রাশিয়া
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে রাশিয়ার সহযোগিতার প্রশংসা ড. ইউনূসের
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে রাশিয়ার সহযোগিতার প্রশংসা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশে গম ও সার সরবরাহকারী হিসেবে রাশিয়ার ভূমিকার কথাও স্বীকার করেন তিনি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিটস্কি বুধবার (৯ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতের সময় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রূপপুর প্রকল্পের বকেয়া-সংক্রান্ত জটিলতা সমাধান করবে এবং বাংলাদেশে আরও রাশিয়ান বিনিয়োগকে স্বাগত জানায়। 'আমরা একসঙ্গে কাজ করব।'
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার অবস্থান জানে না সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বৈঠক চলাকালীন, ম্যান্টিটস্কি রাশিয়ান ফেডারেশনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার তিন বছরেরও বেশি মেয়াদে তার ঘটনাবহুল সময়ের দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন।
তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, যা আগামী বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি প্রাথমিকভাবে রাশিয়ার অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে এবং এর বিশেষজ্ঞরা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন।
বৈঠকে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কোম্পানি গ্যাজপ্রমের বাংলাদেশে অনুসন্ধান কার্যক্রম, রাশিয়ার গম ও সার রপ্তানি এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ পরিশোধ নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এ সময় সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক প্রধান লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. আবুল হাসান মৃধা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইতালির ভিসা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে, আশা উপদেষ্টা তৌহিদের
২ মাস আগে
রাশিয়ায় ভবন ধসে নিহত ৪
রাশিয়ার নিঝনি তাগিল শহরে একটি আবাসিক ভবনের আংশিক ধসে পড়ে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার(১ আগস্ট) রাশিয়ার সভেরদলভস্ক ওব্লাস্টের নিঝনি তাগিল শহরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার(২ আগস্ট) দেশটির জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয় (ইএমইআরকম) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার একটি পাঁচতলা ভবনে গ্যাস-বায়ু মিশ্রণের বিস্ফোরণে দুটি প্রবেশদ্বার ধসে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিস্ফোরণ, নিহত ৪
এতে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপ থেকে সাত শিশুসহ মোট ১৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নিঝনি তাগিলের জেরঝিনস্কিতে এ ঘটনার পর জেলায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে না, এমন পরিষেবা বা কাজের বিষয়ে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫১
৪ মাস আগে
রাশিয়া-উ. কোরিয়ার মধ্যে সই হওয়া চুক্তির জানা-অজানা তথ্য
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মধ্যে সম্প্রতি সই হওয়া চুক্তি নিয়ে বেশ কিছু বিষয় জানা যাচ্ছে। এ নিয়ে বেশ কৌতূহল রয়েছে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষক মহলেও।
পিয়ংইয়ংয়ে তাদের শীর্ষ পর্যায়ের এই বৈঠকের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেছেন, বৈঠকে তারা যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি সই করেছেন তা একটি যুগান্তকারী অগ্রগতি। তবে এ চুক্তির মাধ্যমে তাদের সম্পর্কের গতিপথ কোন দিতে মোড় নেবে তা এখনও অনিশ্চিত।
এই চুক্তি স্নায়ুযুদ্ধের পর সই করা দেশগুলোর সবচেয়ে শক্তিশালী চুক্তি হতে পারে, তবে উত্তর কোরিয়ার প্রতি রাশিয়া কতটা দৃঢ় নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা নিয়ে মতপার্থক্যও রয়েছে।
