দর্শনার্থী
দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে নাটক বন্ধ করতে হয়েছে: ড. জামিল
জাতীয় নাট্যশালার বাইরে একদল লোক বিক্ষোভ করায় শনিবার (নভেম্বর ২) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে দেশ নাটকের মঞ্চ নাটক ‘নিত্যপুরাণ’ বন্ধ করা হয়েছিল।
এই পদক্ষেপের পেছনের কারণগুলো সম্পর্কে রবিবার ভার্চুয়ালি কথা বলেছেন শিল্পকলার মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ।
ড. জামিল বলেন, নাট্যশালায় দর্শকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে নাটকটি বন্ধ করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: আদানির সময়সীমা নিয়ে আমরা খুবই মর্মাহত: প্রেস সচিব
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান উন্মুক্ত মঞ্চে (মুক্তমঞ্চ) 'যাত্রা উৎসব' অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শনিবার রাতে ড. জামিল সেখানেই ছিলেন। ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে 'অপমানজনক' করায় দেশ নাটক দলের সেক্রেটারি এহসানুল আজিজ বাবুর বিরুদ্ধে জনগণ বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় নাট্যশালার গেটে পৌঁছান।
আকস্মিকভাবে নাটকটি বন্ধ করে দেওয়ার কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেন ও শিল্পী-কর্মীদের সমালোচনার মুখে পড়েন ড. জামিল ও একাডেমি।
ড. জামিল বলেন, 'সবার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ওই সময় আমাদের যে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন মনে হয়েছিল, সেটাই নিতে হয়েছে।’
‘সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশের ২২টি স্থানে শিল্পকলা একাডেমিতে আক্রমণ করা হয়েছে এবং এমন সম্ভাবনা ছিল যে উত্তেজিত জনতা নাটক চলাকালীন আরও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এবং দর্শকদের আক্রমণ করতে পারে। সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাকে মঞ্চে উঠতে হয়েছে এবং দর্শকদের কাছে ক্ষমা চাইতে হয়েছে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।’
তিনি আরও বলেন, 'আন্দোলনকারীরা যে ফেসবুক পোস্টের বিরোধিতা করছেন, তা সত্যিই আপত্তিকর। আমি বাবুকে তিরস্কার করে বললাম যে ফেসবুকে এমন ঘৃণিত মন্তব্য না লিখতে। প্রশাসনের বিরোধিতা না করে নাট্য সৃষ্টির দিকে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিলাম। এর আগে, আমি ক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেছিলাম এবং জানিয়েছিলাম যে দেশ নাটকের বেশ কয়েকজন সদস্য জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং আহত হয়েছিলেন, কিন্তু তারা বুঝতে নারাজ ছিলেন।’
নাটক বন্ধের কারণে যে সমালোচনা শুরু হয়েছে সে বিষয়ে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, 'আমি জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও তারা মঞ্চ দখলের চেষ্টা করে, দেয়াল টপকে এমনকি গেট ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে, তাই আমরা দেশ নাটকের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে নাটক বন্ধের সিদ্ধান্ত নিই। আমি অনেক চেষ্টা করেছি যাতে নাটক প্রদর্শন অব্যাহত রাখা হয়। আমি স্বীকার করছি- আমি একটা খণ্ডযুদ্ধে হেরে গেছি কিন্তু যুদ্ধে জিতব, যদি আপনারা সবাই আমাদের পাশে দাঁড়ান।’
সেনাবাহিনী কেন হস্তক্ষেপ করল না-এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. জামিল বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানে ছিল এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত ছিল, কিন্তু আমরা তাদের জনতার মুখোমুখি করতে চাইনি।
তবে দর্শক ও নাট্যকর্মীদের নিরাপদে বের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারা।’
ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিগত সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি (শিল্পকলা একাডেমি) গত ৭ অক্টোবর সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করলে জাতীয় নাট্যশালার মূল থিয়েটার এবং ১ ও ২ নম্বর কক্ষ পরিবেশনা ও মহড়ার জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ১১ অক্টোবর বাংলাদেশ থিয়েটারের প্রযোজনায় 'সি মোরগ' দিয়ে আবারও মঞ্চ নাটকের নিয়মিত প্রদর্শনী শুরু করে।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে রোগীর মৃত্যু, নার্স ও ওয়ার্ডবয়দের মারধর
২ সপ্তাহ আগে
ময়মনসিংহে শুরু হলো মাসব্যাপী ‘সিটি তাঁত বস্ত্র মেলা’
ময়মনসিংহে শুরু হয়েছে ‘সিটি তাঁত বস্ত্র মেলা’। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ঘেষে কাঁচারী ঘাট বাণিজ্য মেলার মাঠে মেলাটি শুরু হয়। আগামী এক মাস পর্যন্ত চলবে।
এদিকে মেলায় প্রবেশের পর পরই দেখা যাবে কৃত্রিম ফোয়ারা। যা মেলার সৌন্দর্য কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলেছে। এ ছাড়া মেলার দৃষ্টিনন্দন প্রবেশদ্বার নজর কাড়বে মেলায় আসা যেকোনো দর্শণার্থীর। অন্যদিকে, তাঁত বস্ত্রের দোকানের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে- বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র, কসমেটিকস, ছেলেদের পোশাক, মাটির শিল্পকর্ম ও খাবারের দোকান। প্রায় ৮০টির মতো স্টল নিয়ে সেজেছে এই মেলা। ছোট-বড় সবার বিনোদনের জন্য ছিল নানান ধরনের রাইড ও খেলাধুলার আয়োজন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সপ্তাহব্যাপী বিচ কার্নিভাল ও পর্যটন মেলা শুরু আজ
বিনোদনের জন্য আরও রয়েছে- নাগর-দোলা, সুপার চেয়ার, মেরি ঘোড়া, মিনি রেলগাড়ি, ড্রাগন রাইড, দোলন নৌকা, ভূতের বাড়ি, বন্দুক দিয়ে বেলুন ফুটানো, যাদু খেলা, ট্রাম্পলিন, ড্রাগন রাইড আরও কত কী! শিশুদের জন্য প্রধান আকর্ষণ হিসেবে ছিল ভ্রাম্যমাণ সিরাজগঞ্জ যমুনা শিশু পার্ক ও ভূতের বাড়ি। সব কয়টি রাইডেই মেলায় আসা ছোট থেকে বড় দর্শনার্থীরই উপচে পড়া ভিড়।
এদিকে সন্ধ্যা থেকে মেলায় ভিড় বাড়তে থাকে। মেলার স্টলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভিড় লক্ষ করা গিয়েছে নারীদের কসমেটিকসের দোকানগুলোতে। সব বয়সের নারী কাস্টমারদের ভিড়ে ব্যস্ত সময় পার করেছেন কসমেটিকস দোকানের মালিকেরা। এ ছাড়া মেলায় উঠা বিভিন্ন তাঁত বস্ত্রের দোকান ঘুরে দেখেছেন অনেক নারী দর্শনার্থী।
মেলা মানেই ভোজন রসিকদের জন্য বিশাল আয়োজন। শাহী জিলাপির দোকানে গরম গরম জিলাপির স্বাদ ও গন্ধে ভিড় যেন বেড়েই চলেছে।
এ ছাড়া ছিলো বিভিন্ন বাহারী আইটেমের মিষ্টান্ন। অস্থির গোলার স্টলে ভিন্ন স্টাইলের প্রায় দুইশ স্বাদের বরফের গোলা পাওয়া যায়।
এ ছাড়া চিংড়ি ভাজা, রোলার আইসক্রিম, মোগলাই, চিকেন ফ্রাই, বিভিন্ন স্বাদের আচার, শাহী পানসহ আরও অনেক কিছুর আয়োজন ছিল মেলায় আসা ভোজন রসিকদের জন্য।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শারদ মেলা সিজন-১২ শুরু
