টাইফুন
মিয়ানমারে ভয়াবহ বন্যায় ৭৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৮৯
টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে মিয়ানমারে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় ৭৪ জন নিহত ও ৮৯ জন নিখোঁজ রয়েছে।
রবিবার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বন্যায় নাইপিদো, বাগো, মান্দালয় ও আইয়াওয়াদির ৬৪টি শহরতলির ৪৬২টি গ্রাম ও ওয়ার্ডসহ মন, কায়িন ও শান প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: টাইফুন ইয়াগি: ভিয়েতনামে ভূমিধস ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৩
বন্যা কবলিত এলাকায় ২৪টি সেতু, ৩৭৫টি স্কুল, একটি মঠ, পাঁচটি বাঁধ, চারটি প্যাগোডা, ১৪টি ট্রান্সফরমার, ৪৫৬টি ল্যাম্পপোস্ট ও ৬৫ হাজার ৭৫৯টি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দুর্যোগ মোকাবিলায় নাইপিদোসহ বিভিন্ন প্রদেশ ও অঞ্চলগুলোতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা, খাবার ও পানীয় জল সরবরাহের জন্য অস্থায়ী ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ও উদ্ধারকর্মীরা তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় বন্যায় ৪০ প্রাণহানি, ৪ লাখ ১৪ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
২ মাস আগে
টাইফুন ইয়াগির আঘাতে ভিয়েতনামে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৩, নিখোঁজ শতাধিক
ভিয়েতনামে সুপার টাইফুন ইয়াগি ও এর কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৮০০ জনেরও বেশি এবং নিখোঁজ ১০৩ জন।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
হ্যানয়ে রেড নদীতে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনও অনেক এলাকা তলিয়ে আছে।
গত শনিবার স্থলভাগে আঘাত হানে টাইফুন ইয়াগি। এক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বিশেষ করে ভিয়েতনামের পার্বত্য উত্তরাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা।
দেশটির লাও কাই প্রদেশে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার আকস্মিক বন্যায় প্রদেশটির লাং নু গ্রাম পুরো তলিয়ে গেছে।
শুক্রবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ভিএনএক্সপ্রেস সংবাদপত্র জানায়, লাং নু থেকে ৪৮ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং আরও ৩৯ জন নিখোঁজ রয়েছে। গ্রামটিতে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় উদ্ধারকার্য চালাতে ভারী সরঞ্জাম আনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রায় ৫০০ উদ্ধারকর্মী গ্রামটিতে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন প্রতিশ্রুতি দেন, ‘তারা নিখোঁজদের সন্ধানে পিছপা হবেন না।’
চীনের সীমান্তবর্তী আরেক উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ কাও বাংয়ে ভূমিধসের চার দিন পর শুক্রবার পর্যন্ত ২১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১০ জন।
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ জানায়, টাইফুন ও এর ফলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানি ভিনফাস্ট, অ্যাপলের যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
টাইফুন ইয়াগিতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অস্ট্রেলিয়া এরই মধ্যে ২০ লাখ ডলার সহায়তার অংশ হিসেবে মানবিক ত্রাণ সরবরাহ শুরু করেছে। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়াও ২ মিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। শুক্রবার মার্কিন দূতাবাস জানায়, ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বা ইউএসএআইডির মাধ্যমে ১ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হবে।
কয়েক দশকের মধ্যে ভিয়েতনামে আঘাত হানা টাইফুনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ইয়াগি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের পানির উষ্ণতা বাড়তে থাকায় টাইফুন ইয়াগির মতো ঝড় আরও শক্তিশালী হচ্ছে। যার প্রভাবে তীব্র বাতাস এবং ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
২ মাস আগে
ভিয়েতনামে টাইফুন ইয়াগির আঘাতে নিহত ১৯৭, নিখোঁজ ১২৮
ভিয়েতনামে টাইফুন ইয়াগি এবং এর ফলে ভূমিধস ও বন্যায় এ পর্যন্ত ১৯৭ জন নিহত ও ১২৮ জন নিখোঁজ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য জানায় ভিয়েতনামের কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়।
চলতি বছর এশিয়ায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগি শনিবার ভিয়েতনামের উত্তর উপকূলে আঘাত হানে এবং পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে রাজধানী হ্যানয়ে আঘাত হানে।
টাইফুন ইয়াগি রেড নদীর তীরবর্তী অন্যান্য প্রদেশেও আঘাত হানে যার ফলে সোমবার একটি সেতু ধসে পড়ে।
টাইফুনে ক্ষতিগ্রস্ত ৫টি প্রদেশকে চলতি বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট রিজার্ভ থেকে ১০০ বিলিয়ন ভিয়েতনামি ডং (প্রায় ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন।
২ মাস আগে
চীনে ৯ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার পর টাইফুন সাওলার আঘাত
হংকং এবং দক্ষিণ চীনের উপকূলীয় অন্যান্য অংশে ব্যবসা, পরিবহন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস স্থগিত করে প্রায় ৯ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার পর টাইফুন সাওলা শুক্রবার গভীর রাতে দক্ষিণ চীনে আঘাত হেনেছে।
গুয়াংডং প্রদেশের আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, শক্তিশালী ঝড়টি রাত সাড়ে ৩টার দিকে হংকংয়ের দক্ষিণে ঝুহাই শহরের একটি দূরবর্তী জেলায় আঘাত হানে। এটি গুয়াংডং উপকূল বরাবর প্রায় ১৭ কিলোমিটার (১০ মাইল) বেগে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, যা সমুদ্রের দিকে যাওয়ার আগে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যায়।
শুক্রবার, প্রতিবেশী ফুজিয়ান প্রদেশের এক লাখ মানুষ ও গুয়াংডং-এর ৭ লাখ ৮০ হাজার মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৮০ হাজারেরও বেশি মাছ ধরার জাহাজ বন্দরে ফিরে এসেছে।
কর্মজীবী মানুষরা বাড়িতেই অবস্থান করেন এবং বিভিন্ন শহরের বিভিন্ন স্কুল বছরের শুরুর পরের সপ্তাহে স্থগিত করা হয়। হংকংয়ের শেয়ার বাজারে লেনদেন শুক্রবার স্থগিত করা হয়। এছাড়া মূল আঞ্চলিক ব্যবসা এবং ভ্রমণ কেন্দ্রে প্রায় ৪৬০টি ফ্লাইট বাতিল হওয়ার ফলে শত শত লোক বিমানবন্দরে আটকা পড়ে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোয় আঘাত হানতে যাচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিলারি
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি জানিয়েছে, চীনের মূল ভূখণ্ডে রেল কর্তৃপক্ষ শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গুয়াংডং প্রদেশে প্রবেশ বা ছেড়ে যাওয়া সমস্ত ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছে।
হংকং অবজারভেটরি ১০ নম্বর হারিকেন সতর্কতা জারি করেছে, যা শহরের আবহাওয়া ব্যবস্থার অধীনে সর্বোচ্চ সতর্কতা। ২০১৮ সালে হংকংয়ে সুপার টাইফুন মাংখুট আঘাত হানার পর এটি ছিল প্রথম ১০ নম্বর সতর্কতা।
অবজারভেটরি জানিয়েছে, সাওলা ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৯৫ কিলোমিটার (১২১ মাইল) বেগে বাতাস বয়ে নিয়ে রাত ১১টার দিকে আর্থিক কেন্দ্রটির সবচেয়ে কাছে চলে আসে। শুক্রবার শহরের সিম সা সুই শপিং ডিস্ট্রিক্ট থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল) দক্ষিণে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ঝড়ের আইওয়াল, যা তার চোখকে ঘিরে ছিল, রাতারাতি শহর জুড়ে অগ্রসর হচ্ছিল, যা অঞ্চলটির জন্য ‘একটি উচ্চ হুমকি’ তৈরি করেছিল। শনিবার সকাল পর্যন্ত বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটারে নেমে এসেছে।
অবজারভেটরি উপকূলীয় অঞ্চলে মারাত্মক বন্যার বিষয়ে সতর্ক করেছে এবং বলেছে যে মাংখুট যখন শহরের বিল্ডিংগুলোকে এবং গাছ ভেঙে ফেলেছিল তখন পানির সর্বোচ্চ স্তর একই রকম হতে পারে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, রাজধানী বেইজিংয়ের দূরবর্তী পার্বত্য অঞ্চলসহ বেশ কিছু লোক মারা যাওয়াসহ চীন বিভিন্ন অঞ্চলে তার সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাত এবং বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক বন্যার সম্মুখীন হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রিসে দাবানলে ১৮ জনের লাশ উদ্ধার