কিম দাবি করেছেন এই চুক্তি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে একটি জোটের স্তরে উন্নীত করেছে, যদিও পুতিন এটিকে আরও কিছুটা কমিয়ে বলেছেন। তিনি এটিকে জোট হিসেবে উল্লেখ করেননি।
পিয়ংইয়ংয়ের শীর্ষ বৈঠকে চুক্তিটি সইয়ের পরদিন বুধবার(১৯ জুন) বিকালে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম চুক্তির বিষয়গুলো প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায় সামরিক, বৈদেশিক নীতি ও বাণিজ্যে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা সহায়তা এবং বৃহত্তর সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তবে এই চুক্তির বিষয়ে এখনো কিছু প্রকাশ করেনি রাশিয়া।
আরও পড়ুন: নতুন মেয়াদের তৃতীয় বৈদেশিক সফরে উজবেকিস্তানে পুতিন
প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তর কোরিয়া আক্রান্ত হলে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে সেসব বিষয়সহ এই চুক্তির অর্থ কী হতে পারে তা তারা এখনও মূল্যায়নের চেষ্টা করছেন।
ইউক্রেনে আগ্রাসন এবং সমস্ত অভ্যন্তরীণ বিরোধীদের দমন নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান তিক্ততার মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই পারমাণবিক ক্ষমতার অধিকারী রাশিয়া এবং ছোট ও বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে গভীর হয়েছে।
নতুন এই চুক্তি তাদের আরও কাছাকাছি নিয়ে আসতে পারে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জও তৈরি করতে পারে।
কিম ও পুতিনের এই নতুন অংশীদারিত্ব চুক্তিতে কী রয়েছে:
কী প্রতিশ্রুতি দিল রাশিয়া?
পুতিন ও কিমের সমন্বিত অংশীদারিত্ব চুক্তি নিয়ে বেশিরভাগ বিতর্ক আর্টিকেল-৪ ঘিরে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের মতে, চুক্তির অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, যদি কোনো একটি দেশ আক্রমণ করে এবং তাকে যুদ্ধাবস্থার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়, তবে ‘দেরি না করে’ অন্যটিকে অবশ্যই ‘সামরিক ও অন্যান্য সহায়তা’মোতায়েন করতে হবে।
তবে এতে এটাও বলা হয়েছে, এ ধরনের পদক্ষেপ অবশ্যই উভয় দেশের আইন এবং জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হতে হবে। যা জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রের আত্মরক্ষার অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়।
কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, উত্তর কোরিয়া আক্রমণের শিকার হলে মস্কো হস্তক্ষেপ করবে- এটি প্রতিশ্রুতির মতো শোনাচ্ছে। এটি উত্তর কোরিয়া ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে ১৯৬১ সালের চুক্তি অনুযায়ী প্রতিশ্রুতির নবায়ন। এই চুক্তি ইউএসএসআরের পতনের পরে বাতিল করা হয় এবং ২০০০ সালে দুর্বল সুরক্ষা আশ্বাস দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেজং ইনস্টিটিউটের বিশ্লেষক চেয়ং সিয়ং চ্যাং বলেন, চুক্তিটি ১৯৬১ সালের চুক্তির ভাষার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তির বিধানের সঙ্গে এটির মিল রয়েছে। অর্থাৎ যদি কোনো একটি দেশ আগ্রাসনের হুমকির মুখোমুখি হয়, তবে সমন্বয় করার জন্য চ্যানেলগুলো সক্রিয় করার বিষয়ে মূলত এই চুক্তি।
আরও পড়ুন: দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রতিশ্রুতি নড়বড়ে হওয়া উচিৎ নয়: শি
চেয়ং বলেছেন, ‘উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া তাদের স্নায়ুযুদ্ধকালীন সামরিক জোট পুরোপুরি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে।’
তবে অন্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন। কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক অঙ্কিত পান্ডা বলেন, স্বয়ংক্রিয় হস্তক্ষেপ এড়াতে আর্টিকেল-৪ সতর্কতার সঙ্গে লেখা হয়েছে। অনুচ্ছেদে কেন জাতিসংঘ সনদের কথা বলা হয়েছে তাও স্পষ্ট নয়।
পান্ডা বলেন, বিশদভাবে দেখার বিষয় হলো ‘উভয় পক্ষই লিখিতভাবে এবং বিশ্বকে দেখানোর চেষ্টা করেছে, তারা তাদের সহযোগিতার পরিধি কতটা বিস্তৃত করতে চায়।’
সামরিক সহযোগিতা কতদূর গড়াবে?
