আলোচনা
রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ স্থাপন নিয়ে কোনো আলোচনা এখনও হয়নি: প্রেস সচিব
কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ‘মানবিক করিডোর’ স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ কিংবা অন্যকোনো সংস্থার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ইউএনবিকে জানান, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে তথাকথিত ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি সরকার।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবস্থান হলো— যদি জাতিসংঘের নেতৃত্বে রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়, তবে বাংলাদেশ সেক্ষেত্রে যৌক্তিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: এক প্রতিবেশীকে খুশি রাখতে অন্যের সঙ্গে দূরত্ব পররাষ্ট্রনীতি হতে পারে না: উপ-প্রেস সচিব
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) তথ্যমতে, রাখাইন রাজ্যে বর্তমানে চরম মানবিক সংকট বিদ্যমান।
শফিকুল আলম জানান, বাংলাদেশ সবসময়ই সংকটকালে অন্যান্য দেশকে সহায়তা করে এসেছে, সম্প্রতি মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পরও সেখানে মানবিক সহায়তা পাঠানো হয়েছে।
রাখাইন রাজ্যে মানবিক সংকট অব্যাহত থাকলে তা বাংলাদেশে নতুন করে বাস্তুচ্যুত মানুষের ঢল নামার কারণ হতে পারে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রেস সচিব।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, জাতিসংঘের দেওয়া মানবিক ত্রাণ সহায়তা রাখাইনকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে এবং শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে।’
শফিকুল আলম জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাখাইনে সহায়তা পৌঁছানোর একমাত্র কার্যকর রুট হচ্ছে বাংলাদেশ। এ পথে ত্রাণ পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে যৌক্তিক সহায়তা দিতে সম্মত।
তবে রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যথাসময়ে এ বিষয়ে দেশের সংশ্লিষ্ট স্বত্বভোগীদের (স্টকহোল্ডার) সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’
রাখাইন রাজ্যে যোগাযোগের জন্য মানবিক করিডর দেওয়ার বিষয়ে একটি বড় শক্তির সংশ্লিষ্টতা নিয়ে যা বলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং কল্পিত অপপ্রচার বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: আ.লীগের সবার হাতে রক্ত, সেই দলে সাকিবের যাওয়া ঠিক হয়নি: প্রেস সচিব
প্রেস সচিব বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে ধারাবাহিক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণা চালানো হয়েছে, এটি তারই অংশ। এ ধরনের অপপ্রচার আমরা আগেও দেখেছি, এখনো চলছে।
২ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার দিকনির্দেশনা মেনেই আলোচনা হচ্ছে: আলী রিয়াজ
প্রধান উপদেষ্টার দিকনির্দেশনা অনুসরণ করেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি জানান, ইতোমধ্যে যেসব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে, তা প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়েছে এবং প্রত্যেকটা বিষয়ে তিনি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সংসদ ভবনের এলডি হলে পাঁচ কমিশনের দেয়া সংস্কার প্রস্তাবের ওপর মতামত নিতে বিএনপির সঙ্গে তৃতীয় দিনের মতো আলোচনার বসার আগে এসব কথা বলেন আলী রিয়াজ।
এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. ইফতেখারুজ্জামান, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আরও পড়ুন: এলডিপিকে দিয়ে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন বা সংশ্লিষ্ট কমিশন থেকে যেসব সুপারিশ পাঠানো হয়েছে, তার মধ্যে বেশকিছু বিষয়ে তাদের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রয়েছে, আবার কিছু বিষয়ে মতের ভিন্নতাও রয়েছে।’
তবে যেসব বিষয়ে মতভিন্নতা আছে তার অনেকগুলো বিষয়ে তাদের নীতিনির্ধারকদের সাথে আলোচনা করবেন এবং আমাদের জানাবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সন্ধিক্ষণে রয়েছি। সুপারিশমালার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কেবল এই টেবিল থেকে হতে পারে না। কারণ, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলোর নীতিনির্ধারকেরা নিঃসন্দেহে অংশগ্রহণ করবেন।’
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ৪ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের হয়ে আজ (মঙ্গলবার) আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ, দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং সাবেক সচিব আবু মো. মনিরুজ্জামান খান।
এর আগে, এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপি। পরে রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের সংলাপে যোগ দেয় দলটি।
