বায়ু দূষণ
বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশি, ভারতীয়, নেপালি ও পাকিস্তানিদের গড় আয়ু ৫ বছর কমবে: একিউএলআই
বস্তুকণাযুক্ত বায়ুদূষণ মানব স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় বাহ্যিক ঝুঁকি। তবে বৈশ্বিক হিসেবে এর বেশিরভাগ প্রভাব পড়বে ছয়টি দেশে, বাংলাদেশ এই দেশগুলোর একটি। অর্থাৎ, দেশটি বিশ্বের অন্যতম দূষিত বায়ুর দেশ।
এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স (একিউএলআই) থেকে পাওয়া নতুন তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালে বৈশ্বিক দূষণ যেমন ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, তেমনি মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাবও বেড়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নির্দেশিকা মেনে চলার জন্য যদি বিশ্ব স্থায়ীভাবে সূক্ষ্ম কণা দূষণ (পিএম২.৫) কমাতে পারে, তাহলে প্রত্যেক ব্যক্তির গড় আয়ু ২ বছর ৩ মাস বাড়বে। অর্থাৎ, বিশ্বব্যাপী সম্মিলিত আয়ুষ্কাল ১৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন জীবন-বছর বাড়বে।
এসব তথ্যে জানা যায়, বস্তুকণা দূষণ মানব স্বাস্থ্যের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাহ্যিক ঝুঁকি। ধূমপানের তুলনায় আয়ুষ্কালের উপর এর প্রভাব বেশি, অ্যালকোহল ব্যবহার এবং অনিরাপদ পানির চেয়েও এর প্রভাব তিন গুণেরও বেশি এবং গাড়ি দুর্ঘটনার মতো পরিবহনে আঘাতের চেয়ে এর ক্ষতির পরিমাণ ৫ গুণেরও বেশি।
তবে বিশ্বের সব দেশে দূষণের চ্যালেঞ্জ সমান নয়।
দক্ষিণ এশিয়ায় পৃথিবীর অন্য সব স্থানের চেয়ে দূষণের প্রভাব মারাত্মক বেশি। এই অঞ্চলে বিশ্বের চারটি সবচেয়ে দূষিত দেশ এবং বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ বাস করে।
একিউএলআই এর তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানে বর্তমানে যে উচ্চ মাত্রার দূষণ চলছে তা অব্যাহত থাকলে বাসিন্দাদের গড় আয়ু প্রায় ৫ বছর কমে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা শীর্ষে
অর্থনীতিবিদ মিল্টন ফ্রিডম্যান বিশিষ্ট পরিষেবা অধ্যাপক এবং শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট (ইপিআইসি) এর সহকর্মীদের সঙ্গে মিলে একিউএলআই এর স্রষ্টা মাইকেল গ্রিনস্টোন বলেছেন, ‘বৈশ্বিক আয়ুষ্কালের ওপর বায়ু দূষণের তিন-চতুর্থাংশ প্রভাব মাত্র ছয়টি দেশের ওপর পড়ছে। দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, চীন, নাইজেরিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। যেখানকার বাতাসে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার কারণে মানুষ তাদের তাদের জীবন থেকে এক থেকে ছয় বছরেরও বেশি সময় হারায়।’
একিউএলআই গত পাঁচ বছর ধরে এই দেশগুলোর বায়ুর গুণমান ও এর স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিগুলোর তথ্য স্থানীয় মিডিয়া এবং রাজনৈতিক কভারেজ থেকে সংগ্রহ করেছে।
প্রকৃতপক্ষে, অনেক দূষিত দেশে বায়ু দূষণের মৌলিক অবকাঠামোর অভাব রয়েছে। এশিয়া ও আফ্রিকা এর দুটি সবচেয়ে মর্মান্তিক উদাহরণ। দূষণের কারণে মোট মৃত্যুর ৯২ দশমিক ৭ শতাংশই এই অঞ্চলে হয়।
এরপরও এশিয়া ও আফ্রিকার মাত্র ৬ দশমিক ৮ এবং ৩ দশমিক ৭ শতাংশ সরকার তাদের নাগরিকদের সম্পূর্ণ উন্মুক্ত বায়ু মানের তথ্য সরবরাহ করে।
এশিয়া ও আফ্রিকার মাত্র ৩৫ দমমিক ৬ ও ৪ দশমিক ৯ শতাংশ দেশের বায়ুর মানের স্ট্যান্ডার্ড রয়েছে।
বায়ু দূষণ মানুষের জীবনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করলেও বিশ্বব্যাপী বায়ু মানের পরিকাঠামোতে সে অনুপাতে বিনিয়োগ করতে দেখা যায়না দেশগুলোর সরকারকে।
যদিও এইচআইভি/এইডস, ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মা রোগের জন্য একটি বৃহৎ বৈশ্বিক তহবিল রয়েছে। এর বার্ষিক সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করে, সেখানে বায়ু দূষণের বিষয়টিকে এতটা গুরুত্ব দিতে দেখা যায়না।
প্রকৃতপক্ষে, সমগ্র আফ্রিকা মহাদেশ বায়ু দূষণের জন্য জনহিতকর তহবিলে তিন লাখ মার্কিন ডলারের নিচে বরাদ্দ পায় (অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একক পরিবারের ব্যবহৃত বাড়ির বর্তমান গড় মূল্য)।
ক্লিন এয়ার ফান্ড এর তথ্য অনুসারে, চীন ও ভারতের বাইরে এশিয়ায় মাত্র ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ পৌঁছায়। যেখানে ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পায়।
আরও পড়ুন: বায়ু দূষণ থেকে মানুষকে বাঁচান: পরিবেশ অধিদপ্তরকে হাইকোর্ট