হংকংয়ে প্রবল বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে প্রায় ৪০০ মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে এবং ফেরি ও বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। নিচু এলাকার বাসিন্দারা তাদের বাড়িঘর প্লাবিত হওয়া থেকে রক্ষা করার আশায় তাদের দরজায় বালির বস্তা রেখেছিল।
অনেকগুলো গাছ উপড়ে পড়েছে। এতে সাতজন আহত হয়ে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করে। শনিবার সব স্কুলে ক্লাস স্থগিত রাখার কথা ছিল।
নিরাপত্তারক্ষী শার্লি এনজি সহ কিছু বাসিন্দাকে শুক্রবার কাজ করতে যেতে হয়েছিল। এনজি বলেন, মানুষ ঝড়ের মোকাবিলার জন্য খাবার প্রস্তুত করে মজুত করছিল।
তিনি বলেন, ‘আমি শুধু আশা করি যে টাইফুন যেন কোন ক্ষতির কারণ না হয়।’
নিকটবর্তী জুয়ার কেন্দ্র ম্যাকাও-এর আবহাওয়া কর্তৃপক্ষও বন্যার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, শনিবার সকালে নিচু এলাকায় পানির স্তর দেড় মিটার (৫ ফুট) পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। হংকং, ম্যাকাও এবং ঝুহাই শহরের সংযোগকারী আন্তঃসীমান্ত সেতুটি দুপুরের দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ম্যাকাও নেতা হো ইয়াত সেং ক্যাসিনো কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।
আবহাওয়া প্রশাসন জানিয়েছে, আরেকটি ঝড় হাইকুই ধীরে ধীরে পূর্ব চীনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সাওলার প্রভাবের সঙ্গে মিলিত হয়ে গুয়াংডং, ফুজিয়ান এবং ঝেজিয়াং প্রদেশের কিছু অংশে প্রবল বাতাস এবং ভারী বৃষ্টিপাত হবে। এটি পূর্বাভাস দিয়েছে হাইকুই রবিবার তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে আঘাত হানবে।
হংকং এবং ম্যাকাওতে বিমান পরিষেবার পাশাপাশি বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হারিকেন ইডালিয়ার আঘাতে তলিয়ে গেছে ফ্লোরিডার রাস্তা-ঘাট, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
দুটি ঝড় সত্ত্বেও তাইওয়ানকে ভয় দেখাতে চীনের সামরিক বাহিনী শুক্রবার রাতে এবং শনিবার ভোরে আরও অভিযান পরিচালনা করে। তাইওয়ান একটি স্বশাসিত গণতান্ত্রিক দ্বীপ, যেটিকে বেইজিং প্রয়োজনে জোর করে চীনা সার্বভৌমত্বের অধীনে আনতে চায়। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তাইওয়ানের চারপাশে ছয়টি চীনা সামরিক বিমান ও তিনটি নৌযান শনাক্ত করা হয়েছে।
এটি বলেছে যে দ্বীপের সশস্ত্র বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং বিমান, নৌবাহিনীর জাহাজ এবং ভূমি-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে সতর্ক করে দিয়েছে। তবে চীনা জাহাজ বা বিমানগুলো তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে বা তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে প্রবেশ করেছে এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
বুধবার সাওলা তাইওয়ানের ঠিক দক্ষিণে অতিক্রম করে চীনের মূল ভূখণ্ডের দিকে অগ্রসর হয় এবং এর বাইরের ব্যান্ডগুলো ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে দ্বীপের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরগুলোতে আঘাত হানে।
এছাড়া চলতি সপ্তাহের শুরুতে ফিলিপাইনেও টাইফুন আঘাত হানে। বন্যার কারণে দ্বীপপুঞ্জের উত্তরাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।
আরও পড়ুন: চীনে টাইফুন সাওলা ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি
১ বছর আগে
চীনে টাইফুন সাওলা ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি
চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) টাইফুন সাওলা ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা সংকেত জারি করেছে। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) ভারতের গণমাধ্যম এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চীনভিত্তিক গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, টাইফুন সাওলার প্রভাবে দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তাই দেশটির চার-স্তরের ব্যবস্থার সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
টাইফুন সাওলার জন্য চীনের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের উৎপাদন ব্যবস্থা, ব্যবসা এবং গণপরিবহন ব্যবস্থা স্থগিত রয়েছে। এমনকি স্কুলগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবিচল নিষ্ঠার মাধ্যমে ভারত কী করতে পারে তার উজ্জ্বল প্রমাণ চন্দ্রযান-৩: ভারতীয় মন্ত্রিসভা
