নিষেধাজ্ঞা
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ‘বিশেষ উদ্বেগজনক’ দেশ ভারত, র’য়ের ওপর যুক্তরাষ্ট্রকে নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ
ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগজনক’ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে সুপারিশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন। একই সঙ্গে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) ও সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিকাশ যাদবের ওপর যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর এসব সুপারিশের কথা সামনে এসেছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিদেশের মাটিতে ভারতের শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হত্যাকাণ্ডের পেছনে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা র’য়ের হাত রয়েছে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে এই পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।
ভারতে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
ভারতের পাশাপাশি ভিয়েতনামকেও এই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, দেশটিতে ধর্মীয় ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ বাড়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪৩ দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র
অবশ্য এই সুপারিশের বাস্তবায়ন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। তবে কমিশন যে দুটি দেশের বিষয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্রনীতিতে দেশ দুটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
চীন বিষয়ে যৌথ উদ্বেগের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে ভারত ও ভিয়েতনাম। তাই এই পরামর্শের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন যুক্তরাষ্ট্রের একটি দ্বিদলীয় সরকারি উপদেষ্টা সংস্থা। বৈদেশিক ধর্মীয় স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণ করে নানা নীতিগত সুপারিশ দিয়ে থাকে সংস্থাটি।
বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীনের প্রভাব মোকাবিলায় ভারতকে পাল্টা শক্তি হিসেবে গণ্য করে ওয়াশিংটন। তাই দেশটির মানবাধিকার বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেয় না যুক্তরাষ্ট্র।
কমিশনের সুপারিশ বাধ্যতামূলক না হওয়ায় র’কে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সম্ভাবনা কম বলে মনে করেন তারা।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের সঙ্গে আমার গভীর যোগসূত্র আছে: মোদি
২০২৩ সালে থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কার্যক্রমে ভারতের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ওয়াশিংটন-দিল্লি সম্পর্কে চিড় ধরে।
যুক্তরাষ্ট্রে এক শিখ নেতাকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টায় ভারতের সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিকাশ যাদবের জড়িত থাকার অভিযোগ আনে ওয়াশিংটন, যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে ভারত। এ নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য, শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি মনে করে ভারত।
মার্কিন ওই কমিশনের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, গত বছরজুড়ে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এই সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও বৈষম্য বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত নির্বাচনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দেশটির মুসলিম জনগোষ্ঠীসহ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও অপতথ্য ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছে কমিশন।
সবশেষ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে প্রচারকালেও মোদি মুসলিমদের ভারতে ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে অ্যাখ্যা দেন। শুধু তাই নয়, ‘মুসলিমরা বেশি সন্তান জন্ম দেয়’—এমন মন্তব্যও করেন গত প্রায় ১১ বছর ধরে দেশটির প্রধানমন্ত্রীত্ব সামলানো এই নেতা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা-বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিবেদনে ভারতে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের তথ্য উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: ২৭ বছর পর দিল্লির মসনদে বসতে চলেছে বিজেপি
তবে এসব প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে মোদি বলেন, তার সরকার দেশে বিদ্যুতায়ন ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভতুর্কি দেওয়াসহ যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে, তাতে সব সম্প্রদায়ের মানুষই উপকৃত হয়েছেন।
ভারতে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপকভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন হচ্ছে বলে অভিযোগ করে দেশটিকে ‘বিশেষ উদ্বেগজনক’ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে এবং র ও সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে সুপারিশ করেছে মার্কিন ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন।
ভারতে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্বে ক্রমবর্ধমান বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল, মুসলিমদের সম্পদ ধ্বংসের মতো মানবাধিকার-বিরুদ্ধ কার্যকলাপের পরিপ্রেক্ষিতে এই সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান মানবাধিকারকর্মীরা।
এই সুপারিশের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি যুক্তরাষ্ট্রের ভারতীয় দূতাবাস।
অপরদিকে, সম্প্রতি একটি ডিক্রি জারি করে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অর্থের হিসাব চেয়েছে ভিয়েতনাম প্রশাসন। একে ধর্মীয় স্বাধীনতার ‘গুরুতর লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করেছে মার্কিন ওই কমিশন।
তাছাড়া ধর্মীয় কার্যক্রম বা ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করার দায়ে প্রায় ৮০ জন বন্দির তথ্য তুলে ধরেছে কমিশন, ভিয়েতনাম সরকার যাদের সাজা দিয়েছে। এসব কারণে ভিয়েতনামকেও ‘বিশেষ উদ্বেগজনক’ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
ভিয়েতনাম দূতাবাসও এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
২২ দিন আগে
সমুদ্রে মাছ ধরায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা
সমুদ্রে মাছ ধরায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ সময়ে কোনো ধরনের নৌযান ব্যবহার করে মাছ ধরা যাবে না।
বুধবার (১৯ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এমন তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সমুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন সব ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজারে অহেতুক দাম বাড়ালে ছাড় নয়: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এইচ. এম. খালিদ ইফতেখার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা, ২০২৩-এর বিধি ৩ এর উপবিধি (১) এর দফা (ক)-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, সরকার, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন সব ধরনের মৎস্য নৌযানের মাধ্যমে যেকোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
২৯ দিন আগে
পাপনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
বিসিবির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন এবং তার পরিবারের আরও ৫ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। রবিবার (১৬ মার্চ) দুদকের উপ-পরিচালক সাইদুজ্জামানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।
এতে পাপন, তার স্ত্রী রোকসানা হাসান, মেয়ে সুনেয়া রহমান ও রুশমিলা রহমান, ছেলে রাফসান হাসান এবং মেয়ে জামাই রাকীন আল-মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
দুদকের আবেদন বলা হয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সরকারি অর্থ আত্মসাত করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। গোপন ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, নাজমুল হাসান পাপন ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে (কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা এলাকা ছাড়াও অন্যান্য এলাকায়) এবং দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ অন্যান্য দেশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে।
আরও পড়ুন: তিন সন্তান ও স্ত্রীসহ হানিফের বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা
সংশ্লিষ্টরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগে বলা হয়। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তারা বিদেশে পালিয়ে যাওয়া শঙ্কা রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।
৩১ দিন আগে
তিন সন্তান ও স্ত্রীসহ হানিফের বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা
দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও স্ত্রী ফৌজিয়া আলম, ছেলে ফাহিম আফসার আলম ও ফারহান সাদিক আলম এবং মেয়ে তানিশা আলমের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, স্ত্রী, তিন সন্তানসহ মাহবুব উল আলম হানিফের বিদেশ যাত্রা বন্ধের আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
দুদকের পক্ষে উপপরিচালক সাইদুজ্জামান তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
আবেদনে বলা হয়, মাহবুব উল আলম হানিফের বিরুদ্ধে পদ্মা ও গড়াই নদীর বালুমহল থেকে চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য, হাটবাজার ইজারা বাণিজ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে টিআর-কাবিখাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক বিজিবি প্রধান সাফিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
এসব অর্থ বিদেশে পাচার ও স্ত্রীর নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মাহবুব উল আলম হানিফ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে (কুষ্টিয়া, খুলনা, পটুয়াখালী, মোংলা, কক্সবাজার, টেকনাফ এলাকা ছাড়াও অন্যান্য এলাকায়) এবং দেশের বাইরে- যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ অন্যান্য দেশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে।
অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন মর্মে অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধানকার্য ব্যাহত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।
৩১ দিন আগে
৪৩ দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র
নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় ৪৩টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করার কথা ভাবছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্টের আগের মেয়াদের চেয়ে নতুন এই নিষেধাজ্ঞার পরিধি বড় হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাতে মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস এমন খবর দিয়েছে।
কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এরইমধ্যে ‘লাল’, ‘কমলা’ ও ‘হলুদ’—এই তিন ক্যাটাগরিতে খসড়া তালিকা তৈরি করেছে। এতে তিনটি ধাপে ৪৩টি দেশের নাম রয়েছে।
তালিকায় প্রথম ধাপের ১১টি দেশ হলো—আফগানিস্তান, ভুটান, কিউবা, ইরান, লিবিয়া, উত্তর কোরিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া, ভেনিজুয়েলা ও ইয়েমেন। এসব দেশের নাগরিকদের পূর্ণাঙ্গ ভিসা বাতিল হতে পারে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার মুখে অভিবাসীবাহী মার্কিন ফ্লাইট অবতরণে অনুমতি দিল কলোম্বিয়া
দ্বিতীয় ধাপের দেশগুলোর—বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাওস, মিয়ানমার, পাকিস্তান, রাশিয়া, সিয়েরা লিওন, দক্ষিণ সুদান ও তুর্কমেনিস্তান—ওপর আংশিক ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া এসব দেশের পর্যটন ভিসা, শিক্ষার্থী ভিসা, অভিবাসন ভিসায় প্রভাব পড়তে পারে।
অর্থাৎ বিধিনিষেধ আরোপ হলেও এসব দেশের ভিসা পুরোপুরি বাতিল করা হবে না। এই ১০ দেশের ধনী ব্যবসায়ীরা ভ্রমণ করতে পারলেও ভ্রমণ কিংবা অভিবাসন ভিসায় সাধারণ নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে পারবেন না।
শেষ গ্রুপে থাকা দেশগেুলোর সরকার নিরাপত্তা তথ্য সংক্রান্ত ঘাটতি মেটাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নিলে এসব দেশের নাগরিকদের ভিসায় আংশিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন।
দেশগুলো হলো, অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগা ও বার্বুডা, বেলারুশ, বেনিন, ভুটান, বুরকিনা ফাসো, কেপ ভার্দে, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, চাদ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র অব দ্য কঙ্গো, ডোমেনিকা, বিষুবীয় গিনি, গাম্বিয়া, লাইবেরিয়া, মালাউই, মৌরিতানিয়া, রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গো, সেন্ট কিট্স ও নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সাঁউ তুমি ও প্রিন্সিপি, সিয়েরা লিওন, পূর্ব তিমুর, তুর্কমেনিস্তান, লাইবেরিয়া, মালি, জিম্বাবুয়ে ও ভানুয়াতু।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই তালিকা তৈরি করেছেন। হোয়াইট হাউসে পৌঁছার আগে তালিকায় কিছুটা রদবদল হতে পারে এবং এখনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওসহ ট্রাম্প প্রশাসনের অনুমোদন মেলেনি।’
এখন খসড়া তালিকা পর্যালোচনা করছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দূতাবাস, আঞ্চলিক ব্যুরো, বিভিন্ন বিভাগ ও গোয়েন্দা সংস্থার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদেও ৭টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। তার ওই পদক্ষেপ অনেক আইনি লড়াই পেরিয়ে ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন পায়।
দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি এক নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি শনাক্তে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ইচ্ছুক সব বিদেশির ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই জোরদারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন ট্রাম্প
ওই নির্দেশে ‘নিরাপত্তা যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যাবে না’ এমন দেশগুলো শনাক্তে করে সেগুলোর মধ্যে কোনগুলোর ওপর পূর্ণাঙ্গ, কোনগুলোর ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যায় তার তালিকা ২১ মার্চের মধ্যে জমা দিতে মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যকে বলাও হয়েছিল।
এ দফায় ক্ষমতায় আসার পর রিপাবলিকান ট্রাম্প অভিবাসনবিরোধী একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে দেওয়া এক বক্তৃতায় তিনি গাজা ভূখণ্ড, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং ‘আমাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি যে কারও’ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ আটকে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন।
৩৩ দিন আগে
পাঁচ ম্যাচ নিষিদ্ধ আতলেতিকোর আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড
অবশেষে আশঙ্কাই সত্যি হলো। রেফারিকে অপমানজনক কথা বলায় লাল কার্ডের শাস্তিসসহ মোট পাঁচ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন আতলেতিকো মাদ্রিদের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আনহেল কোররেয়াকে।
ঘটনাটি এই রবিবারের (৯ মার্চ)। সেদিন গেতাফের মাঠে গিয়ে জিতে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ ছিল দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যদের। ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল পেয়ে এগিয়ে গিয়েও ৮৮তম ও যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে গোল খেয়ে ম্যাচ হেরে সুযোগ হাতছাড়া করে দলটি।
তবে প্রথম গোল খাওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে গেতাফে ডিফেন্ডার দিয়েনেকে ফাউল করে প্রথমে হলুদ কার্ড দেখেন কোররেয়া। পরে ভিএআর রিভিউতে তা লাল কার্ডে উন্নীত হলে মাঠ ছাড়তে হয় এই ফরোয়ার্ডকে।
লাল কার্ডে সিদ্ধান্ত শুনে নিয়ন্ত্রণ হারান কোররেয়া। রেফারির সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। এরপর তিনি যখন মাঠ ছাড়ছেন, তখনও রেফারিকে কিছু বলতে বলতে চলে যেতে দেখা যায় তাকে।
আরও পড়ুন: প্রথমে গোল পেয়েও হেরে সুযোগ হাতছাড়া করল আতলেতিকো
পরে স্প্যানিশ মিডিয়ায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে রেফারি গিয়েরমো কুয়াদ্রা ফের্নান্দেস জানান, কোররেয়া তাকে অশ্লীল ভাষায় গালি দিয়েছেন। সেসব কথার প্রতিটি শব্দ তিনি তৎক্ষণাৎ নিজের নোটবুকে টুকে রাখেন এবং ম্যাচ শেষে লিগ কর্তৃপক্ষের কাছে তা উপস্থাপন করেছেন।
পরে অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করে রেফারির সঙ্গে করা আচরণের জন্য ক্ষমা চান আতলেতিকো ফরোয়ার্ড।
তবে কোররেয়ার বিরুদ্ধে যেসব শব্দ প্রয়োগের অভিযোগ রেফারি তোলেন, তা সত্যি হয়ে থাকলে আইন অনুসারে তিনি সর্বোচ্চ ১২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারেন বলে ফুটবল পাড়ায় আলোচানা-সমালোচনা হয়। অবশ্য সর্বোচ্চ শাস্তি না পেলেও অন্তত পাঁচ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তিনি যে পড়বেন, অনেকেই এ ব্যাপারে মত দেন।
অবশেষে অভিযোগ বিশ্লেষণ করে তাকে স্পেনের ঘরোয়া লিগে পরবর্তী পাঁচ ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন। এই পাঁচ ম্যাচের প্রথমটি লাল কার্ডের শাস্তি হিসেবে এবং রেফারির সঙ্গে অভব্য আচরণের জন্য বাকি চার ম্যাচের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
এর ফলে, লা লিগা ও কোপা দেল রেতে আসন্ন ম্যাচগুলোতে তাকে পাবে না আতলেতিকো মাদ্রিদ। এর মধ্যে আগামী রবিবার লা লিগার টেবিলের চূড়ায় থাকা বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচটি খেলতে পারবেন না আনহেল। এরপর লিগে এস্পানিওলের বিপক্ষে ম্যাচেও তিনি থাকতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: আতলেতিকোর অপরাজেয় যাত্রা থামিয়ে ‘মাইলফলক’ রাঙাল রিয়াল
আতলেতিকোর তৃতীয় ম্যাচটি কোপা দেল রেতে। সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে বার্সেলোনার বিপক্ষে ফের তাকে বাদ রেখে স্কোয়াড সাজাতে হবে দিয়েগো সিমিওনেকে। এরপর লা লিগায় সেভিয়া ও রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে দুটি ম্যাচেও তাকে খেলতে দেখা যাবে না।
তবে এই নিষেধাজ্ঞা স্পেনের বাইরে আরোপ না হওয়ায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লোগে আজ (বুধবার) রাতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলতে বাধা নেই দলটির।
প্রথম লেগে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে ২-১ গোলে হারে আতলেতিকো। ফলে ফিরতি লেগে আজ রাতের ম্যাচটি জয়ের বিকল্প নেই তাদের সামনে।
৩৫ দিন আগে
সালমান এফ রহমান ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, স্ত্রী সৈয়দা রুবাবা রহমান, ভাই আহমেদ সোহাইল ফসিহুর রহমান, ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও আহমেদ সোহাইলের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, ‘দুদকের পক্ষ থেকে সালমান এফ রহমানসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়।’
আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সালমানের লন্ডনের সম্পদ জব্দসহ ব্যাংক-কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ
মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, সালমান এফ রহমান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার জালিয়াতি, প্লেসমেন্ট গে বিভিন্ন ব্যাংক হতে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের পর তা আত্মসাতসহ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত আবশ্যক।
৩৭ দিন আগে
সমালোচনার ঝড়ের পর চার ম্যাচ নিষিদ্ধ মরিনিয়ো
বারবার বিতর্কিত মন্তব্য করে ফুটবল বিশ্বের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হওয়া জোসে মরিনিয়োর জন্য নতুন কিছু নয়। তুরস্কে গিয়েও চলছে তার এমন কর্মকাণ্ড। তবে এবার দেশটির রেফারিদের সমালোচনা করে শাস্তি পেয়েছেন এই পর্তুগিজ কোচ।
তুর্কি সুপার লিগের রেফারিদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় তাকে চার ম্যাচের জন্য ডাগআউটে নিষিদ্ধ করেছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ)। পাশাপাশি ১৬ লাখ ১৭ হাজার তুর্কি লিরা জরিমানাও গুণতে হচ্ছে ৬২ বছর বয়সী ফেনারবাচে ম্যানেজারকে।
ঘটনার সূত্রপাত গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি)। সেদিন চিরপ্রতিন্দ্বী গালাতেসারাইয়ের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে তার দল।
বিতর্ক এড়াতে বিদেশি রেফারি দিয়ে ম্যাচটি পরিচালনা করতে দুই ক্লাবের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়। তাদের সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে স্লোভেনিয়ান রেফারি স্লাভকো ভিনচিচকে ম্যাচটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রেফারির প্রশংসা করে মরিনিয়ো বলেন, ‘ম্যাচটি দারুণভাবে পরিচালনা করেছেন তিনি।’
‘ম্যাচ শেষে আমি রেফারিদের ড্রেসিং রুমে গিয়েছিলাম। চতুর্থ রেফারিও সেখানে ছিলেন, যিনি তুরস্কের রেফারি। প্রধান রেফারিকে (ভিনচিচ) আমি বলেছি, এখানে আসার জন্য ধন্যবাদ। কারণ বড় একটি ম্যাচে আপনি এসেছেন এবং দায়িত্ব পালন করেছেন।’
‘এরপর চতুর্থ রেফারির দিকে ঘুরে বলেছি, এই ম্যাচে আপনি রেফারি থাকলে বিপর্যয় হয়ে যেত। তাকে যখন এটি বলেছি, আমি আসলে (তুরস্কের) সবাইকেই বুঝিয়েছি, এটিই তাদের সহজাত প্রবণতা।’
ম্যাচের শুরুর দিকে ফেনারবাচের ১৯ বছর বয়সী ডিফেন্ডার ইউসুফ আকচিচেকের একটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে বেশ উত্তেজনা ছড়ায়। গালাতাসারাইয়ের ডাগআউটের ফুটবলারদের তখন বেশ উত্তেজিত দেখা যায়। সেই ঘটনায় আকচিচেককে হলুদ কার্ড না দেখানোয় রেফারি ভিনচিচের প্রশংসা করেন মরিনিয়ো।
‘তুর্কি রেফারি হলে অমন বড় ডাইভ দেওয়ার পর নিশ্চিত সেখানে হলুদ কার্ড দিতেন। ওদের (গালাতেসারাই) বেঞ্চের ফুটবলাররা বাচ্চা ছেলেটির (আকচিচেক) ওপর যেভাবে বানরের মতো লাফালাফি করছিল… এসব দেখেই রেফারি কার্ড দিতেন এবং পাঁচ মিনিট পর আমাকে তার বদলি কাউকে নামানো লাগত।’
মরিনিয়োর এমন মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় গালাতেসারাই।
‘তুরস্কে কোচের দায়িত্ব পালনের এই সময়কালে ফেনারবাচে কোচ জোসে মরিনিয়ো তুরস্কের মানুষদের নিয়ে ক্রমাগত অপমানজনক কথা বলে যাচ্ছেন। আজকে তার মন্তব্য অনৈতিক মন্তব্যের সীমানা ছাড়িয়ে নিশ্চিতভাবেই নিষ্ঠুর অলঙ্করণে পৌঁছে গেছে।’
‘আমরা এখানে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করছি যে, জোসে মরিনিয়োর বর্ণবাদী বিবৃতি নিয়ে ফৌজদারি কার্যক্রম শুরু করব। একই সঙ্গে উয়েফা ও ফিফার কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযাগ জানাব। পাশাপাশি কোচের প্রদর্শিত নিন্দনীয় এই আচরণ নিয়ে ফেনারবাচের অবস্থান আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করব।’
এ ঘটনার পর মরিনিয়ো ‘বর্ণবাদী’ বলে সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ইউরোপীয় ফুটবল অঙ্গনের বিভিন্নজন তার পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেন। অবশেষে টিএফএফ থেকে তার বিরুদ্ধে এলো এই শাস্তির ঘোষণা।
তবে মরিনিয়োর পক্ষ নিয়ে তার ক্লাব ফেনারবাচে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অন্য প্রসঙ্গে করা বক্তব্য এখানে টানা হয়েছে। তাছাড়া বিষয়টিকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এমনকি মরিনিয়োর ওপর দেওয়া শাস্তির বিরুদ্ধে আপিলও করেছিল ক্লাবটি। তবে তা খারিজ করে দিয়ে নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানা বহাল রেখেছে ফেডারেশন।
তুরস্কের রেফারিদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার ঘটনা এই প্রথম নয় ‘স্পেশাল ওয়ানের’। এই ধরনের মন্তব্যের দায়ে আগেও এক দফায় জরিমানার পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ, চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহ্যামের সাবেক এই কোচকে।
৪৮ দিন আগে
ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও আরও কর্মী নিতে আমিরাতের প্রতি ড. ইউনূসের আহ্বান
বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর থেকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং আরও বাংলাদেশি কর্মী নিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
দুবাইয়ে দুদিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে অংশগ্রহণের পাশাপাশি দেশটির বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকগুলোতে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, বাণিজ্য ও ব্যবসার সম্প্রসারণ, চট্টগ্রাম বন্দরে আমিরাতি বিনিয়োগ পরিকল্পনা এবং ক্রীড়া ও শিক্ষা খাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
তিনি জানান, আমিরাতি কোম্পানিগুলোকে তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের আমন্ত্রণ জানান প্রধান উপদেষ্টা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জেয়ৌদি এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করলে ড. ইউনূস আমিরাতি ব্যবসার জন্য একটি বিশেষ শিল্পপার্ক স্থাপনের বিষয়ে নীতিগত সম্মতি দেন।
অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রীকে বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশকে একটি ‘হালাল পণ্য উৎপাদন কেন্দ্র’ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে, যেখানে কম খরচে শ্রমসুবিধা পাওয়া যাবে।
এরপর আগামী কয়েক মাসের মধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রতিনিধিদল নিয়ে বাংলাদেশ সফর করতে চান বলে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রী।
প্রধান উপদেষ্টার এ সফরে তার সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী ও জ্যেষ্ঠ সচিব লামিয়া মোরশেদ।
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে অংশগ্রহণ শেষে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস।
শুক্রবার দুবাই বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী ড. আহমদ বেলহৌল আল ফালাসি।
৬২ দিন আগে
শাস্তি কমলেও ২ ম্যাচ নিষিদ্ধই থাকছেন ভিনিসিউস
ভ্যালেন্সিয়া গোলরক্ষকের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখার পর এবার আরও বড় শাস্তি পেলেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় উইঙ্গার ভিনিসিউস জুনিয়র। পরবর্তী দুই ম্যাচের জন্য তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন।
লা লিগার ম্যাচে গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভালেন্সিয়া গোলরক্ষক স্তোলে দিমিত্রিয়েভস্কির মুখে আঘাত করায় লাল কার্ড দেখেন ভিনিসিউস। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও জুড বেলিংহ্যামের শেষ মুহূর্তের গোলে ২-১ ব্যবধানে ম্যাচটি জেতে রিয়াল মাদ্রিদ।
এক দিন পর রিয়াল বস কার্লো আনচেলত্তি দাবি করেন, ভিনিসিউসের ওই ঘটনাটি লাল কার্ড পাওয়ার মতো ছিল না এবং তার শাস্তি এড়ানোর ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন এই কোচ।
তবে আইন ভাঙায় সর্বোচ্চ শাস্তির মুখে না পড়লেও ন্যূনতম (২ ম্যাচ) শাস্তি পেতে হচ্ছে ২৪ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে। এই শাস্তি এড়াতে আপিল করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের আপিলের পর শাস্তি না কমিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা কেবল লা লিগার ম্যাচে সীমাবদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) স্প্যানিশ সুপার কাপের ম্যাচে খেলতে আর বাধা থাকছে না ভিনির।
শাস্তির ঘোষণা আসার পর নিজের আচরণ নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন ভিনিসিউস।
সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হতে চলা চার দলের স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে এবার মায়োর্কার মোকাবিলা করবে রিয়াল মাদ্রিদ। আর আজ (বুধবার) রাতে আথলেতিক বিলবাউয়ের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা।
সুপার কাপ থেকে অব্যহতি পাওয়ায় লা লিগায় পরের দুই ম্যাচে ১৯ জানুয়ারি লাস পালমাস ও ২৬ জানুয়ারি রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে তাকে পাবে না রিয়াল মাদ্রিদ।
ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে জয়ের পর লা লিগায় ১৯ ম্যাচে ১৩ জয় ও ৪ ড্রয়ে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে নতুন বছরের শুরুতেই টেবিলের শীর্ষস্থানে বসেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এক ম্যাচ কম খেলে ২ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে রয়েছে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আতলেতিকো মাদ্রিদ। এছাড়া পয়েন্ট খোয়াতে খোয়াতে শীর্ষস্থান হারিয়ে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেমে গেছে হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া বার্সেলোনা।
৯৮ দিন আগে