কলম্বো
এফএওর আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দিতে কলম্বো গেলেন কৃষিমন্ত্রী
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৩৭তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলনে (এপিআরসি ৩৭) যোগ দিতে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো গেলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কলম্বোর উদ্দেশে বিমানযোগে রওনা দেন তিনি।
প্রতিনিধি দলে তার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মাহমুদুর রহমান এবং এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি।
আরও পড়ুন: বাজার ব্যবস্থাপনায় আমরা খুব গুরুত্ব দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী
৪ দিনব্যাপী এই আঞ্চলিক সম্মেলন শুরু হবে আগামীকাল ১৯ ফেব্রুয়ারি, আর শেষ হবে ২২ ফেব্রুয়ারি। সম্মেলনে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪০টির বেশি দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি, এফএওর মহাপরিচালক, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী, এনজিও ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
সম্মেলনে এ অঞ্চলের বর্তমান খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হবে।
সম্মেলন শেষে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালে এফএওর এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এ সম্মেলনের আয়োজক ছিল।
আরও পড়ুন: জিনোম সেন্টারকে কাজে লাগিয়ে পাটের উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
১০ মাস আগে
কলম্বোতে তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন
শ্রীলংকার কলম্বোতে শুরু হয়েছে তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব।
শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশটির ন্যাশনাল ফিল্ম কর্পোরেশনের মর্যাদাপূর্ণ থারাঙ্গানি থিয়েটারে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম।
শ্রীলঙ্কার বাংলাদেশ হাইকমিশন এ চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করেছে। যা ৮ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’ প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেক্ষাগৃহে আসছে আদর-প্রকৃতি জুটির ‘যন্ত্রণা’
এ সময় শ্রীলঙ্কার শতাধিক সিনেমাপ্রেমী প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাংলাদেশি সিনেমার স্বাদ উপভোগ করতে উপস্থিত হন।
থারাঙ্গানি থিয়েটার হলে উপস্থিত হন শ্রীলঙ্কার ধর্ম ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী ভীদুরাহ বিক্রমনায়ক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অধ্যাপক জি এল পেরিস, সাবেক মন্ত্রী পাটালি চম্পিকা রানাওয়াকা এবং কূটনৈতিক মিশনের প্রধানরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শ্রীলঙ্কার সিনেমার গোল্ডেন স্টার হিসেবে পরিচিত প্রখ্যাত অভিনেত্রী স্বর্ণা মাল্লাওয়ারাচ্চি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। উৎসবের কিউরেটর হিসেবে চলচ্চিত্র সমালোচক ও পরিচালক অনোমা রাজাকরুণা প্রদর্শনের আগে চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন।
তার স্বাগত ভাষণে তিনি সাম্প্রতিক সময়ে নতুন প্রজন্মের প্রতিভাবান চলচ্চিত্র পরিচালকদের হাত ধরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংস্কৃতির পুনরুত্থানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তারা অনেক আন্তর্জাতিক প্রশংসা বয়ে আনছেন।
হাইকমিশনার আরিফুল ইসলাম বলেন, এই ধরনের চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও জোরদার করবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সাদৃশ্যের কারণে শ্রীলঙ্কার দর্শকরা প্রদর্শনের জন্য নির্ধারিত সিনেমাগুলোর মর্মার্থ আরও গভীরভাবে অনুধাবন করতে পারবে।
আগামী দুই দিনে, আরও চারটি সমসাময়িক বাংলাদেশি সিনেমা প্রদর্শন করা হবে। এর মধ্যে ‘রাত জাগা ফুল’ ও ‘নোনা জলের কাব্য’ শনিবার (৭ অক্টোবর) একই ভেন্যুতে যথাক্রমে বিকাল সাড়ে ৩টা ও সন্ধ্যা ৬টায় প্রদর্শিত হবে এবং ‘দামাল’ ও ‘ন ডরাই’ প্রদর্শিত হবে ৮ অক্টোবর একই সময়ে।
এর আগে ২০১৪ সালের এপ্রিল ও ২০১৮ সালের মার্চে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। তারই সাফল্যের ধারাবাহিকতার উপর ভিত্তি করে এবার আবারও আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুফিয়া: চোখ আটকে গেল বাঁধনে
বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে টফি’র মিউজিক ভিডিওতে র্যাপার আলী হাসান
১ বছর আগে
এশিয়া কাপ: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বল করছে বাংলাদেশ
কলম্বোয় এশিয়া কাপের সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে বল করছে বাংলাদেশ।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এক উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা ৬ ওভারে ৩৫ রান করেছে। দিমুথ করুনারত্নের উইকেটটি নিয়েছেন হাসান মাহমুদ।
গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কার কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ।
লাহোরে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরেছিল বাংলাদেশ।
আফিফ হোসেনের পরিবর্তে নাসুম আহমেদকে দলে নিয়ে প্রথম একাদশে পরিবর্তন এনেছে এবং জয়ের লক্ষ্য নিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে টাইগাররা।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ: পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯৩ রান করেছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ একাদশ
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাঈম, লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও নাসুম আহমেদ
শ্রীলঙ্কা একাদশ
পাতুম নিসাঙ্কা, দিমুথ করুনারত্নে, কুশল মেন্ডিস (উইকেটকিপার), সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিত আসালাঙ্কা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), দুনিথ ভেল্লালাগে, মহীশ তিকসানা, কাসুন রাজিতা ও মাতিশা পাতিরানা
আরও পড়ুন: হতাশাজনক ব্যাটিংয়ের পর বাংলাদেশের বড় পরাজয়
বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপ ২০২৩ ম্যাচের লাইভ স্ট্রিমিং: যেভাবে দেখা যাবে লাইভ স্ট্রিমিং, সম্ভাব্য একাদশ
১ বছর আগে
কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
বৃহস্পতিবার কলম্বোর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন বলে একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, সেখানে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে ও প্রধানমন্ত্রী দীনেশ গুনাবর্ধনের পৃষ্ঠপোষকতায় ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টায় গাল ফেস গ্রিনে জাতীয় স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের মূল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে ন্যূনতম খরচে গর্বের সঙ্গে এবং আগামী ২৫ বছরের জন্য নতুন সংস্কারমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের নির্দেশনা দিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলম্বোতে অবস্থানকালে শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী সাবরির সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রিয়াদকে বাকিতে অপরিশোধিত বা পরিশোধিত তেল দেয়ার আহ্বান ঢাকার
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. বিমলা রাই পাউদিয়ালও এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অংশ হিসাবে, ২ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেশ কয়েকটি প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেকে উদ্ধৃত করে শ্রীলঙ্কার গণমাধ্যম জানিয়েছে, ‘আমাদের অবশ্যই ৭৫তম স্বাধীনতা বার্ষিকী উদযাপন করতে হবে; অন্যথায়, বিশ্ব বলবে যে আমরা এমনকি আমাদের স্বাধীনতা উদযাপন করতে সক্ষম নই। একইভাবে আমাদের দেশে পর্যটক ও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে হবে। আমাদের দেশের একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে হবে। অতএব, আসুন আমরা আমাদের ব্যয় হ্রাস করি এবং আমাদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করি।’
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালকে বাংলাদেশ-দ.কোরিয়া সম্পর্কের মাইলফলক বছর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই: রাষ্ট্রদূত
১ বছর আগে
শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে দেশে ফিরেছেন
দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার প্রায় সাত সপ্তাহ পর শ্রীলঙ্কায় ফিরেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।
শুক্রবার মধ্যরাতে ব্যাংকক থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে কলম্বোর বন্দরনায়েকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন রাজাপাকসে। এসময় তার দলের আইনপ্রণেতারা তাকে স্বাগত জানান। এরপর সেনা সদস্যদের কড়া পাহারায় তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করেন এবং রাজধানী কলম্বোর কেন্দ্রে সাবেক প্রেসিডেন্টের জন্য বরাদ্দ একটি সরকারি মালিকানাধীন বাড়িতে পৌঁছান।
এর আগে ১৩ জুলাই দেশটিতে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে বিক্ষেোভের মুখে স্ত্রী এবং দুই দেহরক্ষী নিয়ে বিমানবাহিনীর একটি বিমানে করে মালদ্বীপে পালিয়ে যান। সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেন, এর দুই সপ্তাহ পর তিনি থাইল্যান্ডে যান।
শ্রীলঙ্কায় গুরুতর অর্থনৈতিক সঙ্কট বিরাজ করছে। দেশটির ২২ মিলিয়ন মানুষ ওষুধ, জ্বালানি ও খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবের সঙ্গে লড়াই করছে। গত দুই দশকের বেশির ভাগ সময় ধরে দেশ শাসনকারী রাজাপাকসে রাজনৈতিক রাজবংশের বিরুদ্ধে কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভের মধ্যে রাজাপাকসে এবং তার ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগে বাধ্য হন।
মহামারি এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের মতো বৈশ্বিক কারণে দেশটির পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। তবে অনেকে এক সময়ের ক্ষমতাশালী রাজাপাকসে পরিবারকে অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে অব্যবস্থাপনা করার জন্য এবং এটিকে সঙ্কটে ফেলার জন্য দায়ী বলে মনে করে।
পড়ুন: গোতাবায়া রাজাপাকসেকে সিঙ্গাপুরে গ্রেপ্তারের দাবি মানবাধিকার সংগঠনের
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসের মিত্র দিনেশ গুণবর্ধন
শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভকারীদের ওপর বলপ্রয়োগ না করতে প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান
২ বছর আগে
কলম্বো বন্দরে বাংলাদেশি জাহাজের জন্য অগ্রাধিকারমূলক নোঙ্গরের সুবিধা
শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরে দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জয়া কনটেইনার টার্মিনালে বাংলাদেশি ফিডার ভেসেলকে অগ্রাধিকারমূলক নোঙ্গরের সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শুক্রবার পাওয়া এক তথ্যে জানা যায়, শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের (এসএলপিএ) চেয়ারম্যান প্রশান্ত জয়মান্না সম্প্রতি কলম্বোতে একটি আলোচনায় এই ঘোষণা দেন।
তিনি কলম্বো বন্দরের বর্তমান সুবিধার পাশাপাশি ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে বাংলাদেশকে অবহিত করেন।
বাংলাদেশ হাইকমিশন দীর্ঘদিন ধরে এসএলপিএ-র সঙ্গে এই অগ্রাধিকার বার্থিং ইস্যু নিয়ে আলোচনা করছে।
শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশ হাইকমিশন সম্প্রতি প্রথম অর্থনৈতিক কূটনীতি সপ্তাহ পালনের জন্য চট্টগ্রাম ও কলম্বো বন্দরের মধ্যে শিপিং যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়ে অংশীজনদের নিয়ে একটি পরামর্শ ফোরামের আয়োজন করে।
এর উদ্দেশ্য ছিল চট্টগ্রাম ও কলম্বো বন্দরগুলোর মধ্যে কাজ করতে গিয়ে সৃষ্ট সমস্যাগুলো বোঝার সুবিধা ও বৃহত্তর সংযোগ এবং সরবরাহ শৃঙ্খল সুরক্ষা। এছাড়া দুটি বন্দরের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করাও এর অন্যতম উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ড-বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০ বছর: পানির গল্প নিয়ে ‘বই’ উন্মোচন
এসময় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা, টার্মিনাল অপারেটর, মেইন লাইন অপারেটর, ফিডার অপারেটর, মালবাহী ফরওয়ার্ডার এবং পাশাপাশি দুটি বন্দরের ব্যবহারকারীরা তাদের নিজ নিজ মতামত ব্যক্ত করেন।
শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক মো. আরিফুল ইসলাম বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং কলম্বো বন্দরের সম্ভাবনার কথা আলোচনা করেন।
তিনি মহামারি ও যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক লজিস্টিক অপারেশনে পরিবর্তন এবং কলম্বো বন্দর থেকে সম্ভাব্য প্রণোদনার প্রস্তাবের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেছেন।
কলম্বোস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, এসএলপিএর চেয়ারম্যান, প্রাইভেট টার্মিনাল অপারেটর এবং শ্রীলঙ্কার শিপিং কমিউনিটি বাংলাদেশ ব্যবহারকারীদের অব্যাহত অগ্রাধিকার দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
কলম্বো বন্দর নিয়ে সাম্প্রতিক নেতিবাচক মিডিয়া প্রতিবেদনের উল্লেখ করে তারা স্পষ্ট জানায়, দেশের সংকট পরিস্থিতির দ্বারা তাদের বন্দরের কার্যক্রম প্রভাবিত হয়নি।
উভয় পক্ষই দুই দেশের সকল অংশীজনের মধ্যে রিয়েল টাইম যোগাযোগের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি জানান, গত বছর কলম্বো বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের কনটেইনার যাতায়াত উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
বাংলাদেশের অংশীজনদের প্রতিনিধিরা কলম্বো বন্দর সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের দৃষ্টিভঙ্গি, শিপিং অপারেশনে উদীয়মান প্রবণতা এবং চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
পরবর্তী ইন্টারেক্টিভ সেশনে দুইপক্ষের প্যানেলিস্টরা অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
এতে শ্রীলঙ্কার শিপিং সম্প্রদায়ের সিনিয়র প্রতিনিধিরা সরাসরি উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কর্ণফুলী গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং এইচআর লাইনস আনিস উদ দৌলা, মোহাম্মদী গ্রুপের হেড অব অপারেশন অ্যান্ড মার্কেটিং এবং ডিএসভি লজিস্টিকসের কান্ট্রি হেড জুমলিংকের মাধ্যমে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: লিসবনে জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলনে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাজ্যকে এক লাখ রোহিঙ্গার পুনর্বাসনের অনুরোধ ঢাকার
২ বছর আগে
শ্রীলঙ্কায় কারফিউ উপেক্ষা করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত
শ্রীলঙ্কায় দেশব্যাপী কারফিউ উপেক্ষা করে কয়েক শতাধিক বিক্ষোভকারী মঙ্গলবারও সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।
দেশটি কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে।
প্রতিবাদকারীরা বিক্ষোভের ৩২তম দিনে দেশটির রাজধানী কলম্বোতে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের কার্যালয়ের প্রবেশপথে ভাইয়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাকে পদত্যাগের দাবি জানান।
সোমবার রাতে জারি করা একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করছে দেশটির সরকার।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের পদত্যাগ
বিক্ষোভকারীদের একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার চামাথ বোগাহাওয়াট্টা বলেছেন, ‘আমাদের উত্তেজিত করতে সরকার খুব ঘৃণ্য কিছু কাজ করেছে। আমি মনে করি না জনগন সেনাবাহিনীর সাহায্যে শাসন করার প্রচেষ্টাকে সহ্য করবে।’
তিনি বলেন, তারা কতদিন কারফিউ দিয়ে দেশ শাসন করবে?
সোমবার রাতে ক্ষমতাসীন দলের একজন সংসদ সদস্যসহ অন্তত চারজন নিহত এবং প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনায় দেশটির কর্তৃপক্ষ দেশের অনেক জায়গায় সশস্ত্র সেনা মোতায়েন করেছে এবং বুধবার পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছে।
আরও পড়ুন: কিউবার পাঁচ তারকা হোটেলে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৩১
২ বছর আগে
শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নিহত ১, আহত ১৩
গভীর অর্থনৈতিক সঙ্কটের জেরে কয়েক সপ্তাহে ধরে শ্রীলঙ্কায় চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভে প্রথমবারের মতো গুলিয়ে চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তেলের তীব্র ঘাটতি এবং উচ্চ মূল্যের প্রতিবাদে মঙ্গলবার এই বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে একজন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ১৫ জন পুলিশ সদস্যকে সামান্য আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের মুখপাত্র নিহাল তালদুওয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, রাজধানী কলম্বো থেকে ৯০ কিলোমিটার (৫৫ মাইল) উত্তর-পূর্বে রামবুক্কানায় বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ গুলি চালিয়েছে এবং পরে তারা ওই এলাকায় কারফিউ ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীরা রেলওয়ে এবং রাস্তা অবরোধ করেছিল এবং ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশের সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেছিল। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করেছে।
পড়ুন: প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কমাতে শ্রীলঙ্কার সংবিধান পরিবর্তন
কেগালে সরকারি হাসপাতালের ডা. মিহিরি প্রিয়াঙ্গানি বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ১৪ জনকে সেখানে আনা হয়েছিল এবং একজন মারা গেছে। অন্য তিনজনের অস্ত্রোপচার হয়েছে এবং তাদের পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া কিছু পুলিশ সদস্যরা সামান্য আঘাত পেয়েছেন, সম্ভবত এটি পাথরের আঘাতে হয়েছে ।
বিদেশি রিজার্ভ তলানিতে এবং ২৫ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণে জর্জরিত দেশটি এখন দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে।
এদিকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জুলি চুং এবং জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী হানা সিঙ্গার-হামডি সহিংসতার ঘটনায় সব পক্ষকে সংযমের আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া তিনি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের জনগণের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
পড়ুন: বিদেশি ঋণ পরিশোধ স্থগিত করেছে শ্রীলঙ্কা
২ বছর আগে
সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কলম্বোতে বিমসটেক সনদ স্বাক্ষরিত
মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের জন্য বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভের (বিমসটেক) নেতারা বিমসটেক সনদে স্বাক্ষর করেছেন।
বুধবার শ্রীলঙ্কার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত পঞ্চম শীর্ষ সম্মেলনে সংস্থার কার্যক্রমকে আরও কাঠামোগত ও নিয়ম ভিত্তিক করতে সনদে স্বাক্ষর করে সংস্থার অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভুটান, নেপাল, থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমারের অন্যান্য বিমসটেক নেতারা ভার্চুয়ালি শ্রীলঙ্কার আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বিমসটেক নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ফৌজদারি বিষয়ে পারস্পরিক আইনি সহায়তা সংক্রান্ত বিমসটেক কনভেনশনে বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিচারমন্ত্রী বা তাদের মনোনীতরা স্বাক্ষর করেছেন।
শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে বিমসটেক টেকনোলজি ট্রান্সফার ফ্যাসিলিটি (টিটিএফ) প্রতিষ্ঠার বিষয়ে মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন (এমওএ) বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রী বা মনোনীত স্বাক্ষরকারীদের দ্বারা স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
২ বছর আগে
বিমসটেক নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের সাতটি দেশের জনগণের সুবিধার্থে এই অঞ্চলের পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বিমসটেক নেতাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে পঞ্চম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি ভাষণ দেয়ার সময় তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলের সম্পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে টেকসই ও স্থিতিস্থাপক বঙ্গোপসাগর অঞ্চল পুনর্গঠনের জন্য আমাদের সর্বজনীন কৌশল খুঁজে বের করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সম্মেলন সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করার এবং একাধিক চ্যালেঞ্জের অভিন্ন সমাধান খুঁজে বের করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: উপজেলায় দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড নিয়ে গঠিত বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক)।
পণ্ঞ্চম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনটি আয়োজন করছে শ্রীলঙ্কা। এবারের সম্মেলনে একটি স্থিতিস্থাপক অঞ্চল, সমৃদ্ধ অর্থনীতি ও জনগণের সুস্বাস্থের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলের বিশাল জনসংখ্যা ‘শুধু চ্যালেঞ্জই নয়, একটি সুযোগও।’
আরও পড়ুন: শত্রুর আক্রমণ থেকে দেশ রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, এই শীর্ষ সম্মেলন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে বিশ্ব অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিশেষ করে বিমসটেকের মতো দেশগুলোর জনগনের জীবন-জীবিকা কঠিন হয়ে উঠতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকেই আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিবেশিদের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতার স্বপ্ন দেখেছিলেন।
২ বছর আগে