এলএনজি
ভোজ্য তেল, এলএনজি, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনবে সরকার
স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে মসুর ডাল, খোলা সয়াবিন তেল, পাম অয়েল, এলএনজি, সার এবং ক্রুড ও পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম তেল কিনবে সরকার।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যপুস্তক ছাপার অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্ট বলেন, ‘আমরা তাড়াতাড়ি প্রসেস করে, যৌক্তিক যে জিনিসগুলো ক্রয় করা প্রয়োজন সেগুলো অনুমোদন দিয়ে থাকি। আজকে আমরা বিভিন্ন ধরনের সার কেনার অনুমোদন দিয়েছি। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আজকের বৈঠকে নবম, দশম শ্রেণির পাঠ্যবই মুদ্রণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পাঠ্যবই আমরা শিগগিরই চাচ্ছি। জানুয়ারির মধ্যে আমরা পাঠ্যবই করে ফেলতে বলেছি। চেষ্টা করবে, তবে জানুয়ারির মধ্যে হয়তো সবগুলো করে ফেলতে পারবে না।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, খোলাবাজারে বিক্রয় কর্মসূচির জন্য ১০ হাজার টন মসুর ডাল, ৩৮ লাখ ১০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল ও ১ লাখ ১০ হাজার লিটার পাম অয়েল কিনবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
রাজশাহীর নাবিল নবা ফুডস লিমিটেড থেকে টিসিবির জন্য ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হবে। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ধরা হয়েছে ৯৫ টাকা ৯৭ পয়সা। এতে মোট ব্যয় হবে ৯৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে: ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর
এছাড়া, স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে সয়াবিন তেল কেনা হবে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ধরা হয়েছে ১৪০ টাকা। ৩৮ লাখ ১০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল কিনতে মোট ব্যয় হবে ৫৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
টিসিবির জন্য পাম অয়েলও কেনা হবে এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকেই। ১ কোটি ১০ লাখ লিটার খোলা পাম অয়েলের প্রতি লিটার ১৩০ টাকা দরে মোট ব্যয় হবে ১৪৩ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করবে বাংলাদেশ অয়েল গ্যাস অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম করপোরেশন- পেট্রোবাংলা।
৭০৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রতিটি এমএমবিটিইউ ১৫.০২ ডলারে এলএনজি সরবরাহ করবে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড।
এ ছাড়াও, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি (এডিএনওসি) থেকে ৫ হাজার ২০৮ কোটি ৩৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬ লাখ টন মুরবান ক্রুড পেট্রোলিয়াম (এএলসি) আমদানি করবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।
বৈঠকে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে। ইউনিপেক সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড, ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, সিঙ্গাপুর অ্যান্ড কোং ওকিউ ট্রেডিং লিমিটেড, দুবাই’ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করা পরোশোধিত পেট্রোলিয়ামের খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭০ কোটি ১৬৪ লাখ টাকা। তবে প্রস্তাবে পেট্রোলিয়ামের পরিমাণের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
সৌদি আরবের এসএবিআইসি এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ২২৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করবে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।
আরও পড়ুন: চাহিদা বাড়ায় ঈদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ১০৪ কোটি ৩১ লাখ টাকায় জেএসসি ফরিন ইকোনমিক করপোরেশন ‘প্রোডিন্টর্গ’ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার, মরক্কোর ওসিপি থেকে ২৮০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার এবং মরোক্কা থেকে ২৫২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা মূল্যে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানি করবে।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের জন্য পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও সরবরাহের জন্য বিভিন্ন সরবরাহকারীকে চুক্তি প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
১ সপ্তাহ আগে
২৬টি কূপ খননে সরকারের উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বানে বিলম্ব
দেশে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে বিভিন্ন উপকূলীয় গ্যাসক্ষেত্র জুড়ে ২৬টি কূপ খননের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বানের উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। এই উদ্যোগ আরও এক মাস বিলম্বিত হবে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।
