নিষেধাজ্ঞা
বাংলাদেশি শ্রমিকদের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা 'অরাজনৈতিক ও পর্যালোচনাধীন': ওমান রাষ্ট্রদূত
ওমান সালতানাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল গাফফার বিন আবদুল করিম আল-বুলুশি বলেছেন, ওমানি কর্তৃপক্ষের নিয়মিত পর্যালোচনার পর বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ ‘অরাজনৈতিক ও অস্থায়ী’।
রবিবার (৭ জুলাই) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বর্তমানে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির মাধ্যমে পর্যালোচনাধীন বিষয়টি। উভয় পক্ষের মধ্যে কার্যকর সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে শিগগিরই সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তিস্তা প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশের যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেবে চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে মত বিনিময় করেন।
ওমানের রাষ্ট্রদূত সংক্ষিপ্ত নোটিশে বৈঠকটি অনুমোদন করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করায় তাকে অভিনন্দন জানান।
তিনি বাংলাদেশ ও ওমানের মধ্যে সাম্প্রতিক জনশক্তি, জ্বালানি, সার, বিনিয়োগ ইত্যাদি সহযোগিতার বিষয়ে তাকে জানান।
ওমান কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তথ্য হালনাগাদ করার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে ওমান সালতানাতের সংস্কৃতি, নৈতিকতা ও পররাষ্ট্রনীতির প্রশংসা করেন তিনি।
তিনি বলেন, ওমানে প্রায় ৮ লাখ বাংলাদেশি কর্মী নিয়োজিত রয়েছে এবং উভয় দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখছে।
ওমান কর্তৃপক্ষ ওয়ার্ক ভিসার স্থগিতাদেশ দ্রুত প্রত্যাহারের জন্য ওমানের যেকোনো শর্ত পূরণে সহযোগিতা ও সমন্বয় করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে বলে আশ্বস্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ওমানকে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করে মন্ত্রী আরও বলেন, স্বার্থ, মূল্যবোধ ও নীতির অভিন্নতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ওমান জাতিসংঘ, ওআইসি, ন্যাম, আইওআরএসহ বহুপাক্ষিক ফোরামে কার্যকর সহযোগিতা ও সমন্বয় বজায় রেখেছে এবং গাজাসহ প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুতে শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে।
বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণে ওমানের রাষ্ট্রদূতকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সব সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ওমানের রাষ্ট্রদূত বেসরকারি চ্যানেলের পরিবর্তে জি টু জি ব্যবস্থায় ওমান সালতানাত থেকে ইউরিয়া সার কেনার বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য সহযোগিতা করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ সুলতান হাইথাম বিন তারিক আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছেন বলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: লাও গণপ্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্টের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন রাষ্ট্রদূত লুৎফর রহমান
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনার ও ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
নিষেধাজ্ঞার মাঝেও সাগরে জেলেরা, মাছ জব্দ
গত ২০ মে থেকে সাগরে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য বিভাগ, যা চলবে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে মাছ ধরার কারণে তা জব্দ করেছে কোস্টগার্ড।
রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভোলার দৌলতখান ঘাটের ঢাকাগামী একটি লঞ্চ থেকে প্রায় এক হাজার কেজি অবৈধ সামুদ্রিক মাছ ও জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগের যৌথ অভিযানে ঢাকাগামী তাসরিফ লঞ্চ থেকে মাছগুলো জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ১০৬ মণ ইলিশ ও জাটকাসহ বিভিন্ন জাতের মাছ জব্দ
এ বিষয়ে দৌলতখান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান জানান, হাতিয়া ও চরফ্যাশনের সামরাজ ঘাট থেকে বিপুল পরিমাণ সামুদ্রিক মাছ তাসরিফ লঞ্চযোগে ঢাকা যাচ্ছিল। এসময় কোস্টগার্ডের সহায়তায় দৌলতখান ঘাটে লঞ্চটি এসে পৌঁছালে অবৈধ সব মাছ জব্দ করা হয়।
জব্দ করা সামুদ্রিক মাছগুলো ইলিশা লঞ্চঘাটে নামানো হয়। পরে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে স্থানীয়দের মাঝে সেগুলো বিতরণ করা হয়।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের চার কর্মকর্তার বিদেশ গমনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা
দি প্রিমিয়ার ব্যাংকের চার কর্মকর্তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করে তা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলার তদন্ত চলমান থাকায় এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ আদালতের
