পরিবার
বেনজীর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা আরও জমি-ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা আরও জমি ও ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনে বুধবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি বেনজীরের ব্যাপক দুর্নীতির জবাবদিহিতা দাবি করেছে টিআইবি
মামলার অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম সম্পত্তি জব্দের আবেদন করেন।
এসব সম্পত্তি ও ফ্ল্যাটের মধ্যে আছে, রূপগঞ্জে ২৪ কাঠা জমি, উত্তরায় তিন কাঠা জমি, বাড্ডায় দুটি ফ্ল্যাট, বান্দরবান জেলায় ২৫ একর জমি, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জিসান মীর্জার নামে আদাবরের ছয়টি ফ্ল্যাট, গুলশানে বাবার কাছ থেকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি মূলে পাওয়া ছয় তলা ভবন, সিটিজেন টিভির শেয়ার ও টাইগার অ্যাপারেলসের শেয়ার।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে, স্ত্রী জিসান মীর্জা ও কন্যাদের নামে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের মালিকানাধীন ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। তা করতে পারলে মামলার অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, অভিযোগ দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে।
তাই, অনুসন্ধান শেষে মামলা দায়ের, তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল এরপর আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে তথা সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে স্থাবর সম্পত্তিসমূহ ক্রোক ও অস্থাবর সম্পত্তি ফ্রিজ করা একান্ত প্রয়োজন।
এর আগে গত ২৩ ও ২৬ মে দুই দফায় বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ৬২১ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমির মালিক বেনজীরের স্ত্রী জিসান মীর্জা। তার নামে প্রায় ৫২১ বিঘা জমির খোঁজ পেয়েছে দুদক। বাকি ১০০ বিঘার মতো জমি রয়েছে বেনজীর, তার তিন মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর, তাহসিন রাইশা বিনতে বেনজীর ও জারা জেরিন বিনতে বেনজীর এবং স্বজন আবু সাঈদ মো. খালেদের নামে।
বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জিসান মীর্জার নামে মাদারীপুরের সাতপাড় ডুমুরিয়া মৌজায় ২৭৬ বিঘা জমি পাওয়া গেছে। ২০২১ ও ২০২২ সালের বিভিন্ন সময় ১১৩টি দলিলে এসব জমি কেনা হয়। দলিলমূল্য দেখানো হয় মোট ১০ কোটি ২২ লাখ টাকা। ৮৩টি দলিলে ৩৪৫ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত। যার দলিলমূল্য দেখানো হয়েছিল ১৬ কোটি ১৫ টাকার কিছু বেশি। এছাড়া, বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামে গুলশানে যে চারটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন আদালত, তার মধ্যে তিনটি তার স্ত্রীর নামে এবং একটি ছোট মেয়ের নামে। দুটি ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ৩৫৩ বর্গফুট, দাম ৫৬ লাখ টাকা করে। বাকি দুই ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ২৪৩ বর্গফুট করে, দাম সাড়ে ৫৩ লাখ টাকা করে। চারটি ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে একই দিনে।
আরও পড়ুন: বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানের সম্পদ দেখভালে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দিল আদালত
আওয়ামী লীগকে রক্ষা করতে, ক্ষমতায় রাখতে সব প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন বেনজীর: ফখরুল
সিলেটে টিলা ধস, এক পরিবারের ৩ জনের লাশ উদ্ধার
সিলেটে টিলা ধসে আটকে পড়া একই পরিবারের তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
সোমবার (১০ জুন) ভোর ৬টার দিকে সিলেট মহানগরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেজরটিলার চামেলীবাগ আবাসিক এলাকায় টিলা ধসের ঘটনাটি ঘটে। এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওই এলাকার একটি বাসাবাড়ি থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- আগা করিম উদ্দিন (৩১), তার স্ত্রী রুজি বেগম (২৫) ও তাদের ৬ মাস বয়সী শিশুসন্তান তানিম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী।
ওই বাড়িতে দুইটি পরিবার থাকতেন। ভূমি ধসে ঘরের নিচে দুই পরিবারের পাঁচজন আটকা পড়েন।
আরও পড়ুন: ৭ দিন বন্ধ থাকার পর সিলেটের সব পর্যটন কেন্দ্র চালু
প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় এক পরিবারের দুইজনকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে বাকি তিনজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছিল না। এরপর সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধারকাজে সাহায্যের জন্য সেনাবাহিনী নিয়োগের ঘোষণা দেন। এর কিছুক্ষণ পরই সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেন।
ঘটনাস্থলে উদ্ধারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে উদ্ধার কার্যক্রম হাতে চালাতে হয়। যে কারণে আটকা পড়াদের উদ্ধার করতে দেরি হয়ে যায়।
সকাল ১০টার দিকে শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী বলেন, ‘সকাল ৭টার দিকে খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।’
ভারী বৃষ্টির কারণে টিলার মাটি ধসে একটি আধপাকা ঘরের ওপরে পড়ে। এর নিচে ৩ জন লোক আটকা পড়েছেন। ঘরটি টিলার নিচেই ছিল বলে জানান ওসি হারুনূর রশীদ।
আরও পড়ুন: সিলেটের বন্যাকবলিত অঞ্চলের এইচএসসি পরীক্ষা পরে নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
সিসিকের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ভোর ৬টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। এই বাসায় দুই ভাই তাদের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। ভূমিধসে ঘরের নিচে ৬ জন আটকা পড়েন। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আমরা এসে এক ভাই, তার স্ত্রী ও তাদের সন্তানকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করতে পেরেছি। তবে আরেক ভাই, তার স্ত্রী ও ১ বছরের সন্তান এখনও আটকা রয়েছেন।’
‘বৃষ্টির কারণে উদ্ধার আভিযান ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া রাস্তা ছোট হওয়ার কারণে ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের গাড়ি ঢুকতে পারছে না। ফলে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তাই হাত দিয়েই উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, মেডিকেল চেকআপের জন্য সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে ছিলেন। লন্ডনে যাওয়ার পরই বন্যার কবলে পড়ে সিলেট মহানগর। নগরবাসী প্রাকৃতিক দুর্যোগে পড়ায় মেডিকেল চেকআপ পুরোপুরি শেষ না করেই সোমবার সিলেট ফিরে এসেছেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান।
এরপর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি ফ্লাইটে লন্ডন থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে সরাসরি ঘটনাস্থলে ছুটে যান সিসিক মেয়র।
বেনজীর ও তার পরিবারের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল, ঢাকায় ফ্ল্যাট ও কোম্পানির শেয়ার জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম এ আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: অফিস আদালত খুললেও ঢাকা এখনো ছুটির মেজাজে
শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৩ মে বেনজীর আহমেদের সব ব্যাংক হিসাব ও কক্সবাজারের তার ৮৩টি দলিলের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর আরও সম্পদের খোঁজ পাওয়ায় তা জব্দের আবেদন করে দুদক।
একটি জাতীয় দৈনিকে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে তার নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে- গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামে এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটন কেন্দ্র।
এ ছাড়াও, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার কাছের এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার।
পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গা জুড়ে ডুপ্লেক্স, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।
গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।
বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পরে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ আদালতের
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত
নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ইউসুফের পরিবার শোকাহত
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাফেলোতে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবু সালেহ মো. ইউসুফ জনির বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জেনার স্ট্রিটে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন কানাইঘাট ঝিঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের তিনচটি গ্রামের সাবেক মেম্বার নুরুল হকের ছেলে ইউসুফ জনি ও কুমিল্লা জেলার বাবুল উদ্দিন।
বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত আবু সালেহ ইউসুফ জনির মৃত্যুর সংবাদ তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা জানার পর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১০ মাস পূর্বে স্ত্রী এবং দুই মেয়ে শিশুকে নিয়ে স্থায়ী বসবাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান ইউসুফ জনি। সেখানে একটি পেইন্টিং কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন তিনি। তার পরিবারের সদস্যরা সিলেট শহরের মেজরটিলায় বসবাস করে আসছেন। ইউসুফ জনির মৃত্যুর সংবাদ প্রথমে তার পরিবারের কাছে জানান যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত কানাইঘাটের দুলাল আহমদ।
৩ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে সবার বড় ছেলে ইউসুফ জনি। নিহতের সিলেট শহরের বাসায় চলছে শোকের মাতম। নিহত দু’জনের লাশ নিইউয়র্ক পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ফের নিহত ২
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাফেলো শহরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, হত্যার শিকার ইউসুফ জনি ও বাবুল উদ্দিন বাফেলোর জেনার স্ট্রিটে ১০০ ব্লকে একটি বাসার রঙয়ের কাজে ছিলেন। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত বাবুল উদ্দিনের কাছে চাঁদা দাবি করে।
চাঁদা না দেওয়ায় তারা বাবুল উদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করলে তাকে রক্ষা করতে ইউসুফ জনি এগিয়ে যান। ওই সময় আততায়ী বন্দুকধারীরা তাদের দু’জনকে গুলি করে হত্যা করে। তারা দু’জনই কিছুদিন আগে বাফেলোতে স্থান পরিবর্তন করেছিলেন বলে জানা গেছে।
বাফেলো পুলিশের মুখপাত্র মাইকেল জে ডিজর্জ বলেন, শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টার জেনার স্ট্রিটে ১০০ ব্লকে গুলির খবর পায় পুলিশ। পরে পুলিশের সোয়াট টিমও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশ দু’জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে কিছুই জানায়নি।
এই হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে বাফেলো বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। পাশাপাশি প্রবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
প্রবাসীরা জানিয়েছেন, শোকসন্তপ্ত দুই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তারা হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করবেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় কনসার্ট হলে বন্দুক হামলায় নিহত ৬০ ও আহত ১৪৫, আইএসের দায় স্বীকার
ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ
পরিবারের সঙ্গে ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে রাজধানীতে ফিরছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করেও ঢাকায় প্রবেশ করছেন তারা।
এদিকে ছুটি শেষে যে পরিমাণ ভিড় বা গাড়ির চাপ থাকার কথা তেমন নেই। তবে সোমবার সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ছিল ফাঁকা।
তবে ফেরির চেয়ে লঞ্চে যাত্রী বেশি পার হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৪০.২ ডিগ্রি দাবদাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হাঁপিয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ
সকালে দীর্ঘক্ষণ দৌলতদিয়া ঘাটে অবস্থান করে দেখা যায়, মহাসড়কের কোথাও তেমন কোনো চাপ নেই। যানজট ও ভোগান্তি না থাকায় স্বস্তিতে ফিরছে ঢাকামুখী যাত্রীরা। তবে লঞ্চ ঘাটে যাত্রীর চাপ কিছুটা বেশি দেখা যায়।
এদিকে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ঘাটে অপেক্ষমান কেটাইপ ফেরি কপোতি প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর সকাল সোয়া ৯টার দিকে একটি বাস, দুইটি পণ্যবাহী ট্রাক, তিনটি অ্যাম্বুলেন্সসহ কয়েকটি ছোট গাড়ি নিয়ে মানিকগঞ্জ পাটুরিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
৭ নম্বর ঘাটে রাজবাড়ী থেকে আসা সৌহার্দ্য পরিবহনের চালক মো. রাশেদ বলেন, পদ্মা সেতু চালুর আগে নদী পাড়ি দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। ভেবেছিলাম ঈদের ছুটি শেষে অন্তত আজকের দিন যানজট হতে পারে। কিন্তু ঘাটে এসে দেখি সব ফাঁকা।
পরিবহনটির ঘাট তত্বাবধায়ক মনির হোসেন বলেন, আগের আর বর্তমান দৌলতদিয়া ঘাটের মধ্যে অনেক পার্থক্য। সেতু চালুর আগে ঈদের ছুটি শেষে নদী পাড়ি দিতে আসা গাড়িতে ঘাট এলাকায় ৬-৭ কিলোমিটার যানজট হতো। ভোগান্তিতে পড়তেন হাজারো মানুষ। এখন যানজট নেই, ভোগান্তিও নেই। সরাসরি ঘাটে এসে ফেরিতে উঠতে পারছেন।
এদিকে সোমবার সকালে ফেরি ঘাটের পরিবর্তে লঞ্চ ঘাটে যাত্রীর চাপ তুলনামূলক বেশি ছিল। গতকাল রবিবার বিকাল থেকে ঈদ শেষে কর্মজীবী মানুষ কর্মস্থলের দিকে ছুটতে শুরু করেছে।
জেলা পুলিশ জানায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় ১৮টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ রয়েছে। দৌলতদিয়ায় ৭টির মধ্যে ৩, ৪ ও ৭ নম্বর ফেরি ঘাট এবং একটি লঞ্চ ঘাট সচল রয়েছে।
রবিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া দিয়ে ৫২১টি বাস, ২৯২টি ট্রাক, ১ হাজার ৬১৭টি ছোট গাড়ি ও ১ হাজার ৫১৪টি মোটরসাইকেল নদী পাড়ি দিয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ট্রাফিক বিভাগের ঘাট তত্বাবধায়ক মো. শিমুল ইসলাম বলেন, এ রুটে ২০টি লঞ্চ চলছে। রবিবার বিকাল থেকে কর্মমূখী মানুষ ছুটতে শুরু করেছে। পদ্মা সেতু চালুর আগে যে চাপ থাকত তার অর্ধেকটাও নেই। যে কারণে সবাই স্বস্তিতেই কর্মস্থলে যেতে পারছেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, ছোট-বড় ১৮টি ফেরি থাকলেও গাড়ির চাপ না থাকায় ৮-১০টি ফেরি যানবাহন পার করছে। গাড়ির চাপ বুঝে অন্যান্য ফেরি পর্যায়ক্রমে ছাড়ছে। তবে মনে হচ্ছে সোমবার বিকাল থেকে যাত্রীর সঙ্গে গাড়ির চাপ বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: মানুষের সেবায় বছরে ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ: ফখরুল
সিএনজি বিস্ফোরণ: চালকের পরিবারকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সিএনজি উপহার
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে সিএনজি বিস্ফোরণে নিহত চালক আবদুস সবুরের পরিবারকে একটি নতুন সিএনজি উপহার দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মন্ত্রীর সহধর্মিণী নুরান ফাতিমা ও ছোট ভাই খালেদ মাহমুদ নিহতের স্ত্রী রুমি আকতারের হাতে সিএনজির চাবি তুলে দেন।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে হাতবোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ২
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই সিএনজি চালক সবুরের জীবন্ত দগ্ধের খবর দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
তিনি চিন্তা করেন নিহতের পরিবারের সদস্যদের বেঁচে থাকার জন্য একটা অবলম্বন প্রয়োজন, আর সেজন্য একটি নতুন সিএনজি কিনে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করব।
এনএনকে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ বলেন, আমাদের পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশন থেকে আমাদের এলাকা রাঙ্গুনিয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মানবিক সহায়তা দিয়ে থাকি।
তিনি আরও বলেন, সাতকানিয়ার পশ্চিম ঢেমশার সবুরের দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা সারা দেশকে নাড়া দিয়েছে। পরিবারটি আজ নিঃস্ব হয়ে গেছে। সেজন্য তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্ঠা করেছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এমরুল করিম রাশেদ, সাতকানিয়া উপজেলার ৯ নম্বর পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিদুয়ানুল ইসলাম সুমন, ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন ও নিহতের মা ও দুই শিশু সন্তান।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশের মাজার পয়েন্ট সেতু এলাকায় সিএনজি সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ভেতরেই দগ্ধ হয়ে আবদুস সবুর নিহত হন। তিনি সাতকানিয়া উপজেলার পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের ইছামতি গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: গরু চুরি করে নিতে না পারায় গরুকে কুপিয়ে জখম, হাতবোমা বিস্ফোরণ
গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
ব্যাংক ব্যবস্থাপক নিজামকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
অপহরণকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করা সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) র্যাব সদর দপ্তরের মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ইমরান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার(৪ এপ্রিল) রাতে র্যাব সদস্যরা মধ্যস্থতার মাধ্যমে বান্দরবানের বাথেলপাড়া এলাকা থেকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার বিকালে নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী নাজমুল নাহার জানান, সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) তার পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।
আরও পড়ুন: অপহৃত সোনালী ব্যাংক ব্যবস্থাপকের মুক্তির জন্য ১৫ লাখ টাকা দাবি কেএনএফের
গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার ভল্ট থেকে দেড় কোটি টাকা লুটপাটের চেষ্টা করে বিচ্ছিন্নতাবাদী চক্র। টাকা নিতে না পেরে ব্যাংকের রুমা উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে তারা।
বুধবার বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতি করে বিছিন্নবাদীরা।
আরও পড়ুন: ধারণা করা হয় কেএনএফ সদস্যরা থানচি থানায় হামলার চেষ্টা করে, পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও
সৌদি থেকে ফিরে পরিবারের খোঁজে সরোয়ার
সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন সরোয়ার নামে এক যুবক। মানসিক ভারসাম্যহীন হারিয়ে ফেলায় তার ঠিকানা জানাতে পারছেন না তিনি। তার পরিবারের লোকজনের খোঁজ করছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন)।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৩০ মার্চ) ৮টা ৩০ মিনিটে ফ্লাইট দুবাই বিমানযোগে সৌদি আরব থেকে দেশে পৌঁছান সরোয়ার।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ২ দিন পর পুকুরে ভেসে উঠে শিশুর লাশ
