ড. ইউনূস
বিমসটেক ইয়াং জেন ফোরামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ড. ইউনূস
তরুণ উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করবে এমন ফোরাম বিমসটেক ইয়াং জেন ফোরামে প্রধান বক্তা হিসেবে যোগ দেবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আগামী ৩ এপ্রিল আইকনসিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক ইয়াং জেন ফোরামে (তরুণ প্রজন্ম সম্মেলনে) তরুণ ব্যবসায়ী নেতাদের ধারণা বিনিময় এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা অন্বেষণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
২ থেকে ৪ এপ্রিলের মধ্যে থাইল্যান্ডের ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন এবং এ সম্পর্কিত বৈঠকের অংশ এই সম্মেলন।
আরও পড়ুন: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন: ড. ইউনূস
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, ড. ইউনূস বিমসটেক সদস্য দেশগুলোতে তরুণদের জন্য তাদের সহযোগিতা ও মেধা বিকাশের জন্য কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে মূল ব্যক্তি।
ড. ইউনূস তার অসামান্য অর্জনের জন্য অর্থনীতিবিদ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
দরিদ্রদের ক্ষমতায়নে তিনি ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তন করেন, যাতে তারা উদ্যোক্তা হতে পারে।
ড. ইউনূস ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন।
তার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত করা। ২০০৬ সালে তিনি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার পান।
আগামী ৪ এপ্রিল ব্যাংককে অনুষ্ঠেয় বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে ড. ইউনূসের।
কর্মকর্তারা জানান, থাইল্যান্ড বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবে এবং বাংলাদেশ সেখানে বিমসটেকের পরবর্তী সভাপতির দায়িত্ব নেবে।
আরও পড়ুন: মার্চেই রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাচ্ছেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও ড. ইউনূস
থাইল্যান্ড ২০২২ সালের ৩০ মার্চ শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে বিমসটেকের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড এই সাতটি সদস্য দেশ নিয়ে বিমসটেক গঠিত।
বিমসটেকের সেক্রেটারি জেনারেল ইন্দ্র মণি পান্ডে সম্প্রতি বলেছেন, এই শীর্ষ সম্মেলন কিছু উল্লেখযোগ্য ফলাফল বয়ে আনবে। তিনি বলেন, ‘এটি বিমসটেকের ভবিষ্যতের জন্য একটি দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করবে।’
২ দিন আগে
আগামী ঈদ নিজ দেশে করবে রোহিঙ্গারা, প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
রোহিঙ্গারা যেন আগামী বছর মিয়ানমারে তাদের নিজ বাড়িতে ফিরে গিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারে, সেই লক্ষ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারের উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ইফতার মাহফিলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও অংশগ্রহণ করেন।
রোহিঙ্গাদের উদ্দেশে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে দোয়া গরি সাম্মর বার যেন অনরা নিজর বাড়িত যাইয়ারে ঈদ গরিত পারন।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল নিশ্চিতে সবকিছু করবে জাতিসংঘ: গুতেরেস
১০ দিন আগে
খুরুশকুল জলবায়ু উদ্বাস্তু পুর্নবাসন প্রকল্প পরিদর্শনে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা
খুরুশকুল জলবায়ু উদ্বাস্তু পুর্নবাসন প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রকল্পের ঘর কাদের দেওয়া হয়েছে, কী প্রক্রিয়ায় দেওয়া হয়েছে—এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি (ঘর পাওয়া ব্যক্তিদের) তালিকা করার ক্ষেত্রে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ এবং দায়িত্ব বণ্টন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতেও জোর দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) খুরুশকুল জলবায়ু উদ্বাস্তু পুর্নবাসন প্রকল্প পরিদর্শনকালে তিনি এসব বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যাদের পুর্নবাসন করার কথা তারাই বাড়িঘরগুলোতে উঠতে পারছে কি না, অন্য কেউ এসে নিয়ম না মেনে অসাধু উপায়ে উঠে পড়ছে কি না—এগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। ভবন তো টাকা দিলেই নির্মাণ হচ্ছে, কিন্তু যে লক্ষ্যে ভবন নির্মাণ করতে চাচ্ছি, সেটা পূরণ না হলে তো এসবের কোনো অর্থ নেই।’
আরও পড়ুন: সবার টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে জাতিসংঘকে পাশে পাবে বাংলাদেশ: গুতেরেস
প্রকল্পের একটি জমি ২০১৭ সাল থেকে বেক্সিমকো গ্রুপ দখলে রেখেছে বলে এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে জানান সংশ্লিষ্টরা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এটি নিয়ে আদালতের রায় হওয়ার কথা রয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘এতদিন ধরে অসীম দুর্নীতি চলেছে। যাদের সুবিধা পাওয়ার কথা তাদের না দিয়ে নিজেদের পছন্দের লোকজনকে দিয়ে দিয়েছে, টাকা-পয়সারও লেনদেন হয়েছে। কিন্তু যাদের নায্য পাওনা ছিল তারা পায়নি।’
‘কিন্তু এ ভুল আর করা যাবে না। প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হতে হবে, যেন কোনো ধরনের দুর্নীতি হতে না পারে। তত্ত্বাবধায়ন ঠিকমতো হতে হবে। কার কী দায়িত্ব—পরিষ্কার হতে হবে।’
১০ দিন আগে
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন: ড. ইউনূস
আগামী বছর স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ফলে সম্ভাব্য যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ড. ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ড. ইউনূস এ নির্দেশনা দেন।
প্রেস সচিব বলেন, সে অনুযায়ী বেশ কিছু অবস্থানপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'আমরা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা বলতে পারি ২০২৬ সালে যখন আমরা উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবো, তখন আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের মর্যাদা আরও বাড়বে এবং ব্যবসা করার সক্ষমতাও বাড়বে।’
২০২৬ সালের নভেম্বরে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের কথা রয়েছে বাংলাদেশের।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে শফিউল আলম বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে এবং আজকের (বৃহস্পতিবার) সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে গ্র্যাজুয়েশনে যাবে।
সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
গ্র্যাজুয়েশনের পর বাংলাদেশ প্রায় সব ধরনের বাণিজ্য সুবিধা যেমন শূন্য শুল্ক সুবিধা পাওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়বে এবং ট্রেড রিলেটেড অ্যাসপেক্টস অব ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস (টিআরআইপি) কঠোরভাবে মেনে চলবে।
তবে ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর আরও তিন বছর শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।
এক বছর আগে আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে ১৬৬ সদস্য দেশ এই সম্প্রসারণ অনুমোদন করে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর, আবুল কালাম আজাদ ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নারীদের ওপর সাম্প্রতিক হামলা উদ্বেগজনক: প্রধান উপদেষ্টা
১১ দিন আগে
মার্চেই রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাচ্ছেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও ড. ইউনূস
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ সফরকালে বার্ষিক রমজান সংহতি সফরের অংশ হিসেবে আগামী ১৪ মার্চ জাতিসংঘ মহাসচিবের এই পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
পরিদর্শনকালে গুতেরেস স্থানীয় বাংলাদেশি জনগোষ্ঠী ও মিয়ানমারে নিপীড়ন ও সহিংসতা থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে ইফতার করবেন। যা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার বাংলাদেশের উদারতার স্বীকৃতি।
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে জানান, প্রধান উপদেষ্টা ১৪ মার্চ সকালে কক্সবাজারের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং একই দিন সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।
আরও পড়ুন: চুরির কোটি কোটি টাকা উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান ড. ইউনূসের
রমজানের প্রতি সংহতি সফরের অংশ হিসেবে অ্যান্তোনিও গুতেরেস ১৩ থেকে ১৬ মার্চ ঢাকা সফর করবেন। এসময় তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানিয়েছেন গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
বাংলাদেশ সফরকালে তিনি ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের পাশাপাশি সুশীল সমাজের তরুণ প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন।
জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবে এক দশকের দীর্ঘ মেয়াদে জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বাস্তুচ্যুত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে নিয়মিত রমজান পালন করার জন্য সংহতি সফরকে একটি বার্ষিক ঐতিহ্যে পরিণত করেছেন গুতেরস।