সুন্দরগঞ্জে বউ-শাশুড়ির মেলা
১ বছর আগে
বই মেলা, পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস: দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ঢাবি ক্যাম্পাস এলাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকায় পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস উদযাপন করতে আসা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ উৎসব আনন্দকে দ্বিগুণ করেছে।
ঢাবি এলাকায় সকাল থেকেই ছাত্রছাত্রী, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বর্ণিল পাঞ্জাবি ও শাড়ি পরে জড়ো হতে শুরু করে। কাছেই বাংলা একাডেমিতে প্রতি বছরের মতো এবারও বই মেলা হচ্ছে। পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস উদযাপনের জন্য ঢাবি ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসারা বই মেলাতেও ঢু মারে।
বকুল তলায় ঢাবির চারুকলা অনুষদের বসন্ত উৎসব উদযাপন কমিটির বিশাল আয়োজনের পাশাপাশি ঢাবি এলাকায় ঐতিহাসিক বটতলায় 'সমগীত বসন্ত উৎসব', রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের মতো নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
ঋতু রাজ বসন্তকে স্বাগত জানাতে ঢাবির বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ‘সঙ্গীত উৎসব’ এর আয়োজন করে।
বিশেষ দিনটি উপলক্ষে দর্শনার্থীদের চাহিদা মেটাতে ক্যাম্পাস এলাকার প্রায় সর্বত্র ফুল ও খাবারের ভ্রাম্যমাণ দোকান ছিল।
এছাড়া ফুলের দোকানগুলোতে লাল গোলাপ শোভা পাচ্ছিল।
ক্যাম্পাসের ব্যস্ত এলাকায় ঘুরে ঘুরে ফুল বিক্রি করা এগারো বছরের ছেলে আবিদ জানায়, সকালে রাজধানীর মৌচাক থেকে এই এলাকায় আসে ভালো লাভের আশায়।
সে বলে, বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক মানুষ এখানে দিবসটি পালন করতে এসেছে। তাই আমার মা আমাকে এখানে ফুল বিক্রি করতে পাঠিয়েছেন।
এছাড়া অনেকেই আমার কাছ থেকে ফুল কিনেছে। সকাল থেকে আমি প্রায় ৮০০ টাকার ফুল বিক্রি করেছি।
প্রিয়জনের সঙ্গে দিনটি উদযাপনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকাদের জন্য গোলাপ ও তোড়ার বিশাল মজুদ নিয়ে ফুল বিক্রেতারাও এই দিবেসের অপেক্ষায় থাকেন।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত ১০ মডেল
এদিকে শাহাবাগ মোড়ের ফুলের দোকানগুলোতে দেখা গেছে বিক্রেতাদের ব্যস্ততা ও ক্রেতাদের ভিড়।
অন্যদিকে, সোহরাওয়ার্দীর মুক্তমঞ্চে পহেলা ফাল্গুন উদযাপনের অন্যতম স্থান নির্ধারণ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পহেলা ফাল্গুন পালন করতে আসা মানুষদের মধ্যে অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ একটি বাড়তি উৎসবের মেজাজ যোগ করেছে।
ফলে শুধু বইমেলায় আসা অধিকাংশ দর্শনার্থী পহেলা ফাল্গুনের অনুষ্ঠানেও যোগ দেন।
১ বছর আগে
বাগেরহাটে ষাটগম্বুজ মসজিদ ও বিনোদনকেন্দ্রে দর্শনার্থীর ঢল
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে বাগেরহাটে ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে।
নানা বয়সের মানুষ তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে ফিরে আনন্দ করছেন। বিশেষ করে শিশুরা বিনোদনকেন্দ্রেগুলোতে বিভিন্ন রাইডে চড়ে আনন্দ উল্লাস করছে।
ঈদ উপলক্ষে দর্শনার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় করতে বিনোদনকেন্দ্রগুলোও নানাভাবে সাজানো হয়েছে।