পুতিন মূলত উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক সহযোগিতাকে ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। এতে অত্যন্ত নির্ভুল অস্ত্র ব্যবস্থা, যুদ্ধবিমান এবং অন্যান্য উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্রের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
পুতিন বলেন, ‘রাশিয়া ফেডারেশনের সঙ্গে আজ সই করা নথি অনুযায়ী গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিকাশকে বাদ দেয় না।’
এই বিবৃতিটি কার্যত এমন কিছু বিষয়কে আনুষ্ঠানিক করে তোলে যা পশ্চিমা দেশগুলোতে ইতোমধ্যে ঘটছে বলে দাবি করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মিত্ররা অভিযোগ করেছে উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে রাশিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ পেয়েছে। কারণ, ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর সাফল্য কমেছে। আর রাশিয়া পিয়ংইয়ংয়ের কাছে প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে, যা কিমের পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ফলে সৃষ্ট হুমকি আরও বাড়তে পারে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, চুক্তিতে দেশগুলোকে তাদের যৌথ প্রতিরক্ষা ক্ষমতা জোরদার করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে, তবে এই পদক্ষেপগুলো কী হবে বা এতে সম্মিলিত সামরিক প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না- তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি ৪.৮ মাত্রার ভূমিকম্প
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা নর্থ কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, চুক্তিতে 'ন্যায় ও বহুমুখী নতুন বিশ্বব্যবস্থা' প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় দেশগুলোকে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বের মুখে অন্যান্য রাষ্ট্রগুলো কীভাবে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে তা উল্লেখ করা হয়েছে।
পান্ডা বলেন, প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদার করার বিষয়ে যৌথ পদক্ষেপের বিষয়ে চুক্তির ভাষা ‘বিভিন্ন প্রযুক্তিগত উদ্যোগে অব্যাহত সহযোগিতার বিস্তৃত ইঙ্গিত।’
চুক্তির অর্থনৈতিক দিক কী?
এই অংশীদারিত্বের ফলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নেরও আহ্বান জানানো হয়েছে। যা উত্তর কোরিয়ার জন্য একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, দেশটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় ভুগছে। উত্তর কোরিয়ার পণ্য ও উপাদান প্রয়োজন এবং এর পরিবর্তে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত রাশিয়ায় শ্রমিক সরবরাহ করতে পারে। এই শ্রমিকরা রুবলের মজুরিকে ডলার বা ইউরোতে রূপান্তর করতে পারে এবং হার্ড-কারেন্সি করে দেশে পাঠাতে পারে।
পুতিন বলেন, গত এক বছরে রুশ-উত্তর কোরিয়ার বাণিজ্য ৯ গুণ বেড়েছে। তবে তিনি স্বীকার করেছেন এই পরিমাণ ‘কমই’ রয়েছে।
শীর্ষ বৈঠকের আগে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্লেষকরা বলেছেন, উত্তর কোরিয়া জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বৈদেশিক মুদ্রা পেতে রাশিয়ায় শ্রম রপ্তানি এবং অন্যান্য কার্যক্রম বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারে। যদিও কিম ও পুতিনের মধ্যে চুক্তির সংবেদনশীল বিবরণ প্রকাশের সম্ভাবনা নেই।
উত্তর কোরিয়ার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বাণিজ্য, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পর্যটনসহ বিস্তৃত ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিষাক্ত মদ খেয়ে তামিলনাড়ুতে অন্তত ২৯ জন নিহত
৬ মাস আগে
এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়ন অংশীদার হতে আগ্রহী রাশিয়া
বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে অংশীদার হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়া।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কি রাশিয়ার এই আগ্রহের কথা জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন শিল্পের সঙ্গে আমরা একটি অংশীদারিত্ব তৈরি করতে চাই। সেখানে কারিগরি সহায়তাসহ অন্য যেকোনো সহায়তা করতে আগ্রহী রাশিয়া।
আরও পড়ুন: হুমকি পেলে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে প্রস্তুত রাশিয়া: পুতিন
