এলএনজি
সিঙ্গাপুর-যুক্তরাজ্য থেকে ২ কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন
দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দরপত্রের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৬৬ কোটি ৮৭ লাখ ৮২ হাজার ৪০০ টাকা।
এরমধ্যে সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো এবং যুক্তরাজ্য থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মর্চ) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক এই প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একটি প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক দরপত্র প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে (১৪-১৫ এপ্রিল ২০২৫ সময়ে ১৫তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
সূত্রটি জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরের গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ৬৭৫ কোটি ২৮ লাখ ৫৮ হাজার ১১২ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ’র মূল্য ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ০৮ মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: চাহিদা মেটাতে এলএনজি, সার, মসুর ডাল আমদানি করবে সরকার
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক দরপত্র প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে (১৪-১৫ এপ্রিল ২০২৫ সময়ে ১৬তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
যুক্তরাজ্যের মেসার্স টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে এই এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ৬৯১ কোটি ৫৯ লাখ ২৪ হাজার ২৮৮ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ’র দাম ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ৫৭ মার্কিন ডলার।
২১ দিন আগে
চাহিদা মেটাতে এলএনজি, সার, মসুর ডাল আমদানি করবে সরকার
অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে এলএনজি, সার ও মসুর ডাল আমদানি করতে কয়েকটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটি।
বুধবার (৫ মার্চ) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এক সভায় এসব প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী, স্থানীয় গ্যাসের চাহিদা মেটাতে দুই কার্গো এলএনজি আমদানি করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পেট্রোবাংলা।
সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড ৭৫৪ কোটি ৪২ লাখ টাকায় একটি কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে।যার প্রতি এমএমবিটিইউ মূল্য ১৫ দশমিক ৭৩ ডলার। এছাড়া সিঙ্গাপুরের গানভর সিঙ্গাপুর পিটিই ৭৪১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে আরেকটি এলএনজি কার্গো সরবরাহ করবে। যার প্রতি এমএমবিটিইউ মূল্য ১৫ দশমিক ৪৭ ডলার।
আরও পড়ুন: এলএনজি আমদানি না করে দেশীয় উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ: সিপিডি
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রস্তাব অনুযায়ী সংস্থাটি স্থানীয় উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কিনবে।
শেখ এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ, ঢাকা বাল্ক মসুর ডাল ৯৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে সরবরাহ করবে। যার প্রতি কেজির দর পড়বে ৯৫ টাকা ৪০ পয়সা।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) থেকে ১৫৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার টন ব্যাগযুক্ত গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করবে। যার প্রতি টনের দাম পড়বে ৪২২ দশমিক ৬২৫ ডলার।
৪৩ দিন আগে
এলএনজি আমদানি না করে দেশীয় উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ: সিপিডি
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির চুক্তি অন্তবর্তী সরকারের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) জ্যেষ্ঠ গবেষণা কর্মকর্তা হেলেন মাসিয়াত প্রিয়তি। তিনি বলেছেন, ‘যদি অন্তবর্তী সরকারের জায়গা থেকে চিন্তা করি, তাহলে এই চুক্তিটি আবশ্যক নয়।’
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে সিপিডি আয়োজিত ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি: সংকটময় সময়ের প্রত্যাশা পূরণের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উন্নয়ন পর্যালোচনা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এলএনজি আমদানিতে ‘নন-বাইন্ডিং’ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের আর্জেন্ট এলএনজি কোম্পানির সঙ্গে বছরে ৫০ লাখ টন এলএনজি আমদানির ওই চুক্তি করে অন্তবর্তী সরকার।
বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এটিই যুক্তরাষ্ট্রের কোনো দেশের সঙ্গে সম্পাদিত সর্ববৃহৎ চুক্তি।
এ বিষয়ে বিডা চেয়ারম্যানের এ ধরনের চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গবেষক প্রিয়তি।
তিনি বলেন, ‘কাতার ও ওমানের বিল পরিশোধ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও নতুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে! অথচ পর্যাপ্ত ফান্ডের অভাবে বাপেক্সের খননকাজ স্থগিত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকা: সিপিডি
