পরিবার
টেকনাফে মাটির দেয়াল ধসে একই পরিবারের ৪ জন নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফ হ্নীলা মৌলভীবাজার এলাকায় মাটির দেয়াল ধসে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলা হ্নীলা মৌলভীবাজার মরিচ্যা ঘোনার পানিরছড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দেয়াল ধসে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পাহাড় ও দেয়াল ধসে প্রাণ গেল চারজনের
নিহতরা হলেন, আনোয়ারা বেগম (৫০), ছেলে শাহিদুল মোস্তফা (২০), মেয়ে নিলুফা ইয়াছমিন (১৫) ও সাদিয়া (১১)।
ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন,বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। মৌলভীবাজার মরিচ্যা ঘোনা এলাকার আনোয়ারা বেগম তার ছেলে-মেয়েদের নিয়ে রাতের খাবার শেষে তাদের মাটির তৈরি ঘরে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমাতে যান। রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে ঘরের মাটির দেয়াল ধসে তাদের ওপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই ৪ জনের মৃত্যু হয়। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওসমান গণি বলেন, পুলিশ টিম ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে অতি বৃষ্টিতে ঘরের দেয়াল ধসে শিশুর মৃত্যু
প্রবাসে মৃত কর্মীর পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ
বিদেশে মৃত প্রবাসী কর্মীদের পরিবারের হাতে আর্থিক ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সভাপতিত্বে মৃত প্রবাসী কর্মীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করা হয়। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ১৫টি পরিবারের হাতে প্রায় ৬ কোটি টাকার চেক তুলে দেন। এর মধ্যে একটি পরিবারের হাতে ১০ লাখ টাকার জীবন বিমা ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মেডিকেল চেকআপ শেষে দেশে ফিরেছেন ওবায়দুল কাদের
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রবাসীদের কল্যাণ ও অধিকার আদায়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ। বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের যেকোনো বিপদ-আপদে সরকার পাশে রয়েছে। মন্ত্রণালয় বিদেশের শ্রমকল্যাণ শাখার মাধ্যমে কর্মীর সামগ্রিক নিরাপত্তা ও সব ধরনের সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে। বিদেশে মৃত কর্মীদের ক্ষতিপূরণের অর্থ নিয়োগকারী কোম্পানি থেকে আইনগতভাবে আদায় করে তা মৃত কর্মীর ওয়ারিশদের মাঝে বিতরণ করা হয়। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে মৃত প্রবাসী কর্মীদের পরিবারের কল্যাণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ চলমান।
অনুষ্ঠানে সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী কর্মীদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশে-বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী কর্মীদের পরিবারকে সরকারের তরফ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মৃত প্রবাসী কর্মীর ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায় করে দ্রুত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশে-বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী কর্মীদের সেবায় সরকার সর্বদা নিয়োজিত।
অনুষ্ঠানে ছিলেন- ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সায়মা ইউনুস ও ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের পরিচালক (অর্থ ও কল্যাণ) শোয়াইব আহমাদ খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএসআরএফ'র সদস্যদের ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিলো জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট
বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে চায় চেক প্রজাতন্ত্র
পরিবার নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক দেখলেন তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ পরিবারের বাচ্চা থেকে বড় সব বয়সী সদস্যদের নিয়ে সিনেমা হলে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ দেখেছেন।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে স্টার সিনেপ্লেক্সে সকালের প্রদর্শনীতে পঞ্চমবারের মতো সিনেমাটি দেখা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সম্প্রচারমন্ত্রী।
সে সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিনেমাটি সবার দেখা প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: দেশ ও সমাজ বিনির্মাণে গণমাধ্যম অনবদ্য ভূমিকা পালন করতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘আমি বাচ্চাদের নিয়ে এসেছি। কারণ, মুখে বলে ইতিহাস জানানো যায় কিন্তু সেটি যখন ছবিতে দেখা হয়, তখন হৃদয়ে গেঁথে যায়। এ জন্য নতুন প্রজন্মেরও সবার সিনেমাটি দেখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।'
তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে আমার পঞ্চমবার ছবিটি দেখা হলো। এ ছাড়া সিনেমাটি বানানোর সময় দুইবার দেখেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে একবার দেখেছি, তারপর প্রিমিয়ার শোতে দেখেছি, আর আজকে বাচ্চাদের নিয়ে হলে এসেছি।’
সিনেমা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, প্রথমত এই সিনেমার নামই বলে দেয় ছবিতে কী দেখাচ্ছে। ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ এই ছবিটি দেখলে বোঝা যায়, বঙ্গবন্ধু কীভাবে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে, বাঙালির স্বাধিকার, স্বাধীনতার প্রশ্নে অবিচল ছিলেন, কীভাবে তিনি মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে দৃঢ় চিত্তে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
বায়োপিকটির বিশেষত্বের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে তিন ঘণ্টার মধ্যে দেশের ইতিহাস সংক্ষেপে জানা, কীভাবে আমাদের স্বাধীনতা এল, বঙ্গবন্ধু কীভাবে খোকা থেকে মুজিব, মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়ে উঠলেন, সেটি এ ছবিতে চিত্রায়িত হয়েছে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দীকে আমি দেখিনি। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকেও সেভাবে দেখা হয়নি। কাগজে, পত্র-পত্রিকায় যেটুকু দেখেছি এবং সবচেয়ে মর্মান্তিক যে বিষয়টি, ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড এখানে চিত্রায়িত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘খুনীরা যে কী রকম পাষণ্ড ছিল, নির্মম ছিল, ১৫ আগস্টের চিত্রায়নটি দেখলে সেটি অনুধাবন করা যায়। আমি পাঁচবার দেখার পরও ইমোশোন ধরে রাখতে পারিনি, পারছি না।'
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর বিএনপির পতন যাত্রা শুরু হবে: তথ্যমন্ত্রী
শেখ রাসেলকে সম্মান জানাতে ১৫ আগস্টের অপরাধীদের শাস্তি হওয়া দরকার: তথ্যমন্ত্রী
কালীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ২ গৃহবধূর মৃত্যু
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের দুই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের টেপাটারি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শ্রমিকের মৃত্যু, আটক ৩
নিহতরা হলেন- তুষভান্ডার ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘনেশ্যাম (টেপাটারী) এলাকার বাবলু মিয়ার স্ত্রী ফিরোজা বেগম ও একাব্বর মিয়ার স্ত্রী নিলুফা বেগম।
স্থানীয়রা জানায়, বাবলু মিয়া ও একাব্বর মিয়া দুই ভাই, একই বাড়িতে বসবাস করেন। শুক্রবার দুপুরে বাবলু মিয়ার স্ত্রী ফিরোজা বেগম গোসল করতে গোসলখানায় প্রবেশ করেন। গোসলখানার টিনের বেঁড়া স্পর্শ করায় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে যান।
এ অবস্থা দেখে একাব্বর মিয়ার স্ত্রী নিলুফা বেগম এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। এতে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে তাদের দুইজনকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের উভয়কে মৃত ঘোষণা করেন।
কালিগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
শরীয়তপুরে সুপারি গাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১
নওগাঁয় বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৫০০ পরিবার পানিবন্দি
নওগাঁর মান্দা উপজেলায় আত্রাই নদের ৪টি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রায় ১ হাজার ৫০০ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে ১ হাজার বিঘা জমির আউশ ও আমন ধানের খেত।
এরই মধ্যে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ।
এছাড়াও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধের বেশ কিছু এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পাড়ের মানুষ।
এ অবস্থায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ টিকিয়ে রাখতে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভরে আটকানোর চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ নদের পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধের বেশকিছু এলাকা চরম ঝঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদের পাড়ের মানুষ।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বন্যায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
এ অবস্থায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ টিকিয়ে রাখতে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভরে সোমবার সন্ধ্যা থেকে মেরামতের একটানা কাজ করছে শ্রমিকেরা। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তা এসব কাজ বাস্তবায়ন করছে উপজেলা প্রশাসন।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের সাতটি গ্রাম। এ ইউনিয়নের নুরুল্লাবাদ ও পারনুরুল্লাবাদ এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৪০০ পরিবার এবং ফকিন্নি নদীর তীরবর্তী এলাকায় আরও অন্তত ৬০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এছাড়া প্রসাদপুর ইউনিয়নের বাইবুল্যা ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ী এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০০ পরিবার।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার সকাল থেকে আত্রাই নদী পানি বাড়তে শুরু করে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এ নদীর পানি বেড়ে এখন বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার পর্যন্ত এ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে আরও কয়েকদিন পানি বাড়তে পারে।
নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এ ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের অন্তত এক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের পানিবন্দি মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, এরই মধ্যে বন্যা কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভর্তি করে মেরামতের কাজ চলছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সার্বক্ষনিক তদারকি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় এখনো ৭০০০ পরিবার পানিবন্দি
কক্সবাজারে ২ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবার ৫ লাখ, অঙ্গহানিতে পাবেন ৩ লাখ টাকা
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা এবং অঙ্গহানির শিকার ব্যক্তিদের ৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার।
রবিবার (২০ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কখা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কত টোল দিতে হবে জানালেন ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং অক্টোবরে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা দিবসে তিনি ক্ষতিপূরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, জানুয়ারি থেকে এটা শুরু হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত ২৪৩টি আবেদন পেয়েছি। সবকিছু ঠিক হলে আমরা ক্ষতিপূরণের চেক প্রস্তুত করব।
এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, এটি অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ উদ্বোধন ২ সেপ্টেম্বর
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এয়ারপোর্ট-ফার্মগেট সেকশন সেপ্টেম্বরে চালু হবে: কাদের
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
গাজীপুরে ঘরে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তাসহ তিনজন দগ্ধ হয়ে হয়েছেন। রবিবার (১৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই বিস্ফোরণে ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে গেছে।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন- গাজীপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার মো. মিনারুল ইসলাম (৩৫), তার বাবা মো. ফরমান মণ্ডল (৭৫) ও মা খাদিজা বেগম (৬৫)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রেস্টুরেন্টের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩
স্থানীয়রা জানায়, নগরের বোর্ডবাজার মুক্তারবাড়ি এলাকার জমির উদ্দিন রোডে মিনারুল ইসলাম তার স্ত্রী-সন্তান ও মা-বাবাকে নিয়ে বসবাস করেন।
রবিবার বিকালে তাদের বাড়ির সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে যায়। এরপর স্থানীয় বাজার থেকে একটি নতুন সিলিন্ডার কিনে আনা হয়। তবে সিলিন্ডারটি চুলার সঙ্গে লাগানোর পর গ্যাস জ্বলছিল না। পরে সিলিন্ডারের দোকান থেকে একজন মিস্ত্রি এসে সেটি মেরামত করে রান্নাঘরে লাগিয়ে দিয়ে চলে যান।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাদিজা বেগম চুলা জ্বালাতে গেলে ঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে আগুন জ্বলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রান্নাঘরে থাকা খাদিজা, পাশের কক্ষে থাকা মিনারুল ও ফরমান মণ্ডল অগ্নিদগ্ধ হন।
পরিবারের বাকি সদস্যরা অন্য কক্ষে থাকায় রক্ষা পান। বিস্ফোরণে ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন।
