পরিবার
৫৪ ধারায় গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে জানাতে হবে পরিবারকে: সফর রাজ হোসেন
পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন বলেছেন, ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা অনুযায়ী পুলিশ ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশনা মানতে হবে।
তিনি বলেন, কার্যবিধির ১৬৭ ধারায় যেখানে পুলিশ রিমান্ডে নেয় সেটির ক্ষেত্রেও হাইকোর্টের নির্দেশনা মানতে হবে। ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে তার পরিবারকে ফোনে জানাতে হবে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার নিজ দপ্তরে পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
সফর রাজ হোসেন বলেন, আমরা বেশকিছু বিষয়ে একমত হয়েছি। এছাড়া দুটি কড়া আইন রয়েছে। ৫৪ ধারা অনুযায়ী পুলিশ ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেপ্তার করতে পারে। আরেকটি ১৬৭ ধারায় যেখানে পুলিশ রিমান্ডে নেয়। এ দুটি ক্ষেত্রে আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক নই। এমনকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও মালিক না। এটা সিআরপিসি। আইন মন্ত্রণালয়ের আইন।
আরও পড়ুন: কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গণমাধ্যম সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে: তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, এসব বিষয়ের কারণে আমরা আইন মন্ত্রণালয় থেকেও একজন যুগ্ম সচিবকে এই সংস্থার কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করেছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি দীর্ঘদিন হলো এসব বিষয় নিয়ে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। ব্লাস্ট নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে ড. কামাল হোসেন এ বিষয়ে একটি রিট করেছিলেন। ওই রিটে হাইকোর্ট বলেছিলেন এই আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, এ ক্ষেত্রে অনেকগুলো গাইডলাইন দিয়ে দেয়। পরবর্তীতে এই বিষয় নিয়ে সরকার আপিল বিভাগে যায়। সেখান থেকে বলা হয়, এ বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা আগেই দেওয়া আছে। অর্থাৎ আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশ এবং অন্যান্য সরকারের সংস্থাগুলোকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে অবশ্যই তার পরিবারের লোকজনকে সেটা জানাতে হবে। এটা হাইকোর্টের একটি রায়। আপনারা জানেন হাইকোর্টের রায় আইনের একটি অংশ।
পুলিশের দুর্নীতি নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এক নম্বর শত্রু হচ্ছে দুর্নীতি৷ কোনো বিভাগের দুর্নীতি কমে গেলে সেখানে কর্মদক্ষতা বাড়ে, আইনের প্রতি মানুষ শ্রদ্ধাশীল হয়। এছাড়া আমাদের দেশের বড় সমস্যাই দুর্নীতি৷ আমরা পুলিশের বেতন নিয়ে আলোচনা করেছি, আগামীকাল আরও আলোচনা হবে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশসহ সরকারের সকল বিভাগকে রাজনীতিমুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। আমাদের গত ১৫ বছরের নিকট অতীতে দেখেছি পুলিশসহ অন্যান্য বিভাগগুলোতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন। এছাড়া অনেকে দুর্নীতি করেছে এবং পদোন্নতি নেওয়ার চেষ্টা করেছে। এটি বন্ধে সুপারিশের কাজ চলছে। সাদা পোশাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আমরা এখনও কোনো সুপারিশ করিনি, তবে এ বিষয় একটি নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পুলিশ ভেরিফিকেশনে থাকছে না রাজনৈতিক বিবেচনা: সফর রাজ হোসেন
শুধুমাত্র নির্বাচন দেওয়াই এই সরকারের কাজ নয়: উপদেষ্টা নাহিদ
১ মাস আগে
সংখ্যালঘু বা গরিষ্ঠ নয়, সবাই আমরা একই পরিবারের: উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সংখ্যালঘু বা গরিষ্ঠ নয়, সবাই আমরা একই পরিবারের। তাই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে কিছু থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘পূজাটা যেন নতুন বাংলাদেশের পূজা হয়। আমরা সবাই একটা পরিবারের মানুষ। কে হিন্দু কে বৌদ্ধ এটা নিয়ে কোন বৈষম্য নয়।’
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে শিক্ষকরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন: উপদেষ্টা
সোমবার (৭ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৪ উদযাপন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে শিক্ষকরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন: উপদেষ্টা
সামাজিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেছেন, ঈদে আনন্দ করব পূজায় ভয়ে থাকব এটা হয় না। পূজায় কেন ভয়ে থাকতে হবে। পুলিশ-আনসার দিয়ে পাহাড়া দিয়ে পূজাটাকে আনন্দময় করব।
তিনি আরও বলেন, পূজায় সবাই মিলে আনন্দ করতে চাই। সেজন্য সামাজিকভাবে পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। যেন সবাই আনন্দটা করতে পরি। যদি চেষ্টা করি তাহলে অবশ্যই ভালো একটা পূজা করতে পারব।
উপদেষ্টা আরও বলেন, মানুষের মধ্যে বৈষম্য ও বঞ্চনা এবং পুঞ্জিভূত ক্ষোভের ফলে আন্দোলন তুঙ্গে উঠেছিল। এ আন্দোলন ছিল ছাত্র-জনতার সর্বোপরি সর্বস্তরের মানুষের আন্দোলন। এ আন্দোলনে সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি হয় যাদের অধিকাংশই ছাত্র। কাজেই এ আন্দোলনের ফলে গঠিত অন্তর্বতী সরকার শুধু দায়িত্ব নয় বরং কর্তব্য বলে মনে করছে।
তিনি আন্দোলনে শহীদদের সংখ্যা সম্পর্কে বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত যে তালিকা করেছি ৮০০ থেকে ৯০০ বলা হচ্ছে, কিন্তু অন্যান্য হিসাবে দেখা যায় যে ১ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। নিহতদের অধিকাংশই তরুণ।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
২ মাস আগে
ময়মনসিংহে পানিবন্দি ৫০ হাজার পরিবার
ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ১৫ ইউনিয়নের ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০ হাজার পরিবার। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার রাস্তা ঘাট, শত শত একর কৃষি জমি ও মাছের খামার।
হালুয়াঘাটের পানি নামতে শুরু করলেও ১২টি ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকার ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে রয়েছে। তারা ঠাঁই নিয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ৫০ হাজারের বেশি
সরকারিভাবে যে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। পর্যাপ্ত ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা না থাকায় চরম দুর্ভোগে পানিবন্দিরা।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলায় সাড়ে ১১ হাজার হেক্টর আমন ধানের খেত এবং ৮ হাজার হেক্টর ফসলের খেত নষ্ট হয়েছে। এছাড়া আরও নষ্ট হয়েছে ৭০ হেক্টর সবজির খেত।
স্থানীয় বাসিন্দা মোবারক আলী বলেন, ঘরে পানি ওঠায় বেশিরভাগ পরিবারে রান্নাবান্না বন্ধ রয়েছে। শুকনা খাবার খেয়ে দিন পার করছি। সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছি গরু ছাগলকে নিয়ে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপরে, পানিবন্দি ২৫০০০ পরিবার
ধোবাউড়ার বাসিন্দা মজিবুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে পানি চলে আসায় কোনো প্রস্তুতি নিতে পারিনি। অনেকের ঘর ভেঙে গেছে। তারা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, এ পর্যন্ত দুই উপজেলায় ৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রশাসনের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। চাহিদা মোতাবেক ত্রাণ সামগ্রীও রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ৩৪ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি, তলিয়ে গেছে ফসলের খেত
২ মাস আগে
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পরিবারের চাহিদানুযায়ী খাদ্য সহায়তার দেবে সরকার: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি যদি ভবিষ্যতে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে ফ্যামিলি কার্ড চালু করবে। যার মাধ্যমে জনগণের প্রয়োজন অনুযায়ী খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, 'অতীতের মতো ভবিষ্যতেও যদি বাংলাদেশের জনগণের সমর্থন নিয়ে দেশের জন্য কাজ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়, তাহলে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি কাজ করতে চাই। আমার পরিকল্পনা হলো...। আমরা বাংলাদেশে পরিবারের সংখ্যা গণনা করব। আমরা রাষ্ট্র থেকে প্রতিটি পরিবারকে একটি করে ফ্যামিলি কার্ড দেব।’
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়ামে এক জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে ছাত্র-গণ গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের বেশ কয়েকজন পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
তারেক রহমান বলেন, একটি পরিবারে মা বা গৃহিণীর নামের বিপরীতে পারিবারিক কার্ড দেওয়া হবে এবং এই কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে গ্রামাঞ্চলে শুরু হবে এবং পরে ধীরে ধীরে শহরাঞ্চলে প্রসারিত হবে। এই কার্ডের আওতায় প্রতিটি পরিবারকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হবে।
তিনি বলেন, এই সহায়তা প্রদান করা হবে যাতে প্রতিটি পরিবার স্বস্তি পায় এবং তাদের পরিবারের সঞ্চয় কিছুটা হলেও বাড়াতে পারে। এভাবে কয়েক বছর চলতে পারলে গ্রামীণ পরিবারের মানুষ সচ্ছল হবে বলে আমার বিশ্বাস।
তারেক রহমান বলেন, মানুষের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং একই সঙ্গে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনই বিএনপির মূল লক্ষ্য।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে চাই।’
তিনি গণআকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী দেশকে গড়ে তোলার মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত অর্জনকে সমুন্নত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, স্বৈরশাসক ক্ষমতাচ্যুত হলেও স্বৈরশাসকের কিছু প্রেতাত্মা এখনো দেশে রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরশাসকের পতন হলেও সব বিপদ এখনো কাটেনি। সামনে এখনও বিপদ আছে। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
