পরিবার
জ্ঞান ফিরেছে তামিমের, কথা বলেছেন পরিবারের সঙ্গে
খেলার মাঠে হার্ট অ্যাটাক করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের জ্ঞান ফিরেছে।
তিনি চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে সোমবার (২৪ মার্চ) ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের এক কর্মকর্তা।
কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. রাজিব হাসান বলেন, ‘তামিমের হার্টে সুচারুভাবে রিং পড়ানো হয়েছে এবং ব্লকগুলো সম্পূর্ণভাবে অপসারণ করা হয়েছে।’
তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘তার অবস্থা এখনো জটিল রয়েছে, তাকে এখনো পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আরও কিছুটা সময় লাগবে।’
ডা. রাজিব বলেন, ‘তিনি আমাদের এখানে খুবই জটিল অবস্থায় এসেছেন। আমরা তাকে প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা দিয়েছি। আল্লাহর রহমতে তার শারীরিক অবস্থা এখন ভালো। তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। আমরা তার এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি ও রিং বসিয়েছি।’
কার্ডিওলজির ডা. মনিরুজ্জামান মারুফের নেতৃত্বে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে সোমবার(২৪ মার্চ) সকালে সাভারের বাংলাদেশে ক্রীড়া শিক্ষা প্রশিক্ষণ (বিকেএসপি) মাঠে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ(ডিপিএল) ম্যাচ খেলার সময় হঠাৎ তামিম ইকবালের হার্ট অ্যাটাক হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: তামিমের সংকটাপন্ন অবস্থা এখনো কাটেনি, জানালেন চিকিৎসক
ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের ম্যাচে শাইনপুকুড় ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে তামিমের নেতৃত্বে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব খেলতে নামে। মাঠে টস হয়ে যাওয়ার পর তামিম বুকে ব্যথা অনুভব করেন।
পরে তাকে প্রাথমিকভাবে মাঠেই চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিকটবর্তী কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে।
বর্তমানে তামিম হাসপাতালের কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।
তামির স্ত্রী আয়েশা সিদ্দীকি ও তার ভাই নাফিস ইকবাল তার সঙ্গে রয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা হাসপাতালে তাকে দেখতে গিয়েছিলেন।
২ দিন আগে
ওসমান পরিবারের ‘অভাবনীয় জালিয়াতি’ তদন্তের নির্দেশ
আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের পরিবারের প্রতিষ্ঠান কে টেলিকমের ‘অভাবনীয় জালিয়াতি’ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সাখাওয়াত হোসেন নামে এক ভুক্তভোগীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। রিট আবেদনকারীর চাহিত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষনা করা হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
চার সপ্তাহের মধ্যে ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব,, চেয়ারম্যান বিটিআরসি, রেজিস্ট্রার জয়েন স্টক কোম্পানি, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর, দুদকের চেয়ারম্যান, সিআইডিপ্রধান, আইজিপি, ওসি বনানী থানাসহ শামীম ওসমানের পরিবারের ৫জন সদস্যকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। একটি জাতীয় দৈনিকে ১৪ জানুয়ারি ‘সরকারের পাওনা ১২৬ কোটি টাকা, ফাঁকি দিতে ‘অভাবনীয় জালিয়াতি ওসমান পরিবারের’ শীর্ষক প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর ফকিরারপুলের ডিআইটি রোডের একটি ভবনে ছোট একটি কক্ষে সাখাওয়াত হোসেনের ট্রাভেল এজেন্সির কার্যালয়। সেখানে আসবাবপত্র বলতে শুধু একটি টেবিল ও তিনটি চেয়ার আছে। ভাড়া ছয় হাজার টাকা। সাখাওয়াত ফকিরাপুলেই একটি মেসে থাকেন।
যদিও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নথিপত্রে সাখাওয়াত কে টেলিকম নামের (পরে ইন্টারন্যাশনাল ভয়েস টেল লিমিটেড নামকরণ হয়) একটি ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে বা আইজিডব্লিউ কোম্পানির অংশীদার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশ থেকে টেলিফোন কল বাংলাদেশে আসে।
কে টেলিকমের কাছে বিটিআরসির পাওনা ১২৬ কোটি টাকার বেশি। পাওনা আদায়ে বিটিআরসি কোম্পানিটির মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। প্রশ্ন হলো, সাখাওয়াত কীভাবে এত বড় প্রতিষ্ঠানের মালিক হলেন? গত ১৭ ডিসেম্বর ফকিরাপুলে সাখাওয়াতের কার্যালয়ে গিয়ে তার কাছে এই প্রশ্নই করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, আমি নিজেই তো জানতাম না, আমি মালিক। ১৮ অক্টোবর বিটিআরসির কর্মকর্তারা রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) থানার পুলিশ নিয়ে আমার গ্রামের বাড়িতে যান। তখনই আমি এই কোম্পানি ও নিজের মালিকানার কথা জানতে পারি। কে টেলিকমের মালিক ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শামীম ওসমানের পরিবার। শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমান ও ছেলে ইমতিনান ওসমানের নামে ২০১২ সালে ১৫ বছরের জন্য কে টেলিকমের লাইসেন্স নেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ এবং তার (শামীম ওসমান) ঘনিষ্ঠ জয়নাল আবেদীন মোল্লা ও জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লার মালিকানাও ছিল।
