মেসি
লামিনের মাঝে নিজের কৈশোর দেখতে পান মেসি
বাঁ পায়ের জাদু দিয়ে ইতোমধ্যে ফুটবল বিশ্বে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন বার্সেলোনার তরুণ স্প্যানিশ প্রতিভা লামিন ইয়ামাল। অসাধারণ ড্রিবলিং, ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো শটে গোলের জন্য বেশ আগে থেকে অনেকেই তাকে বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসির সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছেন। এবার সেই কথায় সমর্থন দিলেন খোদ মেসি।
সম্প্রতি জার্মানিতে ক্রীড়া সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাসের সদর দপ্তরে একটি ইভেন্টে মেসির কাছে নতুন প্রজন্মের একজন খেলোয়াড়ের নাম জানতে চাওয়া হয়। সেখানে লামিন ইয়ামালের সম্পর্কে বলতে গিয়ে মেসি জানান, তার মধ্যে নিজের ছোটবেলার ছায়া দেখতে পান তিনি।
‘তরুণ ফুটবলারদের দারুণ একটি প্রজন্ম উঠে এসেছে, যাদের সামনে অনেক বছর পড়ে আছে। যদি কাউকে বেছে নিতে হয়, আর সেটা তার বয়স ও ভবিষ্যত বিবেচনায়, আমি শুনেছি অনেকেই লামিন ইয়ামালকে বেছে নিয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই আমিও তা–ই নেব, (এ বিষয়ে) আমি একমত।’
তিনি বলেন, ‘তবে এটি শুধু তার ওপর নয়, আরও অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে। কারণ, ফুটবল এমনই। কিন্তু সে-ই (ফুটবলের) বর্তমান এবং নিঃসন্দেহে দারুণ ভবিষ্যৎ তার সামনে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: বার্সার বিশেষ দিনে নিজের ‘বিশেষ দিন’ কোনটি, জানালেন মেসি
মেসির মতোই লা মাসিয়া ফুটবল অ্যাকাডেমিতে বেড়ে উঠে বার্সেলোনার জার্সিতে পেশাদার ফুটবলে হাতেখড়ি হয়েছে লামিনের। মাত্র ১৫ বছর বয়সে সিনিয়র ফুটবলে নাম লেখানোর পর থেকে যেখানেই খেলছেন, একের পর এক রেকর্ড নিজের নামে করে নিচ্ছেন গত জুলাইতে ১৭ বছরে পা দেওয়া এই উইঙ্গার।
বার্সেলোনার জার্সিতে অভিষেকের দিন ক্লাবটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ (১৫ বছর ২৯০ দিন) ফুটবলার হিসেবে মাঠে নামেন তিনি। এরপর স্পেন জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেই দেশটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলারদের অন্যতম বনে যান তিনি। তার চেয়ে কম বয়সে লা রোহাদের জার্সিতে মাঠে নেমেছেন মাত্র চারজন খেলোয়াড়।
গত বছরের অক্টোবরে গ্রানাদার বিপক্ষে প্রথম জালের দেখা পেয়ে লা লিগার ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে (১৬ বছর ৮৭ দিন) গোল করার কীর্তি গড়েন এই তরুণ প্রতিভা। এরপর ২০২৪ সালের ইউরো আসরেও চোখধাঁধানো পারফরম্যান্স উপহার দেন বাঁ পায়ের এই প্রতিভাবান ফুটবলার। টুর্নামেন্টের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ড গড়ার পর স্পেনকে রেকর্ড চতুর্থবার ইউরোপসেরার মুকুট পরাতে রাখেন বড় অবদান। একটি গোল ও চারটি অ্যাসিস্টে টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতার আগে টুর্নামেন্টটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ গোল ও অ্যাসিস্টদাতার স্বীকৃতি অর্জন করেন তিনি।
এরপর চলতি বছরের ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েও নতুন ইতিহাস গড়েন লামিন। সেখানে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে বর্ষসেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার কোপা ট্রফি জেতেন তিনি। সব মিলিয়ে এই তরুণ এখন শুধু বার্সেলোনারই নন, বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পাচ্ছেন।
তবে লিওনেল মেসির সঙ্গে নিজের তুলনা শুনতে ভালো লাগলেও আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রোর পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব নয় বলে মত তার।
সম্প্রতি একটি স্প্যানিশ টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লামিন বলেন, ‘আমাকে ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়, বিষয়টি মন্দ লাগে না। তবে মেসির পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব।’
আরও পড়ুন: লিওনেল মেসির পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব: ইয়ামাল
১ সপ্তাহ আগে
বার্সার বিশেষ দিনে নিজের ‘বিশেষ দিন’ কোনটি, জানালেন মেসি
ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার ১২৫তম জন্মদিন আজ। বিশেষ এই দিনে ক্লাবটির আয়োজনে যে সামিল হতে পারবেন না, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। তবে এই দিনে বার্সাকে নিয়ে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন তিনি।
কাতালুনিয়ার সরকারি টেলিভিশন টিভি৩-কে দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারে নিজের বেড়ে ওঠা থেকে শুরু করে আজকের ‘মেসি’ হয়ে ওঠার পেছনে ক্লাব বার্সেলোনা ও শহরটির অবদানের কথা জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো।
কিশোর বয়সে ২০০০ সালে আর্জেন্টিনা ছেড়ে বার্সেলোনায় আসেন মেসি। এরপর যোগ দেন ক্লাবটির অ্যাকাডেমি লা মাসিয়ায়। তারপর মূল দলে অভিষেকের পর থেকে শুধু ক্লাবটিরই নয়, গোটা ফুটবল ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠেন তিনি।
বার্সেলোনার ১২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বলতে গিয়ে শুরুতেই ক্লাবকে অভিনন্দন জানান তিনি।
বলেন ‘বার্সেলোনার অংশ হওয়া, ক্লাবটির ভক্ত হতে পারা আমার কাছে অত্যন্ত সম্মানের। আমি ভাগ্যবান যে ঈশ্বর আমাকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং জীবনের বেশিরভাগটাই আমি অসাধারণ এই ক্লাবটিতে কাটাতে পেরেছি।’
বিশেষ দিনে বার্সেলোনাকে মিস করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি একটি বিশেষ ক্লাব, বাকি সব ক্লাবের চেয়ে আলাদা।… ক্লাব, শহর, সেখানকার মানুষ, সবার ভালোবাসা- সবকিছুই আমি মিস করি।’
স্পেনে বসবাস করার সময় ১৮৯৯ সালে সুইস ব্যবসায়ী জোয়ান গাম্পার বার্সেলোনা শহরের ফুটবলে আগ্রহী ব্যক্তিদের নিয়ে একটি ক্লাব গঠনের আহ্বান জানান। এ বিষয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে অভাবনীয় সাড়া পান তিনি।
এরপর ওই বছরের ২৯ নভেম্বর ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা প্রতিষ্ঠা করেন গাম্পার। তারপর ফুটবল ছাপিয়ে এই ক্লাবটিই হয়ে ওঠে কাতালানদের জাতীয়তাবাদের প্রতীক। কাতালুনিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের দীর্ঘ ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠা এই ক্লাবটি তাই সমর্থকদের কাছে শুধু ফুটবল ক্লাব নয়, তার চেয়ে বেশিকিছুই।
প্রতিষ্ঠার ১২৫ বছরে ২৬টি লা লিগা, সর্বোচ্চ ৩১টি কোপা দেল রে, ১৪টি স্প্যানিশ সুপার কাপ, ৫টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ৩টি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপসহ অসংখ্য শিরোপা জিতেছে বার্সেলোনা। আর ২০০৪ সালের ১৬ অক্টোবর মাত্র ১৭ বছর বয়সে বার্সার মূল দলে অভিষেকের পর থেকে এসব অর্জনের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ নায়ক বনে যান মেসি।
৩ সপ্তাহ আগে
নেইমারের পাঁচটি ব্যালন দ’র জেতা উচিত ছিল: বুফন
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রতিপক্ষের সবচেয়ে কঠিন ফুটবলার হিসেবে মেসি, রোনালদো নয়, বরং নেইমারকে বেছে নিয়েছেন ইতালি ও ইউভেন্তুসের কিংবদন্তি গোলরক্ষক জানলুইজি বুফন। ব্রাজিলের এই তারকা ফুটবলারের অন্তত পাঁচটি ব্যাল দ’র জেতা উচিৎ ছিল বলে মনে করেন তিনি।
২৮ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ার শেষে ২০২৩ সালে গ্লাভস খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেন বুফন। বর্তমানে ইতালি জাতীয় দলের টিম অপারেশন ম্যানেজারের ভূমিকায় রয়েছেন সাবেক এই ফুটবলার।