মূলত দরপত্র সংক্রান্ত নথিপত্র তৈরি নিয়েই এই বিলম্ব সৃষ্টি হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ খনিজ, তেল ও গ্যাস করপোরেশনের অধীনে তিনটি গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনকারী কোম্পানি (সাধারণত পেট্রোবাংলা নামে পরিচিত) সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল), বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে দরপত্র আহ্বান করার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: তিতাস স্মার্ট প্রিপেইড মিটার প্রকল্পে অগ্রগতি সামান্য
কিন্তু সংবাদপত্র ও সংশ্লিষ্ট সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশের জন্য দরপত্রের নথিপত্র চূড়ান্ত না হওয়ায় কোম্পানিগুলো দরপত্র আহ্বান করতে পারেনি।
এর আগে গত ৩ অক্টোবর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে এক সংবাদ সম্মেলনে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার ঘোষণা দেন, প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সবুজ সংকেত পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে আশা করছেন তারা।
একই সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে সরকার শিগগিরই বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্রে ২৬টি কূপ খননের জন্য একটি উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করবে বলে আশ্বাস দেন।
সরকার জি-টু-জি ভিত্তিতে চুক্তি বা বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে অযাচিত চুক্তি করা থেকে বিরত থাকবে বলেও জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, এই উদ্যোগের লক্ষ্য বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে আমদানি করা ব্যয়বহুল এলএনজির ওপর নির্ভরতা কমানো।
দরপত্র আহ্বানে বিলম্বের বিষয়ে ফাওজুল কবির ইউএনবিকে বলেন, দরপত্র তৈরিতে তার মন্ত্রণালয় একজন দরপত্র ক্রয় বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিচ্ছে এজন্য কিছুটা বেশি সময় লাগছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাতের বকেয়া পরিশোধে ৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড দেবে সরকার
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ঐতিহাসিকভাবে দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০ এর আওতায় একই ধরনের চুক্তির দলিল তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এবার উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করতে হলে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) ২০০৮ মেনে চলতে হবে তাই বিলম্ব হচ্ছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড এক সপ্তাহের মধ্যে দরপত্র জারি করতে পারে। অন্যদিকে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের পুরো মাস লাগতে পারে।
গত ৩ অক্টোবরের সংবাদ সম্মেলনে জ্বালানি উপদেষ্টা ২০২৫ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে ১০০টি কূপ খননের সরকারি পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন।
এর মধ্যে ৬৯টি অনুসন্ধান ও উন্নয়ন কূপ এবং বাকি ৩১টি কূপ হবে ওয়ার্ক-ওভার ওয়েল।
বাপেক্স ৬৯টি অনুসন্ধান কূপের মধ্যে ৪৩টি এবং বাকি ২৬টি কূপ উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদারদের মাধ্যমে খনন করবে।
বাপেক্স নিজস্ব রিগ ব্যবহার করে বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্র জুড়ে ৩৩টি কূপ খনন করবে এবং ভাড়া করা রিগ ব্যবহার করে আরও ১০টি কূপ খনন করা হবে।
উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য বাপেক্সের সক্ষমতাকে পুরোপুরি কাজে লাগানো।’
আরও পড়ুন: ঝুলে আছে ১০টি গ্রিড সংযুক্ত সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে বিপিডিবির দরপত্র আহ্বান
২ মাস আগে
এলএনজি-সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিশন
এলএনজি ও সার আমদানিসহ মোট ৭টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি (এসিসিজিপি)।
সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, সার ও গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এসব প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা আশা করছি চলতি মৌসুমে সারের সরবরাহে কোনো ঘাটতি হবে না। এছাড়া সরকার এলএনজি আমদানির মাধ্যমে গ্যাসের ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করছে।’
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাব অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটে সিঙ্গাপুরভিত্তিক গানভর সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড থেকে দুই কার্গো এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: সামিটের এলএনজি টার্মিনালের মেরামত সম্পন্ন, পরিষেবা পেতে লাগবে ২০ দিন
এর মধ্যে প্রথম কার্গোতে ৩৩লাখ ৬৬ হাজার মেট্রিক টন এমএমবিটিইউ রয়েছে। এর দাম পড়বে ৬৪০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউয়ের দর ১৩ দশমিক ৫৭ ডলার। সম পরিমাণের দ্বিতীয় কার্গোর দাম পড়বে ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউয়ের দাম পড়ছে ১৩ দশমিক ৭৭ ডলার।
পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস, ২০০৮ এর অধীনে কোটেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরবরাহকারী নির্বাচন করে পেট্রোবাংলা।
