জুলাই
জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে: মেয়র তাপস
জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে পান্থকুঞ্জ পার্কের অভ্যন্তরে পান্থপথ বক্স কালভার্টের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ডের বিচার হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রাণহানি আর ঘটবে না: তাপস
মেয়র বলেন, পান্থকুঞ্জ উদ্যান এই এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যান। এটা উন্নয়নের জন্য ২০১৭ সালে মেগা প্রকল্পের আওতায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কারণে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এদিক দিয়ে নেওয়ার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ফলে এই পার্কের উন্নয়ন কাজটা বন্ধ হয়ে যায়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে তাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে আলোচনা করেছি, দেন-দরবার করেছি। এর ফলশ্রুতিতে তারা সুনির্দিষ্ট জায়গায় কাজ করবে। বাকি জায়গা আমাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। সেই জায়গায় আমরাই কাজ শুরু করেছি। বর্তমানে এটার অবকাঠামো উন্নয়ন চলছে।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা ঢাকাবাসীকে একটি নান্দনিক উদ্যান উপহার দিতে চাই। যদিও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের কারণে উদ্যানের বড় একটা অংশ তাদের কাছে চলে যাবে। তারপরও যতটুকু রক্ষা করতে পেরেছি, তা ঢাকাবাসীর জন্য অচিরেই উন্মুক্ত করে দিতে পারব। পার্কের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে একটি নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে।
নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, গত বছর কয়েকটি জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছে, বিশেষ করে নিউমার্কেটের সামনে ও শান্তিনগরে। যেসব কারণে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, আমরা সেগুলো পরিষ্কার করেছি। আশা করি এবার আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, নিউমার্কেট এলাকার জন্য নতুন প্রকল্প নিয়েছি। এর মূল কারণ হচ্ছে পিলখানার ভেতর দিয়ে আগে যে পানি প্রবাহের নর্দমা ছিল, সেগুলো ২০০৯ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য গত বছর সেখানে বড় ধরনের জলবদ্ধতা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি ও সম্মতি পেয়েছি। আমরা পিলখানার ভেতর দিয়ে পানি প্রবাহের বড় নর্দমা করছি। এটা করতে পারলে ওই এলাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। এভাবে প্রত্যেকটা এলাকায় বিচার-বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ঢাকায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি জায়গা ছাড়া তেমন কোনো জায়গায় এখন দীর্ঘ সময় জলবদ্ধতা থাকে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগে সূচি অনুযায়ী বক্স কালভার্ট, খাল ও নর্দমাগুলো পরিষ্কার করে থাকি, যাতে বর্ষার সময় পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। এ ছাড়া ঢাকা শহরে আমরা ব্যাপকভাবে নর্দমা অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ করছি।
আরও পড়ুন: প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার অভাবে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হার বেশি: মেয়র তাপস
ঈদের পর বঙ্গবাজার মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু হবে: মেয়র তাপস
জুলাইতে বাংলাদেশের অপ্রচলিত বাজারে আরএমজি রপ্তানি ২৩.৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুসারে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরএমজি রপ্তানি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই মাসে ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়ে ৭২৯ দশমিক শূন্য ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। যা ২০২২-২৩ অর্থ-বছরের জুলাইতে ছিল ৬৮৫ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিজিএমইএ -এর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাসে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে আমাদের পোশাক রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের ১ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ১৭ দশমিক ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে ইইউ অঞ্চলের কিছু বড় বাজারে আমাদের রপ্তানি বেড়েছে। এর মধ্যে স্পেনে ৩৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ফ্রান্সে ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ, ইতালিতে ৩৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ, নেদারল্যান্ডসে ২৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ এবং পোল্যান্ডে ১৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৭ম বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল গার্মেন্ট অ্যান্ড টেক্সটাইল মেশিনারি এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ২৬-২৮ অক্টোবর
