জুলাই
জুলাইয়ের গণহত্যার বিচার যারা চায় না তারাও ফ্যাসিস্টের দোসর: সারজিস
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের হত্যাকারী খুনি হাসিনা এবং তার দোসরদের বিচারের কথা না বলে যারা তাকে ও তার দোসরদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের কথা বলে, আমরা মনে করি তারাও ফ্যাসিস্টদের দোসর।
তিনি বলেন, ‘হত্যাকারী খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।’
শনিবার (২৩ নভেম্বর) বরিশালে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারগুলোর মধ্যে সহায়তার চেক বিতরণকালে একথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল: সারজিস আলম
সারজিস বলেন, যে নবজাতক শিশু জন্ম নেওয়ার আগেই বাবাকে হারালো, তাকে আমরা কি জবাব দেব? আমরা সহজে সব ভুলে যাই। ১৬ বছর ভুলে যাই, গুম খুন হত্যা ভুলে যাই। কিন্তু এদেশের ছাত্র সমাজ এবার আর ভুল করবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা সকল হত্যার বিচার নিয়েই ঘরে ফিরব। আর কোন ফ্যাসিস্টকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসতে দেওয়া হবে না।’
শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বরিশাল বিভাগে মোট শহীদ হওয়া ৩১৪ জনের মধ্যে ৭৯ জনের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে সহায়তার চেক দেওয়া হয়।
শহীদ পরিবারের অনেকে ঢাকায় নিবন্ধন করেছেন এবং পর্যায়ক্রমে সকল শহীদ পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানান জুলাই শহীদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তারা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন এবং সিভিল সার্জন মারিয়া হাসান।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ২৪৫ জনকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে: সারজিস
১ দিন আগে
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধ
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের কল্যাণার্থে তৈরি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সারজিস আলম এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ দায়িত্ব পেয়েছেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিষদের দ্বিতীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠন করা হবে: উপদেষ্টা নাহিদ
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত একটি অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবামূলক ও জনকল্যাণমূলক বেসরকারি সংস্থা ৷
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের কল্যাণার্থে তাদের পরিবারকে আর্থিক ও মানবিক সহায়তা, পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান বা অন্য কোনো উপযুক্ত সুবিধা এবং আহত বা পঙ্গুত্ববরণকারী ব্যক্তিগণের ঔষধপত্রসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া, কর্মসংস্থান, আর্থিক ও মানবিক সহায়তা বা অন্য কোনো উপযুক্ত সুবিধা দেওয়া এই ফাউন্ডেশনের প্রধান লক্ষ্য৷
আরও পড়ুন: গণভবনে নির্মিতব্য স্মৃতি জাদুঘরে তুলে ধরা হবে ১৬ বছরের নির্যাতনের চিত্র: তথ্য উপদেষ্টা
১ মাস আগে
জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি মাহমুদুর রহমানের আহ্বান
জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর পলাশী মোড়ে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় তিনি এ দাবি জানান।
আবরার ফাহাদকে ত্যাগ ও মুক্তির প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আবরার ফাহাদকে শহীদ তিতুমীরের মতো স্মরণ করতে চাই।’
আরও পড়ুন: দেশের প্রতিটি সেক্টরে গ্রহণযোগ্য সংস্কারের লক্ষ্য নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘আবরার ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার প্রতীক। শত বছর পরও তিতুমীরের মতো আমরাও আবরারকে নায়ক হিসেবে স্মরণ করতে চাই। অন্যদিকে শেখ মুজিব শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের আইকন। তাই আমি সরকারের কাছে আমার ৭ দফা দাবিতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের নাম পরিবর্তন করে আবরার এভিনিউ করার কথা বলেছি।’
সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের অনুরোধ করেছিলাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকার না হতে। এখানে তারা ভুল করেছে। বিপ্লবী সরকার হোক। ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি করে একটি উপদেষ্টা পরিষদ দিয়ে দেশ পরিচালনা করুন। শেখ হাসিনার সংবিধান ছুঁড়ে ফেলে দিন। পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এসে বিপ্লবের বাণী অনুযায়ী নতুন সংবিধানের খসড়া তৈরি করবে।’
স্মরণ সভায় আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ ও তার বাবা বরকত উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সভাপতি মো. আবু সাদিক এবং এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
সমাবেশ শেষে আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আকতার হোসেনের নেতৃত্বে পলাশী মোড় থেকে আরেকটি র্যালি করেন নিরাপদ বাংলাদেশে কর্মসূচির বক্তা ও শ্রোতারা।
পরে আবরার ফাহাদের আত্মত্যাগের স্মৃতি স্মরণে মাহমুদুর রহমান ও আকতার হোসেন 'আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভ' নামের একটি স্মৃতি ফলকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: সংলাপে সব দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে: মাহফুজ আলম
১ মাস আগে
জুলাই-আগস্টে নিহত ৭০৮ জনের খসড়া তালিকা প্রকাশ
জুলাই ও আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৭০৮ জনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ নামের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে।
এই তালিকা পাওয়া যাচ্ছে https://medical-info.dghs.gov.bd/.
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে: সচিব
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যে কোনো সংশোধনের প্রয়োজন হলে নিহতদের পরিবারের সদস্য বা স্বজনদের মৃত ব্যক্তি যে প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
যারা তালিকায় মৃতের নাম পাবেন না তাদের সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সংগৃহীত প্রতিবেদন থেকে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেন, শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ও নিহত শিক্ষার্থী ডাটাবেজ তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
উপদেষ্টা মুরশিদ বলেন, ‘ডাটাবেসে হতাহত ও আহতের সংখ্যা এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে, যা প্রায় সম্পূর্ণ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তথ্যসহ যাচাই-বাছাই শেষে এটি চূড়ান্ত করা হবে। আমরা আগামী মাসে এই তথ্য প্রকাশের পরিকল্পনা করছি।’
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আবারও মূল নীতি হার বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক
২ মাস আগে
জুলাই আন্দোলনের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সমাজের বিভিন্ন স্তরের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের মঞ্চ হিসেবে রবিবার আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
ঘোষিত ৫৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে আজ। এই কমিটি অংশীজনদের মধ্যে রাজনৈতিক মতাদর্শ উপলব্ধি করে তার নিষ্পত্তির জন্য কাজ করবে এবং সব ধরনের ফ্যাসিবাদকে নির্মূল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
সংগঠনের পক্ষে কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাছিরউদ্দিন পাটোয়ারী এ কমিটি ঘোষণা করেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের বাণিজ্য মেলা জানুয়ারি মাসেই অনুষ্ঠিত হবে: উপদেষ্টা
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন গত বছর গঠিত বিকল্প ছাত্র প্লাটফর্ম গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আখতার হোসেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পেছন থেকে অগ্রণী ভূমিকা ছিল আখতারের।
১৭ জুলাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে তুলে নিয়ে যায় এবং শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত বন্দি ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী সামান্থা শারমিনকে কমিটির মুখপাত্র করা হয়েছে।
কমিটি গঠন উপলক্ষে এক বিবৃতিতে সামান্থা জানান, আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে তারা কাজ শুরু করেছেন।
নেতারা বলেন, অতি শিগগিরই সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছাত্র নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন: 'মর্যাদাপূর্ণ ও অনন্য' বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান ইউনূসের
মুখপাত্র বলেন, ‘তৃণমূল পর্যন্ত এই কমিটি সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমরা ছাত্র অভ্যুত্থানের শক্তিকে সুসংহত করব এবং বাংলাদেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করব।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আরিফুল ইসলাম আদিব, সাইফ মোস্তাফিজ, মনিরা শারমিন, নাহিদা সারওয়ার চৌধুরী, সারোয়ার তুষার, মুতাসিম বিল্লাহ, আশরাফ উদ্দিন মাহদী, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, অনিক রায়, জাবেদ রসিন, মো. নিজাম উদ্দিন, সাবহানাজ রশিদ দিয়া, প্রাঞ্জল কোস্তা, মইনুল ইসলাম তুহিন, আব্দুল্লাহ আল আমিন, হুজাইফা ইবনে ওমর, শ্রবনা শফিক দীপ্তি, সায়ক চাকমা ও সানজিদা রহমান তুলি;
আবু রায়হান খান, মাহমুদা আলম মিতু, অলিক ম্রি, সাগুফতা বুশরা মিশমা, সৈয়দ হাসান ইমতিয়াজ, তাসনিম জারা, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, আজহার উদ্দিন অনিক, মেসবাহ কামাল, আতাউল্লাহ, এস এম শাহরিয়ার, মনজুর-আল-মতিন, প্রীতম দাস, তাজনুভা জাবিন, অর্পিতা শ্যামা দেব, মাজহারুল ইসলাম ফকির, সালেহ উদ্দিন সিফাত, মুশফিক-উস-সালেহীন, তাহসিন রিয়াজ, হাসান আলী খান, আব্দুল আহাদ, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, মশিউর রহমান;
ফরহাদ আলম ভূঁইয়া, তানজিল মাহমুদ, এস এম সুজা, আরিফুর রহমান, কানেতা ইয়া লাম লাম, সৈয়দা আক্তার, স্বর্ণা আক্তার, সালমান মুহাম্মদ মুক্তাদির, আকরাম হোসেন।
আরও পড়ুন: সমন্বয়কদের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করবে উপদেষ্টা পরিষদ: উপদেষ্টা
২ মাস আগে
১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত করবে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পরিচালনার আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিক্ষোভের সময় সংঘটিত সহিংসতা ও নির্যাতনের বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি, মূল কারণ বিশ্লেষণ এবং ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির অগ্রগতি এবং দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের জন্য সুপারিশ করার লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম মোতায়েন করবে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা।
দলটি এই কাজে পূর্ণ সহযোগিতার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েছে।
এর আগে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাকে ৫ আগস্টের আগে ও পরে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো তদন্তের আহ্বান জানায়।
আরও পড়ুন: জর্জিয়ার 'বিদেশি প্রভাব' আইন নিয়ে ভলকার তুর্কের গভীর দুঃখ প্রকাশ
এ বিষয়ে উদ্যোগ চেয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ককে চিঠি দিয়েছে আইসিএসএফ।
এতে বলা হয়, ‘ক্ষমতা হস্তান্তরে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘের অভিপ্রায় বিবেচনায় আমরা মনে করি তদন্তে ৫ আগস্টের আগে এবং পরের ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখা উচিত। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে আমরা জানতে পেরেছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল চান জাতিসংঘ শুধু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটনাবলী দেখুক।’
সাম্প্রতিক বিক্ষোভে আটক ও আহত হওয়া ছাত্র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে গত সপ্তাহে (২২ থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত) একটি দল বাংলাদেশে এসেছে।
দলটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনুরোধে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে দলটি বৈঠকগুলোতে আলোচনা করেছে।
শামদাসানি বলেন, বিস্তৃত ক্ষেত্রগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে- যার মধ্যে নাগরিক সুযোগ, সত্যের প্রয়োজনীয়তা, ন্যায়বিচার, মুক্তি, ক্ষতিপূরণ ও সমঝোতা এবং সংস্কার প্রক্রিয়ার অন্যান্য মানবাধিকারের পন্থাসহ বিস্তৃত ক্ষেত্রগুলো রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আমাদের সংস্থা টেকসই সহায়তা সরবরাহ করতে পারে।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ইউনূসকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ফোন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ
২ মাস আগে
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে বেরিয়ে আসে জুলাই গণহত্যার সত্য
কোনো গণহত্যার ওপর সংবাদ প্রতিবেদন তৈরি করতে গেলে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যে তথ্যের প্রয়োজন হয় সেটি হলো মৃতের সংখ্যা। সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ১৬ থেকে ২১ জুলাই সবচেয়ে বেশি সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা হয়। এসময় যে গণহতাহতের ঘটনায় সঠিক মৃত্যুর সংখ্যা পাওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে গিয়েছে। এর পেছনে রয়েছে বেশ কিছু বিষয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বেশ কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ কারণে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বের করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।
যেহেতু মৃত্যুর তথ্য চিকিৎসকের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হয় তাই হাসপাতালগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়েছে।
১৬-২১ জুলাইয়ে মৃত্যুর সংখ্যা এত বেশি ছিল এবং এত বিচ্ছিন্নভাবে ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় হয়েছিল যে কারণে মৃত্যুর তথ্য বের করা বেশ কঠিন হয়ে যায়।
এর মধ্যে কারফিউ ও ইন্টারনেট শাটডাউনের কারণে তথ্যগুলো পাওয়া আরও কঠিন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: গণআন্দোলন দমনে করা মামলা তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রত্যাহার
বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আন্দোলনের সময় শুধু রাজধানী ঢাকাতেই ৩০টির বেশি ভিন্ন ভিন্ন হাসপাতাল রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছে বা মৃতদেহ গ্রহণ করেছে।
তবে তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে সামনে আসে গণমাধ্যমের কাছে সঠিক মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশ না করতে সরকারের কঠোর নির্দেশ।
গত ১৮ থেকে ১৯ জুলাই পূর্ব রামপুরা এলাকায় ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আহতদের মধ্যে শতাধিক মানুষকে ওই এলাকায় অবস্থিত বেটার লাইফ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
২৪ জুলাই বেটার লাইফ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক শুভ্রজিৎ সরকারের কাছে আন্দোলনে সহিংসতা চলাকালে হাসপাতালে আসাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে কোনো রোগী মারা যায়নি। কয়েকজন চিকিৎসা নিয়েছেন।’
অন্যদিকে জরুরি বিভাগের নার্স প্রসেনজিৎ মধু দেন ভিন্ন তথ্য। তিনি বলেন, তারা এক হাজারেরও বেশি আহতকে চিকিৎসা দিয়েছেন। ১২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি, যাদের মৃত অবস্থায়ই হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
এর প্রায় এক সপ্তাহ পরে দ্বিতীয়বারের মতো হাসপাতালটিতে যান এই প্রতিবেদক।
এসময় হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের আরেক চিকিৎসক রাজীব পার্থ বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের পুরো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কোনো সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলতে। একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ডিবি, এনএসআই থেকেও। লোকজন আমাদের ওপর নজর রাখছে। আজও এসবি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ পুলিশ) থেকে লোক এসেছে। মিডিয়াকে কোনো তথ্য দেওয়া হবে না। এটা সব বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।’
রাজধানীতে তীব্র বিক্ষোভ ও সহিংসতার অন্যতম প্রধান কেন্দ্রস্থল ছিল বনশ্রী। সেখানকার ফরাজী হাসপাতালের তথ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো তথ্য সরবরাহ করতে পারেনি। এ বিষয়ে তারা মহাব্যবস্থাপকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বললেও মহাব্যবস্থাপক তানভীর আলমকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এদিকে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানান, তিনি হাসপাতালে ১৮ জুলাই ৭ জন এবং ১৯ জুলাই দুজনকে মারা যেতে দেখেছেন। কাউকে প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
সরকারি হাসপাতালগুলো তথ্য দিলেও আছে বিভ্রান্তি
আন্দোলন চলাকালে সহিংসতায় আহত-নিহতের তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালের চিত্র ছিল একটু ভিন্ন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক শফিউর রহমান জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত ১৬ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫১৮ জন। এর মধ্যে ৬৫ জনকে ভর্তি করতে হয়।
আরও পড়ুন: ‘দেশের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে’
৩০ জনের বড় এবং ১৫০ জনের ছোট অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল বলে জানান তিনি।
শফিউর রহমান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ১৩ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী এবং তাদের শরীরে গুলির আঘাত ছিল।
তিনি আরও জানান, অস্ত্রোপচার ওয়ার্ডে আরও রোগী ভর্তি হচ্ছে। জটিল রোগীদের জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি) রেফার করা হয়।
হাসপাতালের চারতলা সার্জারি ওয়ার্ডে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। এমনকি সাংবাদিকদের পরিদর্শনের অনুমতিও দেওয়া হয়।
সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছিল আন্দোলন চলাকালে সহিংসতায় আহত আকাশ (২৫)। তিনি জানা, মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের সামনে দিয়ে হাঁটার সময় একাধিক রাবার বুলেট এসে তার গায়ে লাগে। মেরুদণ্ডের নিচের মাংসপেশি থেকে ১৩টি ছররা বের করতে হয়েছে।
একই ওয়ার্ডে ভর্তি অবস্থায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল দ্বিতীয় শ্রেণির ১১ বছরের ছাত্র কাওসার। উত্তরার আবদুল্লাহপুরের একটি মহল্লায় দুই-তিনজন বন্ধুর সঙ্গে খেলছিল সে। এমন সময় হঠাৎ গুলি এসে লাগে কিডনির পাশে। গুলিটি এদিক থেকে ওদিকে বের হয়ে যায়।
কাওসারের প্রশ্ন, 'আমরা তো বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করিনি। আমার কেন গুলি লাগলো?'
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারের আমলের চুক্তিভিত্তিক সব কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল হচ্ছে
কাওসারের খালা সুমি জানান, প্রথমে তাকে বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে এখানে বদলি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে গুলির শব্দে সবাই দৌড়ে পালাতে থাকে। আমরাও পালিয়ে যাচ্ছিলাম। গুলি চালানোর কারণ কী ছিল? রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা। পুলিশ কেন তাকে গুলি করল?’
কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, ১৮ তারিখে সাতজনসহ তাদের হাসপাতালে মোট আটজন মারা যান। তাদের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে, বাকি দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের মরদেহ এনআইসিভিডি মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম বলেন, 'এখানে কেউ মারা যায়নি। চিকিৎসা নিয়েছেন ১২০ জন। বর্তমানে ১১ জন ভর্তি রয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে একজনকে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বেডে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু জুলাই মাসে কোটা আন্দোলনে ১৫০ জনের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে সরকারের দেওয়া তালিকায় বিএসএমএমইউতে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের নাম রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসএমএমইউ পরিচালক বলেন, ‘তালিকা তাহলে আমাদের আবার দেখতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো তালিকায় তা নেই।’
এতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, সরকারি হাসপাতালগুলো তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকলেও কঠোর নির্দেশনার অধীনেই তথ্য দিচ্ছে যে কারণে সরবরাহকৃত তথ্যগুলো কত নির্ভরযোগ্য তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।
এদিকে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ডে ২৬৬ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে। গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে প্রথম আলো সেই সংখ্যার কাছাকাছি- ২১০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জুলাইয়ের এই গণহত্যার সত্য উদঘাটনে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে ছিল সরকার। এখন সরকার পতনের পরে জুলাই গণহত্যায় মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা বের করার কাজটি নতুন করে শুরু করলে হয়তো সঠিক তথ্য সামনে আসতেও পারে।
৩ মাস আগে
সিলেটে জুলাইয়ে ২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত, আহত ৩৬
জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের কারণে কারফিউ থাকায় সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনা কিছুটা কমেছে।
জুলাই মাসে সিলেট বিভাগে ২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত ও ৩৬ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে সিলেট জেলায়। আর সবচেয়ে কম সংঘটিত হয়েছে সুনামগঞ্জ জেলায়।
শনিবার (৩ আগস্ট) নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সিলেট বিভাগীয় কমিটি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিলেট জেলায় ১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত ও ২৮ জন আহত হয়েছেন। সুনামগঞ্জ জেলায় একটি সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন। মৌলভীবাজার জেলায় ৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন। হবিগঞ্জ জেলায় ৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন। জুলাই মাসে সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে ৭ জন মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী, ৪ জন সিএনজি ও লেগুনা চালক ও যাত্রী ও ৬ জন পথচারী রয়েছেন। এছাড়া নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি উল্টে ২ জন, মুখোমুখি সংঘর্ষে ৮ জন নিহত হয়েছেন। এসময় ৯ জন চালক নিহত হয়েছেন। এছাড়া জুলাই মাসে নিহত ২৫ জনের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ, ৪ জন মহিলা ও ৩ জন শিশু রয়েছেন।
নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট বিভাগীয় কমিটির সদস্য সচিব ও সিলেট জেলার আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম মিশু গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে জানান, ৫টি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকার তথ্য, ২টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার তথ্য, অনুমেয় অনুজ্জ বা অপ্রকাশিত ঘটনা ও নিসচা সিলেটের শাখা সংগঠনগুলোর তথ্যের ভিত্তিতে নিসচা বিভাগীয় কমিটি এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
উল্লেখ্য, জুন মাসে সিলেট বিভাগে ২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
৩ মাস আগে
জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯০ কোটি ডলার
জুলাই মাসে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে এই পরিমাণ আগের মাস জুনের তুলনায় ২৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ কম।
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে জুন মাসে ২৫১ কোটি ডলারের রেকর্ড রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। জুনের তুলনায় চলতি বছরের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে ২৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে ২৪ দিনে দেশে ঢুকেছে ১৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
গত বছরের জুলাইতে (২০২৩) ১৯৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জুলাই মাসের প্রথম ১৮ দিনে প্রতিদিন গড়ে ৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এলেও ১৯ থেকে ২৪ জুলাই ছয় দিনে এসেছে মাত্র ৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩১ জুলাই প্রবাসীরা ১২০ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন, যা একদিনের রেমিট্যান্স প্রবাহের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, জুলাই মাসে ১৯০ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি বছরের (২০২৪) প্রথম ৭ মাসে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছে জুলাইয়ে। এ মাসে ১৯০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
তথ্যানুযায়ী গত মার্চে ১৯৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ডলার, মে মাসে ২২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্সে ডলার মূল্য বেড়ে ১১৯ টাকা ৪০ পয়সা
৩ মাস আগে
জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে: মেয়র তাপস
জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে পান্থকুঞ্জ পার্কের অভ্যন্তরে পান্থপথ বক্স কালভার্টের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ডের বিচার হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রাণহানি আর ঘটবে না: তাপস
মেয়র বলেন, পান্থকুঞ্জ উদ্যান এই এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যান। এটা উন্নয়নের জন্য ২০১৭ সালে মেগা প্রকল্পের আওতায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কারণে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এদিক দিয়ে নেওয়ার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ফলে এই পার্কের উন্নয়ন কাজটা বন্ধ হয়ে যায়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে তাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে আলোচনা করেছি, দেন-দরবার করেছি। এর ফলশ্রুতিতে তারা সুনির্দিষ্ট জায়গায় কাজ করবে। বাকি জায়গা আমাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। সেই জায়গায় আমরাই কাজ শুরু করেছি। বর্তমানে এটার অবকাঠামো উন্নয়ন চলছে।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা ঢাকাবাসীকে একটি নান্দনিক উদ্যান উপহার দিতে চাই। যদিও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের কারণে উদ্যানের বড় একটা অংশ তাদের কাছে চলে যাবে। তারপরও যতটুকু রক্ষা করতে পেরেছি, তা ঢাকাবাসীর জন্য অচিরেই উন্মুক্ত করে দিতে পারব। পার্কের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে একটি নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে।
নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, গত বছর কয়েকটি জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছে, বিশেষ করে নিউমার্কেটের সামনে ও শান্তিনগরে। যেসব কারণে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, আমরা সেগুলো পরিষ্কার করেছি। আশা করি এবার আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, নিউমার্কেট এলাকার জন্য নতুন প্রকল্প নিয়েছি। এর মূল কারণ হচ্ছে পিলখানার ভেতর দিয়ে আগে যে পানি প্রবাহের নর্দমা ছিল, সেগুলো ২০০৯ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য গত বছর সেখানে বড় ধরনের জলবদ্ধতা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি ও সম্মতি পেয়েছি। আমরা পিলখানার ভেতর দিয়ে পানি প্রবাহের বড় নর্দমা করছি। এটা করতে পারলে ওই এলাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। এভাবে প্রত্যেকটা এলাকায় বিচার-বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ঢাকায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি জায়গা ছাড়া তেমন কোনো জায়গায় এখন দীর্ঘ সময় জলবদ্ধতা থাকে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগে সূচি অনুযায়ী বক্স কালভার্ট, খাল ও নর্দমাগুলো পরিষ্কার করে থাকি, যাতে বর্ষার সময় পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। এ ছাড়া ঢাকা শহরে আমরা ব্যাপকভাবে নর্দমা অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ করছি।
আরও পড়ুন: প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার অভাবে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হার বেশি: মেয়র তাপস
ঈদের পর বঙ্গবাজার মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু হবে: মেয়র তাপস
৭ মাস আগে