আলোচনা
‘রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনায় প্রত্যাশিত অগ্রগতি নেই’
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত ও চীন কেন প্রত্যাশিত উপায়ে এগিয়ে আসছে না তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। এর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, এই অঞ্চল এবং এর বাইরেও একটি সম্ভাব্য হুমকি রয়েছে।
তিনি বলেন,'আলোচনার প্রক্রিয়ার শেষে কোনো ফলাফল নেই এবং আমি মনে করি না যে এটি (রোহিঙ্গা ইস্যু) খুব দ্রুত এবং সহজে সমাধান হতে যাচ্ছে।'
তিনি বলেন, প্রতিটি দেশেরই নিজস্ব স্বার্থ রয়েছে এবং বাংলাদেশ পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশ বর্তমানে কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জরুরি আন্তর্জাতিক সম্মেলন চান অধ্যাপক ইউনূস
ভারত ও চীনের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হোসেন বলেন, তিনি কাউকে দোষ দিচ্ছেন না, কারণ সবাই নিজের স্বার্থ দেখে।
উপদেষ্টা বলেন, কিন্তু এতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের স্বার্থ এবং যার কারণে বিষয়টি দীর্ঘায়িত হয়েছে এবং প্রক্রিয়ার শেষে কোনো ফলাফল নেই বলে মনে হয় না।
তিনি বলেন, এই সমস্যার সমাধান না হলে এটি বাকি বিশ্বের জন্য একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।
হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশ তার প্রধান প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে প্রত্যাশিত মাত্রায় সমর্থন পায়নি।
তিনি বলেন, 'গত আট বছরে আমরা প্রতিবেশী ও বড় প্রতিবেশীদের কাছ থেকে যে পরিমাণ সহায়তা আশা করেছিলাম তা পাইনি।’
হোসেন বলেন, প্রশ্ন আসে, চীন কেন এই সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থেকে এগিয়ে আসছে না?
কারণ, বঙ্গোপসাগরে চীনের প্রবেশাধিকারের জন্য মিয়ানমার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উপদেষ্টা বলেন, একইভাবে ভারত মনে করে কালাদান প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ এবং এই প্রকল্পের জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের আবর্তে আটকা পড়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বেইজিংয়ের আরও সক্রিয় ভূমিকা চায় ঢাকা
রোহিঙ্গা তরুণদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ প্রসঙ্গে হোসেন বলেন, তরুণ প্রজন্ম, যাদের ভবিষ্যতের কোনো আশা নেই, তারা অলস বসে বসে অন্যরা কী করছে তা দেখার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, 'একটা সময় আসবে যখন এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, আমাদের প্রতিবেশী ও দূরের মানুষের জন্যও মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।’
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ছাড়াও বঙ্গোপসাগরে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীন।
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশে এবং এর সম্পদের জন্য সুবিধা দেয়।
বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন (বিওবিসি) ২০২৪-এর তৃতীয় সংস্করণ আয়োজন করেছে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিজিএসের চেয়ারম্যান মুনিরা খান ও সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
জিল্লুর বলেন, বঙ্গোপসাগর সম্মেলনের তৃতীয় সংস্করণটি সিজিএস আয়োজিত এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় আয়োজন।
তিনি বলেন, এবারের সম্মেলন 'এ ফ্র্যাকচারড ওয়ার্ল্ড' বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা ২০০ জন বক্তা, ৩০০ প্রতিনিধি এবং ৮০০ অংশগ্রহণকারী শ্রোতাকে একত্রিত করেছে।
আরও পড়ুন: অনির্দিষ্টকালের অপেক্ষা নয়, রোহিঙ্গা সংকটের আন্তর্জাতিক সমাধান চান ড. ইউনূস
১ সপ্তাহ আগে
রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত আসবে: উপদেষ্টা নাহিদ
আইনি বা সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বরং রাজনৈতিকভাবে আলোচনা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গভবন বা অন্য কোথাও কোনো ধরনের বিক্ষোভের প্রয়োজন নেই। জনগণের বার্তা পেয়েছি, আলোচনা চলছে। আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে যেতে হবে। তাই সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার জন্য মেডিকেল টিম গঠন ‘রুটিন বিষয়’
উপদেষ্টা বলেন, ‘জনগণের সমর্থনে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা বিদ্যমান সংবিধান এবং রাষ্ট্রপতিকে রেখেই সরকার গঠন করেছিলাম। তবে যদি আমাদের মনে হয়, এই সেটআপে রাষ্ট্র পরিচালনার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বা জনগণ অসন্তুষ্ট, তাহলে আমরা এ বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করব।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি থাকবেন কী থাকবেন না, এটি আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়। এটি একেবারেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত হয়তো আসবে।’
তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার ওপর। এটি আমাদের এই মুহূর্তে অগ্রাধিকার। আমরা জনগণের প্রতি আহ্বান রাখছি যাতে সচেতন থাকি, শান্ত থাকি।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো ধরনের সুবিধাভোগী গোষ্ঠী বা নানা ধরনের যে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে, এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হয় যাতে তারা সুবিধা নিতে পারে। সে বিষয়ে সচেতন এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে একটা আল্টিমেটাম দিয়েছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে একটা আলোচনা করছি। এ বিষয়ে কোনো নির্ধারিত সময় নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন আলোচনার মাধ্যমে আমরা একটা যৌক্তিক সিদ্ধান্তে যেতে পারব, যেটা আমাদের রাষ্ট্র ও জনগণের পক্ষে যাবে, সে সময় আমরা সিদ্ধান্ত নেব এবং সবাইকে জানিয়ে দেব।’
তিনি বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি তারা বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্রসহ মিছিল করছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালাচ্ছে। পাশাপাশি চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের দূরত্ব বেড়েছে। আমরা যাতে সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখি। ফ্যাসিবাদী শক্তি যাতে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে একটা প্রতিরোধ তৈরি করি।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক নয়, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২৫২ এসআইকে অব্যাহতি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১ মাস আগে
সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করা উচিত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম
নাহিদ ইসলাম বলেন, সামনের দিনগুলোতে সাংবাদিকদের আরও পেশাদারিত্বের জায়গায় নিয়ে আসার মাধ্যমে তরুণদের এই পেশায় সম্পৃক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্ক আয়োজিত ‘সংবাদ মাধ্যম সংস্কার: কেন? কীভাবে?’ শীর্ষক একটি মুক্ত আলোচনায় তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই বিপ্লব সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ‘রেজিসটেন্স’ ছিল না। এর ফলে মিডিয়ার ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে এই আন্দোলন নিয়ে অনেক তথ্য প্রচার হয়নি। এর কারণ হাউজের উপরে হাউজ। এর জবাবদিহিতার দায়িত্ব কে নেবে?
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে জিমি আমির বলেন, ‘ব্রিটিশ আমলের ওয়েজবোর্ড শব্দের মাধ্যমে ডিগনিটির এই পেশাকে খানিকটা খাটো করা হয়। ওয়েজবোর্ড না বলে এটাকে বোর্ড অব স্যালারি অ্যান্ড বেনিফিট করা যায় কিনা? এবং তা পত্রিকা, টিভি, অনলাইন, রেডিও জন্য অভিন্ন করা। পাশাপাশি সব ধরণের সংবাদ মাধ্যমের জন্য একটি অভিন্ন নীতিমালা তৈরি করা। এখন আমাদের সময় হয়ে গেছে খোলাখুলি আলোচনা করার। যদি সংবাদমাধ্যম স্বাধীনভাবে চিন্তা ও কাজ করতে না পারে তাহলে গণতন্ত্র মুখ তুলে দাঁড়াতে পারবে না। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ভেঙে পড়বে। সর্বোপরি দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকিতে থাকবে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষা ও গণমাধ্যমসহ বেশ কিছু সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে: নাহিদ ইসলাম
জননিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
১ মাস আগে
ভারতের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করার উপায় নিয়ে আলোচনা বাংলাদেশের
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেছেন, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখতে ভারতের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়াকে(মেকানিজম) সক্রিয় করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, শিগগিরই অভিন্ন নদীর পানি নিয়ে আলোচনা শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ঢাবি ভিসির সঙ্গে শিক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে মার্কিন প্রতিনিধি দলের আলোচনা
দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য ভারতের সঙ্গে ফরেন অফিস কনসালটেশনকে অন্যতম প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের বৈঠকের বিষয়ে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে (নিউইয়র্ক সময়) এক সাংবাদিক জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়াগুলোকে সক্রিয় করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
রিয়াজ বলেন, 'এটা ছিল তাদের মধ্যে প্রথম বৈঠক।’এই বৈঠককে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ।
রিয়াজ বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতিসহ দুই দেশের মধ্যে অনেক সমস্যা রয়েছে।
বৈঠকের পর জয়শঙ্কর এক্স-এ (টুইটার) লেখেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উপর আলোকপাত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা-বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা
১ মাস আগে
