জুলাই
আ.লীগকে নিষিদ্ধে জুলাই আহতদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সংগঠন ওয়ারিয়র্স অব জুলাই।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে এই আল্টিমেটাম দেন তারা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা হলে ‘রাজধানী ব্লকেড’ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানায় সংগঠনটি।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয় থেকে ঘোষণা অথবা সিদ্ধান্ত চান বলে জানান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আহতরা। এই সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিশ্রুতি না এলে ৪৮ ঘণ্টা পর সারা দেশ থেকে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে বাইপাস সড়ক নির্মাণ বন্ধে চার দিনের আল্টিমেটাম
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত শহিদ মিনারে তাদের সেই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া আওয়ামী লীগকে কেউ পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে তাদের পরিস্থিতিও একই হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
জুলাই আন্দোলনে আহত সুজন নামে এক যুবক বলেন, ‘হাসিনার এই গণহত্যাকারী দল গত ১৭ বছরে অনেক মা-বোনকে কাঁদিয়েছে। আওয়ামী লীগকে যদি নিষিদ্ধ করা না হয়, তাহলে আবার চব্বিশের জুলাইয়ের মতো আন্দোলন হবে।’
‘আমরা মৃত্যুকে ভয় পাইনা। যতদিন জীবিত আছি, আওয়ামী লীগকে এই বাংলাদেশে ফিরতে দেব না।’
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে নতুন করে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রে জড়াতেও নিষেধ করেন জুলাই বিপ্লবে আহতরা।
৪১ দিন আগে
‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর অনেক ধরনের অনুভূতির জন্ম হয়েছে’
‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমাদের অনেক ধরনের অনুভূতির জন্ম হয়েছে। এই অনুভূতিগুলো বিশেষ করে সংস্কার কার্যক্রম ও আমরা যে ধরনের আশা-আকাঙ্ক্ষার জন্য জীবন বাজি রেখেছিলাম, সেগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে সেটা সেভাবে পূরণ হচ্ছে না। এসব আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে মাঠপর্যায়ে যে ধরনের কার্যক্রম প্রয়োজন, সেটাও আমরা যথেষ্ট পরিমাণে করছি না।’
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা ভবনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারীদের সম্মুখ ভূমিকা নিয়ে ‘জুলাইয়ের বীরকন্যা’ শিরোনামে ছবি ও তথ্যচিত্রের আর্কাইভ প্রদর্শনী হয়। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এই প্রদর্শনীতে একটি সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে অভ্যুত্থানে নির্যাতিত নারীরা তাদের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, ‘যখন একটা বিচার হয়, তখন ভাবি বাকি সমস্যাগুলো কমে আসবে। যখন একটা বিচার হয় না, তখন পরপর অনেকগুলো বিচার হয় না। আমরা আগেও দেখেছি, যখন নির্বাচনের সময় এসেছে, শুধুমাত্র ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় কীভাবে নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে, যেন একটা নির্দিষ্ট এলাকায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে যে, ধানের শীষে ভোট দিলে একজন নারীকে কীভাবে শাস্তি পেতে হবে। এটারও বিচার হয়নি।’
আরও পড়ুন: জুলাই অভ্যুত্থানে শিশুমৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ, সুরক্ষা ও জবাবদিহি চায় ইউনিসেফ
তিনি বলেন, ‘১৫ বছর যে জুলুমের মধ্যে দিয়ে আমাদের যেতে হয়েছে, সে জুলুমের বিচার আমরা কীভাবে পাব? আমরা মনে করি, এখানে বিচারহীনতার সংস্কৃতি, জবাবদিহিহীনতার সংস্কৃতিই একমাত্র ফ্যাসিস্ট তৈরি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আর কোনো উপায় নেই। আমাদের প্রয়োজন একজন নারী ব্রিগ্রেড। এই রেভ্যুলেশনের সমস্ত এসেন্স (নির্যাস) যারা ধারণ করবে, তারাই ব্রিগ্রেডের অংশ হয়ে উঠবে।’
‘তার জন্য নারীদের একটা সেপারেট (আলাদা) মনোযোগ প্রয়োজন। কারণ তাদের সমস্যাগুলোর একটা আলাদা মাত্রা আছে। আমাদের নারীদের যে স্পিরিটটা (চেতনা) আছে, সেটা কাজে লাগাতে হবে। কারণ আমাদের সামনে অনেক বড় লড়াই আছে।’
৬৯ দিন আগে
জুলাই চার্টারের ওপর নির্ভর করছে নির্বাচন কখন হবে: শফিকুল আলম
আগামী জাতীয় নির্বাচন এ বছরের শেষ নাগাদ, নাকি আগামী বছরের জুনের মধ্যে হবে; তা নির্ভর করছে জুলাই চার্টারের ওপর বলে জানিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিচার বিভাগীয় ও প্রশাসনিক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। এরপর সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের কাছে কিছু কিছু সুপারিশ তিনি তুলে ধরেন।
রাজনৈতিক দলগুলো যেখানে নির্বাচনের কথা বলছে, সেখানে বর্তমান সরকার কী এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে যে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করতেই হবে, প্রশ্নে শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা প্রথম থেকে বলছেন ছয়টি বড় সংস্কার কমিশন যে সুপারিশগুলো করবে, সেটা নিয়ে একটি ঐকমত্য কমিশন করেছে অন্তবর্তী সরকার। সেই কমিশনের প্রধান হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা নিজেই।’
‘ভাইস চেয়ারম্যান হলেন অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ। বাকি পাঁচটা কমিশন প্রধান এটার সদস্য। এই ছয়টি কমিশনের পুরো প্রতিবেদন নিয়ে দেশের সব রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবে ঐকমত্য কমিশন। তারপর একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে কতটুকু সংস্কার দ্রুত করতে হবে, কতটুকু পরে করা যাবে—কতটুকু করার জন্য সাংবিধানিক সংস্কার দরকার।’
তিনি বলেন, ‘যেসব সুপারিশে সবাই একমত হবে, রাজনৈতিক দলগুলো সেখানে সই করবে। এরপর যেটা দাঁড়াবে, সেটা হবে জুলাই চার্টার। সেটার বাস্তবায়ন বর্তমান সরকার কিছু করবে, পরবর্তী সরকার কিছু করবে। আর সেই বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবে—নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বর নাগাদ নাকি আগামী বছরের জুনের মধ্যে হবে।’
আরও পড়ুন: নারী ফুটবলারদের বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধের আশ্বাস শফিকুল আলমের
ছয়টি কমিশনের মধ্যে চারটির প্রতিবেদন গেল ডিসেম্বরের শেষ দিকে জমা দেওয়া হয়। আর আজ জমা দেওয়া হয়েছে বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন ও প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন।
বিচার বিভাগ পুরোপুরি স্বাধীন করার প্রস্তাব
বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কমিশনের সুপারিশে—এমন তথ্য দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘যদিও আগের সরকারগুলো বলেছে যে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন। কিন্তু কার্যত বাংলাদেশের বিচার বিভাগ কোনোদিনও স্বাধীন ছিল না। নতুন প্রতিবেদনে বিচার বিভাগকে পুরোপুরি ও কার্যকরভাবে স্বাধীন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’
‘৩৫১ পাতার এই প্রতিবেদন বাস্তবায়ন করতে হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাংবিধানিক সংস্কারও লাগবে। বিচার বিভাগে স্বচ্ছতা আনতে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে তারা কিছু সুপারিশ দিয়েছেন। তার আলোকে কিছু কাজও রয়েছে। আপনারা দেখেছেন বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালার কথাও এসেছে সুপারিশে।’
স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস
বিচার বিভাগীয় কমিশনের সুপারিশে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিসের কথা বলা হয়েছে। শফিকুল আলম বলেন, ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সুপারিশ হচ্ছে, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস করা। বিশ্বের অনেক দেশে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস আছে। সারা দেশে প্রায় চার হাজার পাবলিক প্রসিকিউটর আছেন। এই পুরো পাবলিক প্রসিকিউটর আসলে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অনুগতদের মধ্য থেকে নিয়োগ দিয়ে এসেছে। কিন্তু স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস এলে আগের সেই চর্চা আর থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘বিসিএসে যেভাবে রিক্রুট হয়, সেভাবে এটা হবে। এটির মূল কারণ হলো—আদালতে ফৌজদারির মামলার ৪০ শতাংশ সরকারই দাখিল করে, দেখা যাচ্ছে পুলিশ এটা করে। পরে সরকারকে এই মামলাগুলো লড়তে হয়। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস যাতে ভালো হয়, সেই সুপারিশও করা হয়েছে।’
