লঞ্চ
ঢাকা নদীবন্দরে নিয়ম অমান্য করায় দুই লঞ্চের জরিমানা
সিঁড়িতে রেলিং না থাকাসহ অন্যান্য অসঙ্গতির কারণে ঢাকা নদীবন্দরে যাত্রীবাহী দুটি লঞ্চের জরিমানা করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (১৫ জুন) মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুন্সী মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের জরিমানা করেন।
সিঁড়ির রেলিং না থাকায় 'এমভি গ্লোরি'র ৩ হাজার টাকা এবং নিয়ম লঙ্ঘন করে বার্থিং করায় 'এমভি জামাল-৯'র এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে নৌ পুলিশ, আনসার ও বিআইডব্লিউটিএ সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যার বিষয়ে মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে: ডিবিপ্রধান
৫ মাস আগে
ঢাকার শ্যামবাজার টার্মিনালে লঞ্চে আগুন
রাজধানীর শ্যামবাজার টার্মিনালে ‘এমভি বাঙালি’ নামে একটি লঞ্চে আগুন লেগেছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে আগুন লাগে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: প্রতিবেদন জমা দিলো তদন্ত কমিটি
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসিম বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
অগ্নিকাণ্ডের সময় লঞ্চে কোনো যাত্রী ছিল না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন
চাঁদপুরে বরিশালগামী লঞ্চে আগুন, দ্রুত নিয়ন্ত্রণ
৬ মাস আগে
ভৈরবে লঞ্চে উঠতে গিয়ে পানিতে পড়ে জার্মান প্রবাসী শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে লঞ্চে উঠতে গিয়ে পানিতে পড়ে আল ইসলাম (৩০) নামে এক জার্মান প্রবাসী শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভৈরব বাজার লঞ্চ টার্মিনালে এই ঘটনাটি ঘটে।
আল ইসলাম শহরের চন্ডিবের এলাকার হাজী আলাউদ্দিনের ছেলে। তার বাবা ভৈরব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।
স্বজনরা জানান, আল ইসলাম দেড় বছর আগে স্কলারশীপ নিয়ে জার্মান যান পড়াশোনা করতে। গত ৮ এপ্রিল জার্মান থেকে ছুটিতে দেশে আসেন পরিবারেরে সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে। সোমবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে নদীর পাড়ে আড্ডা দিতে গিয়ে লঞ্চে উঠতেছিলেন তিনি। এ সময় পা পিছলে নদীতে পড়ে যান তিনি।
ভৈরব নৌপুলিশ ইউনিটের উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, রাত ৮টা ৪০ মিনিটে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় ডুবুরির মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে ৪০ মিনিট পর ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় স্ত্রীহত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
সিরাজগঞ্জে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় যাত্রীর মৃত্যু
৬ মাস আগে
চাঁদপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে আগুন লাগে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় যাত্রীদের প্রাণ বাঁচাতে একটি চরে তাদের নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: মন্দিরে আগুন: ফরিদপুরে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় ২ জন নিহতের ঘটনায় বিজিবি মোতায়েন
লঞ্চে থাকা যাত্রীরা জানান, ভোলার ইলিশাঘাট থেকে প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ যাত্রী নিয়ে এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। দুই ঘণ্টা চলার পর হঠাৎ মধ্য মেঘনায় ইঞ্জিন রুমে আগুন ধরে ধোঁয়া বের হতে থাকে। এসময় লঞ্চ স্টাফরা নদী থেকে পানি তুলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। এসময় যাত্রীদের প্রাণ বাঁচাতে চালক লঞ্চটি কোনো মতে চাঁদপুর এলাকায় একটি চরের কাছে নিয়ে তাদের নামিয়ে দেন। শত শত যাত্রীকে পানিতে ভিজে রোদে পুড়ে তীব্র তাপদাহে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বিশেষ করে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগীরা পড়ে চরম বিপাকে।
কণফুলী লঞ্চের ভোলা অফিসের কর্মকর্তা লিটন বলেন, তাদের লঞ্চের আগুন এখন নিভানো হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চে যাত্রীদের কর্ণফুলী ৪ ও ১১ তে উদ্ধার করে ঢাকায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত লঞ্চের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চটিকে অন্য একটি লঞ্চ টেনে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।
আরও পড়ুন: গাংনীতে পান বরজে আগুন, ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি
ঢাকা শিশু হাসপাতালে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩ ইউনিট
৭ মাস আগে
সদরঘাট টার্মিনালে লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত ৫
ঈদের দিন বৃহস্পতিবার ঢাকার সদরঘাট টার্মিনালে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পড়ে শিশুসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
বিআইডব্লিউটিএ'র যুগ্ম পরিচালক ও সদরঘাট নদীবন্দরের ইনচার্জ আলমগীর কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
নদীবন্দরের ইনচার্জ আলমগীর কবির জানান, দুপুর ২টা ৫৪ মিনিটে ১১ নম্বর পন্টুনের সামনে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, ‘এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামে দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনের সঙ্গে বেঁধে রাখা ছিল। ফারহান-৪ নামের আরেকটি লঞ্চ দুটি লঞ্চের মাঝখানে ঢোকার চেষ্টা করলে এমভি তাশরিফ-৪ এর রশি ছিঁড়ে যায়।’
আলমগীর কবির জানান, ঘটনাস্থলেই চারজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে এক শিশু মারা যায়।
৭ মাস আগে
জাল বাঁচাতে গিয়ে লঞ্চে প্রোপেলারে কাটা পড়ে প্রাণ গেল জেলের
বরিশালে জাল বাঁচাতে গিয়ে লঞ্চের ইঞ্জিনের প্রোপেলারে কাটা পড়ে আবেদ আলী নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কীর্তনখোলা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবেদ আলী নগরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সোবাহান ফকিরের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেট-তামাবিল সড়কে পিকআপ-লেগুনার সংঘর্ষ, নিহত ৫
নিহত আবেদ আলীর স্ত্রী রুমা জানান, সোমবার কীর্তনখোলা নদীতে মাছ ধরতে জাল ফেলেন আবেদ। এসময় স্রোতের টানে জাল গিয়ে ডবল ডেকার লঞ্চের (পারাবাত-১১) ইঞ্জিনের প্রোপেলারে জড়িয়ে যায়।
স্ত্রী রুমা আরও জানান, জাল খুলতে আবেদ যখন লঞ্চের কাছে যায় ঠিক সেই সময়ে ইঞ্জিন চালু হলে ইঞ্জিনের প্রোপেলারের ভেতরে ডুকে যায় আবেদ এবং লঞ্চের ইঞ্জিন বন্ধ না করায় নিখোঁজ হন তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, নিখোঁজের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও বরিশাল নৌ পুলিশ উদ্ধার অভিযানে নামলে আবেদ আলীর বিচ্ছিন্ন একটি পা উদ্ধার হয়।
তবে শরীরের বাকি অংশ খুঁজে পেতে অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
বরিশাল নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল জানান, আবেদ আলী মাছ ধরতে নেমে নিখোঁজ হন। আমরা তাকে খুঁজে পেতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এখন পর্যন্ত তার একটি বিচ্ছিন্ন পায়ের অংশ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ট্রাকচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
সোনারগাঁওয়ে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি, ৪ যুবক নিহত
৮ মাস আগে
বোগদাদিয়া লঞ্চের কেবিনে মিলল দর্জির লাশ
