আইসিসি
জটিল সমীকরণ সামনে রেখে বোলিংয়ে ইংল্যান্ড
সেমি-ফাইনালের জায়গা পোক্ত করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। এদিন টস ভাগ্য ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারের দিকে গিয়েছে।
রবিবার (২৩ জুন) ব্রিজটাউনে সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র ও ইংল্যান্ড। এই ম্যাচে স্বাগতিকদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন বাটলার।
প্রথম দুই রাউন্ডে মিশ্র পারফরম্যান্সে শেষ রাউন্ডে এসে জমে উঠেছে এই গ্রুপের ম্যাচদুটি। যেকোনো দিকে হার-জিতে সেমির ভাগ্য খুলে যেতে পারে যেকোনো দলের। এমন জটিল সমীকরণ মাথায় নিয়ে চ্যাম্পিয়নদের মোকাবিলা করতে মাঠে নেমেছে স্বাগতিকরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সুপার এইটের প্রথম ম্যাচ জিতলেও পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারে ইংল্যান্ড। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি তাই সেমি-ফাইনালে যেতে দলটির জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম দুই ম্যাচে হেরে খাদের কিনারায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে কাগজে-কলমে এখনও সেমিতে ওঠার সম্ভাবনা টিকে আছে তাদের। সেক্ষেত্রে আজকের ম্যাচে বড় জয়ের বিকল্প নেই স্বাগতিকদের সামনে।
আরও পড়ুন: ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের দুর্দান্ত জয়
এই গ্রুপে দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এছাড়া ইংল্যান্ড ও উইন্ডিজরা একটি করে ম্যাচ জেতায় সেমি-ফাইনাল এখনও উন্মুক্ত রয়েছে প্রতিটি দলের জন্যই।
সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করতে আজকের ম্যাচটি শুধু জিতলেই হচ্ছে না ইংল্যান্ডের। সোমবার ক্যারিবীয়দের মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই ম্যাচের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের। প্রোটিয়ারা ম্যাচটি জিতে গেলে কোনো হিসাব ছাড়াই সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড। তবে ইংল্যান্ড জিতলে এবং দক্ষিণ আফ্রিকা হারলে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায় নিশ্চিত করে বাকি তিন দলেরই পয়েন্ট হবে ৪। সেক্ষেত্রে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকা দুই দল উঠবে সেমিতে।
আবার, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইংলিশদের হারায়, আর দক্ষিণ আফ্রিকা ক্যারিবীয়দের হারায়, তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সরাসরি সেমির টিকিট পেলেও বাকি তিন দলের পয়েন্ট হবে ২ করে। ফলে নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের যে কারও সেমি-ফাইনাল ভাগ্য খুলে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: অসাধারণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেও হারল যুক্তরাষ্ট্র
ইংল্যান্ড একাদশ: ফিলিপ সল্ট, জস বাটলার (অধিনায়ক), জনি বেয়ারস্টো, হ্যারি ব্রুক, মঈন আলী, লিয়াম লিভিংস্টোন, স্যাম কারান, ক্রিস জর্ডান, জোফরা আর্চার, আদিল রশিদ ও রিস টপলি।
যুক্তরাষ্ট্র একাদশ: স্টিভেন টেইলর, অ্যান্ড্রিস গাউস, নীতীশ কুমার, অ্যারন জোন্স (অধিনায়ক), কোরি অ্যান্ডারসন, মিলিন্দ কুমার, হারমিত সিং, শ্যাডলি ভ্যান শালকউইক, নস্টুশ কেনজিগে, আলী খান ও সৌরভ নেত্রাভালকার।
৪ মাস আগে
সুপার এইটের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র
কানাডাকে হারিয়ে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উন্মোচন করা স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘটায় অঘটন। শক্তিশালী পাকিস্তানকে হারিয়ে দুইয়ে দুই হয়ে যায় তাদের। এবার ক্রিকেটে নবাগত দেশটির সামনে ভারত।
আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডকে সুযোগই দিল না ভারত
আর এক ম্যাচ জিতলেই প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়েই সুপার এইট নিশ্চিত হয়ে যাবে- এমন সমীকরণ নিয়ে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ভারতের সামনেও একই সমীকরণ।
বুধবার নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
এই ম্যাচে ভারতের জয় দেখতে উদগ্রীব হয়ে থাকবে পাকিস্তান ও দলটির ভক্তরা। কারণ যুক্তরাষ্ট্র জিতলেই পাকিস্তানের সুপার এইট খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে। তবে ভারত হারলেও শেষ ম্যাচে কানাডাকে হারিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করার সুযোগ থাকবে।
এই ম্যাচে ভারতের একাদশ অপরিবর্তিত থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে। মোনাঙ্কের পরিবর্তে শায়ান জাহাঙ্গীর এবং নস্টুশের পরিবর্তে শ্যাডলি ভ্যান শাল্কউইককে নিয়ে মাঠে নামছেন অ্যারন জোন্স।
ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, ঋষভ পান্ত, সূর্যকুমার যাদব, শিবম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, জাসপ্রীত বুমরাহ, আরশদীপ সিং, মোহাম্মদ সিরাজ।
যুক্তরাষ্ট্র একাদশ: স্টিভেন টেলর, শায়ান জাহাঙ্গীর, অ্যান্ড্রিস গাউস, অ্যারন জোন্স (অধিনায়ক), নীতীশ কুমার, কোরি অ্যান্ডারসন, হারমিত সিং, শ্যাডলি ভ্যান শাল্কউইক, জসদীপ সিং, সৌরভ নেত্রাভালকার, আলী খান।
৪ মাস আগে
এক পরিবর্তন নিয়ে ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তান
শেষ আটে ওঠার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে পরবর্তী দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয়ের বিকল্প নেই পাকিস্তানের। এমন সমীকরণ নিয়ে কানাডার বিপক্ষে মাঠে নেমেছে পাকিস্তান।
