ছেলে
খুলনায় গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, ছেলে নিখোঁজ
খুলনায় একটি বাসা থেকে শিউলী (৪৫) বেগম নামে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর ট্যাংক রোডের রবিউল ইসলামের বাড়ি থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূ মো. সালাউদ্দিন খানের স্ত্রী। ছেলে রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।
এই মৃত্যু নিয়ে প্রতিবেশীদের ধারণা, রিয়াদই তার মাকে হত্যা করেছে।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজাহান আহম্মেদ জানান, কে বা কারা শিউলীকে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। তবে মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই রিয়াদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রিয়াদ পেশায় একজন টাইলস মিস্ত্রী। ওই কাজে কষ্ট হয় জেনে ট্যাংক রোডের মাথায় তাকে একটি দোকান করে দেন তার মা। এদিকে, ৪০ দিন আগে প্রথম স্বামীকে ছেড়ে মো. সাগর নামের একজনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন শিউলী বেগম। এরপর ৫-৬ দিন আগে ব্যাংক থেকে ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা তুলে বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি, যেটি তার পরিবারের সবাই জানতেন।
খুলনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শিহাব করীম জানান, রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শিউলী বেগমের মৃত্যুর পর থেকে তার একমাত্র ছেলে রিয়াদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সিআইডির বিশেষজ্ঞ দলও রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা ঘর থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে।
তিনি আরও জানান, নিহতের মাথার তালুর বাঁ পাশে পুতো (লোহার দণ্ড) দিয়ে আঘাত করে দুর্বল করে ফেলে এবং পরবর্তীতে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। কে তাকে হত্যা করেছে, এই মুহুর্তে বলা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।
১১ দিন আগে
মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় বাবার মুরগির খামার পুড়িয়ে দিল ছেলে
নরসিংদীর মনোহরদীতে মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় রাগ করে বাবার মুরগির খামার পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের লেবুতলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মুরগির খামার পুড়িয়ে দেওয়া জুনায়েদ (১৬) ওই এলাকার সৈয়দ মো. কামালের ছেলে।
পারিবাররে সদস্যরা জানান, কিছুদিন ধরে জুনায়েদ তার বাবাকে নতুন মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। সামর্থ্য না থাকায় কিনে দিতে রাজি হয়নি তার বাবা। যার কারণে বাবার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে বিকালে প্রথম দফায় মুরগির খামারে আগুন দেয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলে। এর পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফাঁকা বাড়িতে দ্বিতীয় দফায় আবার ঘরে আগুন দেয়। এ সময় স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও মুরগির খামারের শেড, রান্না ঘর এবং বসত ঘরের কিছু অংশ পুড়ে যায়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মধ্যরাতের আগুনে পুড়ল ১১ দোকান, আহত ১০
এ বিষয়ে জুনায়েদের বাবা কামাল বলেন, ‘আমার একটি মোটরসাইকেল আছে। প্রায়ই সে চালাত। তার পরেও নতুন কিনে দিতে চাপ দিচ্ছিল। সামর্থ্য না থাকার কারণে গাড়ি কিনে দিতে আমি অস্বীকার করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আগুন দেয় সে। ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জব্বার বলেন, ‘মোটরসাইকেল কিনে দিতে ছেলে বাবাকে চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু বাবা অপারগতা প্রকাশ করায় ছেলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েও ছেলেকে পাওয়া যায়নি, সে পালিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
২৪৪ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় ট্রাকচাপায় মা-ছেলে নিহত
কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী বাইপাস মোড়ে ডাম্প ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী মা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— ইতি খাতুন (৩০) ও তার ছেলে আফনাফ ইব্রাহিম (৩)। দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের চালক ইতি খাতুনের স্বামী আব্দুল কাদের সিদ্দিকী আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মোটরসাইকেলে আব্দুল কাদের সিদ্দিকী শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী বাইপাস মোড়ে পৌঁছালে একটি ডাম্প ট্রাক তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মা ও ছেলে মারা যান। আহত হন আব্দুল কাদের।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ীসহ নিহত ২