সেখানে জেলে ছিলেন সরোয়ার। দেশে ফেরে কিছুই বলতে পারছেন না। সরোয়ার সবসময় চুপচাপ থাকছেন। তার সঙ্গে থাকা বোর্ডিং পাস ও জেলখানার কাগজ থেকে জানা যায়, তার বাবার নাম আব্দুল বাশার।
ফ্লাইটে আসা অন্য প্রবাসী কর্মীরা সরোয়ারকে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) অফিসে দিয়ে যান।
তারা জানান, সরোয়ারের বাড়ি কুমিল্লার পদুয়ার বাজার। এছাড়া আর কোনো তথ্য তারাও জানেন না। সারোয়ার নিজেও কিছুই বলতে পারছেন না।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ার সরোয়ারের পরিবার খুঁজে তাকে নিরাপদে হস্তান্তরের জন্য রাতেই ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কাছে হস্তান্তর করেন।
বর্তমানে তিনি আশকোনায় ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে আছেন।
সরোয়ারের স্বজনের খোঁজে সবার সহযোগিতা কামনা করছে ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টার। কেউ এই মানুষটাকে চিনলে বা কোনো তথ্য পেলে তাদের জানানোর অনুরোধ করেছেন।
প্রয়োজনে আশকোনার ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার আল আমিন নয়নের সঙ্গে ০১৭১২১৯৭৮৫৪১ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ২ দিন পর নবম শ্রেণির ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
চরমোনাই মাহফিলে গিয়ে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবলার সাগরিকার পরিবার পাচ্ছে নতুন বাড়ি
দেশের কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবল দলের খেলোয়াড় মোছাম্মত সাগরিকার পরিবার পাচ্ছে নতুন বাড়ি।
ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সাগরিকার বাড়িতে তাকে দেখতে যান ইউএনও। এ সময় তার পরিবারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: এটিজেএফবি এভিয়েট্যুর উইমেন্স আইকন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ১০ নারী
ইউএনও রকিবুল হাসান জানান, রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামে সাগরিকার বাড়ি। তাদের বাড়ির খুবই জনাজীর্ণ। তাই নতুন করে নির্মাণ করার জন্য জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে।
ইউএনও আরও জানান, উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় সাগরিকার পরিবারকে নতুন করে দুই রুম বিশিষ্ট একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে। এরই মধ্যে রাজমিস্ত্রির সঙ্গে কথাও হয়েছে দ্রুত বাড়ি নির্মাণের জন্য।
নতুন ঘর পাওয়ার কথা শুনে খুশিতে কেঁদে ফেলেন সাগরিকার বাবা মোহাম্মদ লিটন আলী। তিনি জানান, তার মেয়ের কারণেই তিনি আজ নতুন বাড়ি পাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, রাণীশংকৈল-হরিপুর মহাসড়কের বাশরাইল এলাকা থেকে মহাসড়কের উত্তর দিক দিয়ে সরু পথ ধরে প্রায় আধা কিলোমিটার যেতেই সাগরিকার বাড়ি। বাড়ির প্রবেশপথে ছোট একটি দরজা। বাড়িটি কাশবনের বেড়া দিয়ে ঘেরা। ঘর দুইটি করা হয়েছে কাশবন আর বাঁশের বাতার বেড়া দিয়ে। ঘরের ছাউনি হিসেবে রয়েছে ছাপড়া টিন। বাড়িতে রয়েছে অস্বাস্থ্যকর শৌচাগার ও টিউবওয়েল।
আরও পড়ুন: মারা গেলেন নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় রাজিয়া সুলতানা
শোয়েব মালিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা সানিয়া মির্জার পরিবারের
পাকিস্তানি ক্রিকেট তারকা শোয়েব মালিকের সঙ্গে ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে সানিয়ার পরিবার।
শোয়েব তার নববিবাহিতা স্ত্রী পাকিস্তানি অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে ছবি পোস্ট করার একদিন পরই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
আরও পড়ুন: দু-একদিনের মধ্যে ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বাড়বে: নসরুল হামিদ
সানিয়া ও শোয়েব ২০১০ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন। এরপর ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করে।
মির্জা পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সানিয়া সবসময় তার ব্যক্তিগত জীবনকে লোকচক্ষুর আড়ালে রেখেছেন। তবে আজ তার প্রয়োজন হয়েছে যে শোয়েব এবং তার কয়েক মাস হলো বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছে।’ শোয়েবের নতুন যাত্রার জন্য শুভ কামনা জানিয়েছেন তিনি।
সানিয়া যখন বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ধারাভাষ্য বক্সে মগ্ন, তখন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলতে ব্যস্ত শোয়েব।
তাদের ছেলে সানিয়ার সঙ্গেই থাকে।
আরও পড়ুন: আবারও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা হলেন জয়
রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখতে মহাসচিবের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