এছাড়াও, উভয় দেশের পর্যটকেরা যাতে সহজেই যাতায়াত করতে পারেন সেজন্য ঢাকা-মস্কো সরাসরি ফ্লাইট চালুর ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রতি বছর রাশিয়ার বিপুলসংখ্যক পর্যটক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে। সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে রাশিয়ার যেসব পর্যটক এখন কাছাকাছি দেশগুলোতে ভ্রমণ করেন, তারা বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে আগ্রহী হবে। বাংলাদেশে রাশিয়ার পর্যটকের সংখ্যা বাড়লে তা এই দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করবে।
এ সময় পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অবস্থান আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল রুটের মধ্যে হওয়ায় আমরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হাবে রূপান্তর করতে কাজ করছি। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হয়েছে। রাশিয়া বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পে রাশিয়ার মতো বন্ধু রাষ্ট্রের উন্নয়ন অংশীদার হতে চাওয়া ও ঢাকা-মস্কো সরাসরি ফ্লাইট চালুর আগ্রহকে আমরা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনের অপার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য কাজ করা হচ্ছে। সারা দেশে পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়াতে কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই পর্যটন মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা এ বছরেই বাস্তবায়ন শুরু হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিদেশি পর্যটকদের জন্য কক্সবাজারসহ দেশের আরও বেশ কিছু জায়গায় নিবিড় পর্যটন অঞ্চল তৈরি করছি। রাশিয়ার পর্যটকদের আমরা বাংলাদেশে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।’ পাশাপাশি, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে রাশিয়া বিনিয়োগ করলে তাদের সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমর্থন দিতে ইউক্রেনে ৮০০টিরও বেশি ড্রোন পাঠাবে কানাডা
৯ মাস আগে
রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমর্থন দিতে ইউক্রেনে ৮০০টিরও বেশি ড্রোন পাঠাবে কানাডা
কানাডার সরকার সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বলেছে, তারা এই বসন্তের শুরু থেকেই ইউক্রেনে ৮০০টিরও বেশি ড্রোন পাঠাবে।
ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল ডিফেন্স এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনের জন্য ড্রোন গুরুত্বপূর্ণ সক্ষমতা হয়ে উঠেছে। ড্রোনগুলো নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং যুদ্ধাস্ত্রসহ সরবরাহ স্থানান্তরের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
এগুলোর জন্য ৯৫ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের (৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বেশি খরচ হবে এবং এগুলো ইউক্রেনের জন্য পূর্বে ঘোষিত ৫০০ মিলিয়ন কানাডিয়ান (৩৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) সামরিক সহায়তার অংশ।
আরও পড়ুন: ক্রেমলিনের শত্রু অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যু পশ্চিমা ক্ষোভকে উস্কে দিয়েছে, তবে পুতিনকে থামানো যায়নি
স্কাইরেঞ্জার আর৭০ মাল্টি-মিশন মানবহীন এরিয়াল সিস্টেমগুলো অন্টারিও প্রদেশের ওয়াটারলুতে অবস্থিত টেলিডাইন-এর তৈরি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের দুই বছর পূর্তির কয়েকদিন আগে এই ঘোষণা এলো।
কানাডা এর আগে ইউক্রেনকে ১০০টি উচ্চ-রেজুলেশনের ড্রোন ক্যামেরা দিয়েছিল এবং গত দুই বছরে সামরিক সহায়তায় ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার (১ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রুশ অধিকৃত ইউক্রেনের বাজারে গোলাবর্ষণে নিহত ১৩
ইউক্রেনে ক্যাফেতে রুশ হামলায় ৫১ জন নিহত
১০ মাস আগে
বাংলাদেশে রাশিয়ার ‘আরব বসন্তের উসকানি’ মন্তব্যে নীরব যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয়ে, বিশেষ করে নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বিতর্কিত সময়ে আমেরিকার সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে রাশিয়ার সাম্প্রতিক বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নীরব অবস্থান বজায় রেখেছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার করা মন্তব্যের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
জাখারোভা এর আগেও বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য মার্কিন হস্তক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি।’
তবে এর বেশি মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
জাখারোভা বলেন, জনগণের ইচ্ছার ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সন্তোষজনক না হলে বাংলাদেশে ‘আরব বসন্ত’র মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আরও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হতে পারে।
আরও পড়ুন: কোনো সমস্যায় জড়াতে চাই না: যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মন্তব্য সম্পর্কে মোমেন
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেন নি।
রাশিয়ার সাম্প্রতিক মন্তব্য সম্পর্কে করা প্রশ্নে মোমেন বলেন, ‘আমরা কোনো সমস্যায় জড়াতে চাই না।’
সংবাদ সম্মেলনে আরেকজন সাংবাদিক বাংলাদেশের একটি মর্মান্তিক ঘটনা তুলে ধরেন।
যেখানে অগ্নিসংযোগকারীরা ঢাকাগামী একটি এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা চালায়, যার ফলে একজন নারী ও তার ৩ বছরের শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদক মিলারকে রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার এই ব্যক্তিদের বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের অবস্থান জানতে চান।
মিলার এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমি নির্দিষ্ট করে এই ঘটনা সম্পর্কে জানি না এবং এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।’
স্টেট ডিপার্টমেন্ট সংবাদ সম্মেলনে এই ঘটনা সম্পর্কে না জানার কথা জানিয়ে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকটের আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার জটিলতা ও চ্যালেঞ্জগুলোকে তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র জনগণের ইচ্ছায় সন্তুষ্ট না হলে বাংলাদেশে ‘আরব বসন্ত’র মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে: রাশিয়া
বাংলাদেশ এখন ভীতু দেশ নয়: এম জে আকবর
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্র জনগণের ইচ্ছায় সন্তুষ্ট না হলে বাংলাদেশে ‘আরব বসন্ত’র মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে: রাশিয়া
রাশিয়া বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র জনগণের ইচ্ছায় সন্তুষ্ট না হলে বাংলাদেশে ‘আরব বসন্ত’র মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, জনগণের ইচ্ছার ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সন্তোষজনক না হলে বাংলাদেশে ‘আরব বসন্ত’র মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আরও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হতে পারে।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত ওয়াশিংটনের শুভবোধের উদয় হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। সে কারণেই একটি সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আবারও হস্তক্ষেপ করার আশঙ্কাও রয়েছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘তবে আমরা আত্মবিশ্বাসী, বহিরাগত শক্তির যাবতীয় ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশের সরকার গঠনের বিষয়টি শেষ পর্যন্ত এই দেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে, অন্য কেউ নয়।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ান মুদ্রায় বাণিজ্যের অনুমতিপ্রাপ্তদের তালিকায় বাংলাদেশ: রুশ দূতাবাস
তিনি বলেন, আশঙ্কার কারণ রয়েছে, আগামী সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে ‘অস্ত্র হিসেবে নিষেধাজ্ঞাসহ বিপুল চাপ’ প্রয়োগ করা হতে পারে।
মুখপাত্র বলেন, মূল শিল্পগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হতে পারে, সেইসঙ্গে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচনে নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে বাধা দেওয়ার জন্য প্রমাণ ছাড়াই অনেক কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, ১২-১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বর্তমান সরকারের বিরোধীরা সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে, বাস পুড়িয়ে দেয় এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই ঘটনার সঙ্গে ঢাকায় পশ্চিমা কূটনৈতিক মিশনের উসকানিমূলক কার্যকলাপের মধ্যে সরাসরি সংযোগ দেখতে পাচ্ছি। আমরা ইতোমধ্যে ২২ নভেম্বর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের ব্রিফিং বিষয়ে কথা বলেছি।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ার সংসদীয় গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
রাশিয়ার নিকট যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দাবির জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভোট দেয়নি বাংলাদেশ
১ বছর আগে
ঢাকায় রাশিয়ান হাউসে রাশিয়ান গ্র্যাজুয়েটস ডে পালিত
ঢাকায় সোভিয়েত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (এসএএবি) সঙ্গে যৌথভাবে সোভিয়েত/রাশিয়ান গ্র্যাজুয়েটস ডে আয়োজন করেছে রাশিয়ান হাউস।
অনুষ্ঠানে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও রাশিয়ার গ্র্যাজুয়েটরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার রাশিয়ান হাউসের পরিচালক পাভেল দভয়চেনকভ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। তিনি অনুষ্ঠানে যোগদানকারী গ্র্যাজুয়েটদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ৫ টাকায় ব্যাগ ভর্তি সবজির বাজার চালু
পাভেল দভয়চেনকভ তার বক্তৃতায় বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোভিয়েত ইউনিয়ন সফরের পর থেকে বাংলাদেশ থেকে অনেক বাংলাদেশি ছাত্র সরকারি বৃত্তি নিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে গিয়েছিলেন। পরে বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহের কারণে রাশিয়া সরকার দিন দিন শিক্ষা বৃত্তির সংখ্যা বাড়াচ্ছে। ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে বৃত্তির সংখ্যা ছিল ১১০ জন এবং ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ১২৪ জনকে বৃত্তি বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঢাকায় রাশিয়ান হাউস সবসময় তৎপর রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদে জেলের জালে ধরা পড়ল ৮৫ কেজির বাঘাইড় মাছ!
বাংলাদেশে রুশ দূতাবাসের মিনিস্টার-কাউন্সেলর একেতেরিনা সেমেনোভা সবাইকে অভিনন্দন জানান।
১ বছর আগে
বাংলাদেশ সম্পর্কে অন্যান্য দেশের মন্তব্য অনভিপ্রেত: পররাষ্ট্র সচিব
বাংলাদেশ নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক মন্তব্য ও পাল্টা মন্তব্যকে ‘অনভিপ্রেত’ বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘দেখুন, আমি এটা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। বাংলাদেশের কী হচ্ছে বা না হচ্ছে, তা নিয়ে কথা বলতে পারি। তৃতীয় বা চতুর্থ দেশ নিজেদের মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা করছে... এ বিষয়ে আমি কী বলব- এটাকে অনভিপ্রেত বলা যেতে পারে।’
রবিবার (২৬ নভেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এসব কথা বলেন।
দুই বড় দেশের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পররাষ্ট্র সচিব এ মন্তব্য করেন।
মারিয়া জাখারোভা ২২ নভেম্বর সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ‘স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তি’ নিশ্চিত করার নামে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার বিষয়ে বারবার কথা বলেছে রাশিয়া।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের 'হস্তক্ষেপ' নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন পররাষ্ট্র সচিব
রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং স্থানীয় বিরোধী দলের একজন উচ্চ পদস্থ প্রতিনিধির মধ্যে অক্টোবরের শেষে একটি বৈঠকের বিষয়ে তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
রুশ পক্ষ জানিয়েছে, বৈঠকে তারা দেশে ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ সংগঠিত করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছে বলে জানা গেছে।
জবাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বৈঠক নিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার 'ইচ্ছাকৃত ভুল ব্যাখ্যার' বিষয়ে তারা অবগত।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলকে পছন্দ করে না যুক্তরাষ্ট্র।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পুনর্ব্যক্ত করেছে, বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, তারাও তাই চায়, আর তা হলো- শান্তিপূর্ণভাবে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন হোক।
আরও পড়ুন: এফওসি: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্য, নিরাপত্তা, সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা
দিল্লিভিত্তিক কূটনীতিকদের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ
১ বছর আগে
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাশিয়ার ইতিবাচক ভূমিকা প্রত্যাশা বিএনপির: রিজভী
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাশাপাশি রাশিয়ার ইতিবাচক ভূমিকা প্রত্যাশা করছে বিএনপি।
বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।
রিজভী বলেন, 'রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্টে কিছু মন্তব্য করেছেন বলে বাংলাদেশের জনগণ ও বিএনপির নজরে এসেছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী সমাবেশ আয়োজনের জন্য বিরোধী দলের এক সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেন জাখারোভা।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লুটপাট করে নতুন দল তৈরি করছে সরকার: রিজভী
রিজভী বলেন, ‘জাখারোভার বক্তব্য একটি স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের নাগরিকদের আশা-আকাঙ্ক্ষার সম্পূর্ণ বিরোধী। বিএনপি ভুল তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে।’
২০১৪ ও ২০১৮ সালের প্রহসনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কলঙ্কিত ট্র্যাক রেকর্ড ও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রেক্ষাপটে বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ ও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো বিশ্বাস করে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের অধীনে একটি স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অসম্ভব।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক বিরোধী শক্তি তাদের চুরি হওয়া ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সংগ্রাম করছে।
তিনি বলেন, 'পুলিশের নৃশংস নিপীড়ন এবং পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের যৌথ হামলা মোকাবিলা করে বর্তমানে আমাদের দেশের জনগণ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ও প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও আন্তর্জাতিকমানের শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে কারচুপি করতে সরকার এজেন্সিগুলো ব্যবহার করে কিংস পার্টি গঠন করছে: রিজভী
রিজভী বলেন, গত কয়েক মাসে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রাজধানী ঢাকা ও বিভাগীয় সদরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে অসংখ্য সমাবেশের আয়োজন করেছে।
তিনি বলেন, 'কোনো বিদেশি কূটনীতিকের এ ধরনের সমাবেশে সহায়তা করার প্রশ্নটি শুধু অসত্যই নয়, গণতন্ত্রের জন্য জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রাম সম্পর্কে সুস্পষ্ট মনগড়া অভিযোগ।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত স্বৈরাচারী সরকারের সঙ্গে জোট বেঁধে এবং জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জাখারোভার বক্তব্য নিজেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল, যা অপ্রত্যাশিত ও দুর্ভাগ্যজনক।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে এই স্বৈরাচারী শাসনের সূচনার পর থেকে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে তাদের স্বজনসহ লাখ লাখ মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করেছে জাখারোভার বক্তব্য।
রিজভী বলেন, বর্তমানে গণতান্ত্রিককামীরা গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, আইনের শাসন ও বাকস্বাধীনতার জন্য রক্ত ঝরিয়ে রাস্তায় নেমেছেন।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ-নাশকতার পেছনে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা: রিজভী
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বের গণতন্ত্রপ্রিয় দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ইতিবাচক ভূমিকাকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করে। অনুপ্রেরণামূলক কূটনৈতিক উদ্যোগ রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ও মতাদর্শকে অতিক্রম করে জনগণের জন্য ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের অভিন্ন লক্ষ্যে বাংলাদেশীদের ঐক্যবদ্ধ করেছে।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের পাশে অন্য কোনো দেশকে দেখতে গণতন্ত্রপন্থী নাগরিকরা পছন্দ করে না।
তিনি বলেন, পারস্পরিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক স্বার্থে রাশিয়া বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু। বিএনপি রাশিয়ার ঐতিহাসিক অবদানকে স্বীকৃতি দেয় এবং দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ককে মূল্য দেয়।
তিনি বলেন, 'আমরা আশা করি, রাশিয়া বাংলাদেশিদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাবে না। আমাদের জনগণ যখন ভোটাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তখন রাশিয়ার সমর্থন করাই উচিৎ হবে।’
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অপপ্রচার একতরফা নির্বাচনের কৌশল: রিজভী
১ বছর আগে