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে এমভি বোগদাদিয়া-৭ নামে যাত্রীবাহী লঞ্চের কেবিন থেকে জয়নাল নামে এক দোকান কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সকালে সদরঘাট থেকে ছেড়ে চাঁদপুর ঘাটে আসার পর মৃত্যুর বিষয় জানতে পেরে পুলিশ ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায় জয়নাল নামে দর্জি দোকানের কর্মচারীর বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়। তিনি ঢাকা একটি দর্জির দোকানে কাজ করতেন। লঞ্চের নীচতলার ১০৩ নম্বর কেবিনে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
বোগদাদিয়া লঞ্চ-৭ এর মাস্টার কলিমুল্লাহ জানান, সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা থেকে রওনা করে লঞ্চটি পৌনে ১২টায় চাঁদপুর ঘাটে আসে। ঘাটে আসার পর সব যাত্রী লঞ্চ থেকে নেমে পড়েন। কিন্তু নিচতলার ১০৩ কেবিনের যাত্রী বের হননি। পরে দরজায় অনেকবার নক করা হলেও সাড়া শব্দ না পেয়ে জানালা খুলে দেখা যায় তিনি নিচে পড়ে আছেন। পরে পুলিশের সহায়তার তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লঞ্চের টালী খাতায় তিনি জয়নাল নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
চাঁদপুর নৌ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহির ইউএনবিকে জানান, ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সে ঢাকায় একটি পোশাক তৈরির দোকানে কাজ করে বলে দোকান মালিকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। কেবিনে তিনি একা থাকায় পূর্ণাঙ্গ পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: নবীনগরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিল থেকে অটোচালকের লাশ উদ্ধার
১০ মাস আগে
ঢাকার লঞ্চের যাত্রীসংখ্যা এক বছরে ৩৪ শতাংশ কমেছে: এসসিআরএফ
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ঢাকা থেকে লঞ্চে করে বরিশালসহ উপকূলীয় বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করত।
এক বছরের মধ্যে, এই সংখ্যা ৩৩ হাজার থেকে কমে ১২ হাজারে পৌঁছেছে।
শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সংগঠনটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে।
এ ছাড়া প্রতিদিন অন্তত ৮০টি লঞ্চ ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যেত। এই সংখ্যা কমে ২০ এ পৌঁছেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছরে লঞ্চ চলাচল ২৫ শতাংশ কমেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত জরিপ ও মনিটরিং করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
জরিপকালে নৌপরিবহন বিশেষজ্ঞ, নৌযান মালিক ও শ্রমিক নেতাদের পাশাপাশি লঞ্চের কর্মী, যাত্রী ও সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এসসিআরএফ রিপোর্ট অনুসারে, অভ্যন্তরীণ শিপিং ব্যবসায় মন্দার কারণে মালিকরা এক বছরে কমপক্ষে ২০টি লঞ্চ বন্ধ করেছে। এর বাইরে আরও অন্তত ছয়টি লঞ্চ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ আধুনিক ও আরামদায়ক হয়েছে। মানুষ স্বল্প সময়ে সড়কপথে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন করতে পারছে।
আরও পড়ুন: ঈদে লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারে থাকছে না নিষেধাজ্ঞা
এ কারণে ঢাকা ও বৃহত্তর বরিশালের মধ্যে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবং লঞ্চ যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে।
এতে বলা হয়, যথাযথভাবে নদী খনন ও পলি অপসারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারণে নাব্যতা সংকটের কারণে অনেক নৌপথ পরিত্যক্ত হয়েছে।
এ ছাড়া লঞ্চের যাত্রীদের অনীহার কারণে কমছে যাত্রী সংখ্যা
এসসিআরএফ-এর তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা থেকে নৌপথে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া ৫০ হাজার মানুষের মধ্যে ৭০ শতাংশই বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠিগামী লঞ্চের যাত্রী।
যদিও লঞ্চ মালিকদের দাবি, যাত্রী কমে যাওয়ায় তাদের ব্যবসা খুবই সংকটে পড়েছে। তবে তারা এই দাবির জন্য গ্রহণযোগ্য তথ্য দিতে পারেনি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বরং সরকারি তথ্য অনুযায়ী লঞ্চ ব্যবসা এখনও লাভজনক। তবে আগের তুলনায় মুনাফার হার কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মালিকদের দাবি, প্রতিদিন ৩০-৩৫টি লঞ্চে মাত্র ৫ থেকে ৬ হাজার যাত্রী ঢাকা ছেড়ে যায়।
অন্যদিকে, সরকারি তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন অন্তত ৬০টি লঞ্চ ঢাকা ছেড়ে যায় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
বিআইডব্লিউটিএ‘র বন্দর ও পরিবহন বিভাগের উদ্ধৃতি দিয়ে এসসিআরএফ জানিয়েছে, এই বছরের ১৯ আগস্ট মোট ৬২টি যাত্রীবাহী লঞ্চ ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল এবং পার্শ্ববর্তী ঘাট থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চাঁদপুর অঞ্চলে ২২টি, বরিশাল অঞ্চলে ১০টি, ভোলা অঞ্চলে ১৪টি, পটুয়াখালী অঞ্চলে ৬টি এবং অন্যান্য অঞ্চলে ১০টি লঞ্চ ছিল।
আরও পড়ুন: ঈদে নৌপথের ২৭ লাখ যাত্রীর চাপ পড়বে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে: জাতীয় কমিটি
বরিশালের ৪০ লঞ্চঘাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার
১ বছর আগে
ঈদে লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারে থাকছে না নিষেধাজ্ঞা
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, এবার ঈদে লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।
তিনি বলেন, অনেকেই লঞ্চে মোটরসাইকেল নিয়ে পরিবারসহ বাড়ি যায়। আমরা বিআইডব্লিউটিএকে বলেছি, বিষয়টি যতটুকু পারা যায়, সামঞ্জস্য করতে।
এছাড়া লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারের বিষয়টি আমরা লঞ্চ মালিকদেরও বলেছি।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল পারাপারে শিমুলিয়ায় ফেরি সার্ভিস চালু হবে ১৮ এপ্রিল থেকে: বিআইডব্লিউটিসি
বুধবার (৩১ মে) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সুষ্ঠুভাবে নৌযান চলাচল এবং যাত্রী নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঈদ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনি যদি একা বরিশাল, মাদারীপুর বা দক্ষিণাঞ্চলে যান, নিশ্চিত মোটরসাইকেল চালিয়ে যাবেন। আপনার সঙ্গে যদি পাঁচজন থাকে, সবাইকে তো মোটরসাইকেলে তুলতে পারবেন না।
তিনি বলেন, সেখানে যদি মোটরসাইকেল নিতে চান, তাহলে বিকল্প ব্যবস্থায় নিতে হবে। হয়তো বাসের ছাদে অথবা লঞ্চে করে নিতে হবে। সে বিষয়টি আমরা এডজাস্ট করব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। তবে নৌপথে ভাড়া আগের মতোই থাকবে। ভাড়ার বিষয়ে কোনো উঠানামা নেই।
আরও পড়ুন: শিমুলিয়ায় পিপিই ছাড়াই কাজ করছেন বিআইডব্লিউটিসি’র কর্মচারীরা
জাহাজ ও ফেরি ভাড়া ২০ শতাংশ বাড়াল বিআইডব্লিউটিসি
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া, আরিচা-কাজিরহাট রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাব না থাকলেও শনিবার ভোর থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রতিদিনের মতো শুক্রবার দিবাগত রাত ৯টার পর থেকে লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়। সকালে চলার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তার অংশ হিসেবে সারা দেশের ন্যায় এই নৌপথও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানায় কর্তৃপক্ষ।
একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দৌলতদিয়া-মানিকগঞ্জের আরিচা এবং আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌরুটেও লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়েছে। এই তিন রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় সাময়িকভাবে যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বাস-লঞ্চ চলাচল বন্ধের ২য় দিনে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