প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবগুলোতে একটি অংশীদারিত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরির লক্ষ্যে ২০ মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশনকে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের উপর একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় অবস্থান তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জাতীয় ঐকমত্য গঠন হবে: আলী রীয়াজ
প্রাথমিক পর্যায়ে এটি পাঁচটি সংস্কার কমিশনের মূল সুপারিশগুলো প্রস্তুত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সাংবিধানিক, জনপ্রশাসন, নির্বাচনী, বিচার বিভাগীয় এবং দুর্নীতিবিরোধী সংস্কারগুলো। মূল সুপারিশগুলোর ওপর মতামত চেয়ে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে এর স্প্রেডশিট পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩৫ টি দল মতামত দিয়েছে।
এ পর্যন্ত ১৫টি রাজনৈতিক দলের সাথে প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শেষ করেছে ঐকমত্য কমিশন।
৯ দিন আগে
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় জাতীয় গণফ্রন্ট
সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছে জাতীয় গণফ্রন্ট। সোমবার (২১ এপ্রিল) সংসদ ভবনের এলডি হলে এই আলোচনায় অংশ নেয় দলটি।
এ সময় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ছাড়াও সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
জাতীয় গণফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক কমরেড টিপু বিশ্বাসের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল আলোচনায় নেয়। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন, লিটু বিশ্বাস, দেবাশীষ পোদ্দার বাপি, কামরুজ্জামান ফিরোজ, কে এম দেলোয়ার হোসেন এবং তৈমুর খান অপু।
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এই কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় বিএনপি
উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত ৩৫টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কমিশন মতামত পেয়েছে।
সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ইতোমধ্যে ১৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ করেছে কমিশন৷
১০ দিন আগে
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় বিএনপি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের সংলাপে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে এই সংলাপ শুরু হয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া রাষ্ট্রীয় সংস্কার উদ্যোগের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করছে কমিশন।
কমিশনের সঙ্গে আজকের সংলাপে অংশ নিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিএনপি প্রতিনিধি দল।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে আলোচনা চলছে।
সংলাপে অংশ নেওয়া প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাবেক সচিব আবু মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এবং সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিট থেকে বিকাল পৌনে ৫টা পর্যন্ত কমিশনের সঙ্গে সংলাপ করে বিএনপি। তবে এই সময়ের মধ্যে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিও ছিল।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবগুলোতে একটি অংশীদারিত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরির লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০ মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: মে’র মাঝামাঝিতে ঐকমত্য কমিশনের প্রাথমিক আলোচনা শেষ হবে: আলী রীয়াজ
এখন পর্যন্ত, কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছেন ১৩টি রাজনৈতিক দল।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশনকে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের উপর একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় অবস্থান তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক পর্যায়ে এটি পাঁচটি সংস্কার কমিশনের মূল সুপারিশগুলো প্রস্তুত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সাংবিধানিক, জনপ্রশাসন, নির্বাচনী, বিচার বিভাগীয় এবং দুর্নীতিবিরোধী সংস্কারগুলো। মূল সুপারিশগুলোর ওপর মতামত চেয়ে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে এর স্প্রেডশিট পাঠানো হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ৩৪টি দল তাদের মতামত জানিয়েছে।
কমিশন মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তার প্রথম দফার আলোচনা সম্পন্ন করবে। একই মাসের মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু করার কথা এবং জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে একটি জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
১২ দিন আগে
