প্রত্নতত্ত্ব
জরাজীর্ণ সব ভবন ভেঙ্গে ভূমিকম্প সহনীয় করার পরিকল্পনা
জরাজীর্ণ সব ভবন ভেঙ্গে ভূমিকম্প সহনীয় করে তৈরি করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত আমরা’- শীর্ষক সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।
বিএসআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের উপস্থাপনায় সংলাপের সভাপতিত্ব করেন সভাপতি তপন বিশ্বাস।
তিনি বলেন, ‘জরাজীর্ণ ভবন ভেঙ্গে ফেলবো। জাপানের সহায়তায় ভূমিকম্প সহনীয় নকশায় এগুলো নতুন করে তৈরি করা হবে। নকশা এমনভাবে করা হচ্ছে যাতে করে ভবনগুলো সাত দশমিক পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় হয়ে ওঠে। আর ইতোমধ্যে যেগুলো তৈরি হয়েছে সেগুলো আমরা পরীক্ষা করবো, যদি কোনো দুর্বলতা থাকে তাহলে সেগুলোকে শক্তিশালি করা হবে। নতুন যে ভবনগুলো এখন থেকে তৈরি হবে এগুলো তৈরি হবে বিএমডিসি কোড অনুযায়ী।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে ৩ বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, অবশ্য এক্ষেত্রে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ঐতিহ্য ঘোষণা করা ভবনগুলোকে তালিকায় রাখা হয়নি বলেও জানান তিনি।
একই সঙ্গে বজ্রপাতে প্রাণহানি কমাতে আশ্রয়কেন্দ্র ও লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন,সিদ্ধান্ত নিয়েছি বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা ও আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম চালু করবো। ৪০ মিনিট আগেই মোবাইল অ্যাপ সতর্ক করতে পারবে। খোলা জায়গায় যারা থাকবে তাদের জন্য ছোট করে লাইটনিং সেন্টার ও লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে পরীক্ষামুলক ভাবে ৪০ টি বসিয়েছি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, আসন্ন বাজেটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ সহনীয় দেশ গড়তে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
মুন্সিগঞ্জের নাটেশ্বরে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান ও খনন শুরু
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার নাটেশ্বরে মাটির নিচে আবিষ্কৃত হাজার বছরের প্রাচীন বৌদ্ধ নগরীর প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান ও খনন কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর এই খনন কাজের উদ্বোধন করেন।
মাটির নিচ থেকে আরও নতুন প্রত্ন নিদর্শন বের করতে দশম বছরের মতো এই খনন কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে কষ্টিপাথরের ১১ মূর্তি দিল বিজিবি
উদ্বোধন শেষে এক অনুষ্ঠানে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. নূহ- উল-আলম লেনিনের সভাপতিত্বে আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রতন চন্দ্র পণ্ডিত, প্রকল্পের গবেষণা পরিচালক ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড.সুফি মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: লাউড় রাজ্যের রাজবাড়িতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের পুনঃখনন
প্রসঙ্গত, ২০১২-১৩ সাল থেকে নাটেশ্বর দেউলে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় মাটির নিচ থেকে নাটেশ্বরে প্রাচীন মানব বসতির চিহ্ন আবিষ্কৃত হয়। ২০১৩ সালেই নাটেশ্বরে বৌদ্ধমন্দির, অষ্টকোণাকৃতি স্তুপ, ইট নির্মিত রাস্তা ও নালা প্রভৃতি নিদর্শন বেরিয়ে আসে। এছাড়া অষ্টকোণাকৃতির স্তুপের পাশে অষ্টম-নবম শতকে নির্মিত ১০০ বর্গমিটার আয়তনের মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। ২০১৩ থেকে ২০১৯ এ সময়ে প্রায় ছয় হাজার বর্গমিটারের বেশি এলাকায় প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা চলে।
২ বছর আগে
ইসরায়েলে ১২০০ বছর পুরানো সাবান তৈরির কারখানা আবিষ্কার
ইসরায়েলের প্রত্নতাত্ত্বিকরা দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ১২০০ বছরের পুরানো জলপাই তেলের সাবান তৈরির একটি কারখানা আবিষ্কার করেছেন।
৪ বছর আগে