চাষ
উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের আলু চাষের আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
আলুর উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের আলুর চাষ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে চাষাবাদে থাকা বর্তমান জাতগুলো অনেক পুরোনো হয়ে গেছে ও ফলন কম। তাছাড়া বর্তমানে সরিষা, ভুট্টা ও বোরো আবাদ বৃদ্ধির কারণে আলুর আবাদ কম হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এফএওর আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দিতে কলম্বো গেলেন কৃষিমন্ত্রী
রবিবার (১৭ মার্চ) বিকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পারেরটং গ্রামে বিএডিসি আলু-১ বা সানশাইন জাতের আলুর মাঠ পরিদর্শন ও চাষিদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আলুর আবাদ কমে যাওয়ার ফলে বর্তমানে আলুতে কিছুটা ঘাটতি হচ্ছে। এই অবস্থায়, নতুন উচ্চ ফলনশীল জাতগুলো দিয়ে কম ফলনশীল জাতগুলো রিপ্লেস করতে পারলে কম জমিতেও আমাদের প্রয়োজনীয় আলু উৎপাদন করা যাবে এবং রপ্তানি করাও সম্ভব হবে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আলু বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ফসল। বাংলাদেশে ৪ দশমিক ৫৬ লাখ হেক্টর জমিতে মোট ১ কোটি ৪ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়। ফলন গড়ে হেক্টরপ্রতি প্রায় ২৩ টন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, সদস্য পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক উম্মে ফারজানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব।
আরও পড়ুন: মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে: কৃষিমন্ত্রী
ফসলি জমি রক্ষা এবং মজুতদারি রোধে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চান কৃষিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
নওগাঁয় রঙিন ফুলকপি চাষে সফলতা
নওগাঁয় রঙিন (বেগুনি ও হলুদ) ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক জালাল হোসেন।
সদর উপজেলার হাপানিয়া ইউনিয়নের কসবা গ্রামে বাড়ির পাশে এই কৃষক ১২ শতক জমিতে চাষ করেছেন রঙিন ফুলকপি। বাহারি রঙের ফুলকপি চাষ করে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছেন তিনি।
প্রতিদিনই হলুদ, বেগুনি রঙের ফুলকপি দেখতে ও কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। আকারে বড় এবং দামেও বেশি এসব ফুলকপি থেকে লাভের মুখ দেখছেন তিনি।
কৃষক জালাল হোসেন বলেন, গত বছর তিনি নওগাঁর স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা ‘মৌসুমী’ থেকে কৃষি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণে ভিডিও ফুটেজে রঙিন ফুলকপি চাষ দেখে সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সংস্থাটির কারিগরি সহযোগীতায় প্রথমবারের মতো এক হাজার চারা এনে জমিতে রোপণ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন জমিতে ফুলকপি চাষ করি, তখন অনেকেই বলছিলেন এই ফুলকপি এই এলাকায় ভালো হবে না। খেতে যদি খারাপ লাগে তখন কে নেবে?’
আরও পড়ুন: উচ্চ ফলনশীল গাজরের জাত উদ্ভাবন, হেক্টরপ্রতি ফলন ৩০ টন
জালাল বলেন, ‘তাদের কথায় ভেঙে পড়িনি। আমার মনে জোর ছিল যে বাজারে বিক্রি করতে পারব। সেই আশায় চাষ করে বেশ সাড়া পেয়েছি এবং আর্থিকভাবেও সফল হয়েছি। ১২ শতক জমিতে দুই রকমের ফুলকপি চাষ করেছি। খরচ হয়েছে প্রায় ৮ হাজার টাকা। প্রতি পিচ কপি ৪০-৫০টাকা দামে বিক্রি করছি। এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকার মতো কপি বিক্রি করেছি।’
তিনি বলেন, ‘জমিতে যে পরিমাণ ফুলকপি আছে, তা বর্তমান বাজার দরে আরও ২৫ হাজার টাকা বিক্রি করা যাবে। ৮ হাজার টাকা খরচ করে ৪৫ হাজার টাকার রঙিন ফুলকপি বিক্রি করতে পারব। আমার জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ দেখে এলাকার কৃষকরা বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। আগামী বছর অনেকেই বাহারি রঙের ফুলকপি চাষ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বাহারি রঙের ফুলকপি চীনে খাওয়া হয় সালাদ হিসেবে। সাদা ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপির পুষ্টিগুণ বেশি। বাজারেও চাহিদা বেশি। দেখতে সুন্দর এ কপি আধাসিদ্ধ করেই খাওয়া যায়। কম খরচ ও কম পরিশ্রমে চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব।
এক্ষেত্রে জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের বদলে ব্যবহার করা হয়েছে জৈব সার ও ফেরোমন ফাঁদ। চারা রোপণের ৭০-৮০ দিনের মধ্যেই কপি বিক্রি করা যায়। একেকটি কপির ওজন হয় প্রায় দুই কেজি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে সরিষার আবাদ বেশি হওয়ায় মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌয়ালরা
কসবা গ্রামে রঙিন ফুলকপি দেখতে ও কিনতে আসেন একই গ্রামের মোখলেছুর, আসাদুজ্জামান, সেলিনা ও মোরশেদা। তারা বলেন, ‘প্রথমবার এমন বাহারি রঙের ফুলকপি দেখলাম। জালাল ভাইয়ের কাছ থেকে হলুদ ও বেগুনি রঙয়ের ফুলকপি কিনলাম। বাহারি রঙের ফুলকপি দেখতেও বেশ ভালো লাগছে।’
মৌসুমী’র কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান আরিফ বলেন, ‘উচ্চ ফলনশীল ও উচ্চমূল্যের নতুন ফসলজাত প্রচলন প্রদর্শনীর আওতায় হলুদ রঙের ভ্যালেন্টিনা এবং বেগুনি রঙের ক্যারেটিনা জাতের এ ফুলকপি পরীক্ষামূলক প্রদর্শনী হয়েছে। সফলতা আসায় আগামীতে এ অঞ্চলে সবজিটি ব্যাপকভাবে চাষাবাদ করানো হবে। কৃষক জালাল হোসেনের মাধ্যমে এ বাহারি ফুলকপির আবাদ করানো হয়। নওগাঁয় এটাই প্রথম রঙিন জাতের ফুলকপি চাষ।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার জানা মতে নওগাঁয় প্রথমবার জালাল হোসেন বাহারি রঙের ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন। যা এলাকার অন্য কৃষকদের মাঝে বেশ আগ্রহ তৈরি করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রঙিন ফুলকপিতে ভিটামিন এ সি কে, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, এন্টিঅক্সিডেন্টসহ মানবদেহে উপকারী বিভিন্ন উপাদান আছে। সাধারণ ফুলকপি যেখানে ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হয়; সেখানে এটি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। আশা করা যাচ্ছে, আগামীতে রঙিন ফুলকপি চাষ অনেকটাই বাড়বে।’
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ফুলকপি ও বাঁধাকপির বাম্পার ফলন
৯ মাস আগে
চাকরির পেছনে না ছুটে কমলা চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে কুড়িগ্রামের যুবক
কুড়িগ্রামে চায়না ঝুড়ি জাতের কমলা চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন মো. আবু রায়হান ফারুক।
ফারুক কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের কাজী মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে।
বর্তমানে দুই বিঘা জমিতে রয়েছে শতাধিক কমলা গাছ। গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে কমলা। চারা লাগানোর মাত্র দেড় বছরে গাছে কমলা আসতে শুরু করে। বর্তমান তার বাগানের বয়স আড়াই বছর।
এ বছর তিনি বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ শুরু করছেন। আর মাত্র ২০দিন পর বাগান থেকে প্রায় ১৫-২০ মণ কমলা বিক্রি করার আশা করছেন তিনি। যা বর্তমান কমলার বাজার মূল্যে প্রায় ৮০ হাজার টাকা। ফলে উৎপাদন ব্যয় বাদে দ্বিগুণ লাভ হবে বলে জানান তিনি।
সরেজমিনে জানা যায়, আবু রায়হান ফারুক পড়াশোনা শেষ করে আত্মকর্মসংস্থানের জন্য কৃষিখাত বেছে নেন। বাবার জমিতে শুরু করেন সমন্বিত ফলের চাষ। প্রায় ৬ একর জমিতে রয়েছে দেশি-বিদেশি নানান জাতের ফলের গাছ। আম, মাল্টা, আঙুর চাষের পাশাপাশি কমলা চাষের উদ্যোগ নেন।
প্রথমে বগুড়া শহর থেকে একটি চায়না ঝুড়ি কমলা জাতের গাছ সংগ্রহ করেন তিনি। একটি গাছ থেকে কলম পদ্ধতি ব্যবহার করে দুই বিঘা জমিতে ১০০ কমলা গাছ রোপণ করেন। কলম করা গাছের চারা থেকে দেড় বছরের মধ্যে কমলা পেতে শুরু করেন। বর্তমানে তিনি বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষের স্বপ্ন বুনছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ১৪০ একর জমিতে হচ্ছে কৃষিবান্ধব বাণিজ্যিক সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র
১১ মাস আগে
পাটের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার অভিযোগ, চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা
মাগুরা জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পাটের দাম কমে গেছে। পাটচাষিরা বলছেন, সিন্ডিকেটদের প্রভাবে কমে গেছে পাটের দাম।
ফলে হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা। অনেকে আগামী বছর পাট না চাষ করার সিদ্ধান্তের কথা জানাচ্ছেন।
প্রতি মণ পাট ১ হাজার ৮০০ থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাতে করে খরচ উঠছে না চাষিদের।
আরও পড়ুন: পানির জন্য হাহাকার, গাইবান্ধায় পাটচাষিরা বিপাকে
স্থানীয় পাট ব্যবসায়ীরা বলছেন, মহাজনরা কমমূল্য দিচ্ছে, তাই আমরাও কমমূল্যে ক্রয় করছি। এদিকে পাটচাষিরা বলছেন, সিন্ডিকেটদের প্রভাবে কমে গেছে পাটের দাম।
মাগুরা জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শালিখা উপজেলা সদর আড়পাড়ায় প্রতি শনি ও বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাটচাষিরা পাট বিক্রি করতে আসেন। তবে কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পেয়ে অনেকেই পাট ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।
অনেকে আবার অর্থের প্রয়োজনে বাধ্যহয়েই স্বল্প মূল্যে বিক্রি করে উঠাচ্ছেন পাটচাষের খরচ। তবে প্রত্যাশিত মূল্য না পাওয়ায় উৎসাহ হারাচ্ছেন তারা।
আড়পাডা ইউনিয়নের দিঘী গ্রামের পাটচাষি অছিউদ্দিন মোল্যা বলেন, এ বছর দুই একর জমিতে পাট বুনেছি। পাট বুনা থেকে শুরু করে ধোয়া ও শুকানো পর্যন্ত যে খরচ হয়েছে, মণ প্রতি ২ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করলে সেই খরচ উঠবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পাটের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকরা হতাশ
বরইচারা গ্রামের পাটচাষি উৎপল বিশ্বাস বলেন, এভাবে পাটের দাম কমে যাবে আগে জানলে পাট বুনতাম না। প্রতি হাটে পাটের দাম মণ প্রতি দুইশ’ টাকা কমে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন পাটচাষিরা।
পাটের দাম কম থাকায় হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের পাট যেন হয়ে উঠেছে কৃষকের গলার কাঁটা। না পারছেন ফেলতে, না পারছেন ভালো দামে বিক্রি করতে।
ফলে অনেকেই আগামী বছর পাটচাষ থেকে বিরত থাকবেন বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
১ বছর আগে
শেষ মৌসুমে ‘গৌড়মতি’ আম চাষে মামা-ভাগ্নের সাফল্য
আমের মৌসুম প্রায় শেষ। তবে অসময়ে গৌড়মতি জাতের আম চাষ করে মামা-ভাগ্নে চমক সৃষ্টি করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায়। এই ব্যতিক্রমী চমকে অবাক হয়েছে এলাকাবাসী। মামা-ভাগ্নে আশা করছেন এ মৌসুমে প্রায় ৪০ লাখ টাকার আম বিক্রি করতে পারবেন তারা।
বিভিন্ন জাতের আমের জোগান যখন শেষ হয়, ঠিক তখনই নতুন এক আমের আগমন ঘটে এই মৌসুমে। আর সেটি হলো সুস্বাদু রসালো গৌড়মতি আম। সাধারণ আমসহ উন্নত জাতের বিভিন্ন আম যখন প্রায় শেষ, ঠিক তখনই পাকতে শুরু করে এই গৌড়মতি।
রসালো আর সুস্বাদু নাবি জাতের এই আম চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার দক্ষিণ বনগাঁও এলাকার মহব্বত আলী ও বুলবুল নামে দুই চাষি। শুধু স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নই দেখছেন না, এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন এই দুই মামা-ভাগ্নে।
চার বছর আগে ১৪ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে মামা মহব্বত আলী ভাগ্নে বুলবুলকে সঙ্গে নিয়ে ১ হাজার চারা রোপণ করে পরিচর্যা শুরু করেন।
আরও পড়ুন: চলতি বছর ২৭০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
সরেজমিনে দেখা গেছে, অসময়ে থোকায় থোকায় গাছে ঝুলছে শতভাগ বিষমুক্ত রসালো ও সুস্বাদু গৌড়মতি আম। শতভাগ নিরাপদ রাখতে প্রতিটি আমে করা হয়েছে ব্যাগিং। মামা-ভাগ্নের হাতের নিবিড় ছোঁয়ায় দৃষ্টি কাড়ছে এলাকাবাসীসহ বাগান দেখতে আসা অনেক দর্শনার্থীদের। বাগান ঘুরে অনুমান করে দেখা গেছে, ১ হাজার গাছে আম এসেছে প্রায় সাড়ে ৪০০ মণ আম।
নাবি জাতের এই আম উপজেলায় ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে। বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে প্রচুর। এই আমের প্রতিটির ওজন ৬৫০ থেকে ৮০০ গ্রাম। বর্তমানে এই গৌড়মতি আম ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা মণ দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গৌড়মতি আমের সাফল্য দেখে অনেকেই এ বাগান করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, বাংলার প্রাচীন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনপদের নাম থেকে ‘গৌড়’ আর মূল্য বিবেচনায় রত্নের সঙ্গে তুলনা করে ‘মতি’ শব্দের সমন্বয়ে ২০১৩ সালে নতুন জাতের এই আমের নামকরণ করা হয়েছিল ‘গৌড়মতি’। এ আম আকারে বড় হলেও এর আঁটি ছোট এবং আঁশ পাতলা।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় হলুদ তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে, বিঘাপ্রতি লাভ লাখ টাকা
কৃষক মহব্বত আলী বলেন, চার বছর আগে ১৪ বিঘা জমিতে ১ হাজার গৌড়মতি আমের গাছ লাগিয়েছি। গত বছর থেকেই গাছে আম আসতে শুরু করেছে। গত বছর গাছের পরিপক্বতার কথা ভেবে গাছে আম নেওয়া হয়নি। তবে এ বছর ব্যাপক ফলন হয়েছে। আশা করছি ৪০ লাখ টাকার বেশি আম বিক্রি করতে পারব। যত দিন যাবে গাছ আরও বড় হবে, আমের ফলনও বাড়বে।
রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, এটি নাবি জাতের আম। সারাদেশের আমের জোগান যখন শেষ হয়, তখনই পাকতে শুরু করে এই গৌড়মতি। এই আম অত্যন্ত সুস্বাদু। আর যেহেতু সব আমের শেষে পাকে এই আম তাই দামও বেশ ভালো পান চাষিরা।
কোনো কৃষক যদি গৌড়মতি আমের বাগান করতে চায় তাহলে কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার হবে বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
‘শাম্মাম’ চাষে সফল ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক মণ্ডল
দেশের উত্তরের কৃষিতে স্বনির্ভর জেলা ঠাকুরগাঁও। এ জেলার আবহাওয়া অন্য জেলার তুলনায় আলাদা বলে প্রায় সব ধরনের শস্য, সবজি ও ফলের আবাদ হয় এখানে।
এছাড়া এখানকার উৎপাদিত খাদ্য শস্য ও সবজিসহ নানা রকম ফলের গুণগত মানও যথেষ্ট ভালো।
এবার মধ্যপ্রাচ্যের ফল শাম্মাম চাষে নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক মণ্ডল ইসলাম।
কৃষক মণ্ডল ইসলাম জানান, ইউটিউবে ভিডিও দেখে শাম্মাম চাষ শুরু করেন তিনি। এটির চাহিদা ও বাজার মূল্য ভালো। মূলত লাভের আশায় তিনি এই ফলটি চাষ শুরু করেন। তিন বিঘা জমিতে এক লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ করে পাঁচ লাখ টাকা আয়ের আশা করেছেন।
তিনি আরও জানান, আগে ঢাকার কারওয়ান বাজারে নিয়ে ‘শাম্মাম’ বিক্রি করতেন, এখন খেত থেকেই পাইকার এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
মণ্ডল ইসলামের খেত থেকে ‘শাম্মাম’ কিনতে আসা পাইকার মইদুল বলেন, এ বছর প্রথমবার আমি শাম্মাম ফলের ব্যবসায় যুক্ত হয়েছি। এখনও স্থানীয়ভাবে এই ফলের বাজার তৈরি হয়নি। তবে নতুন এই ফলটি ঢাকার বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। শাম্মাম বা রকমেলন ফলটি সর্বনিম্ন ৫০০ গ্রাম থেকে চার কেজি পর্যন্ত ওজন হয়। ফলটি প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয় বাজারে। আমি ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে খেত থেকে এই ফলটি কিনেছি।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ সিরাজুল ইসলাম জানান, কৃষকরা এই ফলটির চাষ সম্প্রসারণ করলে তারা যেমন অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন, অন্যদিকে পুষ্টির চাহিদাও পুরণ হবে। বাজারেও যুক্ত হবে এই নতুন ফলটির। আমাদের দেশে এটি নতুন হলেও সুপারশপ গুলোতে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সদর উপজেলার এক কৃষক এর আগেও ‘শাম্মাম’ চাষ করে ভালো মূল্য ও সাড়া পেয়েছেন। ঠাকুরগাঁওয়ের আবহাওয়া ‘শাম্মাম’ চাষে উপযোগী।
এছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কৃষকদের এই বিষয়ে যথাযথ সহায়তা প্রদান করা হবে বলেও জানান এই কৃষিবিদ।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে চিয়া সিড
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে জনপ্রিয় একটি ফলের নাম ‘শাম্মাম।’ অনেকেই এই ফলটিকে ‘রকমেলন’ নামেও চেনেন।
ইউটিউবে দেখে এই শাম্মাম ফলটি বাংলাদেশের মাটিতে চাষ করে সফল হয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের মণ্ডল ইসলাম।
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা এই মণ্ডল ইসলাম।
পীরগঞ্জের তেঁতুলতলা এলাকায় ভাতারমারি ফার্মের পশ্চিম পাশে ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ৩ বিঘা জমি লিজ নিয়ে ‘শাম্মাম’ ফলটির চাষ শুরু করেন তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রমতে, ঠাকুরগাঁও জেলায় এবার দ্বিতীয় বারের মতো ‘শাম্মাম’ চাষ করা হচ্ছে। এর আগে গতবছর সদর উপজেলার রাহুল রায় নামে এক কৃষক প্রথম শাম্মাম চাষ শুরু করেন।
এছাড়া এবার জেলায় মোট দুই একর জমিতে ‘শাম্মাম’ চাষ করা হচ্ছে।
‘শাম্মাম’ নামের এই ফলটির চাষ সচরাচর ঠাকুরগাঁও জেলায় করতে দেখা যায় না। এই ফলটি চাষ করতে খরচ একটু বেশি হয়। মাটির উপরে মালচিং বিছিয়ে ‘শাম্মাম’ ফলের চারা রোপণ করা হয়।
আর ছিদ্রকরা মালচিং এর ফাঁকা দিয়ে গজিয়ে উঠে ‘শাম্মাম’ ফলের গাছ। চারা রোপণের মাত্র ৬০-৭০ দিনের মধ্যে ‘রকমেলন বা শাম্মাম’ ফল কর্তন (হারভেস্ট) করে বাজারে নেওয়া যায়।
আরও পড়ুন: প্রথমবার বোরো চাষের আওতায় ২০০ বিঘা জমি
১ বছর আগে
প্রথমবার বোরো চাষের আওতায় ২০০ বিঘা জমি
বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের চরগাছিয়া গ্রামের একটি মাঠে ২০০ বিঘা জমি প্রথমবারের মতো বোরো চাষের আওতায় এসেছে। আগের বছরগুলোতে এই সময়ে পতিত থাকত।
এ বছর মাঠজুড়ে চাষ করা হয়েছে ব্রিধান ৬৭, ৭৪, ৮৯, ৯২, ৯৯ ও বঙ্গবন্ধু ধান ১০০। নমুনা শস্য কর্তনে রেকর্ড ফলন পাওয়া গেছে।
প্রতি বিঘাতে ব্রিধান ৮৯ হয়েছে ৩৭ মণ, ব্রি৬৭ হয়েছে ২৮ মণ, ব্রি৭৪ পাওয়া গেছে ২৮ মণ, ব্রি৯৯ হয়েছে ২৮ মণ ও ব্রি৯২ হয়েছে ৩৩ মণ।
বুধবার দুপুরে নমুনা শস্য কর্তনে এই রেকর্ড ফলন পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: হাওরে ৭০ ভাগ বোরো ধান কাটা হয়ে গেছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্যোগে এবং উপকূলীয় শস্য নিবিড়িকরণ কর্মসূচি’র আওতায় এই ২০০ বিঘা (২৭ হেক্টর) জমিতে ব্রি ধান৬৭, ব্রি ধান৭৪, ব্রি ধান৮৯, ব্রি ধান৯২, ব্রি ধান৯৭ ও ব্রি ধান৯৯ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে।
৩০০ জন কৃষককে বীজ, সেচ, সারসহ সকল উপকরণ বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে। খাল থেকে পানি এনে সেচ সুবিধা দেয়া হয়েছে৷ প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
নমুনা কর্তন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান মো. মনিরুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বরিশালের অতিরিক্ত পরিচালক শওকত ওসমান, ব্রি বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের কাজী শিরিন আখতার জাহান, বরগুনার উপপরিচালক সৈয়দ জোবায়দুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর বলেন, ধানের অবিশ্বাস্য ফলন হয়েছে। দেশের আর কোথাও বিঘাতে ৩৬ মণ ফলন পাইনি। অথচ উপকূলীয় এলাকার এরকম জমি পতিত থাকে, যা আমাদের জন্য বিরাট ক্ষতির।
তিনি বলেন, এবছর সম্ভাবনাময় পাঁচ থেকে ছয়টা জাত চাষ করেছি। যেগুলোর ফলন তুলনামূলক বেশি পাওয়া যাবে, আগামী বছর সেটির চাষ করা হবে।
এতো ফলন পাওয়ায় কৃষকেরা খুবই খুশি।
আরও পড়ুন: সাড়ে ১৬ লাখ টন বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ করবে সরকার
তারা জানান, সামনের দিনগুলোতে ধান চাষ চালু রাখবেন।
পানির সমস্যার কথা তুলে তারা আরও জানান, পানি পেলে এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখবেন না।
উল্লেখ্য, দেশের প্রায় ২৫ শতাংশ এলাকা হচ্ছে উপকূলীয় এলাকা। বরিশাল অঞ্চলে বিশেষত বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও বরিশাল জেলায় শুকনো মওসুমে অনেক জমি পতিত থাকে।
লবণাক্ততার কারণে বেশিরভাগ এলাকায় সারা বছরে একটি ফসল হয়। আমন ধান তোলার পর বছরের বাকি সময়টা মাঠের পর মাঠ জমি অলস পড়ে থাকে।
এছাড়া লবণ পানির ভয়াবহতার কারণে প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে উপকূলীয় এলাকায় পাঁচ লাখ হেক্টর জমি অনাবাদি থেকে যায়।
এর একটি কারণ হচ্ছে সেচ সুবিধার অভাব। যদিও এই অঞ্চলে বড় বড় নদী যেমন তেতুলিয়া, বলেশ্বর, বিষখালী, পায়রা, কীর্তনখোলাসহ বিভিন্ন নদীতে মিষ্টি পানির অনেক প্রাপ্যতা রয়েছে।
সেজন্য, সেচ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে ‘উপকূলীয় শস্য নিবিড়িকরণ’ নামে একটি কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এই কর্মসূচি’র মাধ্যমে বোরো ২০২২-২৩ মওসুমে বরিশাল অঞ্চলে প্রায় ৩৫০০ বিঘা (৪৭০ হেক্টর) জমিতে ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল যেমন ব্রি ধান৭৪, ব্রি ধান৮৯ ও ব্রি ধান৯২ এবং লবণসহনশীল জাত যেমন ব্রি ধান৬৭, ব্রি ধান৯৭ ও ব্রি ধান ৯৯ জাতের ব্লক প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে এই বছর বরগুনা সদর উপজেলায় ৩০০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ৫০০ হেক্টর বেশি।
আরও পড়ুন: তাহিরপুরে বোরো খেতে ভয়াবহ ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণ, কৃষকেরা দিশেহারা
১ বছর আগে
পঞ্চগড়ে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে চিয়া সিড
পঞ্চগড়ে বাণিজ্যিকভিত্তিতে চাষ শুরু হয়েছে সুপারফুড হিসেবে খ্যাত চিয়া সিড। গত বছর কয়েকজন কৃষক এখানে পরীক্ষামূলকভাবে চিয়ার চাষ করেছিলেন। কম খরচে ভালো ফলন এবং ভালো দাম পাওয়ায় এবার বাণিজ্যিকভিত্তিতে এর চাষাবাদ শুরু করেছেন। বাম্পার ফলন হয়েছে এবার।
স্থানীয় পর্যায়ে, দেশের বিভিন্ন শপে ও অনলাইনে প্রতি কেজি চিয়া সিড এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করে থাকে। আমদানি নির্ভর এই বিদেশি ফসলের দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব বলে মনে করছেন কৃষকসহ সংশ্লিষ্টরা।
জেলার সদর উপজেলার গরিনাবাড়ী ইউনিয়নের চারখোরা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার আমিনার রহমান আমিন, আব্দুস সাত্তার, নিরেশ চন্দ্র এবং তেঁতুলিয়া উপজেলার কাজীপাড়া এলাকার কাজী মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সৌখিন কৃষক পরীক্ষামূলকভাবে বিদেশি উচ্চ মূল্যের অর্থকরী ফসল চিয়া সিডের চাষ করেছিলেন।
অল্প জমিতে কম খরচে এর চাষ করে সফলও হন তারা। অন্য যেকোনো ফসলের চেয়ে খরচ ও রোগবালাই কম এবং লাভ বেশি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে চাষ হচ্ছে ওষুধি ও পুষ্টিগুণের বিদেশি ফসল চিয়া সিড
১ বছর আগে
ইউটিউব দেখে মাশরুম চাষে সফল সবজি বিক্রেতা
খাদ্য হিসেবে মাশরুম অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ও সহজে হজম হয়। হয়তো সেজন্যই নওগাঁর সবজি বিক্রেতা সাগর আলীর মাশরুম চাষে আগ্রহ জাগে। আগ্রহ থেকেই কাজে নেমে পড়েন। বর্তমানে ইউটিউবে ভিডিও দেখে মাশরুম চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন তিনি।
ভালো ফলন হওয়ায় অল্প দিনে তিনি লাভের মুখ দেখেছেন। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে পরিসর বাড়িয়ে মাশরুম চাষ করার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
সবজি বিক্রেতা সাগর আলী নওগাঁ সদর উপজেলার কির্ত্তিপুর ইউনিয়নের বেনী-ফতেপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বল্প পুঁজিতে প্রথমে ছোট পরিসরে শুরু করেন মাশরুম চাষ। এই চাষ লাভজনক হওয়ায় আস্তে আস্তে তিনি বড় পরিসরে মাশরুমের খামার গড়ে তোলেন। এতে তিনি বেশ সফলও হয়েছেন। খুব কম সময়ের মধ্যে লাভের মুখ দেখছেন সাগর আলী। মাশরুম বিক্রি করে সংসারেও ফিরিয়েছেন আর্থিক স্বচ্ছলতা।
সাগর আলীর মাশরুম খামারে গিয়ে দেখা যায়, দুই কাঠা জমির ওপরে টিন দিয়ে ঘর তৈরি করেছেন। ওই ঘরে সুতা দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে পলিথিন দিয়ে মোড়ানো ৩০০টি মাশরুম বীজ প্যাকেট (স্পন প্যাকেট)।
সেই পলিথিনের গায়ের ছিদ্র দিয়ে সাদা আস্তরণে দেখা যাচ্ছে মাশরুম। সেখান থেকেই কেটে বাজারজাত বা বিক্রি করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মাশরুমের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
ফটিকছড়িতে চাষ হচ্ছে বিশাল আকৃতির জাপানি মুলা
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে হালদা নদীর চরের বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে চাষ হয়েছে বড় বড় জাপানি মুলার। বিশাল আকৃতির এ মুলা দেখতে যেমন চমৎকার তেমনি খেতেও অন্যরকম স্বাদ।
এবার ফটিকছড়ি বারৈয়ারহাটের পশ্চিম পাশে হালদা নদীর চরে হাজার হাজার মুলা চাষ করে সফল হয়েছেন চাষি আব্দুর রহিম।
তার দাবি দেশের সবচেয়ে বড় মুলা উৎপাদিত হয় ফটিকছড়িতে।
ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার দরবার শরীফের ওরশ উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় বিক্রি হচ্ছে এসব বিশাল আকৃতির জাপানি মুলা। হালদা নদীর কূল ঘেঁষেই বিস্তীর্ণ মাট জুড়ে মুলা চাষ হয়েছে। একেকটি মুলার ওজন ৪-১৫ কেজি এবং এসব মুলার মূল্য ৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দায় চিংড়ির চাহিদায় রদবদল, জনপ্রিয় হচ্ছে ভেনামি চিংড়ি
১ বছর আগে