পিপি
নওগাঁর পিপির বিরুদ্ধে বিচারকদের হুমকি-আদালত অবমাননার অভিযোগ
নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক আবু জাইদ মো. রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে বিচারকদের উদ্দেশ্য অশোভন বক্তব্য, হুমকি ও আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছে।
নওগাঁ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম ওই সরকারি আইন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। আবেদনে নওগাঁ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আরও সাত বিচারক প্রতিস্বাক্ষর করেছেন।
এছাড়া বিচারকদের হুমকি ও আদালত অবমাননাকর বক্তব্য প্রদানের অভিযোগে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এজেডএম রফিকুল আলমকে ১০ দিনের মধ্যে অপসারণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন।
গত রবিবার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কাউন্সিলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলামের সই করা এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে গতকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) পাঠানো ওই লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যার প্রতিবাদে গত ২৭ নভেম্বর নওগাঁ আদালত চত্বরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সমাবেশে পিপি এজেডএম রফিকুল আলম বলেন, বিচারকদের উদ্দেশে বলব, ‘জুডিসিয়ারি কিলিং, ন্যায়বিচারের পরিপন্থী আপনারা অনেক বিচার করেছেন। আমি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিসিয়াল সকল বিচারকদের উদ্দেশে বলব, আপনারা আওয়ামী লীগের সময় নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। আমি এনএসআই, ডিজিএফআই, এসবি, দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদেরকে বলব, আপনারা আমার কথা লিপিবদ্ধ করবেন, সরকারকে জানাবেন।
আরও পড়ুন: সিলেট আদালতে দুই পিপি’র রুমে আইনজীবীদের তালা
তিনি বলেন, নওগাঁতে কিছু বিচারক আছেন, সে সকল বিচারক আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীর ভাগিনা, ভাতিজা। বিচারকরা ভাল ব্যাখ্যা দেন। বদমায়েশী করার জায়গা পান নাই? ছাত্র-জনতা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে খুনি হাসিনা হিন্দুস্তানে পালিয়েছে। আপনাদের পালানোর জায়গা হবে না।
তিনি আরও বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটদেরকে বলব, যদি আপনাদেরকে ঘেরাও করে তার দায়-দায়িত্ব আপনাদেরকে নিতে হবে। বাংলাদেশে চাকরি করবেন, আর আওয়ামী লীগের দালালি করবেন, চাকরি করতে দেবো না, ঘেরাও করা হবে। আগামীতে যদি কোনো সন্ত্রাসী লীগের কোনো কর্মী, কোনো নেতা যে আদালতে সারেন্ডার দিবে, সেই আদালত ঘেরাও করা হবে। বিচারককে আমি নাম ধরে বলতে চাচ্ছি না, এখনি সাবধান হয়ে যান এবং আগামীতে এই রকম কর্মকাণ্ড যদি আপনারা অব্যাহত রাখেন, আপনাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা ও আইনজীবীরা আপনাদেরকে ঘেরাও করবে।’
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পিপি এজেডএম রফিকুল আলম অপ্রাসঙ্গিকভাবে বিচারকদের উদ্দেশ্যে অশোভন বক্তব্য, হুমকি ও আদালত অবমাননাকর বক্তব্য প্রদান করেছেন। তার এ ধরণের বক্তব্যে বিচার বিভাগ ও বিচারকদের ওপর চাপ সৃষ্টির একটি প্রবণতা বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। আদালত চত্বরে বিচারকদের নিয়ে একজন পিপির এ ধরনের বক্তব্য জনসাধরণের মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেসি তথা বিচার বিভাগ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, যা আদালত অবমাননার শামিল। ম্যাজিস্ট্রেটদের আদালত ঘেরাওয়ের হুমকিসহ আদালত অবমাননার বক্তব্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয় লিখিত বক্তব্যে।
