আশঙ্কা
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করায় ট্রাকের অনলাইন স্লট বুকিং নিচ্ছে না ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কারণে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দেশের ব্যবসায়ীরা।
এদিকে সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি আলু ও পেঁয়াজবাহী ট্রাক। শুধুমাত্র আগের অনলাইন স্লট বুকিং থাকায় সকালে আলুবাহী একটি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে।
এছাড়া অনলাইন স্লট বুকিং বন্ধ থাকায় রবিবার সন্ধ্যা থেকে বন্দরের মোকামে কেজিতে ৮-১০ টাকা বেড়ে ৬৪-৬৫ টাকায় পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় আলু। গত শনিবার একই মানের আলু প্রতি কেজি ৫৪-৫৫ টাকায় বিক্রি হয়। তবে সোমবার পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত বাংলাদেশে রপ্তানির অপেক্ষায় প্রায় ৫০-৬০টির মতো আলু ও পেঁয়াজবাহী ট্রাক ভারতের অভ্যন্তরে আটকা পড়েছে। অনলাইন স্লট বুকিং বন্ধ থাকার কারণে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো বাংলাদেশে যেতে পারছে না।
ভারতের হিলির রপ্তানিকারক পাপ্পু আগরওয়াল বলেন, ‘ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার রবিবার সকাল থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি না করার জন্য আলু ও পেঁয়াজবাহী ট্রাকের অনলাইন স্লট বুকিং বন্ধ রাখে। সোমবার অনলাইনে এই দুটি পণ্যবাহী ট্রাকের স্লট বুকিং দেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সার্ভারে ঢোকা যায়নি। আলু ও পেঁয়াজের রপ্তানি স্বাভাবিক রাখতে আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে আবেদনের উদ্যোগ নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: খেজুর আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে মালদা ও বালুঘাট জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মিটিংয়ের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। আগে যেসব আলু ও পেঁয়াজবাহী ট্রাকের স্লট বুকিং নেওয়া হয়েছিল, শুধুমাত্র সেসব ট্রাক গত রবিবার বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই মুহূর্তে আলু ও পেঁয়াজের রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হলে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সহসভাপতি শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি। আমাদের অনেক এলসি করা আছে। আমাদের আলু ও পেঁয়াজ আমদানি করতে সুযোগ দেওয়া হোক। না হলে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব।’
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, ‘দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে আমদানিকারকরা আলু ও পেঁয়াজের আমদানি করছেন। এই দুটি পণ্য বন্দরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে আমরা খালাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি। যাতে আমদানিকারকরা পণ্যগুলো সঠিক সময়ে গন্তব্যে নিতে পারেন। তবে রবিবার শুনেছি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই দুটি পণ্যের রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরকে না জানিয়ে সেখান থেকে অন্য রাজ্যে এবং বাংলাদেশে আলু ও পেঁয়াজ রপ্তানি করা হচ্ছিল। ফলে সেখানে আলুসহ পেঁয়াজের দাম হু হু করে বাড়ছে। এমন অভিযোগ তুলে ধরে গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে আলু ও পেঁয়াজের রপ্তানি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেই বার্তার পরই শুক্রবার (২২ নভেম্বর) নবান্নে বৈঠকে বসে টাস্কফোর্স কমিটি। মুখ্য সচিবের সঙ্গে টাস্কফোর্সের এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ভিন্ন রাজ্যসহ বাংলাদেশে আপাতত আলু ও পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
বিভিন্ন সূত্রে আরও জানা গেছে, হিলি ছাড়াও আরও ৪টি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে যেকোন পণ্য রপ্তানি করার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহন দপ্তর থেকে পণ্যবাহী ট্রাকের জন্য অনলাইনে স্লট বুকিং দিয়ে সিরিয়াল নিতে হয়। সে অনুযায়ী রপ্তানি করা পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে। কিন্তু গত রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রপ্তানি করা আলু ও পেঁয়াজবাহী ট্রাকের স্লট বুকিং বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আমনের ফসলহানীতে সৃষ্ট ঘাটতি ঠেকাতে চাল আমদানি করা হচ্ছে: খাদ্য উপদেষ্টা
৩ সপ্তাহ আগে
উন্নয়ন ব্যয়-বিনিয়োগ স্থবিরতায় অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা পরিকল্পনা উপদেষ্টার
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন কোনো বেসরকারি বিনিয়োগ না থাকা এবং প্রায় স্থবির সরকারি উন্নয়ন ব্যয়ের কারণে দেশ অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, ‘একদিকে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা নতুন বিনিয়োগ করছেন না, অন্যদিকে সরকারি উন্নয়ন ব্যয় বাড়ানো যাচ্ছে না। এর ফলে অর্থনৈতিক মন্দা তৈরি করবে।’
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি মিলনায়তনে একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আরও পড়ুন: প্রকল্পের দুর্নীতি-অনিয়ম রোধে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না এবং সুদের হার অনেক বাড়ানো হয়েছে। ‘ফলে উদ্যোক্তারা নতুন বিনিয়োগের ব্যাপারে কোনো আগ্রহী হচ্ছেন না।’
উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, সরকারের কাছ থেকে ছাড়পত্র পাওয়া প্রকল্পগুলো যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে এই অর্থবছর শেষ পর্যন্ত। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পগুলো ভালো হলে এবং নতুন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করা হলেও আমরা নীতিগত সমন্বয়ের পর্যায়ে আছি।’
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রকল্প বাস্তবায়নের হার ত্বরান্বিত করতে পারব। এটি জরুরি, কারণ অস্থিতিশীলতা, নিরাপত্তাহীনতা এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও শৃঙ্খলাহীনতার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে দেশে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে স্থবির পরিস্থিতি বিরাজ করছে।’
অপচয়, দুর্নীতি ও অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বন্ধ করতে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের হার ৮ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, 'এটা সত্য যে, উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন খুব ধীরগতিতে চলছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার আগে প্রকল্পগুলো যাচাই-বাছাই করবে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন ব্যয়ে পরিমাণের চেয়ে গুণগত মানকে প্রাধান্য দিচ্ছে সরকার: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, যেকোনো নির্বাচনি এলাকার জন্য যেকোনো সময় নতুন প্রকল্প প্রণয়ন করা রাজনৈতিক সরকারের জন্য ভালো সুযোগ।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, 'তবে আমাদের কোনো নির্বাচনি এলাকা নেই, আমাদের সময় কম এবং অবশ্যই আমাদের সেরকম কোনো প্রবণতা নেই, এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।’
তিনি উল্লেখ করেন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও শিক্ষা উন্নয়নে কিছু উদ্ভাবনী, নতুন মাত্রার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনের বিষয়ে আলোচনার জন্য উপদেষ্টা পরিষদ আবার বসবে।
মূল্যস্ফীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে অর্থনীতিতে স্থবির পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন ড. ওয়াহিদউদ্দিন। ‘এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই,’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি কর্মসংস্থানের স্বার্থে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড যেমন গতিশীল হবে, তেমনি নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হওয়ায় অর্থনীতি সচল হবে।
আরও পড়ুন: পরিকল্পনা উপদেষ্টার সঙ্গে ইউনিসেফ, ইউনেস্কো ও ইউএনএফপিএ’র প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
খুব শিগগিরই নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হবে বলেও নিজেদের ভাবনার কথা জানান তিনি।
৩ সপ্তাহ আগে
সিলেট-সুনামগঞ্জে আবারও বন্যার আশঙ্কা
গত কয়েক দিন বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদনদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। তবে জুলাইয়ের শুরুর দিকে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নদীগুলো পানি ফের বেড়ে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বন্যার মধ্যমেয়াদি পূর্বাভাস সম্পর্কিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু দেশের ওপর সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। ফলে, দেশের ভেতরে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা অববাহিকার উজানের কিছু স্থানে বিভিন্ন সময়ে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে মাঝারি থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ‘আগামী দুই দিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এতে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করবে।’
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জের ছাতকে বন্যায় সড়কের ক্ষতি ২২০ কোটি টাকা
৫ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বৃদ্ধি, বন্যার আশঙ্কা
উজানের ঢলে এক সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৮১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (সদর দপ্তর) নাজমুল হোসেন বলেন, বিশেষ করে শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন ফসল পানিতে ডুবে গেছে এবং কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে।
নাজমুল হোসেন আরও বলেন, এ ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আরও ৪/৫ দিন যমুনার পানি বাড়তে পারে ও বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে এবার সিরাজগঞ্জে মাঝারি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগ না নেওয়ার অভিযোগ করেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রকৌশলী নাজমুল হোসেন বলেন, ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
৬ মাস আগে
সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, আরও ৩ জেলায় বন্যার আশঙ্কা
সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। কারণ বুধবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের (এফএফডব্লিউসি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নেত্রকোণা জেলার নদীসংলগ্ন কিছু নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
এতে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: বন্যা মোকাবিলায় সিসিকের হটলাইন নম্বর চালু
মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু-খোয়াই নদী সংশ্লিষ্ট নিম্নাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও রংপুর জেলার দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীসমূহের পানি বাড়তে পারে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগামী ৭২ ঘণ্টা তা অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে।
গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
সুরমা ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছে এফএফডব্লিউসি।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ
৬ মাস আগে
তাপপ্রবাহে মৃত্যু-স্বাস্থ্যহানির ঝুঁকিতে গবাদিপশু, ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা
দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে গবাদিপশুর মৃত্যুসহ মারাত্মক স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা রয়েছে। এর আগে এত লম্বা সময় তাপপ্রবাহ দেখা যায়নি।
তবে দীর্ঘসময় ধরে তীব্র গরমে মানুষের পাশাপাশি ঝুঁকিতে রয়েছে গবাদিপশুও। মৃত্যুসহ মারাত্মক স্বাস্থ্যহানির কারণে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এটি মাঠ পর্যায়ের ভেটেরিনারিয়ান ও প্রাণি বিশেষজ্ঞদের জন্য নতুন একটি অভিজ্ঞতাও। তারা মনে করেন বৈশ্বিক উষ্ণতায় জলবায়ু উপযোগী খামার ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও গবাদি পশু-পাখির জাত নির্বাচন নিয়ে গবেষণা জরুরি হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: পরিবর্তনশীল জলবায়ুর জন্য কাসাভা উপযুক্ত, হেক্টরপ্রতি ফলন ৩৫-৫০ টন: বাকৃবি অধ্যাপক
তীব্র তাপপ্রবাহে গবাদিপশুর উপর কেমন প্রভাব পড়েছে জানতে চাইলে ইউএনবিকে এসব তথ্য জানান দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রাণী বিশেষজ্ঞরা।
চুয়াডাঙ্গার জেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তীব্র গরমে পোল্ট্রিতে সবচেয়ে বেশি হিট স্ট্রোকের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মাঠপর্যায়ে গবাদিপশুর ক্ষেত্রে খাওয়া কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। তাপপ্রবাহ শেষ হলে মাঠপর্যায়ে গবাদিপশুর ক্ষয়ক্ষতি কেমন হয়েছে সেটি জানা যাবে।
