কোরআন
কোরআন পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদ বাংলাদেশের: সুইডিশ দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সকে তলব
স্টকহোমের একটি মসজিদের বাইরে পবিত্র কোরআনের কপি পোড়ানোর প্রতিবাদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ ঢাকায় সুইডিশ দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) জ্যাকব ইতাতকে তলব করেছে।
বিবিসি জানায়, সালওয়ান মোমিকা বলেন,সুইডেনে বসবাসকারী একজন ইরাকি বুধবার স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন শরীফের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে ‘দুঃখজনক কাজটির নিন্দা জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: আদালত অবমাননা: সিডিএ’র চেয়ারম্যান, সচিবসহ ৫ জনকে তলব
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাকস্বাধীনতার নামে মুসলমানদের পবিত্র মূল্যবোধ ও ধর্মীয় প্রতীকের অবমাননার এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের স্বার্থে বাংলাদেশ আবারও সংশ্লিষ্ট সকলকে এ ধরনের অযৌক্তিক উস্কানি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।
অনেক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কুরআন পোড়ানোর নিন্দা করেছে।
এদিকে, সুইডিশ সরকার বলেছে যে তারা সুইডেনে ব্যক্তিদের দ্বারা সংঘটিত ইসলামফোবিক কাজকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে।
সুইডিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, এই আইন কোনোভাবেই সুইডিশ সরকারের মতামতকে প্রতিফলিত করে না।
আরও পড়ুন: মেয়াদ বাড়ল সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলমের
১ বছর আগে
১৩৫ দিনে কোরআনের হাফেজ ৮ বছরের শিশু আশরাফুল
সিরাজগঞ্জে আশরাফুল ইসলাম নামে আট বছরের এক শিশু মাত্র ১৩৫ দিনে (সাড়ে চার মাস) পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে এলাকায় বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন।
আশরাফুল জেলার এনায়েতপুর থানার গোপরেখী পশ্চিমপাড়া মহল্লার মোহাম্মদ বাবু প্রামাণিকের ছেলে। তিনি গোপরেখী মিফতাহুল উলুম কওমি মাদরাসার ছাত্র।
আরও পড়ুন: দেড় দশক শিকলে বাঁধা কোরআনে হাফেজ খালেকের জীবন
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিকালে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের মিফতাহুল উলূম কওমি মাদরাসা চত্বরে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে গোপরেখী পশ্চিমপাড়া বাইতুন নূর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও মিফতাহুল উলুম কওমি মাদরাসার উদ্যোগে হাফেজ আশরাফুল ইসলামকে সংবর্ধণা দেয়া হয়।
এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বেলকুচি, এনায়েতপুর, চৌহালী ও শাহজাদপুরের সহস্রাধিক আলেম ওলামা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ইসলামি সংগীতের পর বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করা হয় এবং শিশু হাফেজ আশরাফুল ইসলামের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা।
ওই মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন খুকনী জামিয়া হুসাইনিয়া মদিনাতুল উলুম হাফিজিয়া মাদরাসা মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আব্দুল রাজ্জাক, বেলকুচি উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম সোহেল, মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুহাম্মদ আশাদুল্লাহ ও মসজিদের খতিব মাওলানা আবু তালেব।
এটি আল্লাহ পাকের বিশেষ রহমত ও বরকত বলে মন্তব্য করে খুকনী জামিয়া হুসাইনিয়া মদিনাতুল উলুম হাফিজিয়া মাদরাসা মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আব্দুল রাজ্জাক।
তিনি বলেন, এত অল্প বয়সে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ করা একটা অবাক করার মতো বিষয়।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ হাতে লেখা কোরআন শরীফের প্রদর্শনী শুরু
দুবাই এক্সপো ২০২০ শেষে জেফারসনের কোরআন যুক্তরাষ্ট্রের পথে
১ বছর আগে
ধানখেত থেকে কোরআন হাফেজের লাশ উদ্ধার
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ধানখেত থেকে কোরআনের হাফেজ এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে উপজেলার নামতলা পূর্বপাড়ায় ধানখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পার্শ্ববর্তী চান্দিনা উপজেলার বিচুন্দাইর গ্রামের বাচ্চু মিয়াসাদেকুর রহমান (২২) নামের ওই যুবক কোরআনে হাফেজ ছিলেন। তিনি নামতলা গ্রামে আবুল বাশার নামে একজনের বাড়িতে লজিং থাকতেন।
এছাড়া সাদেকুর রহমান সেনানিবাস এলাকায় একটি মোবাইল ফোন দোকানে খণ্ডকালীন চাকরি করতেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিজ বাসা থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বুড়িচংয়ের দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ উর রহমান ।
তিনি বলেন, রবিবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাই উপজেলার নামতলা পূর্বপাড়ায় ধানখেতে একটি লাশ পড়ে আছে। তার মুখে গামছা পেঁচানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শনিবার রাতে লজিং বাড়িতে ফুটবল খেলা দেখেন সাদেক। সকালে বাড়ির পাশে ধানখেতে তার লাশটি দেখতে পান স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে সিআইডির টিম আছে।
তারা বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছেন। আমরা লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
আরও পড়ুন: উত্তরায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার: স্বামী ৩ দিনের রিমান্ডে
গাজীপুরে নিখোঁজের দু'দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
পটুয়াখালীতে মন্দিরে কোরআন রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
পটুয়াখালীর বাউফলে একটি মন্দিরে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার অভিযোগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার মো. ইদ্রিস বাকেরগঞ্জ উপজেলার নলুয়া গ্রামের বাসিন্দা।
উপজেলার উত্তর রাজনগর-পালপাড়া, বগা ইউনিয়নের সর্বজনীন কালী মন্দিরে কোরআন শরিফ রেখে পালানোর চেষ্টাকালে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: ঢাকা কলেজের ৫ শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন জানান, ভোর সাড়ে ৩টার দিকে স্থানীয় সঞ্জয় পল ইদ্রিসকে মন্দির থেকে বের হতে দেখেন। এসময় সঞ্জয় তাকে কী করছেন জানতে চাইলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ইদ্রিস।সঞ্জয় চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে ইদ্রিসকে ধরে ফেলে। পরে তারা একটি কালী মূর্তির সামনের পাত্রে কুরআন খুঁজে পান। এক পর্যায়ে ইদ্রিস তার ভুল স্বীকার করে। খবর পেয়ে ভোর ৪টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ইদ্রিসকে বাউফল থানায় নিয়ে যায় ।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে বলে জানান ওসি আল মামুন। তিনি জানান, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হবে।
পরবর্তী ঝামেলা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে আনসার আল ইসলামের সদস্য গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
আজ পবিত্র শবে কদর
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত পবিত্র শবে কদর বা লাইলাতুল কদর। সন্ধ্যার পর থেকেই দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র এই রজনী উপলক্ষে বিশেষ ইবাদতের মাধ্যমে রাতটি অতিবাহিত করবে।
দেশের পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও অগ্রগতি কামনায় রাতটি কাটাবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
পবিত্র কোরআনে এ রাতকে হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ রাত ঘোষণা করেছেন মহান আল্লাহ। লাইলাতুল কদরের রাতটি মুসলমান সম্প্রদায়ের কাছে অনেক ফজিলতপূর্ণ ও বরকতময়।
মাহে রমজানের এ রাতেই মানবজাতির জন্য সার্বিক দিকনির্দেশনা, কল্যাণ ও তাদের পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআন মাজিদ নাজিল করেন।
সারাদেশে মুসলমানরা নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির ও দরুদ পাঠের মাধ্যমে রাতটি অতিবাহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শবে কদর উপলক্ষে দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এই তাৎপর্যপূর্ণ রাতকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারি টিভি চ্যানেল এবং রেডিও স্টেশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলো বিশেষ নিবন্ধন প্রকাশ করবে।
পড়ুন: ঈদের ছুটিতে খোলা থাকবে কাস্টমস হাউস
ঈদুল ফিতরের সিনেমা ২০২২: বড় পর্দার আয়োজন
২ বছর আগে
দেড় দশক শিকলে বাঁধা কোরআনে হাফেজ খালেকের জীবন
দীর্ঘ দেড় দশক ধরে শিকলে বাঁধা অবস্থায় মানবেতর জীবন পার করছেন পবিত্র কোরআনের হাফেজ আবদুল খালেক। কারও সাথে কথাও বলেন না তিনি। মাথা নিচু করে সারাক্ষণ চুপ করে বসে থাকেন। অসুস্থতার কাছে কাবু হয়ে দিন দিন নিথর হয়ে পড়ছেন খালেক।
হাফেজ আবদুল খালেক (৩৮) চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টী পূবর ইউনিয়নের ভোটাল গ্রামের মৃত আবদুল কুদ্দুসের ছেলে।
বাবা-মার মৃত্যুর পর জানাজার নামাজে ইমামতি করবে সন্তান, এমন লক্ষ্য মাথায় রেখে নিজের মেধাবী সন্তানকে পড়িয়েছেন হাফেজি মাদরাসায়। আল্লাহর রহমত ও নিজের আপ্রাণ চেষ্টায় পুরো ৩০ পাড়া পবিত্র কোরআনের ৬ হাজার ৬৬৬টি আয়াত মুখস্থ করে নিজের বুকে ধারণও করেছেন আবদুল খালেক। তবে হাফেজি শেষ করলেও স্বপ্ন পূরণ হয়নি তার বাবা-মায়ের। হাফেজি শেষ করার কয়েক মাস পরই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে প্রায় ১৫ বছর শিকলে বাঁধা অবস্থায় মানবেতর জীবনযাবন করছেন খালেক।
আরও পড়ুন: করোনার ছুটি শেষে শাবিপ্রবিতে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা: মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে থাকছে নজরদারি
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জয়শ্রেরী রাহমানিয়া আরাবিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করেছেন খালেক। পড়াশোনায় খুব মনোযোগী ছিলেন। ১৫ বছর পূর্বে তিনি হাফেজি পড়া শেষ করার কয়েক মাসের মধ্যে অসুস্থ হয়ে হারিয়ে ফেলেন মানসিক ভারসাম্য।
পরিবারের সামর্থ অনুযায়ী তাকে চিকিৎসা করানো হলেও বর্তমানে আর্থিক অভাব অনটনের কারণে তার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে দিন দিন তার মানসিক ভারসাম্যের অবনতি হচ্ছে। চিকিৎসার খরচ জোগাতে পারছেন না বিধবা মা। তার চিকিৎসায় সরকার ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তার পরিবার।
অসুস্থ আবুদল খালেকের মা শামছুন্নাহার দুঃখ করে বলেন, আবদুল খালেক বিভিন্ন সময় ঘরের আসবাবপত্র ভেঙে ফেলে। বিভিন্ন সময় এদিক-সেদিকও চলে যায়। পরিবারের পক্ষে সারাক্ষণ তাকে দেখে রাখা সম্ভব হচ্ছিল না। এ জন্য তাকে ঘরে বেঁধে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মন মানসিকতা পরিবর্তনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
তিনি বলেন, রাতে ছেলের পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় ঘরে ঘুমানোর ব্যবস্থা করি। কিন্তু ছেলের এমন অবস্থায় মা হয়ে আমি নিজেও সারারাত ঘুমাতে পারি না মানসিক যন্ত্রনায়। কারণ কখন সে কী করে বসে এই দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।
শামছুন্নাহার বলেন, আমি গরিব মানুষ। আমার স্বামী শ্রমিকের কাজ করতেন। ছেলে অসুস্থ হওয়া পর সম্পত্তি বিক্রি করেও তার চিকিৎসা করানো হয়েছে। আবদুল খালেক সুস্থ না হওয়াতে তার বাবাও কয়েক বছর আগে মারা যায়। বর্তমানে ঠিক মতো সংসার চালানো আমাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। ছেলের চিকিৎসা করবো কীভাবে? তাকে উন্নত চিকিৎসা করার সামর্থ আমাদের নেই।
কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মা শামছুন্নাহার। তিনি আবেগজড়িত কণ্ঠে ছেলের চিকিৎসায় সরকার ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
জয়শ্রেরী রাহমানিয়া আরাবিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার মুহ্তামিম হাফেজ মহসিন মিয়া ইউএনবিকে জানান, আবদুল খালেক খুব মেধাবী ছাত্র ছিল। সে অসুস্থ হওয়ার পর আমরা মাদরাসায় আমাদের সামর্থ অনুযায়ী দোয়ার আয়োজন করছি যেন সে সুস্থ হয়ে যায়। বর্তমানে সে শিকল বাঁধা অবস্থায় আছে, বিষয়টি অনেক দুঃখজনক। তাকে সুস্থ করার জন্য আল্লাহর রহমতের পাশাপাশি সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা একান্ত প্রয়োজন।
ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল গনি বাবুল পাটওয়ারী এবং উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান মানসিক ভারসাম্যহীন আবুদল খালেকের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমান জানান, পরিবারের লোকজন আমাদের কাছে আসলে আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে দেখবো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি কি না।
আরও পড়ুন: মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে বাংলাদেশি সংস্থার পাশে ফেসবুক
৩ বছর আগে
হাজিগঞ্জে মন্দিরে হামলার দায় স্বীকার মাদরাসা প্রভাষকের
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গত ১৩ অক্টোবর পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মাদরাসার প্রভাষক কামালউদ্দিন আব্বাসী।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ কামালউদ্দিনকে আদালতে এই জবানবন্দি দেন তিনি। আদালতে জবানবন্দি দেয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতেই তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
কামালউদ্দিনের বাড়ি উপজেলার টামটা ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আনা হয়েছে কক্সবাজারে গ্রেপ্তার ইকবাল হোসেনকে
গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে জানা যায়, কামালউদ্দিন জামায়াতের রাজনীতির সাথে সক্রিয়।
ঘটনার সময় পূজামণ্ডপ ও মন্দিরের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, এই আব্বাসীর নেতৃত্বেই হামলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে রাত ৮টার পর হাজীগঞ্জ বাজার মন্দিরে হামলা করে একদল বিক্ষুব্ধ দুর্বৃত্ত। ওই ঘটনায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করলে হামলাকারীদের সাথে সংর্ঘষ হয়।এতে ঘটনাস্থলে তিনজনসহ মোট পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলই ভালো জানেন কুমিল্লার ঘটনা কিভাবে ঘটেছে: তথ্যমন্ত্রী
হাজিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মর্তা (ওসি)হারুনুর রশিদ ইউএনবিকে জানান, এ ঘটনায় পরে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি এবং ক্ষতিগ্রস্ত মণ্ডপের লোকজন আটটি মামলা করেন। এসব মামলার জ্ঞাত ও অজ্ঞাত প্রায় আড়াই হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
তিনি আরও জানান, এদের মধ্যে আজ পর্যন্ত কামালউদ্দিন আব্বাসীসহ ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ জানান, হাজীগঞ্জের ঘটনার আশপাশে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লাসহ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা উদ্দেশ্যমূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ বছর আগে
কোরআন অবমাননা: সন্দেহভাজন ইকবাল ৭ দিনের রিমান্ডে
কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন ইকবাল হোসেনসহ চারজনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে জ্যৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম মিথিলা জাহান নিপা তাদের প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ মামলার অন্য তিন আসামি হলেন ইকরাম এবং দরগাবাড়ি মাজারের দুই সহকারী খাদেম হাফেজ হুমায়ুন ও ফয়সাল।
আরও পড়ুন: কোরআন অবমাননার ঘটনায় সন্দেহভাজন ইকবাল কক্সবাজারে গ্রেপ্তার
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন রেখে অবমাননার ঘটনায় সন্দেহভাজন ইকবাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। এছাড়া অন্য তিন আসামিকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য,গত ১৩ অক্টোবর ভোরে নানুয়াদিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়া যায়। এরপরই দেশের কয়েক স্থানে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার জেরে ওই দিন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পাঁচ জন নিহত হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লাসহ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা উদ্দেশ্যমূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পরদিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিন্দুদের মন্দির,মণ্ডপ ও দোকানপাটে হামলা,ভাঙচুর চালানো হয়। সেখানে হামলায় দুই জন নিহত হন। এরপর রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু বসতিতে হামলা করে ভাঙচুর,লুটপাট ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এরইমধ্যে শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৩ বছর আগে
কুমিল্লায় আনা হয়েছে কক্সবাজারে গ্রেপ্তার ইকবাল হোসেনকে
কুমিল্লায় পূজা মন্ডপে কোরআন শরীর অবমাননার ঘটনায় সন্দেহভাজন মূল হোতা ইকবাল হোসেনকে আজ দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে কুমিল্লায় আনা হয়েছে। কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল তাকে নিয়ে কুমিল্লায় আসে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় ইকবাল হোসেনকে কক্সবাজার সুগন্ধ্যা বীচ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহমেদ জানান, ৬টায় কক্সবাজার থেকে কড়া নিরাপত্তায় পুলিশি পাহারায় ইকবালকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনে আনা হয়। ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ তাকে খুঁজছিল। কক্সবাজার তার অবস্থান নিশ্চিত হবার পর কুমিল্লা পুলিশ কক্সবাজার পুলিশকে জানালে তারা ইকবালকে গ্রেপ্তার করে।
এর আরগ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘কুমিল্লাসহ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঘটিয়েছে। দেশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক নেই। এখন সব নিয়ন্ত্রণে আছে।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘কুমিল্লা ঘটনার দিন রাতে মাজার মসজিদে তিন বার গেছেন এই লোক। সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে সুনিশ্চিত যে, মসজিদে থেকে কোরআন শরীফ নিয়ে তিনি এখানে রেখেছেন। প্ল্যান মাফিক করেছেন, কার নির্দেশে করেছে। কারো প্ররোচনায় হয়তো করেছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে বলা যাবে মোটিভটা কী ছিল? সাজানো ঘটনা থাকতে পারে। জিজ্ঞেস করা হলে সব জানা যাবে।’
আরও পড়ুন: কোরআন অবমাননার ঘটনায় সন্দেহভাজন ইকবাল কক্সবাজারে গ্রেপ্তার
কোরআন অবমাননা: বায়তুল মোকাররম এলাকায় মুসল্লি-পুলিশ সংঘর্ষ
৩ বছর আগে
কোরআন অবমাননার ঘটনায় সন্দেহভাজন ইকবাল কক্সবাজারে গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন রেখে অবমাননার ঘটনায় সন্দেহভাজন ইকবালকে গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার করার পর রাতেই তাকে কুমিল্লা পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, কুমিল্লার সেই ইকবাল কক্সবাজারে পালিয়ে আসেন। আসলে গ্রেপ্তার হওয়া ইকবাল কুমিল্লার সেই ইকবাল কিনা তা নিশ্চিত করবেন কুমিল্লা পুলিশ।
পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা ইকবালকে চিহ্নিত করে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লাসহ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা উদ্দেশ্যমূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর ভোরে নানুয়াদিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়া যায়। এরপরই দেশের কয়েক স্থানে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার জেরে ওই দিন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে পাঁচ জন নিহত হয়।
পরদিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিন্দুদের মন্দির, মণ্ডপ ও দোকানপাটে হামলা,ভাঙচুর চালানো হয়। সেখানে হামলায় দুই জন নিহত হন। এরপর রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু বসতিতে হামলা করে ভাঙচুর, লুটপাট ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এরইমধ্যে শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে: তথ্যমন্ত্রী
৩ বছর আগে