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক হোসেন ইমাম বলেন, ‘একজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার অবস্থা গুরুতর না হওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
চৌড়হাস হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জয়দেব বলেন, ‘নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়ার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত একজনকে উদ্ধার করে আগেই হাসপাতালে পাঠিয়েছেন স্থানীয়রা।’
২৬৮ দিন আগে
ছেলের দায়ের কোপে প্রাণ গেল বাবার
যশোরের চৌগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে ছেলের দায়ের কোপে বাবার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত যুবক পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (৮ মার্চ) উপজেলার পাতিবিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম শরিফুল ইসলাম। তিনি পাতিবিলা গ্রামের উত্তর পাড়ার বাসিন্দা এবং পেশায় কৃষক ছিলেন। তার ছেলে রিমন হোসেনই বাবাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পাতিবিলা গ্রামের শরিফুল মাস চারেক আগে তার ছেলে রিমনকে একই উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামে বিয়ে দেন। কিন্তু বিয়ের তিন মাস না যেতেই রিমনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়।
পুলিশ আরও জানায়, রিমন নিহত শরিফুলের প্রথম স্ত্রীর সন্তান। পরবর্তীতে রিমনের বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
এদিকে, রিমনের প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তালাক হওয়ার পর তার দ্বিতীয় মা দেখেশুনে নিজের বোনের মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ে দেন। তবে দ্বিতীয় বিয়ের পরও ফের শুরু হয় পারিবারিক দ্বন্দ্ব।
আরও পড়ুন: নিজেদের পাতানো বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ গেল দম্পতির
স্থানীয়রা জানান, গতকাল (শুক্রবার) রিমনের স্ত্রীর (দ্বিতীয়) সঙ্গে বাবা ও সৎ মায়ের ঝগড়া হয়। এরপর রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে আজ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রিমন দা নিয়ে তার বাবার ঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় সেহরির খাবারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তার সৎ মা। এ সময় কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘুমন্ত অবস্থায় তার বাবাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন রিমন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে রিমন পালিয়ে যান। পরে শরিফুল ইসলামকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নিহতের লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ছেলে পালিয়ে গেছে। তাকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। আইনি কার্যক্রমও প্রক্রিয়াধীন।’
২৮৮ দিন আগে
পিরোজপুরে বাসচাপায় বাবা-ছেলে নিহত
পিরোজপুরে ইমাদ পরিবহন নামের একটি বাসের চাপায় বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। এ সময় ভ্যানচালক আহত হয়েছেন। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর-মাটিভাঙ্গা সড়কের রুহিতলাবুনিয়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন— পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার চালিতাবাড়ি গ্রামের মাহাবুব মোল্লা ও তার ছেলে ইয়াদ আলী মোল্লা। আহত ভ্যানচালক মইন শেখ উপজেলার হুগলাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, সকালে পিরোজপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্যাটারিচালিত ভ্যানটিকে চাপা দিলে তিনজন গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে কিশোর নিহত
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান বলেন, আহত তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদ আল ফরিদ ভূইয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
৩০৭ দিন আগে
ছেলে দুবাই শহরে, বৃদ্ধ পাঁচু মিয়ার ঠাঁই ঝুপড়ি ঘরে
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকানাই-গান্না আঞ্চলিক সড়কের বালিয়াখাল এলাকায় রাস্তার পাশের ঝুপড়ি ঘরে থাকেন বৃদ্ধ পাঁচু মিয়া। নিজের কষ্টের টাকা দিয়ে সন্তানকে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসে। আশা ছিল, বৃদ্ধ বয়সে যে কটাদিন বাঁচবেন সে কটাদিন অন্তত শান্তিতে কাটাবেন। তবে সেই কপাল হয়নি পাঁচু মিয়ার। ছেলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে থাকলেও ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ বাবার ঠিকানা হয়েছে এখন রাস্তার পাশের একটি ঝুপড়ি ঘর।
পলিথিন আর ভাঙাচোরা টিনের ছাউনি দিয়ে মোড়ানো ছোট্ট ঝুপড়ি ঘরে থাকেন পাঁচু মিয়া। প্রায় ৩০ বছর ধরে রাস্তার ধারেই বসবাস ৭৫ বছর বয়সী এই বৃদ্ধ। তালপাতা দিয়ে হাতপাখা তৈরি করে বিক্রি এবং নরসুন্দরের কাজ করে নিজের ভরণপোষণ চালান তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে বাড়ি ছিল পাঁচু মিয়ার। নব্বইয়ের দশকে বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে বালিয়াখাল বাজারে সেলুনের দোকান দিয়েছিলেন তিনি। সেই দোকান থেকে যা আয় হতো তা দিয়েই চালাতেন সংসার।
১০ বছর আগে পাঁচু মিয়ার মেয়ে নিমবিয়া মারা যান। তার বছর পাঁচেক পর মারা যান তার স্ত্রী সরভানু বেগম। এরইমধ্যে কষ্টের টাকায় ছেলে মিন্টু মিয়াকে মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছিলেন। সেখানে ৭/৮ বছর থাকার পর দেশে চলে আসেন মিন্টু মিয়া। এরপর দুবাই চলে যান তিনি। ছেলে দুবাই যাওয়ার পর থেকে তার সঙ্গে বাবা পাঁচু মিয়ার কোনো যোগাযোগ নেই।
৩৩০ দিন আগে
‘ছেলের ঘুষিতে’ বাবার মৃত্যু
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ছেলের ঘুষির আঘাতে আকবর হোসেন নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার ৮ নম্বর হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের বলিয়া বেপারী বাড়িতে এই ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে পরিবারের সদস্যেদের মধ্যে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে আকবর তাদের ঝগড়া থামাতে গেলে ছেলের আকস্মিক ঘুষিতে তিনি লুটিয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহতের মেয়ে আকলিমা বলেন, ‘ঝগড়া থামাতে গিয়ে আমার বাবা চলে গেল।’
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বয়লার বিস্ফোরণে ২ শ্রমিক নিহত
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন ফারুক ইউএনবিকে বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে।তদন্ত করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
৩৪১ দিন আগে
গোলাপগঞ্জে ছেলের মারধরে বাবার মৃত্যুর অভিযোগ
সিলেটের গোলাপগঞ্জে ছেলে রাজু আহমদের (৩০) মারধরে কামরান মিয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধ বাবার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় তার বোনও আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিলে উপজেলার পৌর এলাকার স্বরসতি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ছেলের মৃত্যুর খবরে বাবার মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক বিরোধের জেরে রাজু তার বাবাকে মারধর করে। বাবাকে বাঁচাতে তার বোন এগিয়ে আসলে তাকেও সে মারধর করে। পরে কামরানকে উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. আব্দুন নাসের বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত ছেলে রাজু ও তার স্ত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ২ ছেলের মারধরে বাবার মৃত্যুর
৪৫০ দিন আগে
বাবা-ছেলের ঝগড়া থামাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে চাচার মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাবা-ছেলের কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া থামাতে গিয়ে ভাতিজার ছুরির আঘাতে ইসমাইল হোসেন (৬৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে জেলার ভোলাহাট উপজেলার ঝাউবোনা গ্রামে নিজ বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, রাত ১১টার দিকে নিজ বাড়িতে বাবা মিলন ও তার ছেলে রবিউল পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া করছিল।
এ সময় চাচা ইসমাইল তাদের থামাতে গেলে ভাতিজা রবিউল বুকে, পেটে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রবিউলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: ভারতের বিহারে ধর্মীয় উৎসবের সময় পানিতে ডুবে ৪৬ জনের মৃত্যু
৪৫০ দিন আগে
ময়মনসিংহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল মা ও ছেলের
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিরিনা খাতুন ও তার ছেলে ইশতিয়াক আহমেদ শিমুল নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুর দিকে উপজেলার বারবাড়িয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক স্থানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু
নিহতরা হলেন- হলেন চারিপাড়া গ্রামের হেলাল উদ্দিন মাস্টারের স্ত্রী শিরিনা খাতুন এবং তার মেডিকেল পড়ুয়া ছেলে ইশতিয়াক আহমেদ।
স্থানীয়রা জানায়, জলমটর দিয়ে পানি উঠানোর জন্য পুকুরে নামেন শিমুল। এসময় ছেঁড়া তারে শিমুল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ছেলেকে বাঁচাতে মা শিরিন আক্তার এগিয়ে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এসময় ঘটনাস্থলেই মারা যান মা ও ছেলে।
বারবারিয়া ইউনিয়নের বিট অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল আলম বলেন, আমরা এখনো ঘটনাস্থলে কাজ করছি। কোনো অভিযোগ না থাকলে লাশ পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অটোরিকশার চালক নিহত
পাখি ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
৫৬৩ দিন আগে