সরকারি কর্মকর্তা
সরকারি কর্মচারী অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি: বিক্ষোভে উত্তাল সচিবালয়
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
অধ্যাদেশটি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তারা। সোমবার (২৬ মে) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে প্রশাসনের এই প্রাণকেন্দ্র।
এদিন বেলা পৌনে ১১টা দিকে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবীর ও মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়।
পরে বেলা ১১টার দিকে তাদের সঙ্গে নূরুল ইসলাম ও মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিষদের অপর অংশও যুক্ত হয়।
এ সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বিক্ষোভে অংশ নিতে কাজ ফেলে নিচে নেমে এসেছেন। অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
আরও পড়ুন: দাবিদাওয়া নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের আন্দোলনে প্রশাসনে অচলাবস্থা
এর আগে, রবিবার (২৫ মে) চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে— এমন বিধান রেখে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেন রাষ্ট্রপতি।
অধ্যাদেশে শৃঙ্খলা বিঘ্নিত, কর্তব্য সম্পাদনে বাধা, ছুটি ছাড়া কর্মে অনুপস্থিত, কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানির জন্য আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে চাকরিচ্যুতির বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করা হচ্ছে।
গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর শনিবার (২৪ মে) থেকে সচিবালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রবিবারও সচিবালয়ের প্রধান ফটক আটকে বিক্ষোভ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবগুলো সংগঠন।
আরও পড়ুন: অধ্যাদেশ সংশোধনের আশ্বাসে এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার
১৯৩ দিন আগে
বিদেশে ভ্রমণে স্বামী-স্ত্রী-সন্তানকে সফরসঙ্গী করতে পারবেন না সরকারি কর্মকর্তারা
বিদেশ ভ্রমণের সময় সরকারি কর্মকর্তারা স্বামী, স্ত্রী কিংবা সন্তানকে সফরসঙ্গী করতে পারবেন না বলে নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার সই জারি করা বিদেশ সফর সংক্রান্ত নির্দেশনায় এ কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ঠিকাদার, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে বিদেশ ভ্রমণ অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
এছাড়া, জরুরি কারণ ছাড়া উপদেষ্টা, সিনিয়র সচিব ও সচিবদের একান্ত সচিব বা সহকারী, একান্ত সচিবের সহকারী হিসেবে বিদেশে ভ্রমণ পরিহার করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
২৩২ দিন আগে
তথ্য হালনাগাদ না করলে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: মন্ত্রণালয়
সরকারি কর্মকর্তাদের চাকরি-সংক্রান্ত তথ্যাদি হালনাগাদ না করলে তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করে সে অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এমন কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির (জিইএমএস) আওতায় সহকারী সচিব থেকে সচিব কিংবা সিনিয়র সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের চাকরি-সংক্রান্ত তথ্যাদি সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
‘এরইমধ্যে চাকরি-সংক্রান্ত তথ্যাদি হালনাগাদ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি হালনাগাদ না করায় কর্মকর্তাদের পদোন্নতি এবং পদায়নের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে,’ জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়া হবে’
আদেশে বলা হয়, জিইএমএসে অন্তর্ভুক্ত সব কর্মকর্তাকে সম্প্রতি তোলা ছবি (ছয় মাসের ঊর্ধ্বে নয়), পদায়ন, পদোন্নতি, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল আইডিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য হালনাগাদ করার জন্য পুনরায় অনুরোধ করা হলো।
যে সব কর্মকর্তার তথ্য হালনাগাদ পাওয়া যাবে না, তাদের পদোন্নতি/পদায়নে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিলম্ব/জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে জানিয়ে মন্ত্রণালয় বলছে, বর্ণিত তথ্য হালনাগাদ করতে ব্যর্থ হলে বিষয়টি অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: ৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়াদের আবেদন পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
৩০৩ দিন আগে
আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে কর্মকর্তাদের সতর্ক করল সরকার
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে অসদাচরণের দায়ে তাদের শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলাবহির্ভূত আচরণের বিষয়ে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জনসেবা ও রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সরকারি কর্মচারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সরকারি কর্মচারীদের সুশৃঙ্খল, দায়িত্বশীল ও পেশাদার আচরণের ওপর জনপ্রশাসনের সফলতা নির্ভর করে। সম্প্রতি বিভিন্ন পদমর্যাদার কিছু সরকারি কর্মচারীর বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট, মানববন্ধন, কলম বিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের কারণে সরকারি কর্মচারীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জনপ্রশাসন সংস্কারে বিএনপির প্রস্তাব