গাজীপুরের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে রাতেই তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, আগুনে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে। গ্যাস সিলিন্ডার অক্ষত থাকায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৭
চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
প্রধানমন্ত্রী ২২ হাজার পরিবারকে বিনামূল্যে বাড়ি-জমি দেবেন বুধবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের ২২ হাজারের বেশি পরিবার অবশেষে তাদের নিজস্ব বাড়ি এবং জমি পাবে।
তাদের একজন দিনমজুর মোহাম্মদ কাশেম শেখ ৬৫ বছর বয়সে এসে বাড়ি পেয়ে আনন্দিত।
পাবনা জেলার সুজানগরে সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে পাওয়া তার আধা-পাকা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘আমি অন্যের বাড়িতে থাকতাম। নিজের জমিতে নিজের বাড়ি করার কথা কখনো ভাবিনি। আজ আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।’
তিনি বলেছিলেন যে তার পরিবার আর নির্ঘুম রাতগুলো নিয়ে চিন্তা করবে না যে তারা অন্যের ভাঙ্গা বাড়িতে কাটিয়েছে।
তিনি বলেন,‘আগামীকাল থেকে ঘুমাতে আমার কোন অস্বস্তি হবে না।’
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ২২ হাজার ১০৫ পরিবারকে বাড়ি ও জমির মালিকানার নথিপত্র প্রদান করবেন।
এর মধ্য দিয়ে আরও ১২টি জেলা এবং ১২৩টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: গৃহহীন-ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে আরও ১২ জেলা ও ১২৩ উপজেলাকে
বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের মধ্যে আধা-পাকা ঘর বিতরণের উদ্বোধন করবেন এবং এই ঘোষণা দেবেন।
এর মাধ্যমে দেশের মোট ২১টি জেলা ও ৩৩৪টি উপজেলা হবে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত পরিবার।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২২ হাজার ১০১টি বাড়ির চাবি এবং দুই দশমিক দুই শতাংশ জমির মালিকানার দলিল পরিবারের হাতে তুলে দেবেন। তিনি বলেন, ওই দিন প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার মানুষকে বাড়িতে পুনর্বাসন করা হবে।
মুখ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ পর্যন্ত আশ্রয়ণ প্রকল্প ও অন্যান্য কর্মসূচির আওতায় মোট ৮ লাখ ২৯ হাজার ৬০৭ পরিবারকে বাড়ি দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, প্রায় ৪১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫ জনকে বাড়িতে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ২৭ লাখ ৭৮ হাজার ৮৫ জনের (৫ লাখ ৫৫ হাজার ৬১৭টি পরিবারের) পুনর্বাসন করেছেন (১৯৯৭ সাল থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত)।
প্রায় ৪১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫ জনকে ঘর দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘বিশ্বে এটি একটি বিরল দৃষ্টান্ত কারণ ভূমিহীনদের বিনামূল্যে ঘর ও জমি দেওয়া হচ্ছে এমন অন্য কোনো কর্মসূচি নেই।’
আরও পড়ুন: জনগণই আ. লীগের প্রভু, আর কেউ নয়: বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধানমন্ত্রী
তোফাজ্জেল বলেন, শুধু বাড়ি-জমিই দেওয়া হয় না, বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়, পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয় এবং তাদের জন্য অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়। ‘সুতরাং, পৃথিবীর আর কোনো দেশে এত বড় (পুনর্বাসন) কর্মসূচি নেই। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনন্য।’
তিনি বলেন, ভূমিহীনদের বাড়িঘর প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসনের ফলে চরম দরিদ্র ও ভাসমান মানুষের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
এর আগে শেখ হাসিনা মুজিব বর্ষ থেকে পাঁচ দফায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বাড়ি হস্তান্তর করেন।
বুধবার ষষ্ঠ পর্যায়ে বাড়ি বিতরণের সময় প্রধানমন্ত্রী তিনটি স্থানের সুবিধাভোগী এবং স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সংযুক্ত হবেন।
তিনটি স্থান হলো খুলনার তেরখাদা উপজেলায় বারাসত সোনার বাংলা পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প স্থান, পাবনার বেড়া উপজেলায় চাকলা আশ্রয়ন-২ প্রকল্প স্থান এবং নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানুল্লাহপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প স্থান।
ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত পরিবার হওয়ার গৌরব অর্জনকারী ১২টি জেলা হলো মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প
১২৩টি উপজেলার মধ্যে রয়েছে শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট; কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর, নিকলী, হোসেনপুর, বাজিতপুর, মিঠামইন ও করিমগঞ্জ; টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, নাগরপুর, মির্জাপুর, কালিহাতী ও বাসাইল; মানিকগঞ্জের শিবালয়, হরিরামপুর ও সদর; মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ও টঙ্গীবাড়ী; রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ; নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সদর; ফরিদপুরের বোয়ালমারী, চরভদ্রাসন, ভাঙ্গা ও সদর; ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, গফরগাঁও, মুক্তাগাছা ও সদর; শেরপুরের শ্রীবরদী ও সদর; জামালপুরের ইসলামপুর ও সরিষাবাড়ী; কক্সবাজারের পেকুয়া, উখিয়া ও টেকনাফ; চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও আনোয়ারা; চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ ও কচুয়া; নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, সেনবাগ ও সদর; কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, বরুড়া, হোমনা, তিতাস, মেঘনা ও বুড়িচং; ফেনীর দাগনভূঁইয়া, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী; রংপুরের বদরগঞ্জ; দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ, বীরগঞ্জ, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, বিরামপুর, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট ও সদর।
অন্য উপজেলাগুলো হলো ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, রানীশংকৈল ও সদর; নীলফামারীর ডোমার ও জলঢাকা; নওগাঁর আত্রাই, বদলগাছী, মান্দা, নিয়ামতপুর, পোরশা, সাপাহার ও সদর; সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, শাহজাদপুর ও কামারখন্দা; বগুড়ার গাবতলী, আদমদীঘি ও সদর; নাটোরের সিংড়া, নলডাঙ্গা ও সদর; পাবনার চাটমোহর, বেড়া, ফরিদপুর, ভাঙ্গুড়া ও সুজানগর; ঝিনাইদহ সদর; সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ ও সদর; যশোরের যশোর সদর; কুষ্টিয়ার খোকসা; খুলনার দিঘলিয়া; নড়াইলের কালিয়া; পিরোজপুরে পিরোজপুর সদর; ঝালকাঠি সদর; পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও গলাচিপা; বরগুনার পাথরঘাটা, বেতাগী, তালতলী; সিলেটের বিয়ানীবাজার, কোম্পানীগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জকিগঞ্জ; মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার সদর, কুলাউড়া, বড়লেখা ও জুড়ী; হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ, বাহুবল, লাখাই, হবিগঞ্জ সদর ও মাধবপুর; এবং সুনামগঞ্জের শাল্লা ও ধর্মপাশা।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী দুই দফায় পঞ্চগড়, মাগুরা, মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, জয়পুরহাট, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গার ৯টি জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ মুক্ত জেলা ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় ধাপে টেকসই ঘর পাবে প্রায় ৬৫,৪৭৪ পরিবার
সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
সৌদি আরবের মক্কায় ওমরাহ পালন শেষে দাম্মামে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
শনিবার (৫ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে সৌদি আরবের আল-কাসিম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মোবারক হোসেন (৪৮), তার দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে তানজিল আব্দুল্লাহ (১৭) ও অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মাহিয়া মাহি (১৪)।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- মোবারক হোসেনের স্ত্রী শিখা আক্তার (৪০) ও বড় মেয়ে মিথিলা ফারজানা মীম (১৯)।
আরও পড়ুন: যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
তারা স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) মোবারক হোসেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ওমরাহ পালনের জন্য পবিত্র মক্কার উদ্দেশে রওনা হন।
ওমরাহ্ পালন শেষে শনিবার সৌদি আরব সময় সকাল ১০টার দিকে তারা দাম্মাম শহরের নিজ বাসায় ফিরছিলেন। পথে আল-কাসিম নামে স্থানে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি গাড়ি তাদের গাড়িকে সজোরে ধাক্কা দেয়।
এতে তাদের গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং গাড়িতে থাকা পাঁচজন গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুইজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা যায়।
মোবারক হোসেন ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার হাজীগঞ্জের গাজিরটেক গ্রামের শেখ মোহাম্মদ আলী ওরফে মোহন শেখের বড় ছেলে।
তার পাঁচ ভাই আর তিন বোনের মধ্যে চার ভাই সৌদি প্রবাসী।
মোবারক হোসেন প্রায় দুই যুগ ধরে পরিবার নিয়ে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে বসবাস করে আসছিলেন। সেখানে তার একটি কার রিপেয়ার শপ (গাড়ি মেরামতের দোকান) রয়েছে।
প্রায় ৩০ বছর সৌদি আরবে বসবাস তাদের। গত চার মাস আগেও পরিবার নিয়ে দেশে বেড়াতে এসেছিলেন তারা।
নিহতের পিতা শেখ মোহম্মদ আলী ওরফে মোহন শেখ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বড় নাতনি মিমের কানাডা যাওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ করেছিল।
তার আগে তারা পরিবার নিয়ে ওমরাহ করতে যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে আর দুই নাতির জীবন শেষ হয়ে গেল এই দুর্ঘটনায়। আমি আর কী বলব।’ একথা বলে বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি।
নিহতের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গত বুধবার রাতে বড় ভাই মোবারক হোসেন তাদের ফোন করে জানান যে, তারা পরের দিন ওমরাহ করতে যাবেন।
তার ভাইয়ের বড় মেয়ের কানাডা যাওয়া এবং বাচ্চাদেরও পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা সপরিবারে ওমরায় যাচ্ছেন বলে জানান। এটিই ছিল তাদের সঙ্গে শেষ কথা।
এরপর দুর্ঘটনার দুই ঘণ্টা পরে জানতে পারি গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করেছে তারা। তবে তারা মারা গেছেন একথা প্রথমেই জানতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে বাংলাদেশ থেকে নিহতের শ্যালক গিয়েছেন সৌদি আরবে। এ ছাড়া প্রবাসে থাকা দুই ভাই আহত ও নিহতদের কাছে রয়েছেন।
তিনি সরকারের কাছে অনুরোধ করেন, এই রেমিট্যান্স যোদ্ধার লাশটি যেন সরকার দ্রুত দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
আরও পড়ুন: জুলাই মাসে ৫০৫ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭৬
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
জুলাই থেকে ১ কোটি টিসিবি কার্ডধারী পরিবার পাবে ৩০ টাকায় ৫ কেজি চাল
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সরকার ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশ (টিসিবি) কার্ডধারী পরিবারগুলোকে ১ জুলাই থেকে ৩০ টাকায় ৫ কেজি চাল দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে এক কোটি পরিবার টিসিবি পণ্য পাচ্ছে এবং ১ জুলাই থেকে কার্ডধারীরা প্রতিকেজি ৩০ টাকা হারে ৫ কেজি চালসহ অন্যান্য সামগ্রী পাবেন।
তিনি বলেন, ওপেন মার্কেট সেলস (ওএমএস) ডিলাররা চাল সরবরাহ করবে।
আরও পড়ুন: আরও ২০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিতে চিঠি
রবিবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে বোরো সংগ্রহের অগ্রগতি নিয়ে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
৫ কেজি চালের প্রক্রিয়া সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কার্ডধারীরা যখন তাদের টিসিবি আইটেম পাবে তারা ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে চালও পাবে।
তার মানে চাল টিসিবি আইটেম হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সাধন চন্দ্র বলেন, চালের দাম কিছুটা বেশি হলে আমরা সারাদেশে আড়াই হাজার ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে চাল বিক্রি করেছিলাম এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে ওএমএসের মাধ্যমে অতিরিক্ত ২ লাখ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করেছি।
এছাড়া আমরা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে ৫০ লাখ পরিবারকে নিয়মিত চাল দিচ্ছি এবং তারা প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছে।
বোরো সংগ্রহের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, চলমান বোরো সংগ্রহ মৌসুমে ২৪ জুন পর্যন্ত সরকার ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৮৭ মেট্রিক টন চাল এবং ১ লাখ ১৫ হাজার ২৭২ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করেছে।
তিনি বলেন, আমরা ১২ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ৪ লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম।
তিনি আরও বলেন, এই জুনে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।
আরও পড়ুন: চাল আমদানিতে সরকারকে এক ডলারও ব্যয় করতে হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
ভারত ও সিঙ্গাপুর থেকে ১ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করবে সরকার