মঙ্গলবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে কানাডাকে শুরুতে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম।
প্রথম ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে চনমনে রয়েছেন কানাডার খেলোয়াড়রা। ম্যাচের আগেও পাকিস্তানকে ‘ভয় পাচ্ছি না’ বলে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির অধিনায়ক সাদ বিন জাফর।
এদিকে, একাদশে একটি পরিবর্তন এনে মাঠে নামছেন বলে জানিয়েছেন বাবর আজম। ইফতেখার আহমেদের পরিবর্তে সিয়াম আইয়ুবকে খেলাচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন: শেষ আটে যেতে পাকিস্তানের সামনে যে সমীকরণ
পাকিস্তান একাদশ: মোহাম্মদ রিজওয়ান, সাইম আইয়ুব, বাবর আজম (অধিনায়ক), ফখর জামান, উসমান খান, শাদাব খান, ইমাদ ওয়াসিম, শাহীন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ, মোহাম্মদ আমির।
কানাডা একাদশ: অ্যারন জনসন, নবনীত ধালিওয়াল, পরগাট সিং, নিকোলাস কিরটন, শ্রেয়াস মোভা, রবিন্দরপাল সিং, সাদ বিন জাফর (অধিনায়ক), ডিলন হেইলিগার, কলিম সানা, জুনায়েদ সিদ্দিকী, জেরেমি গর্ডন।
৪ মাস আগে
বাংলাদেশের হারে ‘আইসিসির আইনকে’ কাঠগড়ায় তুললেন বিশ্লেষকরা
মাত্র চার রানে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার পর আইসিসির আইন নিয়ে সমালোচনা করেন তৌহিদ হৃদয়। ম্যাচশেষে হতাশ কণ্ঠে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আইন তো আর আমার হাতে নেই।’
সোমবার (১০ জুন) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আম্পায়ারের একটি ভুল সিদ্ধান্তে চার রান পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় টাইগাররা। কাকতালীয়ভাবে ওই চার রানেই হেরেছে বাংলাদেশ।
ঘটনাটি সপ্তদশ ওভারের। ওটনিয়েল বার্টম্যানের একটি ডেলিভারি মাহমুদউল্লাহর প্যাডে লেগে পেছন দিয়ে সীমানা পার হয়ে যায়। তবে বল প্যাডে লাগার পর ফিল্ডারদের দুর্বল আবেদনেও আঙুল তুলতে দেরি করেননি আম্পায়ার। পরে রিভিউ নিয়ে অবশ্য বেঁচে যান মাহমুদউল্লাহ। তবে ওই চার রান আর বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে যোগ হয়নি।
আইসিসির নিয়ম অনুসারে, আম্পায়ার আউট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বলটি ডেড বল হিসেবে গণ্য হবে। ফলে চার রান থেকে বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। অথচ বলটি আউট ছিল না।
আরও পড়ুন: নিজের আউটটি এখনও পোড়াচ্ছে তৌহিদ হৃদয়কে
এই নিয়মের কঠোর সমালোচনা করেছেন বেশ কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটার।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্ষোভ ঝেড়েছেন তামিম। তিনি বলেন, ‘আইসিসি চাইলেই এই আইন পরিবর্তন করে বিতর্ক এড়াতে পারে।’
এই ধরনের পরিস্থিতিতে বলের গতিবিধি ও ব্যাটারদের রান নেওয়া পর্যন্ত আম্পায়ার অপেক্ষা করতে পারেন বলে মত তার।
‘আপনার হাতে তো সময় আছে। আপনি চাইলেই ২ সেকেন্ড অপেক্ষা করে দেখতে পারেন, বল কোথায় যাচ্ছে, বাউন্ডারি হলো কি না। এসব দেখেও আপনি সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন।’
তামিমের মতে, ব্যাটসম্যান যদি আউট না হন, তাহলে ওই বলে হওয়া রান দেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘আমার কথা হয়তো সমর্থকদের মতো শোনাচ্ছে। তবে চিন্তা করলে দেখবেন, ওই ৪ রান খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারত। ধারাভাষ্যকাররাও এটি নিয়ে কথা বলছিলেন।
‘আমি মনে করি, আইসিসি এ ব্যাপারে ভেবে দেখতে পারে। চাইলেই এটি এড়ানো সম্ভব। এমন নয় যে, খুব বড় কোনো পরিবর্তন করতে হবে তাদের।’
ক্রিকইনফোর ওই আয়োজনে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক বোলার মরনে মরকেলের কণ্ঠেও শোনা যায় একই সুর।
তামিমের কথায় সমর্থন দিয়ে তিনি বলেন, ‘এমন হলে (পরিবর্তন) ফিল্ডাররাও বাউন্ডারি বা এক-দুই রানগুলো ঠেকানোর চেষ্টা করবে। খেলায় অবশ্যই কিছু একটা পরিবর্তন প্রয়োজন। আশা করছি, বিশ্বকাপের পর এটি নিয়ে ভাবা হবে।’
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাকিস্তানের সাবেক পেসার ওয়াকার ইউনুসও এই নিয়মের সমালোচনা করেছেন।
আইসিসির নিয়মের বলি হয়ে বাংলাদেশের হারে আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘এলবিডব্লিউতে ডেড বলের বিতর্কিত নিয়মটির ব্যাপারে (আইসিসির) পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এ কারণে একটি অল্প রানের থ্রিলার ম্যাচ (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) হেরে গেল বাংলাদেশ।’
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের অভিযোগে প্রথম সাড়া দেন হৃদয়। তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, এত টানটান একটি ম্যাচে আমাদের জন্য এটা একেবারেই ভালো কল ছিল না। আম্পায়ার আউট দিয়েছিলেন, কিন্তু এটা আমাদের জন্য বেশ খরুচে হয়ে গেল। এই চার রান পেলে ম্যাচের দৃশ্যপট বদলে যেতে পারত।’
আরও পড়ুন: উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে হেরে গেল বাংলাদেশ
তিনি বলেন, ‘এই ধরনের একটি ভেন্যুতে যেখানে লো স্কোরিং ম্যাচ হচ্ছে, এই চার রান বা দুটি ওয়াইডের কল, যা আমাদের পক্ষে দেওয়া হলো না- এমন জায়গাগুলোতে (আম্পায়ারের) আরও উন্নতির জায়গা আছে।’
ক্রিকবাজের ম্যাচ-পরবর্তী আলোচনায়ও এ বিষয়টি নিয়ে বিশদ ব্যাখ্যা দেন নিউ জিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার ও প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার সাইমন ডুল।
তিনি বলেন, ‘একবার ভাবুন তো, ফাইনাল ম্যাচে এমন কিছু হলো আর ভারত এর ভুক্তভোগী!
