গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
মিয়ানমারের সামরিক প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আহ্বান আইসিসির প্রসিকিউটরের
মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য মিয়ানমারের সামরিক শাসনের প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম এ এ খান এই আহ্বান জানান।
মিয়ানমারের নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চিকে ২০২১ সালে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা গ্রহণকারী জ্যেষ্ঠ জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের জন্য মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গণধর্ষণ, হত্যা ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগসহ জাতিগত নির্মূল অভিযান থেকে বাঁচতে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে আদালতের শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি শিগগিরই মিয়ানমারের নেতাদের বিরুদ্ধে আরও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির অনুরোধ করবেন।
বিট্রিশ এই ব্যরিস্টার বলেন, 'এর মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের সব অংশীদারদের সঙ্গে মিলে দেখাবো যে রোহিঙ্গাদের ভুলে যাওয়া হয়নি। বিশ্বের অন্য সব মানুষের মতো তাদেরও আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার রয়েছে।’
বিদ্রোহীদের হামলার জবাবে ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বিদ্রোহীদের দমনে অভিযান শুরু করে।
মিয়ানমার প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান মিন অং হ্লাইং তাতমাদাও নামে পরিচিত মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী এবং জাতীয় পুলিশকে রোহিঙ্গা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ‘রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনায় প্রত্যাশিত অগ্রগতি নেই’
খান বাংলাদেশে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। প্রধানত মুসলিম রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মিয়ানমার থেকে আসা। যারা শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে বসবাস করছেন। তাদের মধ্যে ২০১৭ সালেই পালিয়ে এসেছেন প্রায় ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা।
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা ব্যাপক বৈষম্যের শিকার। তাদের অধিকাংশকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের বাঙালির ট্যাগ দিয়ে তাদেরকে দেশের ১৩৫তম বৈধ জাতিগত সংখ্যালঘু হিসেবে হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে আসছে। দেশটির দাবি- তাদের (রোহিঙ্গা) জন্মভূমি বাংলাদেশে এবং তারা অবৈধভাবে মিয়ানমারে বসতি স্থাপন করেছে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। ইউক্রেন ও গাজার সংঘাতের বিষয়টি সামনে আসায় রোহিঙ্গাদের ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে মনোযোগ কমে গেছে।
যখন সাত বছর আগে সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নতুন করে নৃশংসতার ঘটনা ঘটছে। ঠিক তখনিই আইসিসির প্রসিকিউটরের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত এলো।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সিনিয়র আন্তর্জাতিক বিচার উপদেষ্টা মারিয়া এলেনা ভিগনোলি বলেন, 'নির্যাতন ও দায়মুক্তির চক্র ভাঙার ক্ষেত্রে আইসিসির সিদ্ধান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
আরও পড়ুন: আইসিসিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিচার চাইবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: প্রধান উপদেষ্টা
৩ সপ্তাহ আগে
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সাপেক্ষে হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এইমাত্র এটা জানতে পেরেছি। আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করব।’
তিনি বলেন, তাদের হাতে এক মাস সময় আছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’
একইসঙ্গে শেখ হাসিনাসহ ৪৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
২ মাস আগে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ২২৭ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার ৫ অভিযোগ
আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির করার আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত নৃশংসতার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাইবে বলে জানায় প্রসিকিউশন।
জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত গণহত্যা অপরাধের অভিযোগের বিচারের এখনও চলমান। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিবিড়ভাবে এই বিচার পর্যবেক্ষণ করছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা চাইলে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারেন: চিফ প্রসিকিউটর
২ মাস আগে
মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম বিএনপি নেতার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। জানা গেছে, এদিন মামলাটি সাফাই সাক্ষ্যের জন্য ধার্য ছিল।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে শাহজাহানপুর থানায় ৬ মামলা
এদিন মির্জা আব্বাস আদালতে উপস্থিত না হয়ে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
একই সঙ্গে মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর নিশ্চিত করেন।
২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেছিলেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালে আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: জেলে থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে: মির্জা আব্বাস
দুর্নীতি মামলায় স্ত্রীসহ মির্জা আব্বাসের জামিন
১ বছর আগে
পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেন আন্তর্জাতিক আদালত
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) শুক্রবার জানিয়েছেন, ইউক্রেন থেকে শিশুদের বেআইনিভাবে সরিয়ে নেয়ার অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আদালত এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইউক্রেনের অধিকৃত এলাকা থেকে শিশুদের অবৈধভাবে রুশ ফেডারেশনে স্থানান্তরের যুদ্ধাপরাধের জন্য পুতিন দায়ী, এমনটাই সন্দেহ করা হচ্ছে।
একই অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া আলেক্সেভনা লভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এই পদক্ষেপটিকে মস্কো তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং ইউক্রেন একটিকে বড় অগ্রগতি হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে। তবে এর ব্যবহারিক প্রভাব নগণ্য হতে পারে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে অনুশোচনা নেই পুতিনের
যদিও আদালত এর আগেও বিশ্ব নেতাদের নানা কারণে অভিযুক্ত করেছে, তবে এই প্রথম এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচস্থায়ী সদস্যের মধ্যে একটির রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করল।
আদালতের সভাপতি পিওতর হফম্যানস্কি এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, আইসিসির বিচারকরা পরোয়ানা জারি করলেও তা কার্যকর করার দায়িত্ব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য আদালতের নিজস্ব কোনো পুলিশ বাহিনী নেই।
তিনি বলেন, ‘আইসিসি আইন আদালত হিসেবে তার কাজ করছে। বিচারকরা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বাস্তবায়ন নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর।’
আরও পড়ুন: বিতর্ক এড়াতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না পুতিন
১ বছর আগে
এরফান সেলিমের জামিন বাতিল, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান নূরের আদালত এই আদেশ দেন।
এ দিন মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য থাকলেও ইরফান সেলিম আদালতে উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময় আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ১১ মামলা: হাজিরার জন্য ১৫ মে দিন ধার্য আদালতের
আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে ইরফান সেলিমসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
এছাড়া আগামী ৬ মার্চ সাক্ষগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
এদিকে তার আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় চার্জ শুনানি পেছানোর আবেদন করেন।
অপর চার আসামি হলেন- এরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, গাড়িচালক মিজানুর রহমান, মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দীপুও সহযোগী কাজী রিপন।
এদের মধ্যে জাহিদুল বর্তমানে কারাগারে আছেন। মিজানুর ও দীপু জামিনে আছেন এবং কাজী রিপন পলাতক।
জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর নৌ বাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা দেয়।
এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন।
তখন গাড়ি থেকে এরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন।
তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ ঘটনায় নৌ-কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: নীরব হত্যা: ৫ শিক্ষার্থীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
স্ত্রীর মামলায় ক্রিকেটার আল আমিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র
১ বছর আগে
বাসাইলের সাবেক ইউএনও মঞ্জুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
সাবেক ইউএনও মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক মনিরা সুলতানা তার বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) হিসেবে কর্মরত মনজুর ইউএনও থাকা অবস্থায় ২০২১ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে এক কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল ছাড়লেন ঘোড়াঘাটের সাবেক ইউএনও ওয়াহিদা
তিনি বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছিলেন এবং নিজেদের দম্পতি পরিচয় দিয়ে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিয়ের জন্য মেয়েটি চাপ দিলে মনজুর তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ ঘটনায় গত বছরের ২১ জুন আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।
পরে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন।
পিবিআই গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে এবং সোমবার আদালত দণ্ডবিধির ৪৯৩ ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় সাবেক ইউএনও’র ৮ বছর কারাদণ্ড
১ বছর আগে
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ।
মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বিরোধী দলকে দমন ও দেশে রাজনৈতিককরণের ক্ষেত্র তৈরি করতে সরকার ‘মিথ্যা’ মামলাকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তাদের বাংলাদেশ ও রাজনীতি থেকে দূরে রাখার প্রয়াস হিসেবে এই মামলা করেছে।’
তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে পরোয়ানা ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলায় তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার একটি আদালত।
আরও পড়ুন: বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করতে প্রস্তুত; বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে: ফখরুল
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আসাদুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন।
শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিএনপি চেয়ারপারসনকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে সরকার ইতোমধ্যে গৃহবন্দি করে রেখেছে বলে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিদেশে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তার সহধর্মীনি যিনি রাজনীতির সঙ্গে একেবারে জড়িত নন, তিনি একজন পেশাজীবী মেধাবী চিকিৎসক। শুধু এই পরিবারের পুত্রবধূ হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা নিয়ে আসা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুবাইদা একজন অরাজনৈতিক পেশাজীবী হলেও, জিয়া পরিবারকে সরকার ভয় পাওয়ায় তার (জুবাইদা) বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সরকার ১৪ বছর ধরে বিভিন্ন দমন-পীড়নমূলক কর্মকাণ্ড, আইন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে বিএনপি ও জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে।
তিনি সরকারকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দেশের জনগণ দলের সঙ্গে থাকায় বিএনপিকে দুর্বল করার সব প্রচেষ্টাই বৃথা যাবে। এত নির্যাতনের পরও বিএনপি ফিনিক্সের মতো জেগে উঠেছে। জনগণের দল হওয়ায় বিএনপির উত্থান ঠেকানোর কোনো উপায় নেই।
জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য কোন খাদ্য মজুদ নেই
ফখরুল বলেন, সোমবার তাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আগামী বছরের সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ‘আমাদের বৈঠকে মনে হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছে যে সরকার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য খাদ্য মজুদ করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
তিনি বলেন, গত চার মাসে খাদ্যশস্য আমদানি প্রায় ৩৭ শতাংশ কমে যাওয়ায় বিএনপির নীতিনির্ধারকরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘খাদ্য মন্ত্রণালয় ও সরকারের খাদ্য অধিদপ্তরের নজিরবিহীন দুর্নীতি, উদাসীনতা ও অযোগ্যতার কারণে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এখন চরম হুমকির মুখে। একইসঙ্গে দুর্নীতি, বিভিন্ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এবং ডলারের ঘাটতির কারণে আমদানি ব্যাহত হচ্ছে।’
রিজার্ভ থেকে অনৈতিকভাবে ডলার প্রত্যাহার এবং হুন্ডির মতো অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে প্রতি বছর ৭/৮ বিলিয়ন ডলার পাচারের কারণে দেশের অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে বলেও তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
সারাদেশে সার, বীজের মূল্যবৃদ্ধি ও সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়া এবং বিদ্যুৎ ও ডিজেলের অভাবে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে বিপুল জনসমাগম মানেই তারা গণতন্ত্র ফিরে চায়: ফখরুল
আ.লীগ নেতারা ছিন্নমূল থেকে বিত্তশালী হয়েছে: ফখরুল
২ বছর আগে
ক্রিকেটার আল-আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
স্ত্রীর দায়ের করা পারিবারিক সহিংসতা মামলায় ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
মামলার শুনানির জন্য আল-আমিন আদালতে হাজির না হওয়ায় বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই পরোয়ানা জারি করেন।
শুনানির সময় আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহানের কৌঁসুলি শামসুজ্জামান দাবি করেন, অভিযুক্তের বিবাহবিচ্ছেদের দাবি সম্পর্কে তার মক্কেলের কোনো ধারণা নেই।
৬ অক্টোবর আল-আমিন আদালতে একটি হলফনামা দাখিল করে দাবি করেন যে তিনি ২৫ আগস্ট ইসরাতকে তালাক দিয়েছেন।
২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন পাঁচ হাজার টাকার মুচলেকায় আল-আমিনকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত জামিন দেন।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর করা মামলায় আগাম জামিন পেলেন ক্রিকেটার আল-আমিন
বিচারক শফি উদ্দিন মামলাটি আমলে নিয়ে আল-আমিনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আল-আমিন ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসরাতকে বিয়ে করেন এবং তার স্ত্রী পরবর্তীতে দুই ছেলের জন্ম দেন।
এজাহারে উল্লেখ আছে, ইসরাত দাবি করেন যে আল-আমিন অনেক দিন ধরে তার দুই ছেলের ভরণ-পোষণ ও শিক্ষার খরচ জোগায়নি। আল-আমিন তার স্ত্রীর কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারধর করত। তিনি ২৫ আগস্ট তাদের দুই সন্তানসহ তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে টি২০ স্কোয়াড: চার বছর পর দলে আল-আমিন
উল্লেখ্য, যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে গত ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ইসরাত। পরে এ বিষয়ে থানায় মামলা করা হয়। ৩ সেপ্টেম্বর আল আমিন তার মায়ের মাধ্যমে ইসরাতকে বার্তা পাঠান যে তিনি তার ভরণ-পোষণ দেবেন না এবং তাকে তালাক দিয়েছেন। ৬ সেপ্টেম্বর যৌতুকের জন্য স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় আল-আমিনকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন: স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
২ বছর আগে
মেজর সিনহা হত্যা: ওসি প্রদীপসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মো. লিয়াকতসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
৪ বছর আগে