প্রথম দফার বৈঠক শেষ, আরও আলোচনায় সম্মত ইরান-যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তেহরান ও যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের মধ্যে প্রথম দফার বৈঠক শেষ হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এ নিয়ে আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও আলোচনার বিষয়ে দুপক্ষ সম্মত হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে এ আলোচনা শুরু হয় বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে।
খবরে বলা হয়, ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে হওয়া এই বৈঠক শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে ইরান থেকে প্রকাশিত এসব খবরের সত্যতা নিশ্চিত করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে দুই পক্ষের মধ্যে সামনাসামনি কথা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাতে আলোচনা যে ভালো হয়েছে, তার ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইরানে ভয়েস অব আমেরিকার সাবেক সাংবাদিকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
ওমানের যে স্থানে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট করে কিছু জানানো না হলেও দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এই আলোচনা চলে বলে জানা গেছে। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বৈঠকটি শুরু হয়ে ৫টা ৫০ মিনিটে তা শেষ হয়।
বৈঠক শেষে উইটকফকে বহনকারী গাড়িবহরটি ওমানের রাজধানী মাসকাটে ফিরে আসে। পরে সেটিকে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের দিকে রওনা হতে দেখা যায়।
প্রায় অর্ধ শতাব্দী ধরে বৈরী সম্পর্ক টেনে নিয়ে আসার পর দুই দেশের মধ্যে এমন আলোচনা সত্যি আশাব্যঞ্জক। তবে এই আলোচনার ঝুঁকিও রয়েছে।
একদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়ে রেখেছেন, ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হবে। অন্যদিকে, ইরানি কর্মকর্তারাও বারবার পাল্টা সতর্ক করে আসছেন যে, তাদের কাছে প্রায় অস্ত্র-গ্রেড মানের ইউরেনিয়ামের মজুদ রয়েছে, যা দিয়ে তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে।
ওমানে বৈঠক
আজ (শনিবার) বিকালে অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) সাংবাদিকরা একটি গাড়ির বহর দেখেন, যেটি উইটকফকে বহন করছিল বলে ধারণা তাদের। বহরটি ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বেরিয়ে মাসকাটের উপকণ্ঠের দিকে দ্রুত চলে যায়। এরপর সেটি একটি প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে।
এর কয়েক মিনিট পরই ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘায়ি এক্সে লেখেন, ‘পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়েছে।’
‘আলোচনাটি ওমানের মধ্যস্থতায় তাদের পরিকল্পিত স্থানে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা বসে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি ও অবস্থান বিনিময় করবেন।’
এর ঘণ্টাখানেক পর বাঘায়ি ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হাজির হন এবং আলোচনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: ইরানে সাময়িক মুক্তি পেল নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মদী
তিনি বলেন, ‘ইরানের উদ্দেশ্য খুবই স্পষ্ট—ইরানের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। কূটনীতির ব্যাপারে আমরা সত্যিকারের ও অকৃত্রিম সুযোগ দিচ্ছি, যাতে সংলাপের মাধ্যমে আমরা একদিকে পরমাণু ইস্যুতে এগিয়ে যেতে পারি, অন্যদিকে আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টিতেও একটি সমাধানের দিকে যেতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেখুন, এটি কেবল শুরু। সুতরাং এই পর্যায়ে উভয় পক্ষই যে কেবল নিজেদের মৌলিক অবস্থানের বিষয়গুলো উপস্থাপন করবে, এটিই স্বাভাবিক। ফলে এই দফায় আলোচনা দীর্ঘ হবে বলে আমরা আশা করছি না।’
এর আগে, ইরানি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আরাগচি। সে সময় তিনি বলেন, ‘যদি উভয় পক্ষের যথেষ্ট সদিচ্ছা থাকে, তাহলে আমরা একটি সময়সূচি নির্ধারণ করব। তবে এ ব্যাপারে এখনই কথা বললে তা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে।’
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ প্রকাশিত ওই অডিও ক্লিপে তিনি আরও বলেন, ‘এই আলোচনাগুলো যে পরোক্ষভাবে হবে, এখন কেবল সেটিই স্পষ্ট। তাছাড়া পারমাণবিক ইস্যুতে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় ইচ্ছা নিয়েই এগুলো (আলোচনা) পরিচালিত হবে। আর ইরানের জনগণের স্বার্থ রক্ষা এবং সমতার ভিত্তিতে চুক্তিতে পৌঁছানোর কথা মাথায় রেখেই আমরা কাজ করছি।’
তবে ট্রাম্প ও উইটকফ উভয়েই এই আলোচনাকে ‘সরাসরি’ বলে বর্ণনা করেছেন।
