উদ্বেগ
দুর্নীতির খবর প্রকাশের বিরুদ্ধে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্যে ক্রাইম রিপোর্টারদের উদ্বেগ
বর্তমান ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের অবৈধ সম্পদের মালিকানা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)।
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এমন প্রতিবেদন প্রচারের সমালোচনা করে একটি বিবৃতি দেওয়ার পর সোমবার (২৪ জুন) প্রতিক্রিয়া জানায় ক্র্যাব।
ক্র্যাব বলছে, গণমাধ্যমগুলো দায়িত্বশীলতার সঙ্গে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক হওয়ার খবর প্রচার করেছে। তারা জোর দিয়ে বলেন, এই প্রতিবেদনগুলো কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে করা হয়নি, যেমনটি বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতিতে দাবি করেছে।
বিবৃতিতে ক্র্যাব সভাপতি কামরুল জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া বিবৃতিতে ‘ব্যবহৃত শব্দের’ ব্যবহার করা নিয়ে তাদের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তারা মনে করেন, এটি নির্দিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত অসদাচরণের প্রতি সহনশীলতার পরামর্শ দিয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতার নীতিগুলোকে সম্ভাব্যভাবে ক্ষুণ্ন করতে পারে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পশুবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৫ পুলিশ বরখাস্ত
ক্র্যাব আরও যুক্তি দিয়েছে, এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে তাদের সাংগঠনিক বক্তব্যের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ না করে আইনি প্রক্রিয়ার অবলম্বন করা উচিত। তাদের দাবি, গণমাধ্যমের সব প্রতিবেদনকে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ হিসেবে আখ্যায়িত করা সমর্থনযোগ্য নয়।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের 'জিরো টলারেন্স' নীতিকে সমর্থনের ওপরও জোর দিয়েছে সংগঠনটি। তারা অসদাচরণের অভিযোগ মোকাবিলায় বাধা দেওয়ার পরিবর্তে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি সরকারি কর্মকর্তাদের আচরণ এবং সম্পদ সম্পর্কে প্রতিবেদনের নৈতিকতাকে নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত করেছে। এই বিতর্ক বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতার মধ্যে চলমান উত্তেজনাকে তুলে ধরেছে।
আরও পড়ুন: ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলার নিন্দা জানিয়েছে ক্র্যাব
৫ মাস আগে
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের রেল যোগাযোগ পরিকল্পনা নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ
বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত করতে রেলপথে যোগাযোগ গড়ে তোলার ভারত সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির উদ্বেগের কথা জানানো হয়।
এই উদ্যোগ দেশের গোয়েন্দা ব্যবস্থাকে দুর্বল করবে বলে দাবি করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, 'শিলিগুড়ি করিডোর দিয়ে ২২ কিলোমিটার পথ বাইপাস করে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে (যা সাধারণত ‘চিকেন নেক’নামে পরিচিত) রেললাইন বসানো হবে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন নেতারা
তিনি বলেন, ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ড বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের সামরিক ও বেসামরিক পণ্য পরিবহনের জন্য রেল যোগাযোগ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘নিশ্চয়ই বাংলাদেশের 'ডামি সরকারের' প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই এসব ঘটনা ঘটছে। এটা উদ্বেগজনক। আমরা এ ধরনের উদ্যোগের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, যে ভারত প্রতিদিন সীমান্তে ‘বাংলাদেশিদের হত্যা’ করছে এবং বাংলাদেশিদের মানবাধিকার ও মানবিকতা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সামরিক ও বেসামরিক পণ্য পরিবহন করে, তা হলে দেশের সার্বভৌমত্ব খর্ব হবে।
রিজভী বলেন,‘এই সংযোগ স্থাপনের (রেল নেটওয়ার্ক) মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের চাবিকাঠি তাদেরই দেওয়া হবে, যারা বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে বৈরী মানসিকতা পোষণ করে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে স্বাধীন দেশের গোয়েন্দা ব্যবস্থাও ভেঙে পড়বে।’
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের নীরব ভূমিকার সমালোচনা ফখরুলের
তিনি দেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের স্বার্থে রেল যোগাযোগের উদ্যোগ বাস্তবায়ন থেকে সরকারকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য ভারতের সঙ্গে অনেক গোপন চুক্তি করেছেন’ এবং এখন স্বাভাবিকভাবেই এসব চুক্তি সামনে আসছে।
তিনি বলেন, ‘জনগণের মতামতের তোয়াক্কা না করে শেখ হাসিনা শুধুমাত্র নিজের অবৈধ ক্ষমতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই দেশের অভ্যন্তরে রেললাইন নির্মাণের অনুমতি দিচ্ছেন। কারণ তিনি একটি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।’
রিজভী বলেন, 'শেখ হাসিনার সরকার' জোর করে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার জন্য জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিক্রি করতে শুরু করেছে।’
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে 'প্রভু-সেবক' সম্পর্কের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, ‘ভারতকে উদারভাবে সব দেওয়ার পরিণতি হবে ভয়াবহ। অসহায় অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করার শিক্ষা দিচ্ছেন শেখ হাসিনা।’
রবিবার (১৬ জুন) টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিলিগুড়ি করিডোর দিয়ে বিদ্যমান রুটের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে রেলপথের একটি বিকল্প নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে যাচ্ছে ভারত। এটি ‘চিকেনস নেক’ নামে পরিচিত ২২ কিলোমিটার প্রশস্ত একটি এলাকা যা উত্তরে নেপাল এবং দক্ষিণে বাংলাদেশ দ্বারা বেষ্টিত।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক মন্দায় মানুষের ঈদ উদযাপন হারিয়ে গেছে: আব্বাস
৫ মাস আগে
বাংলাদেশের নির্বাচন সংক্রান্ত কুতথ্যে 'ডিপ ফেক' বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
বিশেষ করে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে 'ডিপ ফেকের' উত্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সমস্যাটি বর্তমানে বৈশ্বিক প্রবণতায় পরিণত হয়েছে। এই প্রবণতায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে ব্যবহৃত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)।
১৩ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বাংলাদেশে নির্বাচন সংক্রান্ত কুতথ্যে ডিপ ফেকের উদ্বেগজনক বিকাশের বিষয়টি তুলে ধরেন।
ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকর্তা দাবি করেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রকে 'ম্যানেজ' করতে পারবেন।
জবাবে মিলার সহিংসতা বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই অবাধে প্রাক-নির্বাচন ও নির্বাচনী পরিবেশে অংশগ্রহণের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সকল অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি- সুস্থ গণতন্ত্র বিভিন্ন মতপ্রকাশ থেকে উপকৃত হতে পারে। সেসব মতপ্রকাশ সমসাময়িক বিষয়ে স্বাধীনভাবে করা হয় এবং এ নিয়ে আলোচনা হয়।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিলার আরও বলেন, বিরোধী দলীয় সদস্যদের গণগ্রেপ্তার এবং কারাগারে নির্যাতনের খবরে তারা 'গভীরভাবে উদ্বিগ্ন'।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, তারা রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছে না, বরং যারা যানবাহন ও মানুষের ওপর অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত এবং যারা সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে তাদের গ্রেপ্তার করছে।
মিলার সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শন এবং সহিংসতা এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সম্প্রতি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং যুক্তরাষ্ট্র অহিংস নির্বাচন দেখতে চায়।
মোমেন বলেন, তারা অহিংস নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারছে না, কারণ এটি রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সকলের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের 'হস্তক্ষেপ' নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন পররাষ্ট্র সচিব
মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি ও রাষ্ট্রদূত হাসের বৈঠক সম্পর্কে মস্কোর 'ইচ্ছাকৃত ভুল ব্যাখ্যা' সম্পর্কে অবগত যুক্তরাষ্ট্র: ওয়াশিংটন
১১ মাস আগে
নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগের কোনো কথা বলেনি ইইউ: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো উদ্বেগের কথা বলেনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তারা ভালো কিছু আশা করছেন।
তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে মূলত নির্বাচন নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমাদের বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়ে আমরা আলাপ করেছি। এতে চলমান বিশ্ব পরিস্থিতিও ছিল।
তিনি আরও বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। তাদের সে কথাই বলেছি। শেখ হাসিনা সরকার নিয়মিত কাজ করে যাবে। নির্বাচনকালে এ সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো নির্বাচন নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে: কাদের
এ ছাড়া সরকারি দল তখন কেবল রুটিনওয়ার্ক করবে, অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেমনটি হয়।
সোমবার সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, খারাপ কিছু নিয়ে কোনো কথা বলেননি। বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হোক, এটাই তারা চেয়েছেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী ও পরিপক্ব করতে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি ইইউ রাষ্ট্রদূতকে আমাদের বক্তব্য জানিয়েছি। তাদের সঙ্গে সুন্দর আলোচনা হয়েছে। আলোচনা খুবই সফল ও অর্থপূর্ণ হয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো সুপারিশ ছিল কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বলেছি তারা যদি পর্যবেক্ষক দিতে চায়, তাদের সুস্বাগত। তারা আসবেন আমাদের অতিথি হয়ে।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন, একজন কূটনীতিক নিজের আওতার মধ্য থেকে কাজ করবেন। পর্যবেক্ষকদেরও দায়িত্ব পালনে ৪১ ভিয়েনা কনভেনশনের নীতিমালা আছে। তারা সেই নীতিমালার মধ্যে দায়িত্ব পালন করবেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, এখানে আমাদের কোনো আপত্তি থাকার প্রশ্ন নেই। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যবেক্ষকরা সরেজমিনে দেখতে পাবেন, নির্বাচন কীভাবে হচ্ছে। এ নিয়ে বাদানুবাদের কোনো সুযোগ থাকবে না।
কেন্দ্রগুলো সিসি টিভির আওতায় আনার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এ বিষয়ে তিনি বলেন, বিস্তারিত কোনো আলোচনা হয়নি। তাদের ছয়জনের একটি দল এসেছে। তারা খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। তারা দলের সঙ্গেও বসবেন আগামী ১৫ জুলাই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, পার্লামেন্টের বিলুপ্তি, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এসব নিয়ে কোনো কথা হয়নি ইউরোপীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে। তবে সরকারের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তারা কোনো কথা বলেছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, না। এ কথা আমরা কেন বলব। তারা কাকে কী অনুরোধ করবেন, এটা তাদের ব্যাপার।
বিএনপি তো রাস্তায় আছে। তারা এ সরকারের অধীন নির্বাচনে যাবে না- সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, আমরাও রাস্তায় আছি। তারা বিক্ষোভে আছে, আমরা শান্তি সমাবেশে আছি।
এ মাসের শেষ দিকে ভারত যাচ্ছেন, বিজেপির সঙ্গে বৈঠক আছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। আমার নেতৃত্বে একটি দল চার বছর আগে ভারতে গিয়েছিল। পরে রামমাধবের নেতৃত্বে ভারত থেকে একটি দল এসেছিল।
তিনি আরও বলেন, এটি দলের সঙ্গে দলের আলোচনা। ভারতের প্রসঙ্গ এলেই আপনারা প্রশ্ন করেন। কিন্তু চীনের সঙ্গে প্রতি বছর সফর বিনিময় করি, তা তো বললেন না। এটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন করেন না। চীন থেকেও ১৫ জন ঘুরে এসেছি। ভারতে যাবেন পাঁচজন।
আরও পড়ুন: এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এয়ারপোর্ট-ফার্মগেট সেকশন সেপ্টেম্বরে চালু হবে: কাদের
কারো প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না: ওবায়দুল কাদের
১ বছর আগে
প্রস্তাবিত বাজেটে নেই দুর্নীতি ও অর্থপাচার প্রতিরোধ এবং সুশাসন-ন্যায্যতা বিষয়ক কোনো দিকনির্দেশনা: টিআইবির উদ্বেগ
চলমান অর্থনৈতিক সংকট, ক্রমবর্ধমান আয়-বৈষম্য ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমার মূল কারণ লাগামহীন দুর্নীতি ও অর্থপাচারের মতো মরণব্যাধিকে প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী একেবারেই স্বীকার করেননি। একইভাবে সুশাসন ও ন্যায্যতার ভাবনাকেও নির্বাসনে পাঠিয়েছেন বলে মন্তব্য করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি বলছে, কোভিড সংকট ও ইউক্রেন যুদ্ধপ্রসূত বৈশ্বিক সংকটের ফলে অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সন্দেহ নেই; কিন্তু দেশে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথে মূল অন্তরায় যে অবারিত দুর্নীতি ও গগণচুম্বি অর্থপাচার, তা নিয়ন্ত্রণে কোনো প্রকার দিকনির্দেশনাহীন উচ্চাভিলাষী বাজেট কীভাবে অর্থবহ বাস্তবায়িত হবে তা যেমন পরিস্কার নয়, তেমনিভাবে ক্ষমতার বলয়ের বাইরে দেশের আপামর জনগণের জন্য এই বাজেট কোনো ভূমিকা রাখবে, এমন আশা একেবারেই অমূলক।
শুক্রবার টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্যে ডলার সংকট মোকাবিলা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠনের জন্য আমদানিতে কঠোরতা, ঋণপত্রে নজরদারি অব্যাহত রাখা এবং একাধিক মুদ্রা বিনিময় হার থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের পাশাপাশি দেশের সার্বিক অর্থনীতির অন্তর্নিহিত মরণব্যাধি দুর্নীতি ও অব্যাহত মুদ্রাপাচারের বিষয়টিকে নির্বিকার এড়িয়ে গেলেন। অথচ সরকারের অজানা নয় যে, বাংলাদেশে যদি মধ্যম মাত্রায় দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হতো তাহলে জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি কমপক্ষে ২ থেকে ৩ শতাংশ বেশি হতো ও জনগণের জন্য অর্থবহ হতো; অন্যদিকে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য প্রাক্কলন অনুযায়ী বছর গড়ে বাংলাদেশ থেকে পাচার হচ্ছে কমপক্ষে ১২ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ। দুর্নীতি ও অর্থপাচারের বিশাল দুষ্টচক্রকে নিয়ন্ত্রণের দিকনির্দেশনাহীন বাজেট যে আরো দুর্নীতি ও অর্থপাচার সহায়ক হবে তাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।’
পাচার করা অর্থ বিনা প্রশ্নে ফেরত আনতে বিগত বাজেটে দেওয়া অনৈতিক সুবিধার মেয়াদ আর না বাড়ানোর চিন্তাকে দেরিতে হলেও সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হিসেবে আখ্যা দিয়ে, প্লট ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত না রাখার আহবান জানাচ্ছে টিআইবি। প্লট ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগসহ অন্য যে কোনোভাবে কালো টাকা সাদা করার অসাংবিধানিক, বৈষম্যমূলক ও দুর্নীতিসহায়ক সুযোগ যেন নতুন করে আয়কর আইনে স্থান না পায় এমন আহবান জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা বলে, বার বার সুযোগ দিয়েও দেশের অর্থনীতিতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ করে দিয়ে কোনো সরকারই কাঙিক্ষত মাত্রায় রাজস্ব আদায় করতে পারেনি। বরং এর মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ কালো টাকার মালিকদেরই শুধু সুরক্ষা দেওয়া গেছে এবং বাস্তবে দুর্নীতির গভীরতার বিস্তারে অবদান রেখেছে; সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানের নৈতিক ভিত্তি দুর্বলতর হয়েছে। তাই এই সুযোগটি যেন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর চাপে আবারো না দেওয়া হয় সে ব্যাপারে সরকার দৃঢ়তা দেখাবে এমনটাই প্রত্যাশা।’
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে ঢাকার বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি নজিরবিহীন বৈষম্যমূলক: টিআইবি
মূলত দুর্নীতির বৈষম্যমূলক প্রভাবে দেশে ক্রমবর্ধমান আয়-বৈষম্যের প্রেক্ষিতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ ও সুবিধাভোগীর সংখ্যা এবং ভর্তুকি বরাদ্দের ব্যয় ব্যবস্থাপনার দিক থেকেও প্রস্তাবিত বাজেট ন্যায্যতা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে টিআইবি বলছে, আয়হীন ও নিম্নআয়ের মানুষ যতোটা চাপে রয়েছে, সে তুলনায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বা সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়েনি। ভাতার পরিমাণও কোনো কোনো ক্ষেত্রে নামমাত্র বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলেও বাস্তবে তা কোনোভাবেই অর্থবহ হবে না। আবার সরকার বাজেটে সাড়ে চুরাশি হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি ও প্রণোদনা ব্যয়ের যে প্রস্তাবনা রেখেছে সেখানে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকাই রাখা হয়েছে জনপ্রশাসনের জন্য। সামাজিক নিরাপত্তায় ভর্তুকি ও প্রণোদনা মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকা। টিআইবি প্রত্যাশা করে বাজেট পাসের আগেই এসব ক্ষেত্রে সরকার ন্যায্যতা বিধান করবে এবং বিশেষ করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিনির্ভর সুশাসন, এবং দুর্নীতি ও অর্থপাচার নিয়ন্ত্রণের কার্যকর পথরেখা বাজেটের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করবে।
আরও পড়ুন: ওয়াসা চেয়ারম্যানকে অপসারণের নিন্দা টিআইবি’র
১ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রী ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন: মাহফুজ আনাম
দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বৃহস্পতিবার বলেছেন, বাংলাদেশ নিরাপত্তা ইস্যুতে এর প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছে। এবং তিনি ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগ প্রকাশ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতিত্ব দিয়েছেন।
তিনি এই ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি মনে করি এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং বাংলাদেশ তার প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছে।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে মিডিয়ার ভূমিকা: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে মাহফুজ আনাম এসব কথা বলেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সেমিনারে কার্যত দুইদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।
জাতীয় প্রেসক্লাব এর ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিরাপত্তা পরিষদকে ব্রিফ করলেন রাষ্ট্রদূত মুহিত
ডেইলি স্টার সম্পাদক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অগ্রগতির কথা স্বীকার করেন।
তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি দীর্ঘকাল ধরে অমীমাংসিত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে পানি বণ্টনের বিষয়টি একটি বড় সমস্যা।
তিনি পানির ন্যায্য বণ্টনের ওপরও জোর দেন।
তিনি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও এর সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন।
মাহফুজ বলেন, সম্পর্ক ‘উইন-উইন’ অবস্থার ভিত্তিতে হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: সম্পাদক পরিষদের নতুন কমিটি: মাহফুজ আনাম সভাপতি, দেওয়ান হানিফ সাধারণ সম্পাদক
তিনি বলেন, শাসনভিত্তিক সম্পর্ক ছাড়াও জনগণভিত্তিক সম্পর্ক টেকসই হতে পারে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট ইউনিয়নের (আইজেইউ) সভাপতি গীতার্থ পাঠক, প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সোহেল হায়দার চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
বক্তারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য জনগণ ও ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: খাদ্য-জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট খাদ্য ও জ্বালানি সংকটে উদ্বেগ প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সামনে খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের পাশাপাশি আর্থিক ও বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) নির্বাহী চেয়ারম্যান অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াব বুধবার তার আবাস্থল হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সময় প্রধানমন্ত্রী এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর আজকের কার্যক্রম সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।
এসব চ্যালেঞ্জ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ডব্লিউইএফের মধ্যে সহযোগিতা ভবিষ্যতে বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অধ্যাপক শোয়াব আগামী জানুয়ারিতে ডাভোসে ডব্লিউইএফ সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।’
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরের দ্বিপাক্ষিক বুথে স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বোরুত পাহোরের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের আরও বেশি যুক্ত করুন: প্রধানমন্ত্রী
বৈঠকে বাংলাদেশ ও স্লোভেনিয়ার মধ্যে সহযোগিতা সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
পরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের দ্বিপাক্ষিক বুথে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসোর সঙ্গে আরেকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তারা বাংলাদেশ ও ইকুয়েডরের মধ্যে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে পদ্মা সেতুর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
মার্কিন প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়মিত উদ্বেগ মূল্যায়ন করা উচিত: বিশেষজ্ঞ দল
যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকদের ৬৫ বছরের কম বয়সী সকল প্রাপ্তবয়স্কদের উদ্বেগ বিষয়ে নিয়মিত মূল্যায়ন করা উচিত বলে একটি প্রভাবশালী স্বাস্থ্য নির্দেশিকা দল মঙ্গলবার প্রস্তাব করেছে।
প্রথমবারের মতো ইউনাইটেড স্টেটস প্রিভেন্টিভ সার্ভিসেস টাস্ক ফোর্স উপসর্গ ছাড়াই প্রাপ্তবয়স্কদের প্রাথমিক চিকিৎসার অংশ হিসেবে উদ্বেগ মূল্যায়ন করার সুপারিশ করেছে। প্রস্তাবটি ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত জনসাধারণের মন্তব্যের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। যদিও দলটি খসড়া নির্দেশিকা নিশ্চিত করেছে।
টাস্ক ফোর্স সদস্য ও সহ-লেখক লরি পিবার্ট জানান, কোভিড-১৯ মহামারিরও পূর্বে শুরু হওয়া একটি পর্যালোচনার ভিত্তিতে এই সুপারিশ করা হয়। উক্ত গবেষণা পর্যালোচনাটিতে উদ্বেগ মূল্যায়নের সম্ভাব্য উপকারী ও ঝুঁকির দিক দেখা যায়। যেখানে মহামারির কারণে বিচ্ছিন্নতা ও চাপের সাথে যুক্ত মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার বৃদ্ধির কথা বলা হয়।
আরও পড়ুন: মশা কেন আপনাকেই কামড়ায়?
এই নির্দেশিকাকে লরি সময়োপযোগী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। লরি ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান মেডিকেল স্কুলের একজন মনোবিজ্ঞানী ও গবেষক।
লরি উল্লেখ করেন, উদ্বেগজনিত ব্যাধিগুলো সবচেয়ে সাধারণ মানসিক স্বাস্থ্যের অভিযোগগুলোর মধ্যে একটি, যা প্রায় ৪০ শতাংশ মার্কিন মহিলাকে তাদের জীবনের কোনো না কোনো সময়ে এবং চারজনের মধ্যে একজনের বেশি পুরুষকে প্রভাবিত করে।
উদ্বেগজনিত সমস্যার সাধারণত যারা বেশি সম্মুখীন হয়-দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করে এমন নিগ্রো, যারা তাদের প্রিয় মানুষকে হারিয়েছে এবং যাদের অন্যান্য মানসিক সমস্যা রয়েছে। এই ব্যক্তিগুলোর ক্ষেত্রে আতঙ্ক আক্রমণ, নানা ধরনের ভীতি অথবা অনুভূতিতে নিম্নগামীর মতো লক্ষণ দেখা যায়। এছাড়াও ১০ জনে একজন গর্ভবতী ও প্রসবোত্তর মহিলা উদ্বেগ অনুভব করেন।
আরও পড়ুন: অ্যান্টিবায়োটিক-এর অপপ্রয়োগ: কেন অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করছে না?
প্রতিদিনকার কাজে ব্যাঘাত ঘটায় এমন ভয় ও চিন্তার মতো লক্ষণ মূল্যায়ন করার ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নমালাসহ মূল্যায়ন টুল ব্যবহার করা হয়। টাস্ক ফোর্স জানিয়েছে, প্রাথমিক চিকিৎসা বা যত্ন নেয়ার ক্ষেত্রে এই টুল সহজেই দেয়া সম্ভব। তবে জানানো হয়নি ঠিক কতদিন পর পর মূল্যায়ন করতে হবে।
টাস্ক ফোর্স বলেছে যে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে উদ্বেগ মূল্যায়নের জন্য বা এর বিরুদ্ধে সুপারিশ করার জন্য বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়ে যথেষ্ট কঠিন গবেষণা নেই।
দলটি প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের জন্য বিষণ্নতা মূল্যায়ন করার জন্য সুপারিশ দিয়ে চলেছে। তবে চিন্তা বা উদ্বেগ দেখায় না এমন প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে আত্মহত্যা মূল্যায়নের কোনো সুবিধা বা ঝুঁকির দিক আছে কি না তা সম্পর্কে যথেষ্ট প্রমাণ নেই।
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত ৯২ শিশুকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিল কাতার চ্যারিটি
২ বছর আগে
দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাচেলেট কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেননি: আনিসুল হক
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট তার সর্বশেষ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষ কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেননি।
রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইএসএস) এক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ বছরের মার্চ মাসে জেনেভায় মিশেল ব্যাচেলেটের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছিল। সাক্ষাৎকালে মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশ এবং এখানকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি মিশেলকে বংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বলে জানান আনিসুল হক।
তিনি বলেন, আমন্ত্রণের পর তিনি চলতি মাসে বাংলাদেশ সফরে এসে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। ব্যাচেলেট তার সফরকালে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন। হাইকমিশনার যখন দেশে এসেছিলেন তখন বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন, কথা বলেছেন এবং তিনি সব কিছু দেখে মন্তব্য করেছেন। এ থেকে বোঝা যায় তাঁর মন্তব্যটা (নেতিবাচক কোনো কিছু না আসা) অত্যন্ত ‘ডিপ রুটেড এবং ওয়েল আন্ডারস্ট্যুড’। এছাড়া বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার যে, গণতন্ত্র এবং ইক্যুইটির (ন্যায়পরায়ণতা) ওপর বিশ্বাস করে দেশ চালাচ্ছেন সেটাও বোঝা যায়।
আরও পড়ুন: আ.লীগ জনগণের দল, আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্কল্প, দূরদৃষ্টি, সাহসিকতার ফলেই পাকিস্তানি অত্যাচার-অবিচার থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, যা এখনও এদেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করছে।
বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, জাতির পিতা সফলভাবে নিরপেক্ষতার নীতি সমুন্নত রেখেছিলেন। তাঁর স্মরণীয় নীতি, ‘সকলের প্রতি বন্ধত্ব, কারো প্রতি শত্রুতা নয়’ বাংলাদেশের পরারাষ্ট্র নীতির মূল ভিত্তি এবং শান্তি, সহযোগিতা, উন্নয়ন এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে একটি উত্তম বিশ্ব গড়বার জন্য সম্পূর্ণ উপযোগী। তাঁর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন পররাষ্ট্রনীতিই বাংলাদেশকে ‘কোল্ড ওয়ার’ থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু একজন নেতাই ছিলেন না, তিনি রাজনীতির দার্শনিক। তাঁর চিন্তা ও দর্শনে ছিল বাংলাদেশের উন্নয়ন। তিনি বাংলাদেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র ও দুর্নীতিমুক্ত করতে চেয়েছিলেন।
তিনি বলেন বলেন, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদের জনকও তিনি। এর প্রমাণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা’কে জাতীয় সংগীত হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন যা, বাঙালি জাতীয়তাবাদকে প্রতিনিধিত্ব করে। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্রের মিশেলে তিনি একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করতে চেয়েছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. দেলওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিআইআইএসএস- এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন বিশ্বনেতা ছিলেন, যাঁর আদর্শ, চিন্তাধারা, নীতি, কর্ম ও ধারাবাহিকতা শুধু বাংলাদেশেই নয়, বর্হিবিশ্বেও প্রশংসা এবং গ্রহণীয়তা লাভ করেছে। জীবদ্দশায় এবং বর্তমানেও তাঁর বিশ্বভাবনার প্রাসঙ্গিকতা একইভাবে বিদ্যমান রয়েছে।
সেমিনারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বৈদেশিক দূতাবাসের প্রতিনিধি, সাবেক কুটনিতিক, ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, একাডেমিয়া, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষণা, সংস্থার প্রতিনিধি আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রতিনিধি, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার অভাবেই মামলাজট: আইনমন্ত্রী
জিয়া মারা না গেলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি হতেন: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে
সাংবাদিক রোজিনার গ্রেপ্তারে জাতিসংঘের উদ্বেগ প্রকাশ
অফিসিয়াল সিক্রেসি আইনের আওতায় গ্রেপ্তারকৃত প্রথম আলো পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলামের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের হেনস্থা ও ঝুঁকিহীন ভাবে কাজ করতে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফানি দুজারিক বলেন, ‘আমি দেখেছি...আমরা বাংলাদেশে সাংবাদিক গ্রেপ্তারের খবর দেখেছি। আমরা অবশ্যই এই বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে দেখছি এবং এটি একটি উদ্বেগজনক ঘটনা।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার মুক্তির দাবিতে সাংবাদিকদের মানবন্ধন
জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র জানান, সাংবাদিকদের প্রতি তাদের এই অবস্থান বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল দেশের জন্যই প্রযোজ্য।
তিনি বলেন, এই করোনা মহামারির মাঝেও বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকরা দারুণভাবে কাজ করে গেছেন। বিশ্বের যেখানেই হোক, তাদেরকে নিজ কাজ সঠিকভাবে করতে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার মুক্তি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে টিআইবি
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার আদালত সাংবাদিক রোজিনাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ। বৃহস্পতিবার তার জামিন শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
৩ বছর আগে