বিএনপি চেয়ারপারসন
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা স্থগিত
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজা বাতিল চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেওয়া ১০ বছরের সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন আদালত।
সোমবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিলের শুনানি শেষ হয়।
রবিবার শুনানি শেষে সোমবার (১১ নভেম্বর) আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা ১১ মামলা বাতিল
আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
আইনজীবী জয়নুল আবেদীন জানান, আদালত লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে আপিল দায়ের করতে বলেছেন। এখন আপিল দাযের করার পর আপিলের ওপর শুনানি হবে। সে পর্যন্ত সাজার কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে।
২০১৯ সালের ১৪ মার্চ আপিল বিভাগে দুটি লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া।
এর আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া আপিল করেন। একই বছরের ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দেন হাইকোর্ট।
সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।
এছাড়া পাঁচ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়া এবং ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিল খারিজ করেন আদালত।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য শিগগিরই লন্ডনে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে
১ সপ্তাহ আগে
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শনিবার বিকালে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং নানা শারীরিক সমস্যা নিয়ে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ আল মামুন ইউএনবিকে বলেন, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় মেডিকেল বোর্ড হাসপাতাল থেকে ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বিকালে হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় গেছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ: ফখরুল
মামুন বলেন, খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল টিমই তাকে তার বাসায় চিকিৎসা দিবে। গত ১১ এপ্রিল ৭৬ বছর বয়সী এই বিএনপি প্রধানের করোনা শনাক্ত হয়। এরপর ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তির একদিন পর ২৮ এপ্রিল অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
খালেদা জিয়া করোনা আক্রান্তের ২৭ দিন পর ৪ মে পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ হন। কিন্তু করোনা পরবর্তী জটিলতা ও অন্যান্য শারিরীক অসুস্থতার কারণে তিনি হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হৃদযন্ত্র, কিডনির সমস্যায় জ্বরে ভুগছেন খালেদা জিয়া: ফখরুল
উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে গত ৬ মে খালেদা জিয়ার পরিবার তাকে বিদেশে নেয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। কিন্তু সরকার তা নাকচ করে দেয়। গত বছর ২৫ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এক নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জন্মসনদসহ নথিপত্র হাইকোর্টে তলব
৩ বছর আগে
মৃদু জ্বরে ভুগছেন খালেদা, অবস্থা এখনও স্থিতিশীল: ডাক্তার
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে মৃদু জ্বরে ভুগছেন বলে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দল জানান।
ডাক্তাররা জানান খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসার জন্য তারা সিটিস্ক্যান করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের প্রধান অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী জানান, বুধবার রাত থেকেই খালেদার সামান্য জ্বর দেখা দেয় এবং তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট ছিল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকালেও তার শরীরে জ্বর ছিল।
'কিন্তু উনার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। আমরা দেখেছি উনার চেস্ট ক্লিয়ার আছে। উনার ব্লাড সুগারও নিয়ন্ত্রণে আছে।'
অধ্যাপক সিদ্দিকী বলেছেন, 'সাধারণত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে বলা হয় যে প্রথম সপ্তাহের চেয়ে দ্বিতীয় সপ্তাহে পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তন হয়, সুতরাং আমরা বলতে পারি যে উনি এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন। তাই আমরা আরও একটু বেশি সাবধান হচ্ছি।'
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
সিটিস্ক্যান বাদে খালেদা জিয়ার প্রায় সব শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়েছে। এখন দ্রুতই তার সিটিস্ক্যান করানো হবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, 'সিটিস্ক্যান করানোর পর রিপোর্ট দেখে যদি মনে হয় উনাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা করালে ভালো হবে, তাহলে সেটাই করবো আমরা।'
'আর যদি রিপোর্ট দেখে মনে হয় যে না, কয়েকদিন হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা ভালো হবে, তাহলে তাই করবো। সিদ্ধান্তটা সিটিস্ক্যান রিপোর্ট দেখে নেয়া হবে।'
উল্লেখ্য, গত শনিবার খালেদা জিয়া ও তার বাসায় আরো আটজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এরপর গত বছর ২৫ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধেই তাকে ছয় মাসের জন্য নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেয়া হয়।
৩ বছর আগে
খালেদার সাজার স্থগিতাদেশ শেষ হচ্ছে আগামী মাসে
দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার ছয় মাসের স্থগিতাদেশের সময়সীমা আগামী মাসে শেষ হচ্ছে।
৪ বছর আগে