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানাতে বছরে ২৫ মিলিয়ন টন এলএনজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করেছে আর্জেন্ট এলএনজি কোম্পানি। ২০৩০ সাল থেকে তারা এলএনজি সরবরাহ শুরু করতে পারবে বলে আশা করছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে হাসিনা সরকারের পতনের পরে বিগত বছরের ৮ আগষ্ট ড. মো. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তবর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। এ সরকারের মূল লক্ষ্য দেশের সার্বিক সংস্কার। তাই বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির চুক্তি করার প্রয়োজনীয়তা দেখছেন না সিপিডির এই গবেষক। তার পরিবর্তে দেশীয় উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
৭৮ দিন আগে
ভোজ্য তেল, এলএনজি, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনবে সরকার
স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে মসুর ডাল, খোলা সয়াবিন তেল, পাম অয়েল, এলএনজি, সার এবং ক্রুড ও পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম তেল কিনবে সরকার।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যপুস্তক ছাপার অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্ট বলেন, ‘আমরা তাড়াতাড়ি প্রসেস করে, যৌক্তিক যে জিনিসগুলো ক্রয় করা প্রয়োজন সেগুলো অনুমোদন দিয়ে থাকি। আজকে আমরা বিভিন্ন ধরনের সার কেনার অনুমোদন দিয়েছি। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আজকের বৈঠকে নবম, দশম শ্রেণির পাঠ্যবই মুদ্রণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পাঠ্যবই আমরা শিগগিরই চাচ্ছি। জানুয়ারির মধ্যে আমরা পাঠ্যবই করে ফেলতে বলেছি। চেষ্টা করবে, তবে জানুয়ারির মধ্যে হয়তো সবগুলো করে ফেলতে পারবে না।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, খোলাবাজারে বিক্রয় কর্মসূচির জন্য ১০ হাজার টন মসুর ডাল, ৩৮ লাখ ১০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল ও ১ লাখ ১০ হাজার লিটার পাম অয়েল কিনবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
রাজশাহীর নাবিল নবা ফুডস লিমিটেড থেকে টিসিবির জন্য ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হবে। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ধরা হয়েছে ৯৫ টাকা ৯৭ পয়সা। এতে মোট ব্যয় হবে ৯৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে: ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর
এছাড়া, স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে সয়াবিন তেল কেনা হবে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ধরা হয়েছে ১৪০ টাকা। ৩৮ লাখ ১০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল কিনতে মোট ব্যয় হবে ৫৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
টিসিবির জন্য পাম অয়েলও কেনা হবে এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকেই। ১ কোটি ১০ লাখ লিটার খোলা পাম অয়েলের প্রতি লিটার ১৩০ টাকা দরে মোট ব্যয় হবে ১৪৩ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করবে বাংলাদেশ অয়েল গ্যাস অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম করপোরেশন- পেট্রোবাংলা।
৭০৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রতিটি এমএমবিটিইউ ১৫.০২ ডলারে এলএনজি সরবরাহ করবে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড।
এ ছাড়াও, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি (এডিএনওসি) থেকে ৫ হাজার ২০৮ কোটি ৩৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬ লাখ টন মুরবান ক্রুড পেট্রোলিয়াম (এএলসি) আমদানি করবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।
বৈঠকে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে। ইউনিপেক সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড, ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, সিঙ্গাপুর অ্যান্ড কোং ওকিউ ট্রেডিং লিমিটেড, দুবাই’ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করা পরোশোধিত পেট্রোলিয়ামের খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭০ কোটি ১৬৪ লাখ টাকা। তবে প্রস্তাবে পেট্রোলিয়ামের পরিমাণের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
সৌদি আরবের এসএবিআইসি এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ২২৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করবে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।
আরও পড়ুন: চাহিদা বাড়ায় ঈদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ১০৪ কোটি ৩১ লাখ টাকায় জেএসসি ফরিন ইকোনমিক করপোরেশন ‘প্রোডিন্টর্গ’ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার, মরক্কোর ওসিপি থেকে ২৮০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার এবং মরোক্কা থেকে ২৫২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা মূল্যে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানি করবে।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের জন্য পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও সরবরাহের জন্য বিভিন্ন সরবরাহকারীকে চুক্তি প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
১২৭ দিন আগে
২৬টি কূপ খননে সরকারের উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বানে বিলম্ব
দেশে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে বিভিন্ন উপকূলীয় গ্যাসক্ষেত্র জুড়ে ২৬টি কূপ খননের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বানের উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। এই উদ্যোগ আরও এক মাস বিলম্বিত হবে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।
মূলত দরপত্র সংক্রান্ত নথিপত্র তৈরি নিয়েই এই বিলম্ব সৃষ্টি হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ খনিজ, তেল ও গ্যাস করপোরেশনের অধীনে তিনটি গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনকারী কোম্পানি (সাধারণত পেট্রোবাংলা নামে পরিচিত) সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল), বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে দরপত্র আহ্বান করার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: তিতাস স্মার্ট প্রিপেইড মিটার প্রকল্পে অগ্রগতি সামান্য
কিন্তু সংবাদপত্র ও সংশ্লিষ্ট সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশের জন্য দরপত্রের নথিপত্র চূড়ান্ত না হওয়ায় কোম্পানিগুলো দরপত্র আহ্বান করতে পারেনি।
এর আগে গত ৩ অক্টোবর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে এক সংবাদ সম্মেলনে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার ঘোষণা দেন, প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সবুজ সংকেত পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে আশা করছেন তারা।
একই সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে সরকার শিগগিরই বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্রে ২৬টি কূপ খননের জন্য একটি উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করবে বলে আশ্বাস দেন।
সরকার জি-টু-জি ভিত্তিতে চুক্তি বা বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে অযাচিত চুক্তি করা থেকে বিরত থাকবে বলেও জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, এই উদ্যোগের লক্ষ্য বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে আমদানি করা ব্যয়বহুল এলএনজির ওপর নির্ভরতা কমানো।
দরপত্র আহ্বানে বিলম্বের বিষয়ে ফাওজুল কবির ইউএনবিকে বলেন, দরপত্র তৈরিতে তার মন্ত্রণালয় একজন দরপত্র ক্রয় বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিচ্ছে এজন্য কিছুটা বেশি সময় লাগছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাতের বকেয়া পরিশোধে ৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড দেবে সরকার
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ঐতিহাসিকভাবে দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০ এর আওতায় একই ধরনের চুক্তির দলিল তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এবার উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করতে হলে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) ২০০৮ মেনে চলতে হবে তাই বিলম্ব হচ্ছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড এক সপ্তাহের মধ্যে দরপত্র জারি করতে পারে। অন্যদিকে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের পুরো মাস লাগতে পারে।
গত ৩ অক্টোবরের সংবাদ সম্মেলনে জ্বালানি উপদেষ্টা ২০২৫ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে ১০০টি কূপ খননের সরকারি পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন।
এর মধ্যে ৬৯টি অনুসন্ধান ও উন্নয়ন কূপ এবং বাকি ৩১টি কূপ হবে ওয়ার্ক-ওভার ওয়েল।
বাপেক্স ৬৯টি অনুসন্ধান কূপের মধ্যে ৪৩টি এবং বাকি ২৬টি কূপ উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদারদের মাধ্যমে খনন করবে।
বাপেক্স নিজস্ব রিগ ব্যবহার করে বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্র জুড়ে ৩৩টি কূপ খনন করবে এবং ভাড়া করা রিগ ব্যবহার করে আরও ১০টি কূপ খনন করা হবে।
উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য বাপেক্সের সক্ষমতাকে পুরোপুরি কাজে লাগানো।’
আরও পড়ুন: ঝুলে আছে ১০টি গ্রিড সংযুক্ত সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে বিপিডিবির দরপত্র আহ্বান
১৭৯ দিন আগে
এলএনজি-সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিশন
এলএনজি ও সার আমদানিসহ মোট ৭টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি (এসিসিজিপি)।
সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, সার ও গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এসব প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা আশা করছি চলতি মৌসুমে সারের সরবরাহে কোনো ঘাটতি হবে না। এছাড়া সরকার এলএনজি আমদানির মাধ্যমে গ্যাসের ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করছে।’
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাব অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটে সিঙ্গাপুরভিত্তিক গানভর সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড থেকে দুই কার্গো এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: সামিটের এলএনজি টার্মিনালের মেরামত সম্পন্ন, পরিষেবা পেতে লাগবে ২০ দিন
এর মধ্যে প্রথম কার্গোতে ৩৩লাখ ৬৬ হাজার মেট্রিক টন এমএমবিটিইউ রয়েছে। এর দাম পড়বে ৬৪০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউয়ের দর ১৩ দশমিক ৫৭ ডলার। সম পরিমাণের দ্বিতীয় কার্গোর দাম পড়বে ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউয়ের দাম পড়ছে ১৩ দশমিক ৭৭ ডলার।
পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস, ২০০৮ এর অধীনে কোটেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরবরাহকারী নির্বাচন করে পেট্রোবাংলা।
সার আমদানির জন্য বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) পক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩০,০০০ মেট্রিক টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া আমদানি করবে বিসিআইসি। এর খরচ হবে ১২৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা এবং প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৩৪৬.৩৩ ডলার। একইসঙ্গে, ৩০,০০০ মেট্রিক টন ব্যাগ গ্রানুলার ইউরিয়া কার্নফুলি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ১২০ কোটি ৭৮ লাখ টাকায় আমদানি করা হবে; যেখানে প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৩৩৫.৫০ ডলার।
নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহে ২টি বাফার গোডাউন নির্মাণের দরপত্র বাতিলের জন্য বিসিআইসির আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিটি।
সার আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এর মধ্যে একটি হলো- বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন মরক্কোর ওসিপি এসএ থেকে ১৪৯ কোটি ৪০ লাখ টাকায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানি করবে।প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৪১৫ ডলার।
এছাড়া সৌদি আরবের মা'দেন থেকে প্রতি মেট্রিক টন ৫৮১ মার্কিন ডলার দরে ২৭৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করবে বিএডিসি।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটে তালিকাভুক্ত ২৩ কোম্পানি থেকে উন্মুক্ত দরপত্রে এলএনজি কিনবে সরকার
সেপ্টেম্বরের আগে সামিটের এলএনজি টার্মিনালের কার্যক্রম শুরুর সম্ভাবনা নেই
১৯৭ দিন আগে
আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটে তালিকাভুক্ত ২৩ কোম্পানি থেকে উন্মুক্ত দরপত্রে এলএনজি কিনবে সরকার
আলোচনার পরিবর্তে এখন উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তীকালীন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সরকার উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এলএনজি সংগ্রহ করবে।
আরও পড়ুন: গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে ৩ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ বিভাগ আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটে তালিকাভুক্ত ২৩টি কোম্পানির কাছ থেকে এলএনজি আমদানির অনুমোদন চেয়ে এ প্রস্তাব দেয়।
উপদেষ্টা বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারে এ ধরনের ২৩ কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করে মাস্টার সেলস অ্যান্ড পারচেজ চুক্তি করলেও সেগুলো অপরিবর্তিত থাকবে।
তিনি বলেন, দ্রুত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ (বিশেষ) আইন ২০১০ প্রয়োগের পরিবর্তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৮ অনুসরণ করবে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'সরবরাহকারীদের মধ্যে যথাযথ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করে আমরা দ্রুত এলএনজি আমদানি করতে চেয়েছিলাম বলে আমরা এগুলো পরিবর্তন করতে চাই না।’
কমিটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য জিটুজি ভিত্তিতে ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি সইয়ের জন্য নীতিগতভাবে আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
এদিকে অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে মসুর ডাল ও সার আমদানিতে ৩টি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) স্থানীয় প্রতিষ্ঠান সাহারা এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে ৯৮ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কিনবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বৈঠকে টিসিবির পক্ষ থেকে উত্থাপিত প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে।
সিসিজিপি শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, যার আওতায় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন ১২১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে স্টেট টু স্টেট চুক্তিতে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক দানাদার ইউরিয়া সার আমদানি করবে।
প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৪৩ দশমিক ১৭ ডলার।
স্থানীয় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ১১৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগ দানাদার ইউরিয়া সার সংগ্রহ করা হবে। এর প্রতি মেট্রিক টন ৩৩০ দশমিক ৫০ ডলার ব্যয়ে সরবরাহ করা হবে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরের আগে সামিটের এলএনজি টার্মিনালের কার্যক্রম শুরুর সম্ভাবনা নেই
এলএনজি কার্গো ও মসুর ডাল আমদানির অনুমোদন মন্ত্রিসভা ক্রয় কমিটির
২২৫ দিন আগে
সামিটের এলএনজি টার্মিনালে গ্যাস সরবরাহে লাগতে পারে আরও ১০ দিন: নসরুল হামিদ
জাতীয় গ্যাস গ্রিডে আমদানি করা এলএনজি সরবরাহের জন্য সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনালের কার্যক্রম ফের শুরু করতে আরও ১০ দিন সময় লাগবে।
বুধবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে চুক্তি সই অনুষ্ঠানের ফাঁকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সামিটের এফএসআরইউতে গ্যাস সরবরাহ শুরু করতে আরও ১০ দিন সময় লাগতে পারে।
মঙ্গলবার সামিট গ্রুপের ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী কাজ শুরু করতে ব্যর্থ হওয়ার পর প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সরবরাহ ৩-৪ দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হবে ও গ্যাস সরবরাহ জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে: নসরুল হামিদ
কর্মকর্তারা জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর গত ২৭ মে থেকে ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ ক্ষমতাসম্পন্ন এলএনজি টার্মিনালটির কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরে এটিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয় এবং মেরামত কাজ শেষ করে মহেশখালীতে অপারেশন সাইট এলাকায় ফিরিয়ে আনা হয়।
কিন্তু কার্যক্রম শুরুর আগে আবার যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয় এটি। এরপর দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে তারা পুনলায় গ্যাস সরবরাহ চালুর জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
সামিটের এলএনজি টার্মিনাল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সামগ্রিকভাবে ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়া। এতে বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে গ্যাস সরবরাহে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে।
সারা দেশে দুটি এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে। একটি হলো ৬০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন এক্সিলারেট এনার্জি এবং অপরটি সামিট গ্রুপের মালিকানাধীন ৫০০ এমএমসিএফডি টার্মিনাল।
কর্মকর্তারা জানান, সামিট এলএনজি টার্মিনালের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দেশে চলমান গ্যাস সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে।
বুধবার প্রায় ৪ হাজার এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে ২ হাজার ৬৩৭ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কারিগরি ও অন্যান্য কারণে মাঝেমধ্যে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল আসতে পারে: নসরুল হামিদ
গ্যাস বিতরণে সিস্টেম লস ২২ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে: নসরুল হামিদ
২৬০ দিন আগে
গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে ৩ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার
গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ৩টি কার্গো আমদানি করবে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলার ৩টি পৃথক প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ 'দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ আইন, ২০১০' বৃদ্ধি করে কমিশনের অধীনস্থ সংস্থার পক্ষে প্রস্তাবগুলো উত্থাপন করে।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশে তেল ও এলএনজি আমদানিতে অর্থায়ন করবে আইটিএফসি’
প্রস্তাব অনুযায়ী, সুইজারল্যান্ডভিত্তিক টোটাল এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড প্রতিটি ইউনিট ৯ দশমিক ৮৯ ডলারে ৪২৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকায় ১টি এলএনজি কার্গো সরবরাহ করবে এবং সিঙ্গাপুরভিত্তিক গানভর গ্রুপ প্রতি ইউনিট ৯ দশমিক ৬৫ ডলারে ৪১০ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় এলএনজি কার্গো সরবরাহ করবে।
তৃতীয় এলএনজি কার্গোটি প্রতি ইউনিট এলএনজি ৯ দশমিক ৬৮ ডলারে ৪১৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকায় সরবরাহ করবে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া (পিটিই) লিমিটেড।
আরও পড়ুন: এলএনজি, সার, মসুর ডাল ও ভোজ্যতেল কিনবে সরকার
৩৭৯ দিন আগে
‘বাংলাদেশে তেল ও এলএনজি আমদানিতে অর্থায়ন করবে আইটিএফসি’
বাংলাদেশে তেলের সঙ্গে এলএনজি আমদানিতে অর্থায়ন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফিন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার হানি সালেম সুনবল।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করলেও পর্যায়ক্রমে তা বাড়তে পারে। বাংলাদেশের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব বাড়াতে আমরা আগ্রহী।’
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এই আগ্রহের কথা জানান আইটিএফসি প্রধান।
এ সময় তারা পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যমান সম্পর্ক আরও বাড়াতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার উত্তরোত্তর বড় হচ্ছে। বাংলাদেশে চলমান ও পরিকল্পনাধীন প্রকল্পে বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।’
আরও পড়ুন: শেভরনের বিবিয়ানা গ্যাস প্ল্যান্টে উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তির উদ্বোধন করলেন নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, তেল রিফাইনারি, তেল ও গ্যাস পরিবহনের পাইপলাইন, সাশ্রয়ী জ্বালানির বিদ্যুৎ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ইত্যাদি বিষয়ে বিনিয়োগ ও অর্থায়নের জন্য খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে চাই। বিতরণ ও সঞ্চালন ব্যবস্থার আধুনিকীকরণেও আইটিএফসি সহযোগিতা করতে পারে।’
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার ও আইটিএফসির মহাব্যবস্থাপক আবদিহামিদ আবু এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বুধবার ঢাকার যেসব এলাকায় ১৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সরবরাহ
৪১৫ দিন আগে