কুয়েট
কুয়েটে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় খানজাহান আলী থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অলিয়ার রহমান রাজুসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য দু’জন হলেন রিফাত হোসেন ও মেহেদী হাসান আকাশ।
শনিবার রাতে কুয়েটের আশপাশ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয় এবং তাদের ছাত্রলীগ নেতার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, গ্রেপ্তার অলিয়ার কুয়েটে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত। বাকি দু’জন কুয়েটের ছাত্র নন। তারা ৩ জনই কুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি রুদ্র নীলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। রুদ্রের সঙ্গে প্রায়ই তাদের ক্যাম্পাসে এবং লালন শাহ হলে দেখা যেত।
আরও পড়ুন: কুয়েটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: ২১ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, ৫০ জনের নামে মামলা
গত ১৪ জানুয়ারি রাতে হলে ওঠাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করেন কুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্র নীল সিংহের অনুসারীরা। এ ঘটনায় ১৬ জানুয়ারি কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি তাহমিদুল হক ইশরাক বাদী হয়ে রুদ্র নীলসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মমতাজুল হক জানান, সন্দেহভাজন হিসেবে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সংঘর্ষে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
মামলার বাদী তাহমিদুল হক ইশরাক বলেন, ‘এজাহারভুক্ত ১২ আসামি পুলিশের সামনে ক্যাম্পাসে ও হলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মামলার পরও আমার ছেলেদের হুমকি দিচ্ছে, মারধর করছে। কিন্তু পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: কুয়েট ভিসি হলেন অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন
৯ মাস আগে
কুয়েটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: ২১ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, ৫০ জনের নামে মামলা
বছরের শুরুতেই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর ও মামলা দায়েরের ঘটনা ঘটেছে।
এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন এবং হল থেকে ২১ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষার্থী অন্তুর আত্মহত্যা: প্রকৃত কারণ এখনও অজানা
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে আগে থেকেই উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যে কুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি রুদ্র নীল সিংহসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে লালন শাহ হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে।
রবিবার গভীর রাতে হলের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করতে গেলে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
আহতরা হচ্ছেন- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫ ব্যাচের তাহমিদুল হক ইশরাক, সিভিল ১৮ ব্যাচের যোবায়ের হোসেন নাইম, মেকানিক্যাল ১৭ ব্যাচের সাফায়েত সাইমুম, ম্যাকাট্রোনিক ১৮ ব্যাচের নিলান খালেক পারাবার।
আরও পড়ুন: ঘুমের ঘোরে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু
এদিকে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার ২১ জন শিক্ষার্থীকে লালন শাহ হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
হলের প্রভোস্ট ড. মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের এ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুয়েট ভিসি হলেন অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, সাফায়েত সাইমুম, নিলান খালেক পারাবার, আব্দুল্লাহ্ ইবনে জয়নাল, শাহরিয়ার ফেরদৌস ওশান, শাহনেওয়াজ পারভেজ শুভ, তৈয়ব ইয়াসির নিলয়, জুনায়েত হক সরকার, জুবাইদুর হোসেন নাঈম, মো. সাব্বির হোসেন, মো. আদনান ইসলাম (শামস), তাহমিদুল হক ইশরাক, মিনহাজুর রহমান আবরার, ফজলে রাব্বি, সাদিক বিন ফারুক, আবির হাসান, মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, অমিত কুমার ঘোস, অরিত্র দেবনাথ পৃথু, মেফতাউল মাহমুদ, সুদীপ্ত তালুকদার ও মিজানুর রহমান (মুহাসিন)।
লালনশাহ হলের প্রভোস্ট ড. মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া বলেন, কিছু ছাত্র হলের বাইরে ছিল। তারা রবিবার গভীর রাতে লালন শাহ হলে উঠতে চাইলে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ২১ জন ছাত্রকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
অপরদিকে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এই ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী তাহমিদুল হক ইশরাক বাদি হয়ে মারধর ও জীবননাশের হুমকির অভিযোগে কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্রনীল সিংহসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও অন্তত ৪০-৫০ জনকে আসামি করে মঙ্গলবার মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: কুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার
নগরীর খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, এই ঘটনায় মঙ্গলবার আহত শিক্ষার্থী তাহমিদুল হক ইশরাক বাদি হয়ে কুয়েট শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্র নীল সিংহসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মামলায় তিনি মারধর ও জীবননাশের হুমকির অভিযোগ কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ দূষণের মুখে পর্যটন শহর কক্সবাজার
৯ মাস আগে
ঘুমের ঘোরে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু
জয়পুরহাটে ঘুমের ঘোরে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে প্রাণ হারালেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র। শুক্রবার জয়পুরহাট রেলস্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
কুয়েট শিক্ষার্থী রাহুল হোসেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কালীপাড়া গ্রামের মৃত শাহরিয়ার রইচের ছেলে।
পুলিশ ও নিহত কুয়েট শিক্ষার্থী রাহুল হোসেনের মানিব্যাগে পাওয়া ট্রেনের টিকিটের সূত্র ধরে জানা গেছে, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্বিবদ্যালয়ের (কুয়েট) লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র রাহুল হোসেন কুয়েটের একাডেমি পরীক্ষা শেষ করে বগুড়ার শিবগঞ্জের কালীপাড়ায় নিজ গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা রেলস্টেশনে গিয়ে পৌঁছান। খুলনা থেকে ঈশ্বরদী রেলজংশন পর্যন্ত যাওয়ার জন্য চিলাহাটিগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে করে রাহুল হোসেন ঈশ্বরদী রেলজংশনে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীর মৃত্যু: পাল্টা অভিযোগ রাবি প্রশাসনের
ঈশ্বরদী রেল জংশন থেকে রাত ১টা ২০মিনিটের সময় ওই একই ট্রেনের সান্তাহার জংশন স্টেশনের টিকিট সংগ্রহ করেন। উদ্দেশ্য ছিল সেখান (সান্তাহার) থেকে ট্রেন বা বাসে করে বগুড়া গিয়ে সড়ক পথে শিবগঞ্জ উপজেলার কালীপাড়ায় নিজ গ্রামের বাড়ি যাওয়া।
সে অনুযায়ী কুয়েট শিক্ষার্থী রাহুল হোসেন ঈশ্বরদী থেকে ওই ট্রেনে সান্তাহারের উদ্দেশ্যে আসার সময় ট্রেনের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন। ওই অবস্থায় সান্তাহার জংশনস্টেশন অতিক্রম (পার হয়ে) করে ট্রেনটি জয়পুরহাটে এসে পৌঁছালে হঠাৎ তার ঘুম ভেঙ্গে যায়।
তিনি সেসময় দ্রুত ট্রেন থেকে জয়পুরহাট রেলস্টেশনের প্লাটফর্মে নামতে গিয়ে অসর্তকতায় পা পিছলে নিচে রেললাইনে পড়ে গেলে ট্রেনে কেটে তার মৃত্যু হয়। সে সময় তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ, ট্রেনের টিকিট, জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল ফোন থেকে তার প্রাথমিক পরিচয় জানা যায়। তবে ট্রেনের চাকায় থেতলে যাওয়ায় মোবাইল ফোন ও সিম নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
এ ব্যাপারে সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কুয়েটের একজন শিক্ষার্থী জয়পুরহাট রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে র্দুঘটনায় নিহত হয়েছে।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
১ বছর আগে
কুয়েট ভিসি হলেন অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) হয়েছেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন হালদার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মোছাম্মদ রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ভিসির নিয়োগ মেয়াদ হবে চার বছর। তবে রাষ্ট্রপতি প্রয়োজন মনে করলে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই এ নিয়োগ আদেশ বাতিল করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষার্থী অন্তুর আত্মহত্যা: প্রকৃত কারণ এখনও অজানা
উল্লেখ্য, ১২ আগস্ট প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন কুয়েট ভিসি হিসেবে তার ৪ বছরের মেয়াদ শেষ করেন। ২১ আগস্ট কুয়েট ভিসি পদ শূন্য হাওয়ায় পরবর্তী ভিসি নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ সাইফুল ইসলামকে কুয়েটের দৈনন্দিন প্রশাসনিক ও আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার স্বার্থে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত ভিসির দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েট বন্ধ থাকবে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত
কুয়েট শিক্ষক সেলিমের মৃত্যু: ৪৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
২ বছর আগে
কুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) স্নাতক প্রথমবর্ষ সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে কুয়েটের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুয়েট ক্যাম্পাসে ‘ক’গ্রুপের (বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি) রোল ২৫০০০১ থেকে ২৫৮৫৫৩ পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এবং ‘খ’ গ্রুপের (বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বিআর্ক) রোল ২৭০০০১ থেকে ২৭০৮৭০ পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে দুপুর পোনে ২টা পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৪২৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষার্থী অন্তুর আত্মহত্যা: প্রকৃত কারণ এখনও অজানা
২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে কুয়েটে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিই) বিভাগে ১২০ জন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে ১২০, মেকানিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং (এমই) বিভাগে ১২০, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে ১২০, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগে ৬০, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগে ৬০, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং (এলই) বিভাগে ৬০, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (টিই) বিভাগে ৬০, আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং (ইউআরপি) বিভাগে ৬০, বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট (বিইসিএম) বিভাগে ৬০, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএমই) বিভাগে ৩০, আর্কিটেকচার (আর্ক) বিভাগে ৪০, ম্যাটেরিয়ালস্ সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (এমএসই) বিভাগে ৬০, এনার্জি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (ইএসই) বিভাগে ৩০, কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএইচই) বিভাগে ৩০, মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (এমটিই) বিভাগে ৩০ এবং সংরক্ষিত (ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীদের এবং চট্টগ্রাম বিভাগের পার্বত্য জেলার অধিবাসীদের জন্য) পাঁচ আসনসহ তিন অনুষদের অন্তর্গত ১৬ বিভাগে সর্বমোট এক হাজার ৬৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