নথিপত্রে দেখা যায়, ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট ওসমান পরিবার কে টেলিকমের মালিকানা সাখাওয়াত হোসেন, সিলেটের স্কুলশিক্ষক দেবব্রত চৌধুরী ও বগুড়ার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী রাকিবুল ইসলামের নামে হস্তান্তর করে। তারা তিনজন বলেছেন, তারা কেউই এ বিষয়ে জানতেন না। জালিয়াতি করে তাদের মালিক দেখানো হয়েছে।
এদিকে বিটিআরসি ও সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সরকারের পাওনা টাকার দায় এড়াতে তড়িঘড়ি করে ওসমান পরিবার কে টেলিকমের মালিকানা ওই তিন ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করে। এ ক্ষেত্রে জালিয়াতি করা হয়েছে। ভুয়া ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা ওসমান পরিবারের এই কারসাজির সহযোগী ছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শামীম ওসমান পরিবারসহ আত্মগোপনে রয়েছেন। তার (শামীম ওসমান) বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর টেলিযোগাযোগ খাতে বেশ কিছু লাইসেন্স দেওয়া হয়। তখন বিদেশ থেকে কল আনা ছিল লাভজনক ব্যবসা। জাহাঙ্গীর কবির নানক, শামসুল হক টুকু, শামীম ওসমানসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা তখন আইজিডব্লিউ লাইসেন্স নেন। লাইসেন্স নিতে ফি দিতে হয় এবং বিদেশ থেকে আনা কল থেকে আয়ের একটি অংশ বিটিআরসিকে দিতে হয়।
আরও পড়ুন: গুম তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়ল আরও সাড়ে ৩ মাস
‘রাজনৈতিক বিবেচনায় লাইসেন্স পাওয়া ব্যক্তিরা বিটিআরসির পাওনা না দিয়ে একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। ছয়টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিটিআরসি এখনো ৯২১ কোটি টাকার বেশি পাবে। বিটিআরসি নথিপত্র অনুযায়ী, কে টেলিকমের কাছ থেকে পাওনা আদায়ে বিটিআরসি ২০১৪ সালের ২২ জুন মামলা করে। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে বিটিআরসি ও পুলিশ যায় নতুন ‘মালিকদের’ বাড়িতে।
শেয়ার হস্তান্তরের মাধ্যমে নতুন ‘মালিক’ হওয়া বগুড়ার আদমদীঘির বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম বলেন, তিনি কীভাবে এই কোম্পানির মালিক হয়েছেন, তা তিনি জানেন না। তিনি ২০০৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ঢাকার সাভারে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেছেন। এখন বগুড়ায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে সামান্য বেতনে অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করেন।
২০২৪ সালের মে মাসে বিটিআরসি কর্মকর্তারা বগুড়ায় তার বাড়িতে গিয়েছিলেন উল্লেখ করে রাকিবুল বলেন, বিটিআরসির স্যাররা দেখে গেছে আমি কী অবস্থায় থাকি।
তিনি বলেন, তার ধারণা তার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে এই জালিয়াতি হয়েছে। শুধু এ ঘটনা নয়, তার এনআইডি ব্যবহার করে স্মার্টফোনে আর্থিক সেবার (এমএফএস) হিসাবও খোলা হয়েছিল। সিলেটের গোলাপগঞ্জের সরকারি এমসি অ্যাকাডেমির ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক দেবব্রত চৌধুরীর খোঁজ পেয়ে বিটিআরসি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করায়।
দেবব্রত বলেন, তাকে গ্রেপ্তারের খবরে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে এবং পরদিন তাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ। তিনি ২০০৩ সাল থেকে এমসি অ্যাকাডেমিতে কর্মরত। সিলেট নগরে দুই কক্ষের একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন বলে পত্রিকাটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
৮ দিন আগে
শেখ হাসিনা ও পরিবারের আরও ৩১ ব্যাংক হিসাব জব্দ
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও বোন শেখ রেহানাসহ তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট আরও ৩১টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, ৩১টি ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ ৩৯৪ কোটি ৬০ লাখ ৭২ হাজার ৮০৫ টাকা।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদসহ তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ৩১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
দুদক উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করতে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট আরও ৩১টি অ্যাকাউন্টের অস্থাবর সম্পদসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা হচ্ছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব অ্যাকাউন্ট অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা যেন তাদের অস্থাবর সম্পদ ও সম্পত্তির মালিকানা পরিবর্তন, স্থানানান্তর বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করতে না পারেন, এ কারণে হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এর আগে গত ১১ মার্চ শেখ হাসিনা, তার ছেলে, মেয়ে, ছোট বোন ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১২৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ও শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির বাসভবন সুধা সদনসহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা আরও কিছু সম্পত্তি জব্দের আদেশ দেন একই আদালত। একই সঙ্গে হাসিনাসহ তার পরিবারের সাতজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়।
৮ দিন আগে
সালমান এফ রহমান ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, স্ত্রী সৈয়দা রুবাবা রহমান, ভাই আহমেদ সোহাইল ফসিহুর রহমান, ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও আহমেদ সোহাইলের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, ‘দুদকের পক্ষ থেকে সালমান এফ রহমানসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়।’
আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সালমানের লন্ডনের সম্পদ জব্দসহ ব্যাংক-কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ
মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, সালমান এফ রহমান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার জালিয়াতি, প্লেসমেন্ট গে বিভিন্ন ব্যাংক হতে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের পর তা আত্মসাতসহ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত আবশ্যক।
১৫ দিন আগে
হবিগঞ্জের সাবেক এমপি ও তার পরিবারের সম্পত্তি জব্দের আদেশ
হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাহির ও তার পরিবারের নামে সাড়ে ১০ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই সম্পদ ক্রোক (জব্দ) ও হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগের আদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সিনিয়র স্পেশাল জজ জেসমিন আরা বেগম এ আদেশ দেন।
আদালতে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, আবু জাহির ও তার পরিবারের সদস্যরা নামে-বেনামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ভূমি দস্যুতা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া দুদক হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয় অনুসন্ধান করেছে বলে আবেদনে বলা হয়।
আবু জাহিরের নামে ঢাকার গুলশানে অ্যাপার্টমেন্ট ও হবিগঞ্জ শহরে টাউন হল এলাকায় বাসাসহ ৯টি স্থাবর সম্পত্তির অর্জন মূল্য দেখানো হয়েছে তিন কোটি ১১ লাখ ২৩ হাজার ৮০০ টাকা। স্ত্রী আলেয়া আক্তারের নামে ৯৯ লাখ ১০ হাজার ১০০ টাকা, ছেলে ইফাত জামিলের নামে ৫৯ লাখ ৭৭ হাজার ৩০০ ও মেয়ে আরিফা আক্তার মুক্তির ৬ লাখ ৫০ হাজার ১০০ টাকার সম্পদ রয়েছে। এছাড়া ভাই বদরুল আলমের নামে রয়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ ৫৬ হাজার ২২১ টাকার সম্পদ। এছাড়া আবু জাহিরের ১ কোটি ৩৯ লাখ ২ হাজার ৭০৬ টাকা মূল্যের একটি জিপ ও একটি প্রাইভেট কার রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংক হিসেবে মেয়ে মুক্তির নামে ১৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬৬২ টাকা, আবু জাহির ও ভাই আল আমিনের যৌথ নামে ২৬ লাখ ১১ হাজার ১১৪ টাকা ও আল আমিনের নামে ২৫ লাখ টাকা জমা রয়েছে।
শেয়ার বাজারে ছেলে ইফাত জামিলের ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৩৩ টাকা, মেয়ে মুক্তির ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮২৩ টাকার বিনিয়োগ রয়েছে।
আমেরিকান লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে (বর্তমান মেট লাইফ) আবু জাহিরের ১৯ লাখ ২০ হাজার, স্ত্রী আলেয়া আক্তারের ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৮৮ টাকা, ছেলে ইফাত জামিলের ৩৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৪ টাকা ও ভাই বদরুলের নামে ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৫৮৮ টাকার বিমা রয়েছে।
আরও পড়ুন: এস আলমের ৬৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, ১৬টি সম্পত্তি জব্দের আদেশ
দুদক আদালতকে জানিয়েছে যে, আবু জাহির ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ১৯ স্থাবর ২টি যানবাহন ৪টি ব্যাংক হিসাব, ২টি শেয়ার একাউন্ট ৯টি বীমা পলিসি ১৭টি অস্থাবর সম্পতি অন্যত্র বিক্রি, হস্তান্তর বা বেহাত করার অপচেষ্টয় লিপ্ত বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছে। অভিযোগ নিস্পত্তির আগে বর্ণিত সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগ করা জরুরি।
দুদকের হবিগঞ্জের পিপি শামসুল হক আবু জাহিরের সম্পদ ক্রোক ও জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।
৬২ দিন আগে
৫৪ ধারায় গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে জানাতে হবে পরিবারকে: সফর রাজ হোসেন
পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন বলেছেন, ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা অনুযায়ী পুলিশ ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশনা মানতে হবে।
তিনি বলেন, কার্যবিধির ১৬৭ ধারায় যেখানে পুলিশ রিমান্ডে নেয় সেটির ক্ষেত্রেও হাইকোর্টের নির্দেশনা মানতে হবে। ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে তার পরিবারকে ফোনে জানাতে হবে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার নিজ দপ্তরে পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
সফর রাজ হোসেন বলেন, আমরা বেশকিছু বিষয়ে একমত হয়েছি। এছাড়া দুটি কড়া আইন রয়েছে। ৫৪ ধারা অনুযায়ী পুলিশ ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেপ্তার করতে পারে। আরেকটি ১৬৭ ধারায় যেখানে পুলিশ রিমান্ডে নেয়। এ দুটি ক্ষেত্রে আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক নই। এমনকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও মালিক না। এটা সিআরপিসি। আইন মন্ত্রণালয়ের আইন।
আরও পড়ুন: কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গণমাধ্যম সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে: তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, এসব বিষয়ের কারণে আমরা আইন মন্ত্রণালয় থেকেও একজন যুগ্ম সচিবকে এই সংস্থার কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করেছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি দীর্ঘদিন হলো এসব বিষয় নিয়ে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। ব্লাস্ট নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে ড. কামাল হোসেন এ বিষয়ে একটি রিট করেছিলেন। ওই রিটে হাইকোর্ট বলেছিলেন এই আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, এ ক্ষেত্রে অনেকগুলো গাইডলাইন দিয়ে দেয়। পরবর্তীতে এই বিষয় নিয়ে সরকার আপিল বিভাগে যায়। সেখান থেকে বলা হয়, এ বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা আগেই দেওয়া আছে। অর্থাৎ আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশ এবং অন্যান্য সরকারের সংস্থাগুলোকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে অবশ্যই তার পরিবারের লোকজনকে সেটা জানাতে হবে। এটা হাইকোর্টের একটি রায়। আপনারা জানেন হাইকোর্টের রায় আইনের একটি অংশ।
পুলিশের দুর্নীতি নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এক নম্বর শত্রু হচ্ছে দুর্নীতি৷ কোনো বিভাগের দুর্নীতি কমে গেলে সেখানে কর্মদক্ষতা বাড়ে, আইনের প্রতি মানুষ শ্রদ্ধাশীল হয়। এছাড়া আমাদের দেশের বড় সমস্যাই দুর্নীতি৷ আমরা পুলিশের বেতন নিয়ে আলোচনা করেছি, আগামীকাল আরও আলোচনা হবে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশসহ সরকারের সকল বিভাগকে রাজনীতিমুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। আমাদের গত ১৫ বছরের নিকট অতীতে দেখেছি পুলিশসহ অন্যান্য বিভাগগুলোতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন। এছাড়া অনেকে দুর্নীতি করেছে এবং পদোন্নতি নেওয়ার চেষ্টা করেছে। এটি বন্ধে সুপারিশের কাজ চলছে। সাদা পোশাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আমরা এখনও কোনো সুপারিশ করিনি, তবে এ বিষয় একটি নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পুলিশ ভেরিফিকেশনে থাকছে না রাজনৈতিক বিবেচনা: সফর রাজ হোসেন
শুধুমাত্র নির্বাচন দেওয়াই এই সরকারের কাজ নয়: উপদেষ্টা নাহিদ
১২৭ দিন আগে
সংখ্যালঘু বা গরিষ্ঠ নয়, সবাই আমরা একই পরিবারের: উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সংখ্যালঘু বা গরিষ্ঠ নয়, সবাই আমরা একই পরিবারের। তাই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে কিছু থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘পূজাটা যেন নতুন বাংলাদেশের পূজা হয়। আমরা সবাই একটা পরিবারের মানুষ। কে হিন্দু কে বৌদ্ধ এটা নিয়ে কোন বৈষম্য নয়।’
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে শিক্ষকরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন: উপদেষ্টা
সোমবার (৭ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৪ উদযাপন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে শিক্ষকরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন: উপদেষ্টা
সামাজিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেছেন, ঈদে আনন্দ করব পূজায় ভয়ে থাকব এটা হয় না। পূজায় কেন ভয়ে থাকতে হবে। পুলিশ-আনসার দিয়ে পাহাড়া দিয়ে পূজাটাকে আনন্দময় করব।
তিনি আরও বলেন, পূজায় সবাই মিলে আনন্দ করতে চাই। সেজন্য সামাজিকভাবে পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। যেন সবাই আনন্দটা করতে পরি। যদি চেষ্টা করি তাহলে অবশ্যই ভালো একটা পূজা করতে পারব।
উপদেষ্টা আরও বলেন, মানুষের মধ্যে বৈষম্য ও বঞ্চনা এবং পুঞ্জিভূত ক্ষোভের ফলে আন্দোলন তুঙ্গে উঠেছিল। এ আন্দোলন ছিল ছাত্র-জনতার সর্বোপরি সর্বস্তরের মানুষের আন্দোলন। এ আন্দোলনে সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি হয় যাদের অধিকাংশই ছাত্র। কাজেই এ আন্দোলনের ফলে গঠিত অন্তর্বতী সরকার শুধু দায়িত্ব নয় বরং কর্তব্য বলে মনে করছে।
তিনি আন্দোলনে শহীদদের সংখ্যা সম্পর্কে বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত যে তালিকা করেছি ৮০০ থেকে ৯০০ বলা হচ্ছে, কিন্তু অন্যান্য হিসাবে দেখা যায় যে ১ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। নিহতদের অধিকাংশই তরুণ।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
১৬৯ দিন আগে
ময়মনসিংহে পানিবন্দি ৫০ হাজার পরিবার
ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ১৫ ইউনিয়নের ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০ হাজার পরিবার। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার রাস্তা ঘাট, শত শত একর কৃষি জমি ও মাছের খামার।
হালুয়াঘাটের পানি নামতে শুরু করলেও ১২টি ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকার ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে রয়েছে। তারা ঠাঁই নিয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ৫০ হাজারের বেশি
সরকারিভাবে যে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। পর্যাপ্ত ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা না থাকায় চরম দুর্ভোগে পানিবন্দিরা।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলায় সাড়ে ১১ হাজার হেক্টর আমন ধানের খেত এবং ৮ হাজার হেক্টর ফসলের খেত নষ্ট হয়েছে। এছাড়া আরও নষ্ট হয়েছে ৭০ হেক্টর সবজির খেত।
স্থানীয় বাসিন্দা মোবারক আলী বলেন, ঘরে পানি ওঠায় বেশিরভাগ পরিবারে রান্নাবান্না বন্ধ রয়েছে। শুকনা খাবার খেয়ে দিন পার করছি। সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছি গরু ছাগলকে নিয়ে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপরে, পানিবন্দি ২৫০০০ পরিবার
ধোবাউড়ার বাসিন্দা মজিবুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে পানি চলে আসায় কোনো প্রস্তুতি নিতে পারিনি। অনেকের ঘর ভেঙে গেছে। তারা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, এ পর্যন্ত দুই উপজেলায় ৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রশাসনের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। চাহিদা মোতাবেক ত্রাণ সামগ্রীও রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ৩৪ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি, তলিয়ে গেছে ফসলের খেত
১৭১ দিন আগে
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পরিবারের চাহিদানুযায়ী খাদ্য সহায়তার দেবে সরকার: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি যদি ভবিষ্যতে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে ফ্যামিলি কার্ড চালু করবে। যার মাধ্যমে জনগণের প্রয়োজন অনুযায়ী খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, 'অতীতের মতো ভবিষ্যতেও যদি বাংলাদেশের জনগণের সমর্থন নিয়ে দেশের জন্য কাজ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়, তাহলে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি কাজ করতে চাই। আমার পরিকল্পনা হলো...। আমরা বাংলাদেশে পরিবারের সংখ্যা গণনা করব। আমরা রাষ্ট্র থেকে প্রতিটি পরিবারকে একটি করে ফ্যামিলি কার্ড দেব।’
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়ামে এক জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে ছাত্র-গণ গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের বেশ কয়েকজন পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
তারেক রহমান বলেন, একটি পরিবারে মা বা গৃহিণীর নামের বিপরীতে পারিবারিক কার্ড দেওয়া হবে এবং এই কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে গ্রামাঞ্চলে শুরু হবে এবং পরে ধীরে ধীরে শহরাঞ্চলে প্রসারিত হবে। এই কার্ডের আওতায় প্রতিটি পরিবারকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হবে।
তিনি বলেন, এই সহায়তা প্রদান করা হবে যাতে প্রতিটি পরিবার স্বস্তি পায় এবং তাদের পরিবারের সঞ্চয় কিছুটা হলেও বাড়াতে পারে। এভাবে কয়েক বছর চলতে পারলে গ্রামীণ পরিবারের মানুষ সচ্ছল হবে বলে আমার বিশ্বাস।
তারেক রহমান বলেন, মানুষের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং একই সঙ্গে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনই বিএনপির মূল লক্ষ্য।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে চাই।’
তিনি গণআকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী দেশকে গড়ে তোলার মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত অর্জনকে সমুন্নত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, স্বৈরশাসক ক্ষমতাচ্যুত হলেও স্বৈরশাসকের কিছু প্রেতাত্মা এখনো দেশে রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরশাসকের পতন হলেও সব বিপদ এখনো কাটেনি। সামনে এখনও বিপদ আছে। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
তারেক বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন বর্তমান সরকার জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে পদক্ষেপ নেবে, কারণ জনগণ গত ১৭ বছর ধরে এসবের জন্য সংগ্রাম করে আসছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজের সময় যাতে স্বৈরশাসক নতুন করে ষড়যন্ত্র করতে পারে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেজন্য জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরশাসকের প্রেতাত্মারা বসে থাকে না, তারা তাদের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যায়। প্রতিটি গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দল এবং গণতন্ত্রপন্থী প্রতিটি মানুষকে এখন সতর্ক থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া মানে নতুন সমস্যা তৈরি করা: ফখরুল
দেশ ও জাতি গঠনে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই কেবল এ ধরনের কাজ করতে সক্ষম। কারণ নির্বাচিত সরকারের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা থাকবে।’
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করেছিল। তবে বিএনপি বিভক্তি চায় না বরং জাতির মধ্যে ঐক্য চায়।
ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যারা শাহাদাত বরণ করেছেন এবং যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের আত্মত্যাগের যথাযথ মূল্যায়ন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে যদি শহীদ ও নিহতদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানাতে হয়, তাহলে দলমত নির্বিশেষে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশের স্বার্থে, দেশের মানুষের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি ভবিষ্যতে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় যেতে পারলে জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে কাজ করবে।
তারেক ঘোষণা করেন, বাংলাদেশের বাইরে তার কোনো ঠিকানা (বাড়ি) নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এর আগে বলেছিলেন, দেশের বাইরে তার কোনো ঠিকানা নেই।
তারেক বলেন, 'খালেদা জিয়ার ছেলে হিসেবে আজ আমি আপনাদের বলতে চাই, বাংলাদেশের বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নেই। বাংলাদেশ আমার প্রথম ঠিকানা এবং বাংলাদেশই আমার শেষ ঠিকানা। তাই দেশ ও জনগণের কল্যাণে আমাদের সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম।
আরও পড়ুন: হাসিনার সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: রিজভী
১৮৩ দিন আগে
বুয়েটছাত্র আবরারের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
নির্যাতনে নিহত বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মাহবুব মুর্শেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
আরও পড়ুন: ছাত্রদল নেতা নুরু হত্যা: ফজলে করিমসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘আবরার ফাহাদের পরিবারের জন্য ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূণ চাওয়া হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেছেন।’
বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বুয়েট।
আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ পরদিন ৭ অক্টোবর এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হয়। ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক আবু জাফর কামরুজ্জামান আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোসের্স, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এসএম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলেন- বুয়েট ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।
আরও পড়ুন: সিলেটে শেখ হাসিনাসহ ৯১ জনের নামে হত্যা মামলা
সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রীসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা
২০৪ দিন আগে