ওমান সফরের আগে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে উইটকফ বলেন, ‘আমি মনে করি, আপনাদের (ইরান) কর্মসূচি ভেঙে দেওয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের অবস্থান (গ্রহণ) শুরু হয়েছে। আর এটিই আজ আমাদের অবস্থান। তবে এর মানে এই নয় যে, আমরা দুই দেশের মধ্যে সমঝোতার অন্যান্য উপায় খুঁজে পাব না।’
‘আপনারা কোনোভাবেই আপনাদের পারমাণবিক সক্ষমতার অস্ত্রীকরণ করতে পারবেন না—এখানেই আমাদের রেড লাইন,’ বলেন তিনি।
নিষেধাজ্ঞা শিথিল ও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণই প্রধান বিষয়
ইরানের সংকটে থাকা অর্থনীতিকে স্বস্তি দিতে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার প্রস্তাব দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, তবে ইরান কতটা ছাড় দিতে রাজি হবে—তা এখনও স্পষ্ট নয়।
২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী, ইরান ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ উপাদান মজুদ রাখতে পারে। তবে বর্তমানে তেহরানের ইউরেনিয়ামের মজুদ এমন পর্যায়ে আছে যে তারা চাইলে একাধিক পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে। এছাড়া তাদের কাছে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ উপাদানও রয়েছে, যা অস্ত্র-গ্রেড মান থেকে প্রযুক্তিগতভাবে মাত্র কয়েক ধাপ দূরে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, নতুন আলোচনায় ইরান অন্তত ২০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম মজুদ করতে চাইবে। এবং একটি বিষয় তারা কখনোই করবে না; তা হলো, তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করা।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে মাস্কের দ্বারস্থ ইরান
এর ফলে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর তথাকথিত লিবিয়া সমাধানের প্রস্তাব ‘তুমি ভেতরে যাও, স্থাপনাগুলো উড়িয়ে দাও, আমেরিকার তত্ত্বাবধায়নে সমস্ত সরঞ্জাম ধ্বংস কর, তাদের তত্ত্বাবধায়নেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর কর’ ধোপে টিকবে না।
লিবিয়ার প্রয়াত স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পরিণতির কথা তুলে ধরেছেন আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিসহ ইরানি প্রতিনিধিরা। ২০১১ সালের আরব বসন্তের গণজাগরণের সময় বিদ্রোহীদের হাতে নিজের বন্দুকের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন গাদ্দাফি। আর এটিকেই ইরানিরা সতর্কতা হিসেবে দেখেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ভরসার ফল কী হতে পারে।
১৯ দিন আগে
ঐকমত্য কমিশনের সাথে এবি পার্টির আলোচনা সোমবার
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বসতে যাচ্ছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। সোমবার (৬ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনস্থ এল. ডি. হলে এ আলোচনা হবে।
রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এমন তথ্য দিয়েছে।
সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ইতোমধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ লেবার পার্টি এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাথে আলোচনা করেছে কমিশন।
আরও পড়ুন: এলডিপিকে দিয়ে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন
সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার এবি পার্টির সাথে আলোচনায় বসবে ঐকমত্য কমিশন।
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
২৫ দিন আগে
এলডিপিকে দিয়ে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন
রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা শুরু হচ্ছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে প্রথম পর্যায়ে আগামী বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকাল ৩টায় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সাথে আলোচনার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনার সময়সূচি ঘোষণা করা হবে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে আসা গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত ১৩ মার্চের মধ্যে জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দলকে পাঠানো হয়।
এ পর্যন্ত ১৫টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কমিশন মতামত পেয়েছে। দলগুলো হল- লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, খেলাফত মজলিশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম ও ‘আম জনতার দল’, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ জাসদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও নাগরিক ঐক্য।
আরও পড়ুন: গুম তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়ল আরও সাড়ে ৩ মাস
বিএনপি-জামায়াতসহ ২৩টি রাজনৈতিক দল এখনো তাদের পূর্ণাঙ্গ মতামত দেয়নি। দলগুলো এজন্য আরও সময় চেয়েছে। ১৩ মার্চের মধ্যে দলগুলোকে সুনির্দিষ্ট মতামত পাঠাতে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছিলেন কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে কেবল ৭টি দল তাদের মতামত জানিয়েছিল।