আরও পড়ুন: একমাস পর কুয়েটে ক্লাস শুরু
এছাড়া চুয়েট ও রুয়েট তাদের নির্ধারিত আসন অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চুয়েট, কুয়েট, রুয়েট এর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে (https://admissionckruet.ac.bd)পাওয়া যাবে।
২ বছর আগে
কুয়েটের বহিষ্কৃত সেই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছেন
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় তাদের বহিষ্কার করা হয়েছিল। উচ্চ আদালতের নির্দেশে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন তারা।
বৃহস্পতিবার কুয়েটে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রথম পর্বের (সেমিস্টার) পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ বিষয়ক পরিচালক ইসমাঈল সাইফুল্লাহ জানান, করোনা মহামারির কারণে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকায় দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, তবে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কুয়েটে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা থাকায় সম্প্রতি বহিষ্কারসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদেরও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়েছে। শাস্তি পাওয়া যন্ত্রকৌশল বিভাগের তিনজনসহ বৃহস্পতিবার কয়েকজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর ইলেকট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ সেলিম হোসেন ক্যাম্পাসের কাছের ভাড়া বাসায় মারা যান। এরপর অভিযোগ ওঠে মৃত্যুর দিন দুপুরে বাসায় ফেরার পথে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অধ্যাপক সেলিমকে বিভাগে তার কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তার ওপর মানসিক নিপীড়ন চালানো হয়। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষক সেলিমের মৃত্যু: ৪৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
গত ২৮ ডিসেম্বর প্রশাসনের কাছে ৯টি সুপারিশসহ ৪৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেয় ওই কমিটি। এরপর গত ৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্তে চারজনকে চিরতরে কুয়েট থেকে বহিষ্কার, সাতজনকে দুই শিক্ষাবর্ষ বহিষ্কার, একজনকে এক শিক্ষাবর্ষ বহিষ্কার করা হয়। এর বাইরে ২২ শিক্ষার্থীকে এক শিক্ষাবর্ষের জন্য বহিষ্কার করা হয়। তবে ওই ২২ জনের বহিষ্কার আদেশ আপাতত স্থগিত ছিল। এ ছাড়া ১০ শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারি সাদমান নাহিয়ান ১২ জন শিক্ষার্থীর পক্ষে বহিষ্কারাদেশসহ সবধরনের শাস্তির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে এক রিট আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ১ ফেব্রুয়ারি রিট আবেদনের শুনানি শেষে তাদের পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন। গত ২ ফেব্রুয়ারি আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সাজা পাওয়া শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের কাছে চিঠি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. আনিছুর রহমান ভূঞা।
রেজিস্ট্রার মো. আনিছুর রহমান ভূঞা বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনার চিঠি পেয়ে আমরা সেই মোতাবেক তা বাস্তবায়ন করেছি। আইনি অন্য কোনো বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান বলেন, তাদের ১২ জনের সবারই কোনো না কোনো পরীক্ষা আছে। কেউ কেউ শুরুর দিন পরীক্ষা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: ৪৪ শিক্ষার্থীকে শোকজ
কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: ছাত্রলীগের সম্পাদকসহ চার শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার
২ বছর আগে
কুয়েট শিক্ষক সেলিমের মৃত্যু: ৪৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ৪৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অধ্যাপক সেলিমের বাবা শুকুর আলী মোল্লা বুধবার খান জাহান আলী থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস।
তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
তবে এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অধ্যাপক সেলিমের বাবা।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েটের ৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
তিনি বলেন, মৃত্যুর ঘটনায় ৪৪ শিক্ষার্থীর নামে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগে দায়ের করেছি। তবে তা এজাহার হিসেবে এন্ট্রি না করে তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
শুকুর আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সুষ্ঠু বিচার না পাওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে খানজাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, মামলা নেইনি বা নেব না এমন কোন কথা হয়নি। তাদের লিখিত অভিযোগটি রেখে দিয়েছি, সেটি তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। ৪৪ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার অভিযোগ দিয়েছেন প্রয়াত শিক্ষক সেলিম হোসেনের বাবা মো. শুকুর আলী মোল্লা। এখনও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। পুলিশ কোন রকম প্রভাবিত হয়নি বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর অধ্যাপক সেলিম হোসেন ক্যাম্পাসের কাছে ভাড়া বাসায় মারা যান। ১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার কুমারখালী গ্রামে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ দাফন হয়। এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ১৪ ডিসেম্বর তার লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে ১৬ ডিসেম্বর আবারও তার লাশ দাফন করা হয়। এখনও পর্যন্ত সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা চলছে, অভিযোগ কুয়েট ছাত্রলীগের
২ বছর আগে
কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: ছাত্রলীগের সম্পাদকসহ চার শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪ জন ছাত্রকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ চারজনকে কুয়েট থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভা শেষে ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার আনিসুর রহমান ভূঞা এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শিকক্ষ সেলিম হোসেনকে বাসায় যেতে না দিয়ে অফিসে বসতে বাধ্য করায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের বা আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও কুয়েটে ছাত্র রাজনীতির ওপর কতিপয় বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এর আগে সকাল ৯টায় ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির মূলতবি সভায় শাস্তির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিল কমিটি
কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার আনিসুর রহমান ভূঞা জানান, পাচঁটি ধাপে শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে আজীবন বহিষ্কৃতদের মধ্যে কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান, হাসান আব্দুল কাইয়ূম, মো. কামরুজ্জামান ও রিয়াজ খান নিলয়।
দ্বিতীয় ধাপে সাতজন শিক্ষার্থীকে দুই শিক্ষাবর্ষ এবং আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন- তাহমিদুল হক রিয়াজ, মাহমুদুল হাসান, সাদমান সাকিব, মাহিম মুনতাসির, এএসএম রাগিব আহসান, মীর জামিউর রহমান ও রুদ্রনীল সিংহ শুভ।
তৃতীয় ধাপে একজন শিক্ষার্থীকে এক শিক্ষাবর্ষ এবং আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ছাত্রের নাম আনিকুর রহমান।
চতুর্থ ধাপে ২২ জনকে এক শিক্ষাবর্ষ বহিষ্কার করা হয়েছে এবং পঞ্চম ধাপে আরও ১০জন ছাত্রকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা তবে, এই শাস্তি এখন কার্যকর হবে না। ভবিষ্যতে কোন ধরণের নৈতিক স্খলনজনিত অভিযোগ প্রমাণিত হলে এই শাস্তি কার্যকর করা হবে বলেও উল্লেখ করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার আনিসুর রহমান ভূঞা।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: ৪৪ শিক্ষার্থীকে শোকজ
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর বিকেলে মারা যান অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, লালনশাহ হলের ডিসেম্বর মাসের খাদ্য ব্যবস্থাপক (ডাইনিং ম্যানেজার) নির্বাচন নিয়ে ড. সেলিমকে চাপ দিয়ে আসছিলেন ফজলুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন দুপুর সাড়ে ১২টায় সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বাধীন কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের রাস্তায় ড. সেলিমকে জেরা শুরু করেন। পরে তারা শিক্ষককে অনুসরণ করে তার ব্যক্তিগত কক্ষে (তড়িৎ প্রকৌশল ভবন) প্রবেশ করেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তারা আনুমানিক আধা ঘণ্টা তার সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।
ব্যক্তিগত কক্ষ থেকে বেরিয়ে ড. সেলিম দুপুরের খাবার খেতে ক্যাম্পাস থেকে নিজ বাসায় যান। দুপুর আড়াইটার দিকে তার স্ত্রী লক্ষ্য করেন তিনি বাথরুম থেকে বের হচ্ছেন না। দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযোগ ওঠে, দাপ্তরিক কক্ষে কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে কিছু সাধারণ ছাত্রের জেরা, অপমান, অবরুদ্ধ করে রাখা ও মানসিক নির্যাতনে ড. সেলিমের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে দুই দফায় কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েট বন্ধ থাকবে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত
ড. সেলিমের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে ২ ডিসেম্বর দুপুরে একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে শিক্ষক সমিতি। প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান শিক্ষকরা।
ড. সেলিমের ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর ঘটনায় ৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। নতুন করে গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের নতুন তদন্ত কমিটি। কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হলেও ওই সময়ের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করতে পারেনি কমিটি।
গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৮তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় পাঁচ কর্মদিবসে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। ওই সভায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) হল ৭ জানুয়ারি খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একইসঙ্গে ৯ জানুয়ারি থেকে ক্লাস শুরু হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
২ বছর আগে
কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: ৪৪ শিক্ষার্থীকে শোকজ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের ‘অস্বভাবিক মৃত্যু’র ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪ শিক্ষার্থীকে শোকজ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক নোটিশে এ তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া আগামী ৩ জানুয়ারির মধ্যে ওই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ৩ ডিসেম্বরের সিন্ডিকেট সভায়, অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় সৃষ্ট পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কুয়েট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ওই দিন বিকেল ৪টার মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশ পেয়ে সাতটি হলে থাকা প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী হল ছাড়েন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর বিকেলে মারা যান অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, লালনশাহ হলের ডিসেম্বর মাসের খাদ্য ব্যবস্থাপক (ডাইনিং ম্যানেজার) নির্বাচন নিয়ে ড. সেলিমকে চাপ দিয়ে আসছিলেন ফজলুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন দুপুর সাড়ে ১২টায় সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বাধীন কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের রাস্তায় ড. সেলিমকে জেরা শুরু করেন। পরে তারা শিক্ষককে অনুসরণ করে তার ব্যক্তিগত কক্ষে (তড়িৎ প্রকৌশল ভবন) প্রবেশ করেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তারা আনুমানিক আধা ঘণ্টা তার সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।
ব্যক্তিগত কক্ষ থেকে বেরিয়ে ড. সেলিম দুপুরের খাবার খেতে ক্যাম্পাস থেকে নিজ বাসায় যান। দুপুর আড়াইটার দিকে তার স্ত্রী লক্ষ্য করেন তিনি বাথরুম থেকে বের হচ্ছেন না। দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিল কমিটি
অভিযোগ ওঠে, দাপ্তরিক কক্ষে কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে কিছু সাধারণ ছাত্রের জেরা, অপমান, অবরুদ্ধ করে রাখা ও মানসিক নির্যাতনে ড. সেলিমের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে দুই দফায় কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ড. সেলিমের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে ২ ডিসেম্বর দুপুরে একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে শিক্ষক সমিতি। প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান শিক্ষকরা।
ড. সেলিমের ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর ঘটনায় ৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। নতুন করে গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের নতুন তদন্ত কমিটি। কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হলেও ওই সময়ের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করতে পারেনি কমিটি।
গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৮তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় পাঁচ কর্মদিবসে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। ওই সভায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) হল ৭ জানুয়ারি খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একইসঙ্গে ৯ জানুয়ারি থেকে ক্লাস শুরু হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েট বন্ধ থাকবে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত
কুয়েট শিক্ষক সেলিমের লাশ ময়নাতদন্তে কুষ্টিয়ার চিকিৎসকদের অপারগতা,পাঠানো হচ্ছে ঢামেকে
২ বছর আগে
শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েট বন্ধ থাকবে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত
শিক্ষকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৭৮তম জরুরি সভায় ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ৭ জানুয়ারি হলসমূহ খুলে দেয়া ও ৯ জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কুয়েটের জনসংযোগ ও তথ্য শাখার সেকশন অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান পরিস্থিতিতে ৭৭তম সিন্ডিকেটের সভায় দ্বিতীয় দফায় ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কুয়েট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ছিল। সে ধারাবাহিকতায় ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় কুয়েটের ৭৮তম সিন্ডিকেটের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ভাইস চ্যান্সেলর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন। সভায় ৭ জানুয়ারি হল সমূহ খুলে দেয়া ও ৯ জানুয়ারি থেকে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে বলে কুয়েট প্রশাসনকে অবহিত করেছে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর পর সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ২ ডিসেম্বর সিন্ডিকেটের ৭৬তম জরুরি সভায় ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর ও ৭৭তম সভায় তা বাড়িয়ে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছিল প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ময়নাতদন্তের জন্য কুয়েট শিক্ষকের লাশ উত্তোলন
মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে গত ৩০ নভেম্বর হার্ট অ্যাটাকে মারা যান কুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন।
এদিকে, মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য দাফনের ১৫ দিন পর ১৫ ডিসেম্বর সকালে শিক্ষক সেলিম হোসেনের লাশ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়। এরপর মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য লাশ ঢাকায় পাঠানো হয়। ১৬ ডিসেম্বর রাতে লাশ কুষ্টিয়া পৌঁছানোর পর একই কবরে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: কুয়েট বন্ধের সময় আরও বাড়ল
২ বছর আগে