পরিবার
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবলার সাগরিকার পরিবার পাচ্ছে নতুন বাড়ি
দেশের কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবল দলের খেলোয়াড় মোছাম্মত সাগরিকার পরিবার পাচ্ছে নতুন বাড়ি।
ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সাগরিকার বাড়িতে তাকে দেখতে যান ইউএনও। এ সময় তার পরিবারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: এটিজেএফবি এভিয়েট্যুর উইমেন্স আইকন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ১০ নারী
ইউএনও রকিবুল হাসান জানান, রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামে সাগরিকার বাড়ি। তাদের বাড়ির খুবই জনাজীর্ণ। তাই নতুন করে নির্মাণ করার জন্য জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে।
ইউএনও আরও জানান, উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় সাগরিকার পরিবারকে নতুন করে দুই রুম বিশিষ্ট একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে। এরই মধ্যে রাজমিস্ত্রির সঙ্গে কথাও হয়েছে দ্রুত বাড়ি নির্মাণের জন্য।
নতুন ঘর পাওয়ার কথা শুনে খুশিতে কেঁদে ফেলেন সাগরিকার বাবা মোহাম্মদ লিটন আলী। তিনি জানান, তার মেয়ের কারণেই তিনি আজ নতুন বাড়ি পাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, রাণীশংকৈল-হরিপুর মহাসড়কের বাশরাইল এলাকা থেকে মহাসড়কের উত্তর দিক দিয়ে সরু পথ ধরে প্রায় আধা কিলোমিটার যেতেই সাগরিকার বাড়ি। বাড়ির প্রবেশপথে ছোট একটি দরজা। বাড়িটি কাশবনের বেড়া দিয়ে ঘেরা। ঘর দুইটি করা হয়েছে কাশবন আর বাঁশের বাতার বেড়া দিয়ে। ঘরের ছাউনি হিসেবে রয়েছে ছাপড়া টিন। বাড়িতে রয়েছে অস্বাস্থ্যকর শৌচাগার ও টিউবওয়েল।
আরও পড়ুন: মারা গেলেন নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় রাজিয়া সুলতানা
শোয়েব মালিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা সানিয়া মির্জার পরিবারের
পাকিস্তানি ক্রিকেট তারকা শোয়েব মালিকের সঙ্গে ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে সানিয়ার পরিবার।
শোয়েব তার নববিবাহিতা স্ত্রী পাকিস্তানি অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে ছবি পোস্ট করার একদিন পরই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
আরও পড়ুন: দু-একদিনের মধ্যে ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বাড়বে: নসরুল হামিদ
সানিয়া ও শোয়েব ২০১০ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন। এরপর ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করে।
মির্জা পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সানিয়া সবসময় তার ব্যক্তিগত জীবনকে লোকচক্ষুর আড়ালে রেখেছেন। তবে আজ তার প্রয়োজন হয়েছে যে শোয়েব এবং তার কয়েক মাস হলো বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছে।’ শোয়েবের নতুন যাত্রার জন্য শুভ কামনা জানিয়েছেন তিনি।
সানিয়া যখন বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ধারাভাষ্য বক্সে মগ্ন, তখন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলতে ব্যস্ত শোয়েব।
তাদের ছেলে সানিয়ার সঙ্গেই থাকে।
আরও পড়ুন: আবারও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা হলেন জয়
রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখতে মহাসচিবের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ
ঢাকার দোহারে অগ্নিসংযোগে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
ঢাকার দোহারে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের ধীতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ভোরে জুলহাস নামের একজনের আধাপাকা ঘরে তালা দিয়ে পেট্রোল ছুঁড়ে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে জুলহাস, ২ শিশু ও নারীসহ একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হন। চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্বার করেন।
দোহার ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আধাঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ঢাকা জেলা পুলিশের অপরাধ বিভাগের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে দোহার থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
আরও পড়ুন: আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে নারীর মৃত্যু
কারওয়ান বাজারে বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত ২
ফেনীতে আগুনে দগ্ধ সেই পরিবারের ৩ জনের কেউই বেঁচে নেই
ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ইতালি ভবনের পঞ্চম তলার বাসায় আগুনে দগ্ধ আশীষের পরিবারের তিনজনের কেউ আর কেউ বেঁচে রইল না।
আগুন লাগার ঘটনার ১৩ দিনের মধ্যে একে একে মারা গেলেন আশীষ চন্দ্র সরকার, তার একমাত্র সন্তান রিক সরকার ও স্ত্রী টুম্পা রানী সরকার (৩০)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
তারা তিনজনই রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ইতালি ভবনের পঞ্চম তলার বাসায় আগুন লাগে। এ ঘটনায় দগ্ধ হন আশীষ, টুম্পা ও রিক। গ্যাসের চুলায় তিতাসের সংযোগ লাইন থেকে আগুন লাগার ঘটনার কথা স্বজনদের বলেছিলেন আশীষ ও টুম্পা।
গত ৩১ ডিসেম্বর হাসপাতালের হাইডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) মারা যান আশীষ চন্দ্র সরকার, ৫ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ছেলে রিক সরকার ও সর্বশেষ গত সোমবার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মৃত্যু হয় আশীষের স্ত্রী টুম্পা রানী সরকারের।
আরও পড়ুন: পলাশবাড়িতে বাসে আগুন, দগ্ধ ৭
আশীষের ছোট ভাই পরিতোষ চন্দ্র সরকার জানান, দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তারা।
তিনি আরও বলেন, আশীষের ৮২ শতাংশ, টুম্পার ৬০ শতাংশের বেশি এবং রিকের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়। শুরু থেকেই রিককে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আর আশীষ ও টুম্পাকে এইচডিইউ ভর্তি করা হয়। তিনজনের অবস্থাই সংকটাপন্ন ছিল।
সোমবার টুম্পার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যার সময় তাকে এইচডিইউ থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে টুম্পার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
তার লাশ নিয়ে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দিকে রওনা দিয়েছেন। এর আগে আশীষ ও রিকেরও শেষকৃত্য হয় ধোবাউড়ায়।
আশীষের ভাই পরিতোষ জানিয়েছিলেন, তাদেরও বাসার দরজা-জানালা সব সারা দিন বন্ধ ছিল। রাতে আশীষ অফিস থেকে বাসায় ফেরার পর ভাত রান্নার জন্য চুলা জ্বালাতে যান। চুলা জ্বালানোর পরপরই দুই কক্ষের বাসায় আগুন লেগে যায়। আগুন লাগা অবস্থায় তারা নিজেরাই দরজা খুলে সিঁড়ি দিয়ে নামতে থাকেন।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, চিৎকার শুনে তারা গিয়ে দেখেন, শরীরে আগুন নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে দৌঁড়ে নামছেন তিনজন। কাপড় জড়িয়ে দিয়ে সেই আগুন নেভান তারা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
তিনি চাকরির সুবাদে ফেনীতে থাকতেন। ফেনীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষণ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায়।
ফেনীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষণ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। রিক ফেনীতে একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ যুবকের মৃত্যু
ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ৪ তলা ভবনের তৃতীয় তলায় একটি ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণ থেকে আগুন লেগে নারীসহ একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কাশিপুর ইউনিয়নের খিলমার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ ৪ জন হলেন- সুলতান মিয়া, তার স্ত্রী সাহিদা আক্তার, ছেলে নবী হোসেন ও আলী মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানান, কয়েকদিন আগে ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করা পরিবারের সবাই গ্রামের বাড়িতে যান। গ্রাম থেকে শনিবার রাতে বাসায় ফিরে রান্না ঘরে চুলা জ্বালাতে লাইটার ব্যবহার করতেই বিস্ফোরণ হয়। এতে ঘরের ভেতর থাকা ৪ জন দগ্ধ হন। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে আসেন।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ
পুলিশ আরও জানায়, এ সময় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসে আগুনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।
ফায়ার সার্ভিসের জাতীয় হটলাইন নম্বরের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান বিস্ফোরণ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন স্থানীয়ভাবেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। তদন্তের পরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানানো হবে।
এ ব্যপারে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থেল পৌঁছে দগ্ধদের হাসপাতালে পাঠায়। তাদের মধ্যে সাহিদা আক্তারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীর মহাখালীতে পেট্রোল পাম্পে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৮
টেকনাফে মাটির দেয়াল ধসে একই পরিবারের ৪ জন নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফ হ্নীলা মৌলভীবাজার এলাকায় মাটির দেয়াল ধসে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলা হ্নীলা মৌলভীবাজার মরিচ্যা ঘোনার পানিরছড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দেয়াল ধসে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পাহাড় ও দেয়াল ধসে প্রাণ গেল চারজনের
নিহতরা হলেন, আনোয়ারা বেগম (৫০), ছেলে শাহিদুল মোস্তফা (২০), মেয়ে নিলুফা ইয়াছমিন (১৫) ও সাদিয়া (১১)।
ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন,বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। মৌলভীবাজার মরিচ্যা ঘোনা এলাকার আনোয়ারা বেগম তার ছেলে-মেয়েদের নিয়ে রাতের খাবার শেষে তাদের মাটির তৈরি ঘরে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমাতে যান। রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে ঘরের মাটির দেয়াল ধসে তাদের ওপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই ৪ জনের মৃত্যু হয়। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওসমান গণি বলেন, পুলিশ টিম ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে অতি বৃষ্টিতে ঘরের দেয়াল ধসে শিশুর মৃত্যু