অভিযোগের বিষয়ে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এজেডএম রফিকুল আলম বলেন, ‘সেদিন সমাবেশে ওই বক্তব্য একজন আইনজীবী কিংবা পিপি হিসেবে দেই নাই। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সেদিন কথাগুলো বলেছি। ৮ আগস্টের পর ফ্যাসিজমের দোসর হত্যা, মানুষের ওপর অন্যায় জুলুমের অভিযোগে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, কিছু কিছু ম্যাজিস্ট্রেট আইন লঙ্ঘন করে ঢালাওভাবে তাদেরকে জামিন দিচ্ছেন। এতে করে মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে সেদিন বক্তব্যগুলো দিয়েছি। কোনো ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা আদালতকে অবমাননা করে আমি বক্তব্য দেইনি। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর অভিযোগ হয়েছে। সেখান থেকে তলব করা হলে, অবশ্যই আমি আমার বক্তব্য তুলে ধরব।’
আরও পড়ুন: আইসিটিতে হাজির করা হলো সাবেক মন্ত্রী আমু-কামরুলকে
২ সপ্তাহ আগে
বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ: পিপির আইন পেশা পরিচালনার উপর এক মাসের নিষেধাজ্ঞা
বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করায় খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জহিরুল ইসলাম পলাশের আইন পেশা পরিচালনার উপর এক মাসের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুলের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১০ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসলামপুর পৌর মেয়রকে বরখাস্তের আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত
মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে পিপির পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
এর আগে আদালত অবমাননা ও সোশ্যাল মিডিয়াতে বিচারকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হেয় প্রতিপন্নমূলক বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও প্রকাশ করার ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন পিপি জহিরুল ইসলাম পলাশ।
গত ৩ এপ্রিল ভিডিও প্রকাশের ব্যাখ্যা দিতে আইনজীবী জহিরুল ইসলাম পলাশকে তলব করেন হাইকোর্ট। তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ঘটনায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে ওই আদেশ দেন।
জানা গেছে, গত ৩১ মার্চ খুলনা মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক তরিকুল ইসলাম তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা ও হেয় প্রতিপন্নমূলক ভিডিও প্রকাশের অভিযোগ এনে প্রধান বিচারপতি বরাবর একটি চিঠি পাঠান।
চিঠিতে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জহিরুল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনা গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
৭ মাস আগে
তথ্য সুরক্ষায় তথ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে তথ্য সুরক্ষা আইন তথ্য সুরক্ষার জন্য প্রণীত হবে, নিয়ন্ত্রণ করতে নয়।
তিনি বলেছেন, 'একটি আইন যেভাবে পাস হয় সেভাবে আমরা এটি জাতীয় সংসদে নেবো। তার মানে এই নয় যে, এ বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের কথা শোনা হবে না। এটা নিয়ে যখন সেমিনার হয় তখন আমি বলেছিলাম এটি কন্ট্রোল করার জন্য না এটা প্রটেক্ট করার জন্য। সেই নীতি অনুযায়ী ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট হবে।’
আরও পড়ুন: আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের সঙ্কট নিরসন
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের চতুর্থ অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সংসদে তথ্য সুরক্ষা আইনের খসড়া উপস্থাপন করব। এর মানে এই নয় যে স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে পরামর্শ শোনা হবে না।’
এছাড়া সরকার বড়, মাঝারি ও ছোট এই তিন ক্যাটাগরিতে জেলাগুলোকে ভাগ করে সরকারি আইন কর্মকর্তাদের (পিপি ও জিপি) বেতন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ডিসিদের এই কার্য-অধিবেশন হয়।