এর বাইরে সংস্কার কমিশনের অন্যান্য সুপারিশের বিষয়ে দলের মতামত থাকলে কমিশন সেটাও গ্রহণ করবে বলে চিঠিতে বলা হয়েছিল।
৪৪ দিন আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আলোচনায় নেই ইউক্রেন
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে বৈঠক শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা। যদিও এই বৈঠকে অংশীদার হিসেবে রাখা হয়নি ইউক্রেনকে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সৌদির দিরিয়াহ প্রাসাদে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, আর রাশিয়ার সের্গেই লাভরভ।
বৈঠকে রুবিওর সঙ্গে যুক্ত আছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ও হোয়াইট হাউসের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ। রাশিয়ার পক্ষে সের্গেই লাভরভ ছাড়াও ক্রেমলিনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ আছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়াকে কোণঠাসা করে রাখতে দীর্ঘদিন ধরে যে নীতি অবলম্বন করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে সেখান থেকে সরে এসে এসেছে দেশটি। এই আলোচনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে সাক্ষাতের পথও সুগম করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন শেষে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সৌদি বৈঠকে কিয়েভকে আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ইউক্রেনকে ছাড়া আয়োজিত বৈঠকের কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না।
তবে সৌদির এই বৈঠককে ‘সম্পূর্ণ দ্বিপাক্ষিক’ হিসেবে দেখেছেন উপদেষ্টা উশাকভ। এ কারণেই ইউক্রেনকে যুক্ত করা হয়নি বলে জানান তিনি। সৌদির মালিকানাধীন স্যাটেলাইট চ্যানেল আল আরবিয়াও এই বৈঠককে মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে একটি স্বাভাবিক আলোচনা হিসেবেই নিশ্চিত করেছে।
রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছায়। প্রায় তিন বছর পর এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে দেশ দুটির সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধ বন্ধে ‘কার্যকর আলোচনায়’ থাকবে ইউক্রেন ও ইউরোপীয়রা
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের এই আলোচনায় খোদ ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ না জানানোতে উদ্বেগ প্রকাশ করে কিয়েভ। এর পাশাপাশি আলোচনায় ইউরোপকে অর্ন্তভুক্ত না করায় তাদের পাশ কাটিয়ে শান্তি চুক্তির আলোচনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইউরোপীয় নেতারা।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সময় সোমবার প্যারিসে ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে ইউরোপের নেতাদের জরুরি বৈঠকে ডাকেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাকরন।
এছাড়াও মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন তিনি।
৭২ দিন আগে
‘রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনায় প্রত্যাশিত অগ্রগতি নেই’
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত ও চীন কেন প্রত্যাশিত উপায়ে এগিয়ে আসছে না তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। এর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, এই অঞ্চল এবং এর বাইরেও একটি সম্ভাব্য হুমকি রয়েছে।
তিনি বলেন,'আলোচনার প্রক্রিয়ার শেষে কোনো ফলাফল নেই এবং আমি মনে করি না যে এটি (রোহিঙ্গা ইস্যু) খুব দ্রুত এবং সহজে সমাধান হতে যাচ্ছে।'
তিনি বলেন, প্রতিটি দেশেরই নিজস্ব স্বার্থ রয়েছে এবং বাংলাদেশ পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশ বর্তমানে কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জরুরি আন্তর্জাতিক সম্মেলন চান অধ্যাপক ইউনূস
ভারত ও চীনের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হোসেন বলেন, তিনি কাউকে দোষ দিচ্ছেন না, কারণ সবাই নিজের স্বার্থ দেখে।
উপদেষ্টা বলেন, কিন্তু এতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের স্বার্থ এবং যার কারণে বিষয়টি দীর্ঘায়িত হয়েছে এবং প্রক্রিয়ার শেষে কোনো ফলাফল নেই বলে মনে হয় না।
তিনি বলেন, এই সমস্যার সমাধান না হলে এটি বাকি বিশ্বের জন্য একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।
হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশ তার প্রধান প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে প্রত্যাশিত মাত্রায় সমর্থন পায়নি।
তিনি বলেন, 'গত আট বছরে আমরা প্রতিবেশী ও বড় প্রতিবেশীদের কাছ থেকে যে পরিমাণ সহায়তা আশা করেছিলাম তা পাইনি।’
হোসেন বলেন, প্রশ্ন আসে, চীন কেন এই সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থেকে এগিয়ে আসছে না?
