উদ্বেগ
ভারত-পাকিস্তান হামলা: পরিস্থিতির অবনতি চায় না বাংলাদেশ
ভারত-পাকিস্তানের চলমান পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে, এমন যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে দিল্লি-ইসলামাবাদকে আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
বুধবার (৭ মে) বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে দেওয়া এক বিবৃতি পাঠ করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান।। বিবৃতি অনুসারে নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।’
এ সময়ে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার ও সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে খলিলুর রহমান বলেন, ‘আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে চলমান উত্তেজনা প্রশমিত হবে বলে বাংলাদেশ আশাবাদী।’ পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত।
আরও পড়ুন: ভারতকে হামলার জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার পাকিস্তানের, বেড়েছে যুদ্ধের শঙ্কা
এ ঘটনাকে ‘যুদ্ধের শামিল’ ও ‘আগ্রাসন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে পাকিস্তান। দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ বলেন, ‘পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাঞ্জাব প্রদেশের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হেনেছে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র।’
তবে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, ‘ভারতের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা হচ্ছে, এমন অন্তত ৯টি স্থানে আঘাত হানা হয়েছে।’
আহমেদ শরিফ বলেন, ‘ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলায় পাকিস্তানে অন্তত ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ২৬ জন ক্ষেপণাস্ত্রে, আর পাঁচজন গোলার আঘাতে নিহত হন।’
এবার এ হামলার জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে পাকিস্তান। এতে প্রতিবেশি দেশদুটির মধ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান হামলা: ‘দায়িত্বপূর্ণ সমাধান’ খুঁজতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বলেছেন, ‘আমার প্রিয় পাকিস্তানি জনগণ, আমাদের সেনাবাহিনী ও জনগণ সবসময় আপনাদের নিরাপত্তার জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকবে। আমরা অবশ্যই ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড়াব এবং বিজয়ী হব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সত্যের পক্ষে লড়ছি, তাই আশা করি আল্লাহ সবসময় আমাদের সঙ্গে থাকবেন।’
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনায় আন্তর্জাতিক উদ্বেগও ক্রমেই বাড়ছে।
৬৫ দিন আগে
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: শান্তি ও সংযমের আহ্বান বাংলাদেশের
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। বুধবার (৭ এপ্রিল) এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুই দেশকে শান্ত থাকার পাশাপাশি সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সরকার ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার উদ্ভূত পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’
এতে বলা হয়, আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের স্বার্থে বাংলাদেশ আশাবাদী যে এই উত্তেজনা কূটনৈতিকভাবে নিরসন হবে এবং শান্তি ফিরে আসবে, যা দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তানে বহু ফ্লাইট বাতিল, বিমানবন্দর বন্ধ
পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ নিয়ে প্রতিবেশি দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ঘটনাকে ‘যুদ্ধের শামিল’ ও ‘আগ্রাসন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে পাকিস্তান। যেকোনো সময় হামলার জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ। তিনি বলেছেন, ‘কোথায় ও কীভাবে জবাব দেব, সেটি একান্তই আমাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।’
অন্যদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, ‘ভারতের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা হচ্ছে, এমন অন্তত ৯টি স্থানে আঘাত হানা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান হামলা: ‘দায়িত্বপূর্ণ সমাধান’ খুঁজতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
এমন বাস্তবতায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে ভারতের হামলার মধ্য দিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা এই পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষকেই সংযম প্রদর্শনের জন্য আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন ও দেশ।
৬৬ দিন আগে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অপ্রীতিকর ঘটনায় প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ, ন্যায়বিচারের আশ্বাস
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বুধবার ঘটে যাওয়া নজিরবিহীন ঘটনাসহ দেশব্যাপী বিচারিক প্রাঙ্গণে ঘটে যাওয়া নজিরবিহীন ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রধান বিচারপতির কার্যালয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে প্রধান বিচারপতির কার্যালয় দেশজুড়ে বিচার ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বিচার প্রক্রিয়া যাতে নির্বিঘ্ন থাকে তা নিশ্চিত করতে সমস্ত ঘটনাবলী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
এতে আরও বলা হয়, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রধান বিচারপতির কার্যালয় সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরে পাশাপাশি জেলা জজ ও ম্যাজিস্ট্রেসিতে ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
প্রধান বিচারপতি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সুস্পষ্ট নির্দেশনাও দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করলেন প্রধান বিচারপতি
২২৬ দিন আগে
দুর্নীতির খবর প্রকাশের বিরুদ্ধে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্যে ক্রাইম রিপোর্টারদের উদ্বেগ
বর্তমান ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের অবৈধ সম্পদের মালিকানা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)।
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এমন প্রতিবেদন প্রচারের সমালোচনা করে একটি বিবৃতি দেওয়ার পর সোমবার (২৪ জুন) প্রতিক্রিয়া জানায় ক্র্যাব।
ক্র্যাব বলছে, গণমাধ্যমগুলো দায়িত্বশীলতার সঙ্গে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক হওয়ার খবর প্রচার করেছে। তারা জোর দিয়ে বলেন, এই প্রতিবেদনগুলো কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে করা হয়নি, যেমনটি বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতিতে দাবি করেছে।
বিবৃতিতে ক্র্যাব সভাপতি কামরুল জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া বিবৃতিতে ‘ব্যবহৃত শব্দের’ ব্যবহার করা নিয়ে তাদের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তারা মনে করেন, এটি নির্দিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত অসদাচরণের প্রতি সহনশীলতার পরামর্শ দিয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতার নীতিগুলোকে সম্ভাব্যভাবে ক্ষুণ্ন করতে পারে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পশুবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৫ পুলিশ বরখাস্ত
ক্র্যাব আরও যুক্তি দিয়েছে, এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে তাদের সাংগঠনিক বক্তব্যের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ না করে আইনি প্রক্রিয়ার অবলম্বন করা উচিত। তাদের দাবি, গণমাধ্যমের সব প্রতিবেদনকে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ হিসেবে আখ্যায়িত করা সমর্থনযোগ্য নয়।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের 'জিরো টলারেন্স' নীতিকে সমর্থনের ওপরও জোর দিয়েছে সংগঠনটি। তারা অসদাচরণের অভিযোগ মোকাবিলায় বাধা দেওয়ার পরিবর্তে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি সরকারি কর্মকর্তাদের আচরণ এবং সম্পদ সম্পর্কে প্রতিবেদনের নৈতিকতাকে নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত করেছে। এই বিতর্ক বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতার মধ্যে চলমান উত্তেজনাকে তুলে ধরেছে।
আরও পড়ুন: ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলার নিন্দা জানিয়েছে ক্র্যাব
৩৮২ দিন আগে
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের রেল যোগাযোগ পরিকল্পনা নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ
বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত করতে রেলপথে যোগাযোগ গড়ে তোলার ভারত সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির উদ্বেগের কথা জানানো হয়।
এই উদ্যোগ দেশের গোয়েন্দা ব্যবস্থাকে দুর্বল করবে বলে দাবি করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, 'শিলিগুড়ি করিডোর দিয়ে ২২ কিলোমিটার পথ বাইপাস করে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে (যা সাধারণত ‘চিকেন নেক’নামে পরিচিত) রেললাইন বসানো হবে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন নেতারা
তিনি বলেন, ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ড বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের সামরিক ও বেসামরিক পণ্য পরিবহনের জন্য রেল যোগাযোগ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘নিশ্চয়ই বাংলাদেশের 'ডামি সরকারের' প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই এসব ঘটনা ঘটছে। এটা উদ্বেগজনক। আমরা এ ধরনের উদ্যোগের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, যে ভারত প্রতিদিন সীমান্তে ‘বাংলাদেশিদের হত্যা’ করছে এবং বাংলাদেশিদের মানবাধিকার ও মানবিকতা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সামরিক ও বেসামরিক পণ্য পরিবহন করে, তা হলে দেশের সার্বভৌমত্ব খর্ব হবে।
রিজভী বলেন,‘এই সংযোগ স্থাপনের (রেল নেটওয়ার্ক) মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের চাবিকাঠি তাদেরই দেওয়া হবে, যারা বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে বৈরী মানসিকতা পোষণ করে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে স্বাধীন দেশের গোয়েন্দা ব্যবস্থাও ভেঙে পড়বে।’
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের নীরব ভূমিকার সমালোচনা ফখরুলের
তিনি দেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের স্বার্থে রেল যোগাযোগের উদ্যোগ বাস্তবায়ন থেকে সরকারকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য ভারতের সঙ্গে অনেক গোপন চুক্তি করেছেন’ এবং এখন স্বাভাবিকভাবেই এসব চুক্তি সামনে আসছে।
তিনি বলেন, ‘জনগণের মতামতের তোয়াক্কা না করে শেখ হাসিনা শুধুমাত্র নিজের অবৈধ ক্ষমতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই দেশের অভ্যন্তরে রেললাইন নির্মাণের অনুমতি দিচ্ছেন। কারণ তিনি একটি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।’
রিজভী বলেন, 'শেখ হাসিনার সরকার' জোর করে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার জন্য জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিক্রি করতে শুরু করেছে।’
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে 'প্রভু-সেবক' সম্পর্কের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, ‘ভারতকে উদারভাবে সব দেওয়ার পরিণতি হবে ভয়াবহ। অসহায় অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করার শিক্ষা দিচ্ছেন শেখ হাসিনা।’
রবিবার (১৬ জুন) টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিলিগুড়ি করিডোর দিয়ে বিদ্যমান রুটের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে রেলপথের একটি বিকল্প নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে যাচ্ছে ভারত। এটি ‘চিকেনস নেক’ নামে পরিচিত ২২ কিলোমিটার প্রশস্ত একটি এলাকা যা উত্তরে নেপাল এবং দক্ষিণে বাংলাদেশ দ্বারা বেষ্টিত।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক মন্দায় মানুষের ঈদ উদযাপন হারিয়ে গেছে: আব্বাস
৩৮৯ দিন আগে
বাংলাদেশের নির্বাচন সংক্রান্ত কুতথ্যে 'ডিপ ফেক' বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
বিশেষ করে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে 'ডিপ ফেকের' উত্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সমস্যাটি বর্তমানে বৈশ্বিক প্রবণতায় পরিণত হয়েছে। এই প্রবণতায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে ব্যবহৃত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)।
১৩ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বাংলাদেশে নির্বাচন সংক্রান্ত কুতথ্যে ডিপ ফেকের উদ্বেগজনক বিকাশের বিষয়টি তুলে ধরেন।
ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকর্তা দাবি করেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রকে 'ম্যানেজ' করতে পারবেন।
জবাবে মিলার সহিংসতা বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই অবাধে প্রাক-নির্বাচন ও নির্বাচনী পরিবেশে অংশগ্রহণের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সকল অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি- সুস্থ গণতন্ত্র বিভিন্ন মতপ্রকাশ থেকে উপকৃত হতে পারে। সেসব মতপ্রকাশ সমসাময়িক বিষয়ে স্বাধীনভাবে করা হয় এবং এ নিয়ে আলোচনা হয়।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিলার আরও বলেন, বিরোধী দলীয় সদস্যদের গণগ্রেপ্তার এবং কারাগারে নির্যাতনের খবরে তারা 'গভীরভাবে উদ্বিগ্ন'।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, তারা রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছে না, বরং যারা যানবাহন ও মানুষের ওপর অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত এবং যারা সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে তাদের গ্রেপ্তার করছে।
মিলার সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শন এবং সহিংসতা এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সম্প্রতি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং যুক্তরাষ্ট্র অহিংস নির্বাচন দেখতে চায়।
মোমেন বলেন, তারা অহিংস নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারছে না, কারণ এটি রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সকলের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের 'হস্তক্ষেপ' নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন পররাষ্ট্র সচিব
মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি ও রাষ্ট্রদূত হাসের বৈঠক সম্পর্কে মস্কোর 'ইচ্ছাকৃত ভুল ব্যাখ্যা' সম্পর্কে অবগত যুক্তরাষ্ট্র: ওয়াশিংটন
৫৭৬ দিন আগে
নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগের কোনো কথা বলেনি ইইউ: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো উদ্বেগের কথা বলেনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তারা ভালো কিছু আশা করছেন।
তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে মূলত নির্বাচন নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমাদের বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়ে আমরা আলাপ করেছি। এতে চলমান বিশ্ব পরিস্থিতিও ছিল।
তিনি আরও বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। তাদের সে কথাই বলেছি। শেখ হাসিনা সরকার নিয়মিত কাজ করে যাবে। নির্বাচনকালে এ সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো নির্বাচন নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে: কাদের
এ ছাড়া সরকারি দল তখন কেবল রুটিনওয়ার্ক করবে, অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেমনটি হয়।
সোমবার সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, খারাপ কিছু নিয়ে কোনো কথা বলেননি। বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হোক, এটাই তারা চেয়েছেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী ও পরিপক্ব করতে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি ইইউ রাষ্ট্রদূতকে আমাদের বক্তব্য জানিয়েছি। তাদের সঙ্গে সুন্দর আলোচনা হয়েছে। আলোচনা খুবই সফল ও অর্থপূর্ণ হয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো সুপারিশ ছিল কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বলেছি তারা যদি পর্যবেক্ষক দিতে চায়, তাদের সুস্বাগত। তারা আসবেন আমাদের অতিথি হয়ে।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন, একজন কূটনীতিক নিজের আওতার মধ্য থেকে কাজ করবেন। পর্যবেক্ষকদেরও দায়িত্ব পালনে ৪১ ভিয়েনা কনভেনশনের নীতিমালা আছে। তারা সেই নীতিমালার মধ্যে দায়িত্ব পালন করবেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, এখানে আমাদের কোনো আপত্তি থাকার প্রশ্ন নেই। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যবেক্ষকরা সরেজমিনে দেখতে পাবেন, নির্বাচন কীভাবে হচ্ছে। এ নিয়ে বাদানুবাদের কোনো সুযোগ থাকবে না।
কেন্দ্রগুলো সিসি টিভির আওতায় আনার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এ বিষয়ে তিনি বলেন, বিস্তারিত কোনো আলোচনা হয়নি। তাদের ছয়জনের একটি দল এসেছে। তারা খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। তারা দলের সঙ্গেও বসবেন আগামী ১৫ জুলাই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, পার্লামেন্টের বিলুপ্তি, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এসব নিয়ে কোনো কথা হয়নি ইউরোপীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে। তবে সরকারের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তারা কোনো কথা বলেছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, না। এ কথা আমরা কেন বলব। তারা কাকে কী অনুরোধ করবেন, এটা তাদের ব্যাপার।
বিএনপি তো রাস্তায় আছে। তারা এ সরকারের অধীন নির্বাচনে যাবে না- সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, আমরাও রাস্তায় আছি। তারা বিক্ষোভে আছে, আমরা শান্তি সমাবেশে আছি।
এ মাসের শেষ দিকে ভারত যাচ্ছেন, বিজেপির সঙ্গে বৈঠক আছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। আমার নেতৃত্বে একটি দল চার বছর আগে ভারতে গিয়েছিল। পরে রামমাধবের নেতৃত্বে ভারত থেকে একটি দল এসেছিল।
তিনি আরও বলেন, এটি দলের সঙ্গে দলের আলোচনা। ভারতের প্রসঙ্গ এলেই আপনারা প্রশ্ন করেন। কিন্তু চীনের সঙ্গে প্রতি বছর সফর বিনিময় করি, তা তো বললেন না। এটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন করেন না। চীন থেকেও ১৫ জন ঘুরে এসেছি। ভারতে যাবেন পাঁচজন।
আরও পড়ুন: এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এয়ারপোর্ট-ফার্মগেট সেকশন সেপ্টেম্বরে চালু হবে: কাদের
কারো প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না: ওবায়দুল কাদের
৭৩৩ দিন আগে
প্রস্তাবিত বাজেটে নেই দুর্নীতি ও অর্থপাচার প্রতিরোধ এবং সুশাসন-ন্যায্যতা বিষয়ক কোনো দিকনির্দেশনা: টিআইবির উদ্বেগ
চলমান অর্থনৈতিক সংকট, ক্রমবর্ধমান আয়-বৈষম্য ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমার মূল কারণ লাগামহীন দুর্নীতি ও অর্থপাচারের মতো মরণব্যাধিকে প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী একেবারেই স্বীকার করেননি। একইভাবে সুশাসন ও ন্যায্যতার ভাবনাকেও নির্বাসনে পাঠিয়েছেন বলে মন্তব্য করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি বলছে, কোভিড সংকট ও ইউক্রেন যুদ্ধপ্রসূত বৈশ্বিক সংকটের ফলে অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সন্দেহ নেই; কিন্তু দেশে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথে মূল অন্তরায় যে অবারিত দুর্নীতি ও গগণচুম্বি অর্থপাচার, তা নিয়ন্ত্রণে কোনো প্রকার দিকনির্দেশনাহীন উচ্চাভিলাষী বাজেট কীভাবে অর্থবহ বাস্তবায়িত হবে তা যেমন পরিস্কার নয়, তেমনিভাবে ক্ষমতার বলয়ের বাইরে দেশের আপামর জনগণের জন্য এই বাজেট কোনো ভূমিকা রাখবে, এমন আশা একেবারেই অমূলক।
শুক্রবার টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্যে ডলার সংকট মোকাবিলা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠনের জন্য আমদানিতে কঠোরতা, ঋণপত্রে নজরদারি অব্যাহত রাখা এবং একাধিক মুদ্রা বিনিময় হার থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের পাশাপাশি দেশের সার্বিক অর্থনীতির অন্তর্নিহিত মরণব্যাধি দুর্নীতি ও অব্যাহত মুদ্রাপাচারের বিষয়টিকে নির্বিকার এড়িয়ে গেলেন। অথচ সরকারের অজানা নয় যে, বাংলাদেশে যদি মধ্যম মাত্রায় দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হতো তাহলে জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি কমপক্ষে ২ থেকে ৩ শতাংশ বেশি হতো ও জনগণের জন্য অর্থবহ হতো; অন্যদিকে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য প্রাক্কলন অনুযায়ী বছর গড়ে বাংলাদেশ থেকে পাচার হচ্ছে কমপক্ষে ১২ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ। দুর্নীতি ও অর্থপাচারের বিশাল দুষ্টচক্রকে নিয়ন্ত্রণের দিকনির্দেশনাহীন বাজেট যে আরো দুর্নীতি ও অর্থপাচার সহায়ক হবে তাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।’
পাচার করা অর্থ বিনা প্রশ্নে ফেরত আনতে বিগত বাজেটে দেওয়া অনৈতিক সুবিধার মেয়াদ আর না বাড়ানোর চিন্তাকে দেরিতে হলেও সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হিসেবে আখ্যা দিয়ে, প্লট ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত না রাখার আহবান জানাচ্ছে টিআইবি। প্লট ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগসহ অন্য যে কোনোভাবে কালো টাকা সাদা করার অসাংবিধানিক, বৈষম্যমূলক ও দুর্নীতিসহায়ক সুযোগ যেন নতুন করে আয়কর আইনে স্থান না পায় এমন আহবান জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা বলে, বার বার সুযোগ দিয়েও দেশের অর্থনীতিতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ করে দিয়ে কোনো সরকারই কাঙিক্ষত মাত্রায় রাজস্ব আদায় করতে পারেনি। বরং এর মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ কালো টাকার মালিকদেরই শুধু সুরক্ষা দেওয়া গেছে এবং বাস্তবে দুর্নীতির গভীরতার বিস্তারে অবদান রেখেছে; সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানের নৈতিক ভিত্তি দুর্বলতর হয়েছে। তাই এই সুযোগটি যেন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর চাপে আবারো না দেওয়া হয় সে ব্যাপারে সরকার দৃঢ়তা দেখাবে এমনটাই প্রত্যাশা।’
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে ঢাকার বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি নজিরবিহীন বৈষম্যমূলক: টিআইবি
মূলত দুর্নীতির বৈষম্যমূলক প্রভাবে দেশে ক্রমবর্ধমান আয়-বৈষম্যের প্রেক্ষিতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ ও সুবিধাভোগীর সংখ্যা এবং ভর্তুকি বরাদ্দের ব্যয় ব্যবস্থাপনার দিক থেকেও প্রস্তাবিত বাজেট ন্যায্যতা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে টিআইবি বলছে, আয়হীন ও নিম্নআয়ের মানুষ যতোটা চাপে রয়েছে, সে তুলনায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বা সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়েনি। ভাতার পরিমাণও কোনো কোনো ক্ষেত্রে নামমাত্র বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলেও বাস্তবে তা কোনোভাবেই অর্থবহ হবে না। আবার সরকার বাজেটে সাড়ে চুরাশি হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি ও প্রণোদনা ব্যয়ের যে প্রস্তাবনা রেখেছে সেখানে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকাই রাখা হয়েছে জনপ্রশাসনের জন্য। সামাজিক নিরাপত্তায় ভর্তুকি ও প্রণোদনা মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকা। টিআইবি প্রত্যাশা করে বাজেট পাসের আগেই এসব ক্ষেত্রে সরকার ন্যায্যতা বিধান করবে এবং বিশেষ করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিনির্ভর সুশাসন, এবং দুর্নীতি ও অর্থপাচার নিয়ন্ত্রণের কার্যকর পথরেখা বাজেটের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করবে।
আরও পড়ুন: ওয়াসা চেয়ারম্যানকে অপসারণের নিন্দা টিআইবি’র
৭৭০ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রী ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন: মাহফুজ আনাম
দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বৃহস্পতিবার বলেছেন, বাংলাদেশ নিরাপত্তা ইস্যুতে এর প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছে। এবং তিনি ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগ প্রকাশ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতিত্ব দিয়েছেন।
তিনি এই ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি মনে করি এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং বাংলাদেশ তার প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছে।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে মিডিয়ার ভূমিকা: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে মাহফুজ আনাম এসব কথা বলেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সেমিনারে কার্যত দুইদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।
জাতীয় প্রেসক্লাব এর ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিরাপত্তা পরিষদকে ব্রিফ করলেন রাষ্ট্রদূত মুহিত
ডেইলি স্টার সম্পাদক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অগ্রগতির কথা স্বীকার করেন।
তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি দীর্ঘকাল ধরে অমীমাংসিত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে পানি বণ্টনের বিষয়টি একটি বড় সমস্যা।
তিনি পানির ন্যায্য বণ্টনের ওপরও জোর দেন।
তিনি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও এর সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন।
মাহফুজ বলেন, সম্পর্ক ‘উইন-উইন’ অবস্থার ভিত্তিতে হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: সম্পাদক পরিষদের নতুন কমিটি: মাহফুজ আনাম সভাপতি, দেওয়ান হানিফ সাধারণ সম্পাদক
তিনি বলেন, শাসনভিত্তিক সম্পর্ক ছাড়াও জনগণভিত্তিক সম্পর্ক টেকসই হতে পারে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট ইউনিয়নের (আইজেইউ) সভাপতি গীতার্থ পাঠক, প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সোহেল হায়দার চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
বক্তারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য জনগণ ও ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: খাদ্য-জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৯৯৬ দিন আগে
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট খাদ্য ও জ্বালানি সংকটে উদ্বেগ প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সামনে খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের পাশাপাশি আর্থিক ও বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) নির্বাহী চেয়ারম্যান অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াব বুধবার তার আবাস্থল হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সময় প্রধানমন্ত্রী এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর আজকের কার্যক্রম সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।
এসব চ্যালেঞ্জ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ডব্লিউইএফের মধ্যে সহযোগিতা ভবিষ্যতে বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অধ্যাপক শোয়াব আগামী জানুয়ারিতে ডাভোসে ডব্লিউইএফ সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।’
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরের দ্বিপাক্ষিক বুথে স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বোরুত পাহোরের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের আরও বেশি যুক্ত করুন: প্রধানমন্ত্রী
বৈঠকে বাংলাদেশ ও স্লোভেনিয়ার মধ্যে সহযোগিতা সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
পরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের দ্বিপাক্ষিক বুথে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসোর সঙ্গে আরেকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তারা বাংলাদেশ ও ইকুয়েডরের মধ্যে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে পদ্মা সেতুর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর
১০২৪ দিন আগে