এসময় শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কর্ণ চন্দ্র মল্লিকও বলেন, তাপপ্রবাহ শেষ হলে মাঠপর্যায়ের সম্পূর্ণ অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে।
তবে বাকৃবির তিনজন প্রাণী বিশেষজ্ঞ প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সহিদুজ্জামান, প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান ও ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ তাপপ্রবাহে গবাদিপশুর কী পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন এবং ক্ষয়ক্ষতি কমানোর পরামর্শও দিয়েছেন।
অধ্যাপক ড. মো. সহিদুজ্জামান বলেন, উষ্ণ তাপমাত্রায় মশা-মাছিসহ বিভিন্ন রোগ-জীবাণু বহনকারী কীটপতঙ্গের প্রজনন বাড়ে। তবে ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এসব কীটপতঙ্গের প্রজনন বন্ধ হয় এবং মারা যায়।
এ প্রাণি বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতায় শীত প্রধান দেশে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে এসব কীটপতঙ্গ প্রজনন উপযোগী হওয়ায় অনেক কীটপতঙ্গ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হচ্ছে। ফলে পশু-পাখি ও মানুষে পরজীবী আক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।
মুরগির হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে প্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সহিদুজ্জামান বলেন, মুরগির শরীরে পানি স্প্রে না করারই পরামর্শ থাকবে। কারণ এতে মুরগি তার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে বাধাপ্রাপ্ত হবে এবং ঘরের আর্দ্রতা অতিরিক্ত বৃদ্ধির ফলে শ্বাসকষ্টে মুরগি মারা যাবে।
এছাড়া মুরগিকে সকালে ও দিনের উত্তপ্ত সময়ে সার্বক্ষণিক খাবার না দিয়ে বাইরে তাপমাত্রা কিছুটা কমার পর বিকেল থেকে সার্বক্ষণিক খাবার দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
আরেক প্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান ইউএনবিকে বলেন, প্রাণীর জন্য গরমের মধ্যে মানুষের মতো শরীর ঠান্ডা করে খাবার খাওয়ার তেমন সুযোগ নেই। প্রাণীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা রোদের মধ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে, ঘাসসহ নানা রকম খাবার খাচ্ছে। এত গরমে তাদের শরীর পানিশূন্য হয়ে যেতে পারে। ফলে তাদের সম্পূর্ণ কিডনি বা কিডনির একটি অংশ বিকলাঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উচ্চ তাপমাত্রায় গবাদিপশুর মস্তিষ্কে প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে মস্তিষ্কের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী অংশ হাইপোথ্যালামাস ভালোভাবে কাজ না করার আশঙ্কা রয়েছে। তখন শরীরের তাপমাত্রা হয় একদম কমে যাবে না হলে একদম বেড়ে যাবে। এমনকি এ পর্যায়ে গবাদিপশুর হজম ক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন: সুস্থ-সবল জাতি গঠনে ওয়ান হেলথ গুরুত্বপূর্ণ: বাকৃবি উপাচার্য
৭ মাস আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার কমেছে আমের মুকুল, লোকসানের আশঙ্কায় কৃষকরা
বৈরী আবহাওয়া ও আম উৎপাদনের জন্য চলতি বছর অনুকূল না হওয়ায় আমের জেলা খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে গাছগুলোতে মুকুল কম হয়েছে। মাঝারি আকারের আমগাছগুলোতে কিছুটা মুকুলের দেখা মিললেও বড় গাছগুলোতে অশানুরূপ নেই। ফলে লোকসানের চিন্তায় পড়েছেন জেলার আম চাষীরা।
কৃষি বিভাগ বলছে ,চলতি বছর একেতো অফ ইয়ার তার উপর শীতের প্রকোপ বেশি থাকায় গত বছরের তুলোনায় এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের মুকুল কম হয়েছে। তবে তাপমাত্রা বাড়ায় কিছু মুকল আসতে পারে।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক নিয়মেই এক বছর আমের ফলন ভালো হলে পরের বছর ফলন কম হয়। যে বছর আমের ফলন বেশি হয় সেই বছরকে বলা হয় অন ইয়ার। আর পরবর্তি বছরকে বলা হয় অফ ইয়ার। আর এই নিয়মে চলতি বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের অফ ইয়ার। অর্থাৎ আম কম হবার বছর। তার উপর এবার আমের মুকুল ফোটার সময় শীতের প্রকোপ বেশি থাকার কারণে আম গাছে মুকল আসা ব্যাহত হয়েছে। ফলে আম গাছগুলোতে আশানুরূপ মুকুল আসেনি। আর এতেই চিন্তায় পড়েছেন আম চাষীরা।
আরও পড়ুন- জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাচ্ছে ‘খিরসাপাত আম’
নিজেদের উদ্বেগ জানিয়ে কৃষকরা বলছেন, মাঘ মাসের প্রথম থেকে ফাল্গুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত আম গাছে মুকুল আসার সময়। কিন্তু সেই সময়ে শীতের প্রকোপ বেশির কারণে আশানুরূপ মুকুল আসেনি। মুকুল কম আসায় দুশ্চিন্তায় আছেন তারা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার আরামবাগ এলাকার এক আম চাষী আব্দুর রাকিব বলেন, গতবার আমের অন ইয়ার গেছে। গতবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে ব্যাপক মুকুল হয়েছিল এবং আমও ভালো হয়েছিল। এবছর এমনিতেই অফ ইয়ার তার উপর যে সময়টায় মুকুল বের হবে এ সময়টাতে এত শীতের প্রকোপ ছিল। ফলে মুকুলটা পর্যাপ্ত পরিমাণ বের হয়নি।
এর মধ্যে যারা ঠিকমত পরিচর্যা করেছে তাদের কিছু কিছু যেমন আমার গাছে মুকুল মোটামুটি ৫০ শতাংশের উপর হয়েছে। আর যারা পরিচর্যা করতে একটু গড়িমসি করেছে তাদের মুকুল অতিরিক্ত কম হয়েছে এবং বড় গাছগুলোতে মুকুলের পরিমাণ খুবই কম বলে জানান তিনি।
রাকিব আরও বলেন, মাঝারি আকারের যে গাছগুলোতে মুকুল হালকা হালকা হয়েছে। আর পুরো জেলাতেই মুকুলটা এবার কম। যে পরিমাণ মুকুল বের হয়েছে এতে যদি আম হয় তাতে আমরা তেমন লাভের আশা করতে পারছি না, কারণ খরচ বেশি। এখন মুকুল আসার সময় শেষ হয়ে গেছে এবং গাছে কচি পাতা বের হচ্ছে। তারপরও যে মুকুল এসেছে সামনে আবার ঝড় বৃষ্টি কত রকমের বালা আসতে পারে। এখন সেটা আল্লাহর উপর ভরসা করছি যদি আমটা হয় যাদের মোটামুটি মুকুল এসেছে তারা হয়তো জানে বাঁচবে, আর যাদের অনেক কম এসেছে তারা তো ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
একই এলাকার অপর এক আম চাষী মোহাম্মদ আলম বলেন, এবার মুকুলের খবর খুব খারাপ। কারণ গত বছর অনেক মুকুল হয়েছিল আমও অনেক হয়েছিল। কিন্তু এবার মুকুলের অবস্থা খারাপ, অনেক কম মুকুল এসেছে। যে সময়ে মুকুলটা বের হবে ওই সময়ে শীতটা বেশি ছিল। এ কারণে মুকুলটা খুব কম। কিছু ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে মুকুল এলেও বড় গাছগুলোতে তেমন মুকুল আসেনি। এখন গাছে কচি পাতা বের হতে শুরু করেছে। মুকুল আসার আর আশা নাই।
আরও পড়ুন- জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশের ‘খিরসাপাত আম’
৯ মাস আগে
দেশে কোনো রকমের কূটনৈতিক সমস্যার আশঙ্কা নেই: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, নির্বাচনের পরে দেশে কোনো রকমের কূটনৈতিক সমস্যার আশঙ্কা নেই।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে দেশে একটা কূটনৈতিক সংকট ছিল, নির্বাচনের পর কূটনীতিকরা মন্ত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্ররা আলাদা থাকলে বিরোধী দলে প্রাধান্য পাবে জাতীয় পার্টি: আইনমন্ত্রী
কূটনৈতিক সংকট কি কেটে গেছে- এমন প্রশ্নেন জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি কূটনৈতিক সংকট বলব না, আমার মনে হয়, আপনাদের মনে একটা দুশ্চিন্তা ছিল। আমি সেটাই বলব একটা কূটনৈতিক সংকট হতে পারে। অবশ্যই আপনারা দেখেছেন নির্বাচনের পরে সে রকম কোনো কূটনৈতিক সমস্যার আশঙ্কা নেই।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আইনের যেসব সমস্যা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদের যেসব উন্নয়ন অংশীদার আছে, সেসব উন্নয়ন অংশীজনদের সঙ্গে আইনের প্রয়োগ, আইনের ধারাগুলোর স্পষ্টিকরণ এগুলো সব সময়ই প্রয়োজন হয়। সেসব সমস্যা ও আইনের যে অবকাঠামো সেটা অনেক দিন আগে থেকেই প্রায় এক।
তিনি বলেন, ‘আইনে যেসব পরিবর্তন ভারতে হয়েছে, সেসব পরিবর্তন আমাদের দেশেও সম্ভাবনা আছে কি না এবং আমাদের দেশে আইনে যেসব পরিবর্তন করেছি সেগুলো ভারতে সম্ভাবনা আছে কি না, সে বিষয়ে আমরা সব সময় আলাপ করে থাকি। আজকেও আলাপ করেছি।’
আইনমন্ত্রী বলেন, আজকে বিশেষ একটি বিষয়ে আলাপ করেছি, সেটা হলো, ভারতের ভূপালে একটা ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের ১২০৬ জুডিসিয়াল অফিসার ট্রেনিং নিচ্ছেন। প্রায় দুই হাজার ট্রেনিং নেবেন। আমরা দেশে একটা ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি করতে যাচ্ছি। সেখানে ভারতের অভিজ্ঞতা আমাদের প্রয়োজন হবে। এসব বিষয় নিয়েই আলাপ-আলোচনা করেছি। আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কারণে সংসদ সদস্যের সংখ্যা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
দ্রুত ন্যায়বিচার করে জনদুর্ভোগ কমানোর আহ্বান আইনমন্ত্রীর
১১ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে যমুনায় বাড়ছে পানি, বন্যার আশঙ্কা
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেইসাথে নদী তীরবর্তী আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি ২৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
মঙ্গলবার(২৬ সেপ্টেম্বর) সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত মাসের শেষ দিকে যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে যমুনার তীরবর্তী শাহজাদপুর, বেলকুচি, কাজিপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘরের চাল ছুঁই ছুঁই পানি তবু পিপাসার্ত কুড়িগ্রামের বন্যাকবলিতরা
এসব উপজেলার অনেক স্থানে তীব্র নদীভাঙ্গনেও অনেক স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিকে যমুনার পানি কমতে থাকলেও তৃতীয় দফায় কয়েকদিন ধরে পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে যমুনা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত ২৪ ঘন্টায় কাজিপুর পয়েন্টে ২৯ সেন্টিমিটার ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ২৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও ৪ থেকে ৫ দিন যমুনার পানি বাড়তে পারে এবং পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
শাহজাদপুর, এনায়েতপুর ও বিশেষ করে চৌহালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় এখনো ৭০০০ পরিবার পানিবন্দি
১ বছর আগে
সরকার পদত্যাগ না করলে দেশে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন ফখরুল
সরকার পদত্যাগ না করলে দেশে সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বুধবার অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘দয়া করে পদত্যাগ করুন। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পদক্ষেপ নিন, যাতে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সরকার নির্বাচন করতে পারে।’
আরও পড়ুন: সরকার পতনে ছোট-বড় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এম এম নাসির উদ্দিনের রায় নিয়ে জুডিশিয়াল ক্যাডার সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া বক্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানান ফখরুল।
তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের বক্তব্য অপ্রত্যাশিত ও নিরপেক্ষতার নীতির পরিপন্থী। বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে যে বিচার ব্যবস্থার সব স্তরের বিচারকদের বিতর্কিত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।’
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘এটা প্রমাণিত হয়েছে। আমরা অতীতে পরপর দুটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি এবং তাদের নেতৃত্বে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করা যাবে না, এতে কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়, জনগণকে ভোটকেন্দ্রে অবাধে তাদের ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব: ফখরুল
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা বলেন, ‘ইইউ কয়েক সপ্তাহ আগে দেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি দল পাঠিয়েছিল। ইইউ পর্যবেক্ষণ দল সমস্ত রাজনৈতিক দলের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বিশদভাবে আলোচনা করেছে।’
ফখরুল বলেন, ‘তাদের বার্তা দ্ব্যর্থহীন, দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অনুকূল পরিবেশ নেই, তাই এখানে পর্যবেক্ষক দল মোতায়েন করা সম্ভব নয়।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, গ্রেপ্তার, আইনি পদক্ষেপ, শারীরিক নির্যাতনসহ অসংখ্য উসকানির সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও বিএনপি তাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ এবার আর পার পাবে না: ফখরুল
মির্জা ফখরুলকে ঢাকায় ঢুকতে না দেওয়ার বিষয়ে ডিএসসিসি মেয়রের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, শেখ ফজলে নূর তাপসের কথায় যে মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে তা উদ্বেগজনক।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বুধবার ঘোষণা দিয়েছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঢাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
১ বছর আগে