এক চিঠিতে মহিউদ্দিন রুবেল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য জার্মানিতে আমাদের রপ্তানি বছরে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির মুখোমুখি হয়েছে এবং তা ৫১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। একই সময়ে ফিনল্যান্ড, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া, মাল্টা এবং স্লোভাকিয়াতে রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
২০২৩ অর্থ-বছরের জুলাইয়ে যুক্তরাজ্য বছরে রপ্তানি ২৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭৫ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। একইভাবে কানাডায় বছরে রপ্তানি ১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১২৮ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, একই সময়ে অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি ২৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭৪ দশমিক ৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপানে ৪৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ায় ৫৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ, ভারতে ২ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়াতে রপ্তানি ১৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ মে মাসে ৪.০৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে
জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ডলার
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৯৭ কোটি ডলার। যা বছরের ভিত্তিতে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের জুনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১৯ কোটি ডলার। জুলাই মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: মার্চে রেমিট্যান্স আবারও ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন যে জুলাইয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেলেও অন্যান্য মাসের তুলনায় তা ভালো।
বিবির মুখপাত্র মো. সারোয়ার হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রবাসীরা জুন মাসে বেশি পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
এছাড়া বাংলাদেশি প্রবাসীরা গত অর্থবছরে (জুন-জুলাই) ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরে এটি ছিল ২১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার থেকে রেমিট্যান্সের জন্য মার্কিন ডলারের দর ১০৮.৫ টাকা, রপ্তানির জন্য ১০৭ টাকা
রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের বিনিময় হার ১ টাকা বাড়ল
লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমে ডাক পেয়েছেন তাসকিন ও তৌহিদ
আসন্ন লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) খেলার ডাক পেয়েছেন বাংলাদেশের ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ এবং তরুণ ডানহাতি ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়।
চলতি জুলাই মাসের শেষের দিকে এলপিএল শুরু হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ ভেন্যু: ভারতের যে স্টেডিয়ামগুলোতে খেলা হবে
বর্তমানে বুলাওয়ে ব্রেভিসের জিম আফ্রো টি-টোয়েন্টি লিগে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ।
এটি তরুণ ডানহাতি ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়েরও বিদেশি লিগে খেলার প্রথম সুযোগ।
তিনি এলপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জাফনা কিংসের হয়ে খেলছেন।
তবে, বাংলাদেশের ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ এবং তরুণ ডানহাতি ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়ের এলপিএলে অংশগ্রহণ এখনও নিশ্চিত হয়নি।
কারণ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে অনাপত্তি সনদ (এনওসি) ইস্যু করার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
তাসকিন এর আগে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) থেকেও খেলার ডাক পেয়েছিলেন। তবে সেসময় জাতীয় দলের খেলা থাকায় আইপিএলে অংশ নিতে পারেননি তিনি।
এখন পর্যন্ত ১৫৮ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদের ১৩৭ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার একটি দুর্দান্ত রেকর্ড রয়েছে।
এ ছাড়া ২২ বছর বয়সী তরুণ ডানহাতি ব্যাটার তৌহিদ হৃদয় ইতোমধ্যে ৫৭ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৮টি হাফসেঞ্চুরি সহ ১২৮২ রান সংগ্রহ করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত ওয়ানডে সিরিজ ড্র
নারী ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করা প্রথম বাংলাদেশি ফারজানা
জুলাই থেকেই বিশেষ সুবিধা পাবে সরকারি চাকরিজীবীরা
চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৫ শতাংশ হারে বিশেষ প্রণোদনা পাবেন জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত সরকারি-বেসামরিক, স্ব-শাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও পুলিশ বাহিনীতে নিয়োজিত কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা।
চাকরিরতদের ক্ষেত্রে এই বিশেষ সুবিধা ন্যূনতম ১ হাজার টাকা এবং পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০০ টাকা হবে।
মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অর্থ মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি মূল্যায়নে সমন্বয় বৈঠক করার নির্দেশ অর্থমন্ত্রীর
এতে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ১৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় বেতন স্কেলসমূহের আওতাভুক্ত সরকারি বেসামরিক, স্ব-শাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো, ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও পুলিশ বাহিনীতে নিয়োজিত কর্মচারী এবং পেনশনভোগী ব্যক্তিদের ১ জুলাই থেকে ৫ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হলো।
এ বিশেষ সুবিধা চাকরিরতদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১ হাজার টাকা এবং পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০০ টাকা হারে দেওয়া হবে।
বিশেষ সুবিধা যেভাবে কার্যকর হবে-
চাকরিরত কর্মচারীরা ১ জুলাই থেকে প্রতি বছর ১ জুলাই তারিখে প্রাপ্য মূল বেতনের ওপর ৫ শতাংশ হারে, তবে এক হাজার টাকার কম নয়, বিশেষ সুবিধা পাবেন।
অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা কর্মচারীরা পিআরএল যাওয়ার পূর্বকালীন সর্বশেষ পাওয়া মূল বেতনের ভিত্তিতে উপরিউক্ত হারে বিশেষ সুবিধা পাবেন।
পুনঃস্থাপন করা পেনশনাররাসহ সরকার থেকে পেনশন গ্রহণকারীরা প্রতি বছর ১ জুলাই প্রাপ্য নীট পেনশনের ওপর ৫ শতাংশ হারে, তবে ৫০০ টাকার কম নয়, বিশেষ সুবিধা পাবেন।
যেসব অবসর গ্রহণকারী কর্মচারী তাদের গ্রস পেনশনের ১০০ শতাংশ অর্থাৎ সম্পূর্ণ অংশ সমর্পণ করে এককালীন আনুতোষিক উত্তোলন করেছেন তাদের ক্ষেত্রে এ বিশেষ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না।
জাতীয় বেতনস্কেলে নির্ধারিত কোনো গ্রেডে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্ধারিত মূল বেতনের ভিত্তিতে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে। তবে শর্ত থাকে যে, এরূপ চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত ব্যক্তি পেনশনভোগী হলে নীট পেনশন অথবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত পদের মূল বেতনের ভিত্তিতে যেকোনো এক ক্ষেত্রে এ সুবিধা পাবেন।
সাময়িক বরখাস্ত কর্মচারীরা সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার তারিখের অব্যবহিত পূর্বের মূল বেতনের ৫০ শতাংশের ওপর ৫ শতাংশ হারে এ বিশেষ সুবিধা পাবেন। বিনা বেতনে ছুটিতে থাকাকালে কর্মচারীরা এ বিশেষ সুবিধা পাবেন না।
সরকারের রাজস্ব বাজেট থেকে প্রদত্ত অনুদানে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্যান্য স্ব-শাসিত সংস্থা ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের এ বিশেষ সুবিধা প্রদান বাবদ প্রয়োজনীয় ব্যয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব বাজেট থেকে মেটাতে হবে।
আরও পড়ুন: নিটওয়্যার খাতে ১ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার অর্থসহায়তা ছাড় অর্থ মন্ত্রণালয়ের
বাজেট ২০২১-২২: অগ্রাধিকার নির্ধারণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় কমিটির সভা
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংস্কার কাজ বন্ধ থাকবে ১০ দিন
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের চলমান সংস্কার কাজ ১০ দিন বন্ধ থাকবে।
আগামী ৩ জুলাই পর্যন্ত সড়কে সব ধরনের সংস্কার কাজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)।
এতে, ঈদে মানুষের বাড়ি ফেরার ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, ‘মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে সওজের সংস্কার কাজ চলমান থাকার কারণে একমুখী সড়কে যানবাহন চলাচল করত। যার ফলে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হয়। দূরপাল্লার শত শত যানবাহন আটকা পড়ে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটারের অধিক যানজটের সৃষ্টির পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়ত যাত্রী ও চালকেরা।’
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মহাসড়কের সংস্কার কাজ ঈদের আগে শেষ না হলে তীব্র যানজটের আশঙ্কা
তিনি আরও বলেন, ‘এদিকে কোরবানির আগমুহূর্তে প্রচুর পশুবাহী গাড়ি মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করছে। এ ছাড়া ঘরে ফেরা মানুষেরা যাতে দুর্ভোগে পড়তে না হয়, সে জন্য সংস্কারকাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছিলাম। ১০ দিনের জন্য সংস্কারকাজ বন্ধ থাকায় মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা অনেক কমে যাবে। এর ফলে স্বস্তিতে ঘরে ফিরতে পারবে মানুষ।’
এ ব্যাপারে সংস্কার কাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাহের ব্রাদার্স লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক রাসেল আহমেদ বলেন, বর্ষায় মহাসড়কের অনেক স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হতে পারে। সে জন্য বর্ষা পুরোপুরি শুরুর আগে যতটুকু পারা যায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সংস্কার কাজ শেষ করার তাগাদা ছিল। কিন্তু জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে ৩ জুলাই পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই আপাতত সংস্কার কাজ করা হচ্ছে না।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ‘হাইওয়ে পুলিশের অনুরোধে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে তারা আগামী দশ দিনের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সড়ক সংস্কার কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে তারপর থেকে পুনরায় অসম্পূর্ণ অংশের সংস্কার কাজ শুরু হবে।’
আরও পড়ুন: বন্যা পরবর্তী সংস্কার কাজে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর তাগিদ
বিশ্বনাথে অসমাপ্ত সংস্কার কাজে ‘জনদুর্ভোগ’
দেশে জুলাই-ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় ২৭.২২ বিলিয়ন ডলার
এক সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার ক্রমবর্ধমান সংকটের মধ্যে চলতি অর্থবছরের ২০২২-২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ ২৭ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।
দেশে শুধুমাত্র গত দুই মাসে (নভেম্বর ও ডিসেম্বর) রপ্তানি থেকে ১০ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা দুই মাসে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়।
আরও পড়ুন: ২০৩০ সালে লেদারপণ্যের রপ্তানি হবে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মতে, ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ৫ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা একমাসের সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ও।
২০২২ সালের নভেম্বরে রপ্তানি আয় প্রথমবারের মতো ৫ বিলিয়ন অতিক্রম করে। ডিসেম্বরে রপ্তানি আয়ে আরেকটি রেকর্ড গড়েছে।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় ছিল ৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন। চলতি বছরের ডিসেম্বরে রপ্তানি বেড়েছে বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
রপ্তানি আয়ে যথারীতি সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে তৈরি পোশাক।
তৈরি পোশাক থেকে রপ্তানি আয় ডিসেম্বরে বছরে ১৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়ে ৪ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় ছিল ৪ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, এক ইউনিটের দাম বৃদ্ধির কারণে ডিসেম্বরে পোশাক খাতে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
তিনি বলেন, ভালো দাম এবং সাম্প্রতিক সময়ে বিলাস বহুল পণ্যের অনুপাত বৃদ্ধির কারণে পোশাক খাতের অবদান বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী সময়ে দেশে কারখানাগুলো চালু রাখার বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ অনেক অর্ডার পেয়েছে।
তিনি বলেন, এখন পোশাক নির্মাতারা প্রতি পিস ৪০ ডলারের বেশি দামে জ্যাকেট রপ্তানি করছে, যা আগে ছিল ৩০ ডলার।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে রপ্তানি আয় ছিল ৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার এবং ৪ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। পোশাক খাতের ভালো পারফরম্যান্সের জন্য জুলাই মাসে রপ্তানি ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বছরে ৩ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ আগস্টে রপ্তানির মাধ্যমে ৪ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা বছরে ৩৬ দশমিক ১৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রেকর্ড করেছে।
সেপ্টেম্বরে এটি গত বছরের তুলনায় ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ কমে ৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন হয়েছে। কেননা উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে পোশাকের অর্ডার কমে যায়।
আরও পড়ুন: জুলাই-নভেম্বর: প্রধান দেশগুলোতে বাংলাদেশের রপ্তানি ‘উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি’
জনশক্তি রপ্তানির বিষয়ে ক্রোয়েশিয়া ও সার্বিয়ার সঙ্গে চুক্তি সইয়ের প্রক্রিয়া চলছে: মন্ত্রী
দেশে জুলাই-ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ১০.৪৯ বিলিয়ন ডলার
বাংলাদেশ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ১ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পেয়েছে, যা আগের বছরের একই মাসের তূলনায় ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি।
রবিবার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুসারে নভেম্বরে, প্রবাসীরা আইনি চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৭২ বিলিয়ন ডলার
কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রণোদনা এবং মার্কিন ডলারের উচ্চ বিনিময় হার অফার করে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
রেমিট্যান্স প্রবাহের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) মোট ১০ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে দেশ।
আগের অর্থবছরের একই সময়ে প্রবাসীরা ১০ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল। সে অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ ২৮৭ মিলিয়ন ডলার বেশি রেমিট্যান্স পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেসবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তিনি বলেন, রেমিট্যান্সের জন্য ২ দশমিক ৫ শতাংশ ঝামেলামুক্ত প্রণোদনা ছাড়াও, বেশ কয়েকটি ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা আকৃষ্ট করার জন্য অতিরিক্ত প্রণোদনাও দিয়েছে।
আইনি চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য ব্যাংকগুলি কোনও চার্জ বা ফি কাটবে না বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণায় দেখা গেছে, প্রবাসী আয়ের ৪০ শতাংশের বেশি দেশে পাঠানো হয় হুন্ডি বা অনানুষ্ঠানিক মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতে ফি দিতে হবে না প্রবাসীদের
জুলাই মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭৩৯: প্রতিবেদন
গেল জুলাই মাসে দেশের সড়ক ও মহাসড়কে ৬৩২টি দুর্ঘটনায় ৭৩৯ জন নিহত এবং ২০৪২ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
একই সময় ১৪টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত এবং সাত জন নিখোঁজ রয়েছে। ২৬টি রেলপথ দুর্ঘটনায় (রেলক্রসিং দুর্ঘটনাসহ) ৪১ জন নিহত এবং ৩৩ জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জাতীয় দৈনিক, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নভেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার নিহত ৪৩৯: প্রতিবেদন
এতে বলা হয়, জুলাই মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের মধ্যে ১৩৭ জন চালক ও সহকারী, ২৫১ জন মোটরসাইকেল আরোহী, নারী ১০৫, শিশু ১০৯ এবং ১১৮ জন পথচারী রয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, জুলাই মাসে মোট দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২৫২টি (৩৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ১৯৯টি (৩১ দশমিক ৪৮ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ১০৯টি (১৭ দশমিক ২৪ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ৬৪টি (১০ দশমিক ১২ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৮টি ১ দশমিক ২৬ শতাংশ সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনার বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ৩১ দশমিক ৪৮ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে ১৫ দশমিক ১৮ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৬৩১ দশমিক ৬১ শতাংশ, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা পাঁচ দশমিক ৬৯ শতাংশ, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা চার দশমিক ৯০ শতাংশ, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ছয় শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ছয় দশমিক ৯৬ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৬৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
পরিবহন খাতের নৈরাজ্য ও অব্যস্থাপনার কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে বরে দাবি করছেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এই অবস্থার উন্নয়নে টেকসই সড়ক পরিবহন কৌশল প্রণয়ন করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা।
করোনায় এক মাসে ১৪২ জনের মৃত্যু
দেশে করোনাভাইরাসে শুধু জুলাই মাসেই আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৪৭২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৪২ জনের। যা এ বছরের মার্চ থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, মৃতদের মধ্যে ৫৭ জনকে টিকা নেন নি, ৭ জন প্রথম ডোজ, ৫২ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং ২৬ জন তৃতীয় ডোজ পেয়েছিলেন। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে ৩৪ হাজার ৯০১ রোগী করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন।
দেশে মার্চ মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে আট হাজার জন, মৃত্যু হয়েছে ৮৫ জনের। এপ্রিল মাসে আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ১১৪ জন, মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। মে মাসে ৮১৬ জন আক্রান্ত, মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। আর জুন মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২০ হাজার ২৭৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, সোমবার করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৩৪৯ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে মোট সনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৫ হাজার ৬০৬ এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ২৯২।
এদিকে মৃত্যুর হার ১.৪৬ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে এবং সোমবার সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬.৯০ শতাংশে।
২০২০ সালের মার্চ মাসে মহামারি শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ প্রথমবার করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন ছিল ২০ নভেম্বর।
গত বছরের ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়। সেদিন ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা সনাক্ত হয় এবং একই বছরের ১০ আগস্ট সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যুর ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত বেড়েছে
দেশে পৌঁছেছে শিশুদের করোনার টিকা