সার আমদানির জন্য বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) পক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩০,০০০ মেট্রিক টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া আমদানি করবে বিসিআইসি। এর খরচ হবে ১২৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা এবং প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৩৪৬.৩৩ ডলার। একইসঙ্গে, ৩০,০০০ মেট্রিক টন ব্যাগ গ্রানুলার ইউরিয়া কার্নফুলি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ১২০ কোটি ৭৮ লাখ টাকায় আমদানি করা হবে; যেখানে প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৩৩৫.৫০ ডলার।
নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহে ২টি বাফার গোডাউন নির্মাণের দরপত্র বাতিলের জন্য বিসিআইসির আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিটি।
সার আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এর মধ্যে একটি হলো- বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন মরক্কোর ওসিপি এসএ থেকে ১৪৯ কোটি ৪০ লাখ টাকায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানি করবে।প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৪১৫ ডলার।
এছাড়া সৌদি আরবের মা'দেন থেকে প্রতি মেট্রিক টন ৫৮১ মার্কিন ডলার দরে ২৭৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করবে বিএডিসি।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটে তালিকাভুক্ত ২৩ কোম্পানি থেকে উন্মুক্ত দরপত্রে এলএনজি কিনবে সরকার
সেপ্টেম্বরের আগে সামিটের এলএনজি টার্মিনালের কার্যক্রম শুরুর সম্ভাবনা নেই
২ মাস আগে
আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটে তালিকাভুক্ত ২৩ কোম্পানি থেকে উন্মুক্ত দরপত্রে এলএনজি কিনবে সরকার
আলোচনার পরিবর্তে এখন উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তীকালীন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সরকার উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এলএনজি সংগ্রহ করবে।
আরও পড়ুন: গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে ৩ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ বিভাগ আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটে তালিকাভুক্ত ২৩টি কোম্পানির কাছ থেকে এলএনজি আমদানির অনুমোদন চেয়ে এ প্রস্তাব দেয়।
উপদেষ্টা বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারে এ ধরনের ২৩ কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করে মাস্টার সেলস অ্যান্ড পারচেজ চুক্তি করলেও সেগুলো অপরিবর্তিত থাকবে।
তিনি বলেন, দ্রুত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ (বিশেষ) আইন ২০১০ প্রয়োগের পরিবর্তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৮ অনুসরণ করবে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'সরবরাহকারীদের মধ্যে যথাযথ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করে আমরা দ্রুত এলএনজি আমদানি করতে চেয়েছিলাম বলে আমরা এগুলো পরিবর্তন করতে চাই না।’
কমিটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য জিটুজি ভিত্তিতে ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি সইয়ের জন্য নীতিগতভাবে আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
এদিকে অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে মসুর ডাল ও সার আমদানিতে ৩টি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) স্থানীয় প্রতিষ্ঠান সাহারা এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে ৯৮ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কিনবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বৈঠকে টিসিবির পক্ষ থেকে উত্থাপিত প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে।
সিসিজিপি শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, যার আওতায় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন ১২১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে স্টেট টু স্টেট চুক্তিতে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক দানাদার ইউরিয়া সার আমদানি করবে।
প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৪৩ দশমিক ১৭ ডলার।
স্থানীয় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ১১৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগ দানাদার ইউরিয়া সার সংগ্রহ করা হবে। এর প্রতি মেট্রিক টন ৩৩০ দশমিক ৫০ ডলার ব্যয়ে সরবরাহ করা হবে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরের আগে সামিটের এলএনজি টার্মিনালের কার্যক্রম শুরুর সম্ভাবনা নেই
এলএনজি কার্গো ও মসুর ডাল আমদানির অনুমোদন মন্ত্রিসভা ক্রয় কমিটির
৩ মাস আগে
সামিটের এলএনজি টার্মিনালে গ্যাস সরবরাহে লাগতে পারে আরও ১০ দিন: নসরুল হামিদ
জাতীয় গ্যাস গ্রিডে আমদানি করা এলএনজি সরবরাহের জন্য সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনালের কার্যক্রম ফের শুরু করতে আরও ১০ দিন সময় লাগবে।
বুধবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে চুক্তি সই অনুষ্ঠানের ফাঁকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সামিটের এফএসআরইউতে গ্যাস সরবরাহ শুরু করতে আরও ১০ দিন সময় লাগতে পারে।
