রাজপথে আছি এবং রাজপথেই থাকব।
তিনি বলেন, বিএনপির অবরোধ করার এই হটকারিতামূলক সিদ্ধান্ত জনগণ সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করেছে। আমরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রাজপথে আছি, জনগণের সঙ্গে আছি, জনগনের পাশে আছি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন পাশে আছে।
এ ছাড়া জনগণের সাহায্য-সহযোগিতার জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিটা নেতা-কর্মী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রাজপথে অবস্থান করছে ও করবে।
তিনি বলেন, অবৈধ অবরোধের প্রতিবাদে পুরান ঢাকায় আজকে আমরা প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করেছি। আমরা অতীতে যেভাবে শেখা হাসিনার পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতে যে কোনো সংকট-সম্ভাবনায় পুরান ঢাকার মানুষ শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকবে, ইনশাআল্লাহ।
সাঈদ খোকন বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সুফল বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ভোগ করছে। আমাদের কিছু সমস্যা থাকতে পারে, এই সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা সুস্থ ধারার রাজনীতি দেখতে চাই। আমরা মানুষের পক্ষে রাজনীতি দেখতে চাই, যে রাজনীতি বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। আমরা মানুষের উন্নয়ন-অগ্রগতির রাজনীতি দেখতে চাই।
ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র বলেন, বিএনপি বলে ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’- এর অর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটাকে টেনে-হেঁছড়ে পিছে নাও। এটা কোন সুস্থ বক্তব্য হতে পারে না। এটা কোনো সুস্থ ধারার রাজনীতি হতে পারে না। সুতরাং যারা অসুস্থ মন-মানসিকতা পোষণ করে, যারা অসুস্থ রাজনীতির চর্চার মধ্যদিয়ে দেশের মানুষকে, অগ্রযাত্রাকে পিছিয়ে দিতে চায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ঢাকাবাসী রাজপথে নেমেছে। আমরা রাজপথে থাকব, আমরা রাজপথে প্রতিবাদ করব, বিএনপি-জামায়াতের এই অসুস্থ কর্মসূচির মোকাবিলা করব। আমরা শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলাম, তার নেতৃত্বে সোনার বাংলা বিনির্মানে এগিয়ে যাব।
আরও পড়ুন: সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে ২ মামলার একটি খারিজ, অন্যটি প্রত্যাহার
তাপস মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন: সাঈদ খোকন
দেশব্যাপী বিরোধী দলগুলোর ৩ দিনের অবরোধ চলছে
আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজনের জন্য চাপ দিতে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ৩ দিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ চলছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও একই দাবিতে আজ (মঙ্গলবার) সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত একযোগে অবরোধ পালন করছে।
বিএনপি-জামায়াত ছাড়াও ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, লেবার পার্টি ও এনডিএম পৃথকভাবে এই কর্মসূচি পালন করছে।
এদিকে অবরোধচলাকালে যেকোনো সহিংসতা প্রতিহত করার অঙ্গীকার করেছে আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের অবরোধে যানবাহন চালানোর সিদ্ধান্ত মালিক সমিতির
পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতোমধ্যে সারা দেশে নজরদারি বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা জোরদারের জন্য তাদের ইউনিটগুলোকে সতর্ক করেছে।
ঢাকার প্রবেশপথ ও প্রধান সব পয়েন্টে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে এবং চেকপোস্ট বসিয়েছে।
দিনব্যাপী হরতাল পালনের পর রবিবার সন্ধ্যায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী টানা ৩দিন সারা দেশে অবরোধের ঘোষণা দেন।
তবে সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন তিন দিনের অবরোধের আওতাবহির্ভূত থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিরোধীদের ৩ দিনের অবরোধ শুরু মঙ্গলবার থেকে
মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী ৩ দিনের অবরোধ বিএনপির
বগুড়ায় জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
বগুড়ার শাজাহানপুরে নাশকতার মামলায় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে শাজাহানপুরের সুজাবাদ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: সমাবেশের ৩ দিন আগেই বিএনপির ১২শ’ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার : রিজভী
গ্রেপ্তার ৩ নেতা-কর্মী হলেন- জামায়াত কর্মী নজরুল ইসলাম, ছাত্রশিবিরের নেতা সাইদুল ইসলাম ও আহসান হাবিব। তারা সবাই উপজেলার সুজাবাদ দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেছেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে গত ২০২২ সালের ৩১ জুলাই দায়ের করা নাশকতার মামলা হয়। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ডিজিএফআই কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ২ আরসা কমান্ডার গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ১: র্যাব
বিএনপি-জামায়াত জোট কেরাণীগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদ বানিয়েছিল: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট কেরাণীগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদ বানিয়েছিল। বিএনপির সময় কেরাণীগঞ্জে তারা সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের আইন্তা মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, কেরাণীগঞ্জ এক সময় সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিত ছিল। ঢাকার খুব কাছে হওয়ার পরেও কেরাণীগঞ্জে বিএনপি-জামায়াত জোট বা সামরিক স্বৈরাচার সরকারগুলো কোনো উন্নয়ন করেনি। একারণে কেরাণীগঞ্জকে বলা হতো বাতির নিচে অন্ধকার।
তিনি বলেন, বিগত সরকারগুলো সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিল। সাধারণ মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা ছিল না। ব্যবসা-বাণিজ্য হয়ে পড়েছিল স্থবির।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়নে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও অর্থায়ন প্রয়োজন: নসরুল হামিদ
তিনি আরও বলেন, আমানউল্লাহ আমানের সময় এ এলাকায় মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা ছিল সাধারণ ব্যাপার। আমাদের নেতা-কর্মীদের উপর প্রায় সাড়ে চারশ’র বেশি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা ছিল। সেখানে হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা ছিল সেই মামলার আসামি।
নসরুল হামিদ অভিযোগ করে বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বা স্বৈরাচারী সরকারগুলোর সময়ে দেশের জনসংস্কৃতি, কৃষ্টি ও খেলাধুলা হারিয়ে যেতে বসেছিল। মাদক ও জঙ্গিবাদের মতো ভয়াল সংস্কৃতি দেশে শেকড় গেড়ে বসেছিল। আমরা সেগুলো থেকে উত্তোরণ পেতে কাজ করেছি। আমরা মাদকমুক্ত সুস্থ সুন্দর প্রজন্ম গড়ে তুলতে সাংস্কৃতির চর্চা ও খেলাধুলার উপর জোর দিয়েছি।
কোন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর ইকবাল বাপ্পির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমরোজ সোহাগের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন কেরাণীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম.ই মামুন, কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদুর রহমান চৌধুরী ফারুকসহ জেলা ও স্থানীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক সৌর জোটকে কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান নসরুলের
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলপিজি ব্যবহারের জন্য সময়োপযোগী নীতি প্রয়োজন: নসরুল