ঢাবি ভিসির সঙ্গে শিক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে মার্কিন প্রতিনিধি দলের আলোচনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলর স্টিফেন এফ ইবেলির নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম জোরদার, বৃত্তির সুযোগ বৃদ্ধি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শিক্ষার্থী বিনিময় জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিবির নেতৃত্ব প্রকাশ্যে আসায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন স্কট হার্টম্যান, রায়হানা সুলতানা ও দূতাবাসের জোনাথ গোমেজ। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চলমান সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদারের সুযোগ অনুসন্ধান করেন। সাক্ষাৎকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমেরিকান কর্নার স্থাপন, ফুলব্রাইট স্কলারশিপ প্রোগ্রাম বাড়ানো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে উদ্যোক্তা ও ইংরেজি ভাষার দক্ষতা কর্মসূচি প্রণয়নের মতো দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা হয়।
অংশগ্রহণকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বিনিময়ের পাশাপাশি আমেরিকান সেন্টার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে তথ্য ও উপাত্ত বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের জন্য নতুন আবাসিক হল নির্মাণে প্রতিনিধিদলের আর্থিক সহায়তা ও সহযোগিতা কামনা করেন। তারা অনুরোধটি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবেন বলে উপাচার্যকে আশ্বস্ত করেন প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: তিন মাস পর ক্লাসে ফিরলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
১ মাস আগে
ফখরুলের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা-বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা
ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়াংসিক বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকা ৪টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাজভিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
বৈঠক শেষে ড. মঈন সাংবাদিকদের বলেন, 'আলোচনায় দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বিনিয়োগ গুরুত্ব পেয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, তারা বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সাম্প্রতিক ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলন নিয়ে আলোচনা করেছেন। ‘বাংলাদেশে যে পরিবর্তন এসেছে তা নিয়েও আমরা কথা বলেছি।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘গত ১৭ বছরে দেশ শুধু দুর্নীতিতে জর্জরিতই হয়নি, ব্যবসা-বাণিজ্যও উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের সম্ভাবনার পাশাপাশি এসব বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোরিয়ার উপস্থিতি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়। ‘বরং এর মূল উদ্দেশ্য দুই দেশের মধ্যে আর্থিক সহযোগিতা বাড়ানো।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের মূলনীতি উভয় দেশের জনগণের জন্য পারস্পরিক সুবিধার মধ্যে নিহিত।
তিনি বলেন, ‘এই নীতি অনুসরণ করে আমরা অতীতে দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রেখেছি। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের জনগণ যদি বিএনপিকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করে, তাহলে উভয় পক্ষের সম্প্রীতি বজায় রেখে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে আমরা বাংলাদেশি ও কোরিয়া উভয়ের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেব।’
আরও পড়ুন: দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে: ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূতকে অধ্যাপক ইউনূস
২ মাস আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বেশির ভাগ দলের দাবি নির্বাচনের সময়সীমা
প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে যৌক্তিক সময়সীমার মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল।
শনিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলাদা মত বিনিময় সভায় এসব দাবি জানায় দলগুলো।
গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং স্বৈরাচার ও দুঃশাসন প্রতিরোধে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, প্রশাসন ও বিচার বিভাগসহ সব রাষ্ট্রীয় অঙ্গকে ঢেলে সাজাতে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন নেতারা।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সব রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও বিভিন্ন দাবির বিষয়ে পৃথকভাবে লিখিত প্রস্তাব পেশ করে। দলগুলোর শীর্ষ নেতারাও তাদের আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানান।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেশি সময় নেওয়া উচিত নয়: জামায়াত আমির
এরমধ্যে সাতটি ইসলামি দল জানায়, তারা প্রধান উপদেষ্টাকে সতর্ক থাকার এবং আসন্ন দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়ের আসন্ন দুর্গাপূজায় যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ছয়টি ইসলামী দলের সঙ্গে প্রাথমিক বৈঠকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা দফায় দফায় মত বিনিময় সভা শুরু করেন।
সভায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, ধর্ম উপদেষ্টা এ এফ এম খালিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম উপস্থিত ছিলেন।
খেলাফত মজলিস, নিজামে ইসলাম, হেফাজতে ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জ্যেষ্ঠ নেতারা বেলা ৩টায় যমুনা পৌঁছান এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের সঙ্গে এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন।
এরপর বিকেল ৪টায় ইসলামী আন্দোলনের নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জাতীয়তাবাদী সমন্বয় জোট, ১২ দলীয় জোট, বাংলাদেশ জাসদ, গণফোরাম, জাতীয় পার্টিসহ বেশ কয়েকটি দলের শীর্ষ নেতারাও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেন। রাত ৮টা পর্যন্ত এই আলোচনা চলে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমদ বলেন, তারা প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্পৃক্ত রাখার একমাত্র উপায় হচ্ছে নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ বা পূর্বাভাস দেওয়া।
তিনি বলেন, ‘এই রোডম্যাপ ছয় মাস বা নয় মাস পর্যন্ত হতে পারে। প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন হওয়ার পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত বলে আমরা জোর দিয়েছি। নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে এবং যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন হবে ততই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, রাজনৈতিক দল এবং দেশের জন্য মঙ্গল।’
ওলি জোর দিয়ে বলেন, শান্তি, সুশাসন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করার আগে নির্বাচন পরিচালনা করা উচিত নয়। তিনি বলেন, ‘আগে সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। দেশের মানুষের মধ্যে মানবিকতা ফিরিয়ে আনতে হবে।’
রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্যস্ত রাখতে সরকার জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
নির্বাচন নিয়ে এলডিপির বক্তব্যের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেছেন, প্রতিটি ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি যদি উত্তর দিকে যাই আর আপনি দক্ষিণে যান, তাহলে দেশের সমস্যার সমাধান হবে না। সব পক্ষের ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।’
এলডিপি নেতা আরও বলেন, তারা রাষ্ট্রীয় সংস্কারের বিষয়ে ৮৩ দফা প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ড. ইউনূসকে তারা বলেছেন যে, ছোটখাটো কারণে যদি জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা যায়, তাহলে হাজার হাজার ছাত্র-মানুষ হত্যা এবং ১৫ বছর ধরে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীর গুমের জন্য দায়ী আওয়ামী লীগের নিবন্ধন কেন বাতিল করা হবে না? তাদের নিবন্ধন বাতিল করা একান্ত প্রয়োজন।
ওলি বলেন, তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক করে বলেছিলেন যে আগামী দিনে আরও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন: স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে এনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিগগিরই নির্বাচনের দিকে যাবে: বিএনপি
তিনি বলেন, ‘আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জানিয়েছি, তারা এখনও শঙ্কামুক্ত নয়। ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয়... যারা হাসিনার অনুগত ছিল তাদের বরখাস্ত করা হয়নি, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়নি। কেবল তাদের এক অবস্থান থেকে অন্য অবস্থানে স্থানান্তর করা সমস্যার সমাধান করবে না ... তারা দেশের শত্রু, তাদের জেলে ঢোকানো উচিত।’
ছয় দলের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক বলেন, 'আমাদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা তাকে (ইউনূস) বলেছি যৌক্তিক সময়সীমার মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করতে এবং নির্বাচন আয়োজনে অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব এড়াতে।’
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর তারা অনতিবিলম্বে নির্বাচন আয়োজন করবেন।
মামুনুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ইঙ্গিত দিয়েছেন এ জন্য প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা চলছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি যুক্তিসঙ্গত সময়সীমা গঠনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট সময়সীমার কথা বলিনি। আমরা নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নিয়ে আলোচনা করিনি।’
মামুনুল হক বলেন, বৈঠকে ইসলামি দলগুলো দুর্গাপূজায় মন্দির ও পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রায় তিনশ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। আমরা অনুরোধ করেছি, নির্বাহী আদেশ ও আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব এসব মামলা প্রত্যাহার করা হোক।
ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের কারণে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এর আগে গত ১২ আগস্ট শাহ আলমের নেতৃত্বে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, সিপিবি, গণতন্ত্র মঞ্চ, বিজেপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, গণতান্ত্রিক বাম জোট ও এনডিএমের সিনিয়র নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ বিষয়ে দায়মুক্তি কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
২ মাস আগে
ফখরুলের সঙ্গে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ: দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং আঞ্চলিক সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আমীর খসরু বলেন, তারা দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, 'দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সম্পর্কসহ সবকিছুই আলোচনায় এসেছে।’
আমীর খসরু বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়া, দুই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও মর্যাদা সমুন্নত রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, বাংলাদেশকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত
তিনি বলেন, ‘পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, আসলে ব্যবসা-বাণিজ্যভিত্তিক তুলনামূলক সুবিধা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যা বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত ছিল।
তিনি বলেন, এখানে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতা ছিল, যা কেবল কিছু বিশেষ ব্যক্তিকে উপকৃত করেছে।
তিনি বলেন, 'সমান সুযোগপ্রাপ্তির ক্ষেত্র (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) ছিল না। আলোচনায় আমরা বলেছি, বাংলাদেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে যাচ্ছে এবং আমরা দুই দেশের মধ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় রেখে তুলনামূলক সুবিধার ভিত্তিতে একে অপরকে সহযোগিতা করব।’
আরও পড়ুন: ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে আলাপকালে তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলকে সবচেয়ে কম সমন্বিত অঞ্চল হিসেবে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, শুধু অর্থনৈতিক বিষয় নয়, সব দিক থেকেই দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে সমন্বয় বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, 'আমরা কীভাবে এগিয়ে যেতে পারি তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির পররাষ্ট্রনীতি- সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের ভিত্তিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রেখে আমরা সব ধরনের অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।’
আমীর খসরু বলেন, 'লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় রেখে আমরা দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে বিএনপিকে সহযোগিতার আশ্বাস সুইজারল্যান্ডের
৩ মাস আগে
শিগগিরই ছাত্র-শিক্ষক প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন সেনাপ্রধান
শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে শিগগিরই সরাসরি আলোচনায় বসবেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
আরও পড়ুন: কারফিউ অমান্য করে শাহবাগ অভিমুখে হাজারো মানুষের মিছিল
সোমবার (৫ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় আইএসপিআর।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে: সেনাপ্রধান
বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা
৩ মাস আগে
নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সাংগঠনিক বৈঠকের পর কর্মবিরতির বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।
গত ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অচলাবস্থা নিরসনে শনিবার (১৩ জুলাই) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি শিক্ষক প্রতিনিধি দলকে তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছেন এবং তাদের স্পষ্ট করে বলেছেন যে এই প্রকল্প ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, ‘২০২৪ সাল থেকে এই প্রকল্প শুরু হবে বলে সংসদে প্রধানমন্ত্রী যে তথ্য দিয়েছিলেন তা ভুল ছিল, পেনশন প্রকল্পটি ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে শুরু হবে। আমরা বিষয়টি স্পষ্ট করেছি।’
আরও পড়ুন: শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে বিএনপি নৈতিক সমর্থন করে: ফখরুল
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা আমাদের তিনটি দাবি নিয়ে আলোচনা করেছি। শিক্ষক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে আমরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলব।’
সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন্নাহার চাঁপা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৪ জুলাই ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে শিক্ষকদের বৈঠক স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: পেনশন স্কিম: কাদেরের সঙ্গে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রতিনিধি দলের বৈঠক
৪ মাস আগে