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘সরকারের কোনো কোনো সিদ্ধান্ত, আদেশ বা সংস্কার কার্যক্রমের বাস্তবায়ন সম্পন্ন হওয়ার আগেই তা নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে বিরূপ মন্তব্যসহ বিবৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে, যা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর পরিপন্থি। কাজেই কোনো সরকারি কর্মচারী সরকারের অথবা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ পালনে জনসমক্ষে আপত্তি উত্থাপন করতে বা কোনো বাধা দিতে পারবেন না, অন্য কোনো ব্যক্তিকেও তা করার জন্য উত্তেজিত বা প্ররোচিত করতে ও নিষেধ করা হয়েছে।
সরকারের বা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ সম্পর্কে জনসমক্ষে কোনো অসন্তুষ্টি বা বিরক্তি প্রকাশ, অন্যকে তা করার জন্য প্ররোচিত করা বা কোনো আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে ও অন্যকে অংশগ্রহণ করার জন্য প্ররোচিত করতে পারবেন না বলেও জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার বা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ পরিবর্তন, বদলানো, সংশোধন বা বাতিলের জন্য অনুচিত প্রভাব বা চাপ প্রয়োগ করতে পারবেন না সরকারি কর্মচারীরা। এছাড়া যে কোনোভাবে অসন্তুষ্টি, ভুল বোঝাবুঝি বা বিদ্বেষের সৃষ্টি করতে বা অন্যকে প্ররোচিত করতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতেও পারবেন না সরকারি কর্মচারীরা।
সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর যে কোনো বিধান লঙ্ঘন সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর আওতায় অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে বলে জানিয়েছে সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোনো সরকারি কর্মচারী এ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি অসদাচরণের দায়ে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থার আওতায় আসবেন। সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলাবহির্ভূত আচরণের বিষয়ে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন
সাম্প্রতিক সময়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ধারাবাহিক আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। গেল ৫ অক্টোবর আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের ব্যানারে ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যদের প্রত্যাখান করে যেটা শুরু করেছেন।
গত ১৭ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী ঘোষণা দেন যে তারা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্যাডারকে ক্যাডারের বাইরে রাখার প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছেন।
পাশাপাশি উপসচিব পদে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ এবং বাকি ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কর্মকর্তা নিয়ে পদোন্নতির প্রস্তাব দেওয়ার সুপারিশ করেছেন। মূলত এই ঘোষণার পর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে।
৩৩৭ দিন আগে
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে আবারও কড়াকড়ি
ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর (ইউএনবি)- সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এ নির্দেশনায় কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থ ছাড়া একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণে না যেতে বলা হয়েছে।
এর আগে ডলার-সংকটের কারণে গত অর্থবছরে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ সীমিত করে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানা যায়,অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে গত ৯ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে৷
বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে -
১. সাধারণভাবে বিদেশ ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হবে।
২. বছরের সম্ভাব্য বিদেশ ভ্রমণের একটা তালিকা জানিয়ে রাখতে হবে।
৩. বিদেশ ভ্রমণের জন্য মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ডাটাবেজ তৈরি করতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এর কাঠামো তৈরি করে দেবে এবং এর তথ্য সংরক্ষণ করবে।
৪. সকল স্তরের সরকারি কর্মকর্তারা একাধারে বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করবেন।
৫. মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও সচিব একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণ সাধারণভাবে পরিহার করবেন। তবে জাতীয় স্বার্থে অনুরূপ ভ্রমণ একান্ত অপরিহার্য হলে তেমন অপরিহার্যতার বিষয় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
৬. মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধীনস্থ অধিদপ্তর বা সংস্থা প্রধানগণ একান্ত অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থ ব্যতিরেকে একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণে যাবেন না।
৭. বিদেশে অনুষ্ঠিতব্য সেমিনার/ওয়ার্কশপ ইত্যাদিতে অংশগ্রহণের জন্য উপদেষ্টা ও সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের প্রস্তাবের ক্ষেত্রে আমন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং অপরাপর অংশগ্রহণকারী দেশ থেকে কোন পর্যায়ের কর্মকর্তারা তাতে অংশ নিচ্ছেন সেই তথ্য সন্নিবেশ করবেন।
৮. বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাব পেশের সময় ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা এবং প্রস্তাবিত কর্মকর্তার ঐ কার্যক্রমে সংশ্লিষ্টতা ও উপযোগিতার বিষয় উল্লেখ থাকতে হবে।
৯. কেনা-কাটা, প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন কিংবা ফ্যাক্টরি অ্যাকসেন্ট্যান্স টেন্ট ইত্যাদির ক্ষেত্রে কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ প্রেরণের বিষয় বিবেচনা করতে হবে।
১০. সরকারি অর্থে কম প্রয়োজনীয় ভ্রমণ অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
১১. সকল স্তরের সরকারি কর্মকর্তা বিদেশে বিনোদন ভ্রমণ পরিহার করবেন।
১২. সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষণ ছুটিতে যাওয়া পরিহার করবেন।
১৩. বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাব পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত কর্মকর্তার পূর্ববর্তী এক বছরের বিদেশ ভ্রমণের বিস্তারিত সংযুক্ত করতে হবে।
৩৫৮ দিন আগে
সরকারি কর্মকর্তা ও বেসরকারি খাতের একাংশের অনলাইনে কর দাখিল বাধ্যতামূলক
ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এবং বেসরকারি খাতের আয়কর সার্কেলের আওতাধীন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন (ই-রিটার্ন) দাখিল বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সব তফসিলি ব্যাংক, সব মোবাইল টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং কিছু বহুজাতিক কোম্পানি যথাক্রমে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড, নেসলে বাংলাদেশ পিএলসির কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর ও সাবেক সচিব আমিনুলের জামিন নামঞ্জুর
২০২৪-২০২৫ করবর্ষের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল ও পরিশোধ পদ্ধতি সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে করদাতাদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। স্বতন্ত্র করদাতারা সহজেই তাদের রিটার্ন প্রস্তুত করতে পারেন এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট www.etaxnbr.gov.bd ব্যবহার করে অনলাইনে দাখিল করতে পারেন।
এ পদ্ধতিতে করদাতারা ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট (ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড) ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কর পরিশোধ এবং দাখিলকৃত রিটার্নের কপি, রশিদ, আয়কর সনদ, টিআইএন সনদের কপি ডাউনলোড ও প্রিন্ট করার সুবিধা পেতে পারেন। এ ছাড়া যে কেউ আগের বছরের জন্য দাখিল করা ই-রিটার্ন ডাউনলোড ও প্রিন্টও করতে পারবেন।
ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যায় করদাতাদের সহায়তা দিতে কল সেন্টার স্থাপন করেছে এনবিআর। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে অফিস চলাকালীন সময়ে কল সেন্টারের ০৯৬৪৩ ৭১ ৭১ ৭১ নম্বরে ফোন করে ই-রিটার্ন প্রশ্নের তাৎক্ষণিক সমাধান পাচ্ছেন করদাতারা।
এছাড়া ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার সমাধান লিখিতভাবে www.etaxnbr.gov.bd ই-ট্যাক্স সার্ভিস অপশন থেকে পেতে পারেন করদাতারা।
ই-রিটার্ন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াকে ইতোমধ্যেই করদাতাবান্ধব করে তোলা হয়েছে। ই-রিটার্নে সফল নিবন্ধনের জন্য প্রত্যেক করদাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে নিবন্ধিত একটি বায়োমেট্রিক সিম প্রয়োজন।
করদাতার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি তার জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে বায়োমেট্রিক নিবন্ধিত কিনা *১৬০০১# ডায়াল করে তা যাচাই করা যাবে।
যাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধিত সিম নেই তারা নতুন সিম সংগ্রহ করে এর মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে পারবেন।
ইতোমধ্যে www.etaxnbr.gov.bd পোর্টালের ই-রিটার্ন অপশন ব্যবহার করে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ১ লাখ (এক লাখ) ছাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে কাজ শুরু করতে পারে এনবিআর সংস্কার পরামর্শক কমিটি
৪০৮ দিন আগে
জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারাই রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি: ধর্মমন্ত্রী
ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ‘জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারাই রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি। এছাড়া জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করলে কোনো বাধাই সামনে দাঁড়াতে পারবে না।’
শুক্রবার (১২ জুলাই) ইসলামপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী মন্ডল মিলনায়তনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: হজ ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করছে সরকার: ধর্মমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হলে আমাদের সবাইকে যে যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। সরকারের সব উন্নয়ন নীতির মূলে রয়েছে সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত কাজের সুযোগ সৃষ্টির প্রয়াস। এছাড়া প্রতিটি সেক্টরে আমরা যাতে সফলভাবে এগিয়ে যেতে পারি সেজন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী আব্দুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আখন্দ, আবিদা সুলতানা যুঁথী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এএএম আবু তাহের, সহকারী পুলিশ সুপার (ইসলামপুর সার্কেল) অভিজিৎ দাস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদ মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অনুষঙ্গ: ধর্মমন্ত্রী
বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা হবে বাংলাদেশে: ধর্মমন্ত্রী
৫১০ দিন আগে
সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিল চেয়ে রিট
আইন অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিল ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুন) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস।
রিটে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচারক ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভার সদস্যদের সম্পদের হিসাব দেয়ার পক্ষে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
এ বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিটটি শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এই বেঞ্চের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, সরকারি কর্মচারীদের সম্পত্তির বিবরণীর নিদের্শনা চেয়ে পিআইএল (পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন) করার এফিডেভিটের অনুমতির জন্যে রবিবার (৩০ জুন) আবেদন করেন আইনজীবী সুবীর নন্দী। পরে আদালত তাদের রিট করার অনুমোদন দেন।
রিটকারি আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব আইনে উল্লেখিত যথাযথ নিয়মে কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিলের পাশাপাশি ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেছি। আগামীকাল এই রিটের শুনানি হবে।’
উল্লেখ্য, ‘সরকারি র্কমচারী (আচরণ) বধিমিালা, ১৯৭৯’-এর ১১, ১২ ও ১৩ বিধিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব বিরণী দাখিলের বাধ্যবাধকতার বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক সম্পদের হিসাব প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
৫২১ দিন আগে
জনগণের কাছে যান ও তাদের জন্য কাজ করুন: সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তাদের জনগণের কাছে যান এবং তাদের জন্য কাজ করতে বলেছেন, কারণ জনকল্যাণই তার সরকারের প্রতিটি কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সকলকে এই আহ্বান জানাবো যে মানুষের পাশে যান, মানুষের জন্য কাজ করেন… আমাদের সব কর্মকাণ্ড দেশের মানুষের কল্যাণে।’
বুধবার (৬ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত নৈশভোজে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: র্যাবকে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তার সরকার স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, জ্ঞানভিত্তিক ও কল্যাণমুখী দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন গড়ে তুলতে চায়, যাতে জনগণ উন্নত ও মানসম্মত সেবা পায়।
তিনি আরও বলেন, তার সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এই ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। ইশতেহার বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে দেশ বদলে গেছে।’
আরও পড়ুন: মুসলিম দেশগুলোকে অভিন্ন মুদ্রা চালুর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
মিয়ানমার সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কঠিন করে তুলেছে: প্রধানমন্ত্রী
৬৩৮ দিন আগে
উপসচিব পদে পদোন্নতি পেলেন ২৪০ সরকারি কর্মকর্তা
জনপ্রশাসনে সর্বশেষ রদবদলে ২৪০ সরকারি কর্মকর্তাকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শনিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে বিদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাস ও মিশনে পদায়ন করা সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার ৯ জন কর্মকর্তা রয়েছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতি পেলেন ২৯০ পুলিশ কর্মকর্তা
৭৫৪ দিন আগে