ড. ইউনূস
টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস
প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্বের একশ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিন। ২০২৫ সালের এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ক্ষুদ্রঋণের ধারণা ও সামাজিক ব্যবসার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) প্রকাশিত মর্যাদাপূর্ণ এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস।
টাইম ম্যাগাজিনে ড. ইউনূসকে নিয়ে লেখা মুখবন্ধে বলা হয়, গত বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাংলাদেশের স্বৈরচারী প্রধানমন্ত্রীর পতনের পর দেশকে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে নিতে একজন সুপরিচিত নেতা হাল ধরেন। তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত মোহাম্মদ ইউনূস।
মুখবন্ধটি লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। তিনি আরও লিখেছেন, কয়েক দশক আগে বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন ইউনূস। গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে ব্যবসা গড়ে তোলা ও পরিবার পরিচালনা করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ নিজেদের মর্যাদা ফেরাতে সক্ষম হয়েছেন। তার এই উদ্যোগের সুফল পেয়েছে লাখো মানুষ, যাদের ৯৭ শতাংশই নারী।
যুক্তরাষ্ট্রেও এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে ড. ইউনূস কীভাবে সহযোগিতা করেছিলেন, সে কথারও স্মৃতিচারণ করে হিলারি লেখেন, তিনি যখন তৎকালীন গভর্নর বিল ক্লিনটনকে সহযোগিতায় প্রথমবার আরকানসাসে আসেন, তখন তার সঙ্গে আমার প্রথম সাক্ষাৎ হয়। এরপর বিশ্বের যেখানেই আমি গিয়েছি, সেখানেই আমি তার (ইউনূস) কাজের অসাধারণ প্রভাবে জীবন বদলে যাওয়া, সমাজের উন্নয়ন ও নতুন করে আশার সঞ্চার হতে দেখেছি।
এখন মাতৃভূমির ডাকে ড. ইউনূস আরও একবার সাড়া দিয়েছেন উল্লেখ করে হিলারি লেখেন, তিনি বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনার দায়িত্ব নিয়েছেন। তার নেতৃত্বে মানবাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি জবাবদিহি চাইছেন। সেই সঙ্গে একটি ন্যায়সঙ্গত ও মুক্ত সমাজের ভিত্তি স্থাপন করছেন এই অর্থনীতিবিদ নেতা।
অর্থনৈতিক খাতসহ সামাজিক পরিবর্তন ও মানবিক নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে ড. ইউনূস এ স্বীকৃতি পেয়েছেন।
টাইম ম্যাগাজিনের ২০২৫ সালের প্রকাশিত তালিকায় ৩২টি দেশের ব্যক্তিত্বরা স্থান পেয়েছেন।
তালিকায় আরও রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শাইনবাউম, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসাস, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মেলিন্ডা গেটস, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লিয়েনসহ বাঘা বাঘা সব ব্যক্তিরা।
তালিকায় বিশ্বনেতা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে উদ্ভাবক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্বসহ বিনোদন জগতের মানুষের নামও রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি টেনিস খেলোয়াড় সেরেনা উইলিয়ামস, ফরমুলা ওয়ান ড্রাইভার ম্যাক্স ভেরস্টাপেন, ফরাসি সাঁতারু লিওঁ মারশাঁ, মার্কিন সংগীতশিল্পী (র্যাপার) স্নুপ ডগ, ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী এড শিরান, ব্রিটিশ পপ তারকা ডুয়া লিপা, হলিউড অভিনেত্রী ডেমি মুর, বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট প্রমুখ।
এছাড়া টেকসই ও মানবিক স্থাপত্যে অবদানের জন্য বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমও এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
নির্বাচন নিয়ে ড. ইউনূসের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখতে চায় জামায়াত
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জামায়াতে ইসলামী দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশ সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল এন চুলিক-এর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমাদের খোলামেলা কথা হয়েছে। তারা বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা জানতে চেয়েছেন। তারা আগামী নির্বাচন কখন হবে, কীভাবে হবে এটা জানতে চেয়েছেন। তারা আরও জানতে চেয়েছেন সবগুলো দল সংস্কার চাচ্ছে, সেই সংস্কার কেমন হতে পারে এবং আমরা কি চাচ্ছি?’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না: জামায়াত আমীর