‘আমি জানি, খেলার নিয়ম পুরোপুরি বদলে ফেলা কঠিন। তবে এটা তেমন কোনো আইন নয়। কিছু একটা পরিবর্তন অবশ্যই দরকার।
‘ওই বল কোনোভাবেই স্ট্যাম্পে লাগত না, অথচ আম্পায়ার সঙ্গে সঙ্গে আঙুল তুলে দিলেন। এটা অনেকটা বন্দুকের ট্রিগারে চাপ দেওয়ার মতো। খুবই বাজে সিদ্ধান্ত ছিল।’
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষ প্রথম ম্যাচে জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচটি হেরে খানিকটা পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এতে বাকি তিন দলেরই লাভ হয়েছে। শেষ আটে উঠতে তাই আগামী ১৩ ও ১৬ জুন যথাক্রমে নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে।
৪ মাস আগে
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব পাস
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির একটি আইন পাস হয়েছে।
গত মাসে ইসরায়েল ও হামাসের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে আইসিসির এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। এরপর ২৪৭টি ‘হ্যাঁ’ ভোটে (১৫৫টি ‘না’ ভোট) প্রস্তাবটি পাস হয়। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করলেও যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের প্রতি ঐক্য প্রদর্শনেরই প্রকাশ।
অবশ্য, মঙ্গলবার সিনেটে প্রস্তাবটি সমালোচিত হওয়ার পর তা সামান্য ব্যবধানে সমর্থন পেয়েছে। ‘বাড়াবাড়ি’ হিসেবে উল্লেখ করে হোয়াইট হাউস থেকেও এই আইনের বিরোধিতা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলের নেতারাই বলছেন, প্রশ্নবিদ্ধ এই বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নেই এবং এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে আরও আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাইডেনের গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সমর্থন করতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
রিপাবলিকান পার্টির মুখপাত্র ও বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির সভাপতি মাইক ম্যাককল বলেন, ‘এই কমিটিতে, বিশেষ করে জাতি হিসেবে আমরা যখন কথা বলি, তখন আমরা সবসময় এক ও শক্তিশালী; আইসিসি ও বিচারকদের বিষয়েও তা ভিন্ন নয়। পক্ষপাতমূলক বিল উত্থাপন আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা এখানেই আছি।’
তবে বিলটির বিরুদ্ধে প্রশাসনের বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাট মিলার।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি যে আইসিসির গৃহীত সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেও আমরা এটাকে (বিল) উপযুক্ত মনে করি না, বিশেষ করে যখন ইসরায়েলের ভেতরে চলমান তদন্ত চলছে। (আইসিসির সিদ্ধান্তের) প্রতিক্রিয়ায় আমাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) জবাব কেমন হবে, সে বিষয়ে আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করতে চাই। তবে আমরা নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করি না।’
আইসিসি ও আন্তর্জাতিক বিচার আদালত উভয়ই গাজায় গত সাত মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে হামাস ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ওঠা গণহত্যার অভিযোগের তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন: বাইডেনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে উভয়সংকটে নেতানিয়াহু
গত মাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্ট এবং তিনি হামাস নেতা- ইয়াহিয়া শিনওয়ার, মোহাম্মদ দেইফ ও ইসমাইল হানিয়াকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করেন আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান।
নেতানিয়াহু ও অন্যান্য ইসরায়েলি নেতারা আইসিসির এই পদক্ষেপকে ‘লজ্জাজনক ও ইহুদিবিরোধী’ বলে নিন্দা করেন। ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার সমর্থন করে আইসিসিকে কাঠগড়ায় তোলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ দেশটির কংগ্রেস সদস্যরাও।
উল্লেখ্য, ইসরায়েল আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র নয়। ফলে ওই পরোয়ানায় নেতানিয়াহু বা দেশটির কোনো নেতার গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কারণে বৈদেশিক সফর করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন তারা।
আরও পড়ুন: যুদ্ধাপরাধে ইসরায়েল ও হামাসের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের আবেদন
৪ মাস আগে
যেসব ভেন্যুতে আয়োজিত হচ্ছে ২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ
১ জুন থেকে শুরু হয়েছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। সর্বমোট ৫৫টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচের এই টুর্নামেন্ট চলবে আগামী ২৯ জুন পর্যন্ত। যৌথভাবে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নির্ধারিত ৯টি ভেন্যুর মধ্যে ৩টি ইউএসএর- টেক্সাস, নিউইয়র্ক, এবং ফ্লোরিডায়। আর ৬টি ক্যারিবিয়ান ভেন্যু- অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা, বার্বাডোস, গায়ানা, সেন্ট লুসিয়া, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো এবং সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন্স। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপভোগের পাশাপাশি শহরগুলোর দর্শনীয় স্থানগুলোও আকৃষ্ট করছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। চলুন, আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ ২০২৪ আয়োজনকারী স্টেডিয়ামগুলোর অবস্থান ও এর আশেপাশের পর্যটন স্থানগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-
যে স্টেডিয়ামগুলোতে বসছে ২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপের আসর
গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়াম, টেক্সাস
২০০৮ সালে চালু হওয়া এই স্টেডিয়ামটি ২০১৯ সাল পর্যন্ত বেসবল খেলার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এর মাঝে ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সকার ইউনাইটেড সকার লিগ-২ এখানে তাদের ম্যাচগুলো মঞ্চস্থ করে। এরপর সংস্কারের পর ২০২৩ সালে মাঠটিতে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম ক্রিকেট ম্যাচ। টেক্সাসের ডালাস কাউন্টির গ্র্যান্ড প্রেইরি শহরের লোন স্টার পার্কওয়েতে অবস্থিত মাঠটির বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৫ হাজার।
হলিউডের ওয়েস্টার্ন ছবির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পাওয়া ডালাস কাউবয়ের দেখা মিলবে ডাউনটাউন থেকে ১৩ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বের টেক্সাস হর্স পার্কে। অদ্ভূত এক ঐতিহাসিক দিগন্তের দেখা পাওয়া যাবে ডিলি প্লাজার ষষ্ঠ তলা জাদুঘর, জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরি ও মিউজিয়ামে। এছাড়া রিইউনিয়ন টাওয়ার জিও-ডেকের ১৭০-মিটার-উচ্চতার ওয়াচ টাওয়ার থেকে সমগ্র ডালাসের দৃশ্য সত্যিই শ্বাসরুদ্ধকর!
পেরোট মিউজিয়াম অব ন্যাচার অ্যান্ড সায়েন্সের অসাধারণ রত্ন সংগ্রহ এবং ডাইনোসর একচেটিয়াভাবে আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।
নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, নিউ ইয়র্ক
৩৪ হাজার দর্শকের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন সদ্যনির্মিত এই ক্রিকেট গ্রাউন্ড মূলত সর্বাঙ্গীনভাবে একটি মডুলার স্টেডিয়াম। ৩ জুন শ্রীলঙ্কা বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট লড়াইয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে এই ভেন্যুর প্রথম ম্যাচ। মডুলার অবকাঠামোর এই অতিকায় মাঠটির অবস্থান নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডের ইস্ট মেডোতে আইজেনহাওয়ার পার্কের মাঠে।
এর আশেপাশে ভ্রমণের জন্য প্রথমেই যাত্রা শুরু করতে হবে লং বিচ থেকে। এই সৈকতে পাওয়া যাবে সার্ফিংসহ বিভিন্ন রোমাঞ্চকর কার্যকলাপের সুযোগ। ক্যাপট্রি স্টেট পার্কে নৌকা ভাড়া ফায়ার আইল্যান্ড ভ্রমণের সময় মাছ ধরা যায়। তবে রোমাঞ্চের ষোল আনা পূর্ণ হবে পায়ে হেঁটে ৩০০ বছরের পুরনো বন সানকেন পেরুনোর সময়।
সামার হোয়াইট হাউস, ওয়াশিংটন স্পাই ট্রেইল এবং গোল্ড কোস্ট ম্যানশনগুলোকে অনুসরণ করার সময় পশ্চিমের পুরো অতীতটা রীতিমতো লাফ দিয়ে চোখের সামনে এসে দাঁড়াবে। বলাবাহুল্য যে, স্ট্যাচু অব লিবার্টি এবং এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং দেখে না এলে এই ভ্রমণটা পুরো বৃথাই যাবে।
সেন্ট্রাল ব্রোওয়ার্ড পার্ক এবং ব্রোওয়ার্ড কাউন্টি স্টেডিয়াম, ফ্লোরিডা
এই লডারহিল ভেন্যু হলো সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত ইউএস ক্রিকেট ভেন্যু, যা উন্মুক্ত করা হয়েছিল ২০০৭ সালের ৯ নভেম্বর। এটি ফ্লোরিডার লডারহিলের একটি বৃহৎ কাউন্টি পার্ক এবং ইউএসএর প্রধান দুটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মধ্যে একটি। স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা ২৫ হাজার।
গ্রেটার ফোর্ট লডারডেলের ৩৭ কিলোমিটার সোনালি তীরবর্তী অঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করা যায় ৮টি উপকূলবর্তী শহরে। এখানকার আকর্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ঘাসের নদী’ নামে খ্যাত জলাবদ্ধ তৃণভূমিতে কুমির দেখা, বাটারফ্লাই ওয়ার্ল্ডের বিশ্বের বৃহত্তম প্রজাপতি বাগান এবং হামিংবার্ড।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারেন যারা
দক্ষিণে গেলে চোখে পড়বে প্রাণবন্ত মিয়ামি শহরের আদিম সমুদ্র সৈকত। এ পথে হাজির হবে আফ্রো-অ্যামেরিকান ইতিহাস সমৃদ্ধ ওভারটাউন, সাউথ ডেডের মিকোসুকি নেটিভ-আমেরিকান সংস্কৃতি এবং লিটল হাভানার কিউবান সম্প্রদায়।
স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম, অ্যান্টিগুয়া এবং বার্বুডা