টাইফুন সাওলা ঘণ্টায় প্রায় ১০ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং ধীরে ধীরে গুয়াংডং প্রদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, চীনের রাজ্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও খরা ত্রাণ সদর দপ্তর টাইফুন প্রতিরোধের জন্য পদক্ষেপ নিতে ফুজিয়ান ও গুয়াংডং-এ সহায়তা কর্মী পাঠিয়েছে।
গ্লোবাল টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র বলেছে, টাইফুন সাওলা শুক্রবার গুয়াংডং প্রদেশ এবং হংকং স্পেশাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিজিয়নের (এইচকেএসএআর) উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়তে পারে।
চীনের জাতীয় আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় (স্থানীয় সময়) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সাওলার পাশাপাশি টাইফুন হাইকুই ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে পশ্চিম থেকে উত্তরের দিকে ধেয়ে আসার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এটি ধীরে ধীরে পূর্ব চীনের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে এগোচ্ছে, আর ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় (স্থানীয় সময়) উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর থেকে আরেকটি টাইফুন কিরোগি ধেয়ে আসছে।
টাইফুন পরিস্থিতি বিবেচনা করে সম্ভাব্য ঝুঁকি কমাতে স্কুলের প্রথম দিন এবং উৎপাদন, ব্যবসা এবং পরিবহন স্থগিত করাসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
গুয়াংডং প্রদেশের শেনজেন অঞ্চলের সমস্ত কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিকের পাশাপাশি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে শেনজেন বাওআন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকল দেশয়ি ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে শেনজেন টাইফুনের সতর্কতা স্তর বাড়িয়ে হলুদ স্তরে নিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুয়াংডং-এর খরা, প্রাদেশিক বন্যা, খরা ও টাইফুন নিয়ন্ত্রণ সদর দপ্তর বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় তার জরুরি সতর্কতা বাড়িয়ে লেভেল ১-এ নিয়েছে।
টাইফুনের প্রভাব বিবেচনা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) থেকে পরবর্তী বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ১২১টি যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।
ন্যাশনাল মেরিন এনভায়রনমেন্টাল ফোরকাস্টিং সেন্টার সব জাহাজকে সতর্ক থাকতে এবং ঝুঁকি এড়িয়ে চলাচল করতে বলেছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলা, ৯ সেনা নিহত
গোপনে আদানি গ্রুপের বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন প্রতিষ্ঠানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা
১ বছর আগে
ফিলিপাইনে বন্যায় ২৫ জনের মৃত্যু
ফিলিপাইনে ক্রিসমাসের ছুটির সময়ে ভারী বর্ষণ ও বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ জনে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও ২৬ জন।
বুধবার দেশটির দুর্যোগকালীন উদ্ধারকারী সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিল জানিয়েছে, প্রায় চার লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে ৮১ হাজার জনের বেশি এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও ৯ জন।
সংস্থাটি আরও জানায়, নিহত ২৫ জনের মধ্যে ১৬ জন মারা গেছেন দেশটির দক্ষিণের উত্তর মিন্দানাও অঞ্চলে।আর নিখোঁজ ২৬ জনের মধ্যে পূর্ব বাইকল অঞ্চলে মারা গেছেন ১২ জন।
আরও পড়ুন:ফিলিপাইনে টাইফুনের আঘাতে ৫ উদ্ধারকর্মী নিহত
রাজ্য আবহাওয়া ব্যুরো প্যাগাসা জানিয়েছে, এটি একটি বিভক্ত রেখা- যেখানে উষ্ণ এবং ঠান্ডা বাতাস মিলিত হয়। যা পূর্ব, মধ্য এবং দক্ষিণ ফিলিপাইনের কিছু অংশে বৃষ্টির সূত্রপাত করেছে।
বৈরি আবহাওয়ায় প্রদেশে বড়দিন উদযাপনকে ক্ষতিগ্রস্ত ও ব্যাহত করেছে। দক্ষিণাঞ্চলের প্রদেশ মিসামিস অক্সিডেন্টালের ফটোতে দেখা যাচ্ছে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তায় উদ্ধারকারীরা প্লাস্টিকের চেয়ারে বয়স্ক মহিলাকে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। প্রদেশের কিছু বাসিন্দাকে ফ্লোটারে ঝুলতে দেখা গেছে। উপকূলরক্ষী উদ্ধারকর্মীরা একটি দড়ি ব্যবহার করে আক্রান্তদের উদ্ধার করছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিষদ জানিয়েছে, বন্যায় এক হাজার ১৯৬টি বাড়ি, ১২৩টি রাস্তা ও ১২টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু এলাকা বিদ্যুৎ বা পানি সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু
বিভক্ত রেখায় প্রভাব দুর্বল হয়ে পড়লেও নতুন একটি নিম্নচাপ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্রিসমাস সপ্তাহান্তে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত একই এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ঘটাতে পারে।
বুধবার আবহাওয়া ব্যুরো বলেছে যে পূর্বে বৃষ্টিপাতের এলাকায় বন্যা এবং ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতি বছর প্রায় ২০টি টাইফুন ও ঝড় ফিলিপাইনে আঘাত হানে। এটি বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগ-প্রবণ দেশ। দ্বীপপুঞ্জটি প্রশান্ত মহাসাগরের রিম বরাবর ‘রিং অফ ফায়ার’ এ অবস্থিত, ফলে অনেক আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং ভূমিকম্প হয়।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে বন্যা-ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭
১ বছর আগে
ফিলিপাইনে টাইফুনের আঘাতে ৫ উদ্ধারকর্মী নিহত
প্রবল শক্তি সঞ্চার করে টাইফুন নোরু রবিবার ফিলিপাইনে আঘাত হেনেছে। এতে পাঁচজন উদ্ধারকর্মী নিহত হয়েছেন বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তারা জানান, এই বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুনটি রবিবার রাতে কুইজন প্রদেশের বার্দিওস শহরে উপকূলে আঘাত হানে। তারপর এটি প্রধান দ্বীপ লুজন শহরে ওপর দিয়ে বয়ে যেতে থাকে, সেখানে থাকা হাজার হাজার বাসিন্দাদেরকে জরুরিভাবে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে টাইফুন ‘রাই’য়ের তাণ্ডবে নিহত বেড়ে ২০৮
ম্যানিলার উত্তরে বুলাকান প্রদেশের গভর্নর ড্যানিয়েল ফার্নান্দো বলেছেন, বন্যার পানিতে আটকে পড়া বাসিন্দাদের সাহায্য করতে নৌকা নিয়ে পাঁচজন কর্মী উদ্ধার অভিযানে গেলে পানিতে ডুবে তারা মারা যান।
ফার্নান্দো ডিজেডএমএম রেডিও নেটওয়ার্ককে জানিয়েছেন, তারা হচ্ছেন জীবন্ত নায়ক, এই দুর্যোগের মধ্যে আমাদের দেশবাসীর জীবন বাঁচাতে সাহায্য তারা করছেন। ‘সত্যি এটা খুবই দুঃখজনক।’
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্ব কুইজন প্রদেশের পলিলো দ্বীপে একজন ব্যক্তি তার বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে ঝড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৭, নিখোঁজ ১১০
জোয়ারভাটা, বন্যা এবং ভূমিধসের অতিমাত্রায় ঝুঁকিতে থাকা শুধুমাত্র কুইজোন প্রদেশ থেকে ১৭ হাজার বেশি মানুষকে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
মেট্রোপলিটন ম্যানিলায় তিন হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে, সেখানে সারারাত প্রচণ্ড বাতাস এবং বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সোমবার রাজধানী ম্যানিলাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস ও সরকারি কাজকর্ম বন্ধ ছিল এবং সকালের আকাশ রৌদ্রোজ্জ্বল হলেও সতর্কতা হিসেবে প্রদেশগুলোতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে টাইফুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০০ এর কাছাকাছি
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস টাইফুন আঘাত হানার আগে সতর্কতা হিসেবে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার জন্য কর্মকর্তাদের প্রশংসা করেছেন।
২ বছর আগে
ফিলিপাইনে টাইফুন ‘রাই’য়ের তাণ্ডবে নিহত বেড়ে ২০৮
ফিলিপাইনে শক্তিশালী টাইফুন ‘রাই’য়ের আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০৮ জনে পৌঁছেছে। সেই সঙ্গে দেশটির কয়েকটি প্রদেশে আরও কমপক্ষে ৫২ জন এখনও নিখোঁজ এবং ২৩৯ জন আহত হয়েছে।
টাইফুনের আঘাতে বেশকিছু রাজ্য বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এসব স্থানের অধিবাসীরা খাদ্য ও নিরাপদ পানির অভাবে ভুগছে।
শুক্রবার দক্ষিণ চীন সাগরে উৎপত্তি হওয়া বিধ্বংসী টাইফুন ‘রাই’ ঘন্টায় ১৯৫ কিমি. গতিতে ফিলিপাইন উপকূলে আঘাত হানে। এসময় গাছপালা, বিভিন্ন স্থাপনা ও ভূমিধ্বসে অনেক মানুষ মারা যান। পানি নেমে যাওয়ার পর ৫৭ বছর বয়সী একজন মানুষের লাশ গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এছাড়া ঝোড়ো বাতাস এক নারীকে উড়িয়ে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে টাইফুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০০ এর কাছাকাছি
দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় দিনঘাট দ্বীপের গভর্নর আর্লেন বাগ-আও জানান, টাইফুন রাই তার অঞ্চলে ২০১৩ সালের নভেম্বরে আঘাত হানা সর্বকালের রেকর্ড পরিমান ধ্বংস চালানো টাইফুন হাইয়ানের চেয়েও বেশি ধ্বংসলীলা চালিয়েছে।
তিনি আরও জানান, তার গ্রামের ১৪ জন মারা গেছেন এবং কমপক্ষে ১০০ জন ঘরের চাল, কাঁচ, কাঠ পড়ে আহত হয়েছেন। টাইফুনে স্থানীয় হাসপাতালগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আহতদের চিকিৎসা সেবা দিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।
টাইফুন রাইয়ের তাণ্ডবে অন্তত সাত লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে কমপক্ষে চার লাখ মানুষকে তাদের বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় আটকে পড়া হাজার হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে দেশটির জরুরি উদ্ধার সেবা কর্মীরা।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে টাইফুনের আঘাতে ১৯ জনের মৃত্যু
ফিলিপাইনে বিমান বিধ্বস্ত, ৪২ সেনাসদস্য নিহত
২ বছর আগে
ফিলিপাইনে টাইফুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০০ এর কাছাকাছি
ফিলিপাইনে শক্তিশালী টাইফুন ‘রাই’ এর আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০০ জনের কাছাকাছি পৌঁছেছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বোহোল প্রদেশের গভর্নর আর্থার ইয়াপ বলেছেন, তার এলাকায় অন্তত ৪৯ জনের প্রাণহানি নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া প্রদেশের বিভিন্ন শহরের মেয়ররা ১০ জন নিখোঁজ এবং ১৩ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এখনও তার অঞ্চলের অনেক মেয়রের সাথে তারা যোগাযোগ করতে পারেননি। ফলে মৃতের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে টাইফুনের আঘাতে ১৯ জনের মৃত্যু
রবিবার সকালে প্রদেশের মেয়র ইয়াপ ফেসবুক পোস্টে এক বিবৃতিতে বলেন, দ্রুত খাবার ও পানি সরবরাহের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে শনিবার দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ টাইফুনের কারণে পুরো প্রদেশে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং দেশটির কেন্দ্রে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনে আঘাত হানছে টাইফুন ‘ইন-ফা’, বহু ফ্লাইট বাতিল
কর্মকর্তারা বলছেন, পূর্ব অনুমোদিত ব্যবস্থা হিসেবে তিন লাখেরও বেশি মানুষকে আগে থেকেই নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়। এর ফলে অনেকের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তারা।
২ বছর আগে
ফিলিপাইনে টাইফুনের আঘাতে ১৯ জনের মৃত্যু
ফিলিপাইনে শক্তিশালী টাইফুন ‘রাই’ এর আঘাতে কমপক্ষে ১৯ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। তবে এ বিষয়ে তারা বিস্তারিত জানননি।
শুক্রবার রাতে টাইফুনটি দক্ষিণ ও মধ্য দ্বীপ প্রদেশের মধ্য দিয়ে তাণ্ডব চালিয়ে দক্ষিণ চীন সাগর অতিক্রম করেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, পূর্ব অনুমোদিত ব্যবস্থা হিসেবে তিন লাখেরও বেশি মানুষকে আগে থেকেই নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়। এর ফলে অনেকের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তারা।
শনিবার দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ টাইফুনের কারণে পুরো প্রদেশে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং দেশটির কেন্দ্রে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দেশটির জাতীয় পুলিশ ১৯ জনের মৃত্যুর কথা জানালেও সরকারের প্রধান দুর্যোগ সাড়াদান সংস্থা ১২ জনের কম মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন। নিহতদের বেশির ভাগই গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চীনে কয়লা খনিতে আটকে পড়া ২০ শ্রমিক উদ্ধার
জাপানে অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
২ বছর আগে