তারেক বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন বর্তমান সরকার জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে পদক্ষেপ নেবে, কারণ জনগণ গত ১৭ বছর ধরে এসবের জন্য সংগ্রাম করে আসছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজের সময় যাতে স্বৈরশাসক নতুন করে ষড়যন্ত্র করতে পারে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেজন্য জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরশাসকের প্রেতাত্মারা বসে থাকে না, তারা তাদের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যায়। প্রতিটি গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দল এবং গণতন্ত্রপন্থী প্রতিটি মানুষকে এখন সতর্ক থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া মানে নতুন সমস্যা তৈরি করা: ফখরুল
দেশ ও জাতি গঠনে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই কেবল এ ধরনের কাজ করতে সক্ষম। কারণ নির্বাচিত সরকারের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা থাকবে।’
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করেছিল। তবে বিএনপি বিভক্তি চায় না বরং জাতির মধ্যে ঐক্য চায়।
ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যারা শাহাদাত বরণ করেছেন এবং যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের আত্মত্যাগের যথাযথ মূল্যায়ন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে যদি শহীদ ও নিহতদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানাতে হয়, তাহলে দলমত নির্বিশেষে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশের স্বার্থে, দেশের মানুষের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি ভবিষ্যতে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় যেতে পারলে জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে কাজ করবে।
তারেক ঘোষণা করেন, বাংলাদেশের বাইরে তার কোনো ঠিকানা (বাড়ি) নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এর আগে বলেছিলেন, দেশের বাইরে তার কোনো ঠিকানা নেই।
তারেক বলেন, 'খালেদা জিয়ার ছেলে হিসেবে আজ আমি আপনাদের বলতে চাই, বাংলাদেশের বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নেই। বাংলাদেশ আমার প্রথম ঠিকানা এবং বাংলাদেশই আমার শেষ ঠিকানা। তাই দেশ ও জনগণের কল্যাণে আমাদের সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম।
আরও পড়ুন: হাসিনার সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: রিজভী
২ মাস আগে
বুয়েটছাত্র আবরারের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
নির্যাতনে নিহত বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মাহবুব মুর্শেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
আরও পড়ুন: ছাত্রদল নেতা নুরু হত্যা: ফজলে করিমসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘আবরার ফাহাদের পরিবারের জন্য ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূণ চাওয়া হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেছেন।’
বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বুয়েট।
আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ পরদিন ৭ অক্টোবর এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হয়। ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক আবু জাফর কামরুজ্জামান আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোসের্স, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এসএম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলেন- বুয়েট ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।
আরও পড়ুন: সিলেটে শেখ হাসিনাসহ ৯১ জনের নামে হত্যা মামলা
সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রীসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা
৩ মাস আগে
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া হবে: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কেউ যেন কষ্ট না পায়, সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে।’
শুক্রবার খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সুশীল সমাজের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ‘৫০ বছরে ফটিকছড়িতে এমন বন্যা দেখিনি’
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে বর্তমান সরকার কাজ করতে বদ্ধপরিকর। এজন্য সবাইকে পরস্পর ভাই হিসেবে বসবাস করার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করার কথা বলেন। জানান, নতুন পরিষদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পক্ষ থেকে দু’জন প্রতিনিধি রাখা হবে।
বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়িতে বন্যায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। চলতি আগস্টে তিনবার বন্যার কবলে পড়েছে খাগড়াছড়ি।
আরও পড়ুন: বন্যায় ১৩ জনের মৃত্যু, ১১ জেলায় ৪৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
৩ মাস আগে
নিহত তামিমের পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা জবি প্রশাসনের
কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান হাবিব তামিমের পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বুধবার (৩১ জুলাই) গণিত বিভাগ ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন।
তামিমের স্মৃতিচারণ করে তার মা বলেন, ‘রাত যায়, দিন যায়, আমি তামিমরে খুঁজে পাই না। ২০ বছর পাইলা বড় করছি, আজ আমার তামিম নেই। সবাই কে দেখি, কিন্তু আমার তামিমকে দেখি না।’
আরও পড়ুন: জাবি শিক্ষকের পদত্যাগ: শাস্তি এড়ানো, না কি বিবেকের ডাকে সাড়া?
এসময় শিক্ষকেরা তামিমের পরিবারকে সান্ত্বনা দেন এবং ধৈর্য ধরতে বলেন। এছাড়া পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গণিত বিভাগ সবসময় পাশে থাকবে বলেও আশ্বস্ত করেন শিক্ষকরা।
গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘তামিমের অকালে চলে যাওয়া আমাদের ব্যথার কারণ। আমরা ক্লাসে অবশ্যই তামিমের শূন্যতা অনুভব করব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমরা সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমরা জানি, একটা সন্তানকে বড় করতে কত কষ্ট করতে হয়।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. জি. এম আল-আমীন, সহকারী প্রক্টর গৌতম কুমার সাহা, বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন ও গণিত বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, অধ্যাপক ড. মোস্তাক আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক ড. ফারহানা রশিদ, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ নূরুজ্জামান, মো. আশরাফুল ইসলাম, ফয়জুন্নেসা খন্দকার ও সহকারী রেজিস্ট্রার মোশফেয়ারা খানম।
আরও পড়ুন: জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও মৌন মিছিল
ব্র্যাকের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাব ও জাবি শিক্ষার্থীর ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
৪ মাস আগে
বেনজীর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা আরও জমি-ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা আরও জমি ও ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনে বুধবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি বেনজীরের ব্যাপক দুর্নীতির জবাবদিহিতা দাবি করেছে টিআইবি
মামলার অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম সম্পত্তি জব্দের আবেদন করেন।
এসব সম্পত্তি ও ফ্ল্যাটের মধ্যে আছে, রূপগঞ্জে ২৪ কাঠা জমি, উত্তরায় তিন কাঠা জমি, বাড্ডায় দুটি ফ্ল্যাট, বান্দরবান জেলায় ২৫ একর জমি, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জিসান মীর্জার নামে আদাবরের ছয়টি ফ্ল্যাট, গুলশানে বাবার কাছ থেকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি মূলে পাওয়া ছয় তলা ভবন, সিটিজেন টিভির শেয়ার ও টাইগার অ্যাপারেলসের শেয়ার।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে, স্ত্রী জিসান মীর্জা ও কন্যাদের নামে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের মালিকানাধীন ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। তা করতে পারলে মামলার অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, অভিযোগ দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে।
তাই, অনুসন্ধান শেষে মামলা দায়ের, তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল এরপর আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে তথা সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে স্থাবর সম্পত্তিসমূহ ক্রোক ও অস্থাবর সম্পত্তি ফ্রিজ করা একান্ত প্রয়োজন।
এর আগে গত ২৩ ও ২৬ মে দুই দফায় বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ৬২১ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমির মালিক বেনজীরের স্ত্রী জিসান মীর্জা। তার নামে প্রায় ৫২১ বিঘা জমির খোঁজ পেয়েছে দুদক। বাকি ১০০ বিঘার মতো জমি রয়েছে বেনজীর, তার তিন মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর, তাহসিন রাইশা বিনতে বেনজীর ও জারা জেরিন বিনতে বেনজীর এবং স্বজন আবু সাঈদ মো. খালেদের নামে।
বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জিসান মীর্জার নামে মাদারীপুরের সাতপাড় ডুমুরিয়া মৌজায় ২৭৬ বিঘা জমি পাওয়া গেছে। ২০২১ ও ২০২২ সালের বিভিন্ন সময় ১১৩টি দলিলে এসব জমি কেনা হয়। দলিলমূল্য দেখানো হয় মোট ১০ কোটি ২২ লাখ টাকা। ৮৩টি দলিলে ৩৪৫ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত। যার দলিলমূল্য দেখানো হয়েছিল ১৬ কোটি ১৫ টাকার কিছু বেশি। এছাড়া, বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামে গুলশানে যে চারটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন আদালত, তার মধ্যে তিনটি তার স্ত্রীর নামে এবং একটি ছোট মেয়ের নামে। দুটি ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ৩৫৩ বর্গফুট, দাম ৫৬ লাখ টাকা করে। বাকি দুই ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ২৪৩ বর্গফুট করে, দাম সাড়ে ৫৩ লাখ টাকা করে। চারটি ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে একই দিনে।
আরও পড়ুন: বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানের সম্পদ দেখভালে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দিল আদালত
আওয়ামী লীগকে রক্ষা করতে, ক্ষমতায় রাখতে সব প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন বেনজীর: ফখরুল
৬ মাস আগে
সিলেটে টিলা ধস, এক পরিবারের ৩ জনের লাশ উদ্ধার
সিলেটে টিলা ধসে আটকে পড়া একই পরিবারের তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
সোমবার (১০ জুন) ভোর ৬টার দিকে সিলেট মহানগরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেজরটিলার চামেলীবাগ আবাসিক এলাকায় টিলা ধসের ঘটনাটি ঘটে। এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওই এলাকার একটি বাসাবাড়ি থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- আগা করিম উদ্দিন (৩১), তার স্ত্রী রুজি বেগম (২৫) ও তাদের ৬ মাস বয়সী শিশুসন্তান তানিম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী।
ওই বাড়িতে দুইটি পরিবার থাকতেন। ভূমি ধসে ঘরের নিচে দুই পরিবারের পাঁচজন আটকা পড়েন।
আরও পড়ুন: ৭ দিন বন্ধ থাকার পর সিলেটের সব পর্যটন কেন্দ্র চালু
প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় এক পরিবারের দুইজনকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে বাকি তিনজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছিল না। এরপর সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধারকাজে সাহায্যের জন্য সেনাবাহিনী নিয়োগের ঘোষণা দেন। এর কিছুক্ষণ পরই সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেন।
ঘটনাস্থলে উদ্ধারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে উদ্ধার কার্যক্রম হাতে চালাতে হয়। যে কারণে আটকা পড়াদের উদ্ধার করতে দেরি হয়ে যায়।
সকাল ১০টার দিকে শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী বলেন, ‘সকাল ৭টার দিকে খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।’
ভারী বৃষ্টির কারণে টিলার মাটি ধসে একটি আধপাকা ঘরের ওপরে পড়ে। এর নিচে ৩ জন লোক আটকা পড়েছেন। ঘরটি টিলার নিচেই ছিল বলে জানান ওসি হারুনূর রশীদ।
আরও পড়ুন: সিলেটের বন্যাকবলিত অঞ্চলের এইচএসসি পরীক্ষা পরে নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
সিসিকের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ভোর ৬টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। এই বাসায় দুই ভাই তাদের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। ভূমিধসে ঘরের নিচে ৬ জন আটকা পড়েন। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আমরা এসে এক ভাই, তার স্ত্রী ও তাদের সন্তানকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করতে পেরেছি। তবে আরেক ভাই, তার স্ত্রী ও ১ বছরের সন্তান এখনও আটকা রয়েছেন।’
‘বৃষ্টির কারণে উদ্ধার আভিযান ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া রাস্তা ছোট হওয়ার কারণে ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের গাড়ি ঢুকতে পারছে না। ফলে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তাই হাত দিয়েই উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, মেডিকেল চেকআপের জন্য সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে ছিলেন। লন্ডনে যাওয়ার পরই বন্যার কবলে পড়ে সিলেট মহানগর। নগরবাসী প্রাকৃতিক দুর্যোগে পড়ায় মেডিকেল চেকআপ পুরোপুরি শেষ না করেই সোমবার সিলেট ফিরে এসেছেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান।
এরপর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি ফ্লাইটে লন্ডন থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে সরাসরি ঘটনাস্থলে ছুটে যান সিসিক মেয়র।
৬ মাস আগে
বেনজীর ও তার পরিবারের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল, ঢাকায় ফ্ল্যাট ও কোম্পানির শেয়ার জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম এ আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: অফিস আদালত খুললেও ঢাকা এখনো ছুটির মেজাজে
শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৩ মে বেনজীর আহমেদের সব ব্যাংক হিসাব ও কক্সবাজারের তার ৮৩টি দলিলের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর আরও সম্পদের খোঁজ পাওয়ায় তা জব্দের আবেদন করে দুদক।
একটি জাতীয় দৈনিকে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে তার নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে- গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামে এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটন কেন্দ্র।
এ ছাড়াও, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার কাছের এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার।
পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গা জুড়ে ডুপ্লেক্স, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।
গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।
বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পরে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ আদালতের
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত
৬ মাস আগে