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আগামীতে দেশের দায়িত্ব পাই তাহলে আমাদের ইকোনমিক পলিসি এবং ফরেন রিলেশনটা কেমন হবে? তারা আমাদের রিজিওনাল বা আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়গুলোও জানতে চেয়েছেন। আমরা এ সমস্ত বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছি।’
জামায়াত আমির বলেন, তারা মাইনরিটি ইস্যু (সংখ্যালঘু) নিয়ে কথা বলেছেন, তারা নারী অধিকার ও লেবার রাইটস নিয়েও কথা বলেছেন। আমরা তাদের এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।
দেশ জটিল পরিস্থিতিতে আছে ও গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিবাহিত করার সময় আমেরিকার ৩৭ শতাংশ শুল্কারোপ পুনর্বিবেচনা করার জন্য তাদের অনুরোধ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জানানোর অনুরোধ করেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের দলের ভেতরে গণতন্ত্র চর্চা করি এবং আমাদের দেশেও গণতন্ত্র চর্চা করতে চাই। এজন্য আমাদের যা করণীয় তা আমরা করব।
ডা. শফিকুর বলেন, জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযম নির্বাচনকে জীবন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কেয়ারটেকার সরকার ফর্মুলা প্রস্তাবনার মাধ্যমে। যেটা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দলীয় স্বার্থে এটাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছিল। এখন আবার গোটা জাতি এটা চাচ্ছে এবং আমরা আশাকরি এটা আবার সংবিধানে সন্নিবেশিত হবে।
আরও পড়ুন: রাজনীতিবিদদের কাঁদা ছোড়াছুড়ি জনগণ পছন্দ করে না: মিয়া গোলাম পরওয়ার
তিনি বলেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় প্রশ্নে আমরা বলেছি, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এ বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন দিবেন। আমরা আশা করি ইলেকশনটা এ সময়ের মধ্যেই হবে। তবে আগামী রমযানের আগে হলে ভালো হয়। জুনের দিকে নির্বাচন দিলে তখন বর্ষা, ঝড়-ঝাপটাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসতে পারে। তখন আবার নির্বাচনটা পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। আমরা এজন্য চাচ্ছি, ঐ আশঙ্কার আগেই যাতে নির্বাচনটা হয়ে যায়।
আওয়ামী লীগের বিচার প্রসঙ্গে জামায়াতপ্রধান বলেন, ‘জাতি ট্রমাটাইসড! এখনো হাসপাতালে অনেক আহত-পঙ্গুত্ববরণকারীরা পড়ে আছেন। এখনো শহীদদের মা-সন্তান-স্ত্রীরা কান্না করছেন। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগের বিচার অবশ্যই হতে হবে। তবে আমরা সঠিক বিচার ও শাস্তি চাই।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন ও জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান।
২১ ঘণ্টা আগে
ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দল
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করছেন বিএনপির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক শুরু হয়েছে।
এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর আগে আজ বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে আলাদা আলাদাভাবে বিএনপির প্রতিনিধিদলের সদস্যরা যমুনায় প্রবেশ করেন। বেলা সাড়ে ১১টায় যমুনায় পৌঁছান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
পরে সেখানে আসেন দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। এরপর তাঁরা যমুনায় প্রবেশ করেন। দুপুর পৌনে ১২টায় যমুনায় প্রবেশ করেন বিএনপির নেতা নজরুল ইসলাম খান। এরপর উপস্থিত হন দলটির নেতা জমির উদ্দিন সরকার।
আরও পড়ুন: দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
দুপুর ১২টায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদ একসঙ্গে যমুনায় প্রবেশ করেন। সবশেষ আসেন দলটির নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এ ছাড়া সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টার গাড়ি যমুনায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
বিএনপির সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে দলটির নেতারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুনির্দিষ্ট করে জানতে চাইবেন কবে নাগাদ নির্বাচন হবে এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ কবে ঘোষণা করা হবে। উপদেষ্টার বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে না পারলে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের নিয়ে আবার মাঠের কর্মসূচিতে যেতে পারে।
১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যনীতির সমর্থনে কাজ করে যাব: ট্রাম্পকে ড. ইউনূস
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ইস্যুতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। চিঠিতে তিনি এই শুল্কারোপ তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখতে অনুরোধ জানান। সেই অনুরোধে সাড়া দেওয়ায় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ড. ইউনূস।
বাংলাদেশ সময় বুধবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতে চীন ছাড়া অন্য সব দেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার কিছুক্ষণ পরই নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এক পোস্ট দেন প্রধান উপদেষ্টা।
ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আরোপিত শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিতের অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ মি. প্রেসিডেন্ট। আপনার প্রশাসনের বাণিজ্যনীতির সমর্থনে আমরা কাজ চালিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: চীন বাদে সব দেশের ওপর মার্কিন পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত
গতরাতে নিজের ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘পাল্টা শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এই সময়ে পাল্টা শুল্ক উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে এবং এটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘চীন বিশ্ববাজারের প্রতি শ্রদ্ধার যে ঘাটতি দেখিয়েছে, তার ভিত্তিতে আমি যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ ধার্য করছি। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও লেখেন, ‘আশা করি নিকট ভবিষ্যতে চীন ও অন্যান্য দেশ উপলব্ধি করতে পারবে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণার দিন আর থাকবে না বা গ্রহণযোগ্য হবে না।’
ট্রাম্প লেখেন, ‘প্রকৃত অবস্থার ভিত্তিতে ৭৫টির বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ, অর্থ বিভাগ ও ইউএসটিআরসহ আমাদের বিভিন্ন প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। দেশগুলো বাণিজ্য, বাণিজ্য বাধা, শুল্ক, মুদ্রা কারসাজি ও অশুল্ক বাধা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সমাধানে পৌঁছাতে সমঝোতা আলোচনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।’
৭ দিন আগে
তরুণদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে বিমসটেক ইয়ুথ ফেস্টিভ্যালের পরামর্শ ড. ইউনূসের
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট বিমসটেকের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর তরুণ-তরুণীদের মধ্যে সম্পৃক্ততা বাড়াতে একটি ইয়ুথ ফেস্টিভ্যাল (যুব উৎসব) আয়োজনের জন্য জোটের সচিবালয়কে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের শেষে ব্যাংককে জোটের মহাসচিব ইন্দ্র মণি পাণ্ডে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
এদিন সম্মেলনের শেষে বিমসটেকের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক ইউনূস। এ সময় দুই বছর পর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় পরবর্তী বিমসটেক সম্মেলনের সময় তরুণদের জন্য আলাদা একটি সম্মেলনের আয়োজনের কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: মোদি-ইউনূস বৈঠক: হাসিনাকে প্রত্যর্পণসহ সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর জোটের ভবিষ্যৎ উদ্যোগ নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিমসটেক মহাসচিব।
এ সময় ড. ইউনূস তাকে বলেন, ‘বিমসটেক নেতারা যখন মিলিত হবেন, তখন আলাদাভাবে তরুণদের জন্য একটি সভা হওয়া উচিত। এতে সদস্য দেশগুলোর তরুণদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি যৌথ ইয়ুথ ফেস্টিভ্যাল হওয়া উচিত। যেখানে প্রতিটি দেশ নিজেদের মতো অংশ নেবে এবং একটি দেশ নেতৃত্ব দেবে। এ উৎসব তরুণ-তরুণীদের একত্রিত করবে।’
এই প্রস্তাবগুলোকে স্বাগত জানিয়ে মহাসচিব পান্ডে বলেন, ‘এ ধারণাগুলো অসাধারণ। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এগুলো বাস্তবায়নে কাজ করব।’
এ সময় বিমসটেক মহাসচিবের কাছ থেকে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার অবস্থা সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন প্রধান উপদেষ্টা। জবাবে বিমসটেক মহাসচিব জানান, সদস্য দেশগুলোর বাণিজ্য ও বাণিজ্যমন্ত্রীদের একটি বৈঠক আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে, যা গত ২১ বছরে অনুষ্ঠিত হয়নি।
আরও পড়ুন: অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করব: প্রধান উপদেষ্টা
বিমসটেক সচিবালয়কে সংস্থার কার্যক্রমের ফলপ্রসূ বাস্তবায়নের জন্য একটি বার্ষিক বৈঠকের ক্যালেন্ডার তৈরিরও আহ্বান জানান ড. ইউনূস।
শুক্রবার ব্যাংককে বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন শেষে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতোংতার্ন শিনাওয়াত্রা নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
১২ দিন আগে
মোদিকে আলোকচিত্র উপহার দিলেন ড. ইউনূস
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি আলোকচিত্র উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের সাংরিলা হোটেলে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন শেষে স্থানীয় সময় শুক্রবার (৪ এপ্রিল) মধ্যাহ্নের পর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই উপহার দেন তিনি।
২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি মুম্বাইয়ে ১০২তম ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসে ড. ইউনূসকে একটি স্বর্ণপদক দেন নরেন্দ্র মোদি। সেই ছবিটিই মোদিকে উপহার দেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণসহ দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন দুই নেতা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এমন তথ্য দিয়েছেন।
দুই নেতার বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বৈঠকে দুদেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট যতগুলো ইস্যু ছিল, সবগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট যতগুলো বিষয় ছিল, সবগুলো বিষয়ই প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। যেমন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে কথা হয়েছে। শেখ হাসিনা যে ওখানে (ভারতে) বসে ইনসিন্ডিয়ারে (হিংসাত্মক) কথা বলছেন, সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গঙ্গা পানি চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে, নতুন করে সেটা করা নিয়ে কথা হচ্ছে। তিস্তা পানি চুক্তি নিয়েও কথা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মোদি-ইউনূস বৈঠক: হাসিনাকে প্রত্যর্পণসহ সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা
বৈঠকটি অনেক গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শফিকুল আলম।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চপ্রতিনিধি খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি–বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম ও পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথমবারের মতো অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হয়েছে।
১৩ দিন আগে
সম্পদ ও ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হলে সমাজ ভেঙে পড়ে: ড. ইউনূস
সম্পদ ও ক্ষমতার কেন্দ্রীভূত হওয়ার ঝুঁকি তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, একটি সমাজে সম্পদ ও ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হলে আজ হোক বা কাল, সেই সমাজ ভেঙে পড়েই। তিনি বলেছেন, ‘সম্পদের বণ্টন না হলে সমাজ টিকিয়ে রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে।’
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক ইয়াং জেনারেশন ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে অধ্যাপক ইউনূস এসব কথা বলেন।
ক্ষুদ্রঋণ সৃষ্টি, সামাজিক ব্যবসা উদ্ভাবন ও দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকায় রাখায় নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জনকারী অধ্যাপক ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে এখন ব্যাংকক রয়েছেন।
ব্যাংককে বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটের (বিমসটেক) ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন চলছে। আগামীকাল (শুক্রবার) সম্মেলনের শেষের দিন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী দুই বছর বাংলাদেশ এই জোটের নেতৃত্ব দেবে। ২০২২ সালের ৩০ মার্চ পঞ্চম শীর্ষ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে বিমসটেকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিল থাইল্যান্ড।
ফোরামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে নতুন সভ্যতা সম্পর্কে ড. ইউনূস বলেন, ‘লোভ-লালসায় প্রভাবিত হয়ে কোনোভাবেই ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে না। নতুন সভ্যতার এটাই প্রথম শর্ত।’
‘লোভ আমাদের ধ্বংস করে দেবে। কারণ যদিও আমরা সরকারকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে আমরা এটা-সেটা করছি। আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, জিডিপি বাড়ছে এবং প্রবৃদ্ধির হার এত বেশি। কিন্তু বাস্তবে তার কতটুকু হচ্ছে? দেশের সম্পদ গুটিকয়েক মানুষের হাতে কেন্দ্রীভূত হয়ে যাচ্ছে। তারা ধনী থেকে আরও ধনী হচ্ছে, আর আমরা এটাকে বলছি উন্নয়ন। এটাকে আমরা বলি প্রবৃদ্ধি, চমৎকার অর্থনীতি। আর এভাবেই আত্মবিনাশের বীজ রোপিত হয়।’
এই একটিমাত্র কারণে সভ্যতা টিকতে পারে না; আমাদের গ্রহকে তারা ধ্বংস করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
১৩ দিন আগে
বিমসটেক: ড. ইউনূস ও মোদির সাক্ষাৎ, একসঙ্গে নৈশভোজ
বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বহুখাতীয়, কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উদ্যোগ—বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশের নেতাদের জন্য বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) এই নৈশভোজের আয়োজন করেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ ইউএনবিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিন শাংগ্রি-লা হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে বিমসটেক নেতাদের স্বাগত জানান থাই প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন সিনাওয়াত্রা। এরপর নৈশভোজে একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যও দেন তিনি।
আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছবিও তোলেন থাই প্রধানমন্ত্রী সিনাওয়াত্রা।
১৩ দিন আগে
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কথাই বলেছেন: হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য (সেভেন সিস্টার্স) নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি-সংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘অত্যন্ত সৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কথাই প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। এর ব্যাখ্যা যদি অন্যরকম দেওয়া হয়, তাহলে আমরা তা ঠেকাতে পারছি না।’
বুধবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে দেশটির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান ড. ইউনূস। সে সময় বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানের গুরুত্ব উল্লেখ করে বাণিজ্য ও ব্যবসা সম্প্রসারণে সমুদ্রের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নেপাল ও ভুটান স্থলবেষ্টিত দেশ, যাদের কোনো সমুদ্র নেই। ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্বঞ্চলীয় রাজ্যও স্থলবেষ্টিত। সমূদ্রের সঙ্গে তাদের কোনো সংযোগ নেই।’
‘এই অঞ্চলের জন্য সমুদ্রে আমরাই একমাত্র অভিভাবক। সুতরাং, এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। সুতরাং, চীনা অর্থনীতির সম্প্রসারণে এটি দারুণ সম্ভাবনাময় হতে পারে।’
আরও পড়ুন: চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশে পণ্য উৎপাদন করুন, বাজারজাত করুন, চীনেও নিয়ে আসুন এবং তা সারা বিশ্বের কাছে নিয়ে যান।’
অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান বলেন, ‘নেপাল ও ভুটানের সীমাহীন জলবিদ্যুৎ রয়েছে, যা এ অঞ্চলের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। কারখানা স্থাপনসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আমরা এটিকে আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে নিয়ে আসতে পারি।’
‘বাংলাদেশ থেকে আপনি যেখানে খুশি যেতে পারেন। সমুদ্র আমাদের আঙিনায়। সুতরাং, এই সুযোগটি আপনি নিতে পারেন।’
প্রধান উপদেষ্টার এ মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি ভারত। এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা।
দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান পবন খেরা এক এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘ভারতকে ঘিরে ফেলার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ চীনকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের এই আচরণ (ভারতের) উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য খুবই বিপজ্জনক।’
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এই মন্তব্য খুবই আপত্তিকর এবং নিন্দনীয়। এটি ভারতের কৌশলগত ‘চিকেনস নেক’ করিডোরের দুর্বলতা নিয়ে প্রচলিত বর্ণনাকে পুনরায় উসকে দিচ্ছে।”
ভারতের এমন প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে জানতে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা সেভেন সিস্টার্স নিয়ে এই প্রথমবার কথা বলেননি। তিনি ২০১২ সালেও একই ধরনের কথা বলেছিলেন।’
‘এর চাইতে একটু এগিয়ে গিয়ে ২০২৩ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশ একটি ভ্যালু চেইনে আবদ্ধ করা এবং তিনি এ প্রসঙ্গে একটি একক অর্থনৈতিক অঞ্চলের কথাও বলেছিলেন তিনি, যেটাকে বিগ বে ইনেশিয়েটিভ বলে গণ্য করা হয়।’
আরও পড়ুন: মোদি-ইউনূসের বৈঠক হতে পারে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে
তিনি বলেন, ‘কানেক্টিভিটি এই অঞ্চলের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে। বিশেষ করে যাদের জন্য সমুদ্রের এক্সেস পাওয়া খুব কঠিন। কিন্তু আমরা কানেক্টিভিটি জোর করে চাপিয়ে দেব না, সেটি করার মতো অবস্থাও আমাদের নেই।’
‘কেউ যদি নেয় খুব ভালো, না নিলে কী করব আমরা? কিছু করার নেই। অত্যন্ত সৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কথাই প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। এর ব্যাখ্যা যদি অন্যরকম দেওয়া হয়, আমরা সেই ব্যাখ্যা ঠেকাতে পারছি না। আমরা শুধু সবার সমান লাভের জন্য কানেক্টিভিটি দিতে আগ্রহী আছি। কেউ নিলে ভালো, না নিলে নেবেন না।’
আগামী বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।
এ বিষয়ে হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের বক্তব্য, ‘আশা করা যাচ্ছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের আশাবাদী হওয়ার কারণ আছে। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত বৈঠক না হচ্ছে, এ প্রসঙ্গে আমরা আগ বাড়িয়ে কিছু বলব না।’
১৪ দিন আগে
যত বাধাই আসুক, ঐক্যবদ্ধ নতুন বাংলাদেশ গঠন করবই: ড. ইউনূস
ঈদের দিন জাতির উদ্দেশে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শত বাধা সত্ত্বেও ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে আমরা নতুন বাংলাদেশ গঠন করবই।
সোমবার (৩১ মার্চ) জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে মোনাজাতের আগে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্যের শুরুতে জাতির পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান অধ্যাপক ইউনূস। বলেন, ‘ঈদ মোবারক! আজ বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে, প্রতিটি বাজারে, প্রতিটি গঞ্জে, প্রতিটি শহরে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জামাতে যারা শরিক হয়েছেন, আমরা জাতির পক্ষ থেকে তাদের ঈদ মোবারক জানাচ্ছি।’
‘যারা ঈদের জামাতে শরিক হওয়ার সুযোগ পাননি, তাদেরও ঈদ মোবারক জানাচ্ছি। আমাদের মা-বোনেরা যারা ঘরে আছেন, তাদেরও আমরা ঈদ মোবারক জানাচ্ছি।’
প্রবাসীদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রবাসী শ্রমিকেরা, যারা বিদেশে আছেন, সারা বছর কষ্ট করেছেন, ঈদের জামাতে হয়তো যেতে পারবেন, হয়তো যেতে পারবেন না, তাদেরও ঈদ মোবারক জানাই। যেসব বাংলাদেশিরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আছেন, তাদের আমরা ভুলে যাইনি, তাদেরও ঈদ মোবারক জানাচ্ছি।’
‘অনেকে হাসপাতালে আছেন, রোগী, বিভিন্ন কারণে ঈদের জামাতে যেতে পারেননি, তাদেরও ঈদ মোবারক জানালাম।’
আরও পড়ুন: ঈদের নামাজ আদায় করলেন প্রধান উপদেষ্টা
এ সময় জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ দিয়েছেন বীর সন্তানেরা, আত্মাহুতি দিয়েছেন, আমরা যেন মোনাজাতে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি। যারা আহত হয়েছেন, যারা স্বাভাবিক জীবন থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছেন, এই দেশের জন্য নিজেদের স্বাভাবিক জীবন ত্যাগ করতে যারা বাধ্য হয়েছেন, তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের ক্ষমতা দেওয়ার জন্য, রোগমুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে যেন আমরা প্রার্থনা করি আজকের দিনে।’
১৭ দিন আগে