সম্প্রতি মিলানভিত্তিক ইতালির জাতীয় দৈনিক করিয়েরে দেল্লা সেরাকে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বুফন। সেখানে নিজের আত্মজীবনী উপস্থাপন করেন তিনি। এ সময় ক্যারিয়ারের অসংখ্য বিষয় নিয়ে কথা বলেন ৪৬ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি।
কেন গোলরক্ষক হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গোলরক্ষক হওয়ার মাঝে একটা আকর্ষণ আছে। ব্যাথা পেয়েও তা থেকে আনন্দ খুঁজে নেওয়া, ব্যাপারটি একেবারেই ব্যতিক্রম।’
‘কিশোর বয়সে আমি যখন খেলা শুরু করেছি, তখনও (ফুটবলের) পরিস্থিতি ৭০-এর দশকের মতো- পিচগুলো সিমেন্টের মতো শক্ত। ক্ষতবিক্ষত হাত, পেছনে কালশিটে পড়ে যাওয়া এবং কতবার রক্তাক্ত হয়েছে- এসব দিয়ে তখনকার গোলরক্ষকদের বিচার করা হতো।’
আরও পড়ুন: এবার ‘লিটল ম্যাজিশিয়ান’ ইনিয়েস্তার বিদায়
১৯৯৫ সালে পার্মার জার্সি গায়ে চড়িয়ে পেশাদার ফুটবলে নাম লেখান বুফন। ছয় বছরে পার্মাকে বেশ কয়েকটি শিরোপা জেতাতে ভূমিকা রাখেন তিনি। এর মধ্যে ১৯৯৯ সালে ক্লাবটির হয়ে উয়েফা কাপ, কোপা ইতালিয়া ও ইতালিয়ান সুপার কাপ জেতেন এই গোলরক্ষক। পার্মায় থাকাকালেই নিজের প্রতিভা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেন তিনি। এরপর ২০০১ সালে তৎকালীন রেকর্ড ট্রান্সফার ফি-তে নাম লেখান ইউভেন্তুসে।
ওল্ড লেডিদের জার্সিতেই টানা ১৮ বছর কাটিয়ে এবং অসংখ্য রেকর্ডের পাশে নিজের নাম লিখিয়ে কিংবদন্তির তকমা অর্জন করেন বুফন। ২০১৮ সালে ইউভেন্তুস থেকে বিদায় নিয়ে এক বছর পিএসজিতে কাটান তিনি। তবে পরের বছরই ফেরেন তুরিনে। আরও দুই বছর সাদা-কালো জার্সিতে খেলে শৈশবের ক্লাব পার্মায় ফেরেন ২০০৬ বিশ্বকাপ জয়ী এই গোলরক্ষক। ২০২৩ সালে সেখান থেকেই অবসরে যান তিনি।
তবে শেষবার ইউভেন্তুস ছাড়ার পর বার্সেলোনায় ভেড়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
‘বার্সা আমাকে ডেকেছিল তাদের রিজার্ভ গোলরক্ষক হওয়ার জন্য। (ক্রিস্তিয়ানো) রোনালদোর সঙ্গে খেলেছি, মেসির সঙ্গেও খেলার সুযোগ তখন এসেছিল; তবে শেষমেষ পার্মায়ই ফিরে গেলাম। যেখানে শুরু হয়েছিল, সেখান থেকেই (ক্যারিয়ার) শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’
১ মাস আগে
২১ বছর পর ব্যালন দ’র লড়াইয়ে নেই মেসি-রোনালদো
অনেক জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে ব্যালন দ’রে মনোনয়ন পাওয়া ফুটবলারদের সংক্ষিপ্ত তালিকা। ৩০ জনের এই তালিকায় ২০০৩ সালের পর এবারই প্রথম দেখা যায়নি ইন্টার মায়ামির আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসি এবং আল নাসরের পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে।
গত ১৬ বছরের মধ্যে ১৩ বারই বিশ্ব ফুটবলের সেরা এই ব্যক্তিগত পুরস্কার ভাগাভাগি করেছেন বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের দুই গ্রেট। ২০২৩ সালে সর্বশেষ ব্যালন দ’র জেতেন মেসি। সেটি ছিল কোনো ফুটবলারের ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ব্যালন দ’র জয়। তবে আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর গত বছর থেকেই ব্যালন দ’রের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার এই পুরস্কার জেতা রোনালদো।
২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই দুজনের আধিপত্যে ব্যালন দ’র স্পর্শ করতে পারেননি আর কোনো ফুটবলার। পরের বছর এটি জেতেন রিয়াল মাদ্রিদের ক্রোয়াট মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ। এরপর ২০১৯ সালে ষষ্ঠবারের মতো মেসির হাতে ওঠে পুরস্কারটি। এর ফলে তিনি রোনালদোকে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ ব্যালন দ’র জয়ের চূড়ায় ওঠেন।
আরও পড়ুন: রদ্রির ব্যালন দ’র নিশ্চিত হয়ে গেছে
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ সালে পুরস্কারটি স্থগিত করে ফেঞ্চ ফুটবল। সেবার দুর্দান্ত পারফর্ম করে ব্যালন দ’র জয়ের দৌড়ে সবার চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলেন তৎকালীন বায়ার্ন মিউনিখ ও বর্তমান বার্সেলোনা স্ট্রাইকার রবের্ট লেভানডোভস্কি। তবে পরের বছর আবারও জিতে রোনালদোর সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়ান মেসি। তারপর ২০২২ সালে তৎকালীন রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা জেতেন পুরস্কারটি। এরপর ২০২২ বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকা জেতার পর ২০২৩ সালে অষ্টমবারের মতো ব্যালন দ’র জিতে অনন্য উচ্চতায় ওঠেন মেসি।
গত মৌসুমে আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকা জিতলেও ক্লাব ফুটবলে খুব বেশি অর্জন ছিল না লিওনেল মেসির। অন্যদিকে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে সৌদি প্রো লিগে ৩১ ম্যাচে ৩৫ গোল এবং সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৫ ম্যাচে ৪৪ গোল করেন রোনালদো। কিন্তু গত জুন-জুলাইয়ে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ইউরোয় পর্তুগালের পাঁচ ম্যাচে একবারও জালের দেখা পাননি ৩৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। কোয়ার্টার-ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় বিদায় নিতে হয় ২০১৬ আসরের চ্যাম্পিয়নদের।
এবারের ব্যালন দ’র জেতার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র, ক্লাবটির স্প্যানিশ অধিনায়ক দানি কারভাহাল, ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ অধিনায়ক রদ্রি এবং ইন্টার মিলানের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্তিনেস।
আরও পড়ুন: ব্যালন দ’র: ভিনিসিউস, বেলিংহ্যামকে ফেভারিট মনে করেন না কারভাহাল
ব্যালন দ’রের জন্য মনোনীত ৩০ জন: জুড বেলিংহ্যাম (রিয়াল মাদ্রিদ), রুবেন দিয়াস (ম্যানচেস্টার সিটি), ফিল ফোডেন (ম্যানচেস্টার সিটি), ফেদেরিকো ভালভার্দে (রিয়াল মাদ্রিদ), এমিলিয়ানো মার্তিনেস (অ্যাস্টন ভিলা), আর্লিং হালান্ড (ম্যানচেস্টার সিটি), নিকো উইলিয়ামস (আথলেতিক বিলবাও), গ্রানিট জাকা (বায়ের লেভারকুজেন), আর্তেম দবভিক (জিরোনা/রোমা), টনি ক্রুস (রিয়াল মাদ্রিদ), ভিনিসিউস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), দানি অলমো (লাইপসিগ/বার্সেলোনা), ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টস (বায়ের লেভারকুজেন), মার্টিন ওডেগোর্ড (আর্সেনাল), মাটস হুমেলস (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড), রদ্রি (ম্যানচেস্টার সিটি), হ্যারি কেইন (বায়ার্ন মিউনিখ), ডেকলান রাইস (আর্সেনাল), ভিতিনিয়া (পিএসজি), কোল পালমার (ম্যানচেস্টার সিটি/চেলসি), দানি কারভাহাল (রিয়াল মাদ্রিদ), লামিন ইয়ামাল (বার্সেলোনা), বুকায়ো সাকা (আর্সেনাল), হাকান চালানোলু (ইন্টার মিলান), উইলিয়াম সালিবা (আর্সেনাল), কিলিয়ান এমবাপ্পে (পিএসজি/রিয়াল মাদ্রিদ), লাউতারো মার্তিনেস (ইন্টার মিলান), আদেমোলা লুকমান (আতালান্তা), আন্টোনিও রুয়েডিগার (রিয়াল মাদ্রিদ) ও আলেক্স গ্রিমালদো (বায়ের লেভারকুজেন)।
৩ মাস আগে
মেসিকে ছাড়াই বিশ্বকাপ বাছাই খেলবে আর্জেন্টিনা
কোপা আমেরিকার ফাইনালে চোট পাওয়ার পর জাতীয় দল ও ক্লাব থেকে সম্পূর্ণ বাইরে রয়েছেন লিওনেল মেসি। এবার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আসন্ন দুই ম্যাচেও তাকে দলে পাচ্ছে না আর্জেন্টিনা।
আগামী মাসে চিলি ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে কনমেবল অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাই খেলবে আর্জেন্টিনা। ওই দুই ম্যাচের জন্য সোমবার (১৯ আগস্ট) দল ঘোষণা করেছেন লিওনেল স্কালোনি। ঘোষিত ২৮ সদস্যের দলে জায়গা হয়নি ৩৭ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রোর।
তিনি ছাড়াও রিভার প্লেট গোলরক্ষক ফ্রাঙ্কো আরমানিকে স্কোয়াডে রাখা হয়নি। এছাড়া ফরোয়ার্ড মার্কোস আকুনিয়া ও পাওলো দিবালারও জায়গা হয়নি দলে। কোপা আমেরিকা শেষে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ায় আনহেল দি মারিয়াকেও পাচ্ছেন না কোচ স্কালোনি।
তবে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন সৌদি আরবের ক্লাব আল কাদসিয়াহর মিডফিল্ডার এসেকিয়েল ফের্নান্দেস। এছাড়া লাৎসিওর ২৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ভালেন্তিন কাস্তেয়ানোসকেও স্কোয়াডে রেখেছেন কোচ।
আরও পড়ুন: মায়ামিতেই শেষ, জানিয়ে দিলেন মেসি
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ঘরের মাঠে চিলিকে আতিথ্য দেবে আর্জেন্টিনা। এর চার দিন পর কলম্বিয়ার মাঠে খেলবে যাবে তিনবারের বিশ্বকাপ জয়ীরা।
চিলি ও কলম্বিয়ার বিপেক্ষ আর্জেন্টিনা স্কোয়াড:
গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্তিনেস (অ্যাস্টন ভিলা), ওয়াল্তার বেনিতেস (পিএসভি আইন্দহোভেন), জেরোনিমো রুলি (অলিম্পিক মার্শেই) ও হুয়ান মুসো (আতালান্তা)।
ডিফেন্ডার: গনসালো মন্তিয়েল (সেভিয়া), নাহুয়েল মলিনা (আতলেতিকো মাদ্রিদ), ক্রিস্তিয়ান রোমেরো (টটেনহ্যাম হটস্পার), হেরমান পেস্সেইয়া (রিভার প্লেট), লিওনার্দো বেলার্দি (অলিম্পিক মার্শেই), নিকোলাস ওতামেন্দি (বেনফিকা), লিসান্দ্রো মার্তিনেস (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড) ও নিকোলাস তাগলিয়াফিকো (লিঁও)।
মিডফিল্ডার: ভালেন্তিন বার্কো (ব্রাইটন), লেয়ান্দ্রো পারেদেস (রোমা), গিদো রদ্রিগেস (ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড), আলেক্সিস মাক আলিস্তের (লিভারপুল), এনসো ফের্নান্দেস (চেলসি), জিওভানি লো সেলসো (টটেনহ্যাম হটস্পার), এসেকিয়েল ফের্নান্দেস (আল কাদসিয়াহ) ও রদ্রিগো দে পল (আতলেতিকো মাদ্রিদ)।
ফরোয়ার্ড: নিকোলাস গন্সালেস (ফিওরেন্তিনা), আলেহান্দ্রো গারনাচো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), মাতিয়াস সুলে (রোমা), গিলিয়ানো সিমিওনে (আতলেতিকো মাদ্রিদ), ভালেন্তিন কারবোনি (অলিম্পিক মার্শেই), হুলিয়ান আলভারেস (আতলেতিকো মাদ্রিদ), লাউতারো মার্তিনেস (ইন্টার মিলান) ও ভালেন্তিন কাস্তেয়ানোস (লাৎসিও)।
আরও পড়ুন: ১-০ গোলে কলম্বিয়াকে হারিয়ে ১৬তম কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতে আর্জেন্টিনার রেকর্ড
৪ মাস আগে
মেসির পেনাল্টি মিসের পর দিবুর কীর্তিতে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলল দুর্বল ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা আর্জেন্টিনা। অতিরিক্ত সময়ে গোল করে ম্যাচে ফিরে আরও একটি গোলের সুযোগ নষ্ট করে একুয়েডর। এরপর ম্যাচ পেনাল্টিতে গড়ালে প্রথম শটটিই মিস করেন লিওনেল মেসি। তবে ফের গোলরক্ষক দিবু মার্তিনেসের বীরত্বে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে কোপার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
শুক্রবার সকালে একুয়েডরের বিপক্ষে কোপা আমেরিকার প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি ১-১ ব্যবধানে শেষ হওয়া পর তা পেনাল্টিতে গড়ায়। এরপর শুটআউটে ৪-২ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে আর্জেন্টিনা।
এদিন ম্যাচজুড়ে দুই দলের আক্রমণেই তেমন ধার খুঁজে পাওয়া যায়নি। বল দখলের লড়াইয়েও দুদল ছিল সমানে সমান (৫১/৪৯)। গোলের জন্য আর্জেন্টিনার আটটি শটের দুটি ছিল লক্ষ্যে, অপরদিকে ৯টি শট নিয়ে দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে একুয়েডর।
আরও পড়ুন: কোপার কোয়ার্টারে কবে কে কার মুখোমুখি
শঙ্কা কাটিয়ে মেসির ফেরার দিনে ফাউল করে একুয়েডর ম্যাচ শুরু করার পর দুই দলই সাবধানে খেলা শুরু করে। আক্রমণ বারবার দিক পরিবর্তন করার পর ১৫তম মিনিটে প্রথম শট নেয় একুয়েডর।
মইজেজ কাইসেদোর বাড়ানো পাস বাঁ পাশ থেকে ৬ গজ বক্সের মধ্যে ধরে শট নেন ইয়েরেমি সারমিয়েন্তো। তবে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো (দিবু) মার্তিনেস তা ঠেকিয়ে দেন। পরমুহূর্তে বক্সের ভেতর থেকে কেন্দ্রি পায়েসের শট গোলপোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। ফলে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা এড়ায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
পরের মিনিটে একুয়েডরের আরও একটি শট পোস্টের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধে এই তিনটি শটই নেন ফেলিক্স সানচেজের শিষ্যরা।
এরপর ধীরে ধীরে খেলায় ফেরে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ২৭তম মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ তৈরি করে তারা। নাহুয়েল মলিনার ক্রস থেকে হেডারে গোল আদায়ের চেষ্টা করেন ডি বক্সের মাঝমাঝি থাকা এনসো ফের্নান্দেস। তবে তা ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।
এরপর ৩৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় আলবিসেলেস্তেরা। ৩৪তম মিনিটে মেসির বাড়ানো পাস থেকে বক্সের ভেতর থেকে শট নেন এনসো, কিন্তু তার শটটি রক্ষণে প্রতিহত হলে কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। কর্নার থেকে আসা ক্রসে মাথা লাগিয়ে দূরের পোস্টের দিকে বল ঠেলে দেন আলেক্সিস মাক আলেস্তার। এরপর বাঁ পাশে ছয় গজ বক্সের মধ্যে থাকা লিসান্দ্রো মার্তিনেস লাফিয়ে উঠে বল জালিয়ে জড়িয়ে দেন।
আর্জেন্টিনার জার্সিতে এটিই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ডিফেন্ডারের প্রথম গোল। আর চলতি কোপার আসরে প্রথমার্ধে এই প্রথম গোল পেল আর্জেন্টিনা।
এরপর কোনো পাশে আর তেমন সুযোগ তৈরি করতে না পেরে বিরতিতে যায় দুই দল।
৫ মাস আগে
কোয়ার্টার ফাইনালেও অনিশ্চিত মেসি
উরুতে চোট পাওয়ায় কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। শঙ্কা এড়াতে পেরুর বিপক্ষে ওই ম্যাচে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল। তবে শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হতে চলা কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচেও তাকে পাওয়া নিয়ে জেগেছে অনিশ্চয়তা।
শুক্রবার সকাল ৭টায় ‘বি’ গ্রুপের রানার্স-আপ একুয়েডরের বিপক্ষে মাঠে নামবে ‘এ’ গ্রুপসেরা আর্জেন্টিনা।
গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে চিলির বিপক্ষে মাঠে নেমে চোট পান আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো। ম্যাচের ২৪তম মিনিটে চিলির ডিফেন্ডার গাব্রিয়েল সুয়াসোর সঙ্গে বল দখলের চ্যালেঞ্জে গিয়ে ডান পায়ের উরুতে টান লাগে মেসির। এরপর ম্যাচ চলাকালেই তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। অবশ্য ম্যাচটি শেষ করেই মাঠ ছাড়েন তিনি।
আরও পড়ুন: ইনজুরিতে মেসি, পেরুর বিপক্ষে বিশ্রাম
বৃহস্পতিবার দলের সঙ্গে মেসি অনুশীলন করলেও কোচ লিওনেল স্কালোনি জানিয়েছেন, ‘(মেসির ব্যাপারে) আমরা আরও কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে তারপর সিদ্ধান্ত নেব। তার কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
‘তাকে খেলানোর চেষ্টাই করব, কিন্তু যদি তা না হয়ে ওঠে, তাহলে সেরা বিকল্প খুঁজে বের করা হবে। তার সঙ্গে কথা বলার আগে সে আরও খানিকটা অনুশীলন করুক, নিজেই বুঝুক- এটাই আমি ঠিক বলে মনে করি।’
একুয়েডরকে নিয়ে প্রশ্নের জবাবে স্কালোনি বলেন, ‘একুয়েডরে একজন ভালোর কোচের তত্বাবধায়নে ভালো ভালো সব খেলোয়াড় রয়েছে। এবারের আসরে তারা অন্যতম সেরা দল। শিরোপার লড়াইয়েই যে (আগামীকাল) তারা মাঠে নামবে, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’
এবারের কোপা আমেরিকা আসরে পরিষ্কার ভেবারিট বলে কোনো দল নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘যে কেউ ফাইনালে উঠতে পারে। কলম্বিয়া-ব্রাজিল ম্যাচটির কথাই ধরুন, সেটি খুব উঁচু মানের একটি ম্যাচ ছিল। উরুগুয়েও খুব ভালো করছে। তাই যে কেউ চ্যাম্পিয়ন হতে পারে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।’
আরও পড়ুন: কোপার কোয়ার্টারে কবে কে কার মুখোমুখি
৫ মাস আগে
ইনজুরিতে মেসি, পেরুর বিপক্ষে বিশ্রাম
পায়ের উরুতে চোট পাওয়ায় কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে লিওনেল মেসিকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচে চিলির বিপক্ষে মাঠে নেমে চোট পান আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো।
কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করার ওই ম্যাচটি ১-০ গোলে জেতে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ২৪তম মিনিটে চিলির ডিফেন্ডার গাব্রিয়েল সুয়াসোর সঙ্গে বল দখলের চ্যালেঞ্জে গিয়ে ডান পায়ের উরুতে টান লাগে মেসির। এরপর ম্যাচ চলাকালেই তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। অবশ্য ম্যাচটি শেষ করেই মাঠ ছাড়েন তিনি।
তবে শুক্রবার আর্জেন্টিনার সহকারী কোচ ওয়াল্টার স্যামুয়েল জানিয়েছেন, মেসির ইনজুরির বিষয়টি প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
‘তার অনুপস্থিতি শুধু আমাদের জন্যই নয়, সর্বোপরি ফুটবলের জন্যই বিরাট বড় ধাক্কা।’
আরও পড়ুন: লাউতারোর গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা
গত মৌসুমে মেজর সকার লিগে (এমএলএস) যোগদানের পর থেকেই ইনজুরি ভোগাচ্ছে লিওনেল মেসিকে। তবে ঠাসা সূচির মধ্যেও তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট খেয়াল রাখেন মায়ামি কোচ তাতা মার্তিনো।
পায়ের চোটে প্রথম মৌসুমের ইন্টার মায়ামির ছয়টি ম্যাচ খেলতে পারেননি মেসি। এছাড়া পরের মৌসুমের শুরুতে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ার কারণেও বেশ কয়েকটি ম্যাচে ডাগআউটে বসে থাকতে হয় তাকে।
কোপা আমেরিকায় প্রথম দুই ম্যাচ জিতে শেষ আট নিশ্চিত করলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে তৃতীয় ম্যাচে জয় প্রয়োজন আর্জেন্টিনার। দুই ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে লিওনেল স্কালোনির দল।
রবিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় ১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে থাকা পেরুর বিপক্ষে মাঠে নামবে স্কালোনির শিষ্যরা। একই সময় কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামবে চিলি ও কানাডা।
আরও পড়ুন: প্যারাগুয়েকে উড়িয়ে শঙ্কা কাটাল ব্রাজিল
দুই ম্যাচে এক জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে কানাডা। অন্যদিকে, এক ড্রয়ে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে চিলি। ফলে ড্র করতে পারলেও কোয়ার্টারের টিকিট পাওয়া তুলনামূলক সহজ হবে কানাডার জন্য। আর শেষ আট নিশ্চিত করতে জয়ের বিকল্প নেই চিলির।
শেষ আটে খেলার স্বপ্ন অবশ্য শেষ হয়ে যায়নি পেরুরও। আর্জেন্টিনাকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারলে কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে নকআউট পর্বে উঠে যেতে পারে তারাও।
আরও পড়ুন: ইউরোর শেষ ষোলো চূড়ান্ত, কে কবে কার মুখোমুখি
৫ মাস আগে
লাউতারোর গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনাকে ৮৮ মিনিট পর্যন্ত আটকে রেখেও শেষ পর্যন্ত হেরে গেল চিলি। দ্বিতীয় ম্যাচেও গোল পেয়ে প্রতিপক্ষের ডেডলক ভেঙে দলকে জয় এনে দিলেন সুপার সাব লাউতারো মার্তিনেস।
জর্জিয়ার মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় কোপা আমেরিকার দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও চিলি। লাউতারো মার্তিনেসের ৮৮তম মিনিটের গোলে ১-০ গোলে ম্যাচটি জিতেছে আর্জেন্টিনা।
এই জয়ে প্রথম দুই ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকে টুর্নামেন্টে সবার আগে শেষ আট নিশ্চিত করেছে মেসি অ্যান্ড কোং। গ্রুপের বাকি ম্যাচটি তারা খেলবে ৩০ জুন। ওইদিন সকাল ৬টায় পেরুর বিপক্ষে মাঠে নামবে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
ম্যাচে মোট ২২টি শট নেয় আর্জেন্টিনা, এর মধ্যে ৯টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে, মাত্র তিনটি শট নিয়ে তিনটিই লক্ষ্যে রাখে চিলি। এই তিন শটের প্রতিটিই ছিল বিপজ্জনক।
৫ মাস আগে
শেষ লগ্নেও মায়া ছড়িয়ে চলেছেন মেসি রোনালদো
এক যুগ আগে শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু করেছিলেন ফুটবলের দুই বরপুত্র লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ক্যারিয়ারের গোধুলি লগ্নে তা থেকে অনেকটাই বের হয়ে গেছেন তারা; দুজনের পথ গেছে দুদিকে বেঁকে। তারপরও জাদুকরি ফুটবল দক্ষতায় যেসব কাজ তারা প্রতিনিয়ত করে চলেছেন, তাতে সেই পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ফের টেনে আনতে বাধ্য হন ভক্ত-সমর্থকরা।
শনিবার সৌদি প্রো লিগের ম্যাচে ঘরের মাঠে আল ওয়েহদাকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয় আল নাসর। এই ম্যাচে আরও একটি হ্যাটট্রিক নিজের ঝুলিতে পুরেছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার।
এ নিয়ে ৭ ম্যাচে তৃতীয়বার হ্যাটট্রিক করলেন রোনালদো। আল নাসরের হয়ে সব মিলিয়ে তার হ্যাটট্রিক হলো ৬টি। গোটা ক্যারিয়ারে ৬৬টি।
অসামান্য পারফর্ম্যান্স দিয়ে যখন মরুর সন্ধ্যা আলোকিত করছেন রোনালদো, তখন অন্যপ্রান্তে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে মায়াবী ফুটবলের প্রদর্শনী চালাচ্ছেন ফুটবলের আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো লিওনেল মেসি।
মায়াবীই বটে। টানা ছয় ম্যাচে অপরাজিত থাকা নিউ ইয়র্ক রেড বুলসকে গোলের বন্যায় ভাসিয়ে দিল ইন্টার মায়ামি। একটি মাত্র গোল করেছেন মেসি। কিন্তু তার চেয়েও বেশি কিছু তার পারফর্ম্যান্স।
রেড বুলসকে ৬-২ গোলে হারানোর ম্যাচে পাঁচটি গোলই তৈরি করে দিয়েছেন মেসি। নিজে করেছেন বাকি গোলটি। বন্ধু সুয়ারেজকে দিয়ে করিয়েছেন হ্যাটট্রিক।
এক গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করা মায়ামিকে যখন আরও একটি হার চোখ রাঙাচ্ছিল, ঠিক তখনই জ্বলে ওঠেন এ ক্ষুদে জাদুকর। দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক জাদুর ছোঁয়ায় দর্শকদের মোহাচ্ছন্ন করে রাখেন তিনি। অসাধারণ সব ড্রিবলিং, ওয়ান টু ওয়ান আর বক্সে মাপা পাস বাড়িয়ে যখন সতীর্থদের দিয়ে একেকটি অনিবার্য গোল করাচ্ছিলেন, তখন মন্ত্রমুগ্ধের মতো হাততালি দিচ্ছিল প্রতিপক্ষের দর্শকরাও।
এক ম্যাচে পাঁচ অ্যাসিস্টের ঘটনা মেজর সকার লিগে এটিই প্রথম। আর সেটা যেন ফুটবলের কাছ থেকে সবকিছু পাওয়ার পর মেসির কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি ভঙ্গি মাত্র।
এ নিয়ে চলতি মৌসুমে ১১ ম্যাচে ১২ গোলের পাশাপাশি ১১টি অ্যাসিস্ট, অর্থাৎ ১১ ম্যাচে ২৩ গোলে অবদান রাখলেন মেসি।
অন্যদিকে, চলতি মৌসুমে ৫২ ম্যাচ খেলে ৫২ গোল ও ১৪টি অ্যাসিস্ট, অর্থাৎ ৬৬টি গোলে সরাসরি অবদান রোনালদোর।
ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসেও প্রদীপ্ত প্রদীপের মতো উজ্জ্বল অথচ মায়াবী আলো ছড়িয়ে চলেছেন ফুটবল ভক্তদের মাঝে আসা ঈশ্বরের দুই আশীর্বাদ।
৭ মাস আগে