ইতালি
যাচাই না করা পর্যন্ত বাংলাদেশি ও বিদেশি নাগরিকদের কাজের অনুমতি স্থগিত করেছে ইতালি
ইতালি সরকার বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের দেওয়া সব ধরনের 'নুলা ওস্তা'র (কাজের অনুমোদন) বৈধতা যথাযথ যাচাইকরণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছে।
ঢাকার ইতালি দূতাবাস জানিয়েছে, অনেক বেশি পরিমাণে ভুয়া ও জাল কাগজপত্র জমা হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ১১ অক্টোবর জারি করা নতুন আইন অনুসারে,ইতালির প্রাদেশিক অভিবাসন অফিস (‘স্পোর্টেলো ইউনিকো’- এসইউআই) থেকে স্থগিত নুলা ওস্তার যাচাইকরণ সম্পন্ন হওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়ার পরেই কাজের ভিসা দেবে দূতাবাস।
উপরে উল্লিখিত যাচাইয়ের জন্য মূলতবি থাকা আবেদনকারীদের পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হবে বলে ভিসার জন্য আবেদনকারী এবং অ্যাপয়েন্টমেন্ট প্রার্থীদের জানিয়েছে ইতালি দূতাবাস।
রবিবার (২০ অক্টোবর) থেকে পর্যায়ক্রমে পাসপোর্ট ফেরত দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে।
দূতাবাস, প্রত্যেক আবেদনকারীকে ভিএফএস গ্লোবালের মাধ্যমে একটি এসএমএস বা ই-মেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে যে তিনি কখন পাসপোর্ট ফেরত নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: সম্পর্কের ‘নতুন অধ্যায়’ শুরু করতে প্রধান উপদেষ্টাকে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
দূতাবাস নুলা ওস্তার নিশ্চয়তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীদেরকে পাসপোর্টটি ভিএফএস গ্লোবালের মাধ্যমে জমা দিয়ে ভিসা নিতে তাদের সঙ্গে আবার যোগাযোগ করবে।
কাজের ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট প্রার্থী যাদের নুলা ওস্তা নিশ্চিতকরণ পেয়েছে তাদের আবেদন জমা দেওয়ার জন্য ভিএফএস গ্লোবালের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হবে।
অতএব, অ্যাপয়নমেন্টগুলো (ইতোমধ্যে নির্ধারিতসহ) আর প্রয়োজন নেই এবং বর্তমানে আর দেওয়া হবে না।
ই-মেইল [email protected] সক্রিয় রয়েছে।
নতুন ইস্যু করা কাজ নুলা ওস্তাপ্রাপ্তদের তাদের যোগাযোগের জন্য এই ঠিকানায় লিখতে অনুরোধ করা হয়েছে।
আবেদনকারী, নিয়োগকর্তা এবং আইনজীবীদের তাদের কাজের যাচাইকরণ সম্পর্কিত দূতাবাস বা ভিএফএস গ্লোবালকে ই-মেইল পাঠানো এড়াতে বলা হয়, কারণ আপেক্ষিক প্রক্রিয়াটি ইতালিতে তৈরি করা হয়।
নুলা ওস্তাধারীরা তাদের নুলা ওস্তার যাচাইকরণ স্থিতির হালনাগাদের জন্য ইতালিতে তাদের সম্ভাব্য নিয়োগকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইতে পারেন।
ইতালির প্রাদেশিক অভিবাসন অফিস ‘স্পোর্টেলো ইউনিকো’ - এসইউআই দ্বারা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কাজের ভিসা (নুলা ওস্তার) মেয়াদ শেষ হবে না।
অন্যান্য ধরনের ভিসা (যেমন পরিবার, পড়াশোনা, ব্যবসা এবং পর্যটন) প্রক্রিয়াকরণ অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইতালির ভিসা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে, আশা উপদেষ্টা তৌহিদের
১ মাস আগে
ইতালিতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
বিদেশে উচ্চশিক্ষার অন্যতম আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে ভিন্ন সংস্কৃতি ও স্বতন্ত্র আচার-প্রথার জনগোষ্ঠী। সেখানে সব থেকে বেশি বৈচিত্র্য দেখা যায় ইউরোপের রাষ্ট্রগুলোতে। যেখানে সহপাঠী বা সহকর্মীদের মধ্যে ভাষা থেকে শুরু করে বেশভূষায় থাকে যথেষ্ট ভিন্নতা। শিল্প চর্চার সূত্রে এক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জাতিগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইতালীয়রা। মৌলিকতা ও সৃজনশীলতার সন্নিবেশে শিক্ষালব্ধ পারদর্শিতাকে তারা নিয়ে গেছে শিল্পের পর্যায়ে। আর এ কারণেই উচ্চশিক্ষার জন্য এই অপূর্ব দেশটিকে বেছে নেয় শিল্পানুরাগী শিক্ষার্থীরা। চলুন, ইউরোপীয় ইতালিতে পড়াশোনার জন্য আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা এবং স্কলারশিপ নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ইতালিতে কেন পড়তে যাবেন
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই সদস্য রাষ্ট্রটিতে রয়েছে বিশ্বের প্রাচীনতম সব বিশ্ববিদ্যালয়। সময়ের বিবর্তনে পুরাতন শিক্ষা ব্যবস্থার ক্রমাগত উন্নয়নের পটভূমিতে এগুলোতে জমা হয়েছে শত বছরের ঐতিহ্য। বর্তমানে আন্তর্জাতিক শিক্ষা কারিকুলাম এবং স্কলারদের অভিজাত ফোরামগুলোতে সুপরিচিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। তন্মধ্যে কিউএস ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং-এ থাকা বিদ্যাপীঠগুলো হলো পলিটেক্নিকো ডি মিলানো (১২৩), স্যাপিয়েঞ্জা ইউনিভার্সিটি অব রোম (১৩৪) ও ইউনিভার্সিটি অব বোলোগনা (১৫৪)।
গ্লোবাল পিইও (প্রফেশনাল ইম্প্লয়ার অর্গানাইজেশন) সার্ভিসেস ও ফোর্বসের মতে, বর্তমানে ইউরোপ অর্থনীতিতে তৃতীয় এবং গোটা বিশ্বে নবম বৃহত্তম দেশ ইতালি। সেই সূত্রে, ইন্টার্নশিপ, অন-দ্যা-জব ট্রেনিং এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্টের মতো পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
প্রধান ভাষা ইতালিয়ান হলেও ইংরেজি ভাষার প্রতি গুরুত্ব থাকায় প্রতি বছরই ভিড় বাড়ছে বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের। বিশেষ করে মিলান, রোম, এবং তুরিন ইউরোপের প্রধান শিক্ষার্থী-বান্ধব শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম।
শিক্ষার পাশাপাশি শেনজেনভুক্ত দেশটির যে ক্ষেত্রটিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ থাকে, তা হলো এর পর্যটন। ইউএনডব্লিউটিও (ইউনাইটেড ন্যাশন্স ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন) অনুসারে, বিশ্ব পর্যটন র্যাঙ্কিংয়ে এই ইউরোপীয় দেশটির অবস্থান ৪র্থ। এখন পর্যন্ত ইতালিতেই রয়েছে সর্বাধিক সংখ্যক ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট (৫৯)। এগুলোর মধ্যে ৫৩টি সাংস্কৃতিকভাবে স্বীকৃত ও ৬টিতে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের বিশেষত্ব।
আরো পড়ুন: জাপানে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
ইতালির শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং জনপ্রিয় কোর্সের তালিকা
ইউরোপজুড়ে বহুল সমাদৃত ইতালির শীর্ষ ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
· পলিটেক্নিকো ডি মিলানো
· স্যাপিয়েঞ্জা ইউনিভার্সিটি অব রোম
· ইউনিভার্সিটি অব বোলোগনা
· ইউনিভার্সিটি অব পাদুয়া
· পলিটেকনিকো ডি টরিনো
· ইউনিভার্সিটি অব মিলান
· ইউনিভার্সিটি অব নেপল্স ফেদেরিকো-২
· ইউনিভার্সিটি অব পিসা
· ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরেন্স
· ইউনিভার্সিটি অব তুরিন
ইতালির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যয়নের জন্য জনপ্রিয় কয়েকটি বিষয়
চারুকলা, ফ্যাশন ডিজাইন, ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা, সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক, হস্পিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম, মেডিসিন, কম্পিউটার সায়েন্স, অর্থনীতি, ফাইন্যান্স, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইত্যাদি
আরো পড়ুন: নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
ইতালির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদনের উপায়
অন্যান্য শেনজেন দেশগুলোর মতো ইতালিও শিক্ষা ক্ষেত্রে দুই-সেমিস্টার পদ্ধতি মেনে চলে। প্রথম ভর্তি মৌসুমটি পরিচিত ফল ইন্টেক নামে, যার আবেদন কার্যক্রম শুরু হয় নভেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে। এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মধ্যে যাবতীয় আবেদন শেষে কোর্স আরম্ভ হয় সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বা অক্টোবরের শুরুতে। এই সময়টিতে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সর্বাধিক সংখ্যক কোর্সে ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়।
স্প্রিং নামের অপর ইন্টেকটিতে আবেদন নেওয়া হয় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। এগুলোর সময়সীমা থাকে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর। অতঃপর ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যেই ভর্তি শেষ করে কোর্স শুরু করে দেওয়া হয়।
এখানে প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য পৃথকভাবে তাদের নিজস্ব ওয়েব পোর্টালে আবেদন করতে হয়। আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচসহ সুনির্দিষ্ট ডেডলাইনগুলো ওয়েবসাইটে বিস্তারিত উল্লেখ থাকে। এখানে খেয়াল রাখা উচিত যে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধুমাত্র একটি বিষয়ে আবেদন জমা দেওয়া যায়।
প্রি-ইনরোলমেন্ট
ইতালির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির একটি প্রধান বিষয় হলো প্রি-ইনরোলমেন্ট। এটি যে কোনো কোর্সের জন্য আবেদন করার পূর্বশর্ত। এর জন্য শিক্ষার্থীকে ইউনিভার্সইটালি পোর্টালে (https://universitaly-private.cineca.it/index.php/registration/firststep) নিবন্ধনের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়।
এ সময় পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় তথ্য ও নির্দেশনা পেতে এর ওয়েবসাইট গবেষণা এবং অ্যাডমিশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। অতঃপর নির্বাচিত অধ্যয়ন প্রোগ্রামের জন্য ইউনিভার্সইটালি সাইটে প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি আপলোড দিতে হবে। এভাবে প্রি-ইনরোলমেন্টের অনলাইন আবেদন শেষ করলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার প্রস্তুতির কাজ শুরু করা হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীকে অধ্যয়ন ফি পরিশোধের জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হবে। সাধারণত শিক্ষাবর্ষ জুড়ে তিন কিস্তিতে এই ফি নেওয়া হয়। প্রথম কিস্তি নেওয়া হয় ভর্তির সময়। পরবর্তী কিস্তিগুলো সুনির্দিষ্ট তারিখ সংশ্লিষ্ট ইউনিভার্সিটি থেকে জানানো হয়।
আরো পড়ুন: ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ভর্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
· অনলাইনে পূরণকৃত পূর্ণ আবেদনপত্র
· একটি বৈধ পাসপোর্ট
· বিগত শিক্ষাগত যোগ্যতার নথি-
o স্নাতক প্রোগ্রামের জন্য হাই স্কুল ডিপ্লোমা বা সমতুল্য সনদ এবং একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
o স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের জন্য স্নাতকের সনদ ও একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
o ডক্টরাল প্রোগ্রামের জন্য স্নাতকোত্তরের সনদ ও একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টে
· ভাষার দক্ষতা পরীক্ষার নূন্যতম স্কোর
o আইইএলটিএস-এ ৬ বা টোফেল আইবিটিতে ৫৯
o মাস্টার্সের জন্য আইইএলটিএস স্কোর ৬ দশমিক ৫ কিংবা টোফেল আইবিটি ৭৯
o পিএইচডির জন্য আইইএলটিএস স্কোর ৭ বা টোফেল আইবিটি ৯৬
· অধ্যয়ন ফি পরিশোধের রশিদ: তিন কিস্তির ন্যূনতম ১ কিস্তি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি প্রায় ১২০ এবং ১৮০ ইউরোর মধ্যে থাকে, যা ১৫ হাজার ৮৬২ থেকে ২৩ হাজার ৭৯৩ টাকার (১ ইউরো = ১৩২ দশমিক ১৮ বাংলাদেশি টাকা) সমতূল্য।
· সিভি
· স্টেটমেন্ট অব পার্পাস
· একাধিক মোটিভেশন লেটার
· মেডিকেল সার্টিফিকেট ও স্বাস্থ্য বীমা
· জিম্যাট বা জিআরই পরীক্ষার ফলাফল (মাস্টার্সের জন্য)
· পোর্টফোলিও: সৃজনশীল ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের জন্য
· গবেষণা প্রস্তাব: পিএইচডির জন্য
o যার অধীনে গবেষণা করা হচ্ছে তার সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য এবং শিক্ষার্থীর গবেষণার তত্ত্বাবধান করবেন এই মর্মে একটি সম্মতিপত্র
o প্রাসঙ্গিক পাবলিকেশনের সারাংশ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
· কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ- নির্বাচিত কিছু প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে
বিশ্ববিদ্যালয়, কোর্স এবং প্রোগ্রাম বিশেষে আরও কিছু দরকারি কাগজ দিতে হতে পারে।
আরো পড়ুন: পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ইতালিতে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন পদ্ধতি
দীর্ঘমেয়াদী অধ্যয়নে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালির টাইপ-ডি ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। ন্যাশনাল ভিসা নামে পরিচিত এই ভিসায় ৯০ দিনের বেশি ইতালিতে বসবাসের অনুমতি লাভ করা যায়। ভিসার মেয়াদ থাকে নির্বাচিত ফুল-টাইম স্টাডি প্রোগ্রামের পুরো সময়কালব্যাপি।
বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীরা ইতালি অভিবাসনের গ্লোবাল পার্টনার ভিএফএস (ভিসা ফ্যাসিলিটেশন সার্ভিসেস)-এর মাধ্যমে টাইপ-ডি ভিসায় আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য ডাউনলোডের জন্য আবেদন ফর্মটি পাওয়া যাবে এই লিংকে- https://visa.vfsglobal.com/one-pager/italy/bangladesh/english/pdf/visa-d-long-term.pdf
এটি পূরণের পর প্রিন্ট করে স্বহস্তে সই করতে হবে এবং তারপর এর সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নথিপত্রের সংযুক্তিসহ ভিসা আবেদন কেন্দ্রে জমা দিতে হবে।
আরো পড়ুন: টোফেল পরীক্ষার নিবন্ধন করবেন যেভাবে
ভিসার আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
· সম্পূর্ণরূপে পূরণকৃত এবং স্বহস্তে সই করা জাতীয় (টাইপ-ডি) ভিসা আবেদনপত্র
· সদ্য তোলা ২ কপি রঙিন ছবি:
o ছবিগুলো অবশ্যই আইসিএও (ইন্টার্ন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন) ফর্ম্যাটের হতে হবে (আকার ৪ x ৩ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার, সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে তোলা ও সর্বোচ্চ বিগত ৬ মাসের মধ্যে তোলা)
· প্রতিটি পৃষ্ঠার অনুলিপিসহ বৈধ পাসপোর্টের আসল কপি
o পাসপোর্টের মেয়াদ শেনজেনভুক্ত যে কোনো দেশে পৌঁছার তারিখ থেকে পরবর্তী অন্তত ৩ মাস হতে হবে। পাসপোর্টে কমপক্ষে দুটি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
· ইতালীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা এএফএএম ইনস্টিটিউটে (চারুকলা, সঙ্গীত ও নৃত্যকলার প্রতিষ্ঠান) প্রি-ইনরোলমেন্টের প্রমাণ (কেবল প্রি-ইনরোলমেন্টের জন্য): ভর্তি এবং অধ্যয়ন খরচ উল্লেখ করা আবশ্যক
· ইতালীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তির অফার লেটার
· আবেদনকারীর আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ: গত ৬ মাস ধরে বাংলাদেশে পরিচালিত যে কোনো ব্যাংক কর্তৃক জারি করা শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত ব্যাংক স্টেটমেন্ট
o কেউ স্পন্সর করে থাকলে তার আর্থিক সম্পদের প্রমাণ: বাংলাদেশের কোনো ব্যাংক থেকে দেওয়া স্পন্সরের গত ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
o স্পন্সরের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কের প্রমাণ (স্পন্সর অবশ্যই রক্তের সম্পর্কের বা বৈবাহিক সূত্রে সম্পর্কিত হবেন)
· স্কলারশিপ পেয়ে থাকলেও উপরোক্ত আর্থিক সম্পদের প্রমাণ প্রদর্শন করা অপরিহার্য
· ইংরেজি ভাষা দক্ষতার প্রমাণ স্বরূপ আইইএলটিএস (নূন্যতম স্কোর ৬) সার্টিফিকেট: শংসাপত্রের ইস্যুর তারিখ ভিসার আবেদনের তারিখের আগে দুই বছরের বেশি হওয়া যাবে না
· ইতালিতে শিক্ষার্থীর বাসস্থানের প্রমাণ:
o অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় বা ভাড়া চুক্তি কিংবা,
o একজন ইতালীয় নাগরিক বা দেশটিতে নিয়মিত বসবাসের পার্মিটধারী বিদেশী নাগরিকের পক্ষ থেকে রেসিডেন্ট স্টেটমেন্ট। এর সঙ্গে স্টেটমেন্টে সইকারী ব্যক্তির পরিচয়পত্রের সংযুক্তির প্রয়োজন হবে।
· বিমানের অগ্রিম টিকেট বুকিং-এর নথিপত্র
· ভ্রমণ বীমা: চিকিৎসা ফি, হাসপাতালে ভর্তি ও প্রত্যাবাসন খরচসহ সর্বমোট ৩০ হাজার ইউরো (৩৯ লাখ ৬৫ হাজার ৪৮৬ টাকা)
· বিবাহিত হলে বিবাহের শংসাপত্র, তালাকপ্রাপ্ত হলে বিবাহ-বিচ্ছেদের শংসাপত্র এবং বিধবা বা বিপত্নীকদের ক্ষেত্রে স্বামী বা স্ত্রীর মৃত্যুর শংসাপত্র
আরো পড়ুন: ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ভিসা আবেদন জমা ও বায়োমেট্রিক নিবন্ধন
আবেদনের যাবতীয় কাগজপত্র একসঙ্গে করে ভিএফএস-এ যাওয়ার জন্য অনলাইনে কোনো অ্যাপয়েন্টমেন্টের প্রয়োজন নেই। তবে https://vfsforms.mioot.com/forms/CFNC/-এই লিংকের ফর্মটির মাধ্যমে যোগাযোগ করে আবেদনের কথা জানাতে হবে। তারপর ফর্মে উল্লেখিত প্রার্থীর ই-মেইল ঠিকানায় অ্যাপয়েন্টমেন্টের দিনক্ষণ জানানো হবে। এই ইমেইলের একটা প্রিন্ট নিয়ে সেটা ভিএফএসে আসার সময় সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশে ইতালির ভিএফএস সেন্টারের ঠিকানা:
· ঢাকা: নাফি টাওয়ার (৪র্থ ও ৫ম তলা), ৫৩, দক্ষিণ গুলশান এভিনিউ, গুলশান ১, ঢাকা ১২১২।
· চট্টগ্রাম: ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার চট্টগ্রাম, (৫ম তলা) ১০২/১০৩ আগ্রাবাদ সি/এ। কমার্স কলেজ রোড, চট্টগ্রাম-৪১০০।
· সিলেট: ৪র্থ তলা, নির্ভানা ইন কমপ্লেক্স, রামের দীঘির পাড়, মির্জাজঙ্গল রোড, সিলেট- ৩১০০।
উপরের যে কোনো সেন্টারের ক্ষেত্রে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে উপস্থিত হওয়া জরুরি। ই-মেইলে উল্লেখিত তারিখে প্রার্থীর ছবি তোলা এবং দশ আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার মাধ্যমে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন করা হবে। এর সঙ্গে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকার নেওয়া হতে পারে। অবশেষে যাবতীয় কার্যক্রমের পর ভিসা ফিসহ আনুষঙ্গিক খরচ গ্রহণ সাপেক্ষে প্রার্থীকে একটি স্বীকৃতি পত্র বা রশিদ দেওয়া হবে।
আরো পড়ুন: কীভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করবেন?
ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময় ও আনুষঙ্গিক খরচ
স্টাডি ভিসা প্রস্তুত হতে সাধারণত ন্যূনতম ২১ ক্যালেন্ডার দিন প্রয়োজন হয়। তবে কাগজপত্র যাচাইসহ নানা কারণে ভিসা হাতে পাওয়া সময়টি আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে।
ইতালির ভিএফএসের ওয়েবসাইট অনুসারে, টাইপ-ডি ভিসা ফি ৫০ ইউরো বা ৫ হাজার ৭৫০ টাকা। ভিএফএস গ্লোবাল সার্ভিস চার্জ বাবদ রাখা হয় ৩৮ ইউরো বা ৪ হাজার ৩৭০ টাকা। সঙ্গে অতিরিক্ত ব্যাংক ড্রাফ্ট ২৭০ টাকা।
ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময় এবং ভিসা প্রাপ্তি
যাচাই-বাছাই চলার সময়টুকুতে ভিএফএস ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে। এর জন্য নিম্নোক্ত লিংকে যেতে হবে- https://www.vfsvisaonline.com/Global-Passporttracking/Track/Index?q=shSA0YnE4pLF9Xzwon/x/IzcvBCb/70NmWcryI2n01dau+KWr9vOycRn8+9h+u8XIqecwY3I+ZSwJbdFTpO9OZlVSATCCz354s5WEZMMYrE= এখানে আবেদনকারীর শেষ নামের পাশাপাশি দিতে হবে একটি রেফারেন্স নাম্বার, যেটি ভিএফএস থেকে দেওয়া সেই রশিদে পাওয়া যাবে। এছাড়া +৮৮০৯৬০৬৭৭৭৬৬৬ নাম্বারে কল করেও ভিসার ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া যাবে।
সমুদয় যাচাইয়ের পর ভিসা নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হলে তা ফোন কলের মাধ্যমে প্রার্থীকে জানানো হবে। অতঃপর সে অনুযায়ী, ভিসাযুক্ত পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য ভিএফএস সেন্টারে চলে যেতে হবে। এ সময় অবশ্যই সেই রশিদ বা স্বীকৃতি পত্রের মূল কপি এবং জাতীয় পরিচয় পত্র সঙ্গে আনতে হবে।
আরো পড়ুন: সুইডেনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
১ মাস আগে
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে এবার ইতালিতে পাড়ি জমালেন ভারান
রিয়াল মাদ্রিদের পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অধ্যায় শেষ করে এবার মূল ধারার ফুটবল থেকে খানিকটা সরেই গেলেন ফরাসি ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারান। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বিবর্ণ এক অধ্যায়ের পর এবার তিনি পাড়ি জমালেন ইতালিতে, যোগ দিয়েছেন ২১ বছর পর সেরি’আয় উঠে আসা ক্লাব কোমোয়।
মে মাসে ইউনাইটেড ছাড়ার ঘোষণা দেন ভারান। সে সময় তিনি জানান, মৌসুম শেষে রেড ডেভিলসদের সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তিনি আর নতুন চুক্তিতে আবদ্ধ হতে চান না।
এরপর থেকেই ভারানকে দলে টানার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সেস্ক। সেরি’আয় উঠে আসার পর গত মৌসুমে কোমোর সহকারী কোচ থাকা আর্সেনাল ও বার্সেলোনার সাবেক এই মিডফিল্ডারকে প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: সিটি সমর্থকদের সুখবর দিলেন গার্দিওলা
সেস্ক ফাব্রিগাস ভারানকে যে দলে ভেড়াতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন, গত মাসেই তা এক্স পোস্টের মাধ্যমে জানান ট্রান্সফার গুরু ফাব্রিৎসিও রোমানো। তার ওই পোস্টের ঠিক এক মাস পর এই গুঞ্জন বাস্তবে রূপ নিল।
কোমোর সঙ্গে দুই বছরের জন্য চুক্তিপত্রে সই করেছেন ভারান। সেইসঙ্গে চাইলে আরও এক বছর চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে পারবেন তিনি।
ভারানকে পেয়ে দারুণ খুশি ফাব্রিগাস। নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘রাফায়েল দারুণ ফুটবলার। সে স্পেশাল। এই ক্লাব নিয়ে আমাদের কতটা উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে, তাকে দলে টানতে পারাটা তারই প্রমাণ।’
এদিকে, ক্যারিয়ারের এই নতুন অধ্যায় শুরু করতে রোমাঞ্চিত হয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন ভারান।
তিনি বলেছেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত। নতুন সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করতে আর তর সইছে না। আসন্ন মৌসুমের জন্য শারীরিকভাবেও যথেষ্ট প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এর আগে, মাঠের লড়াইয়ে সেস্ককে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেলেও এই প্রথম তার কোচিংয়ে খেলবেন তিনি। এ বিষয়েও দারুণ রোমাঞ্চিত ৩১ বছর বয়সী ভারান।
তিনি বলেন, ‘সেস্কের সঙ্গে আবার দেখা হবে, তবে এবার আর প্রতিপক্ষ হিসেবে নয়। তার খেলোয়াড়ি দর্শন এবং ফুটবল নিয়ে তার যে তাড়না, এসব আমাকে সত্যিই আকৃষ্ট করে। (চুক্তির আগে আলোচনার সময়) সে নিজের পরিকল্পনার ব্যাপারে সবকিছু খুব সহজে বুঝিয়ে দিয়েছে। আশা করছি, সবাই মিলে (ক্লাবকে) ভালো কিছু এনে দিতে পারব।’
আরও পড়ুন: আর্সেনালে যাচ্ছেন ইউরোয় চমক দেখানো কালাফিওরি
২০১০ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ফরাসি ক্লাব লঁসের হয়ে পেশাদার ফুটবলে নিজের যাত্রা শুরু করেন ভারান। এরপর পরের বছরই সান্তিয়াগো বের্নাবেউ হয় তার ঠিকানা। দশ বছর লস ব্লাঙ্কোসদের সাদা জার্সিতে খেলে চারটি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ এবং তিনটি লা লিগাসহ মোট ১৭টি ট্রফি জয়ের পর ২০২১ সালে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান তিনি।
তবে ম্যানচেস্টার ইউনাটেডে তিন মৌসুম খেললেও সেখানে আলো ছড়াতে পারেননি ভারান। চোটের কারণে পুরোটা সময়জুড়ে ভুগতে হয়েছে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপজয়ী এই ডিফেন্ডারকে।
৩ মাস আগে
অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে মদ্রিচদের কাঁদিয়ে শেষ ষোলোয় ইতালি
রেফারি শেষের বাঁশি বাজাতেই রেড বুল আরেনার সবুজ গালিচায় একে একে শুয়ে পড়লেন দুই পক্ষের ফুটবলাররা। সবাই কাঁদছেন; সবার অভিব্যক্তিতেই অবিশ্বাসের ছাপ স্পষ্ট। এক পক্ষ কাঁদছে কীভাবে শেষ ষোলো নিশ্চিত হলো- এই আনন্দে, অন্যপক্ষ কাঁদছে টুর্নামেন্ট থেকে যে প্রায় ছিটকে গেছে, তা হজম করতে কষ্ট হওয়ায়।
ইউরোয় ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় রাউন্ডে ইতালি-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের শেষ দৃশ্য এটি। নির্ধারিত সময় শেষে অতিরিক্ত ৮ মিনিট খেলার সুযোগ দেন রেফারি। এর প্রায় সবটুকু সময় ইতালিকে চেপে ধরে রেখে জয় উদযাপনের জন্য প্রস্তুত ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়-স্টাফদের সবাই। কিন্তু শেষ মিনিটে কোথা থেকে এক নীল ঝড় এসে সে সব আয়োজন মাটি করে দিল, আর বেদনার নীল স্রোতে ভেসে গেল ক্রোয়েশিয়া।
শেষ ষোলো নিশ্চিত করতে জিততেই হবে- এমন কঠিন সমীকরণ সামনে রেখে সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালির মুখোমুখি হয় লুকা মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়া। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কাঙ্ক্ষিত গোলও পেয়ে যায় তারা। এরপর আক্রমণাত্মক ফুটবল থেকে বেরিয়ে রক্ষণে ঝলক দেখাতে থাকে ক্রোয়াটরা। টানা ৪৩ মিনিট কৌশল, দক্ষতা আর মনস্তত্ত্বের লড়াই এগিয়েই ছিল তারা। কিন্তু শেষ মুহূর্তের একটু বেখেয়ালে পা হড়কে গেল, আর হতাশার অতল গহ্বরে তলিয়ে গেল ২০১৮ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টরা।
এই ম্যাচে ড্র করেও তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থেকে শেষ ষোলোয় উঠেছে ইতালি। তৃতীয় দলের সুযোগ থাকলেও দুই পয়েন্ট নিয়ে আরও তিন দলকে টক্কর দেওয়া একপ্রকার অসম্ভব ক্রোয়েশিয়ার। ফলে ইউরোপ সেরার এবারের আসর থেকে তাদের বিদায় শুধু সময়ের অপেক্ষা।
৪ মাস আগে
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ইতালির পররাষ্ট্রসচিবের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে সফররত ইতালির পররাষ্ট্রসচিব রিকার্ডো গুয়ারিগ্লিয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার (২৪ জুন) বিকালে তিনি সচিবালয়ে এই সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম পশ্চিম ইউরোপের দেশ হিসেবে ইতালির ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের অপেক্ষায় আছি : চীনের মন্ত্রী
একইসঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে ইতালির দ্বিতীয় পলিটিক্যাল কনসালটেশনে কো-চেয়ার হিসেবে যোগ দিতে আসা ইতালির পররাষ্ট্রসচিব রিকার্ডো গুয়ারিগ্লিয়াকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লি পানি বণ্টন আলোচনা থেকে বাদ পড়ায় ক্ষুব্ধ মমতা
৪ মাস আগে
ইতালির ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কৃত হলো 'ময়না'
ইতালির গালফ অব নেপলস ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে স্পেশাল মেনশন ফিচার ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড জিতেছে মঞ্জুরুল ইসলাম মেঘ পরিচালিত চলচ্চিত্র 'ময়না'।
গত ১১ থেকে ১৪ জুন নেপলসে উৎসবটির দশম আসর অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিকভাবে নিজের জায়গা করে নেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন চলচ্চিত্রটির পরিচালক।
আরও পড়ুন: মিনি ফিল্ম ফেস্টিভেলের মাধ্যমে মানবাধিকার সপ্তাহ পালন ডাচ দূতাবাসের
এই স্বীকৃতির সঙ্গে যে নিজের পরবর্তী প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে সবার প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়ার দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছে তা স্বীকার করেন তিনি।
তিনি বলেন, 'ময়না' চলচ্চিত্রটি বড় পরিসরে দর্শকদের মন জয় করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বাইরেও এর আবেদন আমাদের দেশের দর্শকদের কাছে প্রশংসিত হবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
ছবিটির প্রযোজক আলিম উল্লাহ খোকন জানান, 'ময়না' বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে এবং আগামী সেপ্টেম্বরে স্থানীয় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
সেপ্টেম্বরে স্থানীয়ভাবে মুক্তির আগে চলচ্চিত্রটি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হবে বলে জানান তিনি।
'ময়না' এর আগে লন্ডনে অনুষ্ঠিত ২৫তম ইএমএমএ'স বিবিসি ফেস্টিভ্যাল অব মাল্টিকালচারাল ২০২৩-এ সেরা চলচ্চিত্র প্রযোজনার পুরস্কার পেয়েছিল এবং আসন্ন আগস্টে কোরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ২১তম আপোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল ভিলেজ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আলীম উল্লাহ খোকনের গল্প অবলম্বনে ছবিটির চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন চলচ্চিত্রটির পরিচালক মেঘ।
চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন রাজ রিপা, কায়েস আরজু, আমান রেজা, আফফান মিতুল, জিলানী, মোমেনা চৌধুরী, নাদের চৌধুরী, সুব্রত, সূচনা, খলিলুর রহমান কাদরী, শিশির ও শিশুশিল্পী জান্নাতুল ভোর।
আরও পড়ুন: ইতালির গালফ অব নেপলস ইনডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভালের দশম অধিবেশনে মনোনীত ‘ময়না’
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ-যুক্তরাষ্ট্রের গেটি ইমেজের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
৪ মাস আগে
নৌকাডুবিতে নিখোঁজ অভিবাসীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে ইতালির কোস্টগার্ড
চলতি সপ্তাহে ক্যালাব্রিয়ান উপকূল থেকে ১৯৫ কিলোমিটার (১২০ মাইল) দূরে বিপজ্জনক মধ্য ভূমধ্যসাগরে একটি নৌকাডুবিতে নিখোঁজ কয়েক ডজন অভিবাসন প্রত্যাশীর সন্ধানে সমুদ্র পথে ইতালির কোস্টগার্ড অনুসন্ধান চালানোর পর বৃহিস্পতিবার থেকে আকাশ থেকেও অনুসন্ধান শুরু করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
অনুসন্ধান অভিযানের কমান্ডার বলেছেন, আংশিক ডুবে যাওয়া নৌকাটি এখনও দৃশ্যমান, তবে সেখানে কোনও মৃতদেহ দেখা যাচ্ছে না।
সোমবার নৌকাডুবির পর একটি মাছ ধরার নৌকা সেখান থেকে ১১ জনকে উদ্ধার করেছিল। যদিও উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে একজন পরে মারা যান। এছাড়া ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বেঁচে ফেরা ব্যক্তিরা বলছেন, আরও ৬০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
বেঁচে যাওয়া আরোহীদের বরাতে ইউএন শরণার্থী সংস্থা এবং জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা বলছে, ইরান, সিরিয়া ও ইরাকের প্রায় ৭৫ জন আরোহী নিয়ে তুরস্ক থেকে রওনা হওয়ার আট দিন পর নৌকার মোটরটিতে আগুন ধরে যাওয়ায় এটি ইতালির উপকূলে ডুবে যায়। এদের মধ্যে ২০ জনেরও বেশি শিশু রয়েছে।
ডক্টরস উইদাউট বর্ডারের এক মুখপাত্র বলেন, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা মানসিক ও শারীরিক উভয় ধরনের আঘাতের শিকার হয়েছেন এবং 'খুবই বিভ্রান্ত' রয়েছেন।
গোষ্ঠীটির মানবিক বিষয়ক দায়িত্বে থাকা সিসিলিয়া মোমি বলেছেন, ‘তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ... এবং এখনও জানি না তাদের পরিবারের মধ্যে কে বেঁচে আছেন এবং কে সমুদ্রে মারা গেছেন।’
আরও পড়ুন: তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ আজ দুপুরে ঢাকায় পৌঁছাবে
তিনি বলেন, ‘অনেকের পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। কেউ হারিয়েছেন স্ত্রীকে, কেউ হারিয়েছেন সন্তানকে, আবার হারিয়েছেন স্বামীকে, বন্ধুকে এবং ভাতিজাকে।’
সোমবার আরেকটি ঘটনায় দাতব্য উদ্ধারকারী জাহাজ নাদির সিরিয়া, মিশর, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা ৫১ জনকে উদ্ধার করে ল্যাম্পেদুসা বন্দরে নিয়ে যায়। দুর্ঘটনার শিকার ওই পাচারকারী নৌকার নিচের ডেক থেকে আরও ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যারা সেখানে শ্বাসরোধে মারা যান।
জাতিসংঘের সংস্থাগুলো জানিয়েছে, এই মৃত্যুর ফলে ৮০০ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে চলতি বছরে মধ্য ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় তারা মারা গেছেন। সেই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে পাঁচজন মারা গেছেন।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস বলেছে, এই ঘটনাগুলো ‘অভিবাসন এবং আশ্রয়ের ক্ষেত্রে ইউরোপের ব্যর্থ দৃষ্টিভঙ্গির আরেকটি প্রমাণ। যা মানবিক অভ্যর্থনার চেয়ে বাধাদান এবং প্রতিরোধকে অগ্রাধিকার দেয়।’
আরও পড়ুন: ভূমধ্যসাগরে দুটি নৌকাডুবিতে ১১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৬৪
৪ মাস আগে
৬৫ মিলিয়ন ডলারের চুরি হওয়া ৬০০ শিল্পকর্ম যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইতালিতে ফেরত
আনুমানিক ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের প্রায় ৬০০ লুট করা শিল্পকর্ম ও পুরাকীর্তি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইতালিতে ফেরত আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইতালির পুলিশ।
চুরি হওয়া এই শিল্পকর্মগুলো অতীতে বিভিন্ন সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছায় এবং দেশটির বিভিন্ন প্রদর্শনী, যাদুঘর ও ব্যক্তিগত সংগ্রহে বিক্রি করা হয়েছিল।
কারাবিনিয়েরির হেরিটেজ প্রোটেকশন ইউনিট, ইতালির সামরিক বাহিনী, বেশ কয়েকটি ইতালীয় প্রসিকিউশন অফিসের সঙ্গে সমন্বয় করে এবং নিউইয়র্ক ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস এবং মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনের সহায়তায় দীর্ঘ তদন্তের ফলস্বরূপ শিল্পগুলো ফেরত পাওয়া সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: ইতালির গালফ অব নেপলস ইনডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভালের দশম অধিবেশনে মনোনীত ‘ময়না’
কারাবিনিয়েরি জানায়, লুট হওয়া শিল্পকর্মগুলোর মধ্যে ব্রোঞ্জ, মুদ্রা-সংক্রান্ত এবং সংরক্ষিত সম্পদ রয়েছে, যেগুলো মধ্য ও দক্ষিণ ইতালিতে অবৈধ খনন এবং জাদুঘর, গির্জা ও ব্যক্তিগত বাড়ি থেকে চুরি হওয়া।
এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান ছিল খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীর একটি হেলেনিস্টিক ব্রোঞ্জ এবং খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীর একটি প্রাচীন গ্রিক রৌপ্য মুদ্রা বা টেট্রাড্রাচম, নিউ ইয়র্কে যার বিনিময় মূল্য প্রায় ৫ লাখ মার্কিন ডলার হয়েছিল।
চুরি হওয়া শিল্পকর্ম ও পুরাকীর্তিরগুলোর মধ্যে আরও আছে- খ্রিস্টপূর্ব নবম শতাব্দী থেকে খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দীর বিভিন্ন প্রাচীন মুদ্রা, শিরস্ত্রাণ, মোজাইক ও গহনা এবং ১৭ শতকের চিত্রকর্ম ছিল।
বিভিন্ন সমাধি থেকে ডাকাতদের লুট করা এবং বিশ্বজুড়ে শিল্প ব্যবসায়ীদের কাছে অবৈধভাবে বিক্রি হওয়া হাজার হাজার পুরাকীর্তি পুনরুদ্ধারে ইতালির প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এটি সর্বশেষ অভিযান ছিল।
কারাবিনিয়েরি হেরিটেজ প্রোটেকশন ইউনিটের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, কেবল ২০২৩ সালেই আনুমানিক ২৬৪ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার ৪৭৪টি লুট হওয়া শিল্পকর্ম পাওয়া গেছে এবং ইতালিতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কসমস ফাউন্ডেশনের প্রদর্শনীতে আলেকজান্দ্রু পোটেকা ও নিপার শিল্পকর্ম
৫ মাস আগে
বৈধভাবে ইতালিতে দক্ষ জনবল পাঠানো হবে: প্রতিমন্ত্রী
বৈধভাবে ইতালিতে দক্ষ জনবল পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে দুই দেশ যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে।
মঙ্গলবার (২১ মে) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালি রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রোর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ৩ বছরেই সফল ইউনিকর্ন স্টার্টআপ নগদ: প্রতিমন্ত্রী পলক
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে ইতালি বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশ। বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে বাংলাদেশ তার জনবলকে চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে।
প্রবাসী কর্মীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইতালি দক্ষ জনবলের চাহিদাপত্র দেবে। সেই পত্রের বিপরীতে কম খরচে কর্মী পাঠাবে।
দক্ষ জনবল তৈরির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতালি সরকার চাইলে আমাদের টিটিসিগুলোতে তাদের চাহিদা মতো জনবলকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেন, আজকে আমরা আলোচনা করেছি কীভাবে বৈধ অভিবাসন বাড়ানো যায়।
ভিসা প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতারর বিষয় তিনি বলেন, যারা যোগ্য তাদেরকে আমরা ভিসা দিতে আগ্রহী। দূতাবাস দ্রুত ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করছে।
গভীরভাবে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার কারণে আমাদের অনেক সময় দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হচ্ছে বলে জানান ইতালির রাষ্ট্রদূত।
অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো আরও বলেন, ইতালি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ তাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। ইতালি ও বাংলাদেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক। সেজন্য ইতালিতে বাংলাদেশের দক্ষ জনবলের কাজের সুযোগ তৈরি করতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, যারা ইতালি গমনেচ্ছু কর্মীদের মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছে সেটি প্রকৃত আবেদনকারীদের ক্ষতির কারণ হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কারণেই প্রকৃত আবেদনকারীদের ভিসা প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে।
ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য আপনারা নতুন কোনো প্রক্রিয়া হাতে নিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
আরও পড়ুন: তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়: প্রতিমন্ত্রী
আগামী ঈদ পর্যন্ত কোনো পণ্য ঘাটতি থাকবে না: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
৫ মাস আগে
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে ইতালির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য ইতালির ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি বলেন, 'ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারে।’
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহী ভারত: হাছান মাহমুদ
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেন, দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজার ছাড়াও বাংলাদেশের বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারের বড় কেন্দ্রীয় বাজার হতে পারে বাংলাদেশ।’
২০২৬ সালের পর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ইউরোপীয় দেশগুলোতে বাংলাদেশি রপ্তানিতে জিএসপি প্লাস সুবিধা অব্যাহত রাখতে ইতালিকে সহায়তা করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কৃষির পরিবর্তনে বৈশ্বিক অংশীদারদের সহযোগিতার অঙ্গীকার
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, 'দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’
সেই সুযোগ কাজে লাগানোর অনুরোধ জানান তিনি।
ইতালিসহ ইউরোপের দেশগুলোতে অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ যাতে বিদেশে অবৈধভাবে কোনো দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সরকার সর্বাত্মক উদ্যোগ নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে, ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে বাংলাদেশিসহ অনেকে মারা গেছে।’
সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এজন্য আমরা আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করছি।’
আরও পড়ুন: ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে বাংলাদেশ-মিশরের আলোচনা
ইতালিকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আরও বাংলাদেশি জনশক্তি নেওয়ার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে তার সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ প্রযুক্তি স্থানান্তর ও প্রতিরক্ষা সামগ্রী ক্রয় এবং বিভিন্ন খাতে আধুনিকায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায়।
বাংলাদেশকে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট সরবরাহে ইতালির গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ কমাতে বাণিজ্য বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ইতালির রাষ্ট্রদূত।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলাপকালে উভয়েই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের নিজ দেশে সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের বিষয়ে একমত হন।
বর্তমানে ১০ লাখের বেশি মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জান্তার হাতে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য ও কৃষি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আলোচনা বাংলাদেশ-গাম্বিয়ার
৬ মাস আগে