নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
ফলে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৪০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। বর্তমানে যমুনার পানি বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিম্নাঞ্চলের অনেক পরিবার এখন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে যমুনার পানি বাড়ছে এবং নিম্নাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
নদীর তীরবর্তী বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে।
যমুনার তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘যমুনার তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের দেড় হাজার পরিবার এখন পানিবন্দি।’
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে আরও কয়েকদিন পানি বাড়তে পারে।’
জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যমুনার পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুকনা খাবারসহ ত্রাণ ও সামগ্রী মজুদ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বিপৎসীমার ওপরে মুহুরীর পানি, ফেনীর বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত
সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, প্লাবিত শতাধিক গ্রাম
৫ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি
বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডব এবং জলোচ্ছ্বাসে জেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী পাড়ের বাঁধ ভেঙে গেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
ঝড়ের তাণ্ডবে জেলার বিভিন্ন এলাকায় চার হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অসংখ্য গাছপালা ভেঙে গেছে এবং উপড়ে পড়েছে। জেলায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে এবং গাছ পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে প্রায় পাঁচ লাখ গ্রাহক রবিবার রাত থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৫০০ পরিবার পানিবন্দি
জেলা সদরের দড়াটানা নদীর বেমরতা এলাকায় ছয় মিটার, মোড়েলগঞ্জে পানগুছি নদীর শ্রেণীখালী এলাকায় ১০ মিটার ও দেবরাজ কুমারীজোলা এলাকায় ৪০০ মিটার বেড়িবাঁধ পানির তোড়ে ভেঙে যায়।
এদিকে জেলার উপর দিয়ে এখনো ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে এবং সেই সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। জলোচ্ছ্বাস ও বৃষ্টিতে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া শরণখোলায় একটি রিংবাঁধ ভেঙে গেছে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী জেলায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সেইসঙ্গে চার হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা দুর্গত মানুষকে খাবারসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ৭০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
বাগেরহাট পল্লীবিদ্যুতের জিএম সুশান্ত রায় বলেন, বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। গাছ পড়ে অসংখ্য স্থানে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গেছে। জেলায় তাদের ৪ লাখ ৮৫ হাজার গ্রাহক রবিবার সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎ বিছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ভোলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ
নওগাঁয় পানিবন্দি ২ হাজার পরিবার, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট
৬ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে অসময়ে যমুনায় পানি বৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ও ভারী বর্ষণে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি আবারও অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ৫২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
অসময়ে যমুনার পানি বৃদ্ধিতে আবারও বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে যমুনা অভ্যন্তরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং বিভিন্ন মাঠের ফসল ডুবে গেছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোর্টার) রনিজৎ কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বন্যায় চীনে লোহার খনিতে ১৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১
তিনি জানান,কয়েকদিন ধরে উজানের ঢল ও দফায় দফায় ভারী বর্ষণে যমুনার পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বিশেষ করে যমুনা তীরবর্তী শাহজাদপুর,বেলকুচি, চৌহালী,কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে এবং আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। অসময়ে যমুনার পানি বৃদ্ধিতে নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে।
তিনি আরও বলেন, পানি বৃদ্ধিতে চরাঞ্চলের অসহায় মানুষের দুঃখ-দুর্দশা বাড়ছে। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে যমুনা নদীর তীরবর্তী অনেক স্থানে ভাঙনও দেখা দিয়েছে এবং এ ভাঙনে ইতোমধ্যেই শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার অনেক স্থানে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও জমি যমুনাগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
তিনি বলেন, জুনের প্রথম থেকে যমুনায় দফায় দফায় পানি বাড়তে শুরু করে। এ নিয়ে যমুনা নদিতে ৬ষ্ঠ দফা পানি বাড়লো এবং নিম্নাঞ্চলের তিন দফা বন্যাও হয়েছে। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিভিন্ন ফসল ও অনেক রাস্তা-ঘাট।
তবে যমুনায় আরও ৭/৮ দিন পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকলেও বড় ধরনের বন্যার কোন আশংকা নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: বন্যা: পাকিস্তানকে সাহায্য করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি গুতেরেসের আহ্বান
সিলেটে নদ-নদীতে বাড়ছে পানি, আবারও বন্যার আশঙ্কা
২ বছর আগে
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: চার জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
পশ্চিমবঙ্গ-উত্তর ওড়িশা উপকূল ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপের কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের কারণে বরগুনা, বরিশাল, ঝালকাঠি ও বাগেরহাট জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
জেলার সব প্রধান নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বরগুনায়, মঙ্গলবার থেকে গত ছয় দিন ধরে অবিরাম বর্ষণে জলোচ্ছ্বাসের কারণে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, বিষখালী নদীর পানি বরগুনা পয়েন্টে বিপদসীমার ৭২ সেন্টিমিটার এবং পাথরঘাটা পয়েন্টে ১২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
আবহাওয়ার বুলেটিনে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সাধারণ জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে চার ফুট উচ্চতায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং সমস্ত মাছ ধরার নৌকা এবং ট্রলারকে সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেঘনার পানি বিপদসীমার ওপরে, ভোলায় ৮ গ্রাম প্লাবিত
জলোচ্ছ্বাসে যে কোনো সময় বন্যা রক্ষা বাঁধ ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় দিন পার করছেন নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, মাছ ধরার ট্রলারগুলো নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে।
বরগুনা সাইক্লোন প্রিপারেশন প্রোগ্রামের (সিপিপি) রেডিও অপারেটর গোলাম মাহমুদ বলেন, বৃষ্টি কত দিন চলবে বলা মুশকিল।
বাগেরহাটে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবন। দুবলারচর, করমজল, কটকাসহ সুন্দরবনের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্য প্রাণীদের আবাসস্থল সংকট তৈরি করেছে।
বাগেরহাট, সদর, মোরেলগঞ্জ, রামপাল ও মংলা উপজেলার নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে।
সুন্দরবন পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৩.৫ ফুট ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। অনেক হরিণ পুকুরের উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিতে ছুটতে দেখা যায় হরিণগুলোকে।
এছাড়া জেলেরা সুন্দরবনে আশ্রয় নিয়েছে।
এখানে ৫৩টি পুকুর রয়েছে এবং জলোচ্ছ্বাসের কারণে সবগুলো পুকুর পানিতে কানায় কানায় পূর্ণ। মিষ্টি পানির উৎস হারানোর আশঙ্কায় রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: বঙ্গোসাগরে নিম্নচাপ: ভোলার ১০ গ্রাম প্লাবিত
দুবলারচর সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ কুমার মজুমদার জানান, রবিবার সুন্দরবনের পুকুর ও নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাগেরহাট জেলার মৎস্য কর্মকর্তা এএসএম রাসেল জানান, অনেক মাছের ঘের ভেসে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে এবং সম্ভাব্য লোকসানের আশঙ্কায় মাছের ঘের মালিকরা।
ঝালকাঠির বিষখালী ও সুগন্ধা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণে জেলার চার উপজেলার ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
কয়েক শতাধিক মানুষ অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন এবং দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।
অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও নদীর পানি প্রবেশ করেছে, কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ছুটি দিতে বলেছে।
কাঁঠালিয়া উপজেলার আওরা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪৪টি বাড়ি প্লাবিত হয়েছে এবং উপজেলা পরিষদ ভবন, ইউএনও অফিস ও বাসাবাড়িও তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
এছাড়া শৈলজালিয়া ইউনিয়নের কচুয়া ঢালী খালের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে রাস্তাঘাট, ফসলি জমি ও গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
আমুয়া বন্দরের প্রধান বাজারও তলিয়ে গেছে।
কাঁঠালিয়া উপজেলার ২১টি, সদর উপজেলার আটটি, নলছিটি উপজেলার নয়টি ও রাজাপুর উপজেলার ১১টি গ্রাম জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবন প্লাবিত
২ বছর আগে
বন্যায় শেরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলের পানিতে দ্বিতীয় দফায় বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি, সোমেশ্বরী, ভোগাই, চেল্লাখালি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তিন উপজেলা ৪০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সৃষ্ট বন্যায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে নালিতাবাড়ীতে চেল্লাখালি নদী বিপদসীমার আড়াই মিটার এবং ভোগাই নদী এক মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এদিকে ভোগাই নদীর পানি ঢুকে নাকুগাঁও স্থলবন্দর সড়ক ডুবে গেছে। এতে পৌর শহরের গড়কান্দা, শিমুলতলা, নীচপাড়াসহ দুইটি ইউনিয়নের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিপাতে হবিগঞ্জ শহরে জলাবদ্ধতা
ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী এবং সোমেশ্বরী নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সদর, ধানাশাইল, গৌরীপুর, হাতিবান্দা ও মালিঝিকান্দাসহ পাঁচ ইউনিয়নের ২৫ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার রামেরকুড়া, দিঘীরপাড়, চতল এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে উপজেলা সদর এবং আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। মহারশি নদীতে ঢলের পানির চাপে শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে রামেরকুড়া গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ বাড়ি ও পোলট্রি খামার ভেসে গেছে। সেই সঙ্গে ওই গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ির মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ায় স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে।
শ্রীবরদী উপজেলায় ও সোমেশ্বরী নদীর ভাঙ্গনের অংশ দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করায় পাঁচ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মো.শাহজাহান জানায়, উজানে ভারতের মেঘালয় ও আসামে গত দুই দিন ভারী বর্ষণ হওয়ায় সীমান্তের নদ-নদীগুলোতে পাহাড়ি ঢলের প্লাবন দেখা দিয়েছে। তাছাড়া নালিতাবাড়ি ভোগাই নদী পয়েন্টে ১১৫ মিলিমিটার এবং শেরপুর সদর পয়েন্টে ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি জানান, সীমান্তের পাহাড়ি নদীর সবগুলোতেই বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় তিন উপজেলার বেশ কিছু এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দফায় উপজেলা সদরে ও বিভিন্ন গ্রামে পানি আসতে শুরু করেছে। বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হলে বন্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রথম দফায় বন্যার্তদের মাঝে জেলা প্রশাসনের বরাদ্দের ১৫ মেট্রিক টন চাল মধ্যে থেকে ১০ মেট্রিক টন বিতরণ করা হয়েছে। বাকি চাল বিতরণ করা হবে। এছাড়া বর্তমানে যারা পানিবন্দি হয়ে রয়েছে তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
২ বছর আগে
যমুনার পানি বৃদ্ধি: বগুড়ার সারিয়াকান্দির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
বগুড়া সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বিপদসীমার কাছাকাছি ছুঁই ছুঁই করছে। ফলে নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় পানি প্রবেশ করে পাট ও ধৈঞ্চার খেত ক্ষতির মুখে পড়েছে। এতে ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন গুনছেন স্থানীয় কৃষকরা।
সারিয়াকান্দি পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার পরশুরাম জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত যমুনা নদীতে সারিয়াকান্দির কালিতলা পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১৬ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার যা বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একইভাবে বাঙালি নদীর পানির উচ্চতা ছিল ১৫ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার যা বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিপাতে হবিগঞ্জ শহরে জলাবদ্ধতা
জানা গেছে, গত কয়েক দিনের পানি বৃদ্ধিতে সারিয়াকান্দি উপজেলার ১১২টি চরের নিম্নাঞ্চল যমুনা নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। চরগুলোর বিস্তীর্ণ এলাকার পশুচারণভূমি এবং সবুজ ঘাস পানিতে ডুবে গেছে। ফলে ঘাসের অভাবে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়াসহ সবধরনের গৃহপালিত পশু খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে বন্যার আশঙ্কায় পাট কেটে জাগ দিয়ে রাখা হয়েছিল, কিন্তু সেই পাট বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে পানিতে ভেসে গেছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বাদশা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙনও দেখা দিয়েছে। তার ইউনিয়নের প্রায় অর্ধেকের বেশি পাটের ফসল পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে
সারিয়াকান্দি পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাসকিয়া জানান, যমুনা ও বাঙালি নদীতে পানি বাড়ছে। যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে করে ১৯ জুনের মধ্যে যমুনা এবং বাঙালি নদীতে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এক্ষেত্রে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকের পাট এবং ধৈঞ্চাসহ কয়েকটি ফসল নিমজ্জিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
২ বছর আগে
দ্বিতীয় দফা বন্যার কবলে সুনামগঞ্জ
পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার দ্বিতীয় দফা বন্যার কবলে পড়েছে। নতুন করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সুরমা, লক্ষ্মীপুর, বগুলা, বাংলাবাজার, নরসিংপুর ও দোয়ারা সদর ইউনিয়নের হাজারো মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ বাড়িঘরের আঙিনা ও রাস্তাঘাট থেকে প্রথম দফা বন্যার পানি এখনো সরেনি। সেই রেশে নদীনালা, খালবিল, হাওর-বাওর, মাঠঘাট পানিতে একাকার হয়ে আছে। অনেকের স্যানিটেশন ও টিউবওয়েল ডুবে পেটের পীড়া, চর্মরোগ ও পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের উপসর্গ এখনও পুরোদমে নির্মুল হয়নি। প্রথম দফার বন্যাতে উপজেলা সদরের সঙ্গে সুরমা, বগুলা ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন।
আরও পড়ুন: বন্যায় সুনামগঞ্জে শত কোটি টাকার ক্ষতি
এ ছাড়া আউশ ফসল, আমনের বীজতলা ও সবজি খেতসহ অধিকাংশ মাছের পুকুর তলিয়ে যাওয়ায় কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজারো পরিবার। তবুও এক বুক আশা নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ভুক্তভোগী কৃষি ও মৎস্যজীবী পরিবারগুলো। সাহস করে পুকুরে আবারও মাছের পোনা ছাড়েন, তড়িঘড়ি করে বীজতলায় বীজ বুনেন। কিন্তু বিধি বাম! প্রথম দফা বন্যার রেশ না কাটতে না কাটতে দ্বিতীয় দফা বন্যার অশনি সংকেতে আবারও চোখে সর্ষেফুল দেখছেন তারা।
২ বছর আগে
ফরিদপুরে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ফরিদপুরে পদ্মার পানি গত চার দিন যাবত বেড়েই চলছে। ফলে দেশের মধ্যাঞ্চলের এই জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
গোয়ালন্দ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ সেন্টিমিটার পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে তা এখন বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল, ডিক্রিরচর ও চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের ৫০টি গ্রামের ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
ডিক্রিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু বলেন, আমার ১২টি গ্রাম বন্যাকবলিত। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা আছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে পানিবন্দী মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হবে।
নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান জানান, তার ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামের ১৩ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মৃকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুম রেজা বলেন, পানিবন্দী মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ও গবাদি পশুর খাদ্য মজুদ আছে। আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যা দুর্গতদের নিরাপদ স্থানে রাখার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিপদসীমার উপরে পদ্মার পানি, তীব্র ভাঙন
তিস্তার ভাঙন: কুড়িগ্রামের ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে
৩ বছর আগে
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যেই যমুনার অভ্যন্তরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে যমুনা নদীর পানি এখনও বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (হেড কোয়ার্টার) নাসির উদ্দিন জানান, পাহাড়ি ঢল ও দফায় দফায় বর্ষণে যমুনা নদীতে আবারও কয়েকদিন ধরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যেই যমুনার অভ্যান্তরে অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে ও হচ্ছে। এতে বিভিন্ন ফসল তলিয়ে যাওয়ার উপক্রমও হয়েছে। এভাবে যমুনায় পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যমুনা নদীর তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙনও দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শাহজাদপুর ও এনায়েতপুরে এ ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড এসব স্থানে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মধুমতি নদীতে ভাঙন
১০ বছরে মেঘনায় বিলীন ১৭০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা
৩ বছর আগে
যমুনায় পানি বৃদ্ধিতে সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল আবারও প্লাবিত
প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে আবারও অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি।
৪ বছর আগে