আরিচা লঞ্চ মালিক সমিতির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক নুরুল আনোয়ার মিলন জানান, দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন রাত ৯টার পর থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। রাত শেষে পরদিন ভোর ৬টার পর থেকে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক থাকে।
আজও নদী শান্ত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কোনো প্রভাব নেই। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখার সতর্কবার্তা হিসেবে সারা দেশের ন্যায় এই নৌপথেও সকল প্রকার লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সকাল থেকে বহু যাত্রী নদী পাড়ি দিতে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে আসেন। তাদেরকে ফেরিতে নদী পাড়ি দিতে অনুরোধ জানানো হয়। এছাড়া দৌলতদিয়া ঘাট পন্টুনে দুই-তিনটি ছাড়া বাকি সবকটি লঞ্চ পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখা হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে নদী খুবই শান্ত থাকায় লঞ্চ চলাচলে তেমন সমস্যা নেই বলে তিনি মনে করেন।
শনিবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা যায়, লঞ্চ ঘাটের পন্টুনে দুইটি লঞ্চ বাধা রয়েছে। বাকি কোনো লঞ্চ ঘাটে না থাকায় পন্টুন এক প্রকার ফাঁকা অবস্থায় রয়েছে।
যাত্রীদের অনেকে পন্টুনে এসে লঞ্চ বন্ধ পাওয়ায় ফিরে যাচ্ছে। একই সঙ্গে ঘাটে দায়িত্বরত লোকজন তাদেরকে ফেরিতে নদী পাড়ি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
এ সময় লঞ্চের স্টাফ বা কর্মচারীদের বিভিন্ন স্থানে জটলা হয়ে বসে আড্ডা দিয়ে অলস সময় পার করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: চাঁদপুর রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
এদিকে লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরিতে যানবাহনের পাশাপাশি যাত্রীর চাপ দেখা যায়। ঢাকামুখী ও দক্ষিণাঞ্চলমুখী উভয় দিকের ফেরিতে যাত্রীদের চাপ দেখা যায়।
অনেকে ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে নিরাপদ স্থানে ছুটে চলছেন বলে আলাপকালে কয়েকজন ফেরি যাত্রী জানান।
হজরত আলী শেখ নামের এক লঞ্চের কর্মচারী বলেন, এমনিতে প্রতিদিন রাত ৯টার পর থেকে আমাদের এই রুটে লঞ্চ বন্ধ থাকে। পরদিন সকাল থেকে পুনরায় লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। লঞ্চ চললে আমরা বেতন ঠিকমতো পাই। এখন নদী পথ খুবই শান্ত থাকলেও কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বন্ধ থাকায় আমরা ঘুরে বোড়াচ্ছি।
কুষ্টিয়া থেকে আসা ঢাকাগামী একটি দূরপাল্লার পরিবহনের ঘাট তত্বাবধায়ক ফিরোজ শেখ বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা ঢাকাগামী অনেক দূরপাল্লার পরিবহনের যাত্রীরা আজ লঞ্চে নদী পাড়ি দিতে পারছে না। তাদেরকে লঞ্চ ঘাট থেকেই ফেরি ঘাটের দিকে ঘুরে যেতে বলা হচ্ছে।
আবার কেউ কেউ মুঠোফোনেই পরিবহনের তত্বাবধায়ককে লঞ্চ বন্ধের খবর জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমরা সকালে ঘাটে এসে লঞ্চ বন্ধ দেখতে পাচ্ছি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) দৌলতদিয়া ঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক পরিদর্শক আফতাব হোসেন বলেন, শনিবার সকাল থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া, দৌলতদিয়া-আরিচা ও আরিচা-কাজিরহাট রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশাল-ঢাকা রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় মোখার সতর্কবার্তা হিসেবে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সারা দেশের ন্যায় এই নৌপথেও লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এসব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
লঞ্চ না চললেও আমরা সতর্কবার্তা হিসেবে ঘাটে অবস্থান করছি বলে জানান এই কর্মকর্তা।
১ বছর আগে