মঙ্গলবার সামিট গ্রুপের ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী কাজ শুরু করতে ব্যর্থ হওয়ার পর প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সরবরাহ ৩-৪ দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হবে ও গ্যাস সরবরাহ জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে: নসরুল হামিদ
কর্মকর্তারা জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর গত ২৭ মে থেকে ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ ক্ষমতাসম্পন্ন এলএনজি টার্মিনালটির কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরে এটিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয় এবং মেরামত কাজ শেষ করে মহেশখালীতে অপারেশন সাইট এলাকায় ফিরিয়ে আনা হয়।
কিন্তু কার্যক্রম শুরুর আগে আবার যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয় এটি। এরপর দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে তারা পুনলায় গ্যাস সরবরাহ চালুর জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
সামিটের এলএনজি টার্মিনাল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সামগ্রিকভাবে ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়া। এতে বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে গ্যাস সরবরাহে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে।
সারা দেশে দুটি এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে। একটি হলো ৬০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন এক্সিলারেট এনার্জি এবং অপরটি সামিট গ্রুপের মালিকানাধীন ৫০০ এমএমসিএফডি টার্মিনাল।
কর্মকর্তারা জানান, সামিট এলএনজি টার্মিনালের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দেশে চলমান গ্যাস সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে।
বুধবার প্রায় ৪ হাজার এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে ২ হাজার ৬৩৭ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কারিগরি ও অন্যান্য কারণে মাঝেমধ্যে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল আসতে পারে: নসরুল হামিদ
গ্যাস বিতরণে সিস্টেম লস ২২ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে: নসরুল হামিদ
৪ মাস আগে
গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে ৩ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার
গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ৩টি কার্গো আমদানি করবে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলার ৩টি পৃথক প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ 'দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ আইন, ২০১০' বৃদ্ধি করে কমিশনের অধীনস্থ সংস্থার পক্ষে প্রস্তাবগুলো উত্থাপন করে।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশে তেল ও এলএনজি আমদানিতে অর্থায়ন করবে আইটিএফসি’
প্রস্তাব অনুযায়ী, সুইজারল্যান্ডভিত্তিক টোটাল এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড প্রতিটি ইউনিট ৯ দশমিক ৮৯ ডলারে ৪২৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকায় ১টি এলএনজি কার্গো সরবরাহ করবে এবং সিঙ্গাপুরভিত্তিক গানভর গ্রুপ প্রতি ইউনিট ৯ দশমিক ৬৫ ডলারে ৪১০ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় এলএনজি কার্গো সরবরাহ করবে।
তৃতীয় এলএনজি কার্গোটি প্রতি ইউনিট এলএনজি ৯ দশমিক ৬৮ ডলারে ৪১৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকায় সরবরাহ করবে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া (পিটিই) লিমিটেড।
আরও পড়ুন: এলএনজি, সার, মসুর ডাল ও ভোজ্যতেল কিনবে সরকার
৮ মাস আগে
‘বাংলাদেশে তেল ও এলএনজি আমদানিতে অর্থায়ন করবে আইটিএফসি’
বাংলাদেশে তেলের সঙ্গে এলএনজি আমদানিতে অর্থায়ন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফিন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার হানি সালেম সুনবল।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করলেও পর্যায়ক্রমে তা বাড়তে পারে। বাংলাদেশের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব বাড়াতে আমরা আগ্রহী।’
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এই আগ্রহের কথা জানান আইটিএফসি প্রধান।
এ সময় তারা পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যমান সম্পর্ক আরও বাড়াতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার উত্তরোত্তর বড় হচ্ছে। বাংলাদেশে চলমান ও পরিকল্পনাধীন প্রকল্পে বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।’
আরও পড়ুন: শেভরনের বিবিয়ানা গ্যাস প্ল্যান্টে উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তির উদ্বোধন করলেন নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, তেল রিফাইনারি, তেল ও গ্যাস পরিবহনের পাইপলাইন, সাশ্রয়ী জ্বালানির বিদ্যুৎ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ইত্যাদি বিষয়ে বিনিয়োগ ও অর্থায়নের জন্য খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে চাই। বিতরণ ও সঞ্চালন ব্যবস্থার আধুনিকীকরণেও আইটিএফসি সহযোগিতা করতে পারে।’
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার ও আইটিএফসির মহাব্যবস্থাপক আবদিহামিদ আবু এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বুধবার ঢাকার যেসব এলাকায় ১৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সরবরাহ