সোমবার দুপুরে বাগেরহাট ষাটগম্বুজ মসজিদ, হযরত পীর খানজাহান (রহ.) মাজার ও বারাকপুর সুন্দরবন রিসোর্টে গিয়ে দেখা গেছে, দর্শনার্থীদের বেশ ভিড়। আনন্দের সময়গুলো স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখতে কেউ আবার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করছেন, কেউবা সেলফি তুলছেন।
দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে জমে উঠেছে পশুর হাট
খুলনা থেকে পরিবার নিয়ে ষাটগম্বুজ মসজিদ দেখতে আসা দেলোয়ার হোসেন জানান, ষাটগম্বুজ মসজিদের নির্মাণ শৈলি দেখে তাদের মুগ্ধ করেছে। ৬০০ বছরের পুরান এই নিদর্শন দেখে তার ইতিহাস জানার আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
২ বছর আগে
বইমেলার দ্বিতীয় দিনে এক-তৃতীয়াংশ স্টলই ফাঁকা
করোনার কারণে এবার স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বিলম্বে শুরু হয়েছে একুশে বইমেলা। বুধবার বইমেলার দ্বিতীয় দিনেও দেখা গেছে বেশ কয়েকজন প্রকাশককে তাদের স্টল সাজাতে।
করোনার মধ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া বইমেলার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ স্টল ফাঁকা দেখা গেছে।
সাধারণত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে শুরু হয়ে মাসব্যাপী চলে এ মেলা। কিন্তু এ বছর করোনা সংক্রমণের কারণে মেলা দেরিতে শুরু হয়।
রাহাদ উদ্দিন নামে মেলায় আসা এক দর্শনার্থী বলেন, ‘পরিস্থিতি দেখতে আমি এখানে আসি। মেলা এখনও পুরোদমে শুরু হয়নি। আমার মনে হয় পুরোদমে শুরু হতে আরও তিন থেকে পাঁচদিন লাগবে।’
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ বইমেলায়
তিনি বলেন, ‘আমি একটা বই খুঁজতে ছিলাম। বিক্রিতারা আমাকে দুদিন পর আসতে বলেছেন।’
স্টল সাজাতে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে এক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মেলা নিয়ে অনিশ্চয়তাকে দুষলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘অনেক প্রকাশকই সন্দেহে ছিলেন মেলা আদৌ হবে কি না।’
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, আমরা আগামীকাল থেকে পুরোদমে বই বিক্রি শুরু করতে পারবো এবং গত বছর যে লোকসান হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে পারবো বলেও আমরা আশাবাদী।’
আরও পড়ুন: একুশে বইমেলা- ২০২২ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
অতিথি পাখিতে মুখরিত রাণীসাগর দিঘি
অতিথি পাখিদের আগমনে মুখরিত এখন রাণীসাগর দিঘি। পাখি দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়ও বেড়েছে। পুরো দিঘির জলাশয় সেজেছে নতুন সাজে। দেশের বাইরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাখি ও জলাশয়ের প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম দৃশ্যে সত্যিই মনোমুগ্ধকর। প্রতি বছর শীত এলেই এসব পাখি এখানে এসে প্রকৃতিকে সাজায় নতুন সাজে।
পাখিদের কলতানে পুরো দিঘি এলাকা পরিণত হয়েছে পাখির স্বর্গরাজ্যে। সন্ধ্যা নামলেই দিঘিপাড়ের লিচু বাগানে আশ্রয় নেয় এসব পাখি। ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় খাবারের সন্ধানে রামরাই দিঘিতে ভিড় জমায় তারা।
রাণীশংকৈল উপজেলা শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে উত্তরগাঁও গ্রামের নিকটেই বরেন্দ্র অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তর জলাশয় রাণীসাগরের অবস্থান।
আরও পড়ুন: শীতের অতিথি পাখি দেখতে কোথায় যাবেন?