স্বাধীন তদন্ত সংস্থা
এছাড়াও প্রতিবেদনে স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা গঠনের কথা বলা হয়েছে বলে জানান শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যেসব অপরাধ হয়, পুলিশই সেগুলোর তদন্ত করে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পুলিশকে রাজনৈতিক দলগুলো ব্যবহার করে। অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভুদের খুশি করতে তদন্ত করা হয়। আমরা অনেক দেখেছি, বাংলাদেশের বড় বড় মামলাগুলো পুলিশি তদন্তের কারণে কীভাবে কলুষিত হয়েছে। পুলিশের তদন্তগুলো খুবই রাজনৈতিক, অনেকক্ষেত্রে এগুলো ম্যানিপুলেট করা যায়।’
আরও পড়ুন: হাসিনার বিচার করা অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার: শফিকুল আলম
শফিকুল আলম বলেন, এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী বেঞ্চকে তারা ডিভিশনে (বিভাগীয় শহরে) সেটআপ করার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ, বাংলাদেশে জনসংখ্যা বাড়ছে। আগের হাইকোর্ট দেখেন, ১৯৭১ সালের পরে যে হাইকোর্ট, সেই একই হাইকোর্ট, একই জায়গায় আছে। এ জন্য হাইকোর্টের বেঞ্চগুলো বাড়িয়ে বিভাগে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
‘এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পুরো উপজেলা পর্যন্ত নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গরিব মানুষের জন্য আইনি সহায়তা আরও বাড়াতে বলা হয়েছে। এই কাজটা যাতে গ্রাম পর্যন্ত চলে যায়, এমন সুপারিশ করা হয়েছে। কারণ গ্রামগুলো এখন বড় হচ্ছে। আধুনিক জীবনের অনেক বিষয় এসে গেছে সেখানে। যে কারণে সেখানে অনেক মামলা হয়,’ বলেন প্রেস সেক্রেটারি।
তিনি বলেন, আর আইনজীবীদের রাজনীতি নিয়ে একটি নীতিমালা দেওয়া হয়েছে।
৮৬ দিন আগে
জুলাই-জানুয়ারিতে ২৩৫৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি
২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১২ শতাংশ। এই সময়ে মোট রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৫৫ কোটি মার্কিন ডলার। এটি দেশের রপ্তানি খাতে একটি ইতিবাচক প্রবণতাকে তুলে ধরে।
তবে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিসংখ্যানের তুলনায় ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
সোমবার বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, গত চার মাসে (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) টানা দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জনের পর ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশে। যেখানে এক মাসে রপ্তানি মূল্য ছিল ৩৬৬ কোটি ডলার।
নিটওয়্যার খাতে ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং ওভেন পোশাক রপ্তানিতে ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে বাংলাদেশের ৪৪৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি
প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানগুলো উত্সাহজনক হলেও সেগুলো শিল্পের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো বিশেষত দাম এবং ব্যয়ের চাপকে পুরোপুরি প্রতিফলিত করে না।
রুবেল বলেন, এই প্রবণতাকে প্রভাবিত করে এমন নির্দিষ্ট কারণগুলো যেমন বাজার-নির্দিষ্ট কর্মকাণ্ড, পণ্য এবং বাজারের ঘনত্ব এবং অন্যান্য পরিবর্তনগুলো শনাক্ত করার জন্য আরও বিশ্লেষণ প্রয়োজন।
গত বছর বৈশ্বিক বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে সঙ্কুচিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার ফলে তীব্র মূল্য প্রতিযোগিতাও দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের জন্য কিছু সুযোগ রয়েছে।
রুবেল বলেন, তবে জ্বালানি নিরাপত্তা এবং আর্থিক/ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতাসহ ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে সহায়তার জন্য বেশ কয়েকটি অগ্রাধিকার মোকাবিলা করা দরকার।
৮৮ দিন আগে
জুলাইয়ের গণহত্যার বিচার যারা চায় না তারাও ফ্যাসিস্টের দোসর: সারজিস
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের হত্যাকারী খুনি হাসিনা এবং তার দোসরদের বিচারের কথা না বলে যারা তাকে ও তার দোসরদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের কথা বলে, আমরা মনে করি তারাও ফ্যাসিস্টদের দোসর।
তিনি বলেন, ‘হত্যাকারী খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।’
শনিবার (২৩ নভেম্বর) বরিশালে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারগুলোর মধ্যে সহায়তার চেক বিতরণকালে একথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল: সারজিস আলম
সারজিস বলেন, যে নবজাতক শিশু জন্ম নেওয়ার আগেই বাবাকে হারালো, তাকে আমরা কি জবাব দেব? আমরা সহজে সব ভুলে যাই। ১৬ বছর ভুলে যাই, গুম খুন হত্যা ভুলে যাই। কিন্তু এদেশের ছাত্র সমাজ এবার আর ভুল করবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা সকল হত্যার বিচার নিয়েই ঘরে ফিরব। আর কোন ফ্যাসিস্টকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসতে দেওয়া হবে না।’
শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বরিশাল বিভাগে মোট শহীদ হওয়া ৩১৪ জনের মধ্যে ৭৯ জনের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে সহায়তার চেক দেওয়া হয়।
শহীদ পরিবারের অনেকে ঢাকায় নিবন্ধন করেছেন এবং পর্যায়ক্রমে সকল শহীদ পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানান জুলাই শহীদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তারা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন এবং সিভিল সার্জন মারিয়া হাসান।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ২৪৫ জনকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে: সারজিস
১৬০ দিন আগে
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধ
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের কল্যাণার্থে তৈরি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সারজিস আলম এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ দায়িত্ব পেয়েছেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিষদের দ্বিতীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠন করা হবে: উপদেষ্টা নাহিদ
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত একটি অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবামূলক ও জনকল্যাণমূলক বেসরকারি সংস্থা ৷
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের কল্যাণার্থে তাদের পরিবারকে আর্থিক ও মানবিক সহায়তা, পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান বা অন্য কোনো উপযুক্ত সুবিধা এবং আহত বা পঙ্গুত্ববরণকারী ব্যক্তিগণের ঔষধপত্রসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া, কর্মসংস্থান, আর্থিক ও মানবিক সহায়তা বা অন্য কোনো উপযুক্ত সুবিধা দেওয়া এই ফাউন্ডেশনের প্রধান লক্ষ্য৷
আরও পড়ুন: গণভবনে নির্মিতব্য স্মৃতি জাদুঘরে তুলে ধরা হবে ১৬ বছরের নির্যাতনের চিত্র: তথ্য উপদেষ্টা
১৯৩ দিন আগে
জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি মাহমুদুর রহমানের আহ্বান
জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর পলাশী মোড়ে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় তিনি এ দাবি জানান।
আবরার ফাহাদকে ত্যাগ ও মুক্তির প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আবরার ফাহাদকে শহীদ তিতুমীরের মতো স্মরণ করতে চাই।’
আরও পড়ুন: দেশের প্রতিটি সেক্টরে গ্রহণযোগ্য সংস্কারের লক্ষ্য নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘আবরার ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার প্রতীক। শত বছর পরও তিতুমীরের মতো আমরাও আবরারকে নায়ক হিসেবে স্মরণ করতে চাই। অন্যদিকে শেখ মুজিব শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের আইকন। তাই আমি সরকারের কাছে আমার ৭ দফা দাবিতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের নাম পরিবর্তন করে আবরার এভিনিউ করার কথা বলেছি।’
সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের অনুরোধ করেছিলাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকার না হতে। এখানে তারা ভুল করেছে। বিপ্লবী সরকার হোক। ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি করে একটি উপদেষ্টা পরিষদ দিয়ে দেশ পরিচালনা করুন। শেখ হাসিনার সংবিধান ছুঁড়ে ফেলে দিন। পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এসে বিপ্লবের বাণী অনুযায়ী নতুন সংবিধানের খসড়া তৈরি করবে।’
স্মরণ সভায় আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ ও তার বাবা বরকত উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সভাপতি মো. আবু সাদিক এবং এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
সমাবেশ শেষে আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আকতার হোসেনের নেতৃত্বে পলাশী মোড় থেকে আরেকটি র্যালি করেন নিরাপদ বাংলাদেশে কর্মসূচির বক্তা ও শ্রোতারা।
পরে আবরার ফাহাদের আত্মত্যাগের স্মৃতি স্মরণে মাহমুদুর রহমান ও আকতার হোসেন 'আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভ' নামের একটি স্মৃতি ফলকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: সংলাপে সব দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে: মাহফুজ আলম
২০৭ দিন আগে
জুলাই-আগস্টে নিহত ৭০৮ জনের খসড়া তালিকা প্রকাশ
জুলাই ও আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৭০৮ জনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ নামের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে।
এই তালিকা পাওয়া যাচ্ছে https://medical-info.dghs.gov.bd/.
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে: সচিব
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যে কোনো সংশোধনের প্রয়োজন হলে নিহতদের পরিবারের সদস্য বা স্বজনদের মৃত ব্যক্তি যে প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
যারা তালিকায় মৃতের নাম পাবেন না তাদের সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সংগৃহীত প্রতিবেদন থেকে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেন, শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ও নিহত শিক্ষার্থী ডাটাবেজ তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
উপদেষ্টা মুরশিদ বলেন, ‘ডাটাবেসে হতাহত ও আহতের সংখ্যা এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে, যা প্রায় সম্পূর্ণ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তথ্যসহ যাচাই-বাছাই শেষে এটি চূড়ান্ত করা হবে। আমরা আগামী মাসে এই তথ্য প্রকাশের পরিকল্পনা করছি।’
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আবারও মূল নীতি হার বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক
২২০ দিন আগে
জুলাই আন্দোলনের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সমাজের বিভিন্ন স্তরের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের মঞ্চ হিসেবে রবিবার আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
ঘোষিত ৫৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে আজ। এই কমিটি অংশীজনদের মধ্যে রাজনৈতিক মতাদর্শ উপলব্ধি করে তার নিষ্পত্তির জন্য কাজ করবে এবং সব ধরনের ফ্যাসিবাদকে নির্মূল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
সংগঠনের পক্ষে কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাছিরউদ্দিন পাটোয়ারী এ কমিটি ঘোষণা করেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের বাণিজ্য মেলা জানুয়ারি মাসেই অনুষ্ঠিত হবে: উপদেষ্টা
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন গত বছর গঠিত বিকল্প ছাত্র প্লাটফর্ম গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আখতার হোসেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পেছন থেকে অগ্রণী ভূমিকা ছিল আখতারের।
১৭ জুলাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে তুলে নিয়ে যায় এবং শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত বন্দি ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী সামান্থা শারমিনকে কমিটির মুখপাত্র করা হয়েছে।
কমিটি গঠন উপলক্ষে এক বিবৃতিতে সামান্থা জানান, আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে তারা কাজ শুরু করেছেন।
নেতারা বলেন, অতি শিগগিরই সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছাত্র নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন: 'মর্যাদাপূর্ণ ও অনন্য' বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান ইউনূসের
মুখপাত্র বলেন, ‘তৃণমূল পর্যন্ত এই কমিটি সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমরা ছাত্র অভ্যুত্থানের শক্তিকে সুসংহত করব এবং বাংলাদেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করব।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আরিফুল ইসলাম আদিব, সাইফ মোস্তাফিজ, মনিরা শারমিন, নাহিদা সারওয়ার চৌধুরী, সারোয়ার তুষার, মুতাসিম বিল্লাহ, আশরাফ উদ্দিন মাহদী, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, অনিক রায়, জাবেদ রসিন, মো. নিজাম উদ্দিন, সাবহানাজ রশিদ দিয়া, প্রাঞ্জল কোস্তা, মইনুল ইসলাম তুহিন, আব্দুল্লাহ আল আমিন, হুজাইফা ইবনে ওমর, শ্রবনা শফিক দীপ্তি, সায়ক চাকমা ও সানজিদা রহমান তুলি;
আবু রায়হান খান, মাহমুদা আলম মিতু, অলিক ম্রি, সাগুফতা বুশরা মিশমা, সৈয়দ হাসান ইমতিয়াজ, তাসনিম জারা, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, আজহার উদ্দিন অনিক, মেসবাহ কামাল, আতাউল্লাহ, এস এম শাহরিয়ার, মনজুর-আল-মতিন, প্রীতম দাস, তাজনুভা জাবিন, অর্পিতা শ্যামা দেব, মাজহারুল ইসলাম ফকির, সালেহ উদ্দিন সিফাত, মুশফিক-উস-সালেহীন, তাহসিন রিয়াজ, হাসান আলী খান, আব্দুল আহাদ, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, মশিউর রহমান;
ফরহাদ আলম ভূঁইয়া, তানজিল মাহমুদ, এস এম সুজা, আরিফুর রহমান, কানেতা ইয়া লাম লাম, সৈয়দা আক্তার, স্বর্ণা আক্তার, সালমান মুহাম্মদ মুক্তাদির, আকরাম হোসেন।
আরও পড়ুন: সমন্বয়কদের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করবে উপদেষ্টা পরিষদ: উপদেষ্টা
২৩৬ দিন আগে
১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত করবে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পরিচালনার আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিক্ষোভের সময় সংঘটিত সহিংসতা ও নির্যাতনের বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি, মূল কারণ বিশ্লেষণ এবং ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির অগ্রগতি এবং দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের জন্য সুপারিশ করার লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম মোতায়েন করবে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা।
দলটি এই কাজে পূর্ণ সহযোগিতার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েছে।
এর আগে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাকে ৫ আগস্টের আগে ও পরে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো তদন্তের আহ্বান জানায়।
আরও পড়ুন: জর্জিয়ার 'বিদেশি প্রভাব' আইন নিয়ে ভলকার তুর্কের গভীর দুঃখ প্রকাশ
এ বিষয়ে উদ্যোগ চেয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ককে চিঠি দিয়েছে আইসিএসএফ।
এতে বলা হয়, ‘ক্ষমতা হস্তান্তরে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘের অভিপ্রায় বিবেচনায় আমরা মনে করি তদন্তে ৫ আগস্টের আগে এবং পরের ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখা উচিত। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে আমরা জানতে পেরেছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল চান জাতিসংঘ শুধু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটনাবলী দেখুক।’
সাম্প্রতিক বিক্ষোভে আটক ও আহত হওয়া ছাত্র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে গত সপ্তাহে (২২ থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত) একটি দল বাংলাদেশে এসেছে।
দলটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনুরোধে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে দলটি বৈঠকগুলোতে আলোচনা করেছে।
শামদাসানি বলেন, বিস্তৃত ক্ষেত্রগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে- যার মধ্যে নাগরিক সুযোগ, সত্যের প্রয়োজনীয়তা, ন্যায়বিচার, মুক্তি, ক্ষতিপূরণ ও সমঝোতা এবং সংস্কার প্রক্রিয়ার অন্যান্য মানবাধিকারের পন্থাসহ বিস্তৃত ক্ষেত্রগুলো রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আমাদের সংস্থা টেকসই সহায়তা সরবরাহ করতে পারে।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ইউনূসকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ফোন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ
২৪৫ দিন আগে