সরকারি কর্মকর্তা
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে আবারও কড়াকড়ি
ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর (ইউএনবি)- সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এ নির্দেশনায় কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থ ছাড়া একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণে না যেতে বলা হয়েছে।
এর আগে ডলার-সংকটের কারণে গত অর্থবছরে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ সীমিত করে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানা যায়,অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে গত ৯ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে৷
বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে -
১. সাধারণভাবে বিদেশ ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হবে।
২. বছরের সম্ভাব্য বিদেশ ভ্রমণের একটা তালিকা জানিয়ে রাখতে হবে।
৩. বিদেশ ভ্রমণের জন্য মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ডাটাবেজ তৈরি করতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এর কাঠামো তৈরি করে দেবে এবং এর তথ্য সংরক্ষণ করবে।
৪. সকল স্তরের সরকারি কর্মকর্তারা একাধারে বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করবেন।
৫. মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও সচিব একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণ সাধারণভাবে পরিহার করবেন। তবে জাতীয় স্বার্থে অনুরূপ ভ্রমণ একান্ত অপরিহার্য হলে তেমন অপরিহার্যতার বিষয় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
৬. মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধীনস্থ অধিদপ্তর বা সংস্থা প্রধানগণ একান্ত অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থ ব্যতিরেকে একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণে যাবেন না।
৭. বিদেশে অনুষ্ঠিতব্য সেমিনার/ওয়ার্কশপ ইত্যাদিতে অংশগ্রহণের জন্য উপদেষ্টা ও সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের প্রস্তাবের ক্ষেত্রে আমন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং অপরাপর অংশগ্রহণকারী দেশ থেকে কোন পর্যায়ের কর্মকর্তারা তাতে অংশ নিচ্ছেন সেই তথ্য সন্নিবেশ করবেন।
৮. বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাব পেশের সময় ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা এবং প্রস্তাবিত কর্মকর্তার ঐ কার্যক্রমে সংশ্লিষ্টতা ও উপযোগিতার বিষয় উল্লেখ থাকতে হবে।
৯. কেনা-কাটা, প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন কিংবা ফ্যাক্টরি অ্যাকসেন্ট্যান্স টেন্ট ইত্যাদির ক্ষেত্রে কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ প্রেরণের বিষয় বিবেচনা করতে হবে।
১০. সরকারি অর্থে কম প্রয়োজনীয় ভ্রমণ অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
১১. সকল স্তরের সরকারি কর্মকর্তা বিদেশে বিনোদন ভ্রমণ পরিহার করবেন।
১২. সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষণ ছুটিতে যাওয়া পরিহার করবেন।
১৩. বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাব পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত কর্মকর্তার পূর্ববর্তী এক বছরের বিদেশ ভ্রমণের বিস্তারিত সংযুক্ত করতে হবে।
১ সপ্তাহ আগে
সরকারি কর্মকর্তা ও বেসরকারি খাতের একাংশের অনলাইনে কর দাখিল বাধ্যতামূলক
ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এবং বেসরকারি খাতের আয়কর সার্কেলের আওতাধীন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন (ই-রিটার্ন) দাখিল বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সব তফসিলি ব্যাংক, সব মোবাইল টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং কিছু বহুজাতিক কোম্পানি যথাক্রমে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড, নেসলে বাংলাদেশ পিএলসির কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর ও সাবেক সচিব আমিনুলের জামিন নামঞ্জুর
২০২৪-২০২৫ করবর্ষের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল ও পরিশোধ পদ্ধতি সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে করদাতাদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। স্বতন্ত্র করদাতারা সহজেই তাদের রিটার্ন প্রস্তুত করতে পারেন এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট www.etaxnbr.gov.bd ব্যবহার করে অনলাইনে দাখিল করতে পারেন।
এ পদ্ধতিতে করদাতারা ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট (ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড) ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কর পরিশোধ এবং দাখিলকৃত রিটার্নের কপি, রশিদ, আয়কর সনদ, টিআইএন সনদের কপি ডাউনলোড ও প্রিন্ট করার সুবিধা পেতে পারেন। এ ছাড়া যে কেউ আগের বছরের জন্য দাখিল করা ই-রিটার্ন ডাউনলোড ও প্রিন্টও করতে পারবেন।
ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যায় করদাতাদের সহায়তা দিতে কল সেন্টার স্থাপন করেছে এনবিআর। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে অফিস চলাকালীন সময়ে কল সেন্টারের ০৯৬৪৩ ৭১ ৭১ ৭১ নম্বরে ফোন করে ই-রিটার্ন প্রশ্নের তাৎক্ষণিক সমাধান পাচ্ছেন করদাতারা।
এছাড়া ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার সমাধান লিখিতভাবে www.etaxnbr.gov.bd ই-ট্যাক্স সার্ভিস অপশন থেকে পেতে পারেন করদাতারা।
ই-রিটার্ন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াকে ইতোমধ্যেই করদাতাবান্ধব করে তোলা হয়েছে। ই-রিটার্নে সফল নিবন্ধনের জন্য প্রত্যেক করদাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে নিবন্ধিত একটি বায়োমেট্রিক সিম প্রয়োজন।
করদাতার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি তার জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে বায়োমেট্রিক নিবন্ধিত কিনা *১৬০০১# ডায়াল করে তা যাচাই করা যাবে।
যাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধিত সিম নেই তারা নতুন সিম সংগ্রহ করে এর মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে পারবেন।
ইতোমধ্যে www.etaxnbr.gov.bd পোর্টালের ই-রিটার্ন অপশন ব্যবহার করে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ১ লাখ (এক লাখ) ছাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে কাজ শুরু করতে পারে এনবিআর সংস্কার পরামর্শক কমিটি
১ মাস আগে
জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারাই রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি: ধর্মমন্ত্রী
ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ‘জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারাই রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি। এছাড়া জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করলে কোনো বাধাই সামনে দাঁড়াতে পারবে না।’
শুক্রবার (১২ জুলাই) ইসলামপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী মন্ডল মিলনায়তনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: হজ ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করছে সরকার: ধর্মমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হলে আমাদের সবাইকে যে যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। সরকারের সব উন্নয়ন নীতির মূলে রয়েছে সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত কাজের সুযোগ সৃষ্টির প্রয়াস। এছাড়া প্রতিটি সেক্টরে আমরা যাতে সফলভাবে এগিয়ে যেতে পারি সেজন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী আব্দুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আখন্দ, আবিদা সুলতানা যুঁথী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এএএম আবু তাহের, সহকারী পুলিশ সুপার (ইসলামপুর সার্কেল) অভিজিৎ দাস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদ মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অনুষঙ্গ: ধর্মমন্ত্রী
বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা হবে বাংলাদেশে: ধর্মমন্ত্রী
৫ মাস আগে
সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিল চেয়ে রিট
আইন অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিল ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুন) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস।
রিটে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচারক ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভার সদস্যদের সম্পদের হিসাব দেয়ার পক্ষে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
এ বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিটটি শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এই বেঞ্চের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, সরকারি কর্মচারীদের সম্পত্তির বিবরণীর নিদের্শনা চেয়ে পিআইএল (পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন) করার এফিডেভিটের অনুমতির জন্যে রবিবার (৩০ জুন) আবেদন করেন আইনজীবী সুবীর নন্দী। পরে আদালত তাদের রিট করার অনুমোদন দেন।
রিটকারি আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব আইনে উল্লেখিত যথাযথ নিয়মে কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিলের পাশাপাশি ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেছি। আগামীকাল এই রিটের শুনানি হবে।’
উল্লেখ্য, ‘সরকারি র্কমচারী (আচরণ) বধিমিালা, ১৯৭৯’-এর ১১, ১২ ও ১৩ বিধিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব বিরণী দাখিলের বাধ্যবাধকতার বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক সম্পদের হিসাব প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
৫ মাস আগে
জনগণের কাছে যান ও তাদের জন্য কাজ করুন: সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তাদের জনগণের কাছে যান এবং তাদের জন্য কাজ করতে বলেছেন, কারণ জনকল্যাণই তার সরকারের প্রতিটি কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সকলকে এই আহ্বান জানাবো যে মানুষের পাশে যান, মানুষের জন্য কাজ করেন… আমাদের সব কর্মকাণ্ড দেশের মানুষের কল্যাণে।’
বুধবার (৬ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত নৈশভোজে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: র্যাবকে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তার সরকার স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, জ্ঞানভিত্তিক ও কল্যাণমুখী দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন গড়ে তুলতে চায়, যাতে জনগণ উন্নত ও মানসম্মত সেবা পায়।
তিনি আরও বলেন, তার সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এই ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। ইশতেহার বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে দেশ বদলে গেছে।’
আরও পড়ুন: মুসলিম দেশগুলোকে অভিন্ন মুদ্রা চালুর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
মিয়ানমার সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কঠিন করে তুলেছে: প্রধানমন্ত্রী
৯ মাস আগে
উপসচিব পদে পদোন্নতি পেলেন ২৪০ সরকারি কর্মকর্তা
জনপ্রশাসনে সর্বশেষ রদবদলে ২৪০ সরকারি কর্মকর্তাকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শনিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে বিদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাস ও মিশনে পদায়ন করা সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার ৯ জন কর্মকর্তা রয়েছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতি পেলেন ২৯০ পুলিশ কর্মকর্তা
১ বছর আগে
সরকারি কর্মকর্তাদের প্রথম ধাপের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে আজ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের প্রথম পর্ব আজ শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন পর্যায়ক্রমে জেলা প্রশাসক, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে।
ইলেক্টোরাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সাধারণ নির্বাচন পরিচালনা, সমন্বয় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা।
আরও পড়ুন: সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: নির্বাচন কমিশনার
তিনি আরও বলেন, প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হলো হালনাগাদ নির্বাচনী আইন ও বিধিমালা, অনলাইনে মনোনয়ন দাখিল প্রক্রিয়া, নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহ ও প্রেরণের জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম, সংশোধিত নির্বাচনী বিধিমালা এবং সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া।
নয়টি ব্যাচের প্রতিটি ঢাকার আগারগাঁওয়ে ইলেক্টোরাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) দুদিনের প্রশিক্ষণ সেশনে সম্পন্ন করা হবে।
১৪ ও ১৫ অক্টোবর প্রশিক্ষণের প্রথম ধাপে মোট ১১৬ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ নেবেন। দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২৭ ও ২৮ অক্টোবর আরও ১১৪ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন এই প্রথম এ ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করছে।
এই প্রশিক্ষণ উদ্যোগের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো আগামী বছরের জানুয়ারিতে নির্ধারিত জাতীয় নির্বাচন কার্যকরভাবে পরিচালনা করার জন্য বর্তমান প্রশাসনকে প্রস্তুত করা।
গত ৭ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন তার কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করে। এতে আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে-পরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর: সিইসি
১ বছর আগে
দুর্নীতি না করলে অসাধ্য সাধন করা যায়: সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অগ্রগতির জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করতে এবং তৃণমূল পর্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কাজের প্রতি আন্তরিকতা, আত্মমর্যাদাবোধ, জবাবদিহি নিয়ে এগিয়ে গেলে এবং দুর্নীতি থেকে দূরে থাকলে যেকোনো কঠিন অবস্থা কাটিয়ে ওঠা যায়, এমনকি অসাধ্য সাধন করা যায়। সেটা কিন্তু আজকের বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে।’
আরও পড়ুন: অবাধ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের অঙ্গীকারের সম্পূরক মার্কিন ভিসা নীতি: প্রধানমন্ত্রীকে আজরা জেয়া
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে এপিএ সই করেছে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো।
প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের কাছ থেকে এপিএ গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে এপিএ বাস্তবায়ন ও সেবা প্রদানে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য এপিএ পুরস্কার এবং ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা তাদের অধীনস্থ দপ্তরগুলোর সঙ্গে এপিএ সইয়ের মাধ্যমে জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আপনারা (মন্ত্রণালয়গুলো) আপনাদের অন্যান্য অফিসের সঙ্গে এপিএ সই করবেন, যাতে তৃণমূল পর্যন্ত (সরকারি অফিসে) যোগাযোগ ও জবাবদিহি নিশ্চিত হয়। এভাবে কাজ করতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা সম্ভব।’
প্রধানমন্ত্রী সরকারের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট ও সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের পূর্বসুরিদের যোগ্য হিসেবে প্রস্তুত করতে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি কলাবতী শাড়ি গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা করে সরকার বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারবে।
তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি আসতে পারে মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। সব ধরনের দুর্যোগ অতিক্রম করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হব। আমি তা বিশ্বাস করি।’
খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে এবং এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্য ঘাটতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে যাতে অন্যের উপর নির্ভর করতে না হয়।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বক্তব্য রাখেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার এবং জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীও বক্তব্য দেন।
২০২১-২০২২ সালের এপিএ বাস্তবায়নে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রথম, বিদ্যুৎ বিভাগ দ্বিতীয় ও কৃষি মন্ত্রণালয় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।
এপিএ বাস্তবায়নে চতুর্থ থেকে দশম স্থান অর্জনকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হলো অর্থ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ।
আরও পড়ুন: ক্যান্টিনে কাজ করা ১১ বছরের রাব্বির দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সরকারি কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার নবনিযুক্ত সরকারি কর্মচারীদের একটি দলকে জনগণের জীবন পরিবর্তনে আত্মনিয়োগ করতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে।’
বুধবার রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যাকাডেমিতে ১২৪তম, ১২৫তম ও ১২৬তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সার্টিফিকেট প্রদান ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি তাদেরকে ‘জনসাধারণের সেবক’ হিসাবে নিজেদের পরিচয় দিতেও নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, আমি চাই দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে আপনারা জনগণের সেবা করবেন।
তিনি তাদের স্মরণ করিয়ে দেন যে একটি দেশকে জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহনের পাশাপাশি একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে যোগাযোগ অবকাঠামো, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিক্ষা ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নে মনোনিবেশ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমাদের নতুন অফিসাররা সেই অনুযায়ী কাজ করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী নতুন কর্মকর্তাদেরকে ২০৪১ সালের পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হতে বলেছেন। কেননা সরকার ওই সময়ের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত দেশে রূপান্তর করার সময়সীমা নির্ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের নতুন কর্মকর্তাদের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে এবং তাদের যথাযথ পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হতে হবে।’
প্রশাসনের নতুন কর্মকর্তাদের সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সরকার দেশের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়।
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণকে সেবা দেয়ার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদেরকে নিজেদেরকে নিবেদিত করতে হবে এবং সর্বোপরি জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন যে সরকারি কর্মকর্তাদের দেশপ্রেম ও আত্মমর্যাদাবোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শেখ হাসিনা জনগণকে শিক্ষিত করা এবং যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, তার সরকার বেসরকারি খাত উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, কোনও জাতি কাঙ্ক্ষিত উন্নতি করতে পারে না, যদি না একটি সমাজে নারী-পুরুষ উভয়ে মিলে অগ্রসর হতে পারে।
কোভিড মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পরে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী দেশে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি সত্ত্বেও সরকার দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে।
তবে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশসহ উন্নত বিশ্বের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় গ্রামীণ জনগণকে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
তিনি দেশে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
হাসিনা পরিবেশ রক্ষায় দেশব্যাপী পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং চারা রোপণের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।
গৃহহীন মানুষকে বাড়ি উপহার দেয়ার তার সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একটি পরিবারও গৃহহীন থাকবে না। এটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল।
তিনি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন যে পাকিস্তান আমলে সেক্রেটারি জেনারেল ও মেজর জেনারেল পদে কোনো বাঙালি ছিল না, কেবল একজন কর্নেল ছিল।
তিনি বলেন, এখন স্বাধীন বাংলাদেশে সবাই সেই সুযোগ পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ১২৪তম, ১২৫তম ও ১২৬তম আইন ও প্রশাসনের ১০৩জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করেন।
এর আগে তিনি সেখানে বঙ্গবন্ধু অধ্যয়ন কেন্দ্রের ফলক উন্মোচন ও পরিদর্শন করেন। তিনি অ্যাকাডেমিতে তার বক্তব্য সম্বলিত একটি সংকলন বইয়ের মোড়কও উন্মোচন করেন।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একাডেমির ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারিও প্রদর্শিত হয়
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম ও বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একাডেমির রেক্টর মমিনুর রশিদ আমিন।
২ বছর আগে
জনগণের কল্যাণে কাজ করুন: সরকারি কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আপনাদেরকে জনগণের সেবক হতে হবে। মানুষের সেবা করাই সবচেয়ে বড় বিষয়। আপনাদের সবাইকে সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।’
সোমবার (২২ আগস্ট) সাভারে বাংলাদেশ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং সেন্টারে (বিওএটিসি) ৭৩তম ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্সের কোর্স সনদ বিতরণ ও কোর্স সমাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব।
তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের দেশ। দেশের সব জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। সব সময় এটা আপনাদের মনে রাখতে হবে।’
তিনিনবীন সরকারি কর্মকর্তাদের জনগণের কল্যাণ ও দেশের উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ ভালো থাকলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনিবার্য হয়ে ওঠে। এটা কেউ আটকাতে পারবে না।’
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আলী আজম এবং বিপিএটিসির রেক্টর রামেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বক্তব্য দেন।
প্রশিক্ষানার্থীদের পক্ষে আল মাহমুদ হাসান এবং ফারজানা ইয়াসমিন বক্তব্য দেন।
৭৩তম ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্সে একটি অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন।
পড়ুন: ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপি-জামায়াত সরকার দায়ী: প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানকে শেখ হাসিনা
সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানোর উপায় বের করছে: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে