জাতীয় শোক দিবস
৩ নভেম্বরকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জেল হত্যা দিবস’কে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়।
১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নিহত জাতীয় চার নেতা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার জেলহত্যা দিবস পালন করছে ক্ষমতাসীন দলটি।
রাষ্ট্রীয় হেফাজতে থাকা অবস্থায় সেদিন খুন হন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামরিক অভ্যুত্থানের পর যখন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে হত্যা করা হয়, তখন একটি উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকাণ্ডের একটি সিরিজ সংঘটিত হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নিয়ে বিপদে আছে দেশের মানুষ: ওবায়দুল কাদের
দিবসটি পালনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কাদের।
নিহত নেতাদের পরিবারের পক্ষ থেকে দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত সরকারের উচ্চপদস্থদের সামলাতে হবে।
ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভোরে সারাদেশে কেন্দ্রীয় ও জেলা কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করে দিনটি শুরু করে।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৭টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দলীয় নেতারা।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বনানী কবরস্থানে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং সেখানে ফাতেহা পাঠ, মিলাদ-মাহফিল ও মোনাজাত করা হয়।
এছাড়াও রাজশাহীতে এএইচএম কামরুজ্জামানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় যেখানে দিবসটি উপলক্ষে দোয়া মাহফিল, ফাতেহা পাঠ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিকাল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য রাখবেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচারে লিপ্ত: ওবায়দুল কাদের
দেশের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বড় অন্তরায়: ওবায়দুল কাদের
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই টিকা পাবে শিশুরা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পাঁচ থেকে ১১ বছরের শিশুদের (প্রাথমিকের শিক্ষার্থী) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘শিশুদের এই টিকা কর্মসূচি পরিচালিত হবে সিটি করপোরেশন এলাকাগুলোতে। সেখানকার স্কুলগুলোতে আমরা টিকা প্রদান করবো। ইতোমধ্যেই কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে শিশুরা যাতে সঠিক সময়ে কেন্দ্রে এসে টিকা নেয়। এবং টিকা কেন্দ্রে এসে যাতে বসতে পারে সেই ব্যবস্থা করে।
সোমবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আমাদের দেশে পাঁচ থেকে ১১ বছরের দুই কোটি ২০ লাখ শিশু আছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, এই বয়সী শিশুরা দেশের যে প্রান্তেই থাকুক তাদেরকে হিসেবে নেয়া হয়েছে। এতে তারা ভাসমান হোক আর স্কুলে না পড়া শিশু হোক সকল শিশুই টিকা পাবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। টিকার প্রথম ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ কার্যক্রম ও চলমান রয়েছে। শিশুদের টিকা কার্যক্রম ১১ আগস্ট উদ্বোধন করা হয়েছে এবং আগামী ২৫ তারিখ থেকে পুরোদমে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা হবে। তার জন্য যা যা ব্যবস্থা করা প্রয়োজন সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, টিকা তারাই নিতে পারবে যারা নিবন্ধন করেছে। নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে তবে তা দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রী জানান, কতগুলো সেন্টারে এই টিকা দেয়ার প্রয়োজন হবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানালে সে হিসেবে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
মন্ত্রী আরও জানান, আমরা অতীতেও টিকা দিয়েছি। আমাদের ডাক্তার, নার্সদের এখন পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে, তারা প্রশিক্ষিত৷ ৩০ কোটি টিকা প্রদানেও আমাদের কোনো রকম কোনো অঘটন ঘটে নি। আমরা শিশুদের ব্যাপারে বিশেষভাবে মনোযোগী আছি।
আরও পড়ুন: পর্যায়ক্রমে সারাদেশের স্কুলগুলোতে শিশুদের টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে পৌঁছেছে শিশুদের করোনার টিকা
‘ব্রেভহার্ট’: বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে গ্যালারি কসমস
জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষে গ্যালারি কসমস শুক্রবার রাজধানীর কসমস সেন্টারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্রেভহার্ট’- শিরোনামে দিনব্যাপী চিত্রশিল্প, আলোকচিত্র ও ভাস্কর্য প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে এতে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও শিল্পী রফিকুন নবী, বীরেন সোম এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও যোগ দেবেন গ্যালারি কসমসের পরিচালক তাহমিনা এনায়েত এবং কসমস গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ জামিল খান।
বহুমাত্রিক এই প্রদর্শনীতে সহযোগী হিসেবে থাকছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান কসমস গ্রুপের জনহিতকর সংস্থা কসমস ফাউন্ডেশন। এ আয়োজনে মিডিয়া ও নলেজ পার্টনার হিসেবে থাকছে ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি) এবং এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ঢাকা ক্যুরিয়ার।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনের আগে ১২ জন শিশু শিল্পী ও চিত্রশিল্পীদের একটি দল প্রদর্শনীর স্থানে এক বিশেষ গ্রুপ আর্ট ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করবে এবং জাতির পিতার প্রতি তাদের আন্তরিক শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে।
প্রদর্শনীতে শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বীরেন সোম, অলকেশ ঘোষ, নাসির আলী মামুন, আফরোজা জামিল কঙ্কা, ভাস্কর রাশা, শাহাজাহান আহমেদ বিকাশ, আজমীর হোসেন, বিশ্বজিৎ গোস্বামী, আবু কালাম শামসুদ্দিন, দেবদাস মালাকার, দিলীপ কর্মকার, সৌরভ চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল বশির, ইকবাল বাহার চৌধুরী, মানিক বনিক, কামরুজ্জোহা, আজমল হোসেন, মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মজুমদার শাকিল ও মো. রফিকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট শিল্পীর শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হবে।
দর্শকরা আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীর মালিবাগের কসমস সেন্টারে আয়োজিত এই প্রদর্শনীটি উপভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: গ্যালারি কসমসের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রথম ভার্চুয়াল প্রদর্শনী শুরু
শনিবার ‘দ্য প্যাশন অব ড্রয়িং-২’ আয়োজন করবে গ্যালারি কসমস
বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্তরালে যারা ছিল, তাদের খুঁজে বের করতে হবে: মন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের যে খুনিদের বিচার হয়েছে, তারা আত্মস্বীকৃত বাস্তবায়নকারী। যারা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকাররী এবং পরিকল্পনাকারী তাদের বিচার এখনও হয়নি। এ খুনের আড়ালে যারা ছিল, তাদের খুঁজে বের করতে হবে।
শনিবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে (আইডিইবি ভবন) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স প্রাতিষ্ঠানিক ইউনিট কমান্ড এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিরা মনে করেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারলে সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারলেও, তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়েও মৃত বঙ্গবন্ধু এখন অনেক শক্তিশালী।
মোজাম্মেল হক বলেন, আমাদের সংসদ ভবন বিশ্বের অন্যতম সেরা স্থাপত্য। সেখানে পরিকল্পনার বাইরে কোনো স্থাপনা থাকতে পারে না। শুধু জিয়াউর রহমানের নয়, অনেকের কবরই সেখানে রয়েছে। সেগুলো সব অপসারণ করতে হবে।
আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, আইডিইবির সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম এ হামিদ, আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শামসুর রহমান ও সদস্য সচিব বীর মুক্তিযুদ্ধা মো. ইদরীস আলী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়াই মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার সংকল্প প্রধানমন্ত্রীর
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রে সাতটি চক্র সক্রিয় ছিল: গওহর রিজভী
রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক চান কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সরকারের কাজ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য রাজনীতিবিদ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের সাথে সরকারি কর্মকর্তাদের ভালো সম্পর্ক থাকা উচিত। রাজনীতিবিদরা সিদ্ধান্ত নেন এবং সরকারি কর্মকর্তারা সেগুলো বাস্তবায়ন করেন।’
তিনি নব্য-আওয়ামী লীগারদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘যারা সরকারের তোষামোদ করে ‘বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার’পক্ষে স্লোগান দিতে দেখা যায়, এটা কি সত্যিই তাদের মনের কথা?’
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের আগে অনেকে ‘মুজিব কোট’পরতো, কিন্তু ১৫ আগস্টের পর অনেকেই কোট লুকানোর চেষ্টায় ছিল।
কাদের বলেন, সচিবালয়ের চারপাশে বিলবোর্ড ও পোস্টার দেখলে আজ ভয় হয়, এটি ১৫ আগস্টের আগের দৃশ্যের কথা মনে করিয়ে দেয় যখন অনেকে বঙ্গবন্ধুর কাছে ফুল ও মিছিল নিয়ে এসেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তারা পালিয়ে যায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার স্বচ্ছতা, সততা এবং নিরপেক্ষতা বিশ্বাস করে।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ইউএনও-পুলিশের দুই মামলায় ১২ আসামির জামিন
বরিশালের ভুল বোঝাবুঝি সমাধানের পথে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
বরিশালে ইউএনও’র বিরুদ্ধে ২ মামলার আবেদন
জিয়ার মদদে ঘটে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার প্রত্যক্ষ মদদদাতা ছিলেন জিয়াউর রহমান। তার নির্দেশে ঘটানো হয় ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড।
রবিবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্যাতন, অন্যায়-অবিচার, শোষণ, প্রতিহিংসা ও ধ্বংসাত্মকের রাজনীতি করে। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ ন্যায়বিচার, মানুষের অধিকার আদায় এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় রাজনীতি করে। এখানেই দুটি রাজনৈতিক দলের পার্থক্য।
তাজুল ইসলাম জানান, বঙ্গবন্ধুকে শহীদ করার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন তারা দীর্ঘ ২১ বছর দেশ ও মানুষকে কি দিয়েছে জাতি তা জানে। বাঙালি জাতির ভাগ্যকে নির্বাসন দিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি, বঙ্গবন্ধুর খুনি জিয়াউর রহমান এবং তাদের দোসররা।
মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের পর রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট, ব্যাংক বীমা, শিল্প কারখানা সব ধ্বংস হয়েছিল। সদ্য স্বাধীন ধ্বংসস্তূপ দেশকে জাতির পিতা সোনার বাংলায় রুপান্তরিত করার কাজ শুরু করেন এবং অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাত্র সাড়ে তিন বছরে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেন। অর্থনৈতিক, আর্থ-সামাজিক, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে সক্ষম হন বঙ্গবন্ধু।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা পাকিস্তানিদের দোসর, রাজকার, আলবদর-আলশামস বাহিনী, স্বাধীনতা বিরোধী ছিলো অথচ জাতির পিতাকে হত্যার পর কি যোগ্যতার কারণে তাদেরকে উচ্চ পদে আসীন করে সম্মানিত করেছে, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পতাকা ব্যবহার করার সুযোগ দিয়েছে। এসব দেখে মুজিব আদর্শের অনুসারীদের কি বুকে রক্তক্ষরণ হয়নি?
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার হাত ধরেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর ২ খুনিকে দেশে এনে রায় কার্যকরের চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে নিরপেক্ষ কমিশন: আইনমন্ত্রী
জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা দেশে ফিরে ক্ষতবিক্ষত দলকে পুনঃগঠন করে দেশ ও মানুষের সেবায় ব্রত হয়ে ক্ষমতায় আসেন এবং তার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের বিস্ময়।
দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে এবং শেখ হাসিনার পথ নকশা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রুপান্তরিত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করেন মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু আদর্শে পরিচালিত বাংলাদেশ এখন আর কারো মুখাপেক্ষীর দেশ নয়, এ দেশ ফকির মিসকিনের দেশ নয়, এ দেশ ঘুরে দাঁড়ানো এক বাংলাদেশ।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের আন্দোলন-সংগ্রাম, দেশ স্বাধীন করার পিছনে তার নেতৃত্ব ও অবদানকে অস্বীকার, আদর্শ ও চেতনাকে বিনষ্ট করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃতি করার অপচেষ্টা করেছে বিএনপি। নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস থেকে বঞ্চিত করতে ঘৃণ্য চক্রান্তে লিপ্ত হয় তারা। কিন্তু তাদের সেই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।
বঙ্গবন্ধু শাহাদাত বার্ষিকীতে তার আদর্শ বুকে ধারণ করে দেশ ও মানুষের সেবায় নিয়োজিত রাখতে সাধারণ মানুষ, কৃষক-শ্রমিক, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তাসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে শপথ নেয়ার আহ্বান জানান মো. তাজুল ইসলাম।
এর আগে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত দুস্থ্যদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ এবং বঙ্গবন্ধু ফটো গ্যালারী উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। এসময়, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্য এবং ১৫ আগস্টে শহীদসহ সকল শহীদদের স্মরণে দোয়া করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীষর্ক আলোচনা সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, এলজিইডি ও ডিপিএইচই'র প্রধান প্রকৌশলী, এনআইএলজি’র মহাপরিচালক এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এদেশে বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকারকারী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় আসন্ন জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, জিয়াউর রহমানের হাত ধরে পুনর্বাসিত স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতির ধারায় জাতির পিতাকে অস্বীকার করা হয়। যে মহানায়কের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে, যিনি পলে পলে আন্দোলনে বাঙালিকে বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো; তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা; তুমি কে আমি কে, বাঙালি-বাঙালি-এসব শ্লোগান শিখিয়েছেন, এক সাগর রক্ত পাড়ি দিয়ে স্বাধীনতা এনে বাঙালিকে প্রথম জাতিরাষ্ট্র দিয়েছেন, তাকে এবং তার অবদানকে অস্বীকার করা হয়। এটা যারা করে তাদের রাজনীতি এদেশে চিরতরে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
এসময় দেশ-বিদেশের উদাহরণ দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ইউরোপে গেলে দেখা যায়, নেদারল্যান্ডসে যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিদের সহযোগিতা বা সমর্থন করেছিল, তাদের নিজ দেশে ভোটাধিকার নেই।
ড. হাছান বলেন, দু:খজনক হলেও সত্য এদেশে স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো রাজনীতি করে। তারা এমপি-মন্ত্রীও হয়েছে এবং তা প্রথমে জিয়াউর রহমান ও পরে তার স্ত্রী বেগম জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতাতেই। এগুলো বন্ধ হওয়া উচিত এবং এনিয়ে বিতর্ক কখনোই বাঞ্ছনীয় নয়।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সভায় দি ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) এর সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মাইনুল আলম, সদস্য মো. আইয়ুব ভুঁইয়া প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও ভয় পেত খুনিচক্র: তথ্যমন্ত্রী
টিকা নিয়ে সমালোচনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না: তথ্যমন্ত্রী
জিডিপিতে অবদান কমে আসলেও কৃষির গুরুত্ব কমেনি: কৃষিমন্ত্রী
দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক শনিবার বলেছেন, ‘আমাদের জিডিপিতে কৃষির অবদান কমে আসলেও কৃষির গুরুত্ব কমেনি।’
শুধু কাগজে-কলমে না করে বাস্তবভিত্তিক কাজ করার আহ্বান এলজিআরডিমন্ত্রীর
দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে শুধু পরিকল্পনা ও কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ না থেকে বাস্তবভিত্তিক কাজ করার জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
ষড়যন্ত্রকারীরা গোপনে প্রস্তুতি নিচ্ছে: কাদের
ষড়যন্ত্রকারীরা গোপনে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।