লঞ্চ
লঞ্চে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক ও পলিথিন বহন না করার অনুরোধ
সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া সব লঞ্চে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক ও পলিথিন বহন না করতে এবং খাবারের উচ্ছিষ্ট ও আবর্জনা নদীতে না ফেলে লঞ্চের নির্ধারিত বিনে ফেলার নির্দেশনা দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট।
যাত্রীদের এ বিষয়ে সচেতন করতে সুপারভাইজার ও স্টাফসহ লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট শাখার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাত ৯টা থেকে শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় এ উদ্দেশ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন: পরিবেশ অধিদপ্তরকে দক্ষ ও আধুনিক করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: রিজওয়ানা
নৌপুলিশের সহযোগিতায় প্রতিটি লঞ্চে বিন রয়েছে কিনা তা পরিদর্শন করা হয়। যেখানে পর্যাপ্ত বিন নেই, সেসব লঞ্চে দ্রুত বিন সরবরাহের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পাশাপাশি, নৌপুলিশকে এ বিষয়ে মনিটরিং জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়। লঞ্চের ভিতরে এবং টার্মিনালে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। অভিযানের সময় নৌপুলিশ হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে যাত্রীদের সচেতন করে।
এছাড়া, গত রাতে কোনাবাড়ির ময়লার ভাগাড় রোড এলাকায় অবৈধভাবে পুরাতন ব্যাটারির সিসা গলানোর একটি কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সেটি সিলগালা করা হয়। পরিবেশ সংরক্ষণে পরিবেশ অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
১৯ দিন আগে
বরিশালে আগুনে পুড়ল যাত্রীবাহী লঞ্চ
বরিশাল-পাতারহাট রুটে চলাচলকারী এমএল সাইমন-১ নামের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় পাতারহাট বন্দরে ঘাটে বাঁধা অবস্থায় এই ঘটনা ঘটে।
লঞ্চঘাটের শ্রমিক মনির হোসেন বলেন, ‘হঠাৎ করে দিবাগত রাত ৩টার দিকে লঞ্চটিতে আগুন জ্বলে ওঠে। তখন অবশ্য সেটিতে কোনো যাত্রী ছিল না।’
লঞ্চের মালিক রুহুল আমিন বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে এমএল সাইমন-১ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটি যাত্রী নিয়ে বরিশালে যাওয়ার কথা ছিল। আগুনে লঞ্চের প্রায় পুরোটাই পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ধারণা করা হচ্ছে— মশা তাড়ানোর কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় যুবককে মারধর, মোটরসাইকেলে আগুন
মেহেন্দীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।’
তিনি বলেন, তবে যতদূর মনে হচ্ছে, এটি শুধু দুর্ঘটনা ছাড়া আর কিছুই নয়।
২০ দিন আগে
ঈদযাত্রায় প্রস্তুত পাটুরিয়া-আরিচা ঘাটের ফেরি ও লঞ্চ
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত সড়ক যোগাযোগের মাধ্যম পাটুরিয়া ও উত্তর বঙ্গে যাওয়ার অন্যতম নৌ-রুট আরিচা ঘাট। এছাড়া প্রতিদিন পাটুরিয়া ঘাট দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী ২১ জেলার যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করে।
তাই ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ২৩টি ফেরি যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে নিয়োজিত থাকবে।
পাশাপাশি মানিকগঞ্জের ৩৬ কিলোমিটার সড়কপথ, আরিচা, পাটুরিয়া নৌপথে ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে মোতায়েন থাকবে ৬০০ পুলিশ। চালু থাকবে টেলিফোন সেবাও।
এরই মধ্যে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ, পরিবহন খাতের নেতারাসহ সংশ্লিষ্ট ঘাট কর্তৃপক্ষের সমন্বয় সভা হয়েছে।
সভায় নানামুখী সিদ্ধান্তের মধ্যে পাটুরিয়া ঘাটে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ সামলাতে ঘাটের উত্তর পার্শ্বে বিআরটিসি টার্মিনাল ব্যবহার করা হবে। মহাসড়ক ও সংযোগ রাস্তায় বালু ও মাটিবাহী কোনো ট্রাক চলাচল করতে পারবে না। নিরাপত্তায় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন ছাড়াও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সেবা দেবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার (এজিম) আব্দুস ছালাম বলেন, ‘ঈদে যাত্রী-যানবাহন নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে পারাপারের জন্য পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ারুটে ১৭টি ফেরি ও আরিচা-কাজীরহাট রুটে ৬টি ছোট-বড় ফেরি সচল রাখা হয়েছে। ফেরিতে যানবাহন ওঠানামায় ঘাটের পন্টুন, অ্যাপ্রোচ সড়কের সংস্কার কাজ করা হয়েছে। যানজট নিরসনে ঘাটের এক কিলোমিটার পর্যন্ত ওয়ানওয়ে পদ্ধতিসহ ছোট ও বড় গাড়ির জন্য রাখা হচ্ছে আলাদা লেনের ব্যবস্থা। ঈদের চারদিন আগ থেকে বন্ধ থাকবে পন্যবাহী ট্রাক পারাপার।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রায় ভোগান্তি ছাড়াই ভ্রমণ করছেন যাত্রীরা
পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটের সুপারভাইজার পান্না লাল বলেন, ‘ঈদযাত্রায় যাত্রীদের বড় একটি অংশ পারাপার হয় লঞ্চে। তাই ত্রুটিমুক্ত করা হয়েছে দুই রুটে ৩২টি লঞ্চ। এছাড়া পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ২০টি ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ১২টি লঞ্চ চলবে।’
২৪ দিন আগে
ঢাকা নদীবন্দরে নিয়ম অমান্য করায় দুই লঞ্চের জরিমানা
সিঁড়িতে রেলিং না থাকাসহ অন্যান্য অসঙ্গতির কারণে ঢাকা নদীবন্দরে যাত্রীবাহী দুটি লঞ্চের জরিমানা করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (১৫ জুন) মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুন্সী মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের জরিমানা করেন।
সিঁড়ির রেলিং না থাকায় 'এমভি গ্লোরি'র ৩ হাজার টাকা এবং নিয়ম লঙ্ঘন করে বার্থিং করায় 'এমভি জামাল-৯'র এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে নৌ পুলিশ, আনসার ও বিআইডব্লিউটিএ সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যার বিষয়ে মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে: ডিবিপ্রধান
৩০৫ দিন আগে
ঢাকার শ্যামবাজার টার্মিনালে লঞ্চে আগুন
রাজধানীর শ্যামবাজার টার্মিনালে ‘এমভি বাঙালি’ নামে একটি লঞ্চে আগুন লেগেছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে আগুন লাগে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: প্রতিবেদন জমা দিলো তদন্ত কমিটি
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসিম বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
অগ্নিকাণ্ডের সময় লঞ্চে কোনো যাত্রী ছিল না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন
চাঁদপুরে বরিশালগামী লঞ্চে আগুন, দ্রুত নিয়ন্ত্রণ
৩৫৯ দিন আগে
ভৈরবে লঞ্চে উঠতে গিয়ে পানিতে পড়ে জার্মান প্রবাসী শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে লঞ্চে উঠতে গিয়ে পানিতে পড়ে আল ইসলাম (৩০) নামে এক জার্মান প্রবাসী শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভৈরব বাজার লঞ্চ টার্মিনালে এই ঘটনাটি ঘটে।
আল ইসলাম শহরের চন্ডিবের এলাকার হাজী আলাউদ্দিনের ছেলে। তার বাবা ভৈরব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।
স্বজনরা জানান, আল ইসলাম দেড় বছর আগে স্কলারশীপ নিয়ে জার্মান যান পড়াশোনা করতে। গত ৮ এপ্রিল জার্মান থেকে ছুটিতে দেশে আসেন পরিবারেরে সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে। সোমবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে নদীর পাড়ে আড্ডা দিতে গিয়ে লঞ্চে উঠতেছিলেন তিনি। এ সময় পা পিছলে নদীতে পড়ে যান তিনি।
ভৈরব নৌপুলিশ ইউনিটের উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, রাত ৮টা ৪০ মিনিটে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় ডুবুরির মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে ৪০ মিনিট পর ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় স্ত্রীহত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
সিরাজগঞ্জে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় যাত্রীর মৃত্যু
৩৫৯ দিন আগে
চাঁদপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে আগুন লাগে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় যাত্রীদের প্রাণ বাঁচাতে একটি চরে তাদের নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: মন্দিরে আগুন: ফরিদপুরে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় ২ জন নিহতের ঘটনায় বিজিবি মোতায়েন
লঞ্চে থাকা যাত্রীরা জানান, ভোলার ইলিশাঘাট থেকে প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ যাত্রী নিয়ে এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। দুই ঘণ্টা চলার পর হঠাৎ মধ্য মেঘনায় ইঞ্জিন রুমে আগুন ধরে ধোঁয়া বের হতে থাকে। এসময় লঞ্চ স্টাফরা নদী থেকে পানি তুলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। এসময় যাত্রীদের প্রাণ বাঁচাতে চালক লঞ্চটি কোনো মতে চাঁদপুর এলাকায় একটি চরের কাছে নিয়ে তাদের নামিয়ে দেন। শত শত যাত্রীকে পানিতে ভিজে রোদে পুড়ে তীব্র তাপদাহে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বিশেষ করে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগীরা পড়ে চরম বিপাকে।
কণফুলী লঞ্চের ভোলা অফিসের কর্মকর্তা লিটন বলেন, তাদের লঞ্চের আগুন এখন নিভানো হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চে যাত্রীদের কর্ণফুলী ৪ ও ১১ তে উদ্ধার করে ঢাকায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত লঞ্চের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চটিকে অন্য একটি লঞ্চ টেনে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।
আরও পড়ুন: গাংনীতে পান বরজে আগুন, ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি
ঢাকা শিশু হাসপাতালে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩ ইউনিট
৩৬২ দিন আগে
সদরঘাট টার্মিনালে লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত ৫
ঈদের দিন বৃহস্পতিবার ঢাকার সদরঘাট টার্মিনালে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পড়ে শিশুসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
বিআইডব্লিউটিএ'র যুগ্ম পরিচালক ও সদরঘাট নদীবন্দরের ইনচার্জ আলমগীর কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
নদীবন্দরের ইনচার্জ আলমগীর কবির জানান, দুপুর ২টা ৫৪ মিনিটে ১১ নম্বর পন্টুনের সামনে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, ‘এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামে দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনের সঙ্গে বেঁধে রাখা ছিল। ফারহান-৪ নামের আরেকটি লঞ্চ দুটি লঞ্চের মাঝখানে ঢোকার চেষ্টা করলে এমভি তাশরিফ-৪ এর রশি ছিঁড়ে যায়।’
আলমগীর কবির জানান, ঘটনাস্থলেই চারজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে এক শিশু মারা যায়।
৩৭১ দিন আগে
জাল বাঁচাতে গিয়ে লঞ্চে প্রোপেলারে কাটা পড়ে প্রাণ গেল জেলের
বরিশালে জাল বাঁচাতে গিয়ে লঞ্চের ইঞ্জিনের প্রোপেলারে কাটা পড়ে আবেদ আলী নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কীর্তনখোলা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবেদ আলী নগরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সোবাহান ফকিরের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেট-তামাবিল সড়কে পিকআপ-লেগুনার সংঘর্ষ, নিহত ৫
নিহত আবেদ আলীর স্ত্রী রুমা জানান, সোমবার কীর্তনখোলা নদীতে মাছ ধরতে জাল ফেলেন আবেদ। এসময় স্রোতের টানে জাল গিয়ে ডবল ডেকার লঞ্চের (পারাবাত-১১) ইঞ্জিনের প্রোপেলারে জড়িয়ে যায়।
স্ত্রী রুমা আরও জানান, জাল খুলতে আবেদ যখন লঞ্চের কাছে যায় ঠিক সেই সময়ে ইঞ্জিন চালু হলে ইঞ্জিনের প্রোপেলারের ভেতরে ডুকে যায় আবেদ এবং লঞ্চের ইঞ্জিন বন্ধ না করায় নিখোঁজ হন তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, নিখোঁজের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও বরিশাল নৌ পুলিশ উদ্ধার অভিযানে নামলে আবেদ আলীর বিচ্ছিন্ন একটি পা উদ্ধার হয়।
তবে শরীরের বাকি অংশ খুঁজে পেতে অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
বরিশাল নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল জানান, আবেদ আলী মাছ ধরতে নেমে নিখোঁজ হন। আমরা তাকে খুঁজে পেতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এখন পর্যন্ত তার একটি বিচ্ছিন্ন পায়ের অংশ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ট্রাকচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
সোনারগাঁওয়ে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি, ৪ যুবক নিহত
৩৯৫ দিন আগে
বোগদাদিয়া লঞ্চের কেবিনে মিলল দর্জির লাশ
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে এমভি বোগদাদিয়া-৭ নামে যাত্রীবাহী লঞ্চের কেবিন থেকে জয়নাল নামে এক দোকান কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সকালে সদরঘাট থেকে ছেড়ে চাঁদপুর ঘাটে আসার পর মৃত্যুর বিষয় জানতে পেরে পুলিশ ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায় জয়নাল নামে দর্জি দোকানের কর্মচারীর বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়। তিনি ঢাকা একটি দর্জির দোকানে কাজ করতেন। লঞ্চের নীচতলার ১০৩ নম্বর কেবিনে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
বোগদাদিয়া লঞ্চ-৭ এর মাস্টার কলিমুল্লাহ জানান, সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা থেকে রওনা করে লঞ্চটি পৌনে ১২টায় চাঁদপুর ঘাটে আসে। ঘাটে আসার পর সব যাত্রী লঞ্চ থেকে নেমে পড়েন। কিন্তু নিচতলার ১০৩ কেবিনের যাত্রী বের হননি। পরে দরজায় অনেকবার নক করা হলেও সাড়া শব্দ না পেয়ে জানালা খুলে দেখা যায় তিনি নিচে পড়ে আছেন। পরে পুলিশের সহায়তার তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লঞ্চের টালী খাতায় তিনি জয়নাল নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
চাঁদপুর নৌ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহির ইউএনবিকে জানান, ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সে ঢাকায় একটি পোশাক তৈরির দোকানে কাজ করে বলে দোকান মালিকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। কেবিনে তিনি একা থাকায় পূর্ণাঙ্গ পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: নবীনগরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিল থেকে অটোচালকের লাশ উদ্ধার
৪৫৩ দিন আগে