৯ মাস আগে
এলএনজি, সার, মসুর ডাল ও ভোজ্যতেল কিনবে সরকার
অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), সার, মসুর ডাল ও ভোজ্যতেল কিনবে সরকার।
মঙ্গলবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) প্রথম বৈঠকে বেশ কয়েকটি পাইকারি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
নতুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ভার্চুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাব অনুযায়ী, সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৪৭০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজির এলএনজি কার্গো আমদানি করবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা।
কমিটি সার আমদানির জন্য আটটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবইয়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে বিভ্রান্তি থাকলে সংশোধন হবে
এর মধ্যে চারটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) চারটি বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে মোট ১ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের সার আমদানি করবে।
বিএডিসি সৌদি আরবের মা’দেন থেকে ২৫৯ কোটি ১৬ লাখ টাকায় প্রতি টন ৫৮৯ ডলারে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার, মরক্কোর ওসিপি, এসএ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার ১১২ কোটি ৩৮ লাখ টাকায় প্রতি টন ৩৮৬ ডলার মূল্যে, মরক্কোর একই কোম্পানি থেকে ২৪০ কোটি ৯০ লাখ টাকায় আরও ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার প্রতি টন ৫৪৭ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারে এবং রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন প্রোডিনটর্গ থেকে ৩০ হাজার এমওপি সার প্রতি টন ৩০২ ডলার দরে ৯৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকায় আমদানি করবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃথক চারটি প্রস্তাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) মোট ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানি করবে।
এর মধ্যে কাতারের মুনতাজাত থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন দানাদার ইউরিয়া ১০৩ কোটি ৪২ লাখ টাকায় এবং প্রতি মেট্রিক টন ৩১৩ দশমিক ৪২ মার্কিন ডলারে ইউরিয়া আমদানি করা হবে। কাফকো থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগযুক্ত দানাদার ইউরিয়া ১০৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকায় প্রতি মেট্রিক টন ৩১৬ দশমিক ৬২ ডলারে আমদানি করা হবে। সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ১০৩ কোটি ৪২ লাখ টাকায় ৩০ হাজার বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া প্রতি মেট্রিক টন ৩১৩ দশমিক ৪২ ডলার এবং একই সৌদি কোম্পানি থেকে ১০২ কোটি ৪২ লাখ ডলার দরে আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন দানাদার ইউরিয়া আমদানি করা হবে।
কমিটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তাৎক্ষণিক উত্থাপিত তিনটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভারতের উমা এক্সপো প্রাইভেট লিমিটেড থেকে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল সংগ্রহ করবে। প্রতি কেজি ১০১ টাকা ১৩ পয়সায় ৯৬ কোটি ১৪ লাখ টাকায়এসব ডাল কেনা হবে। এ ছাড়া আরও ১০ হাজার মেট্রিক টন বগুড়ার রায় এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড ও ঢাকার নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেড থেকে প্রতি কেজি ১০৫ দশমিক ৪৫ টাকা দরে ১০৫ দশমিক ৪৫ কোটি টাকায় কেনা হবে। মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেড থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ১ কোটি ২০ লাখ লিটার রাইস ব্র্যান অয়েল; (২) মজুমদার ব্র্যান অয়েল মিলস লিমিটেড ও আলী ন্যাচারাল অয়েল মিলস অ্যান্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ১৮৯ কোটি ৬০ লাখ টাকায় প্রতি লিটার মূল্য ১৫৮ টাকা দরে কেনা হবে।
টিসিবি খোলাবাজারে বিক্রয়ের মাধ্যমে ১ কোটি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে পণ্য বিক্রি করবে।
আরও পড়ুন: ঈশা খাঁ'র জঙ্গলবাড়ি দুর্গ ভ্রমণ গাইড, আনুষঙ্গিক খরচ
১০ মাস আগে
মহেশখালীতে নতুন এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের অনুমোদন পেল সামিট গ্রুপ
কক্সবাজারের মহেশখালীতে দ্বিতীয় এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে স্থানীয় সামিট গ্রুপ।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার এই প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এই চুক্তির আওতায় সামিট গ্রুপের আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পুনরায় গ্যাসে রূপান্তরের জন্য এলএনজি টার্মিনাল হিসেবে নতুন ভাসমান স্টোরেজ ও রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট স্থাপন করবে।
অনুমোদন অনুযায়ী, সামিট গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেড ১৫ বছর মেয়াদি টার্মিনাল ইউজ এগ্রিমেন্ট (টিইউএ) এবং ইমপ্লিমেন্টেশন এগ্রিমেন্ট (আইএ) সই করবে। এই চুক্তির আওতায় প্রতিদিন ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) ক্ষমতাসম্পন্ন এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করবে গ্রুপটি। পুনরায় গ্যাসে রূপান্তরের খরচ পড়বে ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চলতি বছরের ১৪ জুন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদনের পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
এটি হবে দেশের তৃতীয় এলএনজি টার্মিনাল। কক্সবাজারের মহেশখালীতে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলেরেট এনার্জি কর্তৃক ৫০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন এবং একই এলাকায় একই ক্ষমতাসম্পন্ন আরও একটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করেছে সামিট গ্রুপ।
কাতার ও ওমান থেকে পেট্রোবাংলার আমদানি করা এলএনজি পুনরায় গ্যাসে রূপান্তর করার জন্য এক্সেলেরেট এনার্জি ও সামিট যথাক্রমে ২০১৮ ও ২০১৯ সাল থেকে সরকারকে এফএসআরইউ পরিষেবা দিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে ২ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সামিট গ্রুপের প্রস্তাবটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের দ্রুত বৃদ্ধি (বিশেষ) আইন-২০১০ এর অধীনে সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়া হিসেবে উত্থাপন করে, যা সরকারকে প্রতিযোগিতামূলক নিলাম প্রক্রিয়া ছাড়াই চুক্তি প্রদানের অনুমতি দেয়।
এর আগে সিসিইএ’র অনুমোদিত প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, প্রস্তাবিত সামিটের টার্মিনালের পুনঃগ্যাসিফিকেশন ক্ষমতা হবে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি (এমএমসিএফডি)। কিন্তু এখন সামিট ৬০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।
পেট্রোবাংলা ৩০০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করছে। এর মধ্যে প্রায় ২৩০০ এমএমসিএফডি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। আর ৭০০ এমএমসিএফডি আমদানি করা হয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে এলএনজি, গম, সার সরবরাহের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে: ল্যাভরভ
ফলে ৪ হাজার এমএমসিএফডির চাহিদা মেটাতে দেশে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাসের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
সম্প্রতি পেট্রোবাংলা কাতার ও ওমানের সঙ্গে দুটি নতুন চুক্তি সই করেছে। এই চুক্তির আওতায় ২০২৬ সাল থেকে আরও এলএনজি সরবরাহ পাওয়া যাবে। এছাড়া ২০২৬ সাল থেকে অতিরিক্ত এলএনজি আমদানির জন্য এক্সেলরেট এনার্জির সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদি নতুন চুক্তিও সই হয়েছে।
পেট্রোবাংলার পৃথক একটি প্রস্তাবে সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিগ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৬৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ'র এলএনজি কার্গো আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
আরও পড়ুন: পেট্রোবাংলার সঙ্গে এক্সেলারেট এনার্জির এলএনজি সরবরাহ চুক্তি সই
১ বছর আগে
রাশিয়া থেকে এলএনজি, গম, সার সরবরাহের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে: ল্যাভরভ
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন,বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহের সম্ভাবনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো আলোচনা করছে।
তিনি বলেন, ‘তারা গম এবং সার সরবরাহের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করছে।’
বৃহস্পতিবার রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর ল্যাভরভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এই সত্যটির প্রশংসা করি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা বাংলাদেশের উপর চাপ প্রয়োগ করা সত্ত্বেও আমাদের বাংলাদেশি বন্ধুরা তাদের জাতীয় স্বার্থে একচেটিয়াভাবে পরিচালিত হচ্ছে।’
এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর আরও এক ঘণ্টার নৈশভোজে দুই পক্ষ রোহিঙ্গা ও ইউক্রেন সংকটসহ সব দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘রাশিয়া বাংলাদেশকে খাদ্যশস্য, জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশি রপ্তানি শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের জন্য আমরা একটি রোড ম্যাপেও সম্মত হয়েছি।’
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা কাজের পদ্ধতি পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করবেন। যেমন প্রতি বছর বাণিজ্য নিয়ে আলোচনার পরিবর্তে দুই দেশ এটিকে পরিচালনার একটি স্থায়ী উপায়ে পরিণত করবে।
ল্যাভরভ রোহিঙ্গা সংকটের কথা বলেন এবং বলেন যে তারা মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান কথোপকথনকে সমর্থন করে।
তিনি বলেন, তারা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে অব্যাহত আলোচনাকে সমর্থন করে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ল্যাভরভ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে বাইরের নেতাদের কেবল পারস্পরিকভাবে গ্রহণযোগ্য সমাধানের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরিতে নিজেদের সীমাবদ্ধ করা উচিত। রাশিয়ান ফেডারেশন মিয়ানমারের সঙ্গে তার প্রেক্ষাপটে ঠিক এটিই করছে এবং তা চালিয়ে যাবে।’
তবে, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কোনো একটি পক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বাইরের কিছু নেতা এই বিষয়গুলো ব্যবহার করে এবং দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে।
ল্যাভরফ আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে এটি উভয়ই বিপরীতমুখী এবং অগ্রহণযোগ্য।’
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে ও জোরদার করতে সম্মত হয়েছেন।
বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি ভালো ও দীর্ঘস্থায়ী অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ জোরদার করছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষয়েও কথা বলেন এবং এর ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসায় আমরা খুবই আনন্দিত। রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, তারা রোহিঙ্গা ইস্যু, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং রাশিয়ায় বৃহত্তর বাজারে প্রবেশাধিকার নিয়ে আলোচনা করেছেন।
মোমেন বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা চাই আলোচনা ও আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হোক।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের প্রক্রিয়াকালীন রাশিয়া যে ভূমিকা পালন করেছিল তা উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। যেমন- ১৯৭১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক জনপ্রিয় সংগ্রামে সহায়তা এবং নবগঠিত রাষ্ট্রকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা করেছিল।
রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারপর থেকে আমাদের সম্পর্ক ধারাবাহিকভাবে সমতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং একে অপরের স্বার্থ বিবেচনার নীতির উপর ভিত্তি করে।’
ল্যাভরভ বলেন, ‘আমি ইতিবাচক যে আমাদের আলোচনা এই প্রবণতাকে পুনঃনিশ্চিত করবে এবং এটিকে আরও শক্তিশালী করবে।’
তিনি বলেছিলেন যে তারা এই অঞ্চলে তাদের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করবে যাতে স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠার কোনও প্রচেষ্টা রোধ করা যায়।
প্রবণতা এবং বিনিয়োগ
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্বিপাক্ষীয় বাণিজ্য ধারাবাহিকভাবে দুই বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। প্রধান রাশিয়ান রপ্তানির মধ্যে রয়েছে শিল্প সরঞ্জাম, ধাতু, খনিজ সার এবং গম।
রাশিয়ায় প্রাথমিক আমদানি মূলত পোশাক এবং সামুদ্রিক খাবার। ২০২২ সালে প্রতিকূল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির কারণে আমাদের বাণিজ্য ২১ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন হয়েছে।
এই নেতিবাচক প্রবণতা কাটিয়ে ওঠার ব্যবস্থা নিয়ে আন্তঃসরকারি রাশিয়ান-বাংলাদেশ কমিশন অন ট্রেড, ইকোনমিক এবং সায়েন্টিফিক-টেকনিক্যাল কোঅপারেশন নিয়ে আলোচনা করবে।
কমিশনের প্রথম সভা মস্কোতে ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর, দ্বিতীয়টি ঢাকায় ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর এবং তৃতীয় ও চতুর্থটি যথাক্রমে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর এবং ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রূপপুর নির্মাণ দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্বের প্রধান প্রকল্প।
আরও পড়ুন: ঢাকা-মস্কো দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী
রাশিয়ান পক্ষ বলেছে, ২০২৪-২০২৫ সালে এর কমিশনিং বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে একটি যুগান্তকারী হিসাবে আসবে।
একই সময়ে, এর নির্মাণে রাশিয়ার সম্পৃক্ততা রাশিয়ার ১০০ টিরও বেশি শিল্প কোম্পানির জন্য দীর্ঘমেয়াদী কাজ নিশ্চিত করে।
বাংলাদেশে প্রথাগত জ্বালানিতে রাশিয়ার দক্ষতার খুব বেশি চাহিদা রয়েছে।
গ্যাজপ্রম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামে একটি গ্যাজপ্রম সাবসিডিয়ারি সে দেশে সফলভাবে কাজ করছে।
২০১২ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এটি টার্নকি ভিত্তিতে বাংলাদেশে ২০টি গ্যাসক্ষেত্র কূপ খনন ও সম্পন্ন করেছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’দিনের সফরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় এসেছেন যা পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
স্বাধীনতার পর রাশিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর।
শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন যাত্রার আগে তিনি ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর শেষ করে ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
গত বছলের২৪ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত ২২তম আইওআরএ মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে যোগদানের জন্য ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ সফরের কথা ছিল ল্যাভরভের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই সফর স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-মস্কো দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী
১ বছর আগে