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার একমাত্র সরকারি পর্যটন কেন্দ্র রামরাই দিঘি। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির সমাগম হয়েছে এখানে। পাখিদের কলকাকলিতে পুরো এলাকা মুখরিত। পাখিপ্রেমি ও সৌন্দর্য পিপাসুরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত পর্যটন কেন্দ্রের পাখিগুলোকে দেখার জন্য ছুটে আসেন।
কিন্তু স্থানীয় ও পর্যটকদের মতে, কিছু লোক লেকে পোল্ট্রি বর্জ্য ফেলে পানি দূষিত করায় অতিথি পাখিরা এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
পর্যটকদের প্রায়ই হ্রদে বা এর তীরে ফেলা বর্জ্য থেকে নির্গত দুর্গন্ধ থেকে সুরক্ষার জন্য মুখ ঢেকে রাখতে দেখা যায়। তবে কর্তৃপক্ষের এই বিষয়ে যথেষ্ট কোনো ব্যবস্থা নেই।
আরও পড়ুন: অভিনব কায়দায় চলছে অতিথি পাখি শিকার
২ বছর আগে
দুবলার চরের রাস উৎসবে যেতে ৫ নৌপথ
প্রতি বছরের মতো এবারও রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে আগামী ১৭ থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী সুন্দরবনের দুবলার চরে ‘রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্য স্নান’ অনুষ্ঠিত হবে। উৎসবে অংশ নিতে নিরাপদে যাতায়াতের জন্য দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের জন্য সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ পাঁচটি রুট নির্ধারণ করে দিয়েছে।
এসব পথে তীর্থযাত্রী ও দর্শণার্থীদের জানমালের নিরাপত্তায় বন বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ড বাহিনীর টহল দল নিয়োজিত থাকবে।
পাঁচটি রুটের মধ্যে বুড়িগোয়ালিনী, কোবাদক থেকে বাটুলানদী-বলনদী-পাটকোষ্টা খাল হয়ে হংসরাজ নদী হয়ে যাওয়া যাবে দুবলারচর। এছাড়া কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা, বজবজা হয়ে আড়ুয়া শিবসা অত:পর শিবসা নদী-মরজাত হয়েও দুবলার চরে যাওয়া যাবে। নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর, ঢাংমারী অথবা চাঁদপাই স্টেশন-তিনকোনা দ্বীপ হয়ে দুবলার চর এবং বগী-বলেশ্বর-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলার চর হয়েও দুবলার চরে যাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় জমে উঠেছে শীতের পিঠা বিক্রি
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের কর্মকর্তা আবু নাসের মহসিন হোসেন বলেন, পূর্ণিমা পুণ্য স্নানে কেবল তিন দিনের জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুমতি দেয়া হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং মাস্কবিহীন কোন তীর্থযাত্রীকে পূণ্য স্নান স্থলে যেতে দেয়া হবে না। অনুষ্ঠান স্থলে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী হ্যান্ডস্যানিটাইজার ও হ্যান্ডওয়াস রাখা হবে বলে জানান তিনি।
বন বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়, তীর্থযাত্রীদের আগামী ১৭ থেকে ১৯ নভেম্বর এ তিন দিনের জন্য দুবলার চরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে। প্রবেশের সময় এন্ট্রি পথে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে। যাত্রীরা নির্ধারিত রুটের পছন্দমতো একটি মাত্র পথ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন এবং দিনের বেলায় চলাচল করতে পারবেন। বনবিভাগের চেকিং পয়েন্ট ছাড়া অন্য কোথাও নৌকা, লঞ্চ বা ট্রলার থামানো যাবে না।
আরও পড়ুন: খুলনায় রুটি বিক্রেতা রিক্তা এখন ইউপি সদস্য
এছাড়াও প্রতিটি ট্রলারের গায়ে রঙ দিয়ে বিএলসি অথবা সিরিয়াল নম্বর লিখতে হবে। রাস পূর্ণিমায় আগত পুণ্যার্থীদের সুন্দরবনে প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট থেকে প্রাপ্ত সনদপত্র সাথে রাখতে হবে। পরিবেশ দূষণ করে এমন বস্তু, শব্দযন্ত্র বাজানো, পটকা ও বাজি ফোটানো, বিস্ফোরক দ্রব্য, দেশীয় যেকোনও অস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র, হরিণ মারার ফাঁদ, কুড়াল, দড়ি বহন করা থেকে যাত্রীদের বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়,সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অবস্থানকালে টোকেন ও টিকিট নিজের সাথে রাখতে হবে। প্রতিটি লঞ্চ, নৌকা ও ট্রলারকে কন্ট্রোল রুমে আবশ্যিকভাবে রিপোর্ট করারও নির্দেশনা দিয়েছে বন বিভাগ।
৩ বছর আগে
সাজেক ভ্রমণ: ঘুরে আসুন মেঘে ঢাকা স্বর্গে
শরতের সাদা মেঘ দিয়ে আকাশ ক্যানভাসে আঁকিবুকি করার কোন দিন, অথবা শীতের কোন রৌদ্রস্নানের দিন! দীঘিনালা ছাড়িয়ে রাঙামাটির ছাদের খোঁজে কেউ এলে, রুইলুই ও কংলাক পাড়ার লুসাই, ত্রিপুরা বা পাংখোয়ারা এখন আর অবাক হয়না। যে কোন বইপোকার কাছে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়নটি হয়ত শুধুই একটি স্থানের নাম। কিন্তু ভারতের মিজোরাম সীমান্ত ঘেষা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফুট উচু সাজেক ভ্যালির মেঘ ছোঁয়ার জন্য কোন পর্বতপ্রেমীর ছেলেমানুষী কোন কিছু দিয়েই তুলনা করা যাবে না। সেই পর্বতপ্রেমীদের জন্যই সাজেক ভ্যালির এই ভ্রমণ গাইড।
সাজেক ভ্যালির প্রাকৃতিক নৈসর্গ
লুসাই পাহাড় থেকে কর্ণফুলী স্রোতকে অনুসরণ করে এগোলে দেখা মিলবে সাজেক নদীর। আর সেই সাথে হৃদয়ঙ্গম হবে নৈসর্গিক এই উপত্যকার নামকরণের সার্থকতা। চান্দের গাড়ি চড়ে পাহাড়ী রাস্তা ধরে এগোনোর সময় আদিবাসী শিশুদের সঙ্গে স্বাগতম জানাবে পাহাড়ের ঢালের সবুজ বন। প্রবেশদ্বারের রুইলুইপাড়া থেকে সাজেকের শেষ প্রান্ত কংলাকপাড়ার মাঝে চোখ জুড়াবে উপত্যকা গ্রাম, হাজাছড়া ঝর্ণা, কমলক ঝর্ণা, দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রিজ ও বনবিহার আর দুরের নিস্তব্ধ নীলিমা। বিজিবি ক্যাম্পের হেলিপ্যাড থেকে মেঘের সমুদ্রে প্লাবিত সূর্যোদয়ের দৃশ্য যে কোন সতর্ক দৃষ্টিকে ভুলিয়ে দিবে যে সে দাড়িয়ে আছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিজিবি ক্যাম্পে। সূর্যাস্তের সময় আবার সেই রাজকীয় অগ্নিকুণ্ডের আত্মবিসর্জনে পুরো সাজেককে মনে হবে এক অপার্থিব তোরণ। রাতের আকাশে কোটি তারার লন্ঠন ছায়াপথ জুড়ে জমিয়ে রাখা মহাজাগতিক চলচ্চিত্রের বায়োস্কোপ দেখাবে।
মধ্য আগস্টের সকাল থেকে শুরু করে প্রথম নভেম্বরের প্রথম কুয়াশা; যে কোন দিন হতে পারে পর্বতপ্রেমীদের জন্য এমন স্বপ্নের দিন।
আরও পড়ুন: নাজমুন নাহার: পৃথিবীর ১৫০তম দেশ ভ্রমণ করে ইতিহাস সৃষ্টিকারী বাংলাদেশি পরিব্রাজক
৩ বছর আগে
লালমাই পাহাড়ে গোলাপের রঙের মেলা
কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে হাজার গোলাপের বর্ণিল পসরা বসেছে। লাল, গোলাপী, সাদা, হলুদসহ বিভিন্ন রঙের গোলাপ। বিকালের ঝিরঝিরে বাতাসে গোলাপ সৌরভ ছড়াচ্ছে।
গোলাপের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই সেখানে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। শিশুরা গোলাপ বাগানের পাশে ছুটাছুটি করছে। কুমিল্লার কোটবাড়ি সালমানপুরে লালমাই উদ্ভিদ উদ্যানে এই রঙের মেলা বসেছে। ২০ রঙের হাজারের বেশি গোলাপ এখানে তার রূপের পসরা সাজিয়ে বসেছে। চৈত্রের খরতাপের স্নিগ্ধতা ছড়াচ্ছে গোলাপ।
আরও পড়ুন: করোনা ও আম্পানের ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চান গদখালীর ফুল চাষিরা
৩ বছর আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সেনুয়া নামে নতুন ইউনিয়ন ঘোষণার খুশিতে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩ বছর আগে