শিনজো আবে
শিনজো আবে বাংলাদেশের খাঁটি বন্ধু ছিলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বাংলাদেশের খাঁটি বন্ধু ছিলেন। আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তির পক্ষে অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘শিনজো আবের আকস্মিক মৃত্যুতে সারা বিশ্বের ২৫৯টি দেশ ও সংস্থার পক্ষ থেকে ১ হাজার ৭ শতাধিক শোকবার্তা প্রাপ্তি প্রমাণ করে-শিনজো আবে শুধু জাপানের একজন প্রথিতযশা নেতা নয়, বরং তিনি সারা বিশ্বের একজন বরেণ্য ব্যক্তিত্ব।’
বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট অডিটরিয়ামে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের স্মরণে আয়োজিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে আশার বাণী শুনালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শিনজো আবের আকস্মিক মৃত্যুতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রেরিত শোকবার্তার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোকবার্তায় বলেছেন-শিনজো আবের মতো একজন রাষ্ট্রনায়কের মৃত্যু শুধু জাপানের জন্য ক্ষতি নয়, বরং তার নেতৃত্ব, চিন্তা, স্বপ্ন ও প্রজ্ঞা থেকে সারা বিশ্ব বঞ্চিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত শিনজো আবের স্ত্রী আকি আবের নিকট প্রেরিত শোকবার্তায়ও বলেছেন-শিনজো আবে বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু ছিলেন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদা অর্জনের প্রচেষ্টায় তিনি অবিচল সহযোগী ছিলেন।’
ড. মোমেন বলেন, শিনজো আবের এই অসময়ে চলে যাওয়ায় বিশ্ব একজন অসাধারণ ও দূরদর্শী নেতাকে হারিয়েছে।
বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ভূমিকা ও সহযোগিতার কথা তুলে ধরে ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের জনগণ শিনজো আবেকে বিশেষভাবে মনে রাখবে। তার মৃত্যুতে গত ৯ জুলাই একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনসহ গত ২৫ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সভায় এবং গত ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করে এই অকৃত্রিম বন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারকে সতর্ক করেছে সরকার: মর্টার শেল ছোড়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন, প্রয়াত শিনজো আবের স্বজনদের প্রতিও গভীর সমবেদনা জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ ও ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: আখতারুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
অন্যান্যের মধ্যে জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সভাপতি আসিফ এ চৌধুরী, কাজুকো ভূঁইয়া ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রাস্টি তারেক রাফি ভূঁইয়া, জাপানিজ ইউনিভার্সিটিজ এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকল ইম্পোর্টার্স এন্ড ডিলার্স এসোসিয়েশনের (বারভিডা) উপদেষ্টা আব্দুল হক, বাংলাদেশ ইকিবানা এসোসিয়েশনের সভাপতি মিসেস শাহিনুর বেবী বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পরিচয়পত্র উপস্থাপন করেছেন ইউএনডিপির নতুন আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলার
২ বছর আগে
মন্ত্রিপরিষদের সভায় জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবের প্রতি শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা
জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সবসময় বাংলাদেশের পাশে ছিলেন এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারি না শিনজো আবের মতো এত ভালো ব্যক্তি কেন আক্রমণের শিকার হন এবং তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।’
সোমবার মন্ত্রিপরিষদের এক সভায় শিনজো আবের ওপর এক শোক প্রস্তাব আলোচনায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আবের মৃত্যু: পুলিশের নিরাপত্তাকে দায়ী করলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী
সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ক্যাবিনেট রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
আবেকে অত্যন্ত সংবেদনশীল, দেশপ্রেমিক ও প্রকৃত রাজনীতিবিদ বলে অভিহিত করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো কল্পনাও করতে পারেনি জাপানের মতো দেশে এ রকম নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটবে।
আবের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: আবের মৃত্যুর পরও জাপানের ক্ষমতাসীন দলের বিপুল জয়
গত ৮ জুলাই জাপানের নারা শহরে একটি প্রচারণা সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আবে।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করে এবং বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আবের জন্য প্রার্থনা করে।
জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী আবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের প্রতি তার সমর্থন জানিয়েছেন বলে স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
‘জাপানের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিনজো আবে বাংলাদেশের উন্নয়নের পাশে দাঁড়িয়েছেন’, যোগ করেন তিনি।
২ বছর আগে
আবের মৃত্যু: পুলিশের নিরাপত্তাকে দায়ী করলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মৃত্যুর জন্য বৃহস্পতিবার অপর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তাকে দায়ী করেছেন দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।
৬৭ বছর বয়সী জাপানের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ শিনজো আবে গত শুক্রবার দক্ষিণ জাপানে নির্বাচনী প্রচারণার বক্তৃতা দেয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশ হিসেবে পরিচিত আবের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা জাপানের জনগণসহ পুরো বিশ্বকে হতবাক করেছে। গুলি চালানোর ছবি এবং ভিডিওতে দেখা গেছে, বন্দুকধারী আবের কাছাকাছি গিয়ে গুলি চালিয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। পুলিশ এবং গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তদন্তকারীদের বলছেন যে, আবে এবং সন্দেহভাজন একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে একটি গুজব সংযোগের কারণে ওই ব্যক্তি সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করেছেন।
পড়ুন: শিনজো আবের হত্যাকাণ্ড: নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন
কিশিদার জয়, জাপানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে শিনজো আবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বিস্তৃত সম্পর্ক উন্নয়নে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর এবং ঢাকায় আবের সফরের কথা স্মরণ করে মোমেন বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত উষ্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছি। যার মাধ্যমে বাংলাদেশে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে জাপানকে এগিয়ে আসতে সাহায্য করেছে।‘
মঙ্গলবার ঢাকায় জাপান দূতাবাসে শোক বইতে স্বাক্ষর করার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: শিনজো আবের হত্যাকাণ্ড: নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন
আব্দুল মোমেন বলেন, এটা অবিশ্বাস্য, বিশেষ করে জাপানের মতো দেশে যেখানে কঠোরভাবে আইন অনুসরণ করা হয়। আমরা গভীরভাবে মর্মাহত।
শনিবার দেশে জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয়েছে।
সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো আবের স্মরণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখেছে এদিন।
আবের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকায় জাপান দূতাবাস জানিয়েছে,জাপানের জনগণ বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের গভীর সমবেদনাকে আন্তরিকভাবে উপলব্ধি করে।
আরও পড়ুন: গুলিবিদ্ধ শিনজো আবে মারা গেছেন
২ বছর আগে
শিনজো আবের শেষকৃত্য আজ
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের শেষকৃত্য উপলক্ষ্যে বিদায় জানাতে মঙ্গলবার কয়েক হাজার মানুষ তার বাসভবনের সামনে জড়ো হয়েছেন।
শোকার্ত নাগরিকেরা আবের মৃতদেহ বহনকারী মোটরগাড়ির ছবি তুলে, ‘আবে সান’ বলে স্লোগান দিয়ে ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রিয় নেতাকে বিদায় জানান।
এর আগে সোমবার রাতে টোকিওর জোজোজি মন্দিরে আবের জন্য রাত জাগেন পরিবারের ঘনিষ্ঠ কিছু মানুষ, দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং দলের সিনিয়র নেতারা।
দেশটির সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী দায়িত্ব পালন করা প্রধানমন্ত্রী আবে দুই বছর আগে পদত্যাগ করার পরেও দেশটির প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিনজো আবের হত্যাকাণ্ড: নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন
২ বছর আগে
কিশিদার জয়, জাপানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সাথে সোমবার টোকিওতে সাক্ষাত করেছেন দেশটিতে সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
এর আগে রবিবার সংসদীয় নির্বাচনে জাপানের ক্ষমতাসীন দল এবং তার জোট শরীকরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করে, যা সদ্য প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে হত্যার পর অর্থপূর্ণ ছিল।
সাক্ষাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নেতা শিনজো আবের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন এবং একটি শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় জোটের আশ্বাস দিয়েছেন।
শিনজো আবের গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ জোটভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে ছিলেন।
সাক্ষাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের একটি চিঠি আবের পরিবারকে হস্তান্তর করেন ব্লিঙ্কেন।
এসময় ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমরা তাদের জানাতে চাই যে ব্যক্তিগত পর্যায়েও আমরা গভীরভাবে ক্ষতি অনুভব করি। আমি এখানে এসেছি কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান মিত্রের চেয়ে বেশি -আমরা বন্ধু।’
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের মধ্যে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার জন্য আবের অবদান সবার চেয়ে বেশি।
ব্লিঙ্কেন হলেন আবের মৃত্যুর পর জাপানে যাওয়া সবচেয়ে সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা।
আবের মৃত্যু পর রবিবারের ভোটে একটি নতুন অর্থ বহন করে, যেখানে জাপানের সমস্ত রাজনৈতিক নেতা বাকস্বাধীনতার গুরুত্ব এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে গণতন্ত্র রক্ষার ওপর জোর দেন।
কিশিদা নির্বাচনকে অত্যন্ত অর্থবহ বলে অভিহিত করে বলেছেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
নির্বাচনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং এর জুনিয়র কোয়ালিশন পার্টনার কোমেইটো কম শক্তিশালী উচ্চ কক্ষের অর্ধেক আসনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ ২৪৮ সিটের নির্বাচনে তাদের সম্মিলিত অংশ ১৪৬-এ উন্নীত করেছে।
প্রসঙ্গত, ৬৭ বছর বয়সী শিনজো আবে দক্ষিণ জাপানে নির্বাচনী প্রচারণার বক্তৃতা দেয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
গুলিবিদ্ধ আবে তাৎক্ষণিকভাবে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি মারা যান।
জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ওপর হামলা পুরো বিশ্বকে হতবাক করেছে।
পড়ুন: শিনজো আবের হত্যাকাণ্ড: নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন
আবের মৃত্যুর পরও জাপানের ক্ষমতাসীন দলের বিপুল জয়
২ বছর আগে
আবের মৃত্যুর পরও জাপানের ক্ষমতাসীন দলের বিপুল জয়
জাপানের ক্ষমতাসীন দল এবং তার জোট শরীকরা রবিবার সংসদীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে যা সদ্য প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে হত্যার পর অর্থপূর্ণ ছিল।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং এর জুনিয়র কোয়ালিশন পার্টনার কোমেইটো কম শক্তিশালী উচ্চ কক্ষের অর্ধেক আসনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ ২৪৮ সিটের নির্বাচনে তাদের সম্মিলিত অংশ ১৪৬-এ উন্নীত করেছে।
এর ফলে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ২০২৫ সালের একটি নির্ধারিত নির্বাচন পর্যন্ত বাধা ছাড়াই দেশটি শাসন করতে পারবেন।
এটি কিশিদাকে দীর্ঘমেয়াদী নীতি যেমন জাতীয় নিরাপত্তা, তার স্বাক্ষর কিন্তু এখনও অস্পষ্ট ‘নতুন পুঁজিবাদ’অর্থনৈতিক নীতি এবং মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র যা তৈরি করেছে তার দলের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন যুদ্ধোত্তর শান্তিবাদী সংবিধান সংশোধন করার জন্য করার অনুমতি দেবে।
কিশিদা বড় জয়কে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে আবেকে হারানো এবং তাকে ছাড়া তার দলকে ঐক্যবদ্ধ করা কঠিন কাজ বলে মনে করেন।
রবিবার শেষ দিকে গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে কিশিদা পুনর্ব্যক্ত করেন, ‘দলীয় ঐক্য অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর প্রভাব, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ এবং দাম বৃদ্ধি তার অগ্রাধিকার হবে।
কিশিদা জানান, তিনি জাপানের জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি সাংবিধানিক সংশোধনের জন্যও চাপ অব্যাহত রাখবেন।
পড়ুন: জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
শিনজো আবের হত্যাকাণ্ড: নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন
২ বছর আগে
শিনজো আবের হত্যাকাণ্ড: নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মৃত্যুর পর তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকেও বিষয়টি স্বীকার করা হয়েছে।
আবে হত্যাকাণ্ডের কেন্দ্রস্থল জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় নারা শহরের পুলিশ কর্মকর্তা তোমোকি ওনিযুকা জানান, আবের হত্যাকাণ্ড তার ২৭ বছরের চাকরিজীবনে ‘সবচেয়ে বড় অনুশোচনা’।
তিনি বলেন, ‘আমি অস্বীকার করতে পারি না যে, আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিল। সমস্যাটি ব্যবস্থাপনা, জরুরি পরিষেবা প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত নাকি কোনো ব্যক্তি বিশেষের ব্যর্থতা; সেটি আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। সর্বোপরি, সেখানে একটি সমস্যা ছিল এবং আমরা প্রতিটি জায়গা থেকে তা মূল্যায়ন করব।’
গত শুক্রবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন শিনজো আবে। এ ঘটনায় তেতসুয়া ইয়ামাগামি নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরপর হত্যাকারীর বাসায় অভিযান চালিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত হাতে তৈরি বন্দুকের মতো আরও কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: শিনজো আবেকে গুলি করে হত্যা, বিশ্বনেতাদের নিন্দা
জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক জানান, তিনি একটি বিশেষ কারণে আবের ওপর অসন্তুষ্ট ছিলেন।
গুলি চালানোর ভিডিওতে দেখা গেছে, শিনজো আবে যে জায়গায় অবস্থান করছিলেন ইয়ামাগামি তার পেছনে এসে পৌঁছেছিলেন।
এ বিষয়ে রাজধানী টোকিওর পুলিশের একজন সাবেক কর্মকর্তা ফুমিকাজু হিগুচি বলেন, ফুটেজগুলো দেখে বোঝা যায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জন্য সেখানে থাকা নিরাপত্তা অপর্যাপ্ত ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি তদন্ত করা প্রয়োজন যে, কিভাবে ইয়ামাগামি এত সহজে সেখানে গেল এবং আবের পেছনে পৌছল।’
নিহন ইউনিভার্সিটির ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক মিতসুরু ফুকুদা বলেন, ‘মনে হচ্ছে, পেছনে কি হচ্ছে সেটার চেয়ে পুলিশ সামনের দিকে বেশি নজর দিয়েছিল এবং সন্দেহবাজন ব্যক্তিকে সামনে আসতে কেউ বাঁধা দেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, স্পষ্টভাবে সেখানে (নিরাপত্তা ব্যবস্থায়) ত্রুটি ছিল।
ওই অনুষ্ঠানের ভিডিওতে দেখা যায়, শিনজো আবের থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরত্বে ছিলেন ইয়ামাগামি।
জাপানে এ ধরনের রাজনৈতিক হত্যার ইতিহাস নেই বললেই চলে। দেশটিতে বন্দুক আইন বেশ কড়া। এছাড়া বন্দুকসংশ্লিষ্ট হামলায় নিহতের ঘটনাও বেশ কম। এসব কারণে শিনজো আবের হত্যাকাণ্ড দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে নতুন করে ভাবাচ্ছে।
আরও পড়ুন: শিনজো আবের মৃত্যুতে জাতীয় শোক ঘোষণা ভারতে
গুলিবিদ্ধ শিনজো আবে মারা গেছেন
২ বছর আগে
শিনজো আবে ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু: জিএম কাদের
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ছিলেন বাংলাদেশের একজন অকৃত্রিম বন্ধু।’
জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, আবের নেতৃত্বে জাপান বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হয়ে উঠেছিল।
সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেন, বাংলাদেশের এমন একজন অকৃত্রিম বন্ধুর মৃত্যুর সংবাদ মেনে নেয়া যায় না।
তিনি জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার নিন্দা জানান।
জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
তিনি জাপানের শোকসন্তপ্ত জনগণের প্রতিও সমবেদনা জানান।
এদিকে, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুও শিনজো আবের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার জাপানে এক প্রচারণায় বক্তব্য দেয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ৬৭ বছর বয়সী শিনজো আবে।
আবের ওপর হামলা ও তার পরবর্তী মৃত্যু গোটা বিশ্বকে শোকাহত করেছে।
শিনজো আবের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ আজ (৯ জুলাই) রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে।
পড়ুন: আবের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ
শিনজো আবেকে গুলি করে হত্যা, বিশ্বনেতাদের নিন্দা
২ বছর আগে
শিনজো আবের মৃত্যুতে শনিবার বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মৃত্যুতে শনিবার (৯ জুলাই) একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে বাংলাদেশ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
শোক দিবস পালনে সকল সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
শনিবার আবের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।
৬৭ বছর বয়সী শিনজো আবে দক্ষিণ জাপানে প্রচারণার বক্তৃতা দেয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
গুলিবিদ্ধ আবে তাৎক্ষণিকভাবে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি মারা যান।
জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ওপর হামলা পুরো বিশ্বকে হতবাক করেছে।
আরও পড়ুন: শিনজো আবের মৃত্যুতে জাতীয় শোক ঘোষণা ভারতে
গুলিবিদ্ধ শিনজো আবে মারা গেছেন
২ বছর আগে