গুতেরেস এক বার্তায় বলেন, 'প্রতি রমজানে আমি বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংহতি সফর করি এবং রোজা রাখি। এই মিশন বিশ্বকে ইসলামের আসল চেহারা মনে করিয়ে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘রমজান করুণা, সহানুভূতি এবং উদারতার মূল্যবোধকে তুলে ধরে। এটি পরিবার এবং সম্প্রদায়ের সঙ্গে পুনর্মিলনের একটি সুযোগ...। আমি সবসময় এই মৌসুমে অসাধারণ শান্তির অনুভূতিতে আরও অনুপ্রাণিত হই।
জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস সম্প্রতি ড. ইউনূসকে লেখা এক চিঠিতে আশা প্রকাশ করেন যে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন বৈশ্বিক অগ্রাধিকারকে নবায়ন করবে এবং তাদের দুর্দশার বৃহত্তর সমাধানকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।
গুতেরেস বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একত্রিত করতে তার তৎপরতা অব্যাহত রাখবে।
তিনি লিখেছেন, 'রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় রাখাইনে ফিরে যাওয়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিসহ মিয়ানমারের সংকটের রাজনৈতিক সমাধানে আমি আমার সদিচ্ছা অব্যাহত রাখব। সেই লক্ষে আঞ্চলিক পক্ষ, অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব রাখাইনের জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা ও জীবিকার সহায়তা কীভাবে সর্বোচ্চ করা যায়—সে বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমগুলোকে দিকনির্দেশনা দিতে তার জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপকদের অনুরোধ করেছেন।
জাতিসংঘ মিয়ানমারের সমন্বয়কারী এবং আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারীর সম্পৃক্ততাকে অগ্রাধিখার দেবে। যার মাধ্যমে রাখাইন এবং পুরো মিয়ানমারে অভাবী লোকদের জন্য জরুরি ত্রাণ, নিরাপদ, দ্রুত, টেকসই এবং অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা যায়।
আরও পড়ুন: শিগগিরই চীন, থাইল্যান্ড ও জাপান সফরে যাবেন ড. ইউনূস
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ ব্যবস্থা কীভাবে প্রক্রিয়াটিকে সর্বোত্তমভাবে সমর্থন করতে পারে—তা বোঝার জন্য আমরা সদস্য রাষ্ট্রের পরামর্শের পরে সম্মেলনের সম্মত ফলাফল এবং পরিকল্পনার জন্য অপেক্ষা করছি।’
তিনি চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসকে তার চিঠির জন্য ধন্যবাদ জানান। যেটি ৭ ফেব্রুয়ারি রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকার বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান তার কাছে পৌঁছে দেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের দৃঢ় সংহতি এবং ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় তাদের সমর্থনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলে রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাব এবং রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন তিনি।
১৪ দিন আগে
'বেওয়ারিশ লাশমুক্ত' মানবিক সমাজ গড়ার আহ্বান ড. ইউনূসের
বাংলাদেশে বেওয়ারিশ লাশ বলে কোনো শব্দ থাকবে না এমন একটি মানবিক সমাজ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। মানবতার সেবায় কয়েক দশকের নিবেদিত আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসাও করেন তিনি।
সোমবার (৩ মার্চ) আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম পরিচালিত একটি হোমের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ইফতারের আগে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
নবনির্মিত বহুতল আঞ্জুমান জেআর টাওয়ারে এ ইফতার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টা নতুন ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ‘এটি অনেক দিক থেকে একটি স্বাতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। আসুন বেওয়ারিশ লাশের মতো কিছু থেকে মুক্ত সমাজ গড়ে তুলি।’ এই উপমহাদেশে এমন আর কোনো প্রতিষ্ঠান আছে কিনা জানি না—যা সমাজের অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য সেবা দিয়ে খুব দীর্ঘকাল ধরে টিকে ছিল।
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের বহুমুখী সেবার বর্ণনা দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, যারা এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন তাদের জন্য আমরা গর্বিত।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে আসা এবং খুব ভালোভাবে জানার জন্য এটি তার জন্য একটি বড় সৌভাগ্য—যার কথা তিনি ছোটবেলা থেকে শুনে আসতেন।
তিনি বলেন, ‘এটা আমার জন্য অনেক বড় সুযোগ। আমি সত্যিই এটা অনুভব করি। কোভিড-১৯ এর সময় প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ আমি নিজের চোখে এই প্রতিষ্ঠানটিকে দেখেছি।
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশে এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান পেয়ে আমরা গর্ববোধ করি এবং এর কর্মসূচি আরও বিস্তৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম একটি বাংলাদেশি কল্যাণমূলক সংস্থা যা এতিম ও দুঃস্থদের জীবিকা নির্বাহের জন্য বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে, যা দশকের পর দশক ধরে সবচেয়ে দরিদ্রদের সেবা করে আসছে।
আঞ্জুমানের সভাপতি মুফিদুল ইসলাম মুফলেহ আর ওসমানী বলেন, জমির বর্তমান বাজার মূল্য ২০০ কোটি টাকা এবং ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯০ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, তারা সরকারের কাছ থেকে ২৬ কোটি টাকা পেয়েছেন, যা বিভিন্ন দাতাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অনুদানের পাশাপাশি একটি বড় সহায়তা হিসাবে দেখছেন। ‘আল্লাহ তাদের দান কবুল করুন।’
খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কিছু সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার পরে বিচক্ষণতার সঙ্গে বিষয়গুলো মোকাবিলা করার জন্য সংগঠনের সভাপতির প্রশংসা করেন।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এটি অনেক পুরনো একটি প্রতিষ্ঠান এবং তাদের নিবেদিত সেবায় তিনি মুগ্ধ। তিনি বলেন, ‘আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে এখন সবাই চেনে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এখানে আসতে পেরে আমি আনন্দিত।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের নির্বাহী পরিচালক আবদুল জলিল ও আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান।
আরও পড়ুন: হাসিনার নৃশংসতার দলিল সংরক্ষণ করা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা
২১ দিন আগে
জার্মানির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চান ড. ইউনূস, ডিসেম্বরে হতে পারে নির্বাচন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে জার্মানির সহায়তা কামনা করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সরকার চলতি বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচন দিতে পারে।
তিনি বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশের জন্য আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই। জাতীয় নির্বাচনকে সফল করতে আমরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি।’
ড. ইউনূস বলেন, ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক বাড়ানোর লক্ষ্যে জার্মানির সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক গড়তে চায় বাংলাদেশ।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জার্মান সরকারের কমিশনার জারাহ ব্রুনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে জাতিসংঘ মহাসচিবের চিঠি, সংহতি প্রকাশ
জার্মানির জনগণ ও জার্মানির অর্থনীতির প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভারী শিল্পসহ অনেক ক্ষেত্রে জার্মানি বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ‘জার্মানির সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু আমরা জার্মানির সঙ্গে একটি ভিন্ন সম্পর্ক, বিশেষ সম্পর্ক রাখতে চাই।’
সামাজিক ব্যবসা ও ক্ষুদ্রঋণ সম্পর্কে জানতে বাংলাদেশ সফররত জারাহ ব্রুন অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, তার দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হবে।
জার্মানিতে সামাজিক ব্যবসা চালু করতে আগ্রহী উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আপনার কাজের প্রতি আমার অনেক আশা রয়েছে।’
তারা অধ্যপক ইউনূসের শুরু করা ‘থ্রি জিরো’ আন্দোলন, সামাজিক ব্যবসা, দারিদ্র্য বিমোচন সংক্রান্ত পদক্ষেপ এবং কল্যাণ রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ন্যায্য বিচার নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
বাংলাদেশ সরকারের এসডিজি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
২৫ দিন আগে
ড. ইউনূসকে জাতিসংঘ মহাসচিবের চিঠি, সংহতি প্রকাশ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। চিঠিতে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের প্রতি জাতিসংঘের দৃঢ় সংহতি এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের উত্তরণ প্রক্রিয়ার প্রতি জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন গুতেরেস।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘ মহাসচিবের লেখা চিঠির একটি অনুলিপি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
চিঠিতে জাতিসংঘ মহাসচিব লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলে রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাবের পাশাপাশি রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগের সঙ্গে আমি একমত। রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশকে সমর্থনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস অব্যাহত রাখবে জাতিসংঘ।’
রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরিসহ মিয়ানমারে সৃষ্ট সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংস্থা আসিয়ান এবং অন্যান্য অংশীদারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে দেশটিতে অবস্থানরত জাতিসংঘের বিশেষ দূতের মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন গুতেরেস।
তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল কীভাবে রাখাইনের জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহায়তা এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য সর্বোচ্চ সহায়তা দিতে পারে, সে ব্যাপারে সহযোগিতা করতে আমি আমার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি। রাখাইনসহ পুরো মিয়ানমারের সংকটপূর্ণ এলাকায় মানবিক সহায়তা যেন নিরাপদ, দ্রুত, টেকসই ও নির্বিঘ্ন হয়, তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ বদ্ধপরিকর। এ জন্য জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী এবং মিয়ানমারে অবস্থিত জাতিসংঘের আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারীর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ১৩ মার্চ বাংলাদেশ সফরে আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব
আসিয়ান সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব লিখেছেন, ‘রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের এই সম্মেলন নতুন করে সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এবং দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে ভূমিকা রাখবে। এই প্রক্রিয়াকে সর্বোচ্চ সমর্থনের জন্য (আসিয়ানের) সদস্য দেশগুলোর পরামর্শের পর সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনার জন্য আমরা অপেক্ষায় রয়েছি।’
আগামী ১৩ মার্চ চার দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে তার এই সফরে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কার্যকর আলোচনা হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা ও অগ্রাধিকার-বিষয়ক বিশেষ দূত ড. খলিলুর রহমান ড. ইউনূসের পাঠানো আমন্ত্রণপত্রটি হস্তান্তর করেন।
২৬ দিন আগে
‘হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার’ চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
হজযাত্রাকে সহজ, সুন্দর ও নিরাপদ করতে ‘হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার’ চালু করে হজযাত্রীদের সার্বক্ষণিক সেবার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পবিত্র হজ পালন সহজ করার জন্য মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে একটা সুযোগ দিয়েছেন; এই সুযোগ যেন আমরা সর্বোচ্চ কাজে লাগাই। একজন হজযাত্রীও যেন কোনো ধরনের ভোগান্তির শিকার না হন, সে প্রচেষ্টা থাকতে হবে।’
দেশে লাইসেন্স প্রাপ্ত হজ এজেন্সির সংখ্যা ১২৭৫টি। এর মধ্যে হজ কার্যক্রমের জন্য যোগ্য এজেন্সি ৯৪১টি, হজযাত্রী নিবন্ধনকারী এজেন্সি ৭৫৩টি ও লিড এজেন্সি ৭০টি।
এই এজেন্সিগুলোর দায়িত্ব কী হবে, সেটা সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করে বুকলেট আকারে ও অনলাইনে প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘সরকারের দায়িত্ব হলো এজেন্সিগুলোর দায়িত্ব পালন যেন সঠিকভাবে হয় তা নিশ্চিত করা, দায়িত্ব পালন না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। পুরো হজ প্রক্রিয়া হতে হবে সহজ ও স্পষ্ট। সরকারের দায়িত্ব কী, এজেন্সির দায়িত্ব কী—এসব সুস্পষ্টভাবে লিখিত থাকতে হবে।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘কেউ হারিয়ে গেলে, অসুস্থ হয়ে পড়লে, লাগেজ হারিয়ে গেলে বা অন্য কোনো ধরনের সমস্যায় করণীয় কী, কাকে জানাবে—এটার সুস্পষ্ট গাইডলাইন থাকতে হবে।’
‘হজযাত্রীদের প্রত্যেকের কাছে এই বুকলেট দিতে হবে। নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে পদক্ষেপ কী নেওয়া হবে, সেটাও (বুকলেটে) উল্লেখ থাকতে হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘দেশেই একটি হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার স্থাপন করতে হবে, যাতে করে বাংলাদেশে বসেই সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সেবা নিশ্চিত করা যায়। কল সেন্টারে যেসব অভিযোগ আসবে, সেগুলো এখান থেকে যেন সঙ্গে সঙ্গে মনিটরিং করা যায়।’
‘একটি ওয়েবসাইট করে দিতে হবে যেখান হজযাত্রীরা সবাই যুক্ত থাকবে। তারা তাদের অভিযোগ জানাতে পারবে; কেউ হারিয়ে গেলে সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তার লোকেশন (অবস্থান) খুঁজে পাওয়া যাবে।’
আরও পড়ুন: কোনো অবস্থাতেই হজ চুক্তির সময় আর বাড়ানো হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা
ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করার জন্য কলসেন্টারে কী ধরনের অভিযোগ আসছে, সেগুলো মনিটরিং করার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। বলেন, ‘কী ধরনের অভিযোগ আসছে, সেগুলো লিপিবদ্ধ করে ফেলতে হবে। এর মধ্যে কতগুলো সুরাহা হলো, কতগুলো হলো না—সে তথ্য থাকতে হবে। এই অভিযোগগুলো যেন পরের বছর না আসে, সেজন্য আলোচনা করে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।’
একই সঙ্গে কোনো এজেন্সি দায়িত্ব পালন না করলে তার লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তার ভাষ্যে, “হজযাত্রীদের অভিজ্ঞতা থেকে এজেন্সিগুলো রিভিউ করতে হবে। এজেন্সির প্রশিক্ষণ আছে কি না, সেটা মনিটরিং করতে হবে। কর্মীদের প্রশিক্ষণের ভিত্তিতে এজেন্সিগুলোতে ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ডি’ ক্যাটাগরি করে ফেলতে হবে। এই ক্যাটাগরির মান পূরণে যে এজেন্সিগুলো ব্যর্থ হবে, তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দেবেন।”
হজযাত্রীরা যেন যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেদের করণীয় সম্পর্কে অবগত থাকতে পারেন এবং কেউ যাতে বিভ্রান্ত না হন, সেজন্য বিষয়ভিত্তিক ভিডিও তৈরির নির্দেশও দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘প্রবলেম সলভিং ভিডিও হতে হবে। অসুস্থ হয়ে পড়লে, হারিয়ে গেলে, কোরবানি দিতে গিয়ে কোনো সমস্যা হলে করণীয় কী—এমন সব ভিডিও যাত্রীদের দেখিয়ে দিলে তারা মনোবল পাবেন; প্রস্তুত থাকতে পারবেন।’
এছাড়া, পরের বছর থেকে হজ ক্রেডিট কার্ড চালু ও লাগেজ ব্যবস্থাপনার জন্য ট্যাগ কপি করে তালিকা করে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘হজ ক্রেডিট কার্ড চালু করে দিলে হজযাত্রীদের ভোগান্তি কমে যাবে। দেশে ফেরার পর যে কার্ডে যে অর্থ থেকে যাবে, সেটা নগদ ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। সেজন্য চেক-ইনের পরে ট্যাগটা কপি করে রাখা যেতে পারে। ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে লাগেজ ট্যাগের তালিকা থাকবে।’
এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন হজের জন্য নিবন্ধন করেছেন। সরকারি খরচে এ বছর কাউকে হজে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। এছাড়া ধর্ম মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
২৭ দিন আগে
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ন্যায্য বিচার নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ২০০৯ সালে ঢাকার পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের সময় নিহত সামরিক কর্মকর্তাদের ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত করতে একটি রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবসের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা শহীদদের জাতির মেধাবী সন্তান হিসেবে সম্মানিত করে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন থেকে প্রতিবছর ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শহীদ সেনা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, স্বজন হারানোর এত বছর পরও স্বজন হত্যার বিচারের অপেক্ষায় শহীদদের পরিবারের সদস্যরা। পিলখানায় বীর সেনা সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যার পর জাতি হিসেবে আমাদেরকে বহু বছর ধরে বিভ্রান্তিতে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গাফিলতি পেলে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অধ্যাপক ইউনূস আশা প্রকাশ করেন, দেশ ও জনগণ সহানুভূতিশীল হয়ে শহীদ পরিবার ও সকল নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াবে। ‘এখন থেকে এই দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেবে একদল সাহসী মানুষের অপ্রত্যাশিত নৃশংস মৃত্যুর কথা, যারা আমাদের চেতনা ও অনুভূতির নিয়ামক হিসেবে দেশের জন্য লড়াই করার ব্রত নিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, দুঃশাসন, ষড়যন্ত্র ও আত্মঅহংকারে যেন আর কোনো প্রাণহানি না ঘটে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, 'আজকের এই দিনে আমরা জাতির শহীদ সৈনিকদের স্মরণে একটি স্বনির্ভর ও সভ্য বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার করছি। শহীদ সেনা দিবসে আমি আরও একবার জাতির পক্ষ থেকে সমস্ত শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক, অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত
২৭ দিন আগে