তিনি বলেন, আগে পিপি ও জিপিদের বেতন ছিল দুই হাজার ও তিন হাজার টাকা। এখন আমরা প্রস্তাব যেটা আছে সেটা হলো ৬৪ জেলাকে তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছি। বড় জেলা, মাঝারি জেলা ও ছোট জেলা। আমরা প্রস্তাব করেছি বড় জেলার যিনি পিপি হবেন, তার বেতন হবে ৫০ হাজার টাকা। মাঝারি জেলার পিপির বেতন হবে ৪৫ হাজার টাকা, ছোট জেলার ৪০ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, সহকারী পিপি, অতিরিক্ত পিপি ও অতিরিক্ত জিপি থাকবেন সেটাও নির্ণয় করা হবে, কী কী কোর্ট আছে সেটার ওপর নির্ভর করে। সেজন্য ২৬৭ কোটি টাকা আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে চেয়েছি, তারা বরাদ্দ দিতে রাজি হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, ‘আমার মনে হয় আগামী নির্বাচনের পর যে সরকারই আসুক না কেন, তারা এটা অবশ্যই বিবেচনা করবেন। কারণ জিপি-পিপিদের দায়িত্ববান হওয়ার জন্য এবং তাদের একটা সম্মানজনক অবস্থানে আনার জন্য এই বেতন কাটামো বদলানো অত্যন্ত প্রয়োজন।’
বহু আগে থেকেই রাজনৈতিক বিবেচনায় জিপি-পিপিদের নিয়োগ দেয়া হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরাই প্রথম পিপিদের বেতন বাড়িয়ে ১৫ হাজার ও ১২ হাজার টাকা করি। সেক্ষেত্রে আমরা একটি বিরাট পদক্ষেপ নিয়েছি। আমি এ ব্যাপারে একটু ধীর গতিতে যাচ্ছিলাম, কারণ আমার টার্গেট ছিল ৫০ হাজার টাকা। কারণ তখন বিজ্ঞ পিপিরা বলেছিলেন, এটাতেই রাজি হয়ে যেতে, তাই তখন আমি রাজি হয়ে গিয়েছিলাম।’
জিপি-পিপিদের বেতন বাড়ানোর কারণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রসিকিউশন সার্ভিস চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছি। তবে সম্পূর্ণ পিপি সার্ভিসটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রসিকিউশন সার্ভিস হবে না। ৩০ শতাংশ থাকবে ফর ডেজিগনেটেড পারপাজেস। বিশেষ বিশেষ কাজে তাদের নিয়োজিত করা হবে।’
‘সেটার নিয়োগ হবে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে। আমি এটা নিয়ে কমিশনের সঙ্গে কথা বলছি আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।'
এটা কি আগামী নির্বাচনের পরে করা হবে কি না- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, 'আমরা চেষ্টা করবো এখনই করার জন্য।’
‘জিপি-পিপিদের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে কিছুটা হলেও তাদের সম্মান রক্ষা ও তাদের কাছ থেকে দায়িত্ব আদায় যথেষ্ট হবে। বলছি না এটাই সবচেয়ে যথেষ্ট, ইট ইজ ভেরি গুড ফার্স্ট স্টেপ’ বলেন আনিসুল হক।
ডিসিদের সঙ্গে অধিবেশনে মামলাজট কমাতে সরকারের উদ্যোগগুলো তুলে ধরেছেন জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি, লিগ্যাল এইড সার্ভিস নিয়ে বলেছি। একটি বিষয় তুলে ধরেছি, সেটা হলো কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউরের কম্পাউন্ডেবল এবং নন কম্পাউন্ডেবল যে ধারাগুলো রয়েছে। কম্পাউন্টেবল ধারায় যে বিজ্ঞ বিচারকরা মামলা করতে আসবেন, তাদের উৎসাহিত করবেন, তারা যাতে আদালতের বাইরেই নিষ্পত্তি করে আসেন। এই নিষ্পত্তির ওপর আদালত যদি একটা অর্ডার দিয়ে দেন তবে সেটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই আইনে যাচাই করে যাতে মামলা নেয়া হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা না হয় সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। এ বিষয়ে বেস্ট প্র্যাকটিসের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের সঙ্গে কথা বলে একটি কমিটিও করে দিয়েছি। যদি প্রয়োজন হয় তবে অবশ্যই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট আমরা সংশোধনও করতে পারি।’
আরও পড়ুন: ন্যায়বিচার ছাড়া মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারেনা: আইনমন্ত্রী
মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
সিনহা হত্যা মামলার রায় ৩১ জানুয়ারি
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হবে ৩১ জানুয়ারি।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
ঘটনার পাঁচ দিন পর ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের নামে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলা: দ্বিতীয় দিনে ১৩ আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক শেষ