একিউএলআই এবং বায়ু মানের প্রোগ্রাম ইপিআইস- এর পরিচালক ক্রিস্টা হাসেনকপফ বলেছেন, ‘সুশীল সমাজ ও সরকারের নির্মল বায়ু প্রচেষ্টার প্রধান অগ্রাধিকার হতে পারে সময়োপযোগী, নির্ভরযোগ্য, বায়ুর মানের উন্মুক্ত তথ্য। জনগণ ও সরকারের কাছে যে তথ্যের অভাব রয়েছে তা সরবরাহ করা এবং এটি আরও সচেতন নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও কাজে লাগে।
তিনি আরও বলেন, ‘সৌভাগ্যবশত, আমরা আজ অনুপস্থিত এই অবকাঠামো গড়ে তোলার জন্য তহবিল বাড়ানোর মাধ্যমে পরিবর্তন আনার একটি বিশাল সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।’
চীন
যদিও বিশ্বজুড়ে বায়ু দূষণ কমানোর চ্যালেঞ্জ কঠিন, তবে চীন এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে।
২০১৩ সাল থেকে দূষণ ৪২ দশমিক ৩ শতাংশ কমিয়েছে দেশটি। দেশটি ২০১৪ সালে থেকে ‘দূষণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ ঘোষণা করে।
যদি পরিবর্তনগুলো বজায় থাকে তবে চীনারা গড়ে ২ দশমিক ২ বছর বেশি বাঁচার আশা করতে পারে।
যদিও চীনে দূষণ এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা থেকে ছয় গুণ বেশি। যার ফলে জনগণের গড় আয়ু আড়াই বছর কমেছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া
দক্ষিণ এশিয়ার মতো, প্রায় সমস্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় (৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ) এখন দূষণের অনিরাপদ মাত্রা বিরাজ করছে বলে মনে করা হয়। কিছু অঞ্চলে এক বছরে দূষণ ২৫ শতাংশের মতো বৃদ্ধি পায়।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে দূষিত অংশে বসবাসকারী বাসিন্দাদের গড় আয়ু ২ থেকে ৩ বছর কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ু দূষণ: হাইকোর্টের আরও ৩ দফা নির্দেশনা
মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকা
যদিও এশিয়ান দেশগুলো চরম মাত্রার বায়ু দূষণ সম্পর্কে সর্বাধিক আলোচিত; তবে কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি ও কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের আফ্রিকান দেশগুলো বিশ্বের দশটি সবচেয়ে দূষিত দেশের মধ্যে রয়েছে।
এই অঞ্চলের সবচেয়ে দূষিত এলাকায় দূষণের মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা থেকে ১২ গুণ বেশি এবং জনগণের গড় আয়ু ৫ দশমিক ৪ বছর কমেছে।
এই অঞ্চলে এইচআইভি/এইডস ও ম্যালেরিয়ার মতো বায়ু দূষণও সুপরিচিত ঘাতক হিসেবে স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।
ল্যাটিন আমেরিকা
গড় বায়ুর গুণমান সমগ্র বিশ্বজুড়েই অনিরাপদ অবস্থায় থাকলেও ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে দূষণের হার যথেষ্ট কম।
তবে গুয়াতেমালা, বলিভিয়া ও পেরুর মতো দেশগুলো এ অঞ্চলের সবচেয়ে দূষিত দেশ। এগুলোর দূষণের মাত্রা ভারতের পুনে এবং চীনের হারবিনের মতো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বায়ুর গুণমান নির্দেশিকা মেনে চললে এসব দেশের বাসিন্দাদের গড় আয়ু ৩ থেকে ৪ দশমিক ৪ বছর বাড়বে।
যুক্তরাষ্ট্র
১৯৭০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্লিন এয়ার অ্যাক্ট পাস হওয়ার আগের সময়ের তুলনায় আমেরিকানরা ৬৪ দশমিক ৯ শতাংশ কম বস্তূকণা দূষণের সংস্পর্শে আসছেন। এ কারণে তাদের গড় আয়ু ১ দশমিক ৪ বছর বেড়েছে।
ইউরোপ
১৯৯৮ সালে এয়ার কোয়ালিটি ফ্রেমওয়ার্ক নির্দেশিকা শুরু হওয়ার পরে আগের তুলনায় ইউরোপের বাসিন্দারা বর্তমানে প্রায় ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ কম দূষণের সংস্পর্শে এসেছে। এর কারণে তাদের গড় আয়ু ৪ দশমিক ৫ বছর বেড়েছে।
বায়ু দূষণের দায়ে রাজধানীতে ৭ যানবাহনকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা
বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ঘোষিত অভিযানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রাজধানীর খিলক্ষেতে সাতটি যানবাহনকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা শাহীনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। মোবাইল কোর্টে যানবাহনের কালো ধোঁয়া দ্বারা বায়ুদূষণের দায়ে এ জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে বায়ু দূষণের কারণে সমস্যার মুখে করোনা রোগীরা
পরিবেশ দূষণবিরোধী অভিযান ও পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং কর্তৃক এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
ঢাকার আশেপাশে বায়ুদূষণ বিরোধী এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: বায়ু দূষণ: ঢাকায় ৮ যানবাহন, ৬ প্রতিষ্ঠান ও ৬ ইটভাটার জরিমানা
ঢাকার বায়ু দূষণ কমাতে কঠোর লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি মন্ত্রীর
বায়ু দূষণ: ঢাকায় ৮ যানবাহন, ৬ প্রতিষ্ঠান ও ৬ ইটভাটার জরিমানা
ঢাকা জেলায় বায়ু দূষণের দায়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে আটটি যানবাহন, ছয়টি প্রতিষ্ঠান ও ছয়টি ইটভাটাকে ২০লাখ ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে ডিওই-এর মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউ, ধানমন্ডি, খিলগাঁও এবং ধামরাই এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
ঢাকার ধামরাই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ছয়টি অবৈধ ইটভাটা থেকে মোট ২০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এদিকে ধানমন্ডিতে কালো ধোঁয়া ছেড়ে বায়ু দূষিত করায় আটটি গাড়ির কাছ থেকে জরিমানা বাবদ ১২ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বায়ু দূষণ ও শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণসহ পরিবেশ সংরক্ষণ অভিযান জোরদার করার লক্ষ্যে বুধবার মাসব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু করে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণ রোধে জরুরি সমন্বিত পদক্ষেপের তাগিদ বিশ্বব্যাংকের
দেশকে দূষণমুক্ত করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
বায়ু দূষণ এখনও বাংলাদেশের জন্য শীর্ষতম চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি। সোমবার সকাল ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৯৫ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়।
ভারতের দিল্লি ও কলকাতা যথাক্রমে ২২৫ ও ১৪৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে থাকলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে ধরা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর’বলা হয়, এবং ৩০১ থেকে ৪০০ এরমধ্যে স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়; যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় পাঁচটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে। এগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ৬ষ্ঠ
বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর ঢাকা
বায়ু দূষণ এখন বাংলাদেশের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানী ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৬১ রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে ধরা হয়।
চিলির সান্তিয়াগো এবং পাকিস্তানের লাহোর ১৬৪ এবং ১৬২ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে।
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘ভালো’
একইভাবে, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'খারাপ' বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার একিউআই স্কোর ৬৫
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’
ঢাকার বাতাসের মান 'মধ্যম' অবস্থায় রয়েছে।
শনিবার সকাল ৮টা ৫৬ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৫৯ রেকর্ড করা হয়েছে। বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ২৩তম স্থানে রয়েছে৷
৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'মধ্যম' বলা হয়। তবে কিছু মানুষের জন্য 'ঝুঁকিরপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে যারা বায়ু দূষণের প্রতি অস্বাভাবিকভাবে সংবেদনশীল।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ, পাকিস্তানের লাহোর এবং ইরানের তেহরান যথাক্রমে ১৭২,১৬০ এবং ১৪৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান এখন ‘মধ্যম’
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
একইভাবে, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'খারাপ' বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর 'ঝুঁকিরপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মানের উন্নতি
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
বিশ্বের দূষিত শহরেরর তালিকায় দ্বিতীয় ঢাকা
বিশ্বের দূষিত শহরেরর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। বুধবার ৯ টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৯০ রেকর্ড করা হয়েছে।
ভারতের দিল্লি ও কুয়েত যথাক্রমে একিউআই ২৫৭ এবং ১৫৮ স্কোর নিয়ে প্রথম ও তৃত্বীয় স্থান দখল করেছে।
৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'স্বাভাবিক' বলা হয়, তবে কিছু মানুষের জন্য 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে যারা বায়ু দূষণের প্রতি অস্বাভাবিকভাবে সংবেদনশীল।
সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
একইভাবে, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'খারাপ' বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণে মাইলফলক
ঢাকার বাতাসের মান এখন ‘মধ্যম’
ঢাকার বায়ুমান ‘মধ্যম’
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টির কারণে ঢাকার বাতাসের মানের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৮০ রেকর্ড করা হয়েছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ১৭ তম স্থানে আছে ৷ ঢাকার একিউআই কে 'মধ্যম' হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
পাকিস্তানের লাহোর, চিলির সান্তিয়াগো এবং ভারতের দিল্লি যথাক্রমে ১৭৯, ১৫৭ এবং ১৫৩ এর একিউআই স্কোরসহ তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে 'খারাপ' বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ দুর্বল হচ্ছে
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'খারাপ' বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর 'ঝুঁকিরপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশালে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
ঢাকার বাতাস ‘বিপজ্জনক’
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণের সমস্যায় জর্জরিত ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৬ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) রেকর্ড করা হয়েছে ৩১৬, যা ‘বিপজ্জনক’ বলে বিবেচিত হয়।
ভারতের দিল্লি ও কলকাতা যথাক্রমে ২১০ এবং ২০০ এর স্কোর সহ দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর ঢাকা
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর’
বৃষ্টি সত্ত্বেও ঢাকার বায়ু 'অস্বাস্থ্যকর'
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রবিবার কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টি হওয়া সত্ত্বেও এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ঢাকা তৃতীয় খারাপ অবস্থানে রয়েছে।
সোমবার সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) রেকর্ড করা হয়েছিল ১৮৩।
নেপালের কাঠমান্ডু এবং মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন যথাক্রমে ৩৩১ এবং ১৯১ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ুর কারণে বিশ্বে ২ কোটি মানুষ অভিবাসী হওয়ার আশঙ্কা
একিউআই ১০১ থেকে ২০০ মধ্যে থাকলে বিশেষত শিশু এবং বয়স্ক জনগণের মতো সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়।
সরকারি সংস্থাগুলো একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা পরিষ্কার বা দূষিত এবং এর ফলে যেসব স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে সেসব জানাতে প্রতিদিনের বাতাসের মান প্রকাশের সূচক 'একিউআই' ব্যবহার করে।
এদিকে, রবিবার রাজধানী ও দেশের অন্যান্য অংশে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের সাথে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে।
ঝড়ের সময় গাইবান্ধা ও ফরিদপুর জেলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন।
বছরের প্রথম এই মৌসুমী ঝড় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ রাজধানীতেও আঘাত হানে এবং কয়েক মিনিট স্থায়ী হয় বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ: সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে ঢাকা
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে - পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম ১০ এবং পিএম ২.৫), এনও ২, সিও, এসও২ এবং ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণের সাথে জড়িয়ে আছে। সাধারণত বর্ষায় এর বায়ু মানের উন্নতি হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর (ডিওই) এবং বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উত্স হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া এবং নির্মাণ কাজের ধুলা।
বায়ু দূষণ ক্রমাগত বিশ্বব্যাপী মৃত্যু এবং অক্ষমতার জন্য শীর্ষ ঝুঁকির কারণগুলোর একটি। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা যায়, দূষিত বায়ু নিঃশ্বাসের সাথে গ্রহণের ফলে হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসজনিত রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ু এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী বায়ু দূষণের ফলে প্রতি বছর প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ মূলত স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী পালমোনারি রোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।