প্রবাসে মৃত কর্মীর পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ
বিদেশে মৃত প্রবাসী কর্মীদের পরিবারের হাতে আর্থিক ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সভাপতিত্বে মৃত প্রবাসী কর্মীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করা হয়। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ১৫টি পরিবারের হাতে প্রায় ৬ কোটি টাকার চেক তুলে দেন। এর মধ্যে একটি পরিবারের হাতে ১০ লাখ টাকার জীবন বিমা ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মেডিকেল চেকআপ শেষে দেশে ফিরেছেন ওবায়দুল কাদের
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রবাসীদের কল্যাণ ও অধিকার আদায়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ। বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের যেকোনো বিপদ-আপদে সরকার পাশে রয়েছে। মন্ত্রণালয় বিদেশের শ্রমকল্যাণ শাখার মাধ্যমে কর্মীর সামগ্রিক নিরাপত্তা ও সব ধরনের সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে। বিদেশে মৃত কর্মীদের ক্ষতিপূরণের অর্থ নিয়োগকারী কোম্পানি থেকে আইনগতভাবে আদায় করে তা মৃত কর্মীর ওয়ারিশদের মাঝে বিতরণ করা হয়। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে মৃত প্রবাসী কর্মীদের পরিবারের কল্যাণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ চলমান।
অনুষ্ঠানে সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী কর্মীদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশে-বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী কর্মীদের পরিবারকে সরকারের তরফ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মৃত প্রবাসী কর্মীর ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায় করে দ্রুত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশে-বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী কর্মীদের সেবায় সরকার সর্বদা নিয়োজিত।
অনুষ্ঠানে ছিলেন- ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সায়মা ইউনুস ও ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের পরিচালক (অর্থ ও কল্যাণ) শোয়াইব আহমাদ খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএসআরএফ'র সদস্যদের ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিলো জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট
বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে চায় চেক প্রজাতন্ত্র
পরিবার নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক দেখলেন তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ পরিবারের বাচ্চা থেকে বড় সব বয়সী সদস্যদের নিয়ে সিনেমা হলে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ দেখেছেন।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে স্টার সিনেপ্লেক্সে সকালের প্রদর্শনীতে পঞ্চমবারের মতো সিনেমাটি দেখা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সম্প্রচারমন্ত্রী।
সে সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিনেমাটি সবার দেখা প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: দেশ ও সমাজ বিনির্মাণে গণমাধ্যম অনবদ্য ভূমিকা পালন করতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘আমি বাচ্চাদের নিয়ে এসেছি। কারণ, মুখে বলে ইতিহাস জানানো যায় কিন্তু সেটি যখন ছবিতে দেখা হয়, তখন হৃদয়ে গেঁথে যায়। এ জন্য নতুন প্রজন্মেরও সবার সিনেমাটি দেখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।'
তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে আমার পঞ্চমবার ছবিটি দেখা হলো। এ ছাড়া সিনেমাটি বানানোর সময় দুইবার দেখেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে একবার দেখেছি, তারপর প্রিমিয়ার শোতে দেখেছি, আর আজকে বাচ্চাদের নিয়ে হলে এসেছি।’
সিনেমা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, প্রথমত এই সিনেমার নামই বলে দেয় ছবিতে কী দেখাচ্ছে। ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ এই ছবিটি দেখলে বোঝা যায়, বঙ্গবন্ধু কীভাবে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে, বাঙালির স্বাধিকার, স্বাধীনতার প্রশ্নে অবিচল ছিলেন, কীভাবে তিনি মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে দৃঢ় চিত্তে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
বায়োপিকটির বিশেষত্বের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে তিন ঘণ্টার মধ্যে দেশের ইতিহাস সংক্ষেপে জানা, কীভাবে আমাদের স্বাধীনতা এল, বঙ্গবন্ধু কীভাবে খোকা থেকে মুজিব, মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়ে উঠলেন, সেটি এ ছবিতে চিত্রায়িত হয়েছে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দীকে আমি দেখিনি। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকেও সেভাবে দেখা হয়নি। কাগজে, পত্র-পত্রিকায় যেটুকু দেখেছি এবং সবচেয়ে মর্মান্তিক যে বিষয়টি, ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড এখানে চিত্রায়িত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘খুনীরা যে কী রকম পাষণ্ড ছিল, নির্মম ছিল, ১৫ আগস্টের চিত্রায়নটি দেখলে সেটি অনুধাবন করা যায়। আমি পাঁচবার দেখার পরও ইমোশোন ধরে রাখতে পারিনি, পারছি না।'
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর বিএনপির পতন যাত্রা শুরু হবে: তথ্যমন্ত্রী
শেখ রাসেলকে সম্মান জানাতে ১৫ আগস্টের অপরাধীদের শাস্তি হওয়া দরকার: তথ্যমন্ত্রী
কালীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ২ গৃহবধূর মৃত্যু
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের দুই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের টেপাটারি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শ্রমিকের মৃত্যু, আটক ৩
নিহতরা হলেন- তুষভান্ডার ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘনেশ্যাম (টেপাটারী) এলাকার বাবলু মিয়ার স্ত্রী ফিরোজা বেগম ও একাব্বর মিয়ার স্ত্রী নিলুফা বেগম।
স্থানীয়রা জানায়, বাবলু মিয়া ও একাব্বর মিয়া দুই ভাই, একই বাড়িতে বসবাস করেন। শুক্রবার দুপুরে বাবলু মিয়ার স্ত্রী ফিরোজা বেগম গোসল করতে গোসলখানায় প্রবেশ করেন। গোসলখানার টিনের বেঁড়া স্পর্শ করায় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে যান।
এ অবস্থা দেখে একাব্বর মিয়ার স্ত্রী নিলুফা বেগম এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। এতে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে তাদের দুইজনকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের উভয়কে মৃত ঘোষণা করেন।
কালিগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
শরীয়তপুরে সুপারি গাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১
নওগাঁয় বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৫০০ পরিবার পানিবন্দি
নওগাঁর মান্দা উপজেলায় আত্রাই নদের ৪টি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রায় ১ হাজার ৫০০ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে ১ হাজার বিঘা জমির আউশ ও আমন ধানের খেত।
এরই মধ্যে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ।
এছাড়াও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধের বেশ কিছু এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পাড়ের মানুষ।
এ অবস্থায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ টিকিয়ে রাখতে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভরে আটকানোর চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ নদের পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধের বেশকিছু এলাকা চরম ঝঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদের পাড়ের মানুষ।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বন্যায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
এ অবস্থায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ টিকিয়ে রাখতে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভরে সোমবার সন্ধ্যা থেকে মেরামতের একটানা কাজ করছে শ্রমিকেরা। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তা এসব কাজ বাস্তবায়ন করছে উপজেলা প্রশাসন।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের সাতটি গ্রাম। এ ইউনিয়নের নুরুল্লাবাদ ও পারনুরুল্লাবাদ এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৪০০ পরিবার এবং ফকিন্নি নদীর তীরবর্তী এলাকায় আরও অন্তত ৬০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এছাড়া প্রসাদপুর ইউনিয়নের বাইবুল্যা ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ী এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০০ পরিবার।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার সকাল থেকে আত্রাই নদী পানি বাড়তে শুরু করে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এ নদীর পানি বেড়ে এখন বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার পর্যন্ত এ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে আরও কয়েকদিন পানি বাড়তে পারে।
নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এ ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের অন্তত এক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের পানিবন্দি মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, এরই মধ্যে বন্যা কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বস্তায় বালু ভর্তি করে মেরামতের কাজ চলছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সার্বক্ষনিক তদারকি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় এখনো ৭০০০ পরিবার পানিবন্দি
কক্সবাজারে ২ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি