এইচএসসি পরীক্ষা
এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ: পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ, ১ লাখ ৪৫ হাজার জিপিএ-৫
২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
৯টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় সব বোর্ডের ওয়েবসাইট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ৮৮ দশমিক ০৯ শতাংশ।
এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ শিক্ষার্থী যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। গত বছর পেয়েছিল ৯২ হাজার ৫৯৫ জন।
আরও পড়ুন: আগামীকাল যেভাবে জানা যাবে এইচএসসির ফলাফল
পাসের হারের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে সিলেট আর সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ময়মনসিংহ।
পাসের হার সিলেট বোর্ডে ৮৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ, বরিশালে ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ, ঢাকায় ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ, যশোরে ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ।
চলতি বছরে ২ হাজার ৬৯৫টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১৯৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল, যার মধ্যে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী- ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটাসংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
বাতিল পরীক্ষাগুলোতে এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে এইচএসসিতেও একই নম্বর দিয়ে ফল তৈরি করেছে শিক্ষা বোর্ড। তাছাড়া বিভাগ ও বিষয়ে মিল না থাকলে সেক্ষেত্রে সাবজেক্ট ম্যাপিং নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এইচএসসি’র ফল প্রকাশ ১৫ অক্টোবর
২ মাস আগে
সিলেট বোর্ডের স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষার নতুন সময়সূচি
বন্যা পরিস্থিতির কারণে স্থগিত হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নতুন সময়সূচি ঘোষণা করেছে সিলেট শিক্ষাবোর্ড। আগামী ১৩ আগস্ট থেকে স্থগিত চারটি বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে।
রবিবার (৩০ জুন) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুন চন্দ্র পাল।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভারতীয় চিনিবোঝাই ট্রাক আটক
রবিবার (৩০ জুন) থেকে দেশের অন্যান্য সাধারণ বোর্ডগুলোর মতো সিলেট বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বন্যা পরিস্থিতির কারণে গত ২০ জুন সিলেট বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
তবে ৯ জুলাই থেকে রুটিন অনুযায়ী যেসব পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো যথারীতি হবে বলে জানানো হয়।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুন চন্দ্র পাল বলেন, স্থগিত করা চারটি বিষয়ের নতুন রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। ১৩ আগস্ট থেকে এই চারটি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ জুলাই থেকে রুটিন মোতাবেক পরীক্ষা শুরুর লক্ষ্যে সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্থগিত করা চারটি বিষয়ের পরীক্ষার নতুন সময়সূচি বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।
নতুন ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ১৩ আগস্ট বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ১৮ আগস্ট বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ২০ আগস্ট ইংরেজি প্রথম পত্র ও ২২ আগস্ট ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তারিখ পরিবর্তন হলেও পরীক্ষার সময় অপরিবর্তিত থাকবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: সিলেট-সুনামগঞ্জে আবারও বন্যার আশঙ্কা
৫ মাস আগে
বন্যার কারণে সিলেট বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
বন্যার কারণে সিলেট বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কান্তি সরকার বৃহস্পতিবার ইউএনবিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পরীক্ষা ৮-১০ দিন পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় সিলেট থেকে প্রায় ১ লাখ পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটের বন্যাকবলিত অঞ্চলের এইচএসসি পরীক্ষা পরে নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
রুটিন অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুন সারাদেশে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
২ হাজার ২৭৫টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ৪৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
এর আগে সিলেটে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পরে সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
আরও পড়ুন: ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু: শিক্ষামন্ত্রী
৬ মাস আগে
সিলেটের বন্যাকবলিত অঞ্চলের এইচএসসি পরীক্ষা পরে নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, সিলেটের যেসব অঞ্চলে বন্যা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে, সেসব অঞ্চলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পরে নেওয়া হবে।
বুধবার (৫ জুন) সচিবালয়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্ন করতে গঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব স্থাপনা তৈরি করতে শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বান
সিলেটের বন্যা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘যে অঞ্চলগুলোতে বন্যা আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে, সেখানে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। পরবর্তী সময়ে সেই পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের যথাযথ প্রস্তুতি আছে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যেসব কেন্দ্র ও অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা এরই মধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এছাড়া আবহাওয়ার যে পূর্বাভাস আছে, সেখানে আমাদের বিভিন্ন নদীর পানি ঊর্ধ্বমুখী ও বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। সেটা এরই মধ্যে আমরা জানি।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা বন্যা পরিস্থিতি এখনো পর্যবেক্ষণ করছি। আশা করছি আমাদের পক্ষে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে। আমরা চাই না পরীক্ষার্থীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়ে তাদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হোক।’
আরও পড়ুন: ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু: শিক্ষামন্ত্রী
এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ২৯ জুন থেকে ১১ আগস্ট বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার: শিক্ষামন্ত্রী
৬ মাস আগে
এইচএসসি পরীক্ষা: চাঁদপুরে নকল সরবরাহের অভিযোগে কলেজ কর্মচারীকে কারাদণ্ড
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এইচএসসির ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষা চলাকালে নকল সরবরাহ করার সময় মো. আরিফ হোসেন নামে চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী হাতেনাতে আটক হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুন নাহার।
আরও পড়ুন: সাবেক ওসি ফিরোজ কবির দম্পতির কারাদণ্ড
তিনি জানান, কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (পিওন) আরিফকে কলেজ গেটে সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করে তার দেহ তল্লাশি করে দুটি উত্তরপত্রসহ প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়।
এ অভিযোগে পাবলিক পরীক্ষা বিধি অনুযাইয়ী তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব মো. মনির চৌধুরী এ সংবাদ নিশ্চিত করে ইউএনবিকে জানান, ঘটনাটি খুব দু:খজনক। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের এ বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে নকল সরবরাহের অভিযোগে শিক্ষকসহ ৪ জনের কারাদণ্ড
পরীক্ষায় নকল সরবরাহের অভিযোগে ৩ পরিদর্শকের কারাদণ্ড
১ বছর আগে
এইচএসসি পরীক্ষায় বসছে ১৩ লাখ ৫৯ হাজার শিক্ষার্থী
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সারাদেশে শুরু হচ্ছে এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। প্রথম দিনেই হবে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ জন ছেলে ও ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন ছাত্রীসহ মোট ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। যা গত বছরের চেয়ে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ জন বেশি।
রুটিন অনুযায়ী এইচএসসির লিখিত পরীক্ষা চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: দীপু মনি
সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টাব্যাপী এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, ২ হাজার ৬৫৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র ও ৯ হাজার ১৬৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১১ লাখ ৮ হাজার ৫৯৪ জন, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে ৯৮ হাজার ৩১ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৫২ হাজার ৭১৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
প্রতি বছরের মতো এবারও পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ১৭ আগস্টেই এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
১ বছর আগে
এইচএসসি পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: দীপু মনি
উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তবে দুর্যোগকবলিত এলাকায় এর ব্যতিক্রম হতে পারে বলে তিনি জানান।
শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুরের লেডি প্রতিমা মিত্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত একাডেমিক ভবন উদ্বোধন শেষে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত আছে পরীক্ষার সময়ে যদি কোনো যায়গায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পরীক্ষা বন্ধ করতে হয়, সে স্থানে স্থানীয়ভাবে পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় পরীক্ষা চলবে।’
আরও পড়ুন: সরকার বছরে ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীপ্রতি ৫.৩৪ লাখ টাকা খরচ করে: দীপু মনি
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু প্রতি বছরই হয়, এ বছর হয়তো প্রকোপটা বেশি। ডেঙ্গু পরিস্থিতির জন্য সারাদেশের এইচএসসি পরীক্ষার মতো পাবলিক পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ১৪ লাখ পরীক্ষার্থী। তারা এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। বহু আগে ১৭ আগস্ট পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী তারা প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য একদম প্রস্তুত।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, কিছু পরীক্ষার্থী সব সময় পরীক্ষার আগে চিন্তা করে আরেকটু সময় পেলে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে। সে জন্য এত পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া যায় না। এটি পাবলিক পরীক্ষা, এটি সঠিক সময়ে নেওয়া জরুরি। এমনিতে কোভিডের কারণে অনেক সময় পিছিয়ে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে এবং এ বছর আমরা চেষ্টা করছি পরীক্ষা এগিয়ে নিতে।
আগামী বছর আমরা চেষ্টা করব স্বাভাবিক সময়ে নিতে। এর মধ্যে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের চিন্তা থাকে। সে জন্য আইসিটি বিষয়ে কম নম্বরে পরীক্ষা হচ্ছে। পুরো পরীক্ষা কম নম্বরে অর্থাৎ পুনর্বিন্যাস নম্বরে পরীক্ষা হচ্ছে। কাজেই যে অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী আন্দোলনে আছে, তারা রাস্তাঘাটে এই আন্দোলন না করে তারা পড়ার টেবিলে ফিরে যাক এবং তারা প্রস্তুতি নিলে আমি বিশ্বাস করি তারা ভালো করবে।
দীপু মনি বলেন, আমাদের তো পরীক্ষায় শতভাগ পাস করে না। যারা পাস করে না তারা পরের বছর পরীক্ষা দেয়। যারা ভালো করে না, তারা মান উন্নয়নের জন্য পরের বছর পরীক্ষা দেয়। এই সুযোগগুলো সব সময় আছে। কাজেই পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। আমাদের পরীক্ষার্থীরা যেন সবাই পড়ার মধ্যে মনোনিবেশ করে এবং তাদের জন্য শুভ কামনা রইল।
এসএসসির পরে এইচএসসিতে এসে শিক্ষার্থী কমে যাওয়া অর্থাৎ ঝরে পড়া সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অনেক সময় এই সংখ্যাটি হঠাৎ করে মনগড়া বলা হয়। এটির সঠিক সংখ্যা জেনে বলতে হবে। যারা এসএসসি পরীক্ষা দেয়, তাদের মধ্যে বহু সংখ্যক কর্মজীবনে প্রবেশ করে। অনেকে বিদেশে চলে যায়। আবার কেউ আছে অন্যান্য শিক্ষা অর্থাৎ কারিগরি শিক্ষায় চলে যায়, তারা আর এইচএসসি দিতে আসে না। এসব বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সম্ভব নয়: দীপু মনি
২০০৯ সাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬-১২ শ্রেণিতে ভর্তি বেড়েছে ৫২.৫%: দীপু মনি
১ বছর আগে
পায়ে লিখে এইচএসসি পরীক্ষাতেও জিপি-৫ পেলেন তামান্না
অদম্য মেধাবী তামান্না আক্তার নূরা। এক পায়ে লিখে এইচএসসি পরীক্ষাতেও পেয়েছেন জিপি-৫। পিইসি, জেএসসি ও এসএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন তামান্না।
মেধাবী এই শিক্ষার্থীর এক পা-ই সম্বল। জন্ম থেকেই তার দুটি হাত ও একটি পা নেই। জীবন সংগ্রামে নিজেকে শানিত করতে নানান প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে একাডেমিক শিক্ষা জীবনের প্রতিটি স্তরে অর্জন করেছেন সর্বোচ্চ ফলাফল।
রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করলে তামান্নার কৃতিত্ব প্রকাশ পায়। তিনি যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তামান্নার গ্রামের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামে। তার বাবার নাম রওশন আলী। মায়ের নাম খাদিজা পারভীন শিল্পী। বাবা স্থানীয় ছোট পোদাউলিয়া দাখিল মাদরাসার (নন এমপিও) বিএসসির শিক্ষক। মা গৃহিণী। তিন সন্তানের মধ্যে তামান্না সবার বড়।
তামান্নার স্বপ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অনটনে সেটি এখন থেমে যাওয়ার উপক্রম। স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠিও লিখেছেন তামান্না।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানে পাসের হার ৯৫.২৬ শতাংশ
এইচএসসি: এক নজরে কোন বোর্ডে পাসের হার কত
২ বছর আগে
আগামী বছরের মাঝামাঝি হতে পারে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা বছরের মাঝামাঝি সময়ে হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘এ বছর যেমন নভেম্বর-ডিসেম্বরে এই দুই পরীক্ষা নিতে হচ্ছে, আমরা যেভাবে করোনার সংক্রমণ মোকাবিলা করতে পেরেছি, তাতে আগামী বছরের পরীক্ষা এত দেরি হবে না। তার আগেই নিতে পারবো। তবে বছরের প্রথম ভাগে হয়তো পরীক্ষা হবে না, মাঝামাঝিতে হতে পারে।’
আরও পড়ুন: আগামী বছরের পাবলিক পরীক্ষা যথাসময়ে নেয়ার সুযোগ নেই: শিক্ষামন্ত্রী
বৃহস্পতিবার সকালে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় যে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, তাতে প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই।’
৩ বছর আগে
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু বৃহস্পতিবার
করোনার কারণে সাত মাস বিলম্বের পর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে। এ পরীক্ষা শেষ হবে ৩০ ডিসেম্বর।
এ বছর প্রায় ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে এবং এর আগের বছর অংশ নেয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন।
এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৯০১ জন বৃদ্ধি পেয়ছে এবং বৃদ্ধির হার দুই দশমিক ৪৮ শতাংশ।
৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন, মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় এক লাখ ১৩ হাজার ১১৪ জন শিক্ষার্থী ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে কারিগরি পরীক্ষায় এক লাখ ৪৮ হাজার ৫০৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে।
এছাড়া ৪০৬ জন শিক্ষার্থী বিদেশ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেবে। দেশব্যাপী পরীক্ষা গ্রহণের জন্য দুই হাজার ৬২১টি কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
করোনার কারণে এ বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সময়সূচি অনুযায়ী নেয়া সম্ভব হয়নি এবং পরবর্তীতে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
পরীক্ষাকে সামনে রেখে ২৫ নভেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
করোনার কারণে গেল বছরের মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয় এবং এ বন্ধ বেশ কয়েকবার বাড়ানো হয়। সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতির উন্নতিতে ১৩ সেপ্টেম্বর সরকার স্কুল ও কলেজ খুলে।
গত বছর শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল তাদের এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয় যা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
কোনো বাধা ছাড়া যেন এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে সে জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা নির্বিঘ্ন রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান দীপু মনির
ওমিক্রন: ক্লাস নেয়ার দিন বাড়ানো যাবে না, চলবে এইচএসসি পরীক্ষা
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২ ডিসেম্বর, কোচিং সেন্টার বন্ধ
৩ বছর আগে