এসব কর্মকর্তা হলেন- প্রিমিয়ার ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নারায়ণগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক শহীদ হাসান মল্লিক, ভাইস প্রেসিডেন্ট মুশফিকুল আলম, ফরেন এক্সচেঞ্জ ইনচার্জ দীপক কুমার দেবনাথ ও ক্রেডিট ইনচার্জ মোহাম্মদ মেহেদী হাসান সরকার। তারা প্রত্যেকে ব্যাংকটির নারায়ণগঞ্জ শাখায় কর্মরত।
এদিন তাদের বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন।
আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
আবেদন সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত কর্মকর্তারা ব্যাক টু ব্যাক এলসি সুবিধার আড়ালে জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৪৩টি সন্দেহভাজন তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ভুয়া ঋণ মঞ্জুর করে এবং তা আত্মসাৎ করে পাচার করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এ অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। গোপন সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অর্থপাচার ও দেশত্যাগের পরিকল্পনা করছেন। এজন্য তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা একান্ত প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানের সম্পদ দেখভালে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দিল আদালত
তারেককে ফিরিয়ে এনে আদালতের সাজা কার্যকর করব: প্রধানমন্ত্রী
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব পাস
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির একটি আইন পাস হয়েছে।
গত মাসে ইসরায়েল ও হামাসের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে আইসিসির এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। এরপর ২৪৭টি ‘হ্যাঁ’ ভোটে (১৫৫টি ‘না’ ভোট) প্রস্তাবটি পাস হয়। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করলেও যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের প্রতি ঐক্য প্রদর্শনেরই প্রকাশ।
অবশ্য, মঙ্গলবার সিনেটে প্রস্তাবটি সমালোচিত হওয়ার পর তা সামান্য ব্যবধানে সমর্থন পেয়েছে। ‘বাড়াবাড়ি’ হিসেবে উল্লেখ করে হোয়াইট হাউস থেকেও এই আইনের বিরোধিতা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলের নেতারাই বলছেন, প্রশ্নবিদ্ধ এই বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নেই এবং এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে আরও আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাইডেনের গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সমর্থন করতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
রিপাবলিকান পার্টির মুখপাত্র ও বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির সভাপতি মাইক ম্যাককল বলেন, ‘এই কমিটিতে, বিশেষ করে জাতি হিসেবে আমরা যখন কথা বলি, তখন আমরা সবসময় এক ও শক্তিশালী; আইসিসি ও বিচারকদের বিষয়েও তা ভিন্ন নয়। পক্ষপাতমূলক বিল উত্থাপন আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা এখানেই আছি।’
তবে বিলটির বিরুদ্ধে প্রশাসনের বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাট মিলার।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি যে আইসিসির গৃহীত সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেও আমরা এটাকে (বিল) উপযুক্ত মনে করি না, বিশেষ করে যখন ইসরায়েলের ভেতরে চলমান তদন্ত চলছে। (আইসিসির সিদ্ধান্তের) প্রতিক্রিয়ায় আমাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) জবাব কেমন হবে, সে বিষয়ে আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করতে চাই। তবে আমরা নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করি না।’
আইসিসি ও আন্তর্জাতিক বিচার আদালত উভয়ই গাজায় গত সাত মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে হামাস ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ওঠা গণহত্যার অভিযোগের তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন: বাইডেনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে উভয়সংকটে নেতানিয়াহু
গত মাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্ট এবং তিনি হামাস নেতা- ইয়াহিয়া শিনওয়ার, মোহাম্মদ দেইফ ও ইসমাইল হানিয়াকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করেন আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান।
নেতানিয়াহু ও অন্যান্য ইসরায়েলি নেতারা আইসিসির এই পদক্ষেপকে ‘লজ্জাজনক ও ইহুদিবিরোধী’ বলে নিন্দা করেন। ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার সমর্থন করে আইসিসিকে কাঠগড়ায় তোলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ দেশটির কংগ্রেস সদস্যরাও।
উল্লেখ্য, ইসরায়েল আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র নয়। ফলে ওই পরোয়ানায় নেতানিয়াহু বা দেশটির কোনো নেতার গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কারণে বৈদেশিক সফর করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন তারা।
আরও পড়ুন: যুদ্ধাপরাধে ইসরায়েল ও হামাসের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের আবেদন
সুন্দরবনে ৩ মাসের জন্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বন বিভাগ।
শনিবার (১ জুন) খেকে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) পর্যন্ত সুন্দরবনে এ নিষেধাজ্ঞা কর্যকর হবে। এই সময়ে বনজীবী, সাধারণ জনগণ ও দর্শনার্থীরা বনে প্রবেশ করতে পারবে না।
সুন্দরবনের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানসের (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর এ সিদ্ধান্ত নেয় বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার জন্য দায়ী সরকার, সেনাবাহিনীর সুনাম কলঙ্কিত: ফখরুল
এই তিন মাস সুন্দরবনের নদী-খালের মাছের প্রজনন মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। এই সময়ে সুন্দরবনের নদী ও খালে থাকা বেশির ভাগ মাছ ডিম ছাড়ে। এ ছাড়া এই সময়ে বন্য প্রাণীদেরও প্রজনন মৌসুম।
তাই সুন্দরবনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকত।
পরে ২০২২ সালে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এ নিষেধাজ্ঞা এক মাস বাড়িয়ে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। সেই থেকে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস বনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ রাখা হচ্ছে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, বনের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় আইআরএমপির সুপারিশ অনুযায়ী আগামী তিন মাস সুন্দরবনে সব ধরনের প্রবেশ বন্ধ থাকবে। এই সময়ে জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালদের পাশও বন্ধ থাকবে। কোনোভাবে অবাঞ্চিত কেউ বনে প্রবেশ করতে পারবে না। নিষেধাজ্ঞার সময়ে বনে যাতে কোনো প্রকার অন্যায় অপরাধ সংগঠিত হতে না পরে, সেজন্য বন বিভাগ সতর্ক থাকবে।
বন বিভাগের মতে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে নানা নাম ও আকারের ৩৪৪ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। এর মধ্যে সুন্দরী ও গেওয়া গাছ বেশি।
এছাড়া রয়েল বেঙ্গল টাইগার, বানর, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ২৯০ প্রজাতির পাখি, ১২০ প্রজাতির মাছ, ৩৫টি সরীসৃপ, ৮টি প্রজাতির উভচর প্রাণী রয়েছে।
এর মধ্যে মধ্যে ২ প্রজাতির উভচর, ১৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৫ প্রজাতির পাখি এবং ৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে ডিপজলের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত
আর্থিক অভিজাতদের সহায়তা করতে সাংবাদিকদের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা: সিপিডি
শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে ডিপজলের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের সম্পাদক পদে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।
সোমবার (২৭ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
এ আদেশের ফলে শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: শিল্পী সমিতির নির্বাচন বাতিল চেয়ে নিপুণের রিট
আদালতে ডিপজলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। আর নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
এর আগে, গত ২০ মে হাইকোর্ট শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে ডিপজলকে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সমিতির নির্বাচনে অনিয়মের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন।
অভিযোগটি ঢাকার সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) কর্তৃপক্ষকে অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে। ওই আদেশের বিরুদ্ধে রবিবার(২৬ মে) আপিল বিভাগে আবেদন করেন ডিপজল। আজ সেই আবেদনের উপর শুনানি হয়।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনে জয়ী হয়েছে মিশা-ডিপজল প্যানেল। গত ২০ এপ্রিল শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে ডিপজল পান ২২৫ ভোট। ১৬ ভোট কম পেয়ে হেরে যান তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ। এই নায়িকা পান ২০৯ ভোট।
গত ১৪ মে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচন বাতিল এবং নতুন নির্বাচনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণ। রিটে মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল রিটে। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনাও চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা
জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিত করেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি
শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে ডিপজলের দায়িত্ব পালনের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অনিয়মের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শিল্পী সমিতির সম্পাদক প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুন আক্তারের রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার(২০ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি শেষে সোমবার খুলছে ব্যাংক, দোকানপাট-আদালত
আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক, ব্যারিস্টার হারুনর রশিদ, পলাশ চন্দ্র রায়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের সাধারণ সম্পাদকের পদ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এরফলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। একইসঙ্গে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই নির্বাচনের অনিয়মের বিষয়ে তদেন্তর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অনিয়মের অভিযোগে শিল্প সমিতির অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার (১৫ মে) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণ। রিটে মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।
বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি দায়ের করেন তিনি। রিটের পক্ষের আইনজীবী হলেন, পলাশ চন্দ্র রায়।
নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল রিটে। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনাও চাওয়া হয়।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনে জয়ী হয়েছে মিশা-ডিপজল প্যানেল। গত ২০ এপ্রিল শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু।
নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে ডিপজল পান ২২৫ ভোট। ১৬ ভোট কম ২০৯ ভোট পেয়ে হেরে যান তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত
অফিস আদালত খুললেও ঢাকা এখনো ছুটির মেজাজে
সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’র ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
চট্টগ্রামে উত্তরা ব্যাংকের প্রায় ৩১ কোটি টাকার ঋণখেলাপি মামলায় সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির চার ছেলের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১২ মে) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের জজ মুজাহিদুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম।
যাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন- মুজিবুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম ও ওয়াহিদুল ইসলাম।
সাবেক মন্ত্রীর মালিকানাধীন সানোয়ারা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান সানোয়ারা ডেইরি ফুডস লিমিটেড ও ইউনিল্যাক সানোয়ারা বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে আছেন মুজিবুর রহমান। বাকি তিন ভাই একই প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালক পদে আছেন।
মামলার নথি পর্যালোচনায় জানা গেছে, উত্তরা ব্যাংক থেকে দুই প্রতিষ্ঠানের নামে ২০ কোটি ৭২ লাখ ৪৬ হাজার ৭০৭ টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে সানোয়ারা ডেইরি ফুডস লিমিটেডের নামে ১৭ কোটি ৯০ লাখ ৫৯ হাজার ১৩৯ টাকা ও ইউনিল্যাক সানোয়ারা বিডি লিমিটেডের ২ কোটি ৮১ লাখ ৮৭ হাজার ৫৬৭ টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এর বিপরীতে ব্যাংকে কোনো সম্পত্তি বন্ধক রাখা হয়নি। বিবাদীদের ব্যক্তিগত নিশ্চয়তা ও ট্রাস্ট রিসিটের ভিত্তিতে এই ঋণ মঞ্জুর করেছিল ব্যাংক।
নির্ধারিত সময়ে পরিশোধযোগ্য ঋণ হিসেবে আরোপিত সুদ ছিল এক কোটি ৬৭ লাখ ৬৩ হাজার ১১৭ টাকা। সুদসহ মোট স্থিতি ২২ কোটি ৪০ লাখ ৯ হাজার ৮২৪ টাকা। ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার পর পুনঃতফসিলের সুযোগ দেয় ব্যাংক। এরপরও ঋণ পরিশোধ না করায় সুদ আরোপ হয় আরও ৮ কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৬২৪ টাকা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৫ শিল্পপতির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
এর ফলে ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাংকের মোট দাবি অর্থাৎ দুই প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে খেলাপি ঋণ দাঁড়ায় ৩০ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার ৪৪৯ টাকা ৩৯ পয়সা।
খেলাপি ঋণ আদায়ে ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর উত্তরা ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখার প্রিন্সিপ্যাল অফিসার এ এস এম ফয়জুল আলম চৌধুরী আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে দুটি প্রতিষ্ঠানকে বিবাদী করা হয়। এছাড়া নুরুল ইসলাম বিএসসি ও তার স্ত্রী সানোয়ারা বেগম এবং পাঁচ ছেলেকেও বিবাদি করা হয়।
এ অবস্থায় গত ২ মে বাদী আদালতে বিবাদিদের পাসপোর্ট জব্দ করে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আবেদন করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, মামলা দায়েরের পর থেকে শুধুমাত্র একজন ছাড়া আর কোনো বিবাদি আদালতে হাজির হননি। ঋণ পরিশোধেরও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বরং তারা দেশ ছেড়ে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে বাদী জানতে পেরেছেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন,‘ব্যাংকের আবেদনের ওপর রবিবার শুনানি হয়েছে। আদালত চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। তারা যাতে আদালতের অনুমতি ব্যতীত কোনোভাবে দেশত্যাগ করতে না পারেন, সেজন্য ইমিগ্রেশন শাখার বিশেষ পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’
নুরুল ইসলাম বিএসসি একাধারে শিল্পপতি ও রাজনীতিক। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসন থেকে তিনি ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরেরবার আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়ন দেয়নি। তবে সেবার তাকে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী করা হয়েছিল। মন্ত্রীত্ব যাবার পর অবশ্য রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় আছেন। তার ছেলে মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সদস্য। তিনি একাধিকবার সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ২ মেয়েসহ জাপানি নারীকে দেশত্যাগে বাধা
বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ: পিপির আইন পেশা পরিচালনার উপর এক মাসের নিষেধাজ্ঞা
বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করায় খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জহিরুল ইসলাম পলাশের আইন পেশা পরিচালনার উপর এক মাসের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুলের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১০ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসলামপুর পৌর মেয়রকে বরখাস্তের আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত
মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে পিপির পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
এর আগে আদালত অবমাননা ও সোশ্যাল মিডিয়াতে বিচারকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হেয় প্রতিপন্নমূলক বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও প্রকাশ করার ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন পিপি জহিরুল ইসলাম পলাশ।
গত ৩ এপ্রিল ভিডিও প্রকাশের ব্যাখ্যা দিতে আইনজীবী জহিরুল ইসলাম পলাশকে তলব করেন হাইকোর্ট। তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ঘটনায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে ওই আদেশ দেন।
জানা গেছে, গত ৩১ মার্চ খুলনা মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক তরিকুল ইসলাম তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা ও হেয় প্রতিপন্নমূলক ভিডিও প্রকাশের অভিযোগ এনে প্রধান বিচারপতি বরাবর একটি চিঠি পাঠান।
চিঠিতে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জহিরুল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনা গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় জাটকা ধরায় ৩৩ জেলে আটক
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আধাঁরে চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে জাটকা ধরায় ৩৩ জেলেকে আটক করেছে টাস্কফোর্স।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন।
তাদের মধ্যে ১৮ জনকে ১০ দিন করে কারাদণ্ড ৬ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় ৯ জনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আরও পড়ুন: পাবনায় র্যাবের অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের ৮ সদস্য আটক
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন- মো. নুরু সরকার, খোরশেদ বন্দুকশী, মো. রাসেল ঢালী, মো. হোসেন, মো. আরিফ আব্দুল করিম, আব্দুল শাহজাহান, আব্দুল কাশেম, রবিউল গাজী, বিল্লাল হোসেন, রুবেল বেপারী, রাজিব শুক্কুর দেওয়ান, আব্দুর রহিম, খাজা বেপারী, ইব্রাহীম খলিল তালুকদার, জাকির রাঢ়ি, হাকিম খান এবং আরও দুইজন।
নিয়মিত মামলার আসামিরা হলেন- মিন্টুন খান, শরীফ মিজি, আল-আমিন হোসেন, আমিন খাঁ, সোহাগ ও মো. নোমান।
এরা সবাই চাঁদপুর ও শরিয়তপুরসহ আশপাশের এলাকার।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, অভয়াশ্রম এলাকায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একরামুল ছিদ্দিকের নেতৃত্বে মৎস্য দপ্তর, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
এ সময় জেলেদের সঙ্গে থাকা তিনটি বেহুন্দিজাল, ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, পাঁচটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও পাঁচ হাজার মিটার সুতার জাল জব্দ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং জব্দকৃত নৌকা মামলার আলামত হিসেবে কোস্ট গার্ড হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্ত থেকে অস্ত্র ও গাঁজা জব্দ; আটক ১
রূপগঞ্জে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ যুবক আটক