সিনহা হত্যা মামলা: তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ
২ বছর আগে
অর্থের বিনিময়ে অন্যের সাজা ভোগ করা মিনুকে মুক্তির নির্দেশ
চট্টগ্রামের একটি হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির পরিবর্তে অর্থের বিনিময়ে সাজাভোগ করা নিরাপরাধ নারী মিনুকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মিনু বর্তমানে চট্টগ্রাম কারাগারে আটক আছেন।
সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে মিনুর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. শিশির মনির। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
নিরাপরাধ জেল কাটা মিনুর পক্ষে আইনী লড়াই করা আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, 'হাইকোর্টে শুনানিকালে আজ আদালত মিনিুকে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র চট্টগ্রামে পৌঁছলেই কারাগার থেকে মিনু মুক্তি পাবেন'।
এর আগে গতকাল শুনানিকালে অর্থের বিনিময়ে বা যেকোনও কৌশলে মূল আসামি নিজেকে বাঁচিয়ে নিরপরাধ ব্যক্তিকে জেলে রাখার ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
আরও পডুন: কারাভোগের পর ভারতে থেকে ফিরলেন নারীসহ ৩ বাংলাদেশি
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম কারাগারের একটি বালাম বই দেখতে গিয়ে মিনুর সাজা খাটার বিষয়টি উঠে আসে। সেখানে দেখা যায়, একজনের পরিবর্তে যাবজ্জীবন সাজা খাটছেন আরেক নারী। পরবর্তীতে বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন চট্টগ্রামের তরুণ আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. নোমান চৌধুরী বলেন, ‘আদালতে সংরক্ষিত ছবি সংবলিত নথিপত্র দেখে কুলসুম আক্তার কুলসুমী আর মিনু এক নয় বলে নিশ্চিত হন জেল সুপার। যেহেতু ইতোমধ্যে এ মামলার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়েছে, তাই মামলার উপ-নথি দ্রুত সময়ের হাইকোর্টে পাঠানো হয়।’
জানা যায়, মোবাইল ফোন নিয়ে বিবাদের জেরে ২০০৬ সালের ৯ জুলাই নগরীর রহমতগঞ্জ এলাকায় পোশাক কারখানার কর্মী কোহিনুর বেগম খুন হন। এ ঘটনায় করা মামলায় ২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার উপজেলার গৌরস্থান মাঝেরপাড়া গ্রামের আনু মিয়ার মেয়ে কুলসুমীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পান কুলসুমী। পরবর্তীতে এ মামলায় বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত এক রায়ে কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একবছরের কারাদণ্ড দেয়। রায়ের দিন কুলসুমী আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তাকে পলাতক দেখিয়ে রায় ঘোষণা করা হয়।
পরবর্তীতে ভাসমান বস্তিতে মিনুকে পায় কুলসুমী। মিনুর স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর তিন সন্তান নিয়ে চট্টগ্রামে ভাসমান বস্তিতে থাকতো সে। এ পরিস্থিতিতে মিনু ও তার সন্তানদের ভরণপোষণ দেয়ার প্রস্তাব দেয় কুলসুমী। বিনিময়ে একদিন আদালতে হাজির হতে হবে বলে জানানো হয় মিনুকে। আদালতে হাজির হলে তার জামিনও করিয়ে আনবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।
মিনু কুলসুমীর কথায় রাজি হয়ে কুলসুমী সেজে ২০১৮ সালের ১২ জুন চট্টগ্রাম আদালতে আত্মসমর্পন করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে মিনু কারাবন্দী। এরপর নিম্ন আদালতের সাজার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন কুলসুমী।
পরে গত ২৩ মার্চ মিনুর নথি হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভুঁঞার আদালত। পরে মামলার নথি হাইকোর্টে এলে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।
৩ বছর আগে
‘কর্তব্য অবহেলায়’ পদ হারালেন বিশেষ পিপি
ঢাকা, ১৭ অক্টোবর (ইউএনবি)- ঢাকা জেলার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জাহাঙ্গীর আলম চোধুরীকে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে সরকার।
৫ বছর আগে