কারণ, বঙ্গোপসাগরে চীনের প্রবেশাধিকারের জন্য মিয়ানমার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উপদেষ্টা বলেন, একইভাবে ভারত মনে করে কালাদান প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ এবং এই প্রকল্পের জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের আবর্তে আটকা পড়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বেইজিংয়ের আরও সক্রিয় ভূমিকা চায় ঢাকা
রোহিঙ্গা তরুণদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ প্রসঙ্গে হোসেন বলেন, তরুণ প্রজন্ম, যাদের ভবিষ্যতের কোনো আশা নেই, তারা অলস বসে বসে অন্যরা কী করছে তা দেখার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, 'একটা সময় আসবে যখন এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, আমাদের প্রতিবেশী ও দূরের মানুষের জন্যও মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।’
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ছাড়াও বঙ্গোপসাগরে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীন।
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশে এবং এর সম্পদের জন্য সুবিধা দেয়।
বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন (বিওবিসি) ২০২৪-এর তৃতীয় সংস্করণ আয়োজন করেছে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিজিএসের চেয়ারম্যান মুনিরা খান ও সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
জিল্লুর বলেন, বঙ্গোপসাগর সম্মেলনের তৃতীয় সংস্করণটি সিজিএস আয়োজিত এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় আয়োজন।
তিনি বলেন, এবারের সম্মেলন 'এ ফ্র্যাকচারড ওয়ার্ল্ড' বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা ২০০ জন বক্তা, ৩০০ প্রতিনিধি এবং ৮০০ অংশগ্রহণকারী শ্রোতাকে একত্রিত করেছে।
আরও পড়ুন: অনির্দিষ্টকালের অপেক্ষা নয়, রোহিঙ্গা সংকটের আন্তর্জাতিক সমাধান চান ড. ইউনূস
১৬৬ দিন আগে
রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত আসবে: উপদেষ্টা নাহিদ
আইনি বা সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বরং রাজনৈতিকভাবে আলোচনা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গভবন বা অন্য কোথাও কোনো ধরনের বিক্ষোভের প্রয়োজন নেই। জনগণের বার্তা পেয়েছি, আলোচনা চলছে। আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে যেতে হবে। তাই সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার জন্য মেডিকেল টিম গঠন ‘রুটিন বিষয়’
উপদেষ্টা বলেন, ‘জনগণের সমর্থনে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা বিদ্যমান সংবিধান এবং রাষ্ট্রপতিকে রেখেই সরকার গঠন করেছিলাম। তবে যদি আমাদের মনে হয়, এই সেটআপে রাষ্ট্র পরিচালনার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বা জনগণ অসন্তুষ্ট, তাহলে আমরা এ বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করব।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি থাকবেন কী থাকবেন না, এটি আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়। এটি একেবারেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত হয়তো আসবে।’
তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার ওপর। এটি আমাদের এই মুহূর্তে অগ্রাধিকার। আমরা জনগণের প্রতি আহ্বান রাখছি যাতে সচেতন থাকি, শান্ত থাকি।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো ধরনের সুবিধাভোগী গোষ্ঠী বা নানা ধরনের যে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে, এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হয় যাতে তারা সুবিধা নিতে পারে। সে বিষয়ে সচেতন এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে একটা আল্টিমেটাম দিয়েছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে একটা আলোচনা করছি। এ বিষয়ে কোনো নির্ধারিত সময় নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন আলোচনার মাধ্যমে আমরা একটা যৌক্তিক সিদ্ধান্তে যেতে পারব, যেটা আমাদের রাষ্ট্র ও জনগণের পক্ষে যাবে, সে সময় আমরা সিদ্ধান্ত নেব এবং সবাইকে জানিয়ে দেব।’
তিনি বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি তারা বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্রসহ মিছিল করছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালাচ্ছে। পাশাপাশি চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের দূরত্ব বেড়েছে। আমরা যাতে সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখি। ফ্যাসিবাদী শক্তি যাতে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে একটা প্রতিরোধ তৈরি করি।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক নয়, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২৫২ এসআইকে অব্যাহতি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১৯০ দিন আগে