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ নাম স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের নামানুসারে নামকরণ হয়েছে এই স্টেডিয়ামটির। এর গোড়াপত্তন হয়েছিল ২০০৭ সালে তৎকালীন ৫০ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপকে উদ্দেশ্য করে। সেন্ট জর্জের নর্থ সাউন্ডে অবস্থিত স্টেডিয়ামটিতে ১০ হাজার লোকের জায়গা দিতে পারে।
এর আশেপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে পর্যটকদের প্রথম আকর্ষণ হচ্ছে সেন্ট জর্জ প্যারিস চার্চ। এই অ্যাংলিকান চার্চটি স্থাপিত হয়েছিল ১৭৮৪ সালে। এরপরেই দেখা যেতে পারে ২০ হাজারেরও বেশি প্রজাতির অর্কিডসমৃদ্ধ অর্কিড ওয়ার্ল্ড। প্রশান্তিদায়ক বাগানগুলো প্রদর্শন করতে প্রায় এক ঘণ্টা লেগে যায়। পুরনো আমলে ঘরবাড়ি দেখার জন্য সেরা জায়গা হচ্ছে ফ্রান্সিয়া প্ল্যান্টেশন হাউস। এটি প্রাচীনতম মানচিত্র সংগ্রহের জন্য বিখ্যাত।
কেন্সিংটন ওভাল, বার্বাডোস
১৮৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর কেন্সিংটন ওভালে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ১৮৯৫ সালে। বার্বাডোসের ব্রিজটাউনের পশ্চিম অংশে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে ২৮ হাজার লোকের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। এই ধারণক্ষমতা ওভালকে ক্যারিবীয় অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ভেন্যুতে পরিণত করেছে।
এই দ্বীপাঞ্চলটির পশ্চিম দিকে রয়েছে কার্লাইল বে, যেটি সূর্যাস্ত দেখার জন্য জনপ্রিয় স্থান। তুষার-শুভ্র বালি ও ঢেউ খেলানো তালগাছের এই সৈকত ইউনেস্কো মনোনীত মেরিন পার্কের অংশ।
বার্বাডোসের এই অঞ্চলটাতে পাওয়া যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা সব খাবারগুলো। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশতেই রয়েছে মাছের আধিক্য। বিশেষ করে বাজান এবং গ্রিলড মাহি মাহি এখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবার।
বার্বাডোস মিউজিয়াম ও হিস্টোরিক্যাল সোসাইটি ভ্রমণের সময় দেখা মিলবে ৫ লক্ষেরও বেশি পুরনো স্থাপত্যের নিদর্শন।
আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ আসরের সমাপনী খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে।
প্রোভিডেন্স স্টেডিয়াম, গায়ানা
২০০৭ সালে বোর্ডা বা জর্জটাউন ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডটি পুনর্স্থাপন করে বানানো হয় প্রোভিডেন্স স্টেডিয়াম। এটি নির্মিত হয়েছিল তৎকালীন ক্রিকেট বিশ্বকাপের সুপার এইট ম্যাচ আয়োজনের জন্য। গায়ানার ডেমিরারা-মাহাইকা অঞ্চলের প্রোভিডেন্সে অবস্থিত এই ভেন্যুতে ২০ হাজার আসনের ব্যবস্থা রয়েছে।
গায়ানার অত্যাশ্চর্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে সেন্ট জর্জ ক্যাথেড্রাল, যেটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু কাঠের বিল্ডিংগুলোর একটি। এর গথিক-শৈলী, সূক্ষ্ম নকশার কাঁচের জানালা, অদ্ভুত বেদী এবং কাঠের খিলানযুক্ত সিলিং দর্শনার্থীদের বিস্ময়ের খোরাক জোগায়।
জর্জটাউন বোটানিক্যাল গার্ডেনে স্বাগত জানাবে বিচিত্র ধরনের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় উদ্ভিদ। শাপলা পুকুর, পাম এবং অর্কিড দেখতে দেখতে হেঁটে যাওয়ার সময় চমকে দিতে পারে নাম না জানা পাখিরা।
গায়ানার স্থানীয় সঙ্গীতের সুধা নিতে যেতে হবে রয় গেডেস স্টিল প্যান মিউজিয়ামে। এখানকার স্টিলের প্যানের সংগ্রহে মিশে রয়েছে গায়ানার বিবর্তনের ইতিহাস।
ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট গ্রাউন্ড, সেন্ট লুসিয়া
এই মাঠটির সঙ্গে মিশে রয়েছে ২০১২ এবং ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরপর ২ বার আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের ইতিহাস। প্রথমে ২০০২ সালে উদ্বোধনের সময় পার্শ্ববর্তী পাহাড়গুলোর নামানুসারে এর নাম রাখা হয়েছিল বিউসজোর ক্রিকেট গ্রাউন্ড। কিন্তু পরবর্তীতে সেই দুটি বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক অলরাউন্ডার ড্যারেন স্যামির সম্মানে ২০১৬ সালে মাঠটির নাম পরিবর্তন করা হয়।
আরও পড়ুন: ঝড়ে ক্ষতবিক্ষত টি-২০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের স্টেডিয়াম
সেন্ট লুসিয়ার গ্রস আইলেটের কাছে অবস্থিত এই মাঠটির ধারণক্ষমতা ১৫ হাজার। স্টেডিয়ামটি রডনি বে-এর পর্যটন রিসোর্টের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। বিলাসবহুল ইয়ট এবং পালতোলা জাহাজে সব সময়ই ব্যস্ত থাকে রডনি বে মেরিনা। এখানে রয়েছে স্থানীয় রন্ধনশিল্পের দর্শনধারী বাহারি সব রেস্তোরাঁ।
পিজিয়ন আইল্যান্ড ন্যাশনাল পার্কে ঢোকার পর থেকে সামনে পড়বে ফোর্ট রডনিসহ ঐতিহাসিক সব সামরিক ধ্বংসাবশেষ। এর সঙ্গে উপকূলের নজরকাড়া দৃশ্যে চোখ রেখে নৈসর্গিক ট্রেইল ধরে চলে যাওয়া যাবে সিগন্যাল পিক পর্যন্ত।
ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমি, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
২০১৭ সালে চালু হওয়া এই স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন অধিনায়ক ব্রায়ান লারার নামে। লারা ২০০৮ সালের ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে সর্বকালের শীর্ষস্থানীয় রান সংগ্রহকারী ছিলেন। দক্ষিণ ত্রিনিদাদের সান ফার্নান্দোর উপকণ্ঠের তারৌবাতে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে আসন রয়েছে মোট ১৫ হাজার।
ত্রিনিদাদের নান্দনিক সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে ওয়েস্টার্ন মেইন রোড ধরে গেলে। এখানে রাস্তার পাশের খাবারের দোকানসহ রয়েছে রঙিন বাজার। স্থানীয় খাবারের পাশাপাশি এই দোকানগুলো স্যুভেনির কেনার জন্যও বেশ উপযুক্ত।
কুইন্স পার্ক সাভানার চারপাশ জুড়ে গাছ-গাছালি এবং নানা ঐতিহাসিক নিদর্শনের বেষ্টনী। এছাড়াও রয়েছে ঔপনিবেশিক যুগের প্রাসাদ এবং রাজকীয় বোটানিক্যাল গার্ডেন।
আর্নোস ভ্যালে স্টেডিয়াম, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন্স
১৯৮১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ইংল্যান্ডের একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করা হয় স্টেডিয়ামটি। সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনের কাছেই অবস্থিত আর্নোস ভ্যালের ধারণক্ষমতা ১৮ হাজার।
এখানকার কাছাকাছি পর্যটন স্থানের মধ্যে রয়েছে কিংসটাউন বোটানিক্যাল গার্ডেন। বেশ পুরনো আমলের হলেও এখানে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় গাছপালা এবং ফুলগুলো সুবিন্যস্ত করে সাজানো। এগুলোর মাঝে শোভা পায় বিখ্যাত ব্রেডফ্রুট গাছ।
১৮ শতকের একটি সুসংরক্ষিত ঐতিহাসিক দুর্গ কিংসটাউনের ফোর্ট শার্লট। অদূরে উপকূলরেখার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য হাতছানি দিয়ে ডাকে। অন্যদিকে প্রাচীর এবং কামানগুলো মনে করিয়ে দেয় দ্বীপের ঔপনিবেশিক অতীতের কথা। সেই আবহ হৃদয়ে ধারণ করেই প্রবেশ করা যেতে পারে সামরিক যাদুঘরে।
শেষাংশ
২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজনকারী এই স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে সর্বাধিক প্রাচীন কেন্সিংটন ওভাল। আশির দশকে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের তীর্থস্থান হিসেবে স্থানীয় সংস্কৃতিকে বহন করে চলেছে আর্নোস ভ্যালে। সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামির ধূলোতে লেগে রয়েছে বিংশ শতকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঐতিহাসিক অর্জনের পরশ। ২০০৭ সাল স্মরণীয় হয়ে আছে একই সঙ্গে সাথে প্রোভিডেন্স, স্যার ভিভ রিচার্ডস, এবং সেন্ট্রাল ব্রোওয়ার্ড পার্কের উদ্বোধনের বর্ষ হিসেবে। আর পরের বছরেই চালু হওয়া গ্র্যান্ড প্রেইরি সবচেয়ে দর্শনীয় জায়গাগুলোর সান্নিধ্যে রয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর আমেরিকান দেশটির ল্যান্ডমার্কে পরিণত হয়েছে ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমি। অতঃপর আদ্যোপান্ত মডুলার স্টেডিয়াম হিসেবে সর্বপ্রথম ক্রিকেট গ্রাউন্ডের বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করল নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ
৪ মাস আগে
ক্রিকেটার নাসির ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ: আইসিসি
দুর্নীতি দমন আইন লঙ্ঘনের দায়ে দুই বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রম থেকে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার নাসির হোসেনকে নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি)।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) তার নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি।
৩২ বছর বয়সী নাসিরের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আইসিসির আনা তিনটি অভিযোগ স্বীকার করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটার নাসির-তামিমার বিয়ে অবৈধ: পিবিআই
অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- ৭৫০ ডলারের বেশি মূল্যের উপহার প্রকাশ না করা- বিশেষ করে একটি নতুন আইফোন ১২। তার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় অভিযোগটি হলো আইফোন-১২ এর মাধ্যমে দুর্নীতিতে জড়িত হওয়ার আমন্ত্রণ সম্পর্কিত সম্পূর্ণ বিবরণ প্রকাশ না করা এবং তৃতীয় অভিযোগটি হলো তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার তদন্তে সঠিক ও সম্পূর্ণ তথ্য সরবরাহ করতে অস্বীকারের মাধ্যমে অসহযোগিতা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটার নাসির ও তার স্ত্রী-শাশুড়ির জামিন, চার্জ গঠন ২৪ জানুয়ারি
একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবে নাসির ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ফরম্যাটে ১১৫টি ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন। এই সময়ে ৩৯টি উইকেটসহ তার ক্যারিয়ারে যোগ করেন ২ হাজার ৬৯৫ রান। আন্তর্জাতিক বিরতি সত্ত্বেও ঘরোয়া অঙ্গনে সক্রিয় ছিলেন তিনি। এছাড়া সম্প্রতি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলেছেন নাসির।
নাসিরের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল। তবে নিষেধাজ্ঞার স্থগিত অংশের জন্য নির্ধারিত শর্ত পূরণ করলে নাসির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবারও ফিরতে পারবেন।
আরও পড়ুন: বিসিবি সভাপতির মেয়াদ আরও ১ বছর বাড়ানোর ইঙ্গিত পাপনের
৯ মাস আগে
আইসিসি বিশ্বকাপ ট্রফি উন্মোচন,বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের উচ্ছাস
মুশফিকুর রহিম গর্বিতভাবে দীপ্তিময় হাসিমাখা মুখে আইসিসি বিশ্বকাপ ট্রফি একটি অস্থায়ী মঞ্চে উপস্থাপনের সময় তার নিখুঁত আনন্দ প্রকাশ পায়।
চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসন্ন আইসিসি বিশ্বকাপের দিকে এগিযে যাওয়া বৈশ্বিক সফরের অংশ হিসাবে আকর্ষণীয় ট্রফিটি বিশ্ব ভ্রমণ করছে। বর্তমানে মর্যাদাপূর্ণ ট্রফিটি বাংলাদেশে রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে স্বপ্নের ট্রফিটি হোম অফ ক্রিকেট ঢাকার শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আনা হয়। এসময় মুশফিক ট্রফিটি বহন করে অস্থায়ী ডিসপ্লে টেবিলে রাখার সম্মান পেয়েছিলেন।
জাতীয় দলের সদস্যরা ট্রফিটি দেখতে এবং এর সঙ্গে মুহূর্তগুলো ছবিতে ফ্রেমবন্দি করতে আজ ঢাকার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ ভেন্যু: ভারতের যে স্টেডিয়ামগুলোতে খেলা হবে
ট্রফির পাশে পোজ দেওয়ার সময় মুশফিকুর অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি অবিশ্বাস্যভাবে ভাগ্যবান মনে করি যে চারটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি। আমরা আমাদের আগের বিশ্বকাপ অর্জনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষী ভাল পারফরম্যান্সের বিশ্বাস রাখি।’
বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দল টাইগারদের আরও ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারদর্শী হতে হবে বলেও জোর দেন মুশফিক।
মুশফিক আরও খোলামেলাভাবে বলেন, ‘খেলায় শক্তিশালী শুরুটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গত ৪ থেকে ৫ বছরে আমরা ওয়ানডেতে ব্যতিক্রমী ক্রিকেট প্রদর্শন করেছি। আসন্ন বিশ্বকাপ উদীয়মান খেলোয়াড়দের তাদের দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ দেয়। আমাদের স্কোয়াডে রয়েছে প্রতিভাবান তরুণ এবং অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সংমিশ্রণ। আমি আশাবাদী যে তারা কার্যকরভাবে সহযোগিতা করবে।’
আরও পড়ুন: লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমে ডাক পেয়েছেন তাসকিন ও তৌহিদ
বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে ফটো সেশনে আরও উচ্ছাস দেখালেন ডানহাতি ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ।
তাসকিন বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে আমাদের পেস ইউনিট নিরলস প্রচেষ্টা বিনিয়োগ করেছে।’‘আমাদের পেস ইউনিট সম্মিলিতভাবে ভালো পারফর্ম করছে এটা শুনে সত্যিই আনন্দ লাগছে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আগামী বছরগুলোতে আমরা আমাদের বর্তমান অর্জনগুলোকে ছাড়িয়ে যেতে পারব।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট কিংবদন্তি ও বাংলাদেশের স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ। তিনি ভারতে এই বছরের বিশ্বকাপে স্পিনারদের যে মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে তা তুলে ধরেন।
তিনি নিশ্চিত করেছেন যে ‘আমি বিশ্বাস করি যে সাকিব (আল হাসান) এবং মেহেদি হাসান মিরাজের মতো স্পিনাররা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’ ‘বর্তমানে আমরা একটি প্রস্তুতিমূলক ক্যাম্প পরিচালনা করছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের স্পিন খেলোয়াররা আমাদের পথে আসা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য সুসজ্জিত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তামিম
বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে ফটো সেশনে শুধু পুরুষ জাতীয় দলের সদস্যরা নয়, বাংলাদেশ মহিলা দলের ক্রিকেটাররাও অংশগ্রহণ করেছিলেন।
মহিলা দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি তার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, উল্লেখ করেছেন যে পুরুষ দল ওয়ানডেতে প্রশংসনীয় পারফরম্যান্স করেছে, যা এই বছরের বিশ্বকাপের প্রত্যাশা বাড়িয়েছে।
আকর্ষণীয় বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে ফটো তোলার জন্য যোগ দিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান, নাইমুর রহমান এবং খালেদ মাহমুদও।
বিশ্বকাপের ট্রফিটি আগামীকাল ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে প্রদর্শন করা হবে, যা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রোগ্রামটি সকাল ১১টায় শুরু হবে এবং রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। জনসাধারণ আকর্ষণীয় ট্রফি সরাসরি দেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেলেন তাসকিন
১ বছর আগে
যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের মামলা নিষ্পত্তি করুন: আইসিসির প্রসিকিউটরকে মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিশ্বের কোথাও আর কোথাও গণহত্যা না ঘটে তা নিশ্চিত করতে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সম্পর্কিত মামলা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিষ্পত্তি করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জোর প্রচেষ্টা চেয়েছেন।
মঙ্গলবার তিনি আইসিসির প্রসিকিউটর করিম এ.এ খানকে বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব মামলাটি শেষ করার জন্য আপনাদের প্রচেষ্টা করা উচিত। বিচার বিলম্বিত হলে, ন্যায়বিচারকে অস্বীকার করা হয়।’
২০১৯ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিচারকরা আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত কথিত নৃশংসতার সম্পূর্ণ তদন্ত সম্পন্ন করার অনুরোধ মঞ্জুর করেছিলেন।
তদন্ত শুরুর এই অনুমোদনকে ন্যায়বিচারের অন্বেষণ এবং সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য একটি ‘উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন’ হিসেবে মনে করা হয়; বিশেষ করে এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত অপরাধের শিকারদের জন্য।
প্রসিকিউটর অফিসের তদন্তকারীরা এখন সতর্কতার সঙ্গে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগণের সঙ্গে কী ঘটেছিল যা তাদের বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছিল কিনা- সে সম্পর্কে সত্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গা গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহি করতে হবে। ‘আমরা বলি আর কখনো গণহত্যা হবে না।’
মোমেন আরও বলেন, প্রসিকিউটর খান কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন এবং আরআরআরসি’র সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার ইস্যুতে শিগগিরই ভালো খবর পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
জন্মদিনে ফিরে দেখা: আইসিসির টুর্নামেন্টে শচীন টেন্ডুলকারের আইকনিক ১০টি মুহূর্ত
আজ জীবনের অর্ধশতক পূর্ণ করলেন ক্রিকেটের ঈশ্বরখ্যাত কিংবদন্তী ভারতীয় ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার।
ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী আসুন ৫০ তম জন্মদিন উপলক্ষে 'মাস্টার ব্লাস্টার' শচীনের আইকনিক কিছু মুহূর্ত ফিরে দেখি-
১৯৯২ বিশ্বকাপ: পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫৪ রান
১৯৯২ সালে ১৮ বছর বয়সী টেন্ডুলকার তার প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫৪ রান করে প্রথমবারেই তিনি তার জাত চিনিয়েছিলেন।
তার স্কোর ওই ম্যাচে ভারতকে ৫০ ওভারে ২১৬/৭ পৌঁছাতে সাহায্য করেছিল। পাকিস্তান সেদিন ভারতের কাছে ৪৩ রানে হেরে যায়।
১৯৯২ বিশ্বকাপ: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৪ রান
অজয় জাদেজা চোট পেয়ে অবসর নিতে বাধ্য হওয়ার পর ১০৭ বলে ৮৪ রানের এব দৃর্দান্ত ইনিংস খেলেন শচীন। ওই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৩০/৬ রান করে ভারত।
ম্যাচে শচীন তার দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন; তবে ভারত ম্যাচটি হেরে যায়।
এছাড়া শচীন তার অভিষেক বিশ্বকাপে সাত ইনিংসে তিনটি অর্ধশতক এবং ৪৭ দশমিক ১৬ গড়ে ২৮৩ রান করেছিলেন।
১৯৯৬ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯০ রান
অজিদের বিরুদ্ধে ২৫৯ রান তাড়া করতে গিয়ে ভারত ৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পরে টেন্ডুলকার দলের পক্ষে মজবুত দেয়ালের ভূমিকা রাখেন।
সেদিন ৮৪ বলে ১৪ চার ও একটি ছক্কায় ৯০ রান করেছিলেন তিনি। এছাড়া গ্লেন ম্যাকগ্রা ও শেন ওয়ার্নের মতো বিশ্বমানের বোলারদের তিনি ঘাম ছুটিয়েছিলেন।
কিন্তু মিডল অর্ডার টিকে থাকতে ব্যর্থ হয় এবং ভারত ১৬ রানে হেরে যায়।
১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অলরাউন্ডার পারফরম্যান্স
প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলেতে নেমে লিটল মাস্টার অজিদের বিপক্ষে মাত্র ১২৮ বলে ১৩টি চার ও তিনটি ছক্কায় ১৪১ রান করে ভারতকে ৩০৭/৮ পৌঁছে দেন।
এছাড়া তিনি স্টিভ ওয়া, মাইকেল বেভান এবং ড্যামিয়েন মার্টিনের মতো খেলোয়ারদের রীতিমতো নাস্তানাবুদ করেন।
১৯৯৯ বিশ্বকাপ: কেনিয়ার বিপক্ষে ১৪০ রান
বাবার মৃত্যুর কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি ম্যাচ মিস করার পর টেন্ডুলকার ১০১ বলে ১৬ চার এবং তিনটি ছক্কায় ১৪০ রান করেন।
তার রান ভারতকে ৩২৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিততে সাহায্য করে। টুর্নামেন্টে পরপর দুইটি হারের পর এ জয় তাদের আশার আলো দেখায়।
আরও পড়ুন: 'সবচেয়ে ধনী টি-টোয়েন